SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Suggestions with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Notes. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 2 চিরকালের শরাইঘাট Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
চিরকালের শরাইঘাট
ক্রিয়াকলাপ
ক — পাঠভিত্তিক
প্রশ্ন ১। পাঠটি শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণে পড়ো ।
উত্তরঃ ছাত্র-ছাত্রীরা শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা করো ।
প্রশ্ন ২। উত্তর দাও-
( ক ) রামসিংহ কে ছিলেন ?
উত্তরঃ আহোম এবং মোগলদের মধ্যে যুদ্ধের সময়ে রামসিংহ ছিলেন মোগল সৈন্য পরিচালনার দায়িত্বে ।
( খ ) তিনি কেন অসমে এসেছিলেন ?
উত্তরঃ তিনি অসমে মোঘল সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য আহোম সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছিলেন ।
( গ ) শরাইঘাটের যুদ্ধ কার কার মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ শরাইঘাটের যুদ্ধ আহোম ও মোগলদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল ।
( ঘ ) কোন সনে মালিগাঁওয়ে এন এফ রেলওয়ের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯৫৬ সনে মালিগাঁওয়ে এন এফ রেলওয়ের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল ।
S.L. No. | সূচীপত্র |
পাঠ -১ | জোনাকি |
পাঠ -২ | চিরকালের শরাইঘাট |
পাঠ -৩ | অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি |
পাঠ -৪ | জাগো, জাগো ভারত সন্তান |
পাঠ -৫ | হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস |
পাঠ -৬ | পুত্রভিক্ষা |
পাঠ -৭ | মন্ত্ৰের সাধন |
পাঠ -৮ | প্ৰশ্ন |
পাঠ -৯ | আদাব |
পাঠ -১০ | হারানো সভ্যতার খোঁজে |
পাঠ -১১ | উপমন্যু |
পাঠ -১২ | সুখ |
পাঠ -১৩ | হোমি জাহাংগির ভাবা |
পাঠ -১৪ | সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন |
পাঠ -১৫ | শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ |
প্রশ্ন ৩। পাঠের কঠিন শব্দগুলো খুঁজে নিয়ে শব্দ – সম্ভার অথবা অভিধান থেকে অর্থ জেনে নিজের খাতায় লেখো ।
উত্তরঃ উচ্চারিত — বলা বা উচ্চারণ করা হয়েছে এমন ।
সংঘটিত ― হয়েছে বা ঘটানো হয়েছে এমন ।
চিরস্মরণীয় — যা বা যাকে চিরদিন মনে রাখা হয় বা মনে রাখা উচিত।
দৃষ্টিনন্দন — দেখতে সুন্দর ।
সম্প্রতি — অল্প কয়েকদিন আগে ।
পুলকিত — আনন্দিত ।
বিচ্ছিন্ন — পৃথক , আলাদা ।
প্রান্তে — শেষে ।
গৌরব — ঐতিহ্য ।
অনতিদূর ― অল্পদূরে ।
অগণিত — অসংখ্য ।
পশ্চাদভাগে — পিছনদিকে ।
দপ্তর — বিভাগ ।
বাহুবলী — শক্তিশালী ।
বিস্ময় — অবাক ।
খরস্রোতা ― অত্যন্ত স্রোত।
নিবিড় — ঘন ।
কিংবদন্তি — জনশ্রুতি ।
অমলিন — ম্লান নয় ।
জটিলতা — সরল নয় ।
দৃষ্টিভঙ্গি — দেখার ভঙ্গি ।
কংক্রিট – শক্ত ।
ঐতিহাসিক – ইতিহাসে স্থান লাভ করার যোগ্য ।
প্রশ্ন ৪। নীচের বাক্যগুলো পাঠের অবলম্বনে পূর্ণ করো ।
( ক ) মহাবলী ব্রহ্মপুত্র প্রকৃতপক্ষে অসমকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে ___আঁকাবাঁকা বিচিত্র পথে সে এগিয়ে চলেছে । সে – মানুষের ____ তার গতি – চাঞ্চল্য _____রাখতে সাহায্য করেছে ।
উত্তরঃ মহাবলী ব্রহ্মপুত্র প্রকৃতপক্ষে অসমকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে শদিয়া থেকে খুবড়ি আঁকাবাঁকা বিচিত্র পথে সে এগিয়ে চলেছে। সে – মানুষের সুখ – দুঃখের সাক্ষী , তার গতি – চাঞ্চল্য উপত্যকাকে সবুজ রাখতে সাহায্য করেছে ।
( খ ) বর্তমান শরাইঘাট সেতুর দুপাশে বিকাশ ফাঁকা জমি — একদিকে _____।
উত্তরঃ বর্তমান শরাইঘাট সেতুর দুপাশে বিকাশ ফাঁকা জমি — একদিকে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পশ্চাদভাগে সদিলাপুর গ্রাম ।
( গ ) এই ব্রিজ তৈরির স্থপতি ছিলেন ____ । কোনওরূপ ____ছাড়াই এই বিশাল কাজ সম্পন্ন হয়েছিল । _____শ্রীগাঙ্গুলি ও শ্রীমিত্রের অবদান এখনও অমলিন ।
উত্তরঃ এই ব্রিজ তৈরির স্থপতি ছিলেন শ্রী বি.সি. গাঙ্গুলি ও শ্রী বি.কে.মিত্র । কোনওরূপ বিদেশী প্রযুক্তি ছাড়াই এই বিশাল কাজ সম্পন্ন হয়েছিল । সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শ্রীগাঙ্গুলি ও শ্রীমিত্রের অবদান এখনও অমলিন ।
( ঘ ) ব্রহ্মপুত্রের বুকের উপর এই সেতুর নামকরণ নিয়ে প্রথমে ____ছিল । পরে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নামকরণ হয় ____।
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্রের বুকের উপর এই সেতুর নামকরণ নিয়ে প্রথমে জটিলতা ছিল । পরে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নামকরণ হয় ‘ শরাইঘাট দলং ‘।
প্রশ্ন ৫। উত্তর বলো ও লেখো –
( ক ) শরাইঘাট যুদ্ধ জয়ের মূল কথাগুলো কী ?
উত্তরঃ শরাইঘাট যুদ্ধ জয়ের মূল কথাগুলি ছিল , সেনাপতি লাচিতের সুতীক্ষ্ণ যুদ্ধকৌশল । তিনি শক্তিশালী মোগলদের গোপন দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করেছিলেন — বিশেষ করে তাঁদের দুর্বল নৌ – বাহিনীর ব্যবস্থা । সেখানেই আঘাত করে শত্রুকে পর্যুদস্ত করেন ।
( খ ) গুয়াহাটি মানুষকে কেন আকর্ষণ করে চলছে ?
উত্তরঃ গুয়াহাটি অতি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষকে আকর্ষণ করে চলেছে, তার কারণ কামাখ্যা মন্দির , ভুবনেশ্বরী মন্দির , উমাপতি – উমানন্দ ভৈরবের মন্দির , ব্রহ্মর্ষি বশিষ্টদেবের আশ্রম — সবকিছু মিলে মন্দিরময় – পর্বতময় গুয়াহাটি , বর্তমান কাল পর্যন্তও মানুষকে আকর্ষণ করে চলেছে । উত্তর – পূর্ব ভারত প্রকৃতির লীলা নিকেতন , দেশের দ্বিতীয় ভূ – স্বর্গ — এখানে মানুষ আসে মনের টানে , প্রাণের টানে , কাজের টানে ।
( গ ) এখানে মানুষ কেন আসে ?
উত্তরঃ যেহেতু গুয়াহাটি রাজ্যটি মন্দির এবং পর্বতের মিশেল , সেজন্য ধর্মপ্রাণ মানুষেরা কামাখ্যা মন্দির , ভুবনেশ্বরী মন্দির , উমাপতি – উমানন্দ ভৈরবের মন্দির , বশিষ্টদেবের মন্দির দেখবার টানে এখানে আসে । এছাড়া প্রকৃতিপ্রেমীরা এখানে আসে , যেহেতু গুয়াহাটি দেশের দ্বিতীয় ভূ – স্বর্গ । সেজন্য তারা আসেন প্রকৃতির এই লীলা – নিকেতনে – মনের টানে , প্রাণের টানে ।
( ঘ ) শরাইঘাট সেতুকে উত্তর – পূর্ব ভারতের প্রাণস্বরূপ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ স্বাধীনতার পর থেকে অসম তথা উত্তর – পূর্ব ভারত অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল , যোগাযোগের অসুবিধা দেখা দিয়েছিল । বিশেষভাবে রেল পরিষেবা ভীষণভাবে বিঘ্নিত হয়েছিল । ব্রহ্মপুত্রের উপর সেতু নির্মাণ সে – সময় বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে । উত্তর – পূর্ব ভারতের ‘ Life Line ‘ হিসেবেই বিষয়টি বিবেচিত হয়েছিল ।
প্রশ্ন ৬। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো ।
( ক ) ‘ শরাইঘাটের যুদ্ধ ’ লাচিত বরফুকনের সঙ্গে মোগলদের যুদ্ধের এক সোনালি ইতিহাস ।
উত্তরঃ লাচিত বরফুকনের সঙ্গে মোগলদের ‘ শরাইঘাটের যুদ্ধ ’ এক সোনালি ইতিহাস রচনা করতে সক্ষম হয়েছে । কেননা এই যুদ্ধের তাৎপর্য এবং মহত্ব অসমের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । শরাইঘাটের যুদ্ধে অসমের সৈন্য এবং সেনাপতির কর্মদক্ষতা , সময় অনুযায়ী কর্তব্যবোধ , আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার প্রকাশ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অদম্য দেশপ্রেমের ভাবের প্রতিফলন লক্ষিত হয় । বর্তমানে শরাইঘাট সেতু উত্তর – পূর্ব ভারতের প্রাণস্বরূপ । এই সেতুটি দেশের সঙ্গে অসম তথা সমগ্র উত্তর – পূর্ব ভারতের সংযোগ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই এই যুদ্ধ এক সোনালি ইতিহাস ।
( খ ) দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও সংস্কৃতির আদানপ্রদানে ‘ শরাইঘাট সেতু ’ চিরকালের সম্পদ হয়ে থাকবে।
উত্তরঃ শরাইঘাট সেতু বর্তমানে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করেছে । দেশ বিভাগের পর স্থল ও জলপথে উত্তর – পূর্ব ভারত সমগ্র দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল । বর্তমানে এই সেতুটি সমগ্র দেশের সঙ্গে উত্তর – পূর্ব ভারতের সংযোগ রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করে চলেছে । এই সেতুটি সমগ্র দেশের গৌরব ।
মন্দিরময় – পর্বতময় এই শহর যেহেতু প্রকৃতির লীলা নিকেতন , দেশের দ্বিতীয় ভূ – স্বর্গ , সেজন্য সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় এখানে লেগেই আছে । ধর্মপ্রাণ এবং প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা যেহেতু সারা বছরই এখানে ভিড় করে । সেজন্য স্বভাবতই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের সান্নিধ্যে এসে , ভাব প্রকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আদান – প্রদান ঘটে চলেছে অবিরাম । এই সুস্থ সংস্কৃতির প্রসার অবশ্যই দেশের জন্য চিরকালের সম্পদ হয়ে থাকবে ।
খ – ভাষা – অধ্যয়ন ( ব্যবহারিক ব্যাকরণ )
প্রশ্ন ৭। নীচের বাক্যে নিম্নরেখ পদগুলো ভালো করে লক্ষ করো।
( ক ) লাচিত বরফুকন মহাবীর ছিলেন ।
( খ ) লাচিত বরফুকনের দেশপ্রেম বন্দনীয় ।
( গ ) লাচিত বরফুকনকে শ্রদ্ধা জানায় ।
প্রথম বাক্যে — বরফুকন + ০ ( শূন্য ) বরফুকন ( এখানে কোনো অক্ষর বা চিহ্ন যুক্ত হয়নি )
দ্বিতীয় বাক্যে — বরফুকন + এর = বরফুকনের ( এখানে ‘ এর ’ যুক্ত হয়েছে )
তৃতীয় বাক্যে — বরফুকন + ( ক + এ ) এ = বরফুকনকে ( এখানে ‘ কে ’ যুক্ত হয়েছে । )
প্রশ্ন ৮। এভাবে শব্দের সঙ্গে যুক্ত ‘কে’, ‘এর’, ‘শূন্য’ ইত্যাদিকে ব্যাকরণের ভাষায় ‘ বিভক্তি ’ বলা হয় । বাংলায় বিভক্তি ৭ প্রকার । এগুলোর নাম এবং চিহ্নগুলো জেনে নাও ।
চিহ্ন
বিভক্তি | একবচন | বহুবচন |
প্রথমা | শূন্য বিভক্তি | রা , এরা |
দ্বিতীয়া | কে, রে | দের , এদের |
তৃতীয়া | দ্বারা , দিয়ে , কর্তৃক | দের , দ্বারা , দের দিয়ে |
চতুর্থী | কে, রে | দের , এদের |
পঞ্চমী | থেকে , হতে | দের থেকে , দের হতে |
যষ্ঠী | র , এর | দের , সকলের , সবার |
সপ্তমী | এ , তে , য় | গুলিতে , গুলোতে , দের কাছে , দের মধ্যে |
প্রশ্ন ৯। নীচের বাক্যগুলোর নিম্নরেখ পদের বিভক্তি – চিহ্ন এবং বিভক্তি – পরিচয় বের করো ।
( ক ) অসম সৈন্য মোগলদের পরাস্ত করে গুয়াহাটি ও কামরূপ উদ্ধার করেছিলেন ।
উত্তরঃ মোগলদের ‘ দের ’ যোগে ষষ্ঠী বিভক্তি ।
( খ ) তোমরা সুখে ঘরে ফিরে যাও ।
উত্তরঃ ঘরে— ‘ এ ’ যোগে সপ্তমী বিভক্তি ।
( গ ) লাচিত মহাবীর ছিলেন ।
উত্তরঃ লাচিত – প্রথমা বিভক্তি ।
( ঘ ) সেনাদের যুদ্ধে এগিয়ে যেতে বলো ।
উত্তরঃ সেনাদের— ‘ দের ’ যোগে ষষ্ঠী বিভক্তি ।
( ঙ ) মোগলেরা দিল্লি থেকে এসেছিলেন ।
উত্তরঃ দিল্লি থেকে– ‘ থেকে ’ যোগে পঞ্চমী বিভক্তি ।
( চ ) লাচিতকে ছাড়া অসমের ইতিহাস অসম্পূর্ণ ।
উত্তরঃ লাচিতকে— ‘ কে ’ যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি ।
(ছ) জীবন যুদ্ধে সত্যের জয় হয় ।
উত্তরঃ যুদ্ধে— ‘ এ ’ যোগে সপ্তমী বিভক্তি ।
প্রশ্ন ১০। বাক্য রচনা করো ।
প্রত্যেক , রাজাদেশ , মহৌষধি , যথেষ্ট , যথোচিত
উত্তরঃ প্রত্যেক— প্রত্যেক দেশবাসীর দেশকে শ্রদ্ধা করা উচিত ।
রাজাদেশ— রাজাদেশ লঙ্ঘন করা অন্যায় ।
মহৌষধি— জ্বরের মহৌষধি হল কুইনাইন ।
যথেষ্ট— এবছর যথেষ্ট বর্ষা হয়েছে ।
যথোচিত— প্রতিদিন যথোচিত দান করা কর্তব্য ।
● এসো , জানি
তোমরা ওপরে দেখলে পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি ধ্বনি বা বর্ণ দ্রুত উচ্চারণের ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে মিলিত হয়েছে , কিংবা লোপ পেয়েছে অথবা একটি অপরটির প্রভাবে পরিবর্তিত হয়েছে , এইরূপে মিলন বা লোপ বা পরিবর্তনকে সন্ধি বলে ।
প্রশ্ন ১১। তোমরা শশাঙ্ক , মহেশ , মহর্ষি ইত্যাদি নাম শুনে থাকো এগুলোকে আমরা এভাবে ভেঙে দেখতে পারি ।
প্রথমাংশ | দ্বিতীয়াংশ | |
শশাঙ্ক | শশ ( অ ) | অঙ্ক |
মহেশ | মহা ( আ ) | ঈশ |
মহর্ষি | মহা ( আ ) | ঋষি |
লক্ষ করো , শব্দগুলোর প্রথমাংশের শেষ বর্ণটি ( বন্ধনীর মধ্যে উল্লিখিত) , একটি স্বরবর্ণ । এই স্বরবর্ণ শব্দের দ্বিতীয়াংশের প্রথম স্বরবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়েই শব্দটি তৈরি হয়েছে । দুটি স্বরবর্ণই পাশাপাশি আছে । এইভাবে পাশাপাশি দুটি স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে । |
প্রশ্ন ১২। এবার কয়েকটি উদাহরণ দেখে নাও । ( সূত্রগুলো শিক্ষক শিক্ষয়িত্রী ছাত্র – ছাত্রীদের বুঝিয়ে দেবেন )
প্রশ্ন ১৩। স্বরবর্ণ পরে থাকলে এ স্থানে অয়্ , ঐ স্থানে আয় , ও – স্থানে অব্ এবং ঔ – স্থানে আব্ হয় ।
যেমন— নে + অন = নয়ন ( এ – স্থানে অয়্ )
নৈ + অফ = নায়ক ( ঐ – স্থানে অয়্ )
ভো + অন = ভবন ( ও – স্থানে অব্ )
পৌ + অক = পাবক ( ঔ – স্থানে অব্ )
প্রশ্ন ১৪। সন্ধি করো ।
মহা + ওষধি = __ মাতৃ + আদেশ =__
দেব + ইন্দ্ৰ = __পৌ + অক = ___
উত্তরঃ মহা + ওষধি = মহৌষধি মাতৃ + আদেশ = মাত্রাদেশ।
দেব + ইন্দ্ৰ = দেবেন্দ্র পৌ + অক = পাবক।
প্রশ্ন ১৫। নিম্নলিখিত শব্দগুলোর সন্ধি বিচ্ছেদ করো ।
স্বর্ণাক্ষর , দেবালয় , রবীন্দ্র , হিমালয় , কথামৃত , শশীন্দ্র , লঘুর্মি , নরেন্দ্র , যথোচিত , ক্ষুধার্ত , জ্ঞানেশ , শয়ন , গায়ক , পবন , বনৌষধি , মহৌষধি , স্বাগত, অন্বেষণ।
উত্তরঃ স্বর্ণাক্ষর = স্বর্ণ + অক্ষর।
রবীন্দ্র = রবি + ইন্দ্র।
কথামৃত = কথা + অমৃত।
লঘুমি = লঘু + ঊর্মি।
যথোচিত = যথা + উচিত।
জ্ঞানেশ = জ্ঞান + এশ।
দেবালয় = দেব + আলয়।
হিমালয় = হিম + আলয়।
শশীন্দ্ৰ = শশী + ইন্দ্ৰ।
নরেন্দ্র = নর + ইন্দ্ৰ।
ক্ষুধার্ত = ক্ষুধা + আর্ত।
শয়ন = শে + অয়ন।
গায়ক = গৈ + অক
বনৌষধি = বন + ঔষধি।
স্বাগত = সু + আগত।
পবন = পো + অন।
মহৌষধি = মহা + ঔষধি।
অন্বেষণ = অনু + এষণ।
প্রশ্ন ১৬। পদান্তর করো ।
বিশেষ্য ― বিশেষণ
প্রকৃতি ― প্রাকৃতিক।
জয় ― ____।
দেশ ― _____।
দিন ― ____।
বাদশাহ ― ___।
জাতীয় ― জাতি।
স্বাধীনতা ― ___।
গ্রাম্য ― _____।
দেশী ― _____।
বৈদিক ― ____।
উত্তরঃ বিশেষ্য ― বিশেষণ
প্রকৃতি ― প্রাকৃতিক।
জয় ― জয়ী।
দেশ ― দেশী।
দিন ― দৈনিক।
বাদশাহ ― বাদশাহী।
জাতীয় ― জাতি।
স্বাধীনতা ―স্বাধীন।
গ্রাম্য ― গ্রাম।
দেশী ― দেশীয়।
বৈদিক ― বেদ।
প্রশ্ন ১৭। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো ।
সামরিক ― __শত্রু ― ____।
নির্ভীক ― ___চেতনা ― ____।
স্বার্থ ― ___শৃঙ্খলা ― ___।
বিজয় ― ___জাগ্রত ― ___।
ধ্বংস ― ___প্রকাশ ― ____।
উত্তরঃ সামরিক ― অসামরিক শত্রু ― বন্ধু।
নির্ভীক ― সভয়ে চেতনা ― অজ্ঞান।
স্বার্থ ― পারার্থ শৃঙ্খলা ― বিশৃঙ্খলা।
বিজয় ― পরাজয় জাগ্রত ― সুপ্ত।
ধ্বংস ― সৃষ্টি প্রকাশ ― অপ্রকাশ।
গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ
প্রশ্ন ১৮। শরাইঘাট সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ পারে দুজন বীরের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে । সেই বীর দুজন কে ? তাঁদের বীরত্বের কাহিনি লেখো ।
উত্তরঃ ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষক / শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিয়ে নিজেরা লেখো ।
প্রশ্ন ১৯। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও-
( ক ) ‘ চিলারায় দিবস ’ কোন তারিখে পালন করা হয় ?
উত্তরঃ ‘ চিলারায় দিবস ‘ ৭ নভেম্বর তারিখে পালন করা হয় ।
( খ ) ‘ লাচিত দিবস ’ কোন তারিখে পালন করা হয় ?
উত্তরঃ ‘ লাচিত দিবস ’ ২৪ নভেম্বর তারিখে পালন করা হয় ।
( গ ) ‘ চুকাফা দিবস ‘ ( অসম দিবস ) কখন পালন করা হয় ?
উত্তরঃ ‘ চুকাফা দিবস ‘ ( অসম দিবস ) ২ ডিসেম্বর পালন করা হয় ।
প্রশ্ন ২০। রচনা লেখো-
( ক ) অসমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ।
উত্তরঃ অসমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য :- এই মহাবিশ্ব ঈশ্বরের অপূর্ব সৃষ্টি।বিভিন্ন বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ , বিভিন্ন গুণে সমৃদ্ধ , বড়ো আনন্দের আশ্রয়স্থল এই পৃথিবী । সেজন্য কবি বলেছেন “ মরিতে চাহি না আমি এ সুন্দর ভুবনে । ” পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্যের অপূর্ব সমাবেশ ভারতমাতাকে করে তুলেছে অপরূপা । সেই ভারতমাতার বড়ো আদরের কন্যা রূপলাবণ্যময়ী এই অসম । রূপলাবণ্যে , চঞ্চলতায় , হিল্লোলে ভরা অসম অসামান্যা । তার বুক জুড়ে আছে উচ্চ পর্বত , সুন্দর উপত্যকা , সমতল ভূমি আর গিরিকন্দর ।
পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব :- ভারতের উত্তর – পূর্ব প্রান্তের অতন্দ্ৰ প্রহরী , প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হল আসাম । সুনীল দিগন্তবিস্তৃত আকাশ , উত্তাল নদনদী , ধূম্র পাহাড় , নির্জন উপত্যকা , গিরিকন্দর প্রভৃতির সমাবেশে অসমের প্রকৃতি সুসমৃদ্ধা । এই অপূর্ব সৌন্দর্যে বহু দেশবিদেশী পর্যটক বহু প্রাচীনকাল থেকে আকর্ষিত হয়েছে। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ , নীলাচলের কামাখ্যাদেবীর মন্দির , শংকরদেবের স্মৃতি বিজড়িত মাজুলি , তুষার – ধবল পর্বতশৃঙ্গ , বিস্তীর্ণ শস্যশ্যামল সমতলভূমি , স্নিগ্ধ শ্যামল বনভূমি প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যকে করেছে আরও বিকশিত ।
পুরাণমতে সন্ধ্যাচল পাহাড়ে মহর্ষি বশিষ্ঠদেবের আশ্রম ছিল । দক্ষপ্রজাপতির কন্যা সতী পতিনিন্দা শুনে দেহত্যাগ করায় দেবাদিদেব মহাদেব যখন উন্মত্ত তখন ভগবান বিষ্ণু সতীর দেহ সুদর্শন চক্রে ছিন্ন করেন । সুদর্শন চক্রে ছিন্ন সতীর নিম্নাঙ্গ পতিত হয়েছিল নীলাচলে । এই বহু পৌরাণিক ঘটনায় সুসমৃদ্ধ অসম । আহোম রাজাদের বহু শৌর্যবীর্যের কাহিনী বিজড়িত প্রাসাদ , দুর্গ ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে অসমে । এইগুলি ঐতিহাসিক , সাহিত্যিক পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ণনা :- ঋতু অনুযায়ী এখানে বিভিন্ন রূপমাধুরী দেখা যায় । প্রতিদিন স্নিগ্ধ পরিবেশে পাখির কলকাকলীতে সূর্যোদয় হয়। মন্দিরে শঙ্খঘণ্টা , ধূপধূনা , ফল – ফুলের গন্ধ , মৃদুমন্দ বাতাস মানুষের মনে আনে এক স্বর্গীয় অনুভূতি । সূর্যের লাল আভা ধবল শৃঙ্গগুলিতে পড়ে । দিনশেষে অস্তগামী সূর্যের লাল আভা ব্রহ্মপুত্রের জলে পড়লে অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। পাখিরা নীড়ে ফেরে , মানুষেরা ঘরমুখো হয়। চা বাগানগুলিতে অন্ধকার নেমে আসে ।
অসম বলতে বোঝায় এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে । মণিপুর , মিজোরাম , ত্রিপুরা , মেঘালয় প্রভৃতিকে সমগ্র আসাম মনে হয় । এর উত্তরে হিমালয়, দক্ষিণে . পাটকই , নাগা লুসাই পর্বতশ্রেণি , মাঝে খাসিয়া , জয়ন্তিয়া পাহাড় ।
অসমের বিস্তীর্ণ সমতলভূমি ফুল – ফল এবং ধান , গম , পাট , চা ইত্যাদি শস্যসম্পদে সমৃদ্ধ । হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এখানে বসবাস করে । অসমে বহু নদনদী আছে । নদীগুলি উদ্দাম বয়ে চলে । উন্মত্ত গতিতে কখনও বা দুই কূল প্লাবিত করে ।
ঋতুরাজ বসন্তের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে অসমকে বড়ো সুন্দর দেখায় । তার মাঠ – ঘাট , পাহাড় – পর্বত , নদনদীতে তখন যেন যৌবনের পরিপূর্ণ বিকাশ । নদী কুলু কুলু ধ্বনিতে প্রবাহিত হয় । বনে বনে ফুল ফোটে , ভ্রমরের গুঞ্জন শোনা যায় । পাখিরা ডেকে ওঠে । আসে দোল , বিহু উৎসব । সকলে আনন্দে , প্রেমে মেতে ওঠে ।
এখানে নেই গ্রীষ্মের প্রখরতা । বর্ষার রানী যেন তার নিত্যসঙ্গী । প্লাবনে মাঠ ঘাট একাকার হয় । চতুর্দিকে দেখা যায় সবুজের সমারোহ । শরতে নির্মল আকাশে পেঁজা তুলার মতো মেঘের নিশান উড়ে । সবুজ ধানক্ষেতে সোনালি রোদ পড়ে । হেমন্তে পাকা ধানগুলির দিকে চেয়ে কৃষকদের মন আনন্দে ভরে যায় । এখানে শীতের প্রকোপ একটু বেশি । গাছগুলির পাতা ঝরে যাওয়ায় রুক্ষ দেখায় ।
অসমে চা বাগানগুলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। শত শত বিঘা জুড়ে থাকে চা বাগান । মহিলা শ্রমিকেরা গুন গুন গান গাইতে গাইতে চায়ের পাতা তোলে । সে এক নয়ন ভোলানো মনোহর দৃশ্য ।
( খ ) শরাইঘাটের যুদ্ধ ।
উত্তরঃ শরাইঘাটের যুদ্ধ :- লাচিত বরফুকন এবং মোগল সৈন্যদের মধ্যে শরাইঘাটের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল । যদিও শরাইঘাটের যুদ্ধ এবং বরফুকনের নাম একই সঙ্গে উচ্চারিত হয় । তার কারণ , বিশাল মোগল বাহিনীর তুলনায় অনেক কম সংখ্যক সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করে বরফুকন এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন । এর সঙ্গে ছিল সেনাপতি লাচিতের সুতীক্ষ্ণ যুদ্ধকৌশল । মোগল সৈন্যদের দুর্বলতাকে চিহ্নিত করে সেই জায়গায় তাদের আঘাত করে তিনি সাফল্য অর্জন করেছিলেন । এই যুদ্ধ জয়ের কারণেই পরবর্তীকালে অসম , সমগ্র দেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে , সাংস্কৃতিক , ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপিত করতে পেরেছিল । সেজন্য অসমের ইতিহাসে শরাইঘাটের যুদ্ধ এক অবিস্মরণীয় জায়গা নিয়ে আছে।
প্রশ্ন ২১। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো-
( ক ) শরাইঘাট দলং।
উত্তরঃ শরাইঘাট দলং :- সমগ্র উত্তর – পূর্ব ভারতের সঙ্গে অসমকে সংযোগ স্থাপন করার কারণে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় । গুয়াহাটি মহানগরীর প্রান্তে স্থাপিত এই সেতুটির নাম ‘ শরাইঘাট দলং ’।
( খ ) লাচিত বরফুকন।
উত্তরঃ লাচিত বরফুকন :- ১৬৭১ সালে মোগল এবং আহোমদের মধ্যে শরাইঘাটে যে যুদ্ধ হয়েছিল , সেই যুদ্ধে আহোমের সেনাপতি ছিলেন লাচিত বরফুকন । খুব কম সংখ্যক সৈন্য নিয়ে বিশাল মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সুতীক্ষ্ণ যুদ্ধকৌশলের সাহায্যে তিনি এই যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন । সেজন্য লাচিত বরফুকনের নাম অসমের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে ।
( গ ) রামসিংহ।
উত্তরঃ রামসিংহ :- ১৬৭১ সালে , মোগল বাহিনী এবং আহোম সৈন্যদের মধ্যে শরাইঘাটে যে যুদ্ধ হয়েছিল সেই যুদ্ধে মোঘল সৈন্যবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন রামসিংহ ।
ঘ―প্রকল্প
প্রশ্ন ২২। জাতীয় বীর লাচিতের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারি ও বেসরকারিভাবে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে লেখো । ( প্রয়োজনে শিক্ষক / শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন । )
উত্তরঃ শিক্ষক / শিক্ষয়িত্রী – র থেকে প্রয়োজনে সাহায্য নিয়ে নিজে নিজে লিখতে হবে ।
প্রশ্ন ২৩। বীর লাচিত মোগলদের আক্রমণ থেকে অসমকে রক্ষা করেছিলেন । ভারতবর্ষে দেশ রক্ষার্থে লাচিতের মতো মোগলদের সঙ্গে অনেকে যুদ্ধ করেছিলেন । সেরকম দুজন বীরের কথা সংগ্রহ করে লেখো এবং শ্রেণিতে পাঠ করে শোনাও।
উত্তরঃ বুন্দেলা বিদ্রোহ :- ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরোধিতা করেই মূলত এই বিদ্রোহ আরম্ভ হয় । বুন্দেলারা আসলে রাজপুতদের একটি গোষ্ঠী । ধর্মীয় কারণে বুন্দেলারাজ চম্পরায় প্রথম বুন্দেলা বিদ্রোহ আরম্ভ করলেও তিনি ব্যর্থ হন । তারপর তাঁর পুত্র ছত্রশাল স্বাধীন হিন্দু রাজ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৬৭১ খ্রিঃ পীড়িত হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলেন । ১৭৩১ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি মালবে স্বাধীন হিন্দুরাজ্যের অস্তিত্ব রক্ষা করেছিলেন ।
রাজপুত বিদ্রোহ :- প্রথম দিকে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে রাজপুতদের ভালো সম্পর্ক থাকলেও ১৬৭৮ খ্রিঃ মাড়োয়ারের রাজা যশোবন্ত সিংহের মৃত্যুর পর ঔরঙ্গজেব ইন্দর সিংহ নামে যশোবত্তের এক আত্মীয়কে মাড়োয়ারের রাজা হিসাবে স্বীকৃতি দিলে রাজপুতানার অনেকে তা মেনে নেননি । তাঁরা যশোবন্ত সিংহের বিধবা পত্নীর সদ্যোজাত যমজ শিশুদ্বয়ের মধ্যে একমাত্র জীবিত পুত্র অজিত সিংহকে সিংহাসনে বসানোর দাবি করলে , ঔরঙ্গজেব অজিত সিংহকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার কথা বলেন । এতে ক্ষুব্ধ রাঠোরের সর্দার দুর্গাদাস এবং মেবারের রানা রাজসিংহ ও তাঁর পুত্র জয়সিংহ ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আরম্ভ করেন । প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলতে থাকা রাজপুত বিদ্রোহকে ঔরঙ্গজেব দমন করতে পারেননি ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.