Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 16 মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে।
(ক) ভারতবর্ষে মুসলমান শাসন কখন থেকে শুরু হয় ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষে মুসলমান শাসন শুরু হয় ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে।
(খ) পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কোন্ সনে সংঘটিত হয় ?
উত্তরঃ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ১৫২৬ সনে সংঘটিত হয়।
(গ) ঔরঙ্গজেব অসম আক্রমণ করতে কাকে পাঠিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব অসম আক্রমণ করতে মিরজুমলাকে পাঠিয়েছিলেন।
(ঘ) মােগল শাসনব্যবস্থায় শাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কার হাতে ন্যস্ত ছিল ?
উত্তরঃ মােগল শাসনব্যবস্থায় শাসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ন্যস্ত ছিল সম্রাটদের হাতে।
(ঙ) মনসবদারি প্রথা কে প্রবর্তন করেছিলেন ?
উত্তরঃ মনসবদারি প্রথা আকবর প্রবর্তন করেছিলেন।
প্রশ্ন ২। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করাে।
(ক) ভারতবর্ষে মােগলগণ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) মােগল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত প্রদেশগুলাের সুবেদারদের বিচারের ক্ষমতা অসীম ছিল।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(গ) বাবরের রাজ্য বঙ্গ থেকে গােয়ালিয়র পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঘ) মিরজুমলার আক্রমণের সময়ে অসমের রাজা ছিলেন জয়ধ্বজ সিংহ।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঙ) মনসবদার শব্দটি ভূমির মালিককে বােঝায়।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।
(ক) __________ মােগলদের তৃতীয় এবং শ্রেষ্ঠ সম্রাট।
উত্তরঃ তাকবর।
(খ) মােগলদের বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হত __________ নীতি-নির্দেশনা অনুযায়ী।
উত্তরঃ কোরানের।
(গ) মোগলদের করের ক্ষেত্রে ভূমিকে __________ ভাগে ভাগ করেছিল।
উত্তরঃ চার।
(ঘ) __________ খ্রিস্টাব্দে মহামতি ‘আকবর’ মােগল শাসনব্যবস্থায় মনসবদারি প্রথার প্রচলন করেন।
উত্তরঃ ১৫৭৭
(ঙ) আকবরের শাসনকালে মনসবদার ছিল __________ জন।
উত্তরঃ ২৯
প্রশ্ন ৪। সংক্ষেপে উত্তর লেখাে।
(ক) একত্রিত ভারতবর্ষের স্বপ্ন আংশিকভাবে কার্যকর করতে সক্ষম দুজন সম্রাট কে কে ছিলেন ?
উত্তরঃ একত্রিত ভারতবর্ষের স্বপ্ন আংশিকভাবে কার্যকর করতে সক্ষম দুজন সম্রাট ছিলেন মহামতি অশােক এবং আকবর।
(খ) ঔরঙ্গজেবের সাম্রাজ্য কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?
উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি বঙ্গদেশ থেকে পশ্চিমে গুজরাট এবং উত্তরে কাবুল থেকে দক্ষিণে কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
(গ) মােগল প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় সুবেদারদের নীচের আধিকারিক কারা ছিলেন ?
উত্তরঃ মােগল প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় সুবেদারদের নীচে দেওয়ান, ফৌজদার এবং কোতােয়াল নামের একজন বিভাগীয় আধিকারিক ছিলেন। রাজস্ব ব্যবস্থার বিচার দেওয়ানগণ এবং ফৌজদারি বিবাদের বিচার ফৌজদার ও কোতােয়ালরা করতেন।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
(ঘ) মােগলদের শাসনকালে ভূমিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং ভাগগুলাের নাম কী কী ?
উত্তরঃ মােগলদের শাসনকালে ভূমিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয় এই ভাগগুলাে হল
১। পােলাজ (যে মাটিতে প্রতি বছর চাষ হয়।)
২। পারাউটি (যে মাটিতে মধ্যে মধ্যে চাষ বন্ধ করে মাটির উর্বরাশক্তি বাড়ানাে হয়।)
৩। সাচ্চার (যে মাটিতে ৩/৪ বৎসর চাষ করা হয় না।)
৪। বানজার (যে মাটি ৫ বৎসর বা ততােধিক কাল চাষ না করে রাখা হয়।)
(ঙ) মনসবদারদের কী ভাবে পারিতােষিক দেওয়া হত ?
উত্তরঃ পদমর্যাদা অনুসারে মনসবদারদের পারিতােষিক নির্দিষ্ট করা হত। এই পারিতােষিক নগদ ধনের পরিবর্তে জায়গীর প্রদানের দ্বারাও করা হত। সেই জায়গীর থেকে মনসবদার নির্দিষ্ট পরিমাণের পারিতােষিক সংগ্রহ করে নিতে পারতেন। সম্রাট আকবর মনসবের উৎপাদন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে মনসবদারদের পারিতােষিক স্থির করে ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন। অবশ্য ঔরঙ্গজেবের সময়ে এই ভারসাম্য রক্ষা করা হয়নি। যথেষ্ট সংখ্যক মনসবদার পদ সৃষ্টি করার ফলে মনসবের আয়তন কমে যায়। ফলে মনসবদারদের পারিতােষিক নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।
প্রশ্ন ৫। ৫০টি শব্দের ভেতর লেখাে।
(ক) মােগলদের বিচার ব্যবস্থা।
উত্তরঃ মােগল রাজত্বকালে বিচার ব্যবস্থার সুশৃঙ্খল নীতি ছিল না। বিচারালয়ও ছিল না। সম্রাটই ছিলেন শাসন এবং বিচারের কেন্দ্র। বিচার ব্যবস্থা কোরানের নীতি-নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হত। প্রদেশের শাসনকর্তা সুবেদারদের বিচারের ক্ষমতা ছিল অতি সীমিত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুবেদারগণ যে কোনাে বিচার নিষ্পত্তির জন্য সম্রাটদের দ্বারস্থ হতেন। গ্রাম পর্যায়েও মােকদ্দমার নিষ্পত্তি হত। গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে পঞ্চায়েত দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তির দ্বারা বিচার সম্পন্ন করা হত।
(খ) মনসবদারি প্রথা।
উত্তরঃ মনসবদারি প্রথা মােগল যুগের শাসননীতির একটি অংশ ছিল। মনসবদার শব্দটি পদমর্যাদা বা উপাধি বােঝায়।ঐতিহাসিকদের মতে ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে মহামতি আকবর মােগল শাসনব্যবস্থায় মনসবদারি প্রথার প্রচলন করেন। এই প্রথা পারস্য দেশ থেকে অনুকরণ করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। সম্ভবত সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করা, সকল জাতি-জনজাতিকে শাসনকার্যে জড়িত করা তথা তাদের সন্তুষ্ট করে রাখার প্রয়াসেই তিনি এই প্রথার প্রবর্তন করেন বলে অনুমান করা হয়। উল্লেখ্য যে উত্তরাধিকারসূত্রে এই পদের অধিকারী হওয়া সম্ভব ছিল না।
আকবর সামরিক বাহিনীকে এক একটি ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে একজন মনসবদার নিয়ােগ করেছিলেন। একজন মনসবদারের অধীনে দশ হাজার সৈন্য রাখা হত। মনসবদারদের ভেতর সবচেয়ে ছােট পদবির মনসবদার মাত্র দশজন সৈন্যের মনসবদার ছিলেন। আকবরের তিনজন পুত্রকে সবচেয়ে বড় মনসবদারি প্রদান করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থা অনুসারে যুবরাজ সেলিম, মুরাদ এবং ড্যানিয়েল যথাক্রমে ১০ হাজার, ৮ হাজার এবং ৭ হাজার সৈন্যের মনসব পেয়েছিলেন।
মনসবদারদের নিয়ােগ এবং পদোন্নতি সম্পূর্ণভাবে সম্রাটের ইচ্ছে-অনিচ্ছের ওপর নির্ভর করত। পদমর্যাদা অনুসারে মনসবদারদের পারিতােষিক নির্দিষ্ট করা হত। এই পারিতােষিক নগদ ধনের পরিবর্তে জায়গার প্রদানের দ্বারাও করা হত। সেই জায়গীর থেকে মনসবদার নির্দিষ্ট পরিমাণের পারিতােষিক সংগ্রহ করে নিতে পারতেন। অনেক ত্রুটিযুক্ত জায়গীরদার প্রথার অবসান করেই আকবর মনসবদারি প্রথার প্রচলন করেন। আকবরের শাসনকালে মনসবদার ছিলেন ২৯ জন। এই সংখ্যা ঔরঙ্গজেবের সময়ে বেড়ে ৭৯ হয়েছিল।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। (ক) মােগল সম্রাটদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ছিলেন ?
উত্তরঃ মােগল সম্রাটদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন মহামতি আকবর।
(খ) মােগলরা ভারতবর্ষ ৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে কত খ্রিস্টাব্দ পর্যন্তু শাসন করেছিল ?
উত্তরঃ মােগলরা ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ ,কে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতবর্ষ শাসন করেছিল।
(গ) কোন মােগল সম্রাটের মৃত্যুর পর মােগল শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে ?
উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মােগল শাসন দুর্বল হয়ে পড়ে।
(ঘ) প্রকৃতপক্ষে মােগলরা কত বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিল ?
উত্তরঃ প্রকৃতপক্ষে মােগলরা ১৮১ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিল।
(ঙ) বাবরকে কারা ভারত আক্রমণ করতে প্ররােচিত করেছিল ?
উত্তরঃ বাবর স্বইচ্ছায় ভারত আক্রমণ করতে আসেননি। কাবুলে বাবরের শাসন সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা হতে দেখে ভারতের কিছু শক্তি বাবরকে ভারত। আক্রমণ করতে প্ররােচিত করেছিল।
(চ) ভারতের কিছু শক্তি কেন বাবরকে ভারত আক্রমণ করতে প্ররােচিত করেছিল।
উত্তরঃ ভারতের কিছু শক্তি ভেবেছিল যে তৈমুর লং এবং চেঙ্গিসখানের মতাে বাবরও দিল্লি আক্রমণ করে ধন সম্পত্তি লুট করে নিজের দেশে নিয়ে যাবেন এবং তখন ওরা নিজে দিল্লির সিংহাসনে বসতে পারবে।
(ছ) চৌসার যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ? এই যুদ্ধে কে বিজয়ী হয়েছিল ?
উত্তরঃ চৌসার যুদ্ধ শেরশাহ এবং দ্বিতীয় মােগল সম্রাট হুমায়ুনের মধ্যে হয়েছিল।
এই যুদ্ধে শেরশাহ হুমায়ুনকে পরাস্ত করে বিজয়ী হয়েছিল।
(জ) মােগল শাসনব্যবস্থা কোন্ কোন্ দেশের শাসন ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ?
উত্তরঃ মােগল শাসন ব্যবস্থা আরবীয়, পার্সি এবং স্থানীয় ভারতীয় শাসন ব্যবস্থার সংমিশ্রণ।
(ঝ) মােগল সমাজে কোন্ কোন্ শ্রেণির লােক ছিল ?
উত্তরঃ মােগল সমাজে তিন শ্রেণির লােক ছিল- অভিজাত, মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ শ্রেণি।
(ঞ) মােগল শাসনের ভূমি নীতি কী ছিল ?
উত্তরঃ প্রথম অবস্থায় মােগলগণ ভূমি-নীতির ক্ষেত্রে আগের সুলতানি আমলের নীতিকেই বহাল রেখেছিলেন। সম্রাটই ভূমির মালিক ছিলেন। কিছু শর্ত সাপেক্ষে রাজা এই ভূমিতে কৃষকদের চাষ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কৃষকরা উত্তরাধিকার সূত্রে ভূমি ভােগ করতে পেরেছিলেন। এই ভূমি প্রয়ােজনবােধে অন্য কৃষকদের বিক্রি করা যেত। অবশ্য এই ভূমি কৃষিকাজের জন্যই ব্যবহার করতে পারত। কানুনগাে নামে একশ্রেণির আধিকারিক এই ভূমিগুলাে থেকে কর সংগ্রহ করত, পরে এ ধরনের আধিকারিকরা দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়ার খবর জানতে পেরে সম্রাট আকবর এদের পরিবর্তে কারবি’ নামের একশ্রেণির নতুন আধিকারিক নিযুক্ত করেন। আকবর তার ওয়াজি টোডরমলকে এই কাজে নিযুক্ত করে কৃষিজমির জরিপ করেন। জরিপ করা ভূমিকে গুণানুসারে চার শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এই ভূমিগুলাের কর হিসেবে আদায় করা হত। করগুলাে নগদ ধন বা উৎপাদিত শস্য থেকে সংগ্রহ করা হত। আকবরের রাজত্বকালে কৃষকগণের উন্নতির অন্য রাজভাণ্ডার থেকে সহজ কিস্তিতে আদায় করা যায় এমন ঋণদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার ওপর সম্রাট আকবর অনাবশ্যক ভেবে কিছু কর উঠিয়ে দিয়েছিলেন।
(ট) মােগল শাসনকালে কোন্ কোন্ জাতিদের শাসনাধীন রাজ্যগুলাে মােগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ?
উত্তরঃ মােগল শাসনকালে ইরানি, দেশীয় মুসলমান, আফগান, রাজপুত, মারাঠা ইত্যাদি বিভিন্ন জাতিদের শাসনাধীন রাজ্যগুলাে মােগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
(ঠ) সম্রাট আকবর কোন দেশ থেকে মনসবদারি প্রথা অনুকরণ করেছিলেন ?
উত্তরঃ সম্রাট আকবর পারস্য দেশ থেকে মনসবদারি প্রথা অনুকরণ করেছিলেন।
প্রশ্ন ২। টীকা লেখাে।
(ক) পানিপথের প্রথম যুদ্ধ – দিল্লির কাছে পানিপথ নামে একটি জায়গা আছে। এই জায়গাটিতেই ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে বাবর লোদি বংশের শেষ সম্রাট ইব্রাহিম লােদিকে যুদ্ধে পরাজিত করে দিল্লি দখল করেছিলেন। পানিপথের প্রথম যুদ্ধই ভারতে মােগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এই যুদ্ধের পর বাবর ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে খানুয়ার যুদ্ধে মেবারের রাণা সংগ্ৰামসিংহকে পরাস্ত করে সমগ্র মেবার দখল করেছিলেন।
(খ) শেরশাহ – ভারতের ইতিহাসে শেরশাহ একটি উজ্জ্বল নাম। ১৪৭২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে শেরশাহের জন্ম হয়। তিনি দিল্লিতে শূরবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অদম্য সাহস ও বিচক্ষণতার জন্য একজন সাধারণ আফগান জায়গীরদারের পুত্র হয়েও পরবর্তীকালে দিল্লির শাসনকর্তা হয়ে শেরশাহ ভারতের ইতিহাসে নিজের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে দ্বিতীয় মােগল সম্রাট হুমায়ুনকে পরাস্ত করে আগ্রা এবং দিল্লি দখল করে তিনি দিল্লির সুলতান হয়েছিলেন। শেরশাহের রাজত্বকালের মাত্র পাঁচ বৎসর ভারতের এক যুগান্তকারী ইতিহাস। সামাজিক শাসন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ধর্মনীতি, ভূমি-নীতি, অর্থনীতি, মুদ্রা ব্যবস্থা, শুল্ক ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ডাক ব্যবস্থা সবক্ষেত্রেই শেরশাহ একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। বিশেষভাবে পুলিশ সেবা/ আরক্ষী সেবা প্রবর্তন, কর বিভাগে আধিকারিক নিয়ােগ, ভূমির পাট্টা প্রদান, রূপার মুদ্রা ‘রূপী’র প্রচলন, গ্র্যাণ্ড ট্রাঙ্ক রােড নির্মাণ, ডাক ব্যবস্থায় ঘােড়ার প্রয়ােগ শেরশাহের রাজত্বকালের অন্যতম কীর্তি।
(গ) মােগল মন্ত্রীসভা – মােগল শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় শাসনে সম্রাটের পর একটি মন্ত্রীসভা ছিল। আজকালের মন্ত্রীদের মতাে সেকালের মন্ত্রীদের ক্ষমতা ছিল না, বরং তাদের মন্ত্রী না বলে সচিব বলাই যুক্তিসংগত হবে। মন্ত্রীদের ভেতর উকিল বা ওয়াজি, দেওয়ান, মির বা বক, মির সামান, সদর-উস-সদুর ছিল প্রধান। ওয়াজি ছিলেন সাম্রাজ্যের রাজস্ব বিভাগের প্রধান আধিকারিক। অপর দিকে কেন্দ্রীয় আয়-ব্যয়ের হিসেব রাখার দায়িত্ব দেওয়ানের ওপর ন্যস্ত ছিল। সামরিক বিভাগের প্রধান আধিকারিক ছিলেন মির।
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে ?
(ক) বাবরের সিংহাসনে আরােহণের সময় থেকে শেষ মােগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ পর্যন্ত হিসেব করলে শাসনকাল প্রায় __________।
উত্তরঃ ৩০০
(খ) ভারতে আসার আগে বাবর __________ নিজের সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন।
উত্তরঃ কাবুলে।
(গ) __________ খ্রিস্টাব্দে ঘর্ঘরার যুদ্ধে বিহারের আফগানদের পরাস্ত করে বাবর বিহারও দখল করেন।
উত্তরঃ ১৫২৯
(ঘ) ঔরঙ্গজেবের সময়ে মােগল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি পূর্বে বঙ্গদেশ, থেকে পশ্চিমে __________ এবং উত্তরে __________ থেকে দক্ষিণে __________ পৰ্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
উত্তরঃ গুজরাট, কাবুল, কর্ণাটক।
(ঙ) শেরশাহের রাজত্বকালের মাত্র __________ বৎসর ভারতের এক যুগান্তকারী ইতিহাস।
উত্তরঃ পাঁচ।
প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করাে।
(ক) জয়ধ্বজ সিংহের পরবর্তী আহােম রাজা মােগলদের পরাজিত করে হারানাে রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) বর্তমান ভারতবর্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ইংরাজ শাসনব্যবস্থার নীতিগুলাের ব্যাপক প্রয়ােগ দেখা যাচ্ছে।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(গ) মােগল শাসনব্যবস্থায় সম্রাট ও প্রজার মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ছিল।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(ঘ) মােগল রাজত্বকালে বিচার ব্যবস্থার সুশৃঙ্খল নীতি ছিল।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(ঙ) মােগল সম্রাটদের উত্তরাধিকারী নির্বাচনের কোন স্থায়ী নীতি ছিল না।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
ক্রিয়াকলাপ-
প্রশ্ন ১। পাঠের মানচিত্র দেখে ঔরঙ্গজেব আকবরের সাম্রাজ্যে কী কী নতুন স্থান সংযােজন করেছিলেন লিখে দেখাও।
উত্তরঃ ১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের এক বিশাল ভূখণ্ড দখল করা ছাড়াও আকবর সিন্ধু, বেলুচিস্তান, কাবুল, কাশ্মীর ইত্যাদি অধিকার করেছিলেন। ঔরঙ্গজেব তাঁর রাজত্বকালে বিজাপুর, গােলকুণ্ডা এবং কর্ণাটক অবধি মােগল সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত করেছিলেন।
প্রশ্ন ২। মানচিত্র এবং ভূ-চিত্রাবলী দেখে পানিপথ, আগ্রা, মেবার, সুরাট, গণ্ডোয়ানা, বিজাপুর এবং গােলকুণ্ডা বর্তমানে কোন্ কোরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বের করে লেখাে।
উত্তরঃ পানিপথ – উত্তর প্রদেশ।
আগ্রা – উত্তর প্রদেশ।
মেবার – রাজস্থান।
সুরাট – গুজরাট।
গণ্ডোয়ানা – মধ্যপ্রদেশ। জল।
বিজাপুর – কৰ্ণাটক।
গােলকুণ্ডা – অন্ধ্রপ্রদেশ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.