SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 5 মানবসৃষ্ট পরিবেশ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

মানবসৃষ্ট পরিবেশ

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে।

(ক) পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?

উত্তরঃ পরিবেশকে দুভাগে ভাগ করা যায়- প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানবসৃষ্ট পরিবেশ।

(খ) মানুষের উপকারে আসে এবং আর্থিক মূল্য রয়েছে এমন সামগ্ৰীকে কী বলে ?

উত্তরঃ সম্পদ।

(গ) ভারত সরকারের কোন মন্ত্রালয়টি দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের দিকটি তদারক করে ?

উত্তরঃ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রালয়।

(ঘ) ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ?

উত্তরঃ দুটো ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদী উপত্যকার সমভূমি এবং পাহাড়ি অঞ্চল।

(ঙ) উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলাকে বর্তমানে কী নাম দেওয়া হয়েছে।

উত্তরঃ ডিমা-হাসাও।

প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশকে ____________পরিবেশ বলে।

উত্তরঃ কৃত্রিম।

(খ) শারীরিক ও মানসিকভাবে কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিকে ____________বলে।

উত্তরঃ মানব সম্পদ।

(গ) অন্য সব সম্পদের তুলনায় মানব সম্পদ ____________ সম্পদ।

উত্তরঃ শ্রেষ্ঠ।

(ঘ) অসম দক্ষিণ ____________ মৌসুমি জলবায়ুর গতিপথে অবস্থিত।

উত্তরঃ পশ্চিম।

(ঙ) অসমের কৃষি উৎপাদিত শস্যকে ____________ প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।

উত্তরঃ ৩টি।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ উত্তরটি নির্ণয় করাে।

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশের একটি উদাহরণ হচ্ছে গাছপালা/ ঘরবাড়ি।

উত্তরঃ ঘরবাড়ি।

(খ) জাপান পৃথিবীর ভেতর উল্লেখযােগ্য শিল্পোদ্যোগ প্রধান/ কৃষি প্রধান দেশ।

উত্তরঃ শিল্পোদ্যোগ প্রধান।

(গ) অসমের নদী উপত্যকা অঞ্চলের অধিবাসীদের মুখ্য জীবিকা চাকুরি/কৃষি।

উত্তরঃ কৃষি।

(ঘ) পাহাড়ি অঞ্চলে জনবসতি ঘন/কম।

উত্তরঃ কম।

(ঙ) কাৰ্বি আংলং/উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার বর্তমান নাম ডিমাহাসাও।

উত্তরঃ উত্তর কাছাড়।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ অসুদ্ধ নির্ণয় করাে।

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশকে কৃত্রিম পরিবেশ বলে।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(খ) প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলাে ব্যবহার করে মানবসৃষ্ট পরিবেশের উপাদান সৃষ্টি করা হয়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) মানবসৃষ্ট পরিবেশ পরিবর্তনশীল।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) শারিরীক এবং মানসিকভাবে উৎপাদনমুখী কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিগণই মানব সম্পদ।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে অসমকে দুটো পৃথক খণ্ডে ভাগ করা যায়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৫। সংক্ষেপে উত্তর লেখা- (৪০টি শব্দের ভেতরে)।

(ক) সমাজ উন্নয়নে মানব সম্পদের ভূমিকা।

উত্তরঃ মানুষ কল্যাণ সাধন করতে পারে এবং মানুষের কাজের আর্থিক মূল্য আছে, এজন্য মানুষও সম্পদ। মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের ফলেই মানব সভ্যতার ক্রমাগত উন্নয়ন হচ্ছে। মানব দ্বারা উদ্ভাবিত বিভিন্ন দ্রব্য-সামগ্রীই আমাদের জীবন ধারণের মান উন্নত করেছে। রন্ধন গ্যাস, বিদ্যুৎ, মােবাইল ফোন, প্রেসার কুকার, এগুলাে থেকে দৈনন্দিন গৃহের কাজে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। মুদ্রাযন্ত্র, কম্পিউটার, কৃত্রিম উপগ্রহ ইত্যাদির উদ্ভাবন আমাদের সমাজব্যবস্থাকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতি সমগ্র পৃথিবীকে এক বিশাল গ্রামে পরিণত করেছে। মানব সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ স্বাভাবিকভাবেই উন্নত।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

(খ) অসমের জনবসতি বিস্তারের ওপর নদী উপত্যকার সমভূমির প্রভাব।

উত্তরঃ অসমের ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকার মাটি পলিমাটি। মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে রাজ্যটি কৃষির উপযােগী। ফলে এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকে উপজীবিকা হিসাবে গ্রহণ করেছে। বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র ও এদের উপনদীগুলাের উপত্যকার ভূ-অবয়ব প্রায় সমান। নদীর মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাও অতি সহজ হয়েছে ও কম ব্যয়ে যাতায়াত করা যায়। এই সকল কারণে নদী উপত্যকা অঞ্চলের সমভূমিতে ঘন জনবসতি দেখা যায়। এছাড়াও সমভূমি অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থাও অতি সহজে বিস্তার লাভ করেছে।

প্রশ্ন ৬। বিশদভাবে লেখাে- (৮০টি শব্দের ভেতরে)

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশের উপাদানগুলাে কী কী ? এই পরিবেশ গঠনে মানুষ কি ভূমিকা গ্রহণ করে ?

উত্তরঃ মানবসৃষ্ট উপাদানগুলাে হল- রাস্তাঘাট, সেতু, ঘর-বাড়ি, শিল্পোদ্যোগ, পরিবার, সামাজিক রীতিনীতি, কৃষ্টি-সভ্যতা, ধর্মীয় আচরণ, শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনৈতিক কাজগুলােও মানবসৃষ্ট পরিবেশের উপাদান।

মানবসৃষ্ট পরিবেশের উপাদানগুলাে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান থেকেই গ্রহণ করতে হয়। মানুষের বিভিন্ন প্রকারের কাজকর্মের ফলে মানব-সৃষ্ট পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে। মানুষ জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশের সাথে পরিবেশ উন্নয়নের প্রতিও লক্ষ্য রাখে। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি, কৌশলকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলাে মানুষের প্রয়ােজনে ব্যবহার করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়- শরাইঘাট সেতু নির্মাণের পূর্বে মানুষ নৌকো দিয়ে এপার থেকে ওপারে যেত। কয়েক বছর আগেও জায়গাটি সবুজ পাহাড় ও খাল-বিলে ভরা ছিল। এখন এখানে মাটি ভর্তি করে কিছু ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন করেছে। পাশেই তৈরি করেছে কামরূপ গ্রাম্য জেলার জেলাধিপতির কার্যালয় এবং ক্রীড়াপ্রকল্প, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মালিক কার্যালয় ও রেলপথ, বীর চিলারায়ের প্রতিমূর্তি, পাণ্ডু জাহাজঘাট, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এভাবে মানুষের প্রচেষ্টা দ্বারা প্রতিকূলতার মধ্যেও পরিবেশ গড়ে উঠেছে।

(খ) কীকী কারণে অসমে বন্যা হয় ? বন্যার সঙ্গে সহাবস্থান করার ফলপ্রসূ যুক্তি দিয়ে দুটো ব্যবস্থার উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ অসমে বন্যা হবার কারণগুলাে হল-

১। ব্রহ্মপুত্র, বরাক এবং তাদের উপনদীগুলাে পাহাড়ের ওপর থেকে ভূমিক্ষয়ের মাটি, বালি বােঝাই করে সমভূমির অংশের দিকে বা নীচের জায়গাগুলােতে জমা করে। এভাবে মাটি ও বালি বৎসরের পর বৎসর জমা হয়ে নদীগুলাের গভীরতা কমে জলধারণের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই ঘন ঘন বন্যা হচ্ছে।

২। ব্রহ্মপুত্র ও তার উত্তর পারের উপনদীগুলাে বৃষ্টির জল ছাড়াও হিমালয়ের বরফগলা জল বহন করে, তার ফলে দুটো পার উপচে পড়ে ও বন্যার সৃষ্টি হয়।

৩। মানুষের কাজের দ্বারাও কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়।

অসমের বেশিরভাগ মানুষ বন্যা কবলিত অঞ্চলে বাস করে। বন্যা আক্রান্ত অঞ্চলের অধিবাসীগণ বন্যার সঙ্গে সহাবস্থানের ব্যবস্থা করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমবে। এর জন্য ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।

(i) গৃহপালিত জীবজন্তু ও মানুষের খাদ্যসামগ্রী বন্যার জলে যাতে নষ্ট না হয় তাই উঁচু মাচাঘর বানিয়ে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা।

(ii) বন্যার সময়ে ব্যবহারযােগ্য পরিস্কার জলের ব্যবস্থা করা।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কোন ব্যক্তিদের মানব সম্পদ বলে লেখাে।

উত্তরঃ যে সকল ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে কোন উৎপাদনমুখী কাজ করে সমাজের বিকাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সক্ষম তারাই মানব সম্পদ। যেমন- শিল্পী, সাহিত্যিক, খেলােয়াড়, সমাজ সংস্কারক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২। অন্যান্য সম্পদের তুলনায় মানব সম্পদ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ, এর সমর্থনে দুটো যুক্তি উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ (ক) মানুষ সীমাহীন জ্ঞান-বুদ্ধির অধিকারী।

(খ) মানুষ কল্যাণ সাধন করতে পারে এবং মানুষের কাজের আর্থিক মূল্য আছে।

প্রশ্ন ৩। মানব সম্পদ উন্নয়নে নেওয়া তিনটি ব্যবস্থার উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ (ক) মােট জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা।

(খ) নিযুক্তি বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা।

(গ) বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ৪। তালিকা পূর্ণ করাে ও উন্নত/অনুন্নত ব্যবহার করবে; জনবসতি ঘন/পাতলা ব্যবহার করবে।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ১১। তালিকাটি পূর্ণ করাে।

উৎপাদিত শস্যশস্যের নাম
রবি শস্য__________
খরিফ শসা__________
জায়দ শস্য__________

উত্তরঃ 

উৎপাদিত শস্যশস্যের নাম
রবি শস্যআউস ধান, বােরােধান, সরিষা, ডাল, তিল, গম, ভুট্টা, তিল, তামাক।
খরিফ শসাশালি ধান, পাট, আখ, ইত্যাদি।
জায়দ শস্যশস্য, তরমুজ, ঝিঙে, কুমড়াে, ভূট্টা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। বন্যা ক্ষতি করা ছাড়াও কোনপ্রকার উপকার সাধন করে কি ? বন্যা মানুষের উপকার করে এমন দুটো উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বন্যা মানুষের ক্ষতি করার বিপরীতে কিছু কিছু উপকার সাধন করে।

(ক) বন্যার জল প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি বহন করে আনে। এই পলি কৃষিজমিগুলােকে উর্বর করে তােলে।

(ক) বন্যার জল ভূ-পৃষ্ঠে জমে থাকা কিছু কিছু আবর্জনা ভাসিয়ে নিয়ে কোন স্থান প্রদূষণমুক্ত করে।

প্রশ্ন ১৩। বন্যার আগে, বন্যার সময়ে ও বন্যার পর গ্রহণীয় সাবধানতার দুটো করে উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ 

বন্যার আগে-বন্যার সময়ে-বন্যার পর-
(ক) বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে বন্যা না হওয়ার সময়ে কৃষিকাজে গুরুত্ব দেওয়া। এর উৎপাদনের উপার্জন থেকে প্রয়ােজনীয় ধান চাল ক্রয় করার ব্যবস্থা করা।(ক) পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি নজর রাখতে হবে কেউ যাতে বন্যার জলে ভেসে না যায়।(ক) প্রয়ােজনবােধে অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে হবে।
(খ) বন্যার আগে প্রয়ােজনীয় ঔষধ, খাদ্য, অস্থায়ী গৃহনির্মাণের সামগ্রী, বীজাণুনাশক দ্রব্য মজুত রাখা।(খ) সব সময়ই জলের উচ্চতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবংপ্রয়ােজনবােধে সাহায্য চাইতে হবে।(খ) পানীয় জল ফুটিয়ে পান করতে হবে।

প্রশ্ন ৮। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে ।

(ক) মাটি, জল, গাছপালা ইত্যাদি কোনাে একটি স্থানে __________পরিবেশের সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক।

(খ) অর্থনৈতিক কাজ কর্ম, কৃষি, বাণিজ্য ইত্যাদি __________পরিবেশ।

উত্তরঃ মানব সৃষ্ট।

(গ) অসমে নদী-উপত্যকার সমভূমি এবং __________ দুটো পৃথক ভূ- অঞ্চ ল আছে।

উত্তরঃ পাহাড়ি ভূ-খণ্ডের।

(ঘ) ভারত সরকারের __________ দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি তদারক করে।

উত্তরঃ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রালয়।

প্রশ্ন ৯। বাঁ দিকের সঙ্গে ডানদিকের অংশ রেখা টেনে মেলাও।

(ক) মানব সৃষ্ট(ক) ব্ৰহ্মপুত্র বাের্ড।
(খ) মানুষ(খ) বৃষ্টি।
(গ) জাপান(গ) শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
(ঘ) মৌসুমি বায়ু(ঘ) সেতু।
(ঙ) বন্যা নিয়ন্ত্রণ(ঙ) শিল্পোদ্যোগ।

উত্তরঃ

(ক) মানব সৃষ্ট(ঘ) সেতু।
(খ) মানুষ(গ) শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
(গ) জাপান(ঙ) শিল্পোদ্যোগ।
(ঘ) মৌসুমি বায়ু(খ) বৃষ্টি।
(ঙ) বন্যা নিয়ন্ত্রণ(ক) ব্ৰহ্মপুত্র বাের্ড।

প্রশ্ন ১০। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও-

(ক) শরাইঘাট সেতু নির্মাণের পূর্বে মানুষ কিভাবে এপার থেকে ওপার যেত ?

উত্তরঃ নৌকার সাহায্যে।

(খ) সম্পদ কাকে বলে ?

উত্তরঃ মানুষের উপকার সাধনকারী এবং আর্থিক মূল্য আহরণে সক্ষম দ্ৰব্যগুলাে হচ্ছে সম্পদ।

(গ) মানব সম্পদ বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে উৎপাদনমুখী কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তিগণকে মানব সম্পদ বলা হয়।

(ঘ) ভারতবর্ষে মানব সম্পদ উন্নয়নের দিকটি কে তদারক করে ?

উত্তরঃ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রালয়।

(ঙ) মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান যােগানােকয়েকটি জনকল্যাণমূলক প্ৰতিষ্ঠানের নাম লেখাে।

উত্তরঃ ব্যাঙ্ক, উত্তর-পূর্ব পরিষদ, উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন বিত্তীয় নিগম, আত্মসহায়ক গােষ্ঠী ইত্যাদি।

(চ) অসমের কৃষি বাণিজ্যিক হয়ে উঠতে পারেনি কেন ?

উত্তরঃ অসমের কৃষিব্যবস্থায় মাথাপিছু মাটির পরিমাণ সীমিত, বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভরশীল, পরম্পরাগত কৃষিপ্রণালী এবং বন্যার প্রভাব ইত্যাদি কারণে এটা বাণিজ্যিক হয়ে উঠতে পারেনি।

(ছ) পরিবেশে কিভাবে প্ৰদূষণের সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক উপাদানগুলাের অত্যধিক আহরণের ফলে প্রকৃতির স্বাভাৱিক অবস্থার ভারসাম্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর ফলে পরিবেশে প্ৰদূষণের সৃষ্টি হয়।

(জ) মানুষকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বিভিন্ন উপাদানগুলােকে  ব্যবহারের উপযােগী করে নেয়। মানুষ সীমাহীন জ্ঞান-বুদ্ধির অধিকারী  এই জ্ঞানবুদ্ধির সাহয্যে নতুন নতুন আবিষ্কার করে আসছে। এই জ্ঞানবুদ্ধির  মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলােকে সম্পদে পরিণত করছে। এই গুনের জন্যই অন্য সব সম্পদের তুলনায় মানুষ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

(ঝ) পৃথিবীর ঘন বসতিপূর্ণ কয়েকটি নদী উপত্যকার নাম লেখ।

উত্তরঃ ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ;ইউরােপের রাইন, এব, ডানিয়ুব আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি ; মিশরের নীল নদ ; বাংলাদেশের পদ্মা; চীনের হােয়াংহাে, ইয়াংসিকিয়াং, মায়ানমারের ইরাবতী নদীর উপত্যকা ইত্যাদি।

(ঞ) অসমের পাহাড়ি ভূখণ্ডে জনসংখ্যা আকারে ও ঘনত্বে সর্বনিম্ন হবার কারণ কী ?

উত্তরঃ অসমের কাৰ্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলা দুটোর পাহাড়ি  ভূ-প্রকৃতি। দুটো জেলাতেই পাহাড়ি উঁচু-নিচু ভূ-প্রকৃতির জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা সব জায়গায় সুগম নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ, যাতায়াত, কৃষি,  শিক্ষা, উদ্যোগ ইত্যাদি অন্যান্য সমভূমি অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে। এখানকার জনজাতীয় মানুষ জুম কৃষিপ্রথা অবলম্বন করেছে। এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-ধারণ প্রণালী খুবই কষ্টকর। এই সকল বিভিন্ন কারণে  এখানকার জনসংখ্যা আকারে ও ঘনত্বে সর্বনিম্ন।

(ট) নদী-উপত্যকা অঞ্চলগুলােতে ঘন জনবসতি হবার কারণ কী ?

উত্তরঃ নদীর উপত্যকা অঞ্চলগুলাে পলিমাটি দিয়ে গঠিত এবং কৃষিকাজের বিশেষ উপযােগী। এই অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত। নদী  উপত্যকা অঞ্চলের কোন কোন স্থানে শিল্প-উদ্যোগ গড়ে উঠেছে। নদীপথে

পরিবহণ ব্যবস্থার বিশেষ সুযােগ থাকার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হয়েছে। এই অঞ্চলে শহর, নগর ও মহানগর আছে। এখানে মানুষের জীবন ধারণের প্রণালী সুবিধাজনক। এজন্য নদী উপত্যকা অঞ্চলে জনবসতি ঘন।

প্রশ্ন ১১। অসমের কৃষি উৎপাদিত শস্যগুলােকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ অসমের কৃষি উৎপাদিত শস্যগুলােকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। খারিফ শস্য, রবি শস্য এবং জায়দ শস্য।

রবি শস্য- যেসব ফলন শীতের শুরুতে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে তােলা হয় তাদের রবি শস্য বলে। যেমন- গম, যব, ছােলা, মটর, সরিষা, আউস ধান বােরাে ধান, ভূট্টা।

খারিফ শস্য- যেসব ফসল গ্রীষ্মের শেষে বা বর্ষার শুরুতে চাষ করে শীতের শুরুতে তােলা হয় তাদের খারিফ শস্য বলে। যেমন- ধান, জোয়ার, বাজরা, রাগী, ভূট্টা, কার্পাস, পাট, ইক্ষু, চীনাবাদাম ইত্যাদি।

জায়দ শস্য- কিছু কিছু শস্যের চাষ এপ্রিল ও জুনমাসের মধ্যে অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে করা হয়। এগুলােকে জায়দ শস্য বলে। যেমন- শসা, তরমুজ, ঝিঙে, কুমড়াে, ভূট্টা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১২। শৃঙ্খলাবদ্ধ গড়ে ওঠেনি এধরনের কয়েকটি কৃষির নাম লেখ।

উত্তরঃ আলু, মূলা, কপি, লাউ, বেগুন, আদা, আম, কাঁঠাল, আনারস, নারিকেল, পেঁপে, সুপারি, পান, কলা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৩। বন্যার সঙ্গে কী কী সহাবস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কম হবে ?

উত্তরঃ (ক) বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে বন্যা না হবার সময়ে কৃষিকাজে গুরুত্ব দেওয়া। এর উৎপাদনের উপার্জন থেকে প্রয়ােজনীয় ধান, চাল ক্রয় করার ব্যবস্থা করা।

(খ) উচু জায়গায় ঘর-বাড়ি বানিয়ে সম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্থা করা। বন্যার সময়ে মানুষ ও গৃহপালিত জীব-জন্তুদের নিয়ে উচু সুরক্ষিত স্থানে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া।

(গ) গৃহপলিত জীব-জন্তু ও মানুষের খাদ্যসামগ্রী বন্যার জলে যাতে নষ্ট না হয়, তাই উঁচু মাচাঘর বানিয়ে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা।

(ঘ) বন্যার সময়ে ব্যবহারযােগ্য পরিস্কার জলের ব্যবস্থা করা।

(ঙ) বন্যার আগে প্রয়ােজনীয় ঔষধ, খাদ্য, অস্থায়ী গৃহনির্মাণের সামগ্রী, বীজাণুনাশক দ্রব্য মজুত রাখা।

(চ) ব্যক্তিগত নৌকা বা ভেলা রাখা।

(ছ) কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ফোন নম্বর রাখা।

(জ) বন্যার সম্ভাব্য বিপদ থেকে বাঁচতে সাঁতার শেখা।

(ঞ) বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রচারিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে প্রয়ােজনীয় সংবাদ সংগ্রহ করা।

প্রশ্ন ১৪। দেশের নাগরিকগণকে মানব সম্পদে উন্নীত করার কয়েকটি আর্থসামাজিক দিকের আলােচনা করাে।

উত্তরঃ জনসংখ্যা- জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবার অর্থ এই নয় যে মানব সম্পদও বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের বর্ধিত জনসংখ্যাকে উৎপাদনমুখী কর্মের যােগ্য করে তুলতে পারলে তবেই মানব সম্পদ উন্নত হয়।

খাদ্য- শারীরিক ও মানসিক শ্রমের জন্য সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া প্রয়ােজন। এর জন্য নাগরিকদের সুষম আহারের ব্যবস্থা করা।

বাসস্থান- স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।

শিক্ষা- যে শিক্ষা বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলাে সমাধানে সফলতা এনে দেয় (গুণগত শিক্ষা) সে ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করা।

কর্মসংস্থান- কর্মসংস্থানের দ্বারা নিযুক্তির সুবিধা দিয়ে দারিদ্র দূর করা তথা উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করে মানব সম্পদের উন্নয়ন করা।

প্রশ্ন ১৫৷ মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার কয়েকটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, সেগুলাে কী কী ?

উত্তরঃ (ক) মােট রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি করা।

(খ) দারিদ্রের অনুপাত হ্রাস করা।

(গ) নিযুক্তি বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা।

(ঘ) ছেলে-মেয়েদের গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।

(ঙ) দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস করা।

(চ) স্বাক্ষরতা, আয় এবং সামাজিক ন্যায়ের ব্যাপারে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা।

(ছ) শিশু ও মায়ের অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস করা।

বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা।

(ঝ) স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দরিদ্র শ্রেণির জন্য বাসগৃহের ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ১৬। দক্ষতামূলক কার্য-

(ক) মানবসৃষ্ট পরিবেশের একটি চিত্র অঙ্কন কর।

উত্তরঃ নিজে চেষ্টা কর।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top