Hello Viewers Today’s We are going to Share SEBA Class 6 Bengali Chapter 9 অমল ও দইওয়ালা Textbook Question Answer. Are you a Student of SEBA (Secondary Education Board of Assam). Class 6 Bengali Chapter 9 অমল ও দইওয়ালা Which you Can Download PDF Class 6 Bengali Chapter 9 অমল ও দইওয়ালা for free using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 6 Bengali Chapter 9 অমল ও দইওয়ালা
Today’s We have Shared in This Post, Class 6 Bengali Textbook Question Answer Chapter 9 অমল ও দইওয়ালা for Free with you. Class vi Bengali Question Answer I Hope, you Liked The information About The Class 6th Ankuran Solutions. if you liked SEBA Solutions for Class Six Bengali Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
অমল ও দইওয়ালা
ক-পাঠভিক্তিক ক্রিয়াকলাপ
প্রশ্ন ১। শ্রেণিতে দুজন করে দলে বিভক্ত হয়ে পাঠের নাট্যাংশটি অভিনয় করো।
উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য শ্রেণিতে চেষ্টা করো।
প্রশ্ন ২। পাঠটি ভালভাবে পড়ে অমল ও দইওআলার সংলাপ কাহিনি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ ছোট ছেলে অমল অসুস্থ, তাই কবিরাজ তাকে বাইরে যেতে বারণ করেছেন। সে ঘরে বন্দী, কল্পনায় অনেক জিনিস দেখতে পায়। অমল দইওআলাকে ডাক দেয় এবং তার সঙ্গে চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।দইওআলা প্রথমে বিরক্ত হলেও পরে কাঁধ থেকে বাঁক নামিয়ে তার সঙ্গে কথা শুরু করে জানতে পারে কবিরাজের নির্দেশে সে বাড়ি থেকে বেরোয় না এবং গৃহবন্দী। দইওআলা জানতে চায় অমলের কি হয়েছে। অমল নিরুত্তর থাকে কারণ সে জানে না তার কী হয়েছে। কথায় কথায় অমল জানতে পারে দইওআলা অনেক দূরের এক গ্ৰাম থেকে আসছে। সেই গ্ৰাম পাঁচমুড়ো পাহাড়ের তলায়।
শ্যামলী নদীর ধারে। অমল যেন দূরদৃষ্টি পায়, তার মনে হয় অনেক পুরোনোকালের বড়ো বড়ো গাছের তলায় একটি লালরঙের রাস্তার ধারে দইওআলার গ্ৰাম। সেই পাহাড়ি গ্ৰামে গোরু চরে বেড়ায়। লাল শাড়ি পরা মেয়েরা সব নদী থেকে জল তুলে মাথায় কলসী করে নিয়ে যায়। দইওআলা ভাবে অমল বোধহয় কোনোদিন তাদের গ্ৰামে বেড়াতে গিয়েছিল। অমল ‘না’ বলে মাথা নাড়ে এবং কবিরাজ যেদিন তাকে বাইরে যেতে বলবে সেদিন দইওআলা যেন নিয়ে যায় তাদের গ্ৰামে। দইওআলা মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। অমল অনুরোধ করে দইওআলা যেন তাকে দইওআলার মতো দই বেচতে শিখিয়ে দেয়; ঐরকম বাঁক কাঁধে নিয়ে— ঐরকম দূরের রাস্তা দিয়ে।দইওআলা তো অবাক্। সে লজ্জিত হয়ে বলে যে অমলের তো অনেক বই পড়ে পণ্ডিত হয়ে ওঠার কথা। অমল না বলে। সে বলে দইওআলার মত রাঙা রাস্তার ধারে তাদের বুড়োবটো তলায় গোয়ালপাড়া থেকে দই নিয়ে এসে দূরে দূরে গ্ৰামে গ্ৰামে বেচে বেচে বেড়াবে। যেমন করে দইওআলা বলে– “দই, দই,দই— ভালো দই” তেমনি করে অমলও তার দই হাঁকার সুরটা শিখতে চায়। দইওআলা কপাল চাপড়ে বলে যে তার হাঁক পাড়ার সুর আদৌ শেখবার সুর নয়। অমল বলে সে সুর মন উদাস করে দেয়। যেমন আকাশের খুব শেষ থেকে পাখির ডাক শুনলে হয় তেমনি রাস্তার মোড় থেকে গাছের সারির মধ্য দিয়ে দইওআলার ভেসে আসা ডাক তাকে উদাস করে দেয়। খুশী হয়ে দইওআলা এক ভাঁড় দই তাকে বিনে পয়সায় দিতে চায়। যে দইওআলা অমলের সঙ্গে পরিচয়ের প্রথমে তার বেলা বইয়ে দেবার জন্য তিরস্কার করেছিল সেই দইওআলাকেই বলতে হয় ‘দই বেচতে যে কত সুখ’ তা সে অমলের কাছ থেকে শিখে নিল।
SL.No. | সূচীপত্র |
পাঠ -১ | বলো বলো বলো সবে |
পাঠ -২ | তিন পণ্ডিত যুবক |
পাঠ -৩ | সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস |
পাঠ -৪ | হ্যালো বরাক |
পাঠ -৫ | কৃত্রিম উপগ্রহ |
পাঠ -৬ | বাংলা ভাষা ও সাহিত্য |
পাঠ -৭ | চলো যাই ভ্রমণে |
পাঠ -৮ | সবার আমি ছাত্র |
পাঠ -৯ | অমল ও দইওয়ালা |
পাঠ -১০ | অবিস্মরণীয়া দুই নারী |
পাঠ -১১ | ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ |
পাঠ -১২ | খাই খাই |
পাঠ -১৩ | প্রকৃতির খেয়াল |
পাঠ -১৪ | ঠাকুমাকে কীভাবে পড়তে শিখিয়েছি |
পাঠ -১৫ | ধামাইল |
পাঠ -১৬ | শব্দ- সম্ভার |
প্রশ্ন ৩। নীচের বাক্সে থেকে উপযুক্ত অর্থ খুঁজে শূন্যস্থানে বসাও।
গাছের সার | পাশাপাশি এক সারিতে অবস্থিত গাছ। |
দধির বাঁক | বিক্রি করব। |
কবিরাজ | ঘুরে বেড়াচ্ছে। |
চরে বেড়াচ্ছে | দইয়ের ভাঁড় বইবার জন্যে ব্যবহৃত দণ্ড বিশেষ। |
বেচে বেড়াব | আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। |
উত্তরঃ
গাছের সার | পাশাপাশি এক সারিতে অবস্থিত গাছ। |
দধির বাঁক | দইয়ের ভাড় বইবার জন্যে ব্যবহত দণ্ড বিশেষ। |
কবিরাজ | আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। |
চরে বেড়াচ্ছে | ঘুরে বেড়াচ্ছে। |
বেচে বেড়াব | বিক্রি করব। |
প্রশ্ন ৪। উত্তর দাও:
(ক) অমল কেন সারাদিন বন্দী থাকত ?
উত্তরঃ অমল অসুস্থ ছিল বলে সারাদিন বন্দী থাকত।
(খ) দইওআলা বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ দইওআলা বলতে যে দই বিক্রি করে তাকে বোঝায়।
(গ) নাটকের দইওআলা কোথায় থাকে ?
উত্তরঃ নাটকের দইওআলা থাকে পাঁচমুড়ো পাহাড়ের তলায়, শ্যামলী নদীর ধারে।
(ঘ) দইওআলা অমলকে কী খেতে দিয়েছিল ?
উত্তরঃ দইওআলা অমলকে এক ভাঁড় দই খেতে দিয়েছিল।
প্রশ্ন ৫। নীচের যে বাক্যগুলো পাঠটিতে আছে সেই বাক্যের পাশে ‘✔’ চিহ্ন দাও।
(ক) আমি তো কিছু পড়িনি, তাই আমি জানিনে আমার কী হয়েছে।
(খ) সেখানে পাহাড়ের গায়ে সব মোষ চরে বেড়াচ্ছে।
(গ) পাহাড়ের ওপরে কোনোদিন গিয়েছিলে নাকি ?
(ঘ) দই বেচতে যে কত সুখ সে তোমার কাছে শিখে নিলুম।
উত্তরঃ (ক) আমি তো কিছু পাড়িনি, তাই আমি জানিনে আমার কী হয়েছে।✔
(খ) সেখানে পাহাড়ের গায়ে সব মোষ চরে বেড়াচ্ছে। X
(গ) পাহাড়ের ওপরে কোনোদিন গিয়েছিলে নাকি।X
(ঘ) দই বেচতে যে কত সুখ সে তোমার কাছে শিখে নিলুম।✔
প্রশ্ন ৬। উত্তর লেখ –
(ক) “আমাকে সুরটা শিখিয়ে দাও”– কে কাকে একথা বলেছে ? এখানে কী সুরের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ অমল দইওআলাকে সুরটা শিখিয়ে দেবার কথা বলেছে। এখানে দইওআলার ‘দই, দই, দই— ভালো দই’ এই সুরের কথা বলা হয়েছে।
(খ) “না, না, আমি কক্ খনো পণ্ডিত হব না।” –এখানে ‘আমি’ কে ? সে পণ্ডিত হতে চায় না কেন ? সে কী হতে চায় ও কেন ?
উত্তরঃ এখানে ‘আমি’ হচ্ছে অমল। পণ্ডিত হবার মধ্যে কোনো স্বাধীনতা নেই তাই সে পণ্ডিত হতে চায় না। সে দইওআলা হতে চায়, কারণ দইওআলার কাজে মুক্তি ও আনন্দ আছে।
প্রশ্ন ৭। গ্ৰন্থাগার থেকে ‘ডাকঘর’ নাটকটি সংগ্ৰহ করো। এই নাটকটিতে অমল ও ফুলওআলির যে চরিত্র দুটি আছে, তা তোমরা অভিনয় করো।
— চরিত্র দুটি অভিনয় করার জন্য কী কী সাজসজ্জার প্রয়োজন হবে ভেবে লেখো।
___ ___ ___
___ ___ ___
উত্তরঃ দইয়ের ভাঁড় ও বাঁক ফুল/ ফুলের ডালি।
ধুতি ও হাফসার্ট শাড়ি ব্লাউজ।
হাঁড়ি বসাবার বিঁড়ে মাথার খোঁপা বাঁধার কাঁটা।
খ-ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
প্রশ্ন ৮। এই পাঠে তোমরা ‘পোড়াকপাল’ শব্দটি পেয়েছ। এবার শিক্ষক/ শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য ‘কপাল’ শব্দের বিশিষ্ট ব্যবহার সম্বন্ধে জেনে বাক্য
রচনা কর।
কপালের লেখা _____
কপাল ভাঙা _______
কপাল পোড়া _______
কপাল ফেরা _______
কপালের ফের ______
উত্তরঃ কপালের লেখা :- কপালের লেখা কে খণ্ডাতে পারে ?
কপাল ভাঙা :- যেদিন থেকে রমেশ নেশা শুরু করেছে সেদিন থেকেই সংসারের কপাল ভেঙেছে।
কপাল পোড়া :- একান্তই কপাল পোড়া না হলে কেউ ছোটবেলায় মা বাবাকে হারায়!
কপাল ফেরা :- লটারির টিকিট পেয়ে তার কপাল ফিরে গেল।
কপালের ফের :- কপালের ফের আজ আমার এই দূরবস্থা।
প্রশ্ন ৯। ‘বড়ো বড়ো’ এখানে একই শব্দ দুবার ব্যবহার হয়েছে। একই শব্দ দুবার বলাতে ‘বহু’ বা ‘অনেক’ ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে।
এবার তোমরা দুবার ব্যবহার করা হয় , এমন পাঁচটি শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করো।যেমন—ছোট ছোট ফুল।
(ক)__________
(খ)__________
(গ)__________
(ঘ)__________
(ঙ)__________
উত্তরঃ (ক) ঝাঁক ঝাঁক সাদা পায়রা আকাশে উড়ছে।
(খ) দলে দলে মানুষজন সভার দিকে চলেছে।
(গ) পালে পালে গরু মোষ মাঠে চরছে।
(ঘ) ডেকে ডেকে তোমরা ঘুম ভাঙানো যায়নি।
(ঙ) বর্ষাকালে নদীর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শুনতে ভালো লাগে।
■ বিশেষ প্রয়োজনে একই সঙ্গে একই শব্দের দুবার প্রয়োগকে ব্যাকরণে শব্দদ্বৈত বলে।
প্রশ্ন ১০। নতুন শব্দ গঠন করো।
কবিদেবরসমহা | রাজ |
সারারাতপ্রতিকোনো | দিন |
উত্তরঃ
কবিরাজ | সারাদিন |
দেবরাজ | রাতদিন |
রসরাজ | প্রতিদিন |
মহারাজ | কোনোদিন |
প্রশ্ন ১১। দুজনে আলোচনা করে লেখো।
যে দই বিক্রি করে_____
যে সব্জি বিক্রি করে____
যে ফেরি করে_____
উত্তরঃ যে দই বিক্রি করে– দইওআলা
যে সব্জি বিক্রি করে– সব্জিওআলা
যে ফেরি করে– ফেরিওআলা
প্রশ্ন ১২। যেসব বাক্য ‘হ্যাঁ’ বোঝায় সেগুলি অস্ত্যর্থক বা নিশ্চয়াত্মক বাক্য বলে। ‘না’ বোঝালে হয় নাস্ত্যর্থক বা নিষেধাত্মক বাক্য আর ‘প্রশ্ন’ বোঝালে হয় প্রশ্নবোধক বাক্য।
পাঠে আছে—
(১) ‘যাব বৈকি বাবা, খুব নিয়ে যাব’। অস্ত্যর্থক বাক্য।
(২) ‘না,না, আমি কক্ খনো পণ্ডিত হব না’। এটি নাস্ত্যর্থক বাক্য।
(৩) ‘ডাকছ কেন ? দই নেবে ?’ এটি প্রশ্নবোধক বাক্য।
এবার পাঠ থেকে দুটো করে একধরনের বাক্য বেছে নিয়ে সাজাও।
(১) ‘আহা, বাছা তোমার কী হয়েছে ?’— প্রশ্নবোধক বাক্য।
‘তুমি কোথায় থেকে আসছ ?’ — প্রশ্নবোধক বাক্য।
(২) ‘কবে সে আমার মনে পড়ে না।’— নাস্ত্যর্থক বাক্য
‘না, কোনোদিন যাইনি।’— নাস্ত্যর্থক বাক্য।
(৩) আমি সারাদিন এখানেই বসে থাকি।— অস্ত্যর্থক বাক্য।
সেখানে পাহাড়ের গায়ে সব গরু চরে বেড়াচ্ছে।– অস্ত্যর্থক বাক্য।
গ-জ্ঞান সম্প্রসারণ
প্রশ্ন ১৩। বন্দি জীবন কার ভালো লাগে? সবাই চায় মুক্তির আনন্দ, স্বাধীনতার সুখ। তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন—-
হারে রে রে রে রে আমায় ছেড়ে দেরে, দেরে,
যেমন ছাড়া বনের পাখি মনের আনন্দেরে।।
তোমরা শ্রেণিকক্ষে দলীয়ভাবে নৃত্যের ভঙ্গিমা সহ গানটি গেয়ে শোনাও।
উত্তরঃ দলগতভাবে চেষ্টা করো।
প্রশ্ন ১৪। একটি গল্প শোনাও, গল্পটিতে সত্যিকারের স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়, এক পণ্ডিত মশাই তাঁর ছাত্র- ছাত্রীদের তা উদাহরণের সাহায্য বুঝিয়েছেন।
উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তক দেখে নিজেরা গল্পটি পড়ো।
প্রশ্ন ১৫। নীচে কয়েকটি চরিত্র দেওয়া হল, সেই চরিত্রগুলো দিয়ে একটি নাট্যরূপ তৈরী করো।
মেয়ে, তার মা, মেয়েটির ভাই, ফুলের বাগান,
প্রজাপতি, মেয়েটির বান্ধবী, মৌমাছির দল।
উত্তরঃ শিক্ষক/ শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দলগতভাবে শ্রেণিতে চেষ্টা করো।
প্রশ্ন ১৬ তোমরা পাঠত নাট্যাংশটির মতো আরও কয়েকটি এধরনের নাটক সংগ্ৰহ করে শ্রেণিকক্ষে এক একজন পাঠ করে শোনাও। বিভিন্ন পত্র- পত্রিকা, দরদর্শন, বেতার ইত্যাদি মাধ্যম থেকেও নাটক সংগ্ৰহ করতে পারো।)
উত্তরঃ নিজেরা করো।
প্রশ্ন ১৭। একজন শিক্ষক ও চারজন ছাত্র- ছাত্রী সেজে তোমার শ্রেণিকক্ষের একটি পাঠদান দৃশ্যের নাট্যরূপ তৈরী করো এবং অভিনয় করো।
উত্তরঃ নিজেরা করো।
ঘ-প্রকল্প
প্রশ্ন ১৮। চিত্রটি দেখে সবাই একটি অনুচ্ছেদ লিখবে শ্রেণিতে পাঠ করে শোনাবে।
উত্তরঃ বন্দিজীবন চরম দুঃখের জীবন। পাশের ছবিতে খাঁচায় বন্দী পাখি সেই চরম দুঃখ লাভ করছে। খাঁচায় ছোট্ট পরিধিতে ডানামেলা যায় না, ইচ্ছেমতো খাদ্যসংগ্ৰহ করা যায় না, বন্ধুদের মুখ দেখা যায় না, নীল আকাশের
বিরাট ব্যাপ্তিতে গা ভাসানো যায় না। এখানে শুধু লোহার পাঁজরে লোহার খাঁচায় দারুন মর্মব্যথা। এখানে বন্ধ খাঁচায় আঁধারে মুক্তির আকুলতা।
কাঁকন খাঁচার পাখির দুঃখের কথা বুঝতে পেরেছিল; কেননা রোগশয্যায় বাড়ি থেকে বেরোতে না পেরে, বান্ধবীদের সঙ্গে খেলতে না পেরে, ইস্কুলে
যেতে না পেরে বড়ই দুঃখে কাল কেটেছিল তার। কাঁকনই হাট থেকে পাখিটাকে কিনে এনেছিল পোষার জন্য। আর সেই কাঁকনই পাখির জায়গায় নিজেকে রেখে তার মর্মযন্ত্রনা উপলব্ধি করে খাঁচার দরজা খুলে পাখিটিকে মুক্তি দিল।
এবার কাঁকন তার ভাইকে সব বলল। ভাই-ও কাঁকনের কাজে সম্মতি জানাল। কেননা স্কুলে সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা ভেঙে দুগ্গোপুজোর সময়
বাড়িতে রোগশয্যায় থাকতে হয়েছিল তাকে গতবছর। দুগ্গা ঠাকুরের মুখ দেখেনি। পুজোর জন্য কেনা নতুন জামাকাপড় পরতে পারেনি, বাড়ির লোকেদের হাত ধরে প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে ঘুরে বেড়াতে পারেনি। সে যে কী মর্মযন্ত্রনা! সুতরাং দিদির সঙ্গে বন্দীমুক্তির আনন্দে সেও মেতে উঠল।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.