Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 13 ঐতিহাসিক অসম Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
ঐতিহাসিক অসম
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে।
(ক) নরকাসুর কে ছিলেন ?
উত্তরঃ নরকাসুর প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা ছিলেন।
(খ) বর্মন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তরঃ বর্মন বংশের প্রতিষ্ঠাতা পুষ্যবর্মন।
(গ) হিউয়েন সাঙ কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে এসেছিলেন ?
উত্তরঃ হিউয়েন সাঙ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে এসেছিলেন।
(ঘ) অভিনব গুপ্ত কে ছিলেন ?
উত্তরঃ অভিনব গুপ্ত একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। শালত্তম্ভদের রাজত্বকালে শংকরাচার্য কামরূপে এসে পণ্ডিত অভিনব গুপ্তের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন।
(ঙ) প্রাচীন কামরূপ রাজ্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
উত্তরঃ প্রাচীন কামরূপ রাজাকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।এগুলাে হচ্ছে রত্নপীঠ, কামপীঠ, স্বর্ণপীঠ এবং সৌমারপীঠ।
(চ) দানব বংশীয় প্রথম রাজার নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ দানব বংশীয় প্রথম রাজার নাম ছিল মহীরঙ্গ দানব।
প্রশ্ন ২। শুদ্ধ /অশুদ্ধ নির্ণয় করাে।
(ক) রামায়ণ, মহাভারত হচ্ছে হিন্দুধর্মের দুটো মহাকাব্য।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) নরকাসুরের বংশের নাম দানব বা অসুর বংশ।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(গ) বর্মন বংশের প্রথম রাজা ছিলেন পুষ্যবর্মন।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঘ) বাণ রাজার কন্যার নাম ছিল উষা।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঙ) ইৎসিং চি-ইউ-কি গ্রন্থটি রচনা করেন।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
প্রশ্ন ৩। ক্রমানুসারে সাজাও।
বর্মন বংশ, দানব বংশ, পাল বংশ, শালস্তম্ভ বংশ, ভৌম বংশ।
উত্তরঃ দানব বংশ, ভৌম বংশ, বর্মন বংশ, শালস্তম্ভ বংশ, পাল বংশ।
প্রশ্ন ৪। কে কার সমসাময়িক রেখা টেনে মেলাও-
কুমার ভাস্করবর্মন | বাণ রাজা |
সমুদ্রগুপ্ত | দুর্যোধন |
নরকাসুর | হর্ষবর্ধন |
ভগদত্ত | অভিনব গুপ্ত |
শংকরাচার্য | পুষ্যবর্মন |
উত্তরঃ
কুমার ভাস্করবর্মন | হর্ষবর্ধন |
সমুদ্রগুপ্ত | পুষ্যবর্মন |
নরকাসুর | বাণ রাজা |
ভগদত্ত | দুর্যোধন |
শংকরাচার্য | অভিনব গুপ্ত |
৫। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখাে।
(ক) হরিহরের যুদ্ধ – বাণ রাজা নামে একজন পরাক্রমশালী রাজা শােণিতপুরে রাজত্ব করতেন। বাণ রাজা শিবভক্ত ছিলেন। একটি পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী বাণ রাজার পরমা সুন্দরী কন্যা উষাকে শ্রীকৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধ গন্ধৰ্মতে বিয়ে করেছিলেন। এতে বাণ রাজা ক্ষুব্ধ হয়ে অনিরুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করেন। এই যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ অনিরুদ্ধের পক্ষে ও ভগবান শিব বাণ রাজার পক্ষে যুদ্ধ করেন। শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম হরি ও শিবকে হর বলা হয়। এই দুজনের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার জন্য এই যুদ্ধ কে হরিহরের যুদ্ধ বলা হয়। এই যুদ্ধে বাণ রাজা পরাস্ত হন।
(খ) লিস্তম্ভ বংশ – বর্মন বংশের পর শালস্তম্ভ বংশ কামরূপের সিংহাসন খল করে। উল্লেখ আছে যে এই বংশের ২১ জন রাজা কামরূপে প্রায় তিনশাে বছর রাজত্ব করেছিলেন। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা শালস্তম্ভ কামরূপ রাজ্যের রাজধানী তেজপুরে স্থানান্তরিত করে জায়গাটির নাম রাখেন হরুপেশ্বর। শালস্তম্ভদের কামরূপে রাজত্বকালে ‘ইৎসিং’ নামে একজন চীনা পরিব্রাজক ভারতে এসেছিলেন। সেই চীনা পরিব্রাজকের প্রদত্ত বর্ণনাতে উল্লেখ আছে যে সেই সময়ে কামরূপ রাজ্যের সীমা পশ্চিমে নালন্দা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। শালম্ভদের রাজত্বকালে কামরূপ রাজ্য সব দিক থেকে শক্তিশালী রাজ্য ছিল। এই বংশের রাজারা বিদ্বানদের সমাদর করতেন। তারা নিজেরা শৈবপন্থী ছিলেন যদিও তান্ত্রিক ধর্মও তাদের রাজত্বকালে প্রসারতা লাভ করে। তারা বিভিন্ন মঠ-মন্দির নির্মাণ ও নানা জনহিতকর কাজকর্ম করেছিলেন।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
(গ) পাল বংশ – শলস্তম্ভগণেরপর পালবংশ নামে অন্য একটি রাজবংশ কামরূপ রাজ্যের রাজপাটে বসে। ব্রহ্মপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার রাজধানীর নাম ছিল দুর্জয় নগর। পালদের রাজত্বকালে কামরূপ রাজ্যের পশ্চিম সীমা উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। শালস্তম্ভদের মতাে পালরাও জাতিতে যােদ্ধা ছিলেন। এই বংশের রাজারা বিদ্যানুরাগী ছিলেন ও ব্রাহ্মণদের ভূমিদান করে রাজ্যে জ্ঞানচর্চার এক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জ্ঞানী-গুণী লােকদের, স্থানীয়দের সাথে বসতি স্থাপনে তারা উৎসাহ দিয়েছিলেন। পালবংশের রাজারা হরগৌরীর উপাসক ছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর তারা গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
(ঘ) কুণ্ডিল রাজ্য – পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগে কামরূপ রাজ্যের পূর্বদিকে অন্য একটি রাজ্য ছিল। সেই রাজ্যটির নাম ছিল কুণ্ডিল বা বিদর্ভ। এই রাজ্যের রাজধানী ছিল কুণ্ডিল নগর। এখনকার শদিয়া অঞ্চলই তখনকার কুণ্ডিল নগর। অতি প্রাচীনকালে সেই রাজ্যে ভীষ্মক নামে একজন প্রতাপশালী রাজা রাজত্ব করেছিলেন। ভীষ্মকের রুক্মিণী নামে একটি কন্যা ছিল। দ্বারকা থেকে শ্রীকৃষ্ণ এসে রুক্মিণীর পাণিগ্রহণ করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিণীর বিয়ে নিয়ে মহাপুরুষ শংকরদেব রুক্মিণী হরণ নাটক রচনা করেছিলেন।
(ঙ) কামরূপের আর্থ – সামাজিক অবস্থা ও প্রাচীন কামরূপের অধিবাসীগণ কৃষির ওপরই নির্ভরশীল ছিলেন। চাষের ব্যাপারে জুম চাষই চলত। এখানে জমি ঢালু ও উর্বর হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের শস্য, যেমন- ধান, সরিষা, পাট, আখ, নানারকমের ফল-মূল, শাকসবজি উৎপন্ন হয়েছিল। তাছাড়া বিভিন্ন রকমের ফল-মূল, যেমন- কাঠাল, নারিকেল, আম, পান-সুপারি ইত্যাদি উৎপন্ন করার উল্লেখ আছে। এই রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী নানা জাতি-জনগােষ্ঠী তাদের উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রীগুলাে বাইরে রপ্তানি করেছিলেন। বর্তমানের মতাে প্রাচীন কামরূপে এণ্ডি, মুগা, পাট, কার্পাস থেকে সুতাে বের করে কাপড় তৈরি হয়েছিল। মাছ শিকার, সােনা দিয়ে অলংকার তৈরি, কাপড় বােনা ইত্যাদি প্রাচীন কামরূপের মানুষের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য বৃত্তি ছিল। রূপা, বাঁশ-বেত শিল্পে কামরূপ একটি উন্নত রাজ্য ছিল। তিববত, ভুটান, চীন, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলাের সাথে কামরূপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল।
প্রশ্ন ৬। ৫০টি শব্দের ভেতর উত্তর লেখাে।
(ক) পৌরাণিক কাহিনি, কিংবদন্তি এবং ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য।
উত্তরঃ পৌরাণিক কাহিনি বেশিরভাগই ধর্মমূলক। অপরদিকে দেব-দেবীর মহিমার উল্লেখ থাকা কাহিনিগুলােকে কিংবদন্তি বলে। কিংবদন্তি কর ভিত্তিক। বাস্তবে এই কাহিনিগুলাের কোনাে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইতিহাসে কল্পনার স্থান নেই, ইতিহাস সত্য ঘটনার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে একটি জাতির অতীতের ঘটনাপ্রবাহ, কলা-সংস্কৃতি, আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক এবং রাজা প্রজাদের কথার উল্লেক থাকে।
(খ) ভাস্কর বর্মন এবং হর্ষবর্ধনের সম্পর্ক।
উত্তরঃ কামরূপ রাজ্যের রাজা ভাস্কর বর্মনের সঙ্গে উত্তর ভারতের প্রতাপশালী রাজা হর্ষবর্ধনের সুসম্পর্ক ছিল। উল্লেখ আছে যে হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে হিউয়েন সাং নামে একজন বৌদ্ধ পরিব্রাজক ভারতে এসেছিলেন। তিনি ভারতের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে চর্চা করেন। হর্ষবর্ধন হিউয়েন সাঙের সম্মানার্থে কনৌজে তৃতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন আয়ােজন করেন। হর্ষবর্ধন প্রয়াগেও অন্য একটি মেলার আয়ােজন করেন। হর্ষবর্ধন কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মনকে এই মহাসম্মেলনে নিমন্ত্রণ করেছিলেন।
(গ) প্রাচীন কামরূপের অধিবাসীদের খাদ্য এবং পােশাক-পরিচ্ছদ।
উত্তরঃ প্রাচীন কামরূপের অধিবাসীদের প্রধান খাদ্য ছিল ভাত। তখনকার দিনে মানুষ লবণের অভাবে কলাগাছ থেকে তৈরি খার খেত। এছাড়াও দুধ থেকে তৈরি নানা ধরনের খাদ্য, বিভিন্ন শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ, মাংস এদের খাদ্যতালিকাভুক্ত ছিল।
দৈনন্দিন জীবনে কার্পাস থেকে তৈরি সুতার কাপড়ই তখনকার দিনের লােকেরা ব্যবহার করত। ধনী মানুষরা পাটের কাপড় ব্যবহার করত। সােনা-রূপার নানারকম অলংকার ও সুগন্ধি তেলও ওরা ব্যবহার করত।
প্রশ্ন ৭ প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের মানচিত্রে দেখানাে স্থানগুলাের একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের মানচিত্রে দেখানাে স্থানগুলাে হল- রত্নপীঠ, কামপাঠ, স্বর্ণপীঠ, সৌমারপীঠ, শদিয়া, বিদর্ভ রাজ্য, প্রাগজ্যোতিষপুর।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। কামরূপ রাজ্যকে আগে কেন প্রাগজ্যোতিষপুর বলা হত ?
উত্তরঃ প্রাচীনকালে কামরূপ রাজ্যে অতি উঁচু মানের জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা করা হত বলে এই রাজ্যকে প্রাগজ্যোতিষপুর বলা হত।
প্রশ্ন ২। বর্তমান গুয়াহাটির কোন পাহাড়ে নবগ্রহ মন্দির অবস্থিত ?
উত্তরঃ বর্তমান গুয়াহাটির চিত্ৰাচল পাহাড়ে নবগ্রহ মন্দির অবস্থিত।
প্রশ্ন ৩। রামায়ণ ও মহাভারত এই দুটো মহাকাব্য কারা রচনা করেছিলেন ?
উত্তরঃ রামায়ণ ও মহাভারত এই দুটো মহাকাব্য বাল্মীকি ও বেদব্যাস নামে দুজন রচনা করেছিলেন।
প্রশ্ন ৪। আমাদের রাজ্যের নাম ‘কামরূপ কীভাবে হল ?
উত্তরঃ আমাদের রাজ্যের নাম ‘কামরূপ’ হওয়ার পেছনে কিছু কাহিনি মুখে মুখে বহু বছর থেকে চলে আসছে। সেরকম একটি কাহিনি অনুযায়ী হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ইষ্টদেবতা শিব একবার ঘাের তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন। তখন প্রেমের দেবতা কামদেব নারীর বেশে এসে মহাদেবের তপস্যা ভঙ্গ করেছিলেন। এতে মহাদেব ক্রোধান্বিত হয়ে কামদেবকে ভস্ম করে দেন। কিন্তু কামদেবের পত্নী রতিদেবীর অনুনয়-বিনয়ে সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব কামদেবের পূর্বের রূপ ফিরিয়ে দেন। এই জায়গায় কামদেব নিজের রূপ পুনর্বার লাভ করায় এ রাজ্যের নাম হয় কামরূপ।
প্রশ্ন ৫। বিদর্ভ রাজ্যের রাজধানীর নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ বিদর্ভ রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল কুণ্ডিল নগর।
প্রশ্ন ৬। প্রাচীন কালের ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত কিছু রাজ্যের নাম লেখাে।
উত্তরঃ প্রাচীন কালের ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে কিছু রাজ্যের নাম হল- ডবকা, হিড়িম্বা, মণিপুর, ত্রিপুরা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৭। কামরূপের প্রথম রাজা কে ছিলেন? তিনি কাকে হত্যা করে কামরূপের সিংহাসনে বসেন ?
উত্তরঃ কামরূপের প্রথম রাজা নরকাসুর ছিলেন। তিনি পূর্বের রাজা ঘটকাসুরকে হত্যা করে কামরূপের সিংহাসনে বসেন।
প্রশ্ন ৮। গুয়াহাটির দিঘলিপুখুরি কোন সময় খনন করা হয়েছিল ?
উত্তরঃ গুয়াহাটির দিঘলিপুখুরি ভগদত্তের কন্যা ভানুমতীর সয়ম্বরের সময় খনন করা হয়েছিল বলে বলা হয়।
প্রশ্ন ৯। মহীরঙ্গের পর কোন্ কোন্ রাজা প্রাচীন অসমের রাজা ছিলেন ?
উত্তরঃ মহীরদের পর হটকাসুর, সম্বরাসুর, রত্নাসুর এবং মটকাসুর প্রাচীন অসমের রাজা ছিলেন।
প্রশ্ন ১০। বর্মন বংশ কামরূপে কত বৎসর রাজত্ব করেছিল ?
উত্তরঃ বর্মন বংশ কামরূপে প্রায় ৩০০ বছর রাজত্ব করেছিল।
প্রশ্ন ১১। কামরূপে ‘ভাস্করাব্দ’ নামের একটি নতুন সময়সূচি কার সিংহাসনে আরােহণের সময় থেকে প্রচলন হয় ?
উত্তরঃ কামরূপে ‘ভাস্করাব্দ’ নামের নতুন সময়সূচি ভাস্করবর্মনের সিংহাসনে আরােহণের সময় থেকে প্রচলন হয়।
প্রশ্ন ১২। ভাস্কর বর্মনের রাজত্বকালে খােদাই করা দুটি তাম্রফলকের নাম লেখাে।
উত্তরঃ ভাস্কর বর্মনের রাজত্বকালে খােদাই করা দুটি তাম্রফলকের নাম হল- ডুবি এবং নিধনপুর।
প্রশ্ন ১৩। হিউয়েন সাঙ তার কামরূপ ভ্রমণকালে কামরূপ সম্পর্কে যা লিখেছিলেন তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করাে।
উত্তরঃ চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ তার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্ম সম্বন্ধে অধ্যয়নের সময় রাজা ভাস্করবর্মন তাকে কামরূপে আসার আমন্ত্রণ জানান। হিউয়েন সাঙ কামরূপে এসেছিলেন এবং প্রায় একমাস থেকে ছিলেন। তিনি ভারতবর্ষ সম্বন্ধে তার রচিত ‘চি-ইউ-কি নামে গ্রন্থে কামরূপ সম্পর্কে অনেক কথা লিখে গেছেন। হিউয়েন সাঙের বর্ণনা অনুযায়ী সে সময় কামরূপের পরিধি ছিল প্রায় সতেরশ মাইল। রাজ্যের লােকজন সহজ-সরল ও সমৃদ্ধিশালী ছিল। কামরূপের মানুষের স্মৃতিশক্তি প্রখর ছিল এবং অধ্যয়নের প্রতিও আগ্রহ ছিল। এখানকার ভাষা মধ্য ভারতের ভাষার চেয়ে অল্প পৃথক ছিল। এখানকার জলবায়ু স্যাতসেঁতে ও ঠাণ্ডা। নারিকেল ও কাঁঠালের চাষ হতাে। দেব-দেবীর পূজাও হতাে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব এখানে ছিল না। ভাস্কর বর্মন একজন জ্ঞানী-গুণী রাজা ছিলেন। তিনি বৌদ্ধ ছিলেন তবে এই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। দূরদূরান্তের পণ্ডিতগণকে ভাস্করবর্মন নিজ রাজ্যে আমন্ত্রণ করে শ্রদ্ধা দেখিয়েছিলেন। প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্য পর্বতমালার দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। এ রাজ্যে কোনাে মহানগর ছিল না। উত্তর-ভারত থেকে কামরূপ হয়ে চীনদেশে যাওয়ার একটি বাণিজ্যিক পথ ছিল।
প্রশ্ন ১৪। শালস্তম্ভ দের রাজত্বকালে কোন্ চীনা পরিব্রাজক ভারতে এসেছিলেন ?
উত্তরঃ শালস্তম্ভদের রাজত্বকালে ইৎসিং নামে একজন চীনা পরিব্রাজক ভারতে এসেছিলেন।
প্রশ্ন ১৫। শালস্তম্ভ রাজবংশের রাজত্বকালে তাদের অধীনে থাকা কয়েকটি রাজ্যের নাম লেখাে।
উত্তরঃ শালস্তম্ভ রাজবংশের রাজত্বকালে তাদের অধীনে থাকা কয়েকটি রাজ্যের নাম ইল- কলিঙ্গ, কৌশল, গৌড় ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৬। সতীদাহ প্রথা বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ স্বামীর মৃত্যুর পর স্ব-ইচ্ছায় স্বামীর চিতায় পত্নীর মৃত্যুবরণ করার প্রথাকেই বলা হত সতীদাহ প্রথা।
প্রশ্ন ১৭। প্রাচীন কামরূপের সামাজিক ভিত্তি কোন ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল ?
উত্তরঃ প্রাচীন কামরূপের সামাজিক ভিত্তি হিন্দু বর্ণাশ্রম ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।
প্রশ্ন ১৮। কামরূপ নামের উল্লেখ আমরা কোথায় দেখতে পাই।
উত্তরঃ কামরূপ নামের উল্লেখ আমরা পুরাণ, বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র ও গুপ্ত রাজত্ব কালের এলাহাবাদ প্রশস্তিতে দেখতে পাই।
প্রশ্ন ২০। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।
(ক) শোণিতপুর __________ উত্তর পারে অবস্থিত।
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্রের।
(খ) বর্তমানের __________ কে অতীতে শােণিতপুর বলা হত।
উত্তরঃ তেজপুর।
(গ) উষাকে শ্রীকৃষ্ণের নাতি __________ গন্ধর্মতে বিয়ে করেছিলেন।
উত্তরঃ অনিরুদ্ধ।
(ঘ) __________ আমন্ত্রণে ভগদত্ত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন।
উত্তরঃ দুর্যোধনের।
(ঙ) নরকাসুর কামরূপের রাজ সিংহাসন দখলের পর থেকেই এই প্রান্তে __________ সংস্কৃতির প্রভাব পড়ে বলে ঐতিহাসিকগণ বিশ্বাস করেন।
উত্তরঃ আর্য।
(চ) ভাস্করবর্মন একজন __________ রাজা ছিলেন।
উত্তরঃ জ্ঞানী-গুণী।
(ছ) উত্তর ভারত থেকে কামরূপ হয়ে চীনদেশে যাওয়ার একটি __________ পথ ছিল।
উত্তরঃ বাণিজ্যিক।
(জ) শালস্তম্ভ কামরূপ রাজ্যের রাজধানী তেজপুরে স্থানান্তরিত করে জায়গাটির নাম রাখেন __________।
উত্তরঃ হরুপেশ্বর।
(ঝ) পালবংশের রাজারা __________ উপাসক ছিলেন।
উত্তরঃ হরগৌরীর।
(ঞ) অতি প্রাচীনকাল থেকে অসম __________ অধ্যুষিত অঞ্চল ছিল।
উত্তরঃ অনার্য।
(ট) __________ সমাজের ক্ষুদ্রতম গােষ্ঠী ছিল।
উত্তরঃ পরিবার।
প্রশ্ন ২০। বাঁদিকের শব্দগুলাের সাথে ডানদিকের শব্দগুলাে মেলাও-
প্ৰাগজ্যোতিষপুর | অনিরুদ্ধ |
শােণিতপুর | বাণ রাজা |
শদিয়া | নিধনপুর |
শংকরাচার্য | হরগৌরীর |
পালবংশ | বাণিজ্যিক |
তিব্বত | অভিনবগুপ্ত |
ডুবি | কামাখ্যা মন্দির |
নরকাসুর | কুণ্ডিল নগর |
ঊষা | জ্যোতিষশাস্ত্র |
উত্তরঃ
প্ৰাগজ্যোতিষপুর | জ্যোতিষশাস্ত্র |
শােণিতপুর | বাণ রাজা |
শদিয়া | কুণ্ডিল নগর |
শংকরাচার্য | অভিনবগুপ্ত |
পালবংশ | হরগৌরী |
তিব্বত | বাণিজ্য |
ডুবি | নিধনপুর |
নরকাসুর | কামাখ্যা মন্দির |
ঊষা | অনিরুদ্ধ |
প্রশ্ন ২১। শুদ্ধ /অশুদ্ধ নির্ণয় করাে।
১। কামদেব নারীর বেশে এসে মহাদেবের তপস্যা ভঙ্গ করেছিলেন।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
২। বাণ রাজা কুণ্ডিল নগরের রাজা ছিলেন।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
৩। উষাকে শ্রীকৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধ গন্ধর্বমতে বিয়ে করেছিলেন।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
৪। কুমার ভাস্করবর্মন ছিলেন কামরূপের প্রথম রাজা।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
৫। হিউয়েন সাঙের মতে কামরূপের জলবায়ু সঁতসেঁতে ও ঠাণ্ডা।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
ক্রিয়াকলাপের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। তােমরা তােমাদের নিজেদের অঞ্চলে প্রচলিত কিছু কাহিনি কিংবদন্তি সংগ্রহ করে শ্রেণিকক্ষে আলােচনা করাে।
উত্তরঃ ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সাহায্য নিয়ে নিজেদের শ্রেণিকক্ষে আলােচনা করাে।
প্রশ্ন ২। অতীতের কুলি বা বিদর্ভ রাজ্যটি বর্তমানে কোন্ রাজ্যের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ অতীতের কুণ্ডিল বা বিদর্ভ বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশের অন্তর্গত।
প্রশ্ন ৩। বর্মনবংশ কামরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করার সময়ে উত্তর ভারতে কোন্ রাজবংশের অভ্যুদয় হয়েছিল ?
উত্তরঃ বর্মন বংশ কামরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করার সময়ে উত্তর ভারতে গুপ্ত বংশের অভ্যুদয় হয়েছিল।
প্রশ্ন ৪। হিউয়েন সাঙ, ইৎসিং কোন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন ?
উত্তরঃ হিউয়েন সাঙ, ইৎসিং চীন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন।
প্রশ্ন ৫। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
উত্তরঃ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান বিহার রাজ্যে অবস্থিত।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.