SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Suggestions with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Notes. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 1 জোনাকি Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
জোনাকি
ক্রিয়াকলাপ
ক – পাঠভিত্তিক
প্রশ্ন ১। কবিতাটি শুদ্ধ এবং স্পষ্টভাবে পড়ো এবং আবৃত্তি করো ।
উত্তরঃ শিক্ষক / শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য নিয়ে নিজেরা পড়ো ও আবৃত্তি করো।
প্রশ্ন ২। বলো ও লেখো ।
( ক ) কবি জোনাকির আলো কেন ভালো লাগে বলেছেন ?
উত্তরঃ জোনাকির মৃদু আলো যখন একটা দুটো পাতার উপর পড়ে তখন কবির খুবই ভালো লাগে। ছোটো জোনাকি অন্ধকার রাত্রে তাঁর বুক উজাড় করে আলো দেয় । তার এই দান শ্রেষ্ঠ দান । সেজন্য কবি জোনাকির আলো ভালো লাগার কথা বলেছেন ।
( খ ) কবি ‘ দানের সেরা দান ‘ বলতে কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তরঃ জোনাকি পোকা অতী ক্ষুদ্র আকৃতির । সেজন্য তার অকৃত্রিম দানও খুবই ক্ষুদ্র । বৃহৎ কিছু না হলেও এই দানের মধ্যে ক্ষুদ্র জোনাকির কোনো কৃপণতা নেই । সে নিজেকে উজাড় করে দেয় । কবি তাকেই দানের সেরা দান বলতে বুঝিয়েছেন ।
( গ ) ছোটো হলেও জোনাকির মান বেশি কেন ?
উত্তরঃ বৃহৎ সম্পদের অধিকারী হলেও দান করবার মতো মানসিকতা অনেকেরই থাকে না । মহৎ ব্যক্তিরাই কেবলমাত্র নিজের যতটুকু সম্বল সেটাই সবার মাঝে বিলিয়ে দেন । সেরকম ক্ষুদ্র জোনাকি নিজস্ব সম্পদ মৃদু আলোর দ্বারাই জগৎকে আলোকিত করতে চায় । সেজন্য ছোটো হলেও জোনাকির মান বেশি ।
( ঘ ) আমরা কাদের পূজা করবো এবং কাকে ভালোবাসব ?
উত্তরঃ আমরা সূর্য – চন্দ্রকে পূজা করবো এবং জোনাকিকে ভালোবাসব। সমগ্র পৃথিবীকে আলোপ্রদানকারী সূর্যের আছে অজস্র সম্পদ । সূর্য ও চন্দ্ৰ আকারে বৃহৎ । তারা পূজা পাওয়ার যোগ্য । কিন্তু জোনাকি ক্ষুদ্র পতঙ্গ , জগতের জন্য সাধ্যাতীত দান করে । সেজন্য আমরা জোনাকিকে ভালোবাসব ।
S.L. No. | সূচীপত্র |
পাঠ -১ | জোনাকি |
পাঠ -২ | চিরকালের শরাইঘাট |
পাঠ -৩ | অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি |
পাঠ -৪ | জাগো, জাগো ভারত সন্তান |
পাঠ -৫ | হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস |
পাঠ -৬ | পুত্রভিক্ষা |
পাঠ -৭ | মন্ত্ৰের সাধন |
পাঠ -৮ | প্ৰশ্ন |
পাঠ -৯ | আদাব |
পাঠ -১০ | হারানো সভ্যতার খোঁজে |
পাঠ -১১ | উপমন্যু |
পাঠ -১২ | সুখ |
পাঠ -১৩ | হোমি জাহাংগির ভাবা |
পাঠ -১৪ | সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন |
পাঠ -১৫ | শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ |
প্রশ্ন ৩। কবিতাটির মূলভাব সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তরঃ এ পৃথিবীতে প্রত্যেকেই সুখী হতে চায় । কারণ সুখ প্রত্যেকের মনে আনন্দের সৃষ্টি করে । আনন্দপূর্ণ জীবনই তো সার্থক জীবন । কিন্তু যে ভাবে এই সুখ ও আনন্দ সে একাই ভোগ করবে তার কাছে সুখ স্থায়ী হয় না । রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন , এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম , প্রেম মেলে না । শুধু সুখ চলে যায় । এই ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা তার মনুষ্যত্ব বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে সমাজজীবনে তার আর কোনো মূল্য থাকে না । যে মানুষ সবসময় তার একার ভোগসুখ বড়ো করে দেখে এবং সবসময় একা থাকতে চায় তাকে এই পৃথিবীতে কেউ ভালোবাসে না । কিন্তু যে নিজের সুখকে সকলের সাথে ভাগ করে নেয় এবং পরের দুঃখে নিজেকে বিসর্জন দেয় সে মানুষ কোনোদিন অসুখী হয় না।
প্রশ্ন ৪। শব্দ – সম্ভার অথবা অভিধান দেখে নীচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো ।
শব্দ | অর্থ |
মৃদু | ____ |
বাদল | ____ |
ভাতি | ____ |
তপন | ____ |
শশী | ____ |
উত্তরঃ
শব্দ | অর্থ |
মৃদু | হালকা,অল্প। |
বাদল | বৃষ্টি। |
ভাতি | দীপ্তি , উজ্জ্বলতা। |
তপন | চন্দ্ৰ। |
শশী | সূর্য। |
প্রশ্ন ৫। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো ।
“ যেটুকু তোর দেবার আছে
দিয়ে দে তুই আজ ,
ও সে তারার মতো নাই বা হ’ল , —
তা’তেই বা কি লাজ ? ”
উত্তরঃ এই জগতে সমস্ত কিছুর মধ্যে এমন একটা দ্বৈতভাব আছে যা ছাড়া সৃষ্টির কোনো সার্থকতা নেই । একের পূর্ণতার জন্য অপরকে প্রয়োজন হয়। গায়ক শ্রোতার মনোরঞ্জনের জন্য গান করেন। পাঠকের জন্য কবি কাব্য রচনা করেন । প্রকৃতির রাজ্যে তেমনই সেই রূপ , রস ও গন্ধের কোনো সার্থকতা থাকে না , যদি না সেই রূপের মাধুর্য , রসের মাধুর্য , গন্ধের ঐশ্বর্য কেউ উপলব্ধি করে । ফুল , ক্ষুদ্র পোকা জোনাকির জীবন পরের জন্য নিবেদিত , অর্পিত । মানুষের সমস্ত প্রকার ক্ষমতা , প্রতিভা যদি পরার্থে অর্পিত হয় , তখনই তার প্রকৃত সার্থকতা । অসংখ্য মানুষের কাছে তখনই তিনি হয়ে ওঠেন আলোর দিশারী , মানব হয়েও মহামানব , মৃত্যু সত্ত্বেও মৃত্যুঞ্জয় । অথচ দুঃখের বিষয় বহু মানুষ জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য না বুঝে প্রবৃত্তির দাস হয় , তাকে আচ্ছন্ন করে ক্ষুদ্র ভোগ সুখ । সে নিজেকে আঁকড়ে ধরতে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । স্বার্থপরতা হৃদয়ের দ্বার বন্ধ করে দেয় । তার চারিত্রিক সৌরভ , বর্ণচ্ছটা কিছুই তখন থাকে না ।
প্রশ্ন ৬৷ পাঠ থেকে অন্তমিলযুক্ত শব্দগুলো লেখো।
উদাহরণ — পরে – ওরে
_____
_____
_____
_____
উত্তরঃ আলো — ভালো।
আজ — লাজ।
করব — বাসব।
তারা — মোরা।
আলো — কালো।
মান — দান।
রাতি — ভাতি।
খ — ভাষা – অধ্যয়ন ( ব্যবহারিক ব্যাকরণ )
প্রশ্ন ৭। নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো ।
তপন __,__,___
শশী __,__,___
উত্তরঃ তপন — সূর্য , ভানু , রবি ।
শশী — চন্দ্ৰ , শশাঙ্ক , শশধর ।
প্রশ্ন ৮। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো ।
আলো ___আজ ____
নতুন ___ কালো ___
মান ____ দুঃখী ___
উত্তরঃ আলো ― অন্ধকার ।
নতুন — পুরনো ।
মান ― অভিমান ।
আজ ― কাল ।
কালো ― সাদা ।
দুঃখী ― সুখী ।
প্রশ্ন ৯। বাক্য রচনা করো ।
পাতা , বাদল , মুঠি , ভিক্ষা , সেরা , জোনাকি ।
উত্তরঃ পাতা — গাছের পাতা ঝরে পড়ে ।
বাদল ― চৈত্র – বৈশাখ মাসে ঝড় বাদল হয় ।
মুঠি ― ভিখারীকে এক মুঠি ভিক্ষা দাও ।
ভিক্ষা — ভিখারীকে ভিক্ষা দেওয়া ভাল কাজ ।
সেরা — আমাদের দেশ সকল দেশের সেরা ।
জোনাকি — জোনাকি রাতের অন্ধকারে জ্বলে ।
● এসো , জেনে নিই-
( ক ) তোমরা কবিতায় দুঃখ , ভিক্ষা , পূজা ইত্যাদি শব্দ পেয়েছ , যেগুলো আসলে সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে । সেই শব্দগুলো অবিকৃত অবস্থায় বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে । তাদের তৎসম শব্দ বলে । সেরকম আরও কিছু উদাহরণ হল – হস্ত , চন্দ্র , সূর্য ইত্যাদি ।
( খ ) আঁধার , চাঁদ , আজ , পাতা ইত্যাদি শব্দগুলো তোমরা কবিতায় পেয়েছ , যেগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত রূপ নিয়ে বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে । সেগুলোকে তদ্ভব শব্দ বলে । যেমন ―
সংস্কৃত → প্রাকৃত → তম্ভব
অন্ধকার → অন্ধআর → আঁধার
চন্দ → চন্দ → চাঁদ
অদ্য → অজ্জ → আজ
পত্র → পত্ত → পাতা
( গ ) পূজা , দুঃখী ইত্যাদি শব্দগুলোও তোমরা পাঠে পেয়েছ , যেগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে লোকমুখে সামান্য উচ্চারণ বিকৃতির মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় স্থান লাভ করেছে । তাদের অর্ধতৎসম শব্দ বলে ।
যেমন— সংস্কৃত → অর্ধতৎসম
পূজা → পুজো
দুঃখী → দুখি
( ঘ ) যে সমস্ত শব্দ প্রাচীন কাল থেকে অনার্য , কোল , দ্রাবিড় ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে তাদের দেশী শব্দ বলে । যেমন — মাদুর , চাউল ইত্যাদি ।
( ঙ ) বিদেশী ভাষা থেকে যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে তাদের বিদেশী শব্দ বলে ।
যেমন — আমির , বিবি , চেয়ার ইত্যাদি ।
প্রশ্ন ১০। নীচের শব্দের সংস্কৃত রূপকে অর্ধতৎসম রূপে পরিবর্তন করো।
সংস্কৃত রূপ অর্ধতৎসম রূপ
ভক্তি → _____
মুক্তা → _____
রৌপ্য → _____
রত্ন → _____
ক্ষুধা → _____
গৃহিনী → _____
উত্তরঃ ভক্তি ― ভক্ত ।
মুক্তা — মুক্তো ।
রৌপ্য — রূপো ।
ক্ষুধা ― খিদে ।
গৃহিনী — গিন্নি ।
প্রশ্ন ১১। নীচের শব্দের সংস্কৃত রূপকে তদ্ভব রূপে পরিবর্তন করো ।
সংস্কৃত রূপ তদ্ভব রূপ
সৰ্প → ____
কর্ম → ____
হস্ত → ____
কর্ণ → ____
অদ্য → ____
দত্ত → _____
উত্তরঃ সর্প — সাপ ।
কর্ম — কাজ ।
হস্ত ― হাত ।
কৰ্ণ — কান ।
অদ্য — আজ ।
দত্ত ― দাঁত ।
● জেনে নাও-
সংস্কৃতের মতো ইংরেজি ভাষার অনেক শব্দই বাংলা ভাষার শব্দ – ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে । সেগুলোর কিছু শব্দ সংস্কৃতের তৎসম শব্দের মতো হুবহু গৃহীত হয়েছে এবং কিছু শব্দ তদ্ভব শব্দের মতো কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়েছে । উদাহরণস্বরূপ—
ইংরেজি শব্দ বাংলা রূপ
গ্লাস → গ্লাস
স্কুল → স্কুল
ইঞ্জিন → ইঞ্জিন
ডক্টর → ডাক্তার
গো – ডাউন → গুদাম
বক্স → বাক্স
কিছু ইংরেজি বা অন্যান্য বিদেশী শব্দের সঙ্গে বাংলা শব্দ যোগ করে এবং কখনো বা বিদেশী শব্দের সঙ্গে বিদেশী প্রত্যয় যোগ করে নতুন শব্দ গঠন করা হয় । এই শব্দগুলোকে মিশ্র শব্দ বলা হয় । উদাহরণ―
উত্তরঃ
প্রশ্ন ১২। ‘ জোনাকি ’ কবিতাটি থেকে ‘ তৎসম ’ ও ‘ তদ্ভব ‘ শব্দগুলো বেছে বের করে লেখো । তোমার জানা ‘ তৎসম ’ ও ‘ তদ্ভব ‘ শব্দের একটি তালিকা প্রস্তুত করো ।
উত্তরঃ জোনাকি কবিতায় তৎসম শব্দ — দুঃখী , ভিক্ষা , পূজা ।
জোনাকি কবিতায় তদ্ভব শব্দ — আঁধার , আজ , পাতা , চাঁদ ।
তৎসম শব্দের তালিকা — অক্ষর , অণু , অশ্ব , আয়ু , ঈর্ষা , ঊষা , ঋতু , ঐক্য , ঔষধ , কিশলয় , ধ্বনি , পক্ষী , দ্রব্য , বিপণি , বৃক্ষ , ভাষা , শিপ্রা , শ্রেণি , শিক্ষা , স্নেহ , গ্রন্থ , গৃহ , জননী , জগৎ , দুঃখ , দেশ , প্রত্যুষ , বিকাশ । তদ্ভব শব্দের তালিকা – অপর , অঙ্ক , আত্মন , আঁচল , কাপড় , আধ , আগ , খায় , ছাউনি , দেশলাই , তেতো , দুপুর, পাড়া , রাশ , হালকা , পাত , মেয়ে , রাজপুত , মাটি , চাক , উঁচু ।
প্রশ্ন ১৩। তুমি দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ইংরেজি শব্দগুলো ব্যবহার করো সেই শব্দগুলো নীচে ভাগে ভাগে লেখো।
শিক্ষা সম্বন্ধীয় স্কেল ……………………..
খেলা সম্বন্ধীয় ক্রিকেট ……………………..
যান – বাহন স্কুটার ……………………..
সাজ – পোশাক ফ্রক ……………………..
আসবাব টেবিল ……………………..
বাসন – বৰ্তন কাপ ……………………..
উত্তরঃ শিক্ষা সম্বন্ধীয় স্কেল , পেনসিল , চক , ব্ল্যাকবোর্ড , ডাস্টার , পেন ।
খেলা সম্বন্ধীয় ক্রিকেট , ব্যাট , ফুটবল , বল , নেট , উইকেট , স্কোর।
যান – বাহন , ট্রেন , বাস , ট্রাম , স্কুটার , রিক্সা , সাইকেল ।
সাজ – পোশাক প্যান্ট , শার্ট , কোট , ট্রাউজার , ফ্রক , বেল্ট , ক্যাপ ।
আসবাব টেবিল , চেয়ার , সোফা , ডাইনিং টেবিল , টেবিল ক্লথ ।
বাসন – বৰ্তন কাপ , প্লেট , গ্লাস , প্রেসারকুকার , ট্রে ।
প্রশ্ন ১৪। এক কথায় প্রকাশ করো ।
( ক ) ভিক্ষার অভাব _____
( খ ) যা বলা হয়েছে _____
( গ ) জ্বল জ্বল করে যাহা _____
( ঘ ) মান আছে যার _____
উত্তরঃ ( ক ) ভিক্ষার অভাব ― দুর্ভিক্ষ ।
( খ ) যা বলা হয়েছে ― ব্যক্ত ।
( গ ) জ্বল জ্বল করে যাহা ― চকচকে ।
( ঘ ) মান আছে যার ― মানী ।
প্রশ্ন ১৫। ‘ জোনাকি ‘ কবিতাটিতে তোমরা ‘ পাতার পরে , আঁধার রাতি , বুকটি ভ’রে , চাঁদের ভাতি ’ এই শব্দসমষ্টি বা বাগ্ধারাগুলো পেয়েছ । এখানে পাতা , আঁধার , চাঁদ , বুক শব্দগুলো বিভিন্ন বিশিষ্ট অর্থে প্রয়োগ করে বাক্য রচনা করো ।
ওত পাতা ( লুকিয়ে গোপন কথা শুনা ) _____
আঁধার ঘরের মানিক ( একান্ত আপনজন ) ____
বুকের পাটা ( অতিরিক্ত সাহস ) _____
বুক ফুলিয়ে ( গর্বের সঙ্গে ) _____
বুক ভাঙা ( হতাশ ) _____
বুক বাঁধা ( সাহস ) ______
চাঁদের হাট ( সুন্দরের সমাবেশ ) _____
অমাবস্যার চাঁদ ( অতি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু ) ______
উত্তরঃ ওত পাতা ( লুকিয়ে গোপন কথা শুনা ) :- ছেলেটির ওত পাতা স্বভাব আছে ।
আঁধার ঘরের মানিক ( একান্ত আপনজন ) :- ছেলেটি যেন আঁধার ঘরের মানিক ।
বুকের পাটা ( অতিরিক্ত সাহস ) :- বুকের পাটা আছে বলেই রহিম চোরটিকে ধরে ফেলল ।
বুক ফুলিয়ে ( গর্বের সঙ্গে ) :- পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারলে সকলের সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াতে পারবে ।
বুক ভাঙা ( হতাশ ) :- দাদার জন্য মায়ের বুক ভাঙা নিঃশ্বাস পড়ছে।
বুক বাঁধা ( সাহস ) :- গ্রামের লোকজন বন্যার ভয়ে বুক বাঁধছে ।
চাঁদের হাট ( সুন্দরের সমাবেশ ) :- বিয়ে বাড়িতে চাঁদের হাট বসেছে।
অমাবস্যার চাঁদ ( অতি আকাঙ্ক্ষিত বস্তু ) :- চাকরি পেয়ে রতন অমাবস্যার চাঁদ পেয়েছে ।
গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ
প্রশ্ন ১৬। নীচের বাক্যগুলো পড়ো , তারপর দলে আলোচনা করে প্রত্যেকে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করো ও লেখো ।
( ক ) রাতে পাতার ওপর জোনাকীর মৃদু আলোকের প্রকাশ।
( খ ) ছোটো কাজে কোনো অপমান নেই।
( গ ) ভালোবাসার জন সব সময়ে কাছে থাকে ।
উত্তরঃ ( ক ) নিজেকে যে বড়ো বলে দেখানোর চেষ্টা করে সে হীন প্রবৃত্তির শিকার হয় । কখনও সে বড়ো হতে যায় না । বড়ো হতে গেলে চাই অন্যের স্বীকৃতি যেটা আছে জোনাকির । এই স্বীকৃতিলাভ কষ্টসাধ্য ব্যাপার । সেজন্য ছোটোবেলা থেকেই কর্মের পথে , সত্যের পথে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করা চাই । চেষ্টা করতে হবে হৃদয়ের সুকুমার বৃত্তিগুলির বিকাশের জন্য । তাহলেই সমাজের আর পাঁচজন মানুষের থেকে তার স্বীকৃতি মিলবে । সে দেশ ও দশের কাছে হয়ে দাঁড়াবে দৃষ্টান্তস্বরূপ । নিজেকে নিজে যারা বড়ো বলে তারা সমাজে বড়ো তো হতে পারেই না ; উপরন্তু নিজেকে হেয় করে তোলে । আর তাদের সেজন্য চড়া মূল্য দিতে হয় । তারা অগ্রসর হয় নিশ্চিত বিনাশের লক্ষ্যে । পৃথিবীতে যারা প্রকৃত গুণের অধিকারী , যাঁরা সর্বার্থেই প্রকৃত বড়ো তারা বিনয়ী হন এবং স্তুতি , চাটুকারিতা পছন্দ করেন না । পৃথিবীতে স্থায়ী সুখের জন্য নীরবে আত্মত্যাগ করলেই মানুষের জীবন সার্থক হয় । আত্মপ্রচারে বিমুখ দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত মানুষকেই মানুষ শ্রদ্ধা করে এবং গৌরবের আসনে বসায় ।
( খ ) আপন পরিশ্রমে যা লাভ করা যায় , তা সম্পূর্ণ নিজের ক্ষমতায় অর্জিত । শ্রমের ফল যত সামান্যই হোক না কেন তার আনন্দ স্বর্গসুখের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় ।
কর্মই ধর্ম । বিশ্ব কর্মযজ্ঞে মানুষ সদা সর্বদা কিছু না কিছু কাজ করে । কিন্তু এক শ্রেণির অলস মানুষ অন্যের শ্রমের উপর নির্ভরশীল । তারা অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে জীবনধারণ করে থাকে । এভাবে পরমুখাপেক্ষী হয়ে জীবন কাটানোর মধ্যে থাকে গ্লানি । অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকা মানেই নিজের মনুষ্যত্বের রিসর্জন ।
পরের অনুগ্রহে রাজপ্রাসাদে বসে রাজভোগ খাওয়ার চাইতে নিজের কুঁড়েঘরে বসে স্বোপার্জিত খুদান্ন খাওয়া প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি স্বস্তির । নিজের শ্রমের উপার্জন সামান্য হলেও তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তি থাকায় তা শান্তি দেয় । প্রসারিত দৃষ্টিতে জীবনের মূল্যায়ন করতে শেখায়। উন্নতির পথে এগিয়ে যাবার পথনির্দেশ করে ।
( গ ) মানুষের সমস্যা প্রচুর । দেশে দেশে বন্যা , প্লাবন , জলোচ্ছ্বাস , ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে । এরই পাশাপাশি মানুষ দারিদ্র্য , অশিক্ষা , কুশিক্ষা , জাতিদাঙ্গার কালো ছায়ায় ধুঁকছে । একদল মানুষ মানুষের বিপদে যখন নিস্পৃহ , অন্যদল তখন স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অসহায় মানুষদের দিকে স্নেহ মমতার হাত বাড়াচ্ছেন। এইসব মহৎপ্রাণ মানুষ প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে পৃথিবীতে মনুষ্যত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সেজন্য পৃথিবীতে মানুষ ‘ অমৃতের পুত্র ’ বলে স্বীকৃতি পায় । মানুষ ভাবতে পারে সে শুধু স্বার্থ ও সম্পদের যন্ত্র নয় , তাদের ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে পারে অনেকের মধ্যে ।
দুর্গত মানুষ বিপদে পড়লে আমাদের চারপাশে তাদের দিকে হাত বাড়ালে আমরা যে শুধু তাদের ক্ষতে প্রলেপ দিই তা শুধু নয় নিজেরাও ধন্য হয়ে থাকি । মানুষের বিপদে মানুষকেই তো চিরকাল থাকতে হবে । নগ্নকে বস্ত্রের আরাম , অনাশ্রিতকে ভালোবাসার আশ্রয় দানের মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনকে শান্তি – প্রেম – আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারি । সেবা কখনোই বাস্তব তাৎপর্যহীন একটা শূন্যগর্ভ উপদেশ বিতরণ বা আধ্যাত্মিক শিক্ষা নয় । যিনি সেবা করেন তার আত্মার উন্নতি ঘটে । সেজন্য যুগ যুগ ধরে মহাপ্রাণেরা দুর্গত মানুষের পাশে থাকার কথা বলেছেন ।
প্রশ্ন ১৭। এসো , বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ ও জোনাকি ’ কবিতাটি সবাই মিলে আবৃত্তি করি ।
ও জোনাকি , কী সুখে ওই ডানা দুটি মেলেছ । আঁধার সাঁঝে বনের মাঝে উল্লাসে প্রাণ ঢেলেছ ৷৷
তুমি নও তো সূর্য , নও তো চন্দ্র , তোমার তাই ব’লে কি কম আনন্দ ।
তুমি আপন জীবন পূর্ণ ক’রে আপন আলো জ্বেলেছ ৷ তোমার যা আছে তা তোমার আছে , তুমি নও গো ঋণী কারো কাছে , তোমার অন্তরে যে শক্তি আছে তারি আদেশ পেয়েছ ।
তুমি আঁধার – বাঁধন ছাড়িয়ে ওঠ , তুমি ছোটো হয়ে নও গো ছোটো , জগতে যেথায় যত আলো সবায় আপন করে ফেলেছ৷।
উত্তরঃ ছাত্রছাত্রীরা দলগতভাবে আবৃত্তি করো ।
প্রশ্ন ১৮। ‘ তুমি নও গো ঋণী কারো কাছে ‘ , — জোনাকি কারো কাছে -ঋণী নয় কেন বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ উদার ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ— মহৎ , উচ্চ , প্রশস্ত । উদার হৃদয়ের অধিকারী হতে গেলে প্রত্যেককেই মহৎ হতে হবে , মানসিকতার ক্ষেত্রে তার আসনটি উচ্চে রাখতে হবে এবং অবশ্যই অন্তরটি হতে হবে প্রশস্ত । প্রকৃতিই এব্যাপারে আমাদের শিক্ষাদাতা । আকাশ শুধু আয়তনে বিশাল ও অন্তহীন নয় — সে উদারও । গ্রহ – নক্ষত্ররাজিকে সে ভালোবাসার এক অচ্ছেদ্য বন্ধনে যুগ যুগ ধরে বেঁধে রেখেছে । সেজন্য আকাশের বুকে ভাসমান মেঘ থেকে ঝরে বৃষ্টি — সমস্ত উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের কাছে নির্মল এই জলধারার গুরুত্ব সীমাহীন । জলই তো জীবের জীবন । এই জল দান করা আকাশের পক্ষে সম্ভব হয় তার মহত্ব গুণে ।
সেই রকমই ক্ষুদ্র জোনাকির অকৃপণ দান শ্রেষ্ঠ দান । অন্ধকার রাত্রে বনের মাঝখানে জোনাকি আনন্দে প্রাণ ঢেলে দিয়েছে , সুখে ডানা মেলেছে । জোনাকি চন্দ্র সূর্য না হলেও তার আনন্দ কম নয়। নিজের জীবন পূর্ণ করে নিজের আলোয় জগৎ আলোকিত করেছে । জোনাকির আলো যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন তা তার নিজস্ব সম্পদ । এই সম্পদ প্রকৃতিকে দান করার জন্য কারো কাছ থেকে কোনো ঋণ গ্রহণ করতে হয় না । তার অন্তরে স্নেহ – প্রীতি – প্রেম মায়া – মমতা ইত্যাদি সুকুমার বৃত্তিগুলি আছে । তার দ্বারাই সে শক্তি জুগিয়ে জগৎ সংসারকে নিজের সম্পদ দান করে। এ তার মনের তাগিদ । জোনাকি যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন হৃদয়ের দিক থেকে , দানের দিক থেকে সে ছোটো নয় । আঁধার বাঁধন কাটিয়ে প্রত্যেককেই আপন করে নিয়েছে । সেজন্য জোনাকি কারো কাছে ঋণী নয় ।
ঘ – প্রকল্প
প্রশ্ন ১৯। প্রকৃতির কোন জিনিসটি তোমার সবচেয়ে প্রিয় । সেটির বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো । কেন তা প্রিয় সে কথাও লিখবে ।
উত্তরঃ প্রকৃতির ঋতু বৈচিত্র্যটি আমার সবচেয়ে প্রিয় । সূর্য হল জ্বলন্ত অগ্নিময় নক্ষত্র , আর পৃথিবী হল এক ক্ষুদ্ৰ গ্ৰহ ৷ বুকে কত রকমের বৈচিত্র্য । সুনিয়ন্ত্রিত কক্ষপথে সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর আপন পরিক্রমা আর সাথে সাথে আপন মেরুরেখাকে ঘিরে আহ্নিক আবর্তন । এই দুই গতির যুগপৎ পরিক্রমা পৃথিবীতে এনে দেয় যে তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধি , আর বায়ুর পরিমণ্ডল , সেই সঙ্গে পর্বত আর সমুদ্র — এই তিনের সহাবস্থান পৃথিবীতে গড়ে তুলেছে এক ঋতুরঙ্গশালা । সেজন্য পৃথিবীর কোনো প্রান্তে বছরের বেশিরভাগ সময় গ্রীষ্মের দহনজ্বালা , কোথাওবা শীতের হিম পরশ । কিন্তু একই দেশে ষড়ঋতুর পর্যায়ক্রমে আগমন – নিষ্ক্রমণ দেখতে হলে এই সোনার বাংলার দিকে তাকাতে হয় ।
এক ঋতুর শেষ হতে না হতেই আর এক ঋতুর আবির্ভাব । রূপে – রসে গন্ধে বর্ণে ছন্দে তারা প্রত্যেকে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল । পত্র – পুষ্প ফলের বিচিত্র বর্ণালি প্রাচুর্য ও মাধুর্যে আমাদের মাতৃভূমি প্রকৃতির লীলাবিলাসভূমি ।
ঋতুচক্রের প্রথম ঋতু গ্রীষ্মের সমাগমে বর্ষবরণ পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রির অবসানে নববর্ষের আবাহন । গ্রীষ্ম মানে এক নিরাশ নিস্তব্ধতা । চাতকের আকুল প্রার্থনা , কর্মীর ক্লান্তি , শ্রমিকের অবসাদ , কর্মহীনের বাড়ির এক কোণে মধ্যাহ্নের তন্দ্রাচ্ছন্নতা — সব মিলিয়ে যেন এক নৈরাশ্য । তবু গ্রীষ্মের আরও একটি রূপ আছে । ঘন মেঘে আঁধার হয়ে ওঠা এবং কালবৈশাখীর দাপট সে তো এই সময়েই দেখা যায় । সে আসে নবীন আশ্বাস নিয়ে । ফুল ফোটে অল্প । তবু তার পাশে ফলের সম্ভার নিয়ে গ্রীষ্ম আমাদের কাছে তার ডালি সাজিয়ে ধরে । আম- জাম – কাঁঠালের রসে তাপদগ্ধ প্রাণ সিক্ত হয় মাধুরী প্রলেপে ।
নটরাজের রুদ্রনৃত্য স্তব্ধ হয় , বাদল মেঘে মাদল বাজার গম্ভীর শব্দ শুরু হয় । কাজল কালো মেঘে ঢাকা আকাশের বুক চিরে হানে তের আঘাত । গ্রীষ্মের অনাবৃষ্টির অসুর পরাস্ত হয় । মরুপ্রায় মাটির বুকে দেখা যায় তৃণাঙ্কুরের শ্যামল সুন্দর আস্তরণ । তপন তাপে ব্যথিত হৃদয়ে দোলা লাগে বর্ষার জলতরঙ্গ । নবকল্লোলে জলাধার মুখরিত হয় । বর্ষার এ মনভোলানো মোহনরূপের পিছনে লুকিয়ে আছে বাঁধ ভাঙার প্রবল প্রতাপান্বিত রূপ । আসে বন্যা , কখনও মহামারি । কান্নাহাসির দোল দুলিয়ে শরতের জন্য দ্বার খুলে বর্ষা বিদায় নেয় ।
শরৎ মানে ‘ জলহারা মেঘ আঁচলে খচিত শুভ্র যেন সে নবনী ‘ । শিশির সিক্ত সবুজের সমারোহ আর রবিরশ্মিপাত । স্থলে জলে আর আকাশতলে বাঁশি বাজে — এ বাঁশি ছুটির বাঁশি । মন ঘরে থাকতে চায় না , কাজেও লাগতে চায় না । সেজন্যে মনে হয় অবকাশ যাপনের আয়োজন উৎসবের আড়ম্বর দিয়ে । প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা , কোজাগরী , শ্যামাপূজা , ভ্রাতৃদ্বিতীয়া — এ সবের পেছনে আছে শরৎ প্রকৃতির আস্তর প্রেরণা । আনন্দময়ীর আগমনে মেঘের কোলে রোদও হাসে , বাদল যায় ছুটিতে । সেজন্য নিষ্কলুষ এই আনন্দঘন ঋতুটির অবসানে বুকে বাজে বিজয়ার বেদনা ।
সোনালি ফসলের ছড়াছড়িতে বাংলা হয়ে ওঠে সত্যিকার বাংলা । প্রকৃতরূপ যেন ধরা পড়ে হেমন্তে— হাটে মাঠে গৃহে গোঠে সবাকার ধান। হেমন্ত ঋতুর মধ্যে নেই বর্ষার সজল শ্যামলতা , নেই শরতের উজ্জ্বল রূপশ্রী । তবুও সে তার সংযত প্রশান্তি দিয়ে আমাদের মন জয় করে । হেমন্ত একদিকে যেমন শরতের পরম পরিণতি আর অপরদিকে শীতের অগ্রদূত ।
হৈমন্তের নিঃশব্দ বিদায়ের মধ্য দিয়ে আমরা হঠাৎ কাবু হই , শীত আমাদের আবিষ্ট করে । দিনের আলো যেন অতি দ্রুত বিদায় নেয় । রাত বাড়িয়ে দেয় তার হিমশীতল হাত । গ্রামের বুকে শীতের সুদীর্ঘ রাত বিরাজ করে এক অচেতন প্রশান্তিতে । ধানহারা মাঠে আবার রবিশস্যের শ্যামলিমা । ঘরে নব অন্নের আগমন , পৌষ পার্বণের মহোৎসব । পিঠে পুলির ঘটা । শীতে শ্রমে ক্লান্তি নেই । কমলাসনার বন্দনায় মেতে ওঠে শিক্ষার্থীকুল ।
বাতাসের শেষ গতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিদায় নেয় শীত , রঙের আগুন ধরিয়ে ফাগুন আসে । অশোক – কৃষ্ণচূড়া – পলাশের রক্তিম মাদকতায় মেতে ওঠে আকাশ বাতাস । রঙের উৎসব ঋতুরাজ বসন্ত দক্ষিণ দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করে । বসন্ত মানে এক চঞ্চলতা , মনে প্রাণে । কালো – ধুলো সব মুছে যায় রঙের রঙিন পরশে ।
বসন্তের অন্তর্ধানে বর্ষ বিদায় , চৈত্রের চিতাভস্ম পুরাতন বছরের মৃত্যুচিহ্ন নূতনের আসন্ন আগমনের ইঙ্গিত দেয় । দিন – মাস বছর এমনি করে যায় আর আসে ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Please write on assamese book asert Assam class 6 7 8
That’s all.
Thanks for helping us…..
I will update very soon of the Assamese medium solution. Thank you very much for visiting our Roy Library website