Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 6 সম্পদ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
সম্পদ
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
উত্তর দাও-
প্রশ্ন ১। সম্পদ বলতে কী বােঝ ? সম্পদের প্রধান ভাগ কয়টি এবং কী কী ? লেখাে।
উত্তরঃ মানুষের প্রয়ােজন পূরণের জন্য যে উৎস থেকে দ্রব্য বা সামগ্রীগুলাে পাওয়া যায় সেগুলােই সম্পদ। কিন্তু প্রত্যেক দ্রব্য বা সামগ্রী সম্পদ নয়। মানুষের প্রয়ােজন পূরণের এবং উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারা দ্রব্য সামগ্রীই সম্পদ।
সম্পদকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়- প্রাকৃতিক, মানব সম্পদ। মানবসৃষ্ট সম্পদ।
প্রশ্ন ২। মানব শ্রেষ্ঠতম জৈবিক সম্পদ। যুক্তি সহকারে লেখাে (১০০টি শব্দের মধ্যে)
উত্তরঃ মানুষ শ্রেষ্ঠতম জৈবিক সম্পদ। ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা, কর্মদক্ষতা এবং কৌশল, উৎপাদন ক্ষমতা এবং কর্মের আচরণ বিধি দেশের মানুষের দ্বারা সৃষ্ট সম্পদের প্রধান কারক। একটি রাষ্ট্রের অধিবাসীর দক্ষতার উপর রাষ্ট্রের উন্নতি অনেকাংশে নির্ভর করে। সেজন্যই মানুষ নিজে দেশের সম্পদ হবার সাথে সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পদের সৃষ্টি এবং রূপান্তরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। মানুষ সীমাহীন জ্ঞান-বুদ্ধির অধিকারী। এই জ্ঞান-বুদ্ধির সাহায্যে মানুষ নতুন নতুন আবিষ্কার করে আসছে। মানব সম্পদ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ জৈবিক সম্পদ। মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহার ঘটলে দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। যেমন জাপানের কথাই ধরা যাক- প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব থাকা সত্ত্বেও মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে জাপান আজ পৃথিবীর এক প্রথম সারীর দেশ তথা ধনী দেশে পরিণত হয়েছে।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
প্রশ্ন ৩। তােমার জানা প্রাকৃতিক সম্পদসমূহ কী কী ? সেইগুলাের সংরক্ষণের ব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদসমূহকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
(ক) নবীকরণক্ষম সম্পদ এবং অনবীকরণ সম্পদ।নবীকরণক্ষম প্রাকৃতিক সম্পদগুলাে হল- মাটি, জল, বায়ু, গ্যাস, প্রাকৃতিক তৃণভূমি, অরণ্য, বন্য জীবজন্তু ইত্যাদি।
(খ) অনবীকরণক্ষম সম্পদগুলাে হল- খনিজ পদার্থ, তামা, লােহা, জীবাশ্ম ইন্ধন (কয়লা, খনিজ তেল) ইত্যাদি।
খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ পদার্থ তামা, লােহা ইত্যাদির ভাণ্ডার অতি সীমিত। এগুলাের পরিমিত ব্যবহার করাটাই উচিত।
সম্পদসমূহ সংরক্ষণ করতে হলে কিছুনীতি মেনে চলা একান্ত প্রয়ােজন। সম্পদ সংরক্ষণের নীতি এবং আচরণবিধিগুলাে মূলত এই ধরনের-
(ক) সম্পদের সংরক্ষণের জন্য পরিকল্পনা করা।
(খ) সম্পদের মজুত এবং মানুষের প্রয়ােজনের মধ্যে সমতা রক্ষা করে চলা।
(গ) উপযুক্তভাবে সম্পদ এবং পরিবেশ রক্ষার পক্ষে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সে-ধরনের কাজকে উৎসাহিত করা।
প্রশ্ন ৪। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন বলতে কী বােঝ ? দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের প্রয়ােজন কেন লেখাে।
উত্তরঃ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ উভয় ক্ষেত্রে মানুষের জীবনের প্রয়ােজনীয়তা পূরণের ব্যবস্থাই সম্পদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন।
বর্তমানে যান্ত্রিক শক্তির অধিক ব্যবহারের ফলে অধিক উৎপাদন হচ্ছে ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার হচ্ছে। এভাবে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সাংঘাতিক সমস্যার সৃষ্টি করবে। মানুষের প্রগতি এবং অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য প্রকৃতিতে থাকা সম্পদ রাজির সদ্ব্যবহার করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভবিষ্যতেও যাতে এই সম্পরাজির ব্যবহার করা যায় তার জন্য সচেতনতার মনােভাব গড়ে তােলা একান্ত প্রয়ােজন। অন্যথা কিছু কিছু সম্পদ একদিন কমে কমে নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই সম্পদরাজির ভবিষ্যৎ ব্যবহার এবং উন্নয়নের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে পরিকল্পনা করে সংরক্ষণ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ৫। পার্থক্য লেখাে।
(ক) নবীকরণক্ষম সম্পদ এবং অনবীকরণক্ষম সম্পদ।
উত্তরঃ
নবীকরণক্ষম সম্পদ | অনবীকরণক্ষম সম্পদ |
১। এই শ্রেণির সম্পদ মানুষ সব-সময় ব্যবহার করতে থাকলেও শেষ হবে না। | ১। একবার ব্যবহার করবার পর পুনরায় সৃষ্টি করা যায় না। |
২। একটি বিশেষ সময়ের মধ্যে স্থানান্তর, পরিবর্তন এবং পুনরায় উৎপাদনের মাধ্যমে নবীকরণ সম্ভব। | ২। এ ধরনের সম্পদ পুনরায় নবীকরণ সম্ভব নয়। |
৩। এ ধরনের সম্পদ একবার ব্যবহার করার পরেও আবার ব্যবহারের সুবিধা আছে। | ৩। এ ধরনের সম্পদ আবার ব্যবহারের সুবিধার ব্যবস্থা না থাকায় পরিমিত ব্যবহারের প্রয়ােজন। |
(খ) সর্বব্যাপী সম্পদ এবং স্থানভিত্তিক সম্পদ।
উত্তরঃ
সর্বব্যাপী সম্পদ | স্থানভিত্তিক সম্পদ |
১। সবজায়গায় পাওয়া যায়। যেমন, বায়ু। | ১। একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ এবং অবস্থায় পাওয়া যায়। |
২। এটা অসীম। | ২। এটা অসীম। |
৩। এ সম্পদের জন্য সাধারণত মূল্য দিতে হয় না। | ৩। এ সম্পদের জন্য মূল্য দিতে হয়। |
(গ) প্রকৃত সম্পদ এবং সম্ভাবনাপূর্ণ সম্পদ।
উত্তরঃ
প্রকৃত সম্পদ | সম্ভাবনাপূর্ণ সম্পদ |
১। মানুষ বর্তমানে সদ্ব্যবহার করছে। | ১। ভবিষ্যৎ উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হবে। |
২। এ ধরনের সম্পদ মজুত থাকার পরিমাণ অনুমান করা যায়। | ২। এ ধরনের সম্পদের মজুতের পরিমাণ নিশ্চিত করে বলা যায় না। |
৩। এ ধরনের সম্পদের পরিমিত ব্যবহার অতি আবশ্যক। | ৩। এ ধরনের সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমিত ব্যবহারের প্রয়ােজন নাও হতে পারে। |
প্রশ্ন ৬। শুদ্ধ উরটিতে / চিহ্ন দাও।
(ক) সম্পদ হতে হলে নীচের কোনটির প্রয়ােজন হয় না।
(i) পরিমাণ।
(ii) প্রয়ােজন পূরণে সমর্থ সামগ্রী।
(iii) ব্যবহারের জন্য উপযােগী।
উত্তরঃ পরিমাণ।✔
(খ) নীচের কোটি মানবসৃষ্ট সম্পদ নয় ?
(i) পাহাড়-পর্বত।
(ii) বাসগৃহ।
(iii) জলবিদ্যুৎ।
উত্তরঃ পাহাড়-পর্বত।✔
প্রশ্ন ৭। নীচের তালিকাটির সাহায্যে স্থানীয় সম্পদের সংরক্ষণের পরিকল্পনা করি এসাে।
উত্তরঃ শ্রেণি শিক্ষকের সাহায্য নিজে চেষ্টা কর।
প্রশ্ন ৮। তােমার বাসস্থানের চতুর্দিকে অবস্থিত প্রাণী এবং উদ্ভিদের তালিকা প্রস্তুত করাে এবং সেগুলাে কেন সংরক্ষণের প্রয়ােজন তা লেখাে।
উত্তরঃ নিজে চেষ্টা করাে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ৯। সব দ্রব্য বা সামগ্রীহি সম্পদ হয় না- উক্তিটি যুক্তি সহকারে দলগতভাবে আলােচনা করে লেখাে।
উত্তরঃ আমাদের প্রকৃতিতে পাওয়া সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী সম্পদ নয়। আমাদের অজানা এবং ব্যবহার না করা অনেক দ্রব্য বা সামগ্রী আছে, যেগুলাে আমাদের প্রয়ােজন পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়নি। সেজন্য এসব দ্রব্যসামগ্রী সম্পদ নয়। আমাদের বিভিন্ন প্রয়ােজনসমূহ দ্রব্যসামগ্রী পূরণ করে এবং এর উপযুক্ত ব্যবহারই দ্রব্যসামগ্ৰীসমূহকে সম্পদে পরিণত করে। কাজেই কোনাে দ্রব্য সম্পদ হতে হলে এটিকে আমাদের প্রয়ােজন পূরণ করতে হবে, ব্যবহারের উপযােগী হতে হবে, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এবং সুবিধা হবে।
প্রশ্ন ১০ একটি দেশের উন্নতি নির্ভর করে সেই দেশটিতে বসবাসকার মানুষ এবং মানব সম্পদের উপরে। -যুক্তি সহকারে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ মানুব নিজেও সম্পদের অন্তর্ভূক্ত। মানুষ শ্রেষ্ঠতম জৈবিক সম্পদ। একটি রাষ্ট্রের অধিবাসীর দক্ষতার উপর রাষ্ট্রের উন্নতি অনেকাংশে নির্ভর করে। এজন্য মানুষ নিজে দেশের সম্পদ হবার সাথে সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পদের সৃষ্টি এবং রূপান্তরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের দেশে মেধার বহির্গমন ঘটছে। এটা রাষ্ট্রের সম্পদের এক ক্ষতিকারক দিক।
প্রশ্ন ১১। সম্পদসমূহ আমরা কী কী কারণে সংরক্ষণ করব তা আলােচনা করে লেখাে।
উত্তরঃ পৃথিবীতে গাছপালা, বন্যপ্রাণী এবং অরণ্যের পরিমাণ বহু পরিমাণে কমে গেছে। জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনে কৃষি শিল্পোদ্যোগ, শিল্প, ব্যবসা এবং বৃত্তিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমরা এমন এক অবস্থা বা পরিবেশের সম্মুখীন যার জন্য সম্পদের সংরক্ষণের অতি প্রয়ােজন।
প্রশ্ন ১২। “অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রাকৃতিক সম্পদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে।”এই উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার করে নিজের মতামত তুলে ধরাে।
উত্তরঃ বর্তমানে প্রযুক্তিবিদ্যা প্রয়ােগ করে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করায় অধিক উৎপাদন লাভ করা সম্ভব হয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, যান্ত্রিক শক্তির সাহায্যে অধিক উৎপাদন করার ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার হচ্ছে। এভাবে উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার এবং অপব্যবহার ভবিষ্যতে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে চাপের সৃষ্টি করবে। মানুষের প্রগতি এবং অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য প্রকৃতিতে থাকা সম্পদরাজির সদ্ব্যবহার করাটা অতিগুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ১৩। প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে সব বস্তুসামগ্রী প্রকৃতি থেকে আহরণ করা হয়, সেগুলােই প্রাকৃতিক সম্পদ।
প্রশ্ন ১৪। প্রাকৃতিক সম্পদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদকে দুইভাগে ভাগ করা যায়।
(ক) অক্ষয় সম্পদ। এবং
(খ) ক্ষয়িষ্ণু সম্পদ।
(ক) অক্ষয় সম্পদ : অক্ষয় সম্পদসমূহ অফুরন্ত। মানুষ সবসময় ব্যবহার করেও এগুলােকে শেষ করতে পারবে না। যেমন- বৃষ্টিপাত, বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি ইত্যাদি।
(খ) ক্ষয়িষ্ণু সম্পদ : ক্ষয়িষ্ণু সম্পদকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ করা যায়-
(i) নবীকরণক্ষম সম্পদ।
(ii) অ-নবীকরণক্ষম সম্পদ।
(i) নবীকরণক্ষম সম্পদ- এই শ্রেণির সম্পদসমূহ মানুষ সবসময় ব্যবহার করতে থাকলেও শেষ হবে না, কারণ প্রকৃতি এগুলােকে নবীকরণ করতে থাকে। যেমন- মাটি, জল, বায়ু, গ্যাস ইত্যাদি। এ ধরনের সম্পদ একবার ব্যবহার করার পরেও আবার ব্যবহারের সুবিধা থাকে।
(ii) অ-নবীকরণক্ষম সম্পদ- একবার আহরণ করে ব্যবহার করার পর এই সম্পদ পুনরায় সৃষ্টি হয় না এবং প্রকৃতিও এই ধরনের সম্পদ পুনরায়উৎপাদন করে না। যেমন- খনিজ পদার্থ, তামা, লােহা, কয়লা, খনিজতেল ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৫। জৈবিক সম্পদ ও অজৈবিক সম্পদ বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ জৈবিক সম্পদ ও জীবজগৎ থেকে আমরা যে সকল সম্পদ আহরণ করি সেগুলিই জৈবিক সম্পদ। যেমন- বিভিন্ন শস্য, ফল-মূল, শাক-সবৃজি, জন্তু থেকে আহরণ করা বিভিন্ন সামগ্রী ইত্যাদি। মানুষও জৈবিক সম্পদের অন্তর্গত।
অ-জৈবিক সম্পদ- প্রাণহীন সম্পদসমূহকে অজৈবিক সম্পদ বলা হয়। যেমন- শিলা, মাটি, জল, খনিজ সামগ্রী ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৬। নিম্নলিখিত বিষয়গুলাের সংজ্ঞা লেখাে ?
(ক) সর্বব্যাপী সম্পদ।
(খ) স্থানভিত্তিক সম্পদ।
(গ) প্রকৃত সম্পদ।
(ঘ) সম্ভাবনাপূর্ণ সম্পদ।
উত্তরঃ (ক) সর্বব্যাপী সম্পদ- সাধারণত সব জায়গায় পাওয়া সম্পদসমূহই সর্বব্যাপী সম্পদ। যেমন- বায়ু।
(খ) স্থানভিত্তিক সম্পদ- একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে এবং অবস্থায় পাওয়া সম্পদসমূহকে স্থানভিত্তিক সম্পদ বলে। এগুলাে সব স্থানে পাওয়া যায় না। যেমন- আকরিক লৌহ, তামা, কয়লা ইত্যাদি।
(গ) প্রকৃত সম্পদ- মানুষ সদ্ব্যবহার করে এবং কাজে লাগিয়ে প্রকৃতি থেকে ইতিমধ্যে যে সব সম্পদ আহরণ করেছে সেটিই প্রকৃত সম্পদ।
(ঘ) সম্ভাবনাপূর্ণ সম্পদ- যে সকল সম্পদ আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সাহায্য করার সম্ভাবনা বেশি এবং বর্তমানে এর ব্যবহার সে রকম সম্ভাবনার আভাস দেয় সেগুলােই হল সম্ভাবনাপূর্ণ সম্পদ। উদাহরণ-অসমের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্ৰহ্মপুত্র নদের জলবিদ্যুৎ শক্তি আহরণের প্রচুর সম্ভাবনা সম্পন্ন এবং জলসিঞ্চনের সুবিধা লাভে সক্ষম সম্পদ।
প্রশ্ন ১৭। জল কেন আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ ?
উত্তরঃ পৃথিবীর মােট জলভাগের প্রায় ৯৭% সমুদ্রের লবণাক্ত জল এবং মাত্র ৩% সাধারণ জল। এই ৩% সাধারণ জলের সম্পূর্ণ অংশও আমাদের পাওয়া সম্ভব নয়। কেননা এর একাংশ জল মেরু অঞ্চলের বরফে আবৃত থাকে। পৃথিবীর সমগ্র জলের তুলনায় জলপৃষ্ঠ এবং মাটির নীচ থেকে সহজে পাওয়া অলবণাক্ত জলের পরিমাণ ০.০০০৩%। তাই, পৃথিবীতে থাকা জলের পরিমাণ অত্যধিক হলেও ব্যবহারযােগ্য জলের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অতি কম। অতএব এটি আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ।
প্রশ্ন ১৮। জল সংরক্ষণের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে ?
উত্তরঃ (ক) অপ্রয়ােজনে জল ব্যবহার না করা এবং ব্যবহার না হওয়ার সময়ে জলের নল বন্ধ করে অপচয় রােধ করা।
(খ) বৃষ্টির জল জমা করে রেখে পুনরায় ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।
(গ) শশাধিত জল জলসেচে ব্যবহার করা।
(ঘ) ঘরােয়া এবং ঔদ্যোগিক উভয় ক্ষেত্রেই জল ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া।
প্রশ্ন ১৯। শক্তি সংরক্ষণের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ?
উত্তরঃ (ক) সৌরশক্তি, পরমাণুশক্তি ইত্যাদি বৈকল্পিক শক্তিসম্পদকে দৈনন্দিন প্রয়ােজনীয় শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা।
(খ) শক্তি আহরণের সময়ে ইন্ধনের অপব্যয় না করা।
(গ) উত্তম, কর্মক্ষম ইন্ধন ব্যবহার করা।
(ঘ) যথাসম্ভব কম পরিমাণে জীবাশ্ম ইন্ধন (কয়লা, পেট্রোলিয়াম) ব্যবহার করা।
প্রশ্ন ২০। ভূমি কী কী ভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে ?
উত্তরঃ (ক) প্রাকৃতিকভাবে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় খাদ্যশস্য উৎপাদন করা।
(খ) ঢালু জমিতে খাঁজ কেটে ভূমিক্ষয় রােধ করা।
(গ) ঘাস, ডাল জাতীয় ভূমিক্ষয় প্রতিরােধী উদ্ভিদ রােপণ করা।
প্রশ্ন ২১। কিসের ভিত্তিতে সম্পদসমূহের শ্রেণি বিভাজন করা হয় ?
উত্তরঃ প্রাচুর্য, উৎপত্তি, বিতরণ এবং উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে।
প্রশ্ন ২২। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।
(ক) মানুষের প্রয়ােজন পূরণের জন্য যে উৎস থেকে দ্রব্য বা সামগ্রীগুলাে পাওয়া যায় তাই __________।
উত্তরঃ সম্পদ।
(খ) অসমে __________ চা-শিল্প গড়ে তােলে।
উত্তরঃ ব্রিটিশরা।
(গ) কয়লা একটি __________ ইন্ধন।
উত্তরঃ জীবাশ্ম।
(ঘ) বায়ু একটি __________ সম্পদ।
উত্তরঃ নবীকরণক্ষম।
(ঙ) জল একটি মূল্যবান __________ সম্পদ।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক।
প্রশ্ন ২৩। শুদ্ধ উত্তরটি লেখাে।
(ক) কয়লা একটি-
(i) নবীকরণক্ষম।
(ii) অনবীকরণক্ষম।
(iii) সর্বব্যাপী সম্পদ
উত্তরঃ অনবীকরণক্ষম।
(খ) মানুষ একটি-
(i) জৈবিক।
(ii) অজৈৰিক।
(iii) নবীকরণক্ষম সম্পদ।
উত্তরঃ জৈবিক।
(গ) অসমে চা শিল্প গড়ে তুলেছে-
(i) চীনারা।
(ii) আমেরিকানরা।
(iii) ব্রিটিশরা।
উত্তরঃ ব্রিটিশরা।
(ঘ) পৃথিবীর মােট লবণাক্ত সমুদ্রজলের পরিমাণ-
(i) ১০০০%
(ii) ৯৭%
(iii) ৩৩%
উত্তরঃ ৯৭%
(ঘ) একটি সর্বব্যাপী সম্পদের উদাহরণ-
(i) কয়লা।
(ii) পেট্রোলিয়াম।
(iii) বায়ু।
উত্তরঃ বায়ু।
প্রশ্ন ২৪। দক্ষতামূলক কার্য-
(ক) একটি কয়লা খনন অঞ্চলের দৃশ্য অঙ্কন করাে।
(খ) বায়ুকলের চিত্র অঙ্কন করাে।
(গ) চা বাগিচার চিত্র আঁক।
উত্তরঃ নিজে চেষ্টা করাে।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.