Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 9 ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর-
প্রশ্ন ১। শুদ্ধ অশুদ্ধ নির্ণয় করাে।
(ক) ভারতে দুই ধরনের মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) জনসংখ্যার আকারের ক্ষেত্রে ভারতবর্ষ পৃথিবীর মধ্যে প্রথম।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(গ) ভারতবর্ষের প্রায় মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা চলে গেছে।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঘ) দক্ষিণ ভারতের কালাে মাটি অঞ্চ ল চা চাষের জন্য উপযােগী।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(ঙ) মরুভূমি অঞ্চলে চিরসবুজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তরটি নির্ণয় করে লেখাে-
(ক) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রশান্ত মহাসাগর/আরব সাগর লােহিত সাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ আরব সাগর।
(খ) ২০১১ সনের লােকগণনা অনুসারে ভারতবর্ষের জনসংখ্যার ঘনত্ব হলাে প্রতি বর্গ কিলােমিটারে ৩৮০/৩৮২/৩২৪ জন।
উত্তরঃ ৩৮২
(গ) ফলমূল উৎপাদনে পাঞ্জাব/জম্মুকাশ্মীর/হিমাচল প্রদেশের স্থান ভারতের মধ্যে প্রথম।
উত্তরঃ জম্মু-কাশ্মীর।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
(ঘ) মরুভূমি অঞ্চলে চিরসবুজ কাটাযুক্ত/তৃণজাতীয় উদ্ভিদ পাওয়া যায়।
উত্তরঃ কাটাযুক্ত।
(ঙ) ভারতবর্ষের চেয়ে বেশি জনসংখ্যা থাকা রাজ্যটি হল অরুণাচল প্রদেশ/ মহারাষ্ট্র/ উত্তর প্রদেশ।
উত্তরঃ উত্তর প্রদেশ।
প্রশ্ন ৩। ক অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও।
ক অংশ | খ অংশ |
১। মৌসুমি উদ্ভিদ | ১। ২০০ সেন্টিমিটার থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। |
২। তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ | ২। বৎসরে ৫০ সেন্টিমিটার থেকে কম বৃষ্টিপাত হয়। |
৩। কাটাযুক্ত মরুজ উদ্ভিদ | ৩। বৎসরে ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ১০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। |
৪। চিরসবুজ উদ্ভিদ | ৪। বৎসরে ১০০ সেন্টিমিটার থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। |
উত্তরঃ
ক অংশ | খ অংশ |
১। মৌসুমি উদ্ভিদ | ৪। বৎসরে ১০০ সেন্টিমিটার থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। |
২। তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ | ৩। বৎসরে ৫০ সেন্টিমিটার থেকে ১০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। |
৩। কাটাযুক্ত মরুজ উদ্ভিদ | ২। বৎসরে ৫০ সেন্টিমিটার থেকে কম বৃষ্টিপাত হয়। |
৪। চিরসবুজ উদ্ভিদ | ১। ২০০ সেন্টিমিটার থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। |
প্রশ্ন ৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখা- (৪০টি শব্দের মধ্যে)
(ক) জনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি কী কী কীরণে হতে পারে ?
উত্তরঃ কোন একটি স্থানের জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। জনসংখ্যার হ্রাস অথবা বৃদ্ধি হওয়াকে জনসংখ্যার পরিবর্তন বলে।
(i) জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণগুলাে হলাে- কোনাে একটি স্থানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি মূলত নির্ভর করে জন্মের হার, মৃত্যুর হার এবং প্রব্রজনের ওপর। সাধারণত মৃত্যুর হার থেকে জন্মের হার বেশি হলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
(ii) জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ- প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন রােগ ব্যাধি, যুদ্ধ বিগ্রহ, মহামারি, স্থায়ীভাবে স্থান ছেড়ে যাওয়া ইত্যাদির প্রভাবে কোনাে একটি স্থানের জনসংখ্যা সাময়িকভাবে কমতেও পারে।
(খ) ভারতবর্ষের জলবায়ু নির্ধারণ করা কারকসমূহ কী কী ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষের জলবায়ুর ওপর নিম্নলিখিত, কারকসমূহ বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে-
(i) অক্ষাংশ- অক্ষাংশের পার্থক্যের জন্য বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য ঘটে। ভারতের স্থলভূমি প্রায় ৮ থেকে ৩৭° উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণে বায়ুর উষ্ণতার পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় ।
(ii) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব- জলভাগ ধীরে উত্তপ্ত হয় ও ধীরে শীতল হয়। কিন্তু স্থলভাগ দ্রুত উত্তপ্ত হয় ও দ্রুত শীতল হয়। এই কারণে জলভাগের সান্নিধ্যে থাকায় সমুদ্র উপকূলের আবহাওয়া অনেকটা সমভাবাপন্ন হয়।
(iii) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভূমির উচ্চতা- যেখানকার ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যত উঁচু, সেখানকার বায়ুর উষ্ণতা তত কম হয়।
(iv) বায়ুপ্রবাহ- দেশের ওপর দিয়ে শীতল বায়ু প্রবাহিত হলে দেশের জলবায়ু শীতল হয় ; আবার উষ্ণবায়ু প্রবাহিত হলে জলবায়ুর প্রকৃতি উষ্ণ হয়।
(v) ভূমির প্রকৃতি- ভূমি রুক্ষ ও পাথুরে হলে জলবায়ু রুক্ষ ও চরম ভাবাপন্ন হয়।
(vi) পর্বতের অবস্থান- উত্তরে হিমালয় পর্বতের অবস্থান ভারতের জলবায়ুর ওপর বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সেখানে প্রতিহত হয়ে ভারতে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
(গ) ভারতবর্ষের কোথায় কোথায় চিরসবুজ উদ্ভিদ পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ সাধারণত যে সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ সেন্টিমিটারের অধিক এবং উষ্ণতা ২৫°-২৭° সেন্টিগ্রেডের ভেতরে থাকে, সেই অঞ্চলে চিরসবুজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এই ধরনের অরণ্যে শিশু, চন্দন, মেহগনি ইত্যাদি গাছ পাওয়া যায়। এই শ্রেণির উদ্ভিদসমূহ পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢাল, উজান অসম, অরুণাচল, হিমালয়ের নিম্ন অংশ, মণিপুর এবং মিজোরামের পার্বত্য অঞ্চ ল, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে।
(ঘ) ভারতবর্যের কার্পাস চাষ হওয়া স্থানসমূহ কী কী ?
উত্তরঃ দাক্ষিণাত্যের মালভূমির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে কালাে মাটি অঞ্চল রয়েছ। ভূ-ত্বকের ফাটল দিয়ে নিঃসৃত লাভা থেকে এই মাটির সৃষ্টি। এই কালাে মাটি কার্পাস চাষের জন্য বিশেষ উপযােগী। মধ্যপ্রদেশে এবং গুজরাটের দক্ষিণ অংশে, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের উত্তর ও পশ্চিমাংশে কার্পাস চাষ করা হয়। উপযুক্ত বৃষ্টিতে এই মাটি খুব উর্বর হয়।
প্রশ্ন ৫। উত্তর লেখা- (৮০টি শব্দের মধ্যে)।
(ক) ভারতবর্ষের জলবায়ুর ওপরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সম্পর্কে মানচিত্রের সাহায্যে বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তরঃ পাঠ্য পুস্তকের ৯১-এর মানচিত্রটি আঁক।
গ্রীষ্মকালে কর্কটক্রান্তি রেখার ওপরে সূর্যের রশ্মি লম্বভাবে পড়ে। এতে বায়ু গরম হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। এই অঞ্চলে ভারত মহাসাগর থেকে জলীয় বাষ্প সহ ভারী বায়ু বয়ে আনে।
ভারতে প্রবেশের পূর্বে এই বায়ুপ্রবাহ ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে দুটি ভিন্ন প্রবাহে ভারত ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হয়-
(ক) আরব সাগরীয় প্রবাহ। ও
(খ) বঙ্গোপসাগরীয় প্রবাহ।
(ক) আরব সাগরীয় প্রবাহটি পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধা পেয়ে মালাবার, কোঙ্কন উপকূল এবং গুজরাটের উপকূলে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ সে ৪৫০ সেন্টিমিটার।
(খ) বঙ্গোপসাগরীয় প্রবাহটি ভারত মহাসাগর থেকে সৃষ্টি হয়ে দুটো। ভাগে বিভক্ত হয়। একটি স্রোত অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
বঙ্গোপসাগর থেকে আগত আর একটি স্রোত পূর্ব-হিমালয় ও ‘উত্তর পূর্ব পাহাড়িয়া অঞ্চলে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। সেখানে মেঘালয়ের খাসিয়া-জয়ন্তিয়া পাহাড়ের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত চেরাপুঞ্জির কাছাকাছি মৌসিনরামে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২০০ সেন্টিমিটারেরও বেশি।
(খ) “ভিন্ন ভিন্ন চাষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ুর প্রয়ােজন”- উক্তিটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য ও জলবায়ুর বিভিন্নতার ওপর নির্ভর করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন চাষ করা হয়। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর উপত্যকা অঞ্চ ল নদীর পলিমাটি দ্বারা গঠিত। এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বায়ুর উত্তাপ ২৫° সেলসিয়াসের অধিক হয়। অন্যদিকে বৃষ্টিপাত ১০০ সেন্টিমিটারের অধিক হয়। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং অসম এই অঞ্চলের অন্তর্গত। ধান এই অঞ্চলের প্রধান কৃষিজাত সামগ্রী। পাঞ্জাব, হরিয়ানাতে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় জলসেচের সাহায্যে প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও ওড়িষ্যার মহানদী উপত্যকা, গােদাবরী, কৃষ্ণাকাবেরীর মােহনা অঞ্চল এবং কেরলেও প্রচুর পরিমাণে ধানের চাষ হয়।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের শুষ্ক জলবায়ু এবং কম বৃষ্টিপাতের জন্য গমের চাষ ভাল হয়। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি প্রদেশেও গম চাষ করা হয়।
মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের দক্ষিণ অংশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের উত্তর অংশে কার্পাস করা হয়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, পূর্ব মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশে জোয়ার ও ডাল জাতীয় শস্যের চাষ করা হয়।
দক্ষিণ ভারতের নীলগিরি অঞ্চলে কফি চাষ করা হয়। অসম, দার্জিলিং এবং ডুয়ার্স অঞ্চলে চা চাষ করা হয়। অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যাতে পাটের চাষ করা হয়। মধ্যভারতের সব কয়টি রাজ্যে বিভিন্ন প্রকারের ডাল এক মশলা জাতীয় শস্যের চাষ করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরে প্রচুর পরিমাণে কমলা, আপেল, আঙুর ইত্যাদির চাষ করা হয়। সমগ্র পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলে নারিকেল চাষ ব্যাপকভাবে করা হয়।
(গ) মৌসুমী উদ্ভিদের জন্য কী ধরনের জলবায়ুর প্রয়ােজন ? মৌসুমি উদ্ভিদের উদাহরণ লিখে তা ভারতের কোন্ কোন্ স্থানে পাওয়া যায় তার উল্লেখ করাে।
উত্তরঃ ভারতের যে অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০০-২০০ সেন্টিমিটারের মতাে এবং গড় উচ্চতা ২৭° সেলসিয়াস সেখানে মৌসুমি উদ্ভিদ পাওয়া যায়। শীতকালে এবং গ্রীষ্মের প্রথমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাটি শুকনাে হয়ে পড়ে এবং গাছের পাতা ঝরে পড়ে। এজন্য মৌসুমি উদ্ভিদকে পর্ণমােচী উদ্ভিদও বলে। শাল, সেগুন, শিশু, শিমূল, অর্জুন, বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ, নিম, বট, অশথ, চন্দন প্রভৃতি মৌসুমি উদ্ভিদের উদাহরণ।
মৌসুমি উদ্ভিদের অরণ্য ভারতবর্ষের অধিকাংশ অঞ্চলে পাওয়া যায়। অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পূর্বঘাট, পশ্চিমঘাটকে ধরে দাক্ষিণাত্য মালভূমির পূর্ব অংশে পাওয়া যায়। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও কিছু পরিমাণে মৌসুমি উদ্ভিদ পাওয়া যায়।
(ঘ) ধান চাষের জন্য কী ধরনের জলবায়ু প্রয়ােজন ? ভারতবর্ষে ধান চাষ হওয়া প্রধান স্থানগুলাের নাম লেখাে।
উত্তরঃ ধান প্রধানত উষ্ণ ও আর্দ্র মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। ধান উৎপাদনের অনুকূল জলবায়ু-
(i) বৃষ্টিপাত- ধান চাষের জন্য ১০০-২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়ােজন। বীজ বপন এবং ধান পেকে ওঠার সময় অধিক বৃষ্টিপাতের প্রয়ােজন হয় না। কিন্তু ধান রােপনের সময় থেকে ধান গাছে ধানের শিস আসা পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রয়ােজন হয়।
(ii) তাপমাত্রা- বীজ বপনের সময় থেকে ফসল পেকে ওঠার সময় পর্যন্ত অধিক তাপমাত্রার প্রয়ােজন। মােটামুটি ২০-৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা চাষের সর্বাপেক্ষা অনুকূল।
ধান চাষ হওয়া প্রধান স্থানগুলাে- গাঙ্গেয় ও ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ; উত্তর প্রদেশের পূর্বাংশে এবং অসমে প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয়ে থাকে। ওড়িষ্যার সমভূমি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাডুর ব-দ্বীপ অঞ্চলে ধান চাষের প্রাচুর্য রয়েছে। এছাড়া দেরাদুনের বাসমতী চাল সর্বোৎকৃষ্ট। সেচের সাহায্যে পঞ্জাবে প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ করা হয়।
(ঙ) জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতবর্ষেকী কী সমস্যার সৃষ্টি করেছে আলােচনা করাে।
উত্তরঃ জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারতবর্ষের স্থান পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়। একটি দেশের উন্নয়নের মূল উপাদান হল সেই দেশের জনসংখ্যা। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতবর্ষে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করেছে। নীচে সমস্যাগুলাের বিষয়ে আলােচনা করা হল-
(ক) খাদ্য সমস্যা- ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্যের পরিমাণ কম। বহু পরিবারের মাথাপিছু খাদ্যের পরিমাণ অতি কম। এরা দারিদ্র্য সীমারেখার নীচে বসবাস করছে। খাদ্যের অভাবে অনেক স্থানে মহামারীর আকারও ধারণ করছে এবং নানা প্রকারের ব্যাধিতে ভােগে।
(খ) বেকার সমস্যা- জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ কিন্তু কৃষিজমির তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। ফলে নানা ধরনের বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে। শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতবর্ষ অনেক পিছিয়ে আছে। এর অন্যতম কারণ অতিরিক্ত জনসংখ্যা। বেকারের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(গ) অরণ্য বা বনাঞ্চল ধ্বংস- জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনাঞ্চ ল ক্রমাগত ধবংস পাচ্ছে। মানুষ নিজেদের বাসস্থান ও অস্তিত্বরক্ষার জন্য অরণ্যভূমি দখল করছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্যের ওপর ভীষণভাবে চাপের সৃষ্টি হয়েছে। অরণ্যের গাছ কেটে বাসগৃহ নির্মাণ, কৃষির জন্য জমি বৃদ্ধি করা, জ্বালানি হিসাবে কাঠ ব্যবহার করা ইত্যাদির ফলে বনাঞ্চ ল ক্রমাগত কমে যাচ্ছে।
(ঘ) প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার- জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে অতি শীঘ্রই কিছু কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যাবে। যেমন- পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও কিছু কিছু খনিজ সম্পদ। এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেত্রে বিপদের সংকেত।
(ঙ) উন্নয়নমূলক কাজকর্ম- জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতবর্ষের অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভীষণ চাপের সৃষ্টি করেছে। রপ্তানি বাণিজ্য ও বিদেশী বিনিয়ােগ ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নানা প্রকারের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।
(চ) পশুধন নিধন- খাদ্যের অভাবে মানুষ বন্যপ্রাণী শিকার করে খাচ্ছে। ফলে অনেক দুষ্প্রাপ্য প্রাণী ও পক্ষী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। খাদ্য-শৃঙ্খল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। বহু বন্যপ্রাণী খাদ্যের সন্ধানে মানুষদের বসতিস্থানে চলে আসছে এবং এর ফলে জীবনহানি এবং ঘর-বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। দক্ষিণ-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখাে।
উত্তরঃ (ক) উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু শুষ্ক থাকায় বৃষ্টিপাত ঘটায় না কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়।
(খ) কর্কটক্রান্তি রেখাতে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়লে দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ু প্রবাহিত হয়, অপরপক্ষে সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখাতে লম্বভাবে কিরণ দিলে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
(গ) উত্তর-পূর্ব বায়ু প্রবাহের ফলে শীতের প্রকোপ দেখা যায় কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি প্রবাহের ফলে বায়ুর আর্দ্রতা ও উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ২। একটি অঞ্চলের তাপমাত্রা কী কী কারণের প্রভাবে কম-বেশি হয় লেখাে।
উত্তরঃ কোন একটি অঞ্চলে তাপমাত্রা কম-বেশি হবার কারণগুলাে হল-
(i) বায়ুপ্রবাহ।
(ii) সুর্যের তাপ।
(iii) অঞ্চ লটির উচ্চতা।
(iv) বিষুব রেখা থেকে অঞ্চ লটির দূরত্ব।
(v) সমুদ্র থেকে দূরত্ব।
(vi) বায়ুর আর্দ্রতা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩। ভারতবর্ষে কেন আমরা অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভিদ দেখতে পাই ?
উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে অঞ্চ লভেদে ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। সূর্যের তাপ, উষ্ণতা, বৃষ্টিপাতের ভিন্নতা, মাটির গুণাগুণ, ভূমির উচ্চতা, ইত্যাদি অনুযায়ী বৃক্ষের প্রকার ভেদ দেখা যায়।
প্রশ্ন ৪। ১৯০১ থেকে ১৯১১ সন পর্যন্ত ভারতবর্ষের জনসংখ্যা কতটুকু বেড়েছে ?
উত্তরঃ ১.৩৭ কোটি।
প্রশ্ন ৫। কোন দুটি লােকগণনার মধ্যে জনসংখ্যার হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে ?
উত্তরঃ ১৯০১ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত।
প্রশ্ন ৬। কোন দুটি লােকগণনার মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ?
উত্তরঃ ১৯৫১ থেকে ১৯৬১।
প্রশ্ন ৭। ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্যটির নাম কী ?
উত্তরঃ উত্তর প্রদেশ।
প্রশ্ন ৮। ভারতবর্ষের সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্যটির নাম কী ?
উত্তরঃ সিকিম।
প্রশ্ন ৯। বর্তমানে অসমের জনসংখ্যা কত ?
উত্তরঃ ৩,১১,৬৯,২৭২ জন।
প্রশ্ন ১০। ভারতবর্ষের রাজধানী নতুন দিল্লির বর্তমান জনসংখ্যা কত ?
উত্তরঃ ১,২৮,৭৭,৪৭০ জন।
প্রশ্ন ১১। ভারতবর্ষের মােট জমির পরিমাণ কত ?
উত্তরঃ ৩২,৭৮,২৬৩ বর্গ কিলােমিটার।
প্রশ্ন ১২। কর্কটক্রান্তি রেখাটি ভারতের কোন্ অংশ দিয়ে পার হয়েছে ?
উত্তরঃ ভারতের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে।
প্রশ্ন ১৩। আগ্রা ও দার্জিলিং একই অক্ষাংশে হওয়া সত্ত্বেও দার্জিলিং আগ্রা অপেক্ষা শীতল কেন ?
উত্তরঃ আগ্রা অপেক্ষা দার্জিলিং শীতল কারণ দার্জিলিং উচ্চগাহাড় অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রশ্ন ১৪। কিসের দ্বারা ভারতবর্ষের জলবায়ু প্রভাবিত হয়েছে ?
উত্তরঃ মৌসুমি বায়ুর দ্বারা।
প্রশ্ন ১৫। বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণের ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে কী কী বৃষ্টিপাত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে ?
উত্তরঃ (ক) অত্যধিক বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চল।
(খ) বেশি বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চল।
(গ) কম বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চল। এবং
(ঘ) অতি কম বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চল।
প্রশ্ন ১৬। তাপমাত্রার ভিত্তিতে ভারতকে কী কী প্রধান ঋতুতে ভাগ করতে পারি ?
উত্তরঃ শীতকাল, গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল এবং শরৎকাল।
প্রশ্ন ১৭। কোন সময়ে ভারতবর্ষের তাপমাত্রা সর্বাধিক থাকে ?
উত্তরঃ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত।
প্রশ্ন ১৮। কীভাবে কোন একটি স্থানের জনসংখ্যার ঘনত্বের পরিমাপ করা হয় ?
উত্তরঃ একটি স্থানের মােট জনসংখ্যাকে সেই স্থানটির মােট কালির পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে সেই স্থানটির জনসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া যায় । এটিকে বর্গ কিলােমিটারে প্রকাশ করা হয়।
অর্থাৎ
স্থানটির মােট জনসংখ্যা
জনসংখ্যার ঘণত্ব = ——————————–
স্থানটিত মােট জমির কালি
প্রশ্ন ১৯। অরুণাচল প্রদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত ?
উত্তরঃ প্রতি বর্গ কিলােমিটারে মাত্র ১৭ জন ।
প্রশ্ন ২০। কেরল, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত ?
উত্তরঃ কেরলে- ৮৫৯ জন প্রতি বর্গ কিলােমিটারে।
অসমে- ৩৭৯ জন প্রতি বর্গ কিলােমিটারে।
পশ্চিমবঙ্গে- ১১২৯ জন প্রতি বর্গ কিলােমিটারে।
প্রশ্ন ২১ ভারতবর্ষে প্রবাহিত হওয়া মৌসুমি বায়ুকে কী কী ভাগে ভাগ করা হয় ?
উত্তরঃ (ক) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।এবং
(খ) উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু।
প্রশ্ন ২২। ভারতবর্যের প্রাকৃতিক উদ্ভিদসমূহকে কীভাবে শ্রেণি বিভাগ করা হয়েছে লেখাে।
উত্তরঃ (ক) চিরসবুজ উদ্ভিদ।
(খ) মৌসুমি উদ্ভিদ।
(গ) কাটাযুক্ত মরুজ উদ্ভিদ।
(ঘ) তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ।
(ঙ) ব-দ্বীপীয় উদ্ভিদ।এবং
(চ) পার্বত্য উদ্ভিদ।
প্রশ্ন ২৩। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারতবর্ষের স্থান কত ?
উত্তরঃ দ্বিতীয়।
প্রশ্ন ২৪। মুম্বাই, কলকাতা, নতুন দিল্লি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু প্রভৃতি স্থানগুলােতে কিসের ভিত্তিতে মহানগরী গড়ে উঠেছেসংক্ষেপে লেখাে।
উত্তরঃ (i) মুম্বাই- মুম্বাই ভারতের শ্রেষ্ঠ বন্দর। এটি মহারাষ্ট্রের রাজধানী ও ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র! ভারতের অধিকাংশ ব্যাঙ্ক এবং সওদাগরী অফিসের প্রধান কার্যালয় এখানে অবস্থিত। এটি ভারতের বৃহত্তম মহানগর এবং বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম মহানগর মুম্বাইকে ভারতের প্রবেশ দ্বার’ বলা হয়। লােকসংখ্যা-১,৬৪,৩৪,৩৬৮
(ii) কলকাতা- কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় মহানগর। কলকাতা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। রেলপথ, বিমানপথ ও জলপথে এই মহানগর দেশ ও বিদেশের প্রধান প্রধান শহর ও নগরের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতা মহানগর ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল। এটি গােটা পূবাঞ্চল তথা সারা ভারতের একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় চায়ের বাজার। লােকসংখ্যা-১,৩২,০৫,৬৯৭ জন।
(iii) নতুনদিল্লি- দিল্লি ভারতের রাজধানী ও তৃতীয় বৃহত্তম মহানগর। দল্লি ভারতের একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। রেলপথ, সড়কপথ ও বিমানপথের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দিল্লির সঙ্গে সারাভারতের যােগাযােগ রয়েছে। দিল্লিতে অবস্থিত পালাম বিমান বন্দর (ইন্দিরা গান্ধী) একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। দিল্লি ভারতের রাজনীতির কেন্দ্রস্থল। ভারতের প্রধান বিচারালয় সুপ্রিম কোর্ট এখানে অবস্থিত। লােকসংখ্যা ১,২৮,৭৭,৪৭০ জন।
(iv) চেন্নাই- চেন্নাই তামিলনাড়ুর রাজধানী এবং ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম মহানগর এবং সমুদ্র বন্দর। রেলপথ ও সড়কপথের সাহায্যে চেন্নাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত। চেন্নাই-এ অবস্থিত মীনাকুম একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে বস্ত্রবয়ন, মােটর গাড়ি,কাগজ, রেলগাড়ির বগি, যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক ও মুদ্রণ শিল্প গড়ে উঠেছে। লােকসংখ্যা ৬৫,৬০,২৪২ জন।
(v) ব্যাঙ্গালুরু- কর্ণাটকের রাজধানী। ভারতের একটি আধুনিক শহর ও অন্যতম প্রধান শিল্পনগরী এবং কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী। একে বিজ্ঞান নগরী’ বলা হয়। জলবায়ু অতি মনােরম নাতিশীতােষ্ণ প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে একে ভারতের সুইজারল্যান্ড বলে। লােকসংখ্যা- ৫৭,০২,৪৪৬ জন।
প্রশ্ন ২৫। ভারতবর্ষের বিভিন্ন বৃষ্টিপাত অঞ্চ ল, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও বৃষ্টিপাত হওয়া স্থানসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত কর।
উত্তরঃ
প্রশ্ন ২৬। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখাে-
(ক) উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু।
(খ) তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ।
(গ) কাটাযুক্ত মরুজ উদ্ভিদ।
(ঘ) পার্বত্য উদ্ভিদ।
উত্তরঃ (ক) উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু- সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের তাপমাত্রা সর্বত্রই নেমে যায়। এই সময়ে ভারতের গড় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫° সেন্টিগ্রেড। দক্ষিণ গােলার্ধের মকরক্রান্তি রেখার ওপরে সূর্য অবস্থান করায় সেই অঞ্চলের বায়ুতে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই সময়ে বিষুবরেখার উত্তরে সূর্যের রশ্মি হেলানােভাবে পড়ে এবং বায়ুতে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে এই সময়ে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এসে হিমালয় পর্বত অতিক্রম করে ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই বায়ু শুষ্ক থাকায় এর প্রভাবে সাধারণত বৃষ্টি হয় না তবে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে যাবার সময় এই বায়ুপ্রবাহ কিছু জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে এবং করমণ্ডল উপকূলীয় তামিলনাড় এবং অন্ধ্রপ্রদেশে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায়। তামিলনাড়ু উপকূলে গ্রীষ্ম ও শীত উভয়ঋতুতে বৃষ্টিপাত হয়।
(খ) তৃণজাতীয় উদ্ভিদ- ভারতের যে সব জায়গায় ৩০ সেন্টিমিটার থেকে ১০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয় সে সব জায়গায় খর্বাকৃতি পর্ণমােচী উদ্ভিদ ও তৃণ জন্মায়। এতে ঘাস ও কাটাযুক্ত উদ্ভিদই প্রধান। দাক্ষিণাত মালভূমির মধ্যভাগে, রাজস্থানের দক্ষিণ-পূর্বাংশে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের কোন কোন স্থানে এই ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়।
(গ) কাটাযুক্ত মরুজ উদ্ভিদ- ভারতের যে সব জায়গায় ৩০ সেন্টিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয় সেখানে কাটাযুক্ত গাছ, গুল্ম, ক্যাকটাস ফণীমনসা, খেজুর প্রভৃতি জন্মায়। রাজস্থান, দক্ষিণ পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম গুজরাট ও পশ্চিমঘাটের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে এই ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় জলের অভাব দূর করার জন্য এই ধরনের উদ্ভিদের পাতা চওড়া না হয় পুরু এবং কাঁটাযুক্ত হয়।
(ঘ) পার্বত্য উদ্ভিদ- হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির উচ্চতা, তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পার্থক্য অনুযায়ী নানা ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মায়। হিমালয়ের পাদদেশে প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত শাল, সেগুন, বাঁশ, বেত প্রভৃতি চিরহরিৎ ও পর্ণমােচী উদ্ভিদ জন্মায়। ১৫০০ থেকে ৩৫০০ মিটার উচ্চ পর্যন্ত পাইন, ফার, ওক, ম্যাপেল, লরেল প্রভৃতি সরলবর্গীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। ৩৫০০ মিটারের ওপরে রােডােড্রেনডন, জুনিপার প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়। তার ওপরে পার্বত্য তৃণ ও তুষারক্ষেত্র দেখা যায়। পার্বত্য উদ্ভিদ প্রধাত পূর্ব হিমালয় অঞ্চ ল, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম-হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ২৭। শূন্যস্থান পূর্ণ করে-
(ক) সাগরতীরে অবস্থিত শহরের জলবায়ু __________।
উত্তরঃ সমভাবাপন্ন।
(খ) গ্রীষ্মকালে কর্কটক্রান্তি রেখার ওপরে সূর্যের রশ্মি __________ পড়ে।
উত্তরঃ লম্বভাবে।
(গ) মেঘালয়ের বছরে __________ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
উত্তরঃ মৌসিনরাম, ১২৫০
(ঘ) জনসংখ্যার আকারের ক্ষেত্রে ভারতবর্ষ পৃথিবীর মধ্যে __________ বৃহত্তম দেশ।
উত্তরঃ দ্বিতীয়।
(ঙ) ভারতবর্ষের জলবায়ুকে সবথেকে বেশি প্রভাবিত
করেছে __________ বায়ু।
উত্তরঃ মৌসুমি বায়ু।
(চ) দাক্ষিণাত্যের পূর্বঘাট পর্বতের অপর নাম __________।
উত্তরঃ মালয়াদ্রি।
প্রশ্ন ২৮। ২০১১ সনের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের নাম, রাজধানীর নাম ও জনসংখ্যার একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ
জনসংখ্যা | রাজ্যসমূহ – | রাজধানীর নাম |
১। অন্ধ্রপ্রদেশ | হায়দ্রাবাদ | ৮,৪৬,৬৫,৫৩৩ |
২। অসম | দিসপুর | ৩,১১,৬৯,২৭২ |
৩। বিহার | পাটনা | ১০, ৩৮,০৪,৬৩২ |
৪। গুজরাট | গান্ধীনগর | ৬,০৩,৮৩,৬২৮ |
৫। হরিয়ানা | চণ্ডীগড় | ২,৫৩,৫৩,০৮১ |
৬। হিমাচল প্রদেশ | সিমলা | ৬৮,৫৬,৫০৯ |
৭। জম্মু ও কাশ্মীর | শ্রীনগর | ১,২৫,৪৮,৯২৬ |
৮। কর্ণাটক | বাঙ্গালুরু | ৬,১১,৩০,৭০৪ |
৯। কেরালা | তিরুবনন্তপুরম | ৩,৩৩,৮৭,৬৭৭ |
১০। মধ্যপ্রদেশ | ভূপাল | ৭,২৫,৯৭,৫৬৫ |
১১। মহারাষ্ট্র | মুম্বাই | ১১,২৩,৭২,৯৭২ |
১২। মণিপুর | ইম্ফল | ২৭,২১,৭৫৬ |
১৩। মেঘালয় | শিলং | ২৯,৬৪,০০৭ |
১৪। নাগাল্যান্ড | কোহিমা | ১৯,৮০,৬০২ |
১৫। ওড়িশা | ভুবনেশ্বর | ৪,১৯,৪৭,৩৫৮ |
১৬। পাঞ্জাব | চণ্ডীগড় | ২,৭৭,৩৪,২৩৬ |
১৭। রাজস্থান | জয়পুর | ৬,৮৬,২১,০১২ |
১৮। সিকিম | গ্যাংটক | ৬,০৭,৬৮৮ |
১৯। তামিলনাড়ু | টেন্নাই | ৭,২১,৩৮,৯৫৮ |
২০। ত্রিপুরা | আগরতলা | ৩৬,৭১,০৩২ |
২১। উত্তরপ্রদেশ | লক্ষৌ | ১৯,৯৫,৮১,৪৭৭ |
২২। পশ্চিমবঙ্গ | কলকাতা | ৯,১৩,৪৭,৭৩৬ |
২৩। অরুণাচল প্রদেশ | ইটানগর | ১৩,৮২,৬১১ |
২৪। মিজোরাম | আইজল | ১০,৯১,০১৪ |
২৫। গােয়া | পানাজি | ১৪,৫৭,৭২৩ |
২৬। ছত্তিশগড় | রায়পুর | ২,৫৫,৪০,১৯৬ |
২৭। উত্তরাখণ্ড | দেরাদুন | ১,০১,১৬,৭৫২ |
২৮। ঝাড়খণ্ড | রাঁচী | ৩,২৯,৬৬,২৩৮ |
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | রাজধানী | জনসংখ্যা |
১। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ | পাের্টব্লেয়ার | ৩,৭৯,৯৪৪ |
২। চণ্ডীগড় | চণ্ডীগড় | ১০,৫৪,৬৮৬ |
৩। দাদরা ও নগরহাভেলি | সিলভাসা | ৩,৪২,৮৫৩ |
৪। দিল্লি | দিল্লি | ১,৬৭,৫৩,২৩৫ |
৫। দমন-দিউ | দমন | ২,৪২,৯১১ |
৬। লাক্ষা-মিনিকয় আমনদিভি | কাভারাত্তি | ৬৪,৪২৯ |
৭। পণ্ডিচেরী | ১২,৪৪,৪৬৪ |
প্রশ্ন ২৯। দক্ষতামূলক কার্য –
ভারতবর্ষের মানচিত্র এঁকে রাজ্যের সীমা ও রাজধানীগুলাে দেখাও।
উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তকে ৯.৯ নং চিত্র দেখে নিজে করাে ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.