SEBA Class 6 Bengali Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share SEBA Class 6 Bengali Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী Textbook Question Answer. Are you a Student of SEBA (Secondary Education Board of Assam). Class 6 Bengali Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী Which you Can Download PDF Class 6 Bengali Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী for free using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 6 Bengali Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী

Today’s We have Shared in This Post, Class 6 Bengali Textbook Question Answer Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী for Free with you. Class vi Bengali Question Answer I Hope, you Liked The information About The Class 6th Ankuran Solutions in Bengali. if you liked SEBA Solutions for Class Six Bengali Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অবিস্মরণীয়া দুই নারী

ক-পাঠভিক্তিক ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। শ্রেণির সবাই পাঠটি মনে মনে পড়ে বুঝার চেষ্টা করো।

উত্তরঃ নিজেরা করো।

প্রশ্ন ২। এক কথায় উত্তর দাও।

(ক) ভগিনী নিবেদিতার আগের নাম কী ?

উত্তরঃ ভগিনী নিবেদিতার আগের নাম ছিল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল।

(খ) কখন থেকে তিনি ভগিনী নিবেদিতা নামে বিখ্যাত হলেন ?

উত্তরঃ বিবেকানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা নেবার পর বিবেকানন্দ নাম রেখেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা।

(গ) কে নিবেদিতাকে ‘লোকমাতা’ বলেছিলেন ?

উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘লোকমাতা’ বলেছিলেন।

(ঘ) হেলেন কেলারের বাবা ও মার নাম কী ?

উত্তরঃ হেলেন কেলারের বাবার নাম ডঃ গ্ৰেহাম ও মার নাম সুনিভিন।

(ঙ) হেলেন কেলারের শিক্ষয়িত্রীর নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ হেলেন কেলারের শিক্ষয়িত্রীর নাম এনি সুলেভান।

প্রশ্ন ৩। এসো, নীচের শব্দগুলোর অর্থ শব্দসম্ভার থেকে জেনে নিই।

শুশ্রূষা—- বাগ্মী—–   অক্লান্ত—-
কম্পমান—–শ্রবণশক্তি—- দৃষ্টিশক্তি—–

উত্তরঃ 

শুশ্রূষাসেবা, পরিচর্যা।বাগ্মীবাক্ পটু , সুবক্তা।
অক্লান্তক্লান্তিহীন।কম্পমানকাঁপিতেছে এমন।
শ্রবণশক্তিশোনার শক্তি।দৃষ্টিশক্তিদেখার শক্তি।

প্রশ্ন ৪। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) ____ সান্নিধ্য লাভের পর তিনি ভারতে আসার অনুপ্রেরণা পান।

(খ) স্বামীজির নির্দেশে ____ কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান করেন।

(গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক মধ‍্যবিত্ত পরিবারে ____জন্ম।

উত্তরঃ (ক) বিবেকানন্দের সান্নিধ্য লাভের পর তিনি ভারতে আসার অনুপ্রেরণা পান।

(খ) স্বামীজির নির্দেশে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

(গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক মধ‍্যবিত্ত পরিবারে হেলেন কেলারের জন্ম।

প্রশ্ন ৫। এঅ কথায় প্রকাশ করো। উদাহরণ– যিনি বক্তৃতা করেন—- বাগ্মী,

যিনি চিকিৎসা করেন—–

যিনি সমাজ সেবা করেন—–

যিনি শিক্ষা দান করেন——

যিনি শিল্প চর্চা করেন—–

উত্তরঃ যিনি চিকিৎসা করেন—-চিকিৎসক

যিনি সমাজ সেবা করেন— সমাজসেবী

যিনি শিক্ষা দান করেন— শিক্ষক

যিনি শিল্প চর্চা করেন— শিল্পী

SL.No.সূচীপত্র
পাঠ -১বলো বলো বলো সবে
পাঠ -২তিন পণ্ডিত যুবক
পাঠ -৩সংহতির সাধক হেমাঙ্গ বিশ্বাস
পাঠ -৪হ্যালো বরাক
পাঠ -৫কৃত্রিম উপগ্রহ
পাঠ -৬বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
পাঠ -৭চলো যাই ভ্রমণে
পাঠ -৮সবার আমি ছাত্র
পাঠ -৯অমল ও দইওয়ালা
পাঠ -১০অবিস্মরণীয়া দুই নারী
পাঠ -১১ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’
পাঠ -১২খাই খাই
পাঠ -১৩প্রকৃতির খেয়াল
পাঠ -১৪ ঠাকুমাকে কীভাবে পড়তে শিখিয়েছি
পাঠ -১৫ধামাইল
পাঠ -১৬শব্দ- সম্ভার

প্রশ্ন ৬। এসো জেনে নিই।

স্বামী বিবেকানন্দ :- ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারীতে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম হয়। ভারতীয় ধর্ম- দর্শনের প্রচারক ছিলেন তিনি। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্মসম্মেলনে ভাষণ দেন। তখন থেকে ভারতবর্ষের ধর্ম সাধনা সম্পর্কে পাশ্চাত্য জগতে এক নতুন ধারণার সূচনা হয়।বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন এবং মঠের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীকালে হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে দেশ- বিদেশে বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ভারতীয় নারীদের শিক্ষার জন‍্যে তিনি ভগিনী নিবেদিতাকে ভারতবর্ষের নিয়ে আসেন। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন।

আলেকজেণ্ডার গ্ৰাহাম বেল :- (মার্চ ৩,১৮৪৭–  আগস্ট ২, ১৯২২) টেলিফোন যন্ত্রের আবিষ্কারক বেল একজন খ‍্যাতনামা বৈজ্ঞানিক ছিলেন। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি মেটাল ডিটেক্টর তৈরি করেছিলেন।

প্রশ্ন ৭। দলে ভাগ হয়ে উদাহরণ অনুযায়ী চক্র থেকে শব্দ চয়ন করে বাক‍্য তৈরি করো ও লেখো।

যেমন—-সেবা মানুষের ধর্ম।

(ক) ____ (খ)____(গ)____(ঘ)____(ঙ)____(ঙ)_____

উত্তরঃ (ক) সেবা মানবের শ্রেষ্ঠ গুণ।

(খ) সেবা পরম আনন্দ দেয়।

(গ) সেবা আমাদের মূল মন্ত্র।

(ঘ) সেবা মানুষেকে সুখী করে।

(ঙ) সেবা মানুষেকে দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।

(চ) সেবা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

প্রশ্ন ৮। বাক‍্যরচনা করো।

সংকটজনক :_______

চিকিৎসা :________

করুণাময়ী :________

কম্পমান :_________

অনুপ্রেরণা :________

উত্তরঃ সংকটজনক :- রোগীটির অবস্থা সংকটজনক।

চিকিৎসা :- এতো ডাক্তার করো না, চিকিৎসা বিভ্রাট হবে।

করুণাময়ী :- করুণাময়ী জগজ্জননীর কৃপায় আমরা সুখে আছি।

কম্পমান :- শ্রী হনুমানজীর বীরত্বের সামানে রাক্ষসেরা ভয়ে কম্পমান হয়ে পড়ল।

অনুপ্রেরণা :- মহাপুরুষদের জীবনী আমাদের বড়ো হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা দেয়।

খ-ভাষা অধ্যন ( ব্যবহারিক ব্যাকরণ )

প্রশ্ন ৮ এই পাঠটির কয়েকটি বাক‍্য লক্ষ্য করো।

(ক) ওর (শিশুটির) চিকিৎসা শুশ্রূষা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ডাক্তারবাবুর অপেক্ষায় ছিলেন মহিলাটি।

(খ) রোগীর অবস্থা সংকটজনক। তাই ডাক্তারবাবু সাবধানে থাকার পরামর্শ দিলেন।

(গ) ধর্মচর্চা বা ধর্মানুরাগের মধ‍্যেই তাঁর কর্ম সীমাবদ্ধ ছিল না।

(ঘ) শিক্ষার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্ৰহ  ছিল।

বাক‍্যগুলোতে ও, তাই, বা , প্রতি— এমন কতগুলো অর্থবোধক অক্ষর বা শব্দ ব‍্যবহার করা হয়েছে। এইসব অক্ষর বা শব্দের পরিবর্তন হয় না। তাই এরা অব‍্যয় পদ।

গ-জ্ঞান সম্প্রসারণ

প্রশ্ন ৯। দুর্দশাগ্রস্ত এবং পীড়িত মানুষদের সেবাব্রতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন এমন কয়েকজন মহিয়সী নারীর নাম বলো ও এঁদের একজনের বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ করুণাময়ী মাদার টেরিজা :- অল্প বয়স থেকেই মাদার টেরিজার মধ‍্যে খ্রিস্টধর্মীয় ভাবনার সঞ্চার হয়। তাই করুণাময়ী ঈশ্বরের আশীর্বাদকে মাথায় নিয়ে নিজেকে মানবসেবার কাজে  উৎসর্গ করেন। পিতা-মাতাহারা শিশু পঙ্গু, অসহায়, অবহেলিত সকল প্রকার মানুষের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠলেন। এই সমস্ত অসহায়, অবহেলিতদের জন‍্য গড়ে তুললেন বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র। তাদের জন্য ১৯৫০ সালে গড়ে তোলেন ‘মিশনারিজ অফ চ‍্যারিটি’, ১৯৫২ সালে গড়ে তোলেন ‘নির্মল হ্দয়’ নামে একটি ভবন। শুধু কলকাতা নয়, ভারতের সর্বত্রই রয়েছে মায়ের সেবাধাম। মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেবার জন্য পরিচালিত হচ্ছে ৬০টি স্কুল মায়ের নেতৃত্বে। এছাড়া ২১৩টি দাতব্য চিকিৎসালয় ও ৫৪টি কুষ্ঠাশ্রম মানুষের সেবা করে চলেছে। সেবাকর্মের জন্য ১৯৭৯ সালে পান ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কার।

মাদার ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাত্রি ৯টা নাগাদ ৮৭ বছর বয়সে ‘মিশনারিজ অব্ চ‍্যারিটিজ’ আবাসে ইহলোক ত‍্যাগ করেন। কিন্তু তাঁর আদর্শ চিরকাল বেঁচে থাকবে। তিনি বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

প্রশ্ন ১০। জেনে নাও:

( ক ) অসমের আরও একজন শিক্ষাব্রতী নারীর কথা ইন্দিরা মিরি ( ১৯১০-২০০৪ ) :- অসমে সমাজসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়াত ইন্দিরা মিরি এক উজ্জ্বল নাম । ইন্দিরা মিরির জন্ম গুয়াহাটি শহরে । তাঁর বাবা ছিলেন মহীধর সেনাপতি , মা দিব্যকান্তি দাস । কলকাতার ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয় ও স্কটিশচার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন । বি.এ পাশ করার পর বি.টি ডিগ্রি নেন শিলঙের সেন্ট মেরিজ কলেজ থেকে । স্বামী মহীচন্দ্র মিরির অকালমৃত্যুতে তাঁকে নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয় । ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যাণ্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এড্ ডিগ্রি লাভ করেন । শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় । এরপর ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে নেফা অর্থাৎ বর্তমান অরুণাচল প্রদেশের শিক্ষাধিকারিক নিযুক্ত হন । 

তিনি অরুণাচলের দুর্গম অনুন্নত অঞ্চলে বিদ্যালয় ‘ প্রতিষ্ঠা করে জনজাতীয়দের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন । সাধারণ , অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষের জন্যে ছিল তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা।নেফার অরণ্যবাসীদের জন্যেও ছিল অপার মমতা । ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের প্রবল ভূমিকম্পে যেসব পাহাড়ি ছেলেমেয়ে গৃহহীন ও পিতৃ – মাতৃহীন হয়েছিল , তাদের জন্যে অনাথ শিশুসদন খুলে আশ্রয় ও দেখাশোনার ব্যবস্থা করেন । প্রশাসন , শিক্ষাবিস্তার ও সামাজিক অবদানের জন্যে তিনি শংকরদেব পুরস্কার ও পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছিলেন।২০০৪ খ্রিস্টাব্দে গুয়াহাটিতে তাঁর জীবনাবসান হয় ।

( খ ) ভগিনী নিবেদিতাকে আশীর্বাদ করে লেখা স্বামী বিবেকানন্দের মূল ইংরেজি কবিতা Benediction- এর বাংলা ভাষান্তর নীচে দেওয়া হল । পড়ো ও আলোচনা করো । 

মায়ের মমতা আর বীরের হৃদয় 

দখিনের সমীরণে যে মাধুরী বয় , 

বীর্যময় পুণ্যকান্তি যে অনল জ্বলে 

অবন্ধন শিখা মেলি আর্য – বেদীতলে 

এসব তোমারি হোক , আরও ইহা ছাড়া 

অতীতের কল্পনায় ভাসে নাই যারা । 

ভারতের ভবিষ্যৎ সন্তানের তরে 

সেবিকা , বান্ধবী , গুরু – তুমি একাধারে ৷ 

ভাষান্তর :- নারায়ণী দেবী 

উত্তরঃ নিজেরা করো ।

প্রশ্ন ১১। পাশের ছবিটি দেখো : এর নাম কী ? এর ভিতর কী কী জিনিস রাখা হয় তার একটি তালিকা তৈরি করো। এই ধরনের একটি বাক্স তৈরি করে তালিকা অনুযায়ী এর ভিতরে জিনিসগুলো সাজিয়ে শ্রেণিতে রাখো এবং প্রয়োজনে ব‍্যবহার করো।

উত্তরঃ এর নাম ফাস্ট-এড বক্স। এর ভেতরে রাখা হয় তুলো, গজ, কাঁচি, ডেটল, বেটাডাইন, বার্ণল, টুর্ণিকেট, ব‍্যান্ড-এড, মারকিউরকম ৪% ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১২। তোমরা এই পাঠে বাধাগ্রস্ত একজন মহিলার কথা পেয়েছ । তেমনি আরও অনেক বাধাগ্রস্ত ব্যক্তি আছেন , যাঁরা নানাদিক থেকে এগিয়ে আছেন । তেমন কয়েকজন ব্যক্তির নাম তোমরা জোগাড় করে শ্রেণিতে বলবে । ( কাজটি তোমরা দুটি দলে ভাগ হয়েও করতে পারো )। সেবামূলক কাজ যা তোমরা সহজেই করতে পারো । 

উত্তরঃ তোমার স্কুল বা বাড়ির আশে পাশে কোনো গরিব পরিবারের শিশু কিশোররা কি স্কুলে লেখাপড়া করে ? এ বিষয়ে খোঁজ নাও । নিরক্ষর শিশু কিশোরদের লেখা – পড়ায় তোমরা নিজেরাও সাহায্য করতে পারো। ক্লাশের সবাই মিলে টিফিন ও হাত – খরচের পয়সা বাঁচিয়ে অন্তত চার – পাঁচটি ছেলে । মেয়েকে বই , খাতা , পেন্‌সিল কিনে দিতে পার , তাদের অক্ষর চেনাতে সাহায্য করতে পারো । শীতের দিনে গরম কাপড় দিয়েও সেবার কাজে অংশ নেওয়া যায়। সবসময় শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয়ের ভিতরের ও আশপাশটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটাও একধরনের সেবা। আর এটা অবশ্যকর্তব্য ।

প্রশ্ন ১৩। ‘যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে’এবার বলো কী দান করলে তোমার ধন বেড়ে উঠবে! ধরতে পারলে না তো?  সেটি হ’ল বিদ‍্যা। অন‍্যকে শেখালে নিজেরও অনেক শেখা হয়। তাতে বিদ‍্যা বেড়ে যায়।

‘তোমার জীবনের এমন কোনো ঘটনা লেখো যখন তোমার সবচেয়ে প্ৰিয় জিনিস কাউকে দান করেছিলে, সেটা দান করে তোমার কেমন আনন্দ হয়েছিল ? এ বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো—- ‘আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।’

উত্তরঃ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।সেদিন মা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে নিতে বললো। শীতের সকাল। বাড়ি থেকে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে যাবে। ডিসেম্বরের কড়া শীতে মা আমাকে নিউমার্কেট থেকে কিনে নেওয়া জ‍্যাকেটটা পরে নিতে বললেন। চিড়িয়াখানায় পৌঁছে সারাদিন ঘুরে বিকেল বেলায় বেরোচ্ছি গাড়ির দিকে পা বাড়িয়েছিল হঠাৎ দেখলাম শীতে ঠক্ ঠক্ করে কাঁপছে ফুটপাতে ছেঁড়া সতরঞ্চি বিছিয়ে কোলে ছোট্ট একটি বাচ্চা নিয়ে এক ভিখারিণী। কোলের বাচ্চাটা মায়ের কোলে শুয়েও ঠক্ ঠক্ করে কাঁপছে আর মা ছেঁড়া শাড়িটি দিয়ে শিশুর শীত নিবারণের বৃথা চেষ্টা করছে।আমি থমকে দাঁড়ালাম। নিজেকে অপরাধী মনে হল। একটা বড়ো ছেলে হয়ে গরম জামা গায়ের দিয়েছি আর ঐ কোলের শিশু শীতে কাঁপছে ! সঙ্গে সঙ্গে গায়ের জ‍্যাকেটটা খুলে মায়ের গায়ে পরিয়ে দিলাম। ভিখারিণী কোলের শিশুটিকে জ‍্যাকেটের অন্তরালে লুকিয়ে ফেলল। মা পিঠ চাপড়ে বললেন ঠিক করেছিস বেশ করেছিস। আনন্দে দুচোখ বেয়ে আমার জল নেমে এলো। এযাবৎ জীবনে ওই দিনটিই আমার সবচেয়ে আনন্দের দিন।

প্রশ্ন ১৪। এসো সবাই মিলে কবি রজনীকান্ত সেনের ‘ সার্থকতা ’ কবিতাটি আবৃত্তি করি । 

উত্তরঃ পাঠ্যবই দেখে নিজেরা আবৃত্তি করো । 

ছাত্র – ছাত্রীরা কবিতাটির মূলভাব দুজনের দল করে আলোচনা করবে এবং প্রত্যেকে আলাদা ভাবে নিজের খাতায় লিখবে ।

প্রশ্ন ১৫। ভগিনী নিবেদিতার পাঠটি পড়ে আম‍রা একটি নীতি শিক্ষা লাভ করি— সেটি হল ‘পরের জন‍্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা’। 

পরের মঙ্গলের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন— এমন কোনো মহৎ লোকের সম্বন্ধে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো (তোমাদের পুরানো পঞ্চম শ্রেণির পাঠ‍্য বইয়ের সাহায্য নিতে পার)। 

উত্তরঃ পরের মঙ্গলের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এমন একজন মহৎ লোক ছিলেন হাজী মহম্মদ মহসীন। ১৭৩২ সালে তিনি হুগলী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সমাজের সর্বশ্রেণির মানুষের জন্য তাঁর দয়ার দুয়ার সর্বদা খোলা থাকত।

মানুষের প্রতি তাঁর দয়া দক্ষিণ‍্যের প্রচুর উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ছোট্ট একটি ঘটনা বলছি— হাজী মহম্মদ বাড়ির পাশেই একবার একটা চোর ধরা পড়েছিল। হাজী মহম্মদ সেই চোরকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি চুরি করতে এসেছো কেন ? চোরটি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো, “আমরা খুব গরীব বাবু, আমার ছেলে মেয়েরা আজ কয়েকদিন না খেয়ে রয়েছে— তাই অভাবে তাড়নায় চুরি করতে এসেছি।” মহসীন চোরটিকে বললেন— “কোনোদিন আর চুরি কোরো না। প্রয়োজন হলেই আমার কাছে আসবে।” সেই থেকে হাজী মহম্মদ মহসীন তার সব দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন। চোরটিও আর অসৎপথে রইলো না। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে তিনি আমাদের চিরকালের মতো ছেড়ে চলে গেছেন। রেখে গিয়েছেন মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার অজস্র নিদর্শন।

প্রশ্ন ১৬। ভাবটি বুজিয়ে লেখো।

জীবে প্রেম করে যেইজন,

সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।

উত্তরঃ নরের মধ‍্যেই জনার্দন। অতএব জীবজগৎকে ভালোবাসলে ভগবানকে ভালোবাসা হয়, জীবের সেবার মধ‍্য দিয়েই শিবের পূজা সার্থক হয়। মানুষের ভালোবাসার তিনি যে রিজভিখারী। “হৃদয়ে হৃদয়ে তবু ভিক্ষা মাগি ফির প্রভু সবার সর্বস্ব ধন চাহি।” –সর্বহৃদয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ ধন যে ভালোবাসা, সেই ভালোবাসা পাবার জন্য তিনি যে বিচিত্র বেশে আমাদের চারিদিকে ঘুরছেন– কখনও অন্ধ আতুর, কখনও দীন-দুঃখী, কখনও বা মুটেমজুর। আমরা যে চিনতে জানি না, চিনতে চাইও না। তাই, সেই চিরঅধরাকে ধরতেও পারি না। কিন্তু উদার দৃষ্টিতে একবার যদি সর্বজীবের মধ‍্যে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি, নিজের সবকিছুর বিনিময়ে ব‍্যথাতুরের বেদনা দূর করতে পারি, তখনই আমাদের জীবন সার্থক হবে।

প্রশ্ন ১৭। তোমরা কয়েকজন মিলে বাধাগ্রস্তদের কী ভাবে সাহায্য করা যায়, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ নিজেরা দলগতভাবে তালিকা প্রস্তুত করো।

প্রশ্ন ১৮। জেনে নাও  :

১২ জানুয়ারী —–
২১ ফেব্রুয়ারী——
৮ মার্চ ——-
৭ এপ্রিল ——
৮ সেপ্টেম্বর——-
৩ ডিসেম্বর——-

উত্তরঃ 

১২ জানুয়ারীযুব দিবস
২১ ফেব্রুয়ারীআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
৮ মার্চআন্তর্জাতিক নারী দিবস
৭ এপ্রিলবিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
৮ সেপ্টেম্বরবিশ্ব সাক্ষরতা দিবস
৩ ডিসেম্বরবিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস

প্রশ্ন ১৯।কালীপ্রসন্ন ঘোষের ‘পারিব না’ কবিতাটি আবৃত্তি করো ও তার মূল ভাব আলোচনা করে লেখো।

‘পারিব না’ একথাটি বলিও না আর,

কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার,

পাঁচজনে পারে যাহা

তুমিও পারিবে তাহা,

পার কি না পার, কর যতন আবার;

একবার না পারিলে দেখ শতবার।

উত্তরঃ কালীপ্রসন্ন ঘোষের লেখা ‘পারিব না’ কবিতাটিতে সমস্ত ধরনের কাজে উৎসাহিত করেছেন কবি। কথায় আছে, কোনো না বলতে নেই। আর পাঁচজন যা করতে পারে তা আমরাও করতে পারবো। একবার না পারলে বারবার চেষ্টা করলে ঠিক পারা যাবে। এই আস্থা যেন আমাদের থাকে, এই আত্মবিশ্বাস আমাদের থাকে।

ঘ-প্রকল্প

প্রশ্ন ২০। তোমার শ্রেণিকক্ষটি পরিষ্কার রাখার জন্য কী কী ব‍্যবস্থা অবলম্বন করবে ? এর একটি সাপ্তাহিক পরিকল্পনা তৈরি করে টানিয়ে রাখো।

উত্তরঃ শিক্ষক/ শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য চেষ্টা করো।

1 thought on “SEBA Class 6 Bengali Chapter 10 অবিস্মরণীয়া দুই নারী”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top