Hello Viewers Today’s We are going to Share SEBA Class 6 Bengali Chapter 3 সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস Textbook Question Answer. Are you a Student of SEBA (Secondary Education Board of Assam). Class 6 Bengali Chapter 3 সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস Which you Can Download PDF Class 6 Bengali Chapter 3 সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস for free using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 6 Bengali Chapter 3 সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস
Today’s We have Shared in This Post, Class 6 Bengali Textbook Question Answer Chapter 3 সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস for Free with you. Class vi Bengali Question Answer I Hope, you Liked The information About The Class 6th Bengali Solutions. if you liked SEBA Solutions for Class Six Bengali Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস
ক-পাঠভিক্তিক ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন ১। হেমাঙ্গ বিশ্বাস অসমের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের অন্যতম পুরোধা ব্যত্তিত্ব।অসমের এবং ভারতের আরও কয়েকজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের নাম তোমরা পাঠে পেয়েছ। তাঁদের বিষয়ে কী জান লেখো।
উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো।
প্রশ্ন ২। নীচের বিষযগুলো সম্পর্কে লেখো।
(ক) বিহু।
(খ) ভাটিয়ালি।
(গ) গণনাট্য সংঘ।
(ঘ) আইন অমান্য আন্দোলন।
উত্তরঃ (ক) বিহু :- অসমের জাতীয় নৃত্যসঙ্গীত বিহু। এর মধ্য দিয়ে অসমের মানুষের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শন মেলে। প্রয়াত হেমাঙ্গ বিশ্বাস ‘বিহু’-র খুব ভক্ত ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বিহু-র সুর আর ভাটিয়ালির সুর মিলিয়ে বাংলা আর অসমের মানুষের মধ্যে সংহতি রচনা করতে, সম্প্ৰীতি তৈরি করতে__
তুমি নাচ বিহু নাচ আমি দিব তালি
ঐকতানে মিলে যাবে বিহু-ভাটিয়ালি।
(খ) ভাটিয়ালি :- পূর্ববাংলার (অধুনা বাংলাদেশ) ভাটিয়ালি মাঝি-মাল্লাদের গান। ভাটিয়ালি একক কণ্ঠের গান। পূর্ববাংলা প্রধানত ঢাকা, মৈমনসিংহ জেলায় ভাটিয়ালি গান প্রচলিত। তবে সমগ্ৰ পূর্ববাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের মাঝিদের কণ্ঠেও এই গান বিস্তৃতি লাভ করেছে। নদীর কলতানের মধ্যে ও স্নিগ্ধ বায়ু এবং নিঃসঙ্গ প্রকৃতির মাঝে মাঝির একক কণ্ঠের এই গানের উদাস করা সুর দূর- দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
এর উৎপত্তি ‘ভাটি’ শব্দ থেকে। কথিত আছে পূর্ববাংলায় ‘ভাটিয়াল’ মুলুক বলে প্রাচীনকালে কোনো একটি অঞ্চল ছিল। অঞ্চলটি নিঃসন্দেহে নদীবহুল বা জলাশয়পূর্ণ — সুতরাং সেখানে নৌকা বাইতে বাইতে মাঝিরা একক কণ্ঠে যে গান যে সুরে গাইত, তাই ভাটিয়ালি বলে প্রচলিত। এই ধরণের মতামত অনেকেই পোষণ করেন। আবার কারো কারো মতে ভাটি অর্থাৎ ভাটার টানে মাঝি নৌকা বাইতে বাইতে এই ধরনের গান গায় বলে এ গান ভাটিয়ালি নামে প্রসিদ্ধি লাভ করছে। ভাটিয়ালি নিঃসন্দেহের নদীর গান এবং এর উপজীব্য বিষয় প্রেম ছাড়াও আধ্যাত্মিক চেতনামূলক মাঝি-মাল্লাদের হৃদয়ের আক্ষেপের সুর এতে বিদ্যমান।
ভাটিয়ালি সুর টানা টানা উদাস করা। প্রকৃতির শান্ত গ্ৰাম্য রূপটি ফুটে ওঠে এই উদাস করা সুরের মাধ্যমে। তাছাড়া আঞ্চলিক ভাষার ছাপ এই গানে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান।
(গ) গণনাট্য সংঘ :- ফ্যাসি-বিরোধী লেখক ও শিল্পীসঙেঘর সাংস্কৃতিক শাখা হিসাবে বাংলায় গণনাট্যসঙয় ১৯৪২ থেকেই গঠিত হয়, ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সর্বভারতীয় সংগঠন তৈরি হয় ১৯৪৩-এর ২৫ মে, বোম্বাইয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্মেলনের মঞ্চেই। এর আগেই গণনাট্য সংঘের প্রথম ইউনিট অনিল ডি’সিলভার সম্পাদকত্বে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে বাঙ্গালোরে প্রতিষ্ঠিত হয়। বোম্বাইয়ে জননাট্য গঠিত হয় ১৯৪০-এ। মানুষের আশা আকাঙক্ষা ও সংগ্ৰামকে রূপ দেবার জন্য এভাবে চল্লিশের দশকের গোড়াতে এইসব সংগঠন গড়ে উঠেছিল। সব আঞ্চলিক গণনাট্যের শাখাগুলি।নিয়েই বোম্বাই-এ ১৯৪৩-এর ২৫ মে সর্বভারতীয় সংগঠন তৈরি হয়।
অসমে গণনাট্য সংঘের শাখা স্থাপিত হয় জ্যোতিপ্রসাদ আগরও য়ালা ও হেমাঙ্গ বিশ্বাসের নেতৃত্বে। রূপকোঅর জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা লিখছেন __
দেশেই আমার নাটঘর
রাইজেই আমার ভাওরীয়া।
(দেশই আমাদের নাট্যশালা/জনগণই আমাদের নাট্যশিপ্লী)
বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা, ইরাবত সিং সৈয়দ আব্দুল মালিক, রঘুনাথ চৌধুরী, আনন্দিরাম দাস,ভূপেন হাজারিকা, প্রতিমা বরুয়া পাণ্ডে, দিলীপ শর্মা প্রমুখ ব্যক্তি সে সময় গণনাট্যর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
(ঘ) আইন আমান্য আন্দোলন :- ১৯২০ সালে ভারতের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে ব্যাপকতা দেখা দেয়। ওইরকম উত্তেজক পরিস্থিতিতে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে লাহোরে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এছাড়া কংগ্রেস দেশব্যাপী আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে কংগ্রেস আইন অমান্য শুরু করার সমস্ত দায়িত্ব গান্ধীজীর ওপর অর্পণ করে। আইন অমান্য আন্দোলনের প্রধান কর্মসূচি ছিল লবণ আইন, কর প্রদানের আইন প্রভৃতি বিভিন্ন সরকারি আইন অমান্য করা, সরকারি দপ্তর বর্জন করা, স্কুল কলেজ বর্জন করা প্রভৃতি।
লবণ আইন ভঙ্গ করে ভারতের সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন স্থানে লবণ প্রস্তুত শুরু হল। আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা থেকেই সরকারি মহল নিমর্ম দমন নীতির আশ্রয় নেয়। গান্ধীজী ও অন্যান্য নেতাসহ প্রায় নব্বই হাজার সত্যাগ্রহী গ্রেপ্তার হন। ব্রিটিশের দমন ও বিভেদ নীতির ফলে আইন অমান্য আন্দোলন ক্রমশ স্তিমিত হয়ে পড়ে। তাই আইন অমান্য আন্দোলন অপ্রয়োজনীয় মনে করে গান্ধীজী ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে তা প্রত্যাহার করে নেন। আইন অমান্য আন্দোলন ব্যর্থ হলেও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্ৰামের ইতিহাসে এই আন্দোলনের গুরুত্ব কম ছিল না। আইন অমান্য আন্দোলন ভারতের জাতীয় সংগ্ৰামকে সর্বভারতীয় গণ আন্দোলনের পর্যায়ে উন্নীত করে।
SL.No. | সূচীপত্র |
পাঠ -১ | বলো বলো বলো সবে |
পাঠ -২ | তিন পণ্ডিত যুবক |
পাঠ -৩ | সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস |
পাঠ -৪ | হ্যালো বরাক |
পাঠ -৫ | কৃত্রিম উপগ্রহ |
পাঠ -৬ | বাংলা ভাষা ও সাহিত্য |
পাঠ -৭ | চলো যাই ভ্রমণে |
পাঠ -৮ | সবার আমি ছাত্র |
পাঠ -৯ | অমল ও দইওয়ালা |
পাঠ -১০ | অবিস্মরণীয়া দুই নারী |
পাঠ -১১ | ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ |
পাঠ -১২ | খাই খাই |
পাঠ -১৩ | প্রকৃতির খেয়াল |
পাঠ -১৪ | ঠাকুমাকে কীভাবে পড়তে শিখিয়েছি |
পাঠ -১৫ | ধামাইল |
পাঠ -১৬ | শব্দ- সম্ভার |
প্রশ্ন ৩। উত্তর দাও-
(ক) অসমের ইতিহাসে হেমাঙ্গ বিশ্বাস একটি উজ্জ্বল নাম। তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য কর্মের কংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কর্মের আমরা সমন্বয়ে সেতুনির্মাণের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করার লক্ষ্যে আজীবন সাধনা করে গেছেন তিনি। তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্ৰামী ছিলেন। সাম্যবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হেমাঙ্গ বিশ্বাস সাধারণ মানুষের কল্যাণের কাজে জীবন সমপর্ণ করেন। অসমের গণনাট্য শাখার তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি প্রায়ই অখ্যাত শিল্পীদের জনসমক্ষে নিয়ে আসতেন। ঢোলের যাদুকর মঘাই ওজাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনিই তুলে ধরেছিলেন। লোকগীতির মাধ্যমেই প্রতিবাদ ও সংগ্ৰামের সুর খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন ‘কাস্তেটারে দিও শান’, ‘মাউনব্যাটেন মঙ্গলকাব্য’, ‘আমার মন কান্দে পদ্মার চরের লাইগা’, ‘হবিগঞ্জের জালালী কইতর’, ‘শঙ্খচিল’, ‘হারাধন রংমন কথা’, ‘জন হেনরী’র মতো অবিস্মরণীয় কিছু গান। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্ৰন্থ হচ্ছে ‘চীন থেকে ফিরে’, ‘লোকসংগীত সমীক্ষা বাংলা ও আসাম’, ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান’, সীমান্ত প্রহরী’। শেষজীবনে তিনি লিখেছিলেন তাঁর আত্মজীবনী ‘উজান গাঙ বাইয়া’। শুধু বাংলায় নয়, অসমীয়া বাষাতেও তিনি লিখেছিলেন ‘কুল খুরার চোতাল’, জীবন শিল্পী জ্যোতিপ্রসাদ’, ‘আকৌ চীন চাই আহিলো- মতো গ্ৰন্থ।
(খ) হেমাঙ্গ বিশ্বাস রচিত কয়েকটি গ্ৰন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্ৰন্থ হচ্ছে ‘চীন থেকে ফিরে’, ‘লোকসংগীত সমীক্ষা বাংলা ও আসাম’, ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান’, ‘সীমান্ত প্রহরী’। শেষজীবনে তিনি লিখেছিলেন তাঁর আত্মজীবনী ‘উজান গাঙ বাইয়া’। শুধু বাংলায় নয়, অসমীয়া ভাষাতেও তিনি লিখেছিলেন ‘কুল খুরার চোতাল’, ‘জীবন শিল্পী জ্যোতিপ্রসাদ’, ‘আকৌ চীন চাই আহিলো-র মতো গ্ৰন্থ।
(গ) হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কয়েকটি গানের নাম লেখো।
উত্তরঃ হেমাঙ্গ বিশ্বাস রচিত কয়েকটি গান হল—‘কাস্তেটারে দিও শান’, ‘মাউনব্যাটেন মঙ্গলকাব্য’, ‘আমার মন কান্দে পদ্মার চরের লাইগা’, ‘হবিগঞ্জের জালালী কইতর’, ‘শঙ্খচিল’, ‘হারাধন রংমন কথা’, ‘জন হেনরীর’র মতো অবিস্মরণীয় কিছু গান।
(ঘ) ‘সম্প্রীতির সাধক’ বলতে কী বোঝ ? এ বিষয়ে তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করে প্রীতি বা ভালোবাসাকে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করার সাধনাই সম্প্রীতিসাধনা; আর সেই সাধনার সাধক হলেন সম্প্রীতির সাধক।
(ঙ) আই.পি.টি. এ-র পুরো নাম কী ?
উত্তরঃ আই.টি.পি. এ-র পুরোনাম হল ‘ইন্ডিয়ান পিপলস্ থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন’। বাংলায় ‘ভারতীয় গণনাট্য সংঘ’।
প্রশ্ন ৪। এসো শব্দের অর্থগুলো জেনে নিই।
উত্তরঃ
শব্দ | অর্থ |
ঐকতান | কোরাশ, সমস্বর বাদ্য বা গান। |
বিভেদ | বিবিধতা, নানাপ্রকারের ভাগ। |
সংহতি | মিলন। |
সেতু | সাকো। |
সক্রিয় | কার্যকর। |
নেতৃত্ব | নেতার ভাব বা কাজ।যিনি পরিচালনা করেন তিনিই নেতা। |
শান | ধার। |
শঙ্খচিল | সাদা চিল। |
সমীক্ষা | ভাল করে বিচার করে দেখা। |
প্রশ্ন ৫। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের জীবন সম্বন্ধে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ হেমাঙ্গ বিশ্বাস জন্মগ্ৰহন করেন।১৯১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর শ্রীহট্টের হবিগঞ্জ মহকুমার মিরাশী গ্ৰামে। বাবা হরকুমার বিশ্বাস আর মা সরোজিনীদেবী। আজীবন সংহতি ও সম্প্রীতির সাধক ছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন সাম্যবাদী আদর্শ ও পরহিতব্রতে। অসম গণনাট্যসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি অজস্র গান (লোকসঙ্গীত), প্রবন্ধ পুস্তক, আত্মজীবনি গ্ৰ্ন্থ প্রভৃতির রচয়িতা। তিনি প্রয়াত হন ১৯৮৭ সালের ২২ নভেম্বর কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে।
প্রশ্ন ৬। এই পাঠে তোমরা হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত জীবনী পড়েছ। কীভাবে জীবনী লিখবে সংক্ষেপে তা-ও বলছি।যাঁর কথা লিখবে তাঁর নাম, জন্মস্থান, জন্মকাল, পিতা- মাতার নাম, শিক্ষা ও কর্মজীবনের বিবরণ লিখবে। সবশেষে জীবনাবসান। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এদের জীবনী লেখার চেষ্টা করো।
উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য নিয়ে নিজেরা জীবনী লেখার চেষ্টা করো।
খ-ভাষা অধ্যয়ন-
প্রশ্ন ৭। এসো, শিখি :
বাক্যর উদ্দেশ্য, বিধেয় কাকে বলে তা তোমরা ইতিমধ্যে জেনেছ। বাক্যের মধ্যে কর্তা, কর্ম ও ক্রিয়ার অবস্থানও তোমার লক্ষ করেছ। এগুলো ছাড়াও বাক্যে আরও কয়েকটি বিশেষ ধরনের পদ থাকে। এসো আমরা এগুলো জানার চেষ্টা করি।তোমরা চোখের সামনে যা যা দেখতে পাচ্ছ এগুলো সবই বিশেষ্য পদ।
যে শব্দে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ, ধর্ম, অবস্থা, কার্য, সমষ্টি ইত্যাদির নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে।এবার নীচের বাক্যগুলো লক্ষ করো।
(ক) শ্রেয়ার বেশ আনন্দ হয়েছে, ও গান গাইছে।
(খ) শ্রীষেন্দু ভালো ক্রিকেট খেলে।
(গ) ডায়েরি লেখা খুব ভালো অভ্যেস।
(ঘ) সুস্মিতা দিদিমণি খুব ভালো।
এই বাক্যগুলোতে শ্রেয়া, শীর্ষেন্দু, ডায়েরি, সুস্মিতা পদগুলো কোনো ব্যক্তি বা কোনো কিছু বস্তুর নাম প্রকাশ করেছে। এ ধরনের পদকে বিশেষ্য পদ বলে।
প্রশ্ন ৮। এবার তোমরা নীচের বাক্যগুলো থেকে বিশেষ্য পদ খুঁজে বের করো-
(ক) কাজিরাঙা বিশ্ববিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
উত্তরঃ কাজিরাঙা।
(খ) হেমাঙ্গ বিশ্বাস সাম্যবাদী ছিলেন।
উত্তরঃ হেমাঙ্গ।
(গ) মঘাই ওজা অসাধারণ ঢোল বাজাতেন।
উত্তরঃ মঘাই।
প্রশ্ন ৯। এবার এসো, আমরা একটা নতুন জিনিস শিখি। নীচের বাক্য কয়টি পড়ো।
তিতলি বেশ শান্ত মেয়ে। তিতলি রোজ মন দিয়ে পড়াশোনা করে। এজন্য তিতলির শিক্ষয়িত্রীরা তিতলিকে খুব ভালোবাসেন।—এ বাক্যগুলোতে বারবার ‘তিতলি’ বলায় শুনতে খুব একটা ভালো লাগছে না। কিন্তু আমরা আরেকভাবেও বলতে পারি—- ‘তিতলি বেশ শান্ত মেয়ে। সে রোজ মন দিয়ে পড়াশোনা করে। এজন্য তার শিক্ষয়িত্রীরা তাকে ভালোবাসেন।’
এবার শুনতে ভালো লাগছে। ‘তিতলি’ বিশেষ্য পদটি প্রথমে একবার উল্লেখ করে ‘তিতলি’ পদটির পরিবর্তে ‘সে’, ‘তার’, ‘তাকে’ ব্যবহার করছি। এই ‘সে’, ‘তার’, ‘তাকে’ হল এক-একটি সর্বনাম পদ।
● পূর্বে উল্লিখিত কোনো বিশেষ্য পদকে পুনরায় উল্লেখ না করে তার পরিবর্তে যে পদ ব্যবহার করা হয় সেটি সর্বনাম পদ।
উদাহরণ__ আমি, তুমি, তারা, উনি, যা, যিনি, কে, কারা, কী,সে, আপনি, সকল ইত্যাদি।
সবরকম বিশেষ্য পদের পরিবর্তে এই পদগুলো ব্যবহৃত হয়, তাই এগুলির নাম সর্বনাম পদ।
প্রশ্ন ১০। এবার এসো, অন্য একটা পদ শিখি। নীচের বাক্যগুলো লক্ষ করো।
বিজয়ী ছাত্রকে সব শিক্ষক ভালোবাসেন।
সাত ভাই চম্পা জাগো রে।
সুরনদীর কুল ডুবেছে সুধানিঝর-ঝরা।
এখানে নিম্ন- রেখাযুক্ত শব্দগুলো গুন, সংখ্যা দ্বারা বিশেষ্যের বিশেষত্ব বোঝাচ্ছে।
তাই বিজয়ী, সাত, সুধানিঝর-ঝরা এগুলো বিশেষণ পদ।
● যে পদ বিশেষ্যের গুণ, ধর্ম, অবস্থা,সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষণ পদ বলে। বিশেষণ পদ যে পদটিকে বিশেষিত করে সাধারণত তার পূর্বেই বসে।
প্রশ্ন ১১। ‘মান’ দিয়ে শব্দ গঠন-
‘মান’—-খ্যাতিমান, বর্তমান,শ্রীমান, ধীমান। এবার তিনটি এরকম শব্দ গঠন করে লেখো।
উত্তরঃ সম্মান, অপমান, বর্ধমান।
প্রশ্ন ১২। ‘কর’-দিয়ে ব্যক্তির পরিচায়ক শব্দ গঠন।
উত্তরঃ জাদুকর, বাজিকর, চিত্রকর।
প্রশ্ন ১৩। কোনো কিছু ঘটে গেছে বোঝাতে ‘ত’ ব্যবহার।
উত্তরঃ আকষিত, নিপীড়িত, অনুষ্ঠিত, আক্রান্ত, স্থাপিত।
প্রশ্ন ১৪। ‘অবধি’ বোঝাতে ‘আ’-দিয়ে শব্দ গঠন।
উত্তরঃ আজীবন, আমৃত্যু, আকৈশোর, আবালবৃদ্ধবনিতা, আসমুদ্র, আপামর।
প্রশ্ন ১৫। প্রায় সমুচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ।
প্রশ্ন ১৬। কোনো কিছুর ভার বা অবস্থা বুঝিয়ে শব্দ গঠন।
শিশু— শৈশব | (শিশুর ভাব) |
কিশোর—কৈশোর | (কিশোরের ভাব) |
যুব—-যৌবন | (যুব’র ভাব) |
বৃদ্ধ—- বাদ্ধক্য | (বৃদ্ধের ভাব) |
প্রশ্ন ১৭। নীচের শব্দগুলোর সঙ্গে তাদের বিপরীত শব্দ জুড়ে দিয়ে বাক্য রচনা করো।
শিশু, কিশোর, যুব, বৃদ্ধ।
শিশু–বৃদ্ধ :- আজকাল বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সম্মান দেওয়া হয়।
কিশোর–যুব :- স্বামী বিবেকানন্দ যুবসমাজের প্রতীক ছিলেন।
যুব–কিশোর :- কিশোর বয়সে মানুষ থাকে প্রাণবন্ত ও কর্মোদ্যোগী।
বৃদ্ধ–শিশু :- আগামীদিনের পিতারা ঘুমিয়ে থাকে আজকের শিশুদের অন্তরে।
প্রশ্ন ১৮। কাজ দিয়ে পরিচয় বোঝাতে বিশেষ শব্দ গঠনের নমুনা।
লেখার কাজ করেন যিনি—লেখক।
পাঠ করেন যিনি—পাঠক।
সাধনা করেন যিনি—-সাধক।
দান করেন যিনি—-দাতা।
প্রশ্ন ১৯। বিপরীতার্থক শব্দ।
সক্রিয়—নিষ্ক্রিয় অখ্যাত—বিখ্যাত
সম্পদ—-বিপদ মান্য—-অমান্য
মিলন—-বিরহ।
প্রশ্ন ২০। বিশেষ্য বিশেষণ।
ভারত—ভারতী
জাতি—-জাতীয়
লোক—–লৌকিক
জালাল—–জালালী
স্মরণ——স্মরণীয়।
প্রশ্ন ২১। এই শব্দগুলো লক্ষ করো: ভাবাদর্শ, হেমাঙ্গ, মহাত্মা, স্বাধীনতা সম্মেলন, সমীক্ষা, সীমান্ত।
শব্দগুলোতে আলাদা দুটি অংশকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভাবাদর্শ= ভাব+আদর্শ (অ+আ=আ) | স্বাধীনতা= স্ব+অধীনতা (অ+অ) |
হেমাঙ্গ= হেম+অঙ্গ (অ+অ=আ) | সমীক্ষা= সম্+ ঈক্ষা (ম+ঈ=মী) |
মহাত্মা= মহা+আত্মা (আ+আ=আ) | সম্মেলন= সম্+ মেলন (ম্+ম=ম্ম) |
আবিষ্কার=আবিঃ+কার ( ঃ+ক=ষ্ক) | সীমান্ত= সীমা+অন্ত (আ+অ=আ) |
দুইটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি প্রধানত দুরকম— স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি। স্বরবর্ণে স্বরবর্ণে সন্ধি হলে স্বরসন্ধি হয়। যেমন— ভাবাদর্শ, হেমাঙ্গ, মহাত্মা, স্বাধীনতা, সীমান্ত। দুটি বর্ণের যে কোনো একটি বা দুইটি ব্যঞ্জনবর্ণ হলে ব্যঞ্জনসন্ধি হয়। যেমন— সম্মেলন। ব্যঞ্জনসন্ধির আরেকটি ভাগ আছে। সেটি হল বিসগসন্ধি। যে দুটি বর্ণে সন্ধি হয় তাদের প্রথমটি বিসর্গ হলে বিসর্গসন্ধি হয়। যেমন—আবিষ্কার।
প্রশ্ন ২২। ছবিগুলো কার বলো ও ছবির নীচে নাম লেখো।
উত্তরঃ
প্রশ্ন ২৩। এসো, অসমের কয়েকজন শিল্পীর বিষয়ে জেনে নিই।
(ক) রূপকোঁঅর জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা :- কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সুরকার, প্রবন্ধকার, জীবনীকার এবং অসমে চলচ্চিত্র শিল্পের যুগস্রষ্টা জ্যোতিপ্রসাদের ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জুন ডিব্রুগড়ের তামোলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ বছর বয়সে (১৯১৭) ‘শোণিত কুঁঅরী’ নাটক রচনার মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যচচার শুরু হয়।তাঁর রচিত অন্যান্য নাটকসমূহ হল কারেঙর লিগিরি রূপালীম, লভিতা, নিমাতী কইনা ইত্যাদি। আধুনিক অসমের সাহিত্য, শিল্প এবং চিন্তায় ইনিই নতুনত্বের বার্তাবাহক, অনন্যসাধারন শিল্পী, সাহিত্যিক এবং চিন্তানায়ক।১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম অসমিয়া চলচ্চিত্র ‘জয়মতী’ নির্মাণ করেন।১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
(খ) মঘাই ওজা :- ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ঢোলের জাদুকর মঘাই ওজার জন্ম। ছোটোবেলা থেকেই ঢোল বাদনে পারদর্শী। হেমাঙ্গ বিশ্বাস, ভূপেন হাজারিকা সহ অনেক যশস্বী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের অল্কান্ত কর্মী মঘাই ওজা ঢোল বাদনকে বিশেষ মানে উন্নীত করেছেন।১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মার্চ তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
(গ) কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা :- বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, বাদক, নৃত্যশিল্পী, চিত্রশিল্পী, অভিনেতা, নাট্যকার, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, জীবনীকার, প্রবন্ধকার, সুবক্তা, রাজনীতিবিদ, মানবতাবাদী বিপ্লবী বিষ্ণুপ্রসাদ অসমের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়ের সেতু গড়েছিলেন।১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
প্রশ্ন ২৪। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গ্ৰন্থ ‘গীতাঞ্জলি’র ‘ভারততীর্থ’ কবিতাটি সংগ্ৰ করে পড়ো। কবিতাটিতে ছত্রে ছত্রে মিলনের কথা আছে। সেই পংক্তি বা সারিগুলো বেছে লেখো ও পড়ে শোনাও।
উত্তরঃ নিজেরা সংগ্রহ করে লেখো ও পড়ে শোনাও।
প্রশ্ন ২৫। কইতর, উজান গাঙ বাইয়া ইত্যাদি বাংলা ভাষার রূপ রয়েছে। ‘আমার মন কান্দেরে পদ্মার চরের লাইগা’, ‘হবিগঞ্জের জালালী কইতর’, ‘উজান গাঙ বাইয়া’—এসব বাংলাদেশের শ্রীহট্ট বা সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার রূপ। কান্দে=কাঁদে; লাইগা= জন্য ; কইতর= কবুতর ; গাঙ= নদী (গঙা) ; বাইয়া=বেয়ে।
প্রশ্ন ২৬। নীচের ‘ক’ এবং ‘খ’ ছবি দুটোর উপর কয়েকটা বাক্য লেখো।
উত্তরঃ (ক) ঢোল :- ছবিটি ‘বাংলা ঢোল-এর। তালের প্রধান যন্ত্র ঢোল। কাঠের তৈরি খোল। এর দুদিকে দুটি মুখ। বাম মুখে কড়া চামড়ার ছাউনি এবং
ডান মুখের ছাউনি অপেক্ষাকৃত নরম। সাধারণত বাঁহাতে ছোট- মোটা কাঠির সাহায্যে ঢোল বাজানো হয়। ঢোলের পৃষ্ঠদেশে দড়ির টানা দেওয়া থাকে এবং সুর বাঁধবার সুবিধার জন্য দড়ির সঙ্গে পিতলের কড়া লাগানো থাকে। ঢোলের সঙ্গে তাল রাখার জন্য কাঁসি ব্যবহৃত হয়। অধিকাংশ উৎসবেই ঢোল বাজে।
(খ) সানাই :- এই ছবিটি সানাই-এর। যন্ত্রটি দৈঘ্যে একহাত। এটি কাঠের তৈরি হলেও নীচের দিক (mouth piece) এর দিক পিতলের তৈরি। এর
মুখরন্দ্র উপরে। সেখানে দুটি ‘শর’ বা নলের পাত থাকে। বিবাহাদি অনুষ্ঠানে সানাই মাঙ্গলিক বাদ্যযন্ত্রের কাজ করে। বিভিন্ন প্রকার গানে ও অনুষ্ঠানে হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সানাই ব্যবহৃদ হয়। সানাই একটি পার্শী শব্দ। ‘শাহ’ অর্থৎ ‘ড়ড়’, ‘নাহ’ অর্থ বাশী। জোর আওয়াজ হয় যে বাঁশীর।
প্রশ্ন ২৭। নীচের ধাঁধাগুলোর সমাধান করো-
(ক) ক-কারাদি নাম তার, কা-কারে আকার,
পাঠার পা কাটিয়া ঠ-কারে আকার,
চা-না দিয়ে চাল টুকু ঢেলে দাও ভাই,
অংকটা ভাঙ্গো দেখি, মজা করে খাই।
——বলো তো বস্তুটা কী ?
উত্তরঃ কাঠাল।
(খ) হাসিতে দেখা যায়,
কান্নাতে লুকায় হায়!
একবার চলে গেলে
ফিরে আসে আবার,
এরপর চলে গেলে
দুঃখ হয় সবার।
উত্তরঃ কুমির।
(গ) কাঁধে আসে কাঁধে যায়
কেন সে এত মার খায় ?
উত্তরঃ ঢোলক।
(ঘ) মৎস্য নয় কুমির নয়, জলেতে ভাসে
হিরে নয় মানিক নয়, মণি আছে তাতে।
উত্তরঃ ঝিনুক।
ঘ-প্রকল্প
প্রশ্ন ২৮। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মতো অন্য যারা সংহতির গান গেয়েছেন তাঁদের নাম ও পরিচয়সহ একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ নিজে নিজে করো। যেমন– বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা, প্রতিমা বরুয়া পাণ্ডে, ভূপেন হাজারিকা প্রমুখ।
প্রশ্ন ২৯। কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের জীবনী সংগ্ৰহ করে লেখো ও শ্রেণীতে পাঠ করে শোনাও।
উত্তরঃ নিজে নিজে করো।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.