SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 2 জাতকের গল্প Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 2 জাতকের গল্প Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 2 জাতকের গল্প Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

জাতকের গল্প 

ক্রিয়াকলাপ

ক-পাঠভিত্তিক 

১। ছাত্র – ছাত্রীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে পাঠটির দুটি ভাগ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শুদ্ধ , সাবলীল ভঙ্গিতে পড়বে । 

উত্তরঃ নিজে করো । 

২। পাঠে তোমার যেসব নতুন শব্দ পেয়েছ , যেগুলো শনাক্ত করে একটি তালিকা তৈরি করো এবং শব্দগুলোর অর্থ জেনে নাও । ( বইয়ের শব্দ – সম্ভার বা অভিযান দেখে ) । 

উত্তরঃ নিজে করো ।

৩। উত্তর বলো ও লেখো –

( ক ) ব্রহ্মদত্ত কে ছিলেন ? 

উত্তরঃ প্রাচীনকালে বারাণসী নগরে এক রাজা ছিলেন ব্রহ্মদত্ত । 

( খ ) বোধিসত্ত্ব কেন দূরদেশে বাণিজ্যে যাওয়ার সংকল্প নিয়ে দ্বিধায় সম্মুখীন হয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ বোধিসত্ত্ব যখন দূরদেশে বাণিজ্যে যাওয়ার সংকল্প করলেন । ঠিক তখনই তিনি শুনতে পেলেন তারই মতো আরেকজন বণিক একই দেশে বাণিজ্য করতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছেন। 

বোধিসত্ত্ব ছিলেন দূরদর্শী । তাই তিনি মনে মনে ভাবলেন হাজার গাড়ির চাকার ঘর্ষণে রাস্তা ভেঙেচুরে যাবে । এত সব মানুষ ও পশুর খাদ্য ও পানীয় জলের অসুবিধা হবে দুই বণিক একসাথে বাণিজ্য করতে গেলে । 

তাই তিনি দূরদেশে বাণিজ্যে যাওয়ার সংকল্প নিয়েও দ্বিধায় ছিলেন ।

( গ ) বণিককে ডেকে বোধিসত্ত্ব কী বলেছিলেন এবং তিনি নিজে কী করেছিলেন ? 

উত্তরঃ বণিককে ডেকে বোধিসত্ত্ব বললেন আমরা দুজনে একসাথে বাণিজ্য করতে গেলে এত গাড়ির চাকার ঘর্ষণে রাস্তা ভেঙেচুরে যাবে । তাছাড়া এত লোকের খাদ্য এবং পানীয় জলের সংকট দেখা দেবে । তাই বোধিসত্ত্ব সেই বণিককে বাণিজ্য করতে আগে পাঠালেন এবং তিনি নিজে তারপর বাণিজ্য করতে গেলেন ।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

( ঘ ) বণিককে বোধিসত্ত্ব আগে যেতে বলেছিলেন কেন ? তাতে তাঁর কী ধরনের লাভ হয়েছিল ? 

উত্তরঃ বণিককে বোধিসত্ত্ব আগে যেতে বলেছিলেন তার কারণ সেই বণিকের গাড়িগুলো যাবার সময় উঁচু নীচু রাস্তাগুলো সমান হবে । ওদের বলদগুলো এখন পাকা ঘাষ পাতা খাবে তারপরে যখন সরু কচি পাতা বের হবে বোধিসত্ত্ব – র বলদগুলো তা খাবে । ওরা পথে জলের জন্য যে কূপ খনন করবে পরে আমরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারব । 

( ঙ ) দ্বিতীয় গল্পে বোধিসত্ত্বের বাণিজ্যের পথে কী পড়েছিল ? 

উত্তরঃ দ্বিতীয় গল্পে বোধিসত্ত্বের বাণিজ্যের পথে মরুভূমি পড়েছিল । 

( চ ) বোধিসত্ত্বের দল কেন মরুভূমিতে পথ হারিয়েছিল ? 

উত্তরঃ বোধিসত্ত্বের দলে একজন স্থান – নিয়ামক ছিলেন তিনি রাত্রিবেলায় নক্ষত্র দেখে কোন পথে যেতে হবে তা বলে দিতেন । কিন্তু একদিন রাত্রে তার স্থান – নিয়ামক সামনের গাড়িতে বসে থেকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে পথ দেখাতে পারেন নি । ফলে বোধিসত্ত্বের দল মরুভূমিতে পথ হারিয়েছিল। 

( জ ) বোধিসত্ত্ব কীভাবে নিজেকে এবং তার সঙ্গীদের রক্ষা করেছিলেন ?

উত্তরঃ মরুভূমিতে পথ হারিয়েও বোধিসত্ত্বের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি । তিনি ভাবলেন নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকলে এতগুলো প্রাণী অকালে মারা যাবে । এই ভেবে তিনি জলের সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। কিছুদূর গিয়ে এক জায়গায় একগুচ্ছকুশ দেখতে পেলেন । তখন তিনি বুঝতে পারলেন নিশ্চয়ই এর তলায় জল আছে । তা না হলে মরুভূমিতে কুশ জন্মাতে পারে না । 

এই ভেবে তিনি তার অনুচরদের কোদাল দিয়ে সেখানে কুয়ো খনন করতে বলেন । কিন্তু খনন করে ষাট হাত নিচেও জল পাওয়া গেল না । দেখা গেল সেখানে মাটি নেই শুধু পাথর । বোধিসত্ত্ব তখন নিচে নেমে গিয়ে সেই পাথরের উপর কান পেতে ভেতরে জলপ্রবাহের শব্দ শুনতে পেলেন । বুঝতে পারলেন সেই পাথরের নিচে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে । তখন তিনি উঠে এসে এক যুবক ভৃত্যকে বড়ো হাতুড়ি নিয়ে নিচে নেমে গিয়ে পাথরের ওপর ক্রমাগত আঘাত হানতে বললেন । পাথরের আঘাতে পাথর কেটে স্বচ্ছ জলের এক ফোয়ারা বেগে উঠে এল । তখন সবাই সেই জলে স্নান করল আর পানীয় জল তুলে রাখল । 

( জ ) এই গল্প দুটি পড়ে আমরা কী শিখলাম তা বলো । 

উত্তরঃ এই গল্প দুটি পড়ে আমরা শিখলাম বুদ্ধি যার বল তার । 

৪। পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে শূন্যস্থান পূর্ণ করো। 

( ক ) বারাণসী নগরের রাজার নাম ছিল ____।

উত্তরঃ ব্রহ্মদত্ত । 

( খ ) এক হাজার গাড়ির চাকার _____ রাস্তা ভেঙে চুরে যাবে। 

উত্তরঃ ঘর্ষণে ।

( গ ) ওদের গা গাড়িগুলো যাওয়ার ফলে _____ রাস্তা সমান হবে । 

উত্তরঃ উঁচু নিচু ।

( ঘ ) _____ নক্ষত্র দেখে পথ চিনতে পারতেন । 

উত্তরঃ স্থান নিয়ামক । 

( ঙ ) কান পেতে ভেতরে _____ শব্দ শুনতে পেলেন ।

উত্তরঃ জলপ্রবাহের । 

৫। ব্যাখ্যা করো : 

( ক ) জ্ঞানীজন অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে সাফল্য লাভ করেন । 

উত্তরঃ জ্ঞানীজন অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে সাফল্য লাভ করেন । ইচ্ছাই কাজের মূল প্রেরণা । মানুষের কাজের আগ্রহ ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে । পৃথিবীতে আমরা যে কোনো কাজই করতে যাই না কেন তাতে কিছু না কিছু বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয় । সেইসব অসুবিধা ও বাধা পেরিয়ে যেতে হলে প্রবল ইচ্ছাশক্তির দরকার । ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর সম্ভবে পরিণত করা যায় । ইচ্ছা ও অধ্যবসায়ের অভাবে মানুষ দুঃখের বোঝা বয়ে মরে , দুর্দশার পঙ্কে নিমজ্জিত হয়ে অশেষ কষ্ট ভোগ করে । 

মানুষের জীবনে রয়েছে অসংখ্য বাধা বিঘ্ন । অনেক সময়ই সফল হওয়ার পথটা সহজে চোখে পড়ে না । এ সময় হতাশ হওযয়া অনুচিত । 

মানুষের অন্তরে এমন একটা আশ্চর্যশক্তি নিহিত আছে যার সম্যক অনুশীলন ও ব্যবহার করতে জানলে খুব কঠিন বিষয়ও সহজ হয় । এই শক্তি হল পরিশ্রম করা মানসিকতা । মনের মধ্যে যে সাময়িক বাসনার উদ্রেক হয় তা ক্ষণিকের খেয়াল মাত্র । তা দিয়ে কোনো কাজ সুসম্পন্ন হতে পারে না । কিন্তু অধ্যবসায়ের জোরে জগতের খুব কঠিন কাজ সুসাধ্য হতে পারে । দুর্দমনীয় আত্মশক্তির বলে নেপোলিয়ন সমগ্র ইউরোপ শাসন করতে পেরেছিলেন । ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগাতে গেলে একাগ্রতা সহিষ্ণুতা ও অধ্যবসায় আয়ত্ত করতে হয় । অধ্যবসায় নেই এমন জাতির উন্নতি অসম্ভব

খ- ভাষা অধ্যয়ন ( ব্যবহারিক ব্যাকরণ ) 

৬। এক কথায় প্রকাশ করো । 

( ক ) যিনি নক্ষত্র দেখে পথ নির্দেশ করেন–

উত্তরঃ নিয়ামক । 

( খ ) জ্ঞান আছে যার –

উত্তরঃ জ্ঞানী । 

( গ ) সীমা নেই যার –

উত্তরঃ অসীম । 

( ঘ ) বাণিজ্য করেন যিনি –

উত্তরঃ বণিক । 

( ঙ ) পথে চলেন যিনি – 

উত্তরঃ পথিক । 

( চ ) বোধ নেই যার – 

উত্তরঃ অবোধ । 

( ছ ) জাহাজ চালান যিনি –

উত্তরঃ নাবিক । 

( জ ) চেষ্টা নেই যেখানে – 

উত্তরঃ নিশ্চেষ্ট । 

৭। নীচের শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো । 

উত্তরঃ অনিচ্ছা — ইচ্ছা ।

সুবিধা ― অসুবিধা ।

বেচা ― কেনা ।

সত্য ― মিথ্যা । 

অপ্রকৃত ― প্রকৃত ।

অজ্ঞানী ― জ্ঞানী । 

৮। নীচের শব্দগুলোর এক একটি প্রতিশব্দ লেখো। 

উত্তরঃ অগ্নি ― অনল ।

আকাশ ― গগন । 

চন্দ্ৰ ― চাঁদ ।

নক্ষত্র ― তারা ।

জেনে নাও ―

বিভিন্ন বিভক্তি ও বচনে প্রয়োগ করার সময় যে পদের কোনো প্রকার রূপগত পরিবর্তন সাধিত হয় না তাকে অব্যয় বলে । যেমন — ও , আর , কিন্তু , অথবা , তবে , তাছাড়া , এবং , তাই ইত্যাদি । 

৯। পাঠ থেকে পাঁচটি অব্যয়পদ খুঁজে বের করে লেখো । 

উত্তরঃ কখনো , অনেক , সেই , তাই , কিন্তু । 

১০। উপযুক্ত অব্যয় পদ দিয়ে শূন্যস্থান পূর্ণ করো― 

( ক ) সত্য ― মিথ্যা যাচাই করে নিতে হয় ।

উত্তরঃ আর ।

( খ ) তুমি ― আমি দুজনের একজনই বাণিজ্যে যাব । 

উত্তরঃ আর ।

( গ ) যুবকটি বলিষ্ঠ ― উদ্যমশীল ছিল । 

উত্তরঃ এবং ।

( ঘ ) তুমি গেলে ― আমি যাব না । 

উত্তরঃ আর ।

( ঙ ) রাম ― তুমি , কে আবেগ যাবে ? 

উত্তরঃ অথবা । 

জেনে নাও ― 

প্রতিটি বাক্যেই কর্তা , কর্ম ও ক্রিয়া পদ রয়েছে । যার বিষয়ে বলা হয় সে কর্তা । কর্তার কাজটি যে বিষয় নিয়ে সেটিই কর্ম । ক্রিয়া কোনো কাজ করাকে সূচিত করছে । যেমন বিহা যেমন – বণিক বাণিজ্যে গেলেন ।

এখানে কার বিষয়ে বলা হয়েছে ? ― বণিক ( কর্তা )

বণিক কী কাজ করেন ? ― বাণিজ্য ( কর্ম ) 

ক্রিয়া পদ গেলেন যা করাকে বোঝাচ্ছে । 

১১। নিম্নলিখিত বাক্যগুলো থেকে কর্তা , কর্ম ও ক্রিয়াপদ খুঁজে বের করো ―

( ক ) ব্রহ্মদত্ত বারাণসী নগরে বাস করতেন । 

উত্তরঃ কর্তা ― ব্রহ্ম দত্ত ।

কর্ম ― বারাণসী নগরে ।

ক্রিয়াপদ ― বাস করতেন ।

( খ ) বণিকে কূপ খনন করিয়েছেন । 

উত্তরঃ কর্তা ― বণিক ।

কর্ম ― কূপ ।

ক্রিয়াপদ ― খনন করিয়েছেন । 

( গ ) বোধিসত্ত্ব পরে বাণিজ্যে গেলেন । 

উত্তরঃ কর্তা ― বোধিসত্ত্ব ।

কর্ম ― পরে ।

ক্রিয়াপদ ― বাণিজ্যে গেলেন । 

( ঘ ) সবাই ঘুমিয়ে পড়লেন । 

উত্তরঃ কর্তা ― সবাই ।

কর্ম ― ঘুমিয়ে ।

ক্রিয়া ― পড়লেন । 

১২। নীচের অনুচ্ছেদটির উপযুক্ত স্থানে যতি , বিরাম চিহ্ন বসাও । 

তখন তিনি উঠে এসে তাঁর এক যুবক ভৃত্যকে বললেন তুমি একটি বড়ো হাতুড়ি নিয়ে নীচে নেমে গিয়ে পাথরের ওপর ক্রমাগত ঘা মারতে থাক সে প্রভুর আদেশ পালন করল তখনি সেই পাথর ফেটে স্বচ্ছ জলের এক ফোয়ারা বেগে উঠে এল তখন সকলের আনন্দ আর ধরে না সবাই সেই জলে স্নান করল আর পানীয় জল তুলে রাখল প্রচুর পরিমাণে তারপর রান্নার ব্যবস্থা করা হল সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু কাঠের দ্রব্য ছিল সেগুলো চিরে জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হল 

উত্তরঃ তখন তিনি উঠে এসে তাঁর এক যুবক ভৃত্যকে বললেন , — “ তুমি একটি হাতুড়ি নিয়ে নীচে নেমে গিয়ে পাথরের ওপর ক্রমাগত ঘা মারতে থাকে ” । সে প্রভুর আদেশ সেই পাথর ফেটে স্বচ্ছ জলের এক ফোয়ারা বেগে উঠে এল । তখন সকলের আনন্দ আর ধরে না । সবাই সেই জলে স্নান করল আর পানীয় জল তুলে রাখল প্রচুর পরিমাণে । তারপর রান্নার ব্যবস্থা করা হল । সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হিসেবে ব্যবহার কিছু কাঠের দ্রব্য ছিল । সেগুলো চিরে জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হল ।

( গ ) জ্ঞান সম্প্রসারণ 

১৩। এসো , কবি অতুলপ্রসাদ সেনের ‘ নিবেদন ‘ কবিতাটির কয়েকটি পংক্তি সকলে মিলে আবৃত্তি করি— 

সংসারে যদি নাহি পাই সাড়া 

      তুমি ত ’ আমার রহিবে 

বহিবারে যদি নাহি পারি ভার 

      তুমি ত ’ বন্ধু বহিবে । 

দুঃখেরে আমি ডরিব না আর 

      কণ্টক হেকা কণ্ঠের হার , 

জানি তুমি মোরে করিবে অমল 

      যতই অনল দহিবে । 

 ( সংক্ষেপিত ) 

উত্তরঃ নিজে করো ।

১৪। ভাবসম্প্রসারণ করো । 

( ক ) নিবোধ ব্যক্তিরা সত্যকে ফেলে মিথ্যাকেই আশ্রয় করেন । 

উত্তরঃ মানুষের সামনে রয়েছে দুটি জগৎ । একটি আত্মস্বার্থের ক্ষুদ্র পৃথিবী , অন্যটি সমগ্র মানব সমাজকে নিয়ে তার বৃহৎ বিশ্ব । এই দুই পৃথিবীর মাঝে মানুষের দোলাচল মন কেবলই আত্মস্বার্থের অভিমুখী হয়ে পড়ে । কিন্তু জীবনের এই ক্ষুদ্র স্বার্থপরতার মধ্যে যে সার্থকতা নেই সে কথাই বলা হয়েছে । 

মানুষের বাঁচার অর্থ শুধু তার শারিরীক অস্তিত্ব রক্ষা নয় । তার যথার্থ পরিচয় মনুষ্যত্ব প্রকাশের মধ্যে । মানুষ যতই দেশ ও দশের জন্য আত্মস্বার্থকে বিসর্জন দেয় , ততই সে অন্যের হৃদয়ে অধিকার লাভ করে।একমাত্র এই পথেই মানুষের জীবন গৌরবান্বিত হয়ে উঠতে পারে । একক আত্মপ্রীতির যে জগৎ মানুষ সেখানে অতি ক্ষুদ্র , মহাজীবনের সমগ্রতা থেকে বিচ্যুত হয়ে সে তখন এক ভগ্নাংশ মাত্র । মানুষ যদি শুধু তার নিজের জন্য বাঁচত , যদি নিজের স্বার্থই তার কাছে একমাত্র সত্য হত তবে পৃথিবীর এই সভ্যতা গড়ে উঠত না । পৃথিবীর সভ্যতার মূলে আছে সংখ্যাতীত মানুষের আত্মত্যাগ ও কর্মপ্রচেষ্টা । মানুষ শুধু নিজের জন্য বাঁচে না , বহুর জন্য তাঁকে বাঁচতে হয় । সেই বৃহৎ জগতের মধ্যেই তার বাঁচার সার্থকতা । মানুষ যতই স্বার্থত্যাগ করে ততই সে অপরের মধ্যে নিজের সত্তাকে বহুতর করে তুলতে পারে । পরার্থপরতাই মানবজীবনকে চরিতার্থতার পথে নিয়ে যায় । বাঁচাকে সার্থক করে তোলে । 

১৫। নীচে যে অবস্থাগুলো বলা হয়েছে সেই অবস্থার মোকাবিলা তুমি কিভাবে করবে— 

( ক ) তুমি স্কুলে আসার সময় পথে হঠাৎ ঝড় – বৃষ্টি হলে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবে ? 

উত্তরঃ স্কুলে আসার সময় হঠাৎ করে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হলে আমি দৌড়ে গিয়ে কোনো দোকানে বা বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নেব । কোনো গাছের নীচে দাঁড়াব না । কারণ ঝড়ের সময়ে গাছের ডাল হঠাৎ ভেঙে পড়ে আঘাত লাগতে পারে । এছাড়াও বজ্রপাতের সম্ভাবনাও থাকে । সেইজন্য স্কুলে আসার পথে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোনো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেব । 

( খ ) পরীক্ষার আগে তোমার বন্ধু তার স্কুলের ব্যাগটি বইখাতা সমেত হারিয়ে ফেললে তুমি তাকে কীভাবে সাহায্য করবে ?

উত্তরঃ পরীক্ষার আগে আমার বন্ধু তার স্কুলের ব্যাগটি বইখাতা সমেত হারিয়ে ফেললে অবশ্যই আমার খারাপ লাগবে । আমি চেষ্টা করবো তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করতে । বন্ধুকে বলবো আমার বাড়িতে এসে পড়াশোনা করতে । কারণ আমারও তো পরীক্ষা দেব । তাই বেশিদিনের জন্য তাকে বই দিয়ে দিলে আমার অসুবিধা হবে । তবে দু – তিনদিনের জন্য বন্ধুকে বই দেওয়া যেতে পারে । খাতার নোটসগুলি বলব — ফটোকপি করে নিতে। স্কুলে কোনো বিষয়ে স্যারেদের দেওয়া সাজেশন বলব লিখে নিতে । এছাড়াও বন্ধুকে পরামর্শ দেব স্কুলে স্যারেদের সাথে কথা বলতে । 

( গ ) কোনো বিশেষ কারণে তুমি স্কুলে অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলে , তুমি সেই দিনগুলোর ক্ষতি কীভাবে পূরণ করবে ? 

উত্তরঃ আমি বেশ কিছু দিন শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি । সেইজন্য প্রথমেই চেষ্টা করবো এই দিনগুলিতে প্রতিটি বিষয় কতটা পড়ানো হয়েছে কিংবা এগিয়ে গিয়েছে সেটি জেনে নিতে । এ বিষয় বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে তার মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে নেব । গৃহশিক্ষকের সাথেও আলোচনা করব । পড়াশোনার জন্য নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা বাড়িয়ে নেব । গণিতের অন্তত দুটি করে অনুশীলনী শিক্ষকের কাছ থেকে শিখে নিয়ে নিজে বাড়িতে অভ্যাস শুরু করব । শিক্ষকের কাছ থেকে পুরনো পড়া ও নতুন পড়া বুঝে নেব । দরকারে বন্ধুদের এবং বাড়িতে মা বাবার কাছ থেকেও সাহায্য নেব । হোমওয়ার্ক এর পরিমাণ বাড়িয়ে নেব ।

১৬। নীচের চিত্রগুলো দেখে একটি গল্প তৈরি করো । 

উত্তরঃ নিজে করো । 

১৭। প্রাসঙ্গিক বই , শিশুসাহিত্য অথবা সংবাদপত্রে ছোটেদের পাতা থেকে , ‘ ছোটোগল্প ’ বা ‘ ‘ কবিতা ‘ সংগ্রহ করে লিখবে । শ্রেণিতে সেটি পাঠ করবে এবং দেওয়ালে লাগিয়ে রাখবে । 

উত্তরঃ নিজে করো । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। টীকা লেখ : 

( ক ) জাতক ।

উত্তরঃ ভারতের প্রাচীনতম গল্প সংগ্রহের নাম হল জাতক বা পালি ভাষায় ‘ জাতকথ বন্ননা”। জাতক হল ভগবান শাকামুনি বুদ্ধের পূর্বজন্মের কাহিনির স্কলন। অনেকের মতো জাতক হল পৃথিবীর সমস্ত ছোটগল্পের উৎস। কথিত আছে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য সম্রাট অশোকের পুত্র মহেন্দ্র যখন সিংহলে গিয়েছিলেন তখন তার সঙ্গে ছিল জাতকের কাহিনিগুলি। সেই মুল গ্রন্থ এখন বিলুপ্ত। সিংহলি ভাষায় যে জাতক প্রচলিত আছে বর্তমানের জাতক মালা তারই অনুবাদ। কারো মতে পঞ্চ ম শতাব্দীতে সিংহলি ভাষা থেকে প্ৰালিভাষায় এই রূপান্তর নাকি ঘটিয়েছিলেন বুদ্ধ ঘোষ। এই গল্পগুলির রচনাকাল-সম্পর্কে সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় . বলেছেন__ “বর্তমান জাতক কাহিনীমালা যারই অনুদিত হোক এগুলি যে ভারতের প্রাটীনতম সঙ্কলন ‘এবং এদের অনেকগুলিই যে খ্রিস্টজন্মের দ্বিতীয় বা তৃতীয় শতকের পূর্ববর্তী এ সম্বন্ধে সকলেই একমত হয়েছেন। এদের কিছু কিছু কাহিনি বুদ্ধের জন্মের পুর্ব থেকেই চলিত কয়েকটি বুদ্ধের সমকালীন, কয়েকটি পরবতী।মোটের উপর খিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে খিস্টীয় পঞ্চ ম শতক পর্যন্ত জাতক কাহিনীর নির্মিতিকাল বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে”। জাতকের রচনাকৌশল মধ্যযুগীয় ইউরোপের অনেক রচনাতে গ্রহণ করা হয়েছিল। মুল গল্পেরও অনেকগুলিই পাওয়া যায় “আরব্য উপন্যাস” বা “দেকামেরোন”-এ। অর্য্য জাতির প্রাচীনতম গল্প সঙ্কলন এই সম্মান জাতকের যথার্থই প্রাপ্য। জাতকে প্রায় ৫০০ গল্প অন্তভূক্ত আছে। এসব গল্পে ধরা ব্যবহার তথা জীবনচর্চা। প্রতিটি জাতকে আছে পাঁচটি অঙ্গ । সেগুলি হল ―

( ১) পচ্চুগ্পন বথু (অর্থাৎ সুচনাপর্ব বর্তমানের পটভূমি)।

(২) অতীত বথু (গদ্যে বোধিসত্তের অতীত জন্মগত মুলকাহিনির বর্ণনা) 

(৩) গাথা কবিতায় কাহিনির মর্মবীজ (এগুলি জাতকের প্রাচীনতম উপকরণ, এদের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে কাহিনীর ভাষ্যরূপ) 

(৪) বেজ্জকরণ (এতে গাথার আক্ষরিক অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে) 

(৫) সমবধান বা যোগ রচনা পোত্রপান্রীদের সাথে বর্তমানের এক্য বিনিময় করা হয়েছে) 

( খ ) বোধিসত্ত্ব : বোধিসত্ত্ব শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে বুদ ত্ত্ব শোস্বত জ্ঞান) প্রাপ্তিই যার ভবিতব্য অর্থাৎ যিনি বৌধিলাভ করার জন্যই জগতে আবির্ভূত হুয়েছেন। বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন শাখায় বোধিসাত্তের বহুবিধ ব্যাখ্যা থাকলেও মহাযান বৌদ্ধধর্ম মতে-বোধিসত্ত্ব হলেন তিনিই যিনি জগতের কল্যাণের জন্য স্বয়ং নির্বাণ লাভ থেকে বিরত থাকেন এবং বিশ্বের সকল জীবের মুক্তি লাভের উপায় করেন। 

ব্যাকরণ

১। পদগুলি পরিবর্তন করো। 

উত্তরঃ 

বিশেষ্য                     বিশেষণ
পরিচয়পরিচিত
লজ্জ্বালজ্জিত
নীলনীলাভ
ইতিহাসঐতিহাসিক
অঙ্কুরঅঙ্কুরিত
দিনদৈনিক
অভ্যাসঅভ্যস্ত
লম্বা লম্বিত
আভাসআভাসিত

২। সন্ধি করো – 

উত্তরঃ (ক) সূর্য + অস্ত = সূর্যাস্ত ।

(খ) সর্ব + উচ্চ = সর্বোচ্চ ।

(গ) বোধ + উদয় = বোধোদয় ।

(ঘ) রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র ।

(ঙ) রাজা + খষি = রাজর্ষি ।

(চ) অতি + ইত = অতীত ।

(ছ) ম্নেহ + অন্ধ = স্নেহান্ধ । 

(জ) শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা ।

(ঝ) গঙ্গা + ঊর্মি =  গংগোর্মি ।

(ঞ) গিরি + ঈশ = গিরীশ ।

(ট) মহা + ইন্দ্র = মহেন্দ্র ।

(ঠ) বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয় ।

৩। সন্ধি বিচ্ছেদ করো। 

উত্তরঃ (ক) বন্যার্ত ― বন্যা + ঋত ।

(খ) অপেক্ষা ― অপ্‌ + ঈক্ষা ।

(গ) দিগন্ত ― দিক‍‌ + অন্ত ।

(ঘ) পরিছন্ন ― পরি + ছন্ন ।

(ঙ) অন্বয় ― অনু+ অয় ।

(চ) পাবক ― পৌ + অক্ । 

(ছ) যথোচিত ― যথা + উচিত ।

(জ) শচীশ ― শচী + ঈশ ।

(ঝ) বাগদেবী ― বাক্‌ + দেবী ।

(ঞ) সদাশয় ― সৎ + আশয় ।

(ট) ধাত্রী ― ধাতৃ + ঈ ।

(ঠ) নিজন্ত ― নিচ্‌+ অস্ত ।

৪। একার্থক শব্দ লেখো ।

উত্তরঃ (ক) শিব ― শংকর, গিরিশ, মহাদেব, হর। 

(খ) সমুদ্র ― সাগর, বারিধি, পাহাড়, অদ্রি। 

(গ) আকাশ ― গগন, অন্বর, ব্যোম, নভঃ। 

(ঘ) অশ্ব ― তুরগ, তুরঙ্গ, ঘোড়া, ঘোটক। 

(ঙ) মাতা ― মা, জননী, অন্বা, মাতৃকা।

1 thought on “SEBA Class 7 Bengali Chapter 2 জাতকের গল্প”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top