SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 11 গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর-

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে-

(ক) কে গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ?

উত্তরঃ শ্রীগুপ্ত মগধে গুপ্তবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

(খ) কোন গুপ্তসম্রাট প্রথম মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।

(গ) এলাহাবাদ প্রশস্তির লেখকের নাম কী ?

উত্তরঃ হরিসেন।

(ঘ) গঙ্গা উপত্যকার বন্দরটির নাম কী ?

উত্তরঃ তাম্রলিপ্ত।

(ঙ) সমুদ্র গুপ্তের সমসাময়িক কামরূপের রাজার নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ পুষ্যবর্মন।

প্রশ্ন ২। ক্রম অনুসারে লেখাে।

ফা-হিয়েন, শ্রীগুপ্ত, হরিসেন, পুষ্যবর্মন, স্কন্দগুপ্ত।

উত্তরঃ শ্রীগুপ্ত, হরিসেন, পুষ্যবর্মন, ফা-হিয়েন ও স্কন্দগুপ্ত।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করাে-

(ক) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত কামরূপ, ডবাক জয় করেছিলেন ?

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) গুপ্তযুগে ভূমিগুলােকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) গুপ্তযুগে নারীর স্থান পুরুষের চেয়ে উচ্চ ছিল ?

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) “পৃথিবী সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে’- এ-ধারণাটি বরাহমিহির উদ্ভাবন করেছিলেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) কালিদাস নাট্যশাস্ত্র রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। ক অংশের সাথে ‘খ’ অংশ মেলাও।

ক অংশখ অংশ
(ক) চপরা(ক) এলাহাবাদ প্রশস্তি
(খ) হরিসেন(খ) বৃহৎ সংহিতা
(গ) ভরত(গ) চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ
(ঘ) বরাহ মিহির(ঘ) বন্দর
(ঙ) সুশ্রুত(ঙ) নাট্যশাস্ত্র

উত্তরঃ

ক অংশখ অংশ
(ক) চপরা(ঘ) বন্দর
(খ) হরিসেন(ক) এলাহাবাদ প্রশস্তি
(গ) ভরত(ঙ) নাট্যশাস্ত্র
(ঘ) বরাহ মিহির(খ) বৃহৎ সংহিতা
(ঙ) সুশ্রুত(গ) চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ

প্রশ্ন ৫। সংক্ষেপে লেখাে।

(ক) গুপ্তদের রাজত্বকালে কী কী ধাতুর মুদ্রা প্রচলিত ছিল ?

উত্তরঃ গুপ্তদের রাজত্বকালে সােনা-রূপার সঙ্গে কড়ির প্রচলন ছিল।

(খ) গুপ্তদের রপ্তানিকৃত দ্রব্যগুলাের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ গুপ্তদের সময়ে ভারতবর্ষ থেকে রােম পর্যন্ত মশলা, চন্দন কাঠ হাতির দাঁতের তৈরি বস্তু, মণিমুক্তা, ঔষধি গাছ, সুগন্ধি দ্রব্যের সাথে কিন্তু জীবজন্তুও রপ্তানি করা হয়েছিল।

(গ) গুপ্তদের রাজত্বকালে কী কী বৃত্তিধারীর লােক বাস করত ?

উত্তরঃ গুপ্ত সমাজে বিভিন্ন জাতি ও জনগােষ্ঠীর লােক বাস করত। গুপ সমাজে চার বর্ণের লােক বাস করত।

যথা-

(১) ব্রাহ্মণ। 

(২) ক্ষত্রিয়।

(৩) বৈশ্য। ও 

(৪) শূদ্র। 

সমাজে ব্ৰাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়দের প্রতিপত্তি তথা সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ব্ৰাহ্মণ সৈন্যের কাজ করত, ক্ষত্রিয় ব্যবসা-বাণিজ্য করত। আবার বৈশ্য ও শূদ্র বড় বড় রাজ্যের অধিপতি ছিলেন ।

(ঘ) গুপ্তদের রাজত্বকালের পাঁচ ধরনের স্থাপত্যকলার প্রদর্শন উল্লেখ করো।

উত্তরঃ গুপ্তদের রাজত্বকালের পাঁচ ধরনের স্থাপত্যকলার নিদর্শন হল-

১। সাঁচীর বিষ্ণু মন্দির।

২। দেওগড়ের দশাবতার মন্দির।

৩। আইহােলের দুর্গা মন্দির।

৪। সারনাথের ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ।ও

৫। মথুরায় দাঁড়িয়ে থাকা বুদ্ধ মূর্তি।

(ঙ) অজন্তা-ইলােরার চিত্রাঙ্কনগুলাের বৈশিষ্ট্য কী ?

উত্তরঃ অজন্তার কঠিন পর্বতগাত্র ভেদ করে নির্মিত কতকগুলাে গুহার নির্মাণ-কৌশল ও মনােরম চিত্রাবলী বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর শিল্পী ও শিল্পানুরাগীদের চিত্ত আকৃষ্ট করেছে। গােয়ালিয়রের অন্তর্গত বাঘ নামক গ্ৰামের গুহাগৃহগুলাের অপরূপ চিত্র অজন্তার চিত্রকলারই প্রায় সমতুল্য।

(চ) অসমের কোথায় কোথায় গুপ্ত স্থাপত্য-ভাস্কর্যের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ?

উত্তরঃ গুপ্তযুগের ভাস্কর্য এবং চিত্রকলার প্রভাব অসমেও দেখা গয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ তেজপুরের দ’ পৰ্বতীয়ায় থাকা পাথরের তােরণটিতে গঙ্গা এবং যমুনার মূর্তিতে গুপ্ত ভাস্কর্যের স্পষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায়। এর পূর্বে পর্যন্ত অসমে পাথরের দেব-দেবীর মূর্তি খােদাই করার নিদর্শন পাওয়া যায়নি। এর পরিবর্তে অসমের ভাস্কর্যসমূহে মাটি এবং কাঠে, ব্যবহার করা হয়েছিল। দ’ পৰ্বতীয়া ছাড়া মিকির আতী (নগাঁও), বড় গাছ (নগাঁও), কামাখ্যা (গুয়াহাটি), বরমেধী পাড়া (দুধনৈ)-তে পাওয়া ভাস্কর্যগুলােতে গুপ্ত ভাস্কর্যের প্রভাব দেখা যায়।

প্রশ্ন ৬। সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুপ্তদের অবদানের বিষয়ে একটি টীকা লেখাে।

উত্তরঃ গুপ্ত রাজাগণ সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য উদারভাবে পৃষ্ঠপােষকতা করেছিলেন। সংস্কৃত ভাষা সেইযুগে উচ্চশ্রেণির ভাষার মর্যাদা লাভ করেছিল এবং সাহিত্যসমূহ সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল। প্রাকৃত সমাজের সাধারণ শ্রেণির ভাষা ছিল। মহাকবি কালিদাস, ভরত, শূদ্রক এবং বিশাখদত্ত রচিত সাহিত্যকর্মগুলাে সেই যুগের সাহিত্যের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছিল। পণ্ডিত হরিসেন এলাহাবাদ স্তম্ভলিপির মাধ্যমে এক প্রশস্তিলিপি লিখেছিলেন। পুরাণ, রামায়ণ এবং মহাভারতের গ্রন্থসমূহ সেই যুগে পুনরায় মুদ্রিত হয়েছিল। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে নয়জন সাহিত্যিকের সমাহার ঘটেছিল, তাদেরকে নবরত্ন বলা হয়।

বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা এবং অঙ্কশাস্ত্রও সেই যুগে প্রসার লাভ করেছিল। সেই যুগের বিখ্যাত জ্যোতিষবিদ আর্যভট্টই সর্বপ্রথম পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি আবিষ্কার করেন। সেই যুগেই বৈজ্ঞানিকগণ গণিতে দশমিক পদ্ধতি, শূণ্যের ব্যবহার এবং স্থানীয় মানের ধারণা ইত্যাদি তত্ত্বসমূহ উদ্ভাবন করেছিলেন। আর একজন জ্যোতিষশাস্ত্রবিদ বরাহমিহির ‘বৃহৎ সংহিতা’ নামে একটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ‘চরক এবং ‘সুশ্রুত সেই যুগের দুজন উল্লেখযােগ্য চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ ছিলেন।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

ক্ৰিয়াকলাপ-

প্রশ্ন ১। মানচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে প্রথম চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত এবং দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিজিত রাজ্যগুলাের একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।

উত্তরঃ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত বৈশালী (উত্তর বিহার), পাটলিপুত্র (পাটনা), শাকেত (অযােধ্যা), প্রয়াগ (এলাহাবাদ), দক্ষিণ বিহারের কিছু অংশ এবং বঙ্গের একটি অংশ জয় করে শ্রীগুপ্ত দ্বারা স্থাপিত সাম্রাজ্যের পরিসর বৃদ্ধি করেছিলেন।

সমুদ্রগুপ্ত উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারতবর্ষের অনেক স্বাধীন রাজ্য জয় করেছিলেন। তিনি নেপাল এবং আফগানিস্থানেও গুপ্ত সাম্রাজ্যের পরিসর বৃদ্ধি করেছিলেন।

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত পশ্চিম ভারতবর্ষের শকদের পরাস্ত করে তাদের রাজ্য দখল করেছিলেন। মালব, কাথিয়াড় (গুজরাট) এবং সৌরাষ্ট্র জয় করে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পরিসর বৃদ্ধি করেছিলেন।

প্রশ্ন ২। গুপ্তযুগের ভূমি বিতরণ নীতি সঠিক ছিল কী ? মতামত দাও।

উত্তরঃ গুপ্তযুগে রাজ্যের ভূমিগুলােকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছিল- 

১। রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ভূমি (বেতনের পরিবর্তে এই ধরনের হত ভূমি রাজকর্মচারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল)। 

২। সরকারী উর্বর ভূমি এবং ব্যক্তিগত কৃষিভূমি। সরকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির ভূমি দ্বিথেকে কর সংগ্রহ করত। উৎপন্ন শস্যের ১/৪ অংশ থেকে ১/৬ অংশ কর হিসাবে আদায় করা হত। গুপ্ত রাজাগণ ব্রাহ্মণদের পৃথক ভূমি দান করেছিলেন। এইভাবে ভূমি বিতরণ এবং দান করার ফলে গুপ্তযুগে এক ধরনের ভূমির মালিক অথবা সামন্ত শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছিল। এই মালিকগণ ২য় নিজের জমিতে নিজে কৃষিকাজ না করে কিছু সংখ্যক কৃষককে চাষের কাজে লাগিয়েছিলেন। কালক্রমে মালিকের ভূমিতে কৃষিকাজ করা এই কৃষকগণ মুক্ত কৃষক থেকে অবনমিত হয়ে নানকরে পরিণত হয়েছিল।

উপরােক্ত নীতি থেকে বুঝা যায় যে গুপ্তযুগের ভূমি বিতরণ নীতি মােটেই সঠিক ছিল না। সমাজে সামন্ত শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছিল এবং মুক্ত কৃষকরা পরিণত হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩। জলসেচ ব্যবস্থা অবলম্বন করে কৃষিকাজ করলে অধিক শস্য উৎপাদন হয় -যুক্তি দাও।

উত্তরঃ জল কৃষিকাজের একটি প্রধান উপাদান। জলের অভাব ঘটলে কৃষিকাজ হতে পারে না। অথচ সব সময় বৃষ্টিপাত হয় না এবং সর্বত্র সমান বৃষ্টিপাত হয় না কিংবা প্রয়ােজনমত বৃষ্টি হয় না, এছাড়া শীতকালে ভারতের অনেক স্থানেই বৃষ্টি হয় না। এইসব কারণে কৃষিকাজের জন্য জলসেচের ব্যবস্থা করতে হয়।

জলসেচ দ্বারা আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করলে অধিক ফসল উৎপাদন হয়। কুপ, নদী, খাল, পুষ্করিণী হতে জলসেচ করা হয়। বিদ্যুৎচালিত নলকূপের সাহায্যে জলসেচের ব্যবস্থা হওয়ায় কৃষিকাজের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। জমিতে যখন কৃষিকাজের জন্য জলের প্রয়ােজন হয়, তখন জলসেচ দ্বারা কৃষিকাজ করা যায়। এই জলসেচ পদ্ধতিতে কৃষির উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে এবং কৃষকদের পরিশ্রমও লাঘব হয়েছে।

প্রশ্ন ৪। বর্তমানে আমাদের অসমের আমদানি এবং রপ্তানি করা কয়েকটি সামগ্রীর একটি তালিকা প্রস্তুত করাে ।

উত্তরঃ অসমের আমদানি করা সামগ্রীগুলাে হল–ডাল, সাগু, আটা, ময়দা, লবণ, মশলা প্রভৃতি অসমে আমদানি করা হয়। এছাড়া কার্পাস বস্ত্র, পশমী বস্তু, টিন, ঔষধ, কাগজ ও অন্যান্য মনােহারী দ্রব্য, সুগন্ধ তেল, সাবান, পাউডার, স্নাে, আলতা, ইত্যাদি ও শিল্পজাত দ্রব্য যেমন সিমেন্ট, রড (লােহা) ইত্যাদি দ্রব্য আমদানি করা হয়।

অসমের রপ্তানি দ্রব্য-কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, সরিষা, চা কাপাস এবং ফলের মধ্যে আনারস ও কমলালেবু প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। খনিও দ্রব্যের মধ্যে পেট্রোলিয়াম, কেরােসিন তেল, চুনাপাথর ও কয়লা বিশেষ উল্লেখযােগ্য। নানা প্রকার এণ্ডি, মুগা, কাঠ, লাক্ষা, খয়ের, বাঁশ ও বেত এইগুলােই রপ্তানিযােগ্য বনজ দ্রব্য। হাতিও নানাস্থানে রপ্তানি করা হয়।

প্রশ্ন ৫। জলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুবিধাগুলাে কী কী ? অসমে জলপথের সুবিধা আছে কী ?

উত্তরঃ জলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুবিধাগুলাে নীচে উল্লেখ করা হল-

১। জলপথে জাহাজে (ষ্টীমারে প্রচুর মালপত্র একস্থান থেকে অন্যস্থানে আনা-নেওয়া যায়।

২। জলপথে জাহাজে মালপত্র আনা-নেওয়া করতে খরচপত্র কম হয়। অর্থাৎ মালপত্র আনা-নেওয়ার ভাড়া কম পড়ে।

৩। জলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য বড় বড় বন্দর গড়ে উঠে। যেমন- কলকাতা, বােম্বে, ভিসাকাপট্টনম ইত্যাদি স্থানে বন্দর থাকায় দেশ-বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে সুবিধা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেও জলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য করা হয়।

অসমের ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক নদী দিয়ে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে জলপথে জাহাজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুবিধা আছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ফা-হিয়েন কোন রাজার সময় ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন।

উত্তরঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।

প্রশ্ন ২। গুপ্তযুগের চিত্রকলার নিদর্শন কোথায় পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ অজন্তা গুহায়।

প্রশ্ন ৩। কবি কালিদাস কোন সম্রাটের সভাকবি ছিলেন ?

উত্তরঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।

প্রশ্ন ৪। মৃচ্ছকটিক’ কে রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ শূদ্রক।

প্রশ্ন ৫। নাট্যশাস্ত্র’ কে রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ ভরত।

প্রশ্ন ৬। মুদ্রারাক্ষস’ কে রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ বিশাখদত্ত।

প্রশ্ন ৭। গুপ্তযুগের বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ আর্যভট্ট ও বরাহমিহির।

প্রশ্ন ৮। গুপ্তযুগের দুজন উল্লেখযােগ্য চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ কে কে ছিলেন ?

উত্তরঃ চরক ও সুশ্রত।

প্রশ্ন ৯। গুপ্তবংশের শেষ শক্তিশালী সম্রাট কে ছিলেন ?

উত্তরঃ স্কন্দগুপ্ত।

প্রশ্ন ১০। সমুদ্রগুপ্তের সমসাময়িক কামরূপের রাজা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ পূষ্যবর্মন।

প্রশ্ন ১১। গুপ্তরাজাগণ কী কী উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ গুপ্তরাজাগণ ক্রমান্বয়ে ‘রাজা’, ‘মহারাজা’ এবং ‘মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।

প্রশ্ন ১২। কার সময় থেকে ‘গুপ্তাব্দ’ নামে নতুন বষের প্রচলন হয়েছিল ?

উত্তরঃ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরােহণের সময় থেকে গুপ্তাব্দ নামে নতুন বর্ষের প্রচলন হয়েছিল। গুপ্তযুগের মুদ্রাগুলােতে ‘গুপ্তাকের উল্লেখ ছিল।

প্রশ্ন ১৩। কোন সম্রাট ‘শকারি’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।

প্রশ্ন ১৪। গুপ্ত রাজাদের রাজত্বকালে অর্থনীতির মূল উপাদান কি ছল ?

উত্তরঃ কৃষি।

প্রশ্ন ১৫। সতীদাহ প্রথা ভারতে কোন যুগে আরম্ভ হয়েছিল ?

উত্তরঃ গুপ্তযুগে।

প্রশ্ন ১৬। ভারতে ‘সতীদাহ প্রথা কে বন্ধ করেছিলেন ?

উত্তরঃ আধুনিক ভারতের পথিকৃৎ রাজা রামমােহন রায় ব্রিটিশ শাসক লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের সহযােগিতায় সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৭। গুপ্তযুগের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ গুপ্তযুগের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় হলাে-

১। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

২। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩। উজ্জয়িনী বিশ্ববিদ্যালয়।

৪। সারনাথ বিশ্ববিদ্যালয়।ও

৫। বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রশ্ন ১৮। গুপ্তযুগে মহাকবি কালিদাস কী কী গ্রন্থ রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ গুপ্তযুগে মহাকবি কালিদাস ‘কুমারসম্ভব’, ‘রঘুবংশ’, মেঘদূতম’, ঋতুসংহার’, অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ ইত্যাদি অমূল্য গ্রন্থগুলাে রচনা। করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৯। নবরত্ন’ কাকে বলা হয় ?

উত্তরঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে নয়জন সাহিত্যিকের সমাহার ঘটেছিল, তাদেরকে নবরত্ন বলা হয়।

প্রশ্ন ২০। সমাজের সাধারণ শ্রেণির ভাষা কী ছিল ?

উত্তরঃ প্রাকৃত।

প্রশ্ন ২১। গুপ্তযুগে পশ্চিম ভারতের তিনটি বন্দরের নাম উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ ভৃগুচ্ছ, চপরা ও কল্যাণ।

প্রশ্ন ২২। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে লেখাে-

(ক) শ্রীগুপ্ত/প্রথম চন্দ্রগুপ্ত মগধে গুপ্তবংশ প্রতিষ্ঠা করে মহারাজ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।

উত্তরঃ শ্রীগুপ্ত মগধে গুপ্তবংশ প্রতিষ্ঠা করে ‘মহারাজ’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।

(খ) ফা-হিয়েন ছিলেন চীনদেশীয়/পারস্যের পরিব্রাজক।

উত্তরঃ ফা-হিয়েন ছিলেন চীনদেশীয় পরিব্রাজক।

(গ) বরাহমিহির রচনা করেন বৃহৎসংহিতা’/মৃচ্ছকটিক।

উত্তরঃ বরাহমিহির রচনা করেন ‘বৃহৎসংহিতা’।

(ঘ) শূদ্রক/ভরত ‘মৃচ্ছকটিক রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ শূদ্রক মৃচ্ছকটিক রচনা করেছিলন।

(ঙ) মহাকবি কালিদাস/বিশাখদত্ত কুমারসম্ভব’ রচনা করেছিল।

উত্তরঃ মহাকবি কালিদাস ‘কুমারসম্ভব’ রচনা করেছিলেন।

(চ) ভরত/বিশাখদত্ত নাট্যশাস্ত্র’ রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ ভরত নাট্যশাস্ত্র’ বুচনা করেছিলেন।

(জ) বিশাখদত্ত/মহাকবি কালিদাস মুদ্রারাক্ষস রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ বিশাখদত্ত ‘মুদ্রারাক্ষস রচনা করেছিলেন।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কিছু সংখ্যক আধুনিক ইতিহাসবিদ গুপ্তযুগকে স্বর্ণযুগ বলে মানতে চান না কেন ? কারণগুলাে ব্যাখ্যা করাে।

উত্তরঃ অনেক ইতিহাসবিদ গুপ্তযুগকে ‘স্বর্ণযুগ বলে মানতে না চাওয়ার কারণগুলাে নীচে উস্লেখ করা হল-

১। গুপ্তযুগে একশ্রেণির লােকের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হলেও সাধারণ শ্রেণির লােক ছিল খুবই দরিদ্র।

২। গুপ্তযুগে সােনা এবং রূপার আগে কড়ির প্রচলন হওয়ায় ব্যবসা-বানিজ্যের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল।

৩। ফা-হিয়েনের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী পাটলিপুত্র ছাড়া অন্যান্য নগরগুলাের অবস্থা বিশেষ ভাল ছিল না।

৪। গুপ্তযুগে চিত্রশিল্প, ভাস্কর্য এইসব সৃষ্টি হয়েছিল অভিজাতশ্রেণির বিনােদন এবং মনােরঞ্জনের জন্য।

৫। গুপ্তযুগে সর্বসাধারণের ভাষা ছিল প্রাকৃত। সংস্কৃত ভাষার পৃষ্ঠপােষক সম্রাটগণ কেবল অভিজাত এবং ধনিকশ্রেণির প্রতিই অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

এই সকল কারণেই আধুনিক ইতিহাসবিদগণ গুপ্তযুগকে ‘স্বর্ণযুগ বলে মানতে চান না।

প্রশ্ন ২। গুপ্তযুগের শাসনব্যবস্থা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করাে।

উত্তরঃ গুপ্ত শাসন ব্যবস্থা- গুপ্তযুগের শাসনব্যবস্থায় রাজাই সর্বেসর্বা ছিলেন যদিও অনেক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছিল। শাসনকার্যের সুবিধার জন্য গুপ্ত সম্রাটরা সাম্রাজ্যটিকে প্রদেশ, জেলা, গ্রাম ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করেছিলেন। প্রত্যেকটি বিভাগ পরিচালনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন আধিকারিক নিয়ােগ করেছিলেন। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আধিকারিকগণকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রথম অবস্থায় রাজকোষ থেকে বেতন দেওয়ার প্রথা ছিল। কিন্তু পরে বেতনের সমপরিমাণ ধন নির্ধারিত জমি থেকে সমপরিমাণ রাজস্ব (খাজনা) দেওয়ার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল।

সামরিক বিভাগটিও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়েছিল। সামরিক বিভাগে একজন প্রধান সেনাপতি নিয়ােগ করা হয়েছিল। অবশ্য এইক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাজার উপরেই ন্যস্ত ছিল। গুপ্তযুগে বিচার ব্যবস্থাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল- সাধারণ এবং অপরাধমূলক। সম্পত্তি সম্পৰ্কীয় বিষয়গুলাে সাধারণ আইনের মাধ্যমে এবং চুরি-ডাকাতি সম্পৰ্কীয় বিষয়গুলাে অপরাধমূলক আইনের মাধ্যমে মীমাংসা করা হতাে।

গুপ্তযুগের ব্যবসা বাণিজ্য- গুপ্তযুগে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার লাভ করেছিল। ভারতীয় বস্ত্রশিল্পজাত সামগ্রী সেই সময়ে বিদেশে সমাদর লাভ করেছিল। স্থলপথ ও জলপথ উভয় পথেই রাজ্যের ভিতরে বাহিরে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। রােম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীন দেশকে কেন্দ্র করে এই বাণিজ্য চলার জন্য উপকুলীয় অঞ্চলগুলােতে কিছু সংখ্যক বন্দর গড়ে উঠেছিল। এদের মধ্যে পশ্চিম ভারতের ভৃগুচ্ছ, চপরা, কল্যাণ, দক্ষিণ ভারতের কাবেরীপট্টম, কালিকট, গঙ্গা উপত্যকায় তাম্রলিপ্ত ইত্যাদি প্রধান। ভারতবর্ষ থেকে রােম পর্যন্ত মশলা, চন্দন কাঠ, হাতির দাঁতের তৈরি বস্তু মণিমুক্তা, ঔষধি গাছ, সুগন্ধি দ্রব্যের সঙ্গে কিছু জীবজন্তুও এই বন্দরগুলাে দিয়ে রপ্তানি করা হয়েছিল। গুপ্তযুগে সােনা-রূপাের সঙ্গে কড়িরও প্রচলন ছিল ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top