SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 18 আমাদের আশেপাশের বাজার Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

আমাদের আশেপাশের বাজার

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। শুদ্ধ উত্তর নির্ণয় করাে।

(ক) গ্রাহক বস্তু কেনে-

(i) পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে।

(ii) খুচরাে বিক্রেতাদের কাছ থেকে।

(iii) উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে

উত্তরঃ (ii) খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে।

(খ) একটি বস্তু, কেনা দাম থেকে বেশি দামে বিক্রী করলে ব্যবসায়ী-

(i) লাভ হয়।

(ii) লােকসান হয়।

(iii) কিছুই হয় না।

উত্তরঃ (i) লাভ হয়।

(গ) বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে-বিক্রেতারা বস্তু বিক্রী করে তাদের-

(i) পাইকারী বিক্রেতা।

(ii) খুচরাে বিক্রেতা।

(iii) হকার বলা হয়।

উত্তরঃ (iii) হকার বলা হয়।

(ঘ) ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয় করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে-

(i) বিক্রী বাড়ানাে।

(ii) লাভ করা।

(iii) লােকসান করা।

উত্তরঃ (ii) লাভ করা।

প্রশ্ন ২। সংক্ষেপে উত্তর দাও।

(ক) বিনিময় প্রথা কাকে বলে ?

উত্তরঃ একটি সামগ্রীর সাথে অন্য একটি সামগ্রীর বিনিময়ের এই প্রাচীন প্রথাকে বিনিময় প্রথা বলে।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

(খ) বাজার বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ বাজার বলতে চাামরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট জায়গাকে বুঝি যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে টাকা-পয়সা বা মুদ্রার বিনিময়ে বস্তু বা সামগ্রী বেচা-কেনা হয়ে থাকে।

(গ) দৈনিক বাজারের সুবিধাসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ দৈনিক বাজারের সুবিধাসমূহ হল-

১। দৈনিক বাজারগুলাে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খােলা থাকে। যেমন- সকাল ৯টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত। এই দোকানগুলাে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে।

২। এই দৈনিক বাজারগুলাে থেকে আমরা অতি অল্প বা খুব কম সময়ের মধ্যে বাড়ির প্রয়ােজনীয় জিনিস যেমন- চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, সবজী, পাঁপড় ইত্যাদি কিনতে পারি।

৩। বাড়িতে হঠাৎ অতিথি আসলে এই দৈনিক বাজারগুলাে থেকে মাছ, মাংস, মিষ্টি ইত্যাদি অনতে বা পেতে কোনরকম অসুবিধা হয় না।

৪। এই সকল দোকানগুলােতে বিজ্ঞানসম্মত মাপ-জোখ পদ্ধতি (ওজন মাপা যন্ত্র) ব্যবহার করা হয়।

৫। গ্রাহকের সুবিধার জন্য প্রত্যেকটি দ্রব্যের বর্তমান মূল্য বাের্ডে লিখে রাখা হয়।

৬। দৈনিক বাজার প্রতিদিন খােলা থাকে বলে আমরা কোন বস্তুর প্রয়ােজন হলে সহজেই এই বাজারগুলাে থেকে সংগ্রহ করতে পারি।

৭। গ্রাহক নিজের সুবিধামতাে দোকান পছন্দ করে নিতে পারেন।

(খ) বস্তুর দাম বা দর বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ একটি বস্তু ক্রয় করার জন্য আমরা যে মূল্য (টাকা-পয়সা) প্রদান করি, তাকে বস্তুর দাম বা দর বলে।

(ঙ) সাপ্তাহিক বাজারে বস্তুর দাম কেন কম হয় ?

উত্তরঃ সাপ্তাহিক বাজারে একজাতীয় দ্রব্যের বিভিন্ন দোকান থাকে বলেই এই বাজারে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়।

(চ) জোনাবিল মেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?

উত্তরঃ অসমের মারিগাঁও জেলার জাগীরােডের জোনবিলের পাশে মাঘ বিহুর কয়েকদিন পরেই একটি বাৎসরিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাটিতে একটি বিরাট বাজার বসে। পাহাড়ের তিওয়া, কাৰ্বি, খাসি, জয়ন্তিয়া প্রভৃতি জনজাতীয় লােকদের সাথে সমতলের মানুষজনও নানা সামগ্রী নিয়ে বাজারে আসেন। বাজারে তারা নিজ নিজ সামগ্রীর সঙ্গে অন্যের সামগ্রী বদল বা বিনিময় করেন। এই মেলা থেকে তিওয়া জনগােষ্ঠীর রাজা সমস্ত বৎসরের কর সংগ্রহ করেন। সমগ্র ভারতবর্ষের মধ্যে এইটিই একমাত্র বাজার যেখানে এখনও বিনিময় প্রথা প্রচলিত আছে।

প্রশ্ন ৩। উত্তর লেখাে।

(ক) দৈনিক বাজার এবং সাপ্তাহিক বাজারের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে, লেখাে।

উত্তরঃ দৈনিক বাজার এবং সাপ্তাহিক বাজারের মধ্যে পার্থক্যগুলাে নীচে উল্লেখ করা হল-

১। দৈনিক বাজারগুলাে স্থায়ী, ঘরে বসে এবং সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিন ছাড়া বাকি দিনগুলােতে এই দোকানগুলাে খােলা থাকে। যেমন- গুয়াহাটির ফ্যান্সি বাজার সপ্তাহে একদিন রবিবারে বন্ধ থাকে।

অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারগুলাে সপ্তাহে মাত্র একদিন খােলা থাকে। এই বাজারগুলাে অস্থায়ীভাবে কোন জায়গায় বসে।

২। দৈনিক বাজারগুলাে শহরাঞ্চলে বেশি থাকে। এই বাজারগুলাে গ্রামাঞ্চলে বেশি থাকে না।

অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারগুলাে গ্রামাঞ্চলে বেশি থাকে।

৩। দৈনিক বাজারের দোকানগুলােতে আমাদের প্রয়ােজনীয় বস্তু, যেমন- চাল, ডাল, আটা-ময়দা, কাপড়-চোপড়, শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ-মাংস ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তুত করা নির্দিষ্ট দাম ও মান বিশিষ্ট সামগ্ৰীসমূহ পাওয়া যায়।

অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারগুলােতে গ্রামের এক বৃহৎ সংখ্যক মানুষ নিজস্ব উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী, যেমন- শস্য, তিল-তিসি, পাট, ধান, চাল, শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি ছাড়াও গরু, মহিষ, ছগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, পায়রা প্রভৃতি সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রী হয়। এছাড়াও নানা প্রকারের ঘরে তৈরি কাপড়, কাঠ ও বাঁশ-বেতের সামগ্রী, বিভিন্ন খাবার ইত্যাদিও সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রী করা হয়।

৪। দৈনিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম কম।

৫। দৈনিক বাজারের দোকানগুলাে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে খােলা হয় ও বন্ধ করা হয়।

কিন্তু সাপ্তাহিক বাজারে দোকানগুলাে খােলার ও বন্ধ করার কোন নির্দিষ্ট সময় নাই।

৬। দৈনিক বাজারগুলােতে বিজ্ঞানসম্মত মাপ-জোখ পদ্ধতি (ওজন মাপা যন্ত্র) ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বাের্ডে লিখে রাখতে হয়।

অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারে উপরােক্ত ব্যবস্থাসমূহ সম্পূর্ণ পাই।

৭। দৈনিক বাজারে স্থায়ী খরচ বেশি, যেমন-ঘর ভাড়া, কর্মচারীর বেতন, ইলেকট্রিক লাইট ইত্যাদি। দৈনিক বাজারগুলাে স্থায়ী।

অপরদিকে সাপ্তাহিক বাজারে স্থায়ী খরচ কম। সাপ্তাহিক বাজারে কর্মচারীর বেতন দিতে হয় না, মাসিক ইলেকট্রিক বিল দিতে হয় না। সাপ্তাহিক বাজারগুলাে অস্থায়ী।

(খ) বিভিন্ন প্রকারের বাজার আমাদের সামাজিক প্রয়ােজনগুলােকে কীভাবে পূরণ করে বুঝিয়ে লেখাে।

উত্তরঃ দৈনিক বাজারগুলাে আমাদের সামাজিক প্রয়ােজনগুলাে পূরণ করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। যেমন-বাড়িতে হঠাৎ কোন অতিথি আসলে, মাছ, মাংস, মিষ্টি ইত্যাদি জিনিসগুলাে যখন তখন বা সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক বাজারগুলাে থেকে আনা যায়। যেহেতু দৈনিক বাজারগুলাে একটি নির্দিষ্ট সময় খােলা থাকে বলে প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র পেতে কোন অসুবিধা হয় না।

সাপ্তাহিক বা অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারগুলােতে গ্রামের বৃহৎ সংখ্যক নিজস্ব উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী, যেমন- শস্য, তিল-তিসি, পাট, ধান, চাল, শাক-সবজি, ফল-মূল, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, পায়রা প্রভৃতি বিক্রী করে থাকেন। এছাড়াও নানা প্রকারের ঘরে তৈরি কাপড়, কাঠ ও বাঁশ-বেতের সামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের খাবার, ইত্যাদি বিক্রী করা হয়। বিক্রেতারা আবার তাদের সামগ্রীর বিক্রীত অর্থ দিয়ে নিজের পরিবারের জন্য প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র সাপ্তাহিক বা অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজার থেকে ক্রয় করেন। সাপ্তাহিক বা অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারের আর একটি সুবিধা হল যে গ্রাহক বা ক্রেতারা একই জায়গায় বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় জিনিস একই সঙ্গে পেয়ে যান।

পাইকারি বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনলে সস্তায় পাওয়া যায়। পাইকারি ব্যবসায়ীগণ উৎপাদনকারী কোম্পানী হতে মালপত্র কিনে খুচরাে বিক্রেতাদের নিকট মালপত্র বিক্রি করে। জনসাধারণ খুচরাে বিক্রেতাদের থেকে মালপত্র কিনে বা ক্রয় করে। এইভাবে কোম্পানী পাইকারী ব্যবসায়ী, খুচরাে বিক্রেতারা লাভের টাকা দিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এবং সামাজিক প্রয়ােজনগুলােকে পূরণ করে।

বর্তমানে বহুলােক বাজার করার সময় পায় না বা দৈনিক বাজার বাড়ি থেকে দূরে অবস্থিত বলে বাজার করতে অসুবিধা হয়। এই সমস্ত লােক বাড়িতে হকার বা ফেরিওয়ালাদের থেকে শাক-সবজি, মাছ, ডিম, ফল-মূল, প্রসাধন সামগ্রী, সংবাদপত্র ইত্যাদি ক্রয় করেন। হকার বা ফেরিওয়ালা দ্বারা পরিচালিত বাজার ও আমাদের সামাজিক প্রয়ােজনগুলাে পূরণ করছে।

শপিং মল থেকেও আমরা প্রয়ােজনীয় জিনিসগুলাে কিনতে পারি।

(গ) পাইকারি বিক্রেতার প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে লেখাে।

উত্তরঃ পাইকারি বিক্রেতার বিশেষ প্রয়ােজন আছে। পাইকারি বিক্রেতাগণ উৎপাদনকারী হতে একসঙ্গে বহু টাকার জিনিসপত্র ক্রয় করে যা খুচরাে বিক্রেতাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ তাদের পুঁজি বা মূলধন অনেক কম। আমাদের দেশে বিক্রেতাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ জনই খুচরাে বিক্রেতা। পাইকারি বিক্রেতা না থাকলে খুচরাে বিক্রেতাগণ সমাজের জনসাধারণের চাহিদা পূরণ করতে পারত না। খুচরাে বিক্রেতাগণ পাইকারি বিক্রেতাদের থেকে জিনিসপত্র ক্রয় করে সমাজের জনসাধারণের চাহিদা বা অভাব পূরণ করছে এবং লভ্যাংশ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে।

(খ) বাজার শৃঙ্খল বলতে কী বােঝ, লেখাে।

উত্তরঃ কলকাতার গেঞ্জি কারখানা, কমল সাহা অ্যাণ্ড কোং (গেঞ্জি উৎপাদনকারী), করিমগঞ্জের পাইকারি বাজার, অরুণ স্টোর (পাইকারী ব্যবসায়ী) পাইকারি দাম ; সুতার পাড়া সাপ্তাহিক বাজার সুনার আলি (খুচরাে ব্যবসায়ী), খুচরাে দাম ; নিরঞ্জন কেরী (গ্রাহক)। অর্থাৎ উৎপাদনকারী কোম্পানী, পাইকারি ব্যবসায়ী ও পাইকারি দাম ;খুচরাে ব্যবসায়ী ও খুচরাে দাম এবং গ্রাহক নিয়ে বাজার শৃঙ্খল গঠিত।

প্রশ্ন ৪। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।

(ক) __________ বিনিময়ে আমরা আমাদের প্রয়ােজনীয় সামগ্ৰীসমূহবাজার থেকে কিনি।

উত্তরঃ মুদ্রার।

(খ) বস্তুর পাইকারি দাম থেকে খুচরাে দাম __________ হয়।

উত্তরঃ বেশি।

(গ) __________ প্রথা বাজারের প্রাচীন ব্যবস্থা।

উত্তরঃ বিনিময়।

(ঘ) উৎপাদনকারীর কাছ থেকে __________ বিক্রেতারা বৃহৎ পরিমাণে বস্তু কেনেন।

উত্তরঃ পাইকারী।

(ঙ) __________ হচ্ছে বস্তু বেচা-কেনার মাধ্যম।

উত্তরঃ মুদ্রা।

(চ) কেনা দাম থেকে বিক্রীর দাম কম হলে __________ হয়।

উত্তরঃ লােকসান।

প্রশ্ন ৫। প্রকল্প-

তােমার নিজ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে উৎপাদিত বিক্রয়যােগ্য সামগ্রী সমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করে সেই সামগ্রীগুলাে কোন কোন বাজারে পাঠানাে হয় তার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ আমাদের অঞ্চলে (খারুপেটিয়া) স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিক্রয়যােগ্য সামগ্রীসমূহ হল- শস্য, তিল-তিসি, পাট, ধান, শাক-সবজি, যেমন- ফুলকফি, বাধাকফি, বেগুন, কোমড়, লাউ, টমেটো ইত্যাদি ছাড়াও গরু, মহিষ, ছাগল, পায়রা প্রভৃতি উৎপদিত হয়। এছাড়া নানা প্রকারের ঘরে তৈরি কাপড়, যেমন- গামছা, মেখলা চাদর, কাঠ ও বাঁশ-বেতের সামগ্রী উৎপাদন হয়। এই সকল সামগ্রীগুলাে মঙ্গলদৈ বাজারে, গুয়াহাটি মাছ খেয়াও ফেন্সী বাজারে বিক্রীর জন্য পাঠানাে হয়। আমাদের অঞ্চলের খারুপেটিয়া সাপ্তাহিক বাজারেও এইসকল সামগ্রীগুলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নেয়।

ক্রিয়াকলাপ-

প্রশ্ন ৬। মুদ্রার অনুপস্থিতিতে জিনিসপত্র বেচা-কেনার ক্ষেত্রে বাজারে কীকী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারত, তা শিক্ষকের সাথে আলােচনা ক্রমে একটি টীকা লেখ।

উত্তরঃ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ৮নং প্রশ্নের উত্তর লেখো।

প্রশ্ন ৭। তােমাদের বাড়ির আশেপাশে দৈনিক বাজার আছে কি ? যাদি থাকে কয়েকটি দোকানের নাম লিখে তাতে সাধারণত কী কী পাওয়া যায়, তার একটি ছালিকা প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ আমাদের বাড়ির পার্শ্বে ফাটাশীল দৈনিক বাজার আছে। এই দৈনিক বাজারে আমাদের প্রয়ােজনীয় সবরকমের জিনিসপত্রই পাওয়া যায়। যেমন- রঞ্জন স্টোর, ললিত স্টোর ইত্যাদি দোকানগুলােতে চাল, ডাল, চিনি, তেল, বিভিন্ন ধরনের মশলা, প্যাকেটের দুধ আমুল স্প্রে, গুড়, বাতাসা, প্লাষ্টিকের থালা, গ্লাস, বাটি, বিড়ি, সিগারেট, সাবান, বিভিন্ন কোম্পানীর প্রসাধন সামগ্রী- পাউডার, স্নাে, আলতা, বিস্কুট ইত্যাদি পাওয়া যায়।

ফাটাশীল সমবায় ভাণ্ডারে রেশনের দোকানে চাল, ডাল, চিনি, আটা-ময়দা, কেরােসিন তেল, সরিষার তেল, নারকেল তেল, সাবন ইত্যাদি পাওয়া যায়।

নিউ ফাইন ওয়াক অঞ্জলী শশা দোকানগুলােতে বিভিন্ন ধরনের জুত, সেণ্ডেল পাওয়া যায়, কামাখ্যা হার্ডওয়ার, অঞ্জলী হার্ডওয়ার দোকানগুলােতে বিভিন্ন ধরনের বাড়ি-ঘর রং করার জিনিষ, টিউবওয়েলের পাইপ, বডি, বল্টু, ওয়াসার ইত্যাদি পাওয়া যায়। কামাক্ষ্যা ফার্মাসী, ডেকা ফার্মাসী, জ্যোতি মেডিকেল ইত্যাদি দোকানগুলােতে আমাদের দৈনিক প্রয়ােজনীয় ঔষধপত্র সবই পাওয়া যায়।

ভি. আই. পি., মা তার সুইটস দোকানগুলােতে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, বিস্কুট, চানাচুর কোকোকলা, থাম্পস আপ ইত্যাদি পাওয়া যায়।

পার্বতী বুক স্টল, মর্ডান বুক ডিপাে ইত্যাদি দোকানগুলােতে স্কুল, কলেজের বই, খাতা, কাগজ, কলম, পেন্সিল ইত্যাদি সবই পাওয়া যায়।

ফাটাশীল দৈনিক বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, পান, সুপারী, মাটির হাড়ি, পাতিল, পাটি, পূজার মনােহারি জিনিসপত্র সবই পাওয়া যায়। টিভির দোকানে টিভি, সােনার দোকানে স্বর্ণের অলঙ্কারও আছে। তাছাড়া কয়েকটি চা ও পানের দোকান আছে।

প্রশ্ন ৮। সাপ্তাহিক/অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারে সামগ্রীর দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়- কারণ ব্যাখ্যা করাে।

উত্তরঃ সাপ্তাহিক বা অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারগুলাে অস্থায়ী। সাপ্তাহিক-অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারের বিক্রেতারা তাদের পণ্যদ্রব্য নিজ নিজ ঘরে মজুত করে রাখে বলেই এই সব বাজারে সাধারণত স্থায়ী ঘরের প্রয়ােজন হয় না। এইগুলাে বাজারের মতাে দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ, কর্মচারী ইত্যাদি বাবদ কোন খরচ নাই। এই বাজারে এক জাতীয় দ্রব্যের বিভিন্ন দোকান থাকে বলে জিনিসপত্রের দাম তুলামূলকভাবে কম হয়।

প্রশ্ন ৯। নিরঞ্জন কৈরীকে কলকাতার কমল সাহা অ্যাণ্ড কোং থেকে যদি গেঞ্জিটি সরাসরি কিনতে হত, তাহলে তাকে কী অবস্থার সম্মুখীন হতে হত ; নিজে চিন্তা করে লেখাে।

উত্তরঃ নিরঞ্জন কৈরীকে কলকাতার কমল সাহা অ্যাণ্ড কোং থেকে যদি গেঞ্জিটি সরাসরি কিনতে হত তাহলে তাকে করিমগঞ্জের গ্রামের থেকে কলকাতায় যাতায়াত অর্থাৎ আসা-যাওয়া করতে অনেক টাকা খরচ করতে হত এবং বহুসময় প্রায় ৪/৫ দিন লাগত। তার গেঞ্জির দামের দশগুণ টাকা খরচ হত। সেইজন্যই জনসাধারণের খুচরা ব্যবসায়ীর প্রয়ােজন, গ্রামের মানুষের জন্য সাপ্তাহিক অর্ধ সাপ্তাহিক বাজারের প্রয়ােজন যাতে গ্রামের মানুষ এসকল বাজারের দোকান থেকে নিজের প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

প্রশ্ন ১। দৈনিক বাজারগুলােকে কেন স্থায়ী বাজার বলা হয় ?

উত্তরঃ সাধারণত স্থায়ী ঘরে এই সকল দোকানপাট বা বাজার বসে বলে তাকে স্থায়ী বাজার বলে।

প্রশ্ন ২। দৈনিক বাজারের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ দৈনিক বাজারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নীচে উল্লেখ করা হল-

১। দৈনিক বাজারগুলাে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে।

২। এই দোকানগুলাে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে খােলা হয় ও বন্ধ করা হয়।

৩। দৈনিক বাজারের আর একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল এখানে বিজ্ঞানসম্মত মাপ-জোখ পদ্ধতি (ওজন মাপা যন্ত্র) ব্যবহার করা হয়। তদুপরি প্রত্যেক সামগ্রীর একটি নির্দিষ্ট দাম থাকে।

৪। দৈনিক দোকানগুলাে সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে এবং বাকি দিন-গুলােতে এই দোকানগুলাে খােলা থাকে।

৫। গ্রাহকের সুবিধার জন্য নিত্য ব্যবহার্য খাদ্যসামগ্রী রাখা দোকানগুলােতে কিছু নিত্য প্রয়ােজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বর্তমান মূল্য বাের্ডে লিখে রাখা হয়।

প্রশ্ন ৩। তােমাদের এলাকার একটি স্থায়ী বাজারের নাম লেখাে।

উত্তরঃ ফাটাশীল বাজার।

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

প্রশ্ন ১। সাপ্তাহিক বাজার কী ?

উত্তরঃ সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যখন এই বাজারগুলাে বসে তখন এই বাজারগুলােকে সাপ্তাহিক বাজার বলা হয়। এই বাজারগুলাে ‘হট’ নামেও পরিচিত। কাছাড় জেলার লক্ষীমপুর শহরে বৃহস্পতিবারের বাজারটি একটি বৃহৎ সাপ্তাহিক বাজার।

প্রশ্ন ২। সাপ্তাহিক বাজারের প্রধান সুবিধাসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ সাপ্তাহিক বাজারের প্রধান সুবিধাসমূহ নীচে উল্লেখ করা হল-

১। সাপ্তাহিক বাজারগুলাে বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলে বসে। গ্রামের এক বৃহৎ সংখ্যক মানুষ নিজস্ব উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী, যেমন শস্য, তিল-তিসি, পাট, ধান, চাল, শাক-সবজি, ফল-মূল, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, পায়রা ইত্যাদি সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রি করতে পারে। এছাড়াও নানা প্রকারের ঘরে তৈরি কাপড়, কাঠ ও বাঁশ-বেতের সামগ্রী, বিভিন্ন খাবার ইত্যাদিও সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রি করা হয়।

২। বিক্রেতারা আবার তাদের সামগ্রীর বিক্রীত অর্থ দিয়ে নিজের পরিবারের জন্য প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র সাপ্তাহিক বাজার থেকে ক্রয় করেন।

৩। সাপ্তাহিক বাজারে একজাতীয় দ্রব্যের বিভিন্ন দোকান থাকে বলে এই বাজারে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়।

৪। ক্রেতারা ভােগ্যসামগ্রীর মান অনুযায়ী বিভিন্ন দোকানে দর-দাম যাচাই করে জিনিসপত্র কিনতে পারে।

৫। সাপ্তাহিক বাজারের আরও একটি সুবিধা হল যে গ্রাহক বা ক্রেতারা একই জায়গায় বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় জিনিস একই সঙ্গে পেয়ে যান।

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

প্রশ্ন ১। নিরঞ্জন কৈরীকে সুনার আলির বিক্রীত গেঞ্জির পাইকারি দাম কত টাকা ছিল ?

উত্তরঃ ৫০ টাকা।

প্রশ্ন ২। গেঞ্জিটির খুচরাে দাম কত টাকা ছিল ?

উত্তরঃ ৬০ টাকা।

প্রশ্ন ৩। নিরঞ্জনকে গেঞ্জিটি বিক্রী করে সুনার আলি কত টাকা লাভ বা লােকসান করেন ?

উত্তরঃ নিরঞ্জনকে গেঞ্জিটি বিক্রী করে সুনার আলি ১০ টাকা লাভ করেন।

প্রশ্ন ৪। অরুণ স্টোর থেকে কেনা সব ক’টি গেঞ্জি খুচরাে বাজারে বিক্রী করলে সুনার আলির মােট কত টাকা লাভ হত ?

উত্তরঃ ৬০০ টাকা লাভ হত।

প্রশ্ন ৫। অরুণ স্টোরের মালিক একেকটি গেঞ্জিতে কত টাকা করে লাভ করেন ?

উত্তরঃ প্রায় ৮.৩৪ (আট টাকা চৌত্রিশ পয়সা)।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতবর্ষের কোন স্থানে এখনও বিনিময় প্রথা প্রচলিত আছে ?

উত্তরঃ অসমের মরিগাঁও জেলার জাগিরােডের জোনাবিল মেলায় এমনও দ্রব্য বেচা-কেনা হয় বিনিময় প্রথায়।

প্রশ্ন ২। বস্তুকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ বস্তুকে দ্রব্য বা সামগ্রী বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। সামগ্রীর উদ্বৃত্ত অংশ কাকে বলে ?

উত্তরঃ উৎপাদিত সামগ্রীর যে অংশ মানুষের ভােগ করার পরও থেকে যায় তাকে সামগ্রীর উদ্বৃত্ত অংশ বলে।

প্রশ্ন ৪। মুদ্রা কাকে বলে ? আমাদের দেশে কয় ধরনের মুদ্রা আছে ?

উত্তরঃ মুদ্রা হল বিনিময়ের মাধ্যম। দেশের জনসাধারণ যার সাহায্যে দেনা-পাওনা মেটায় এবং যার সাহায্যে সকল প্রকার বস্তু ও সেবার বিনিময় চলে, তাকে মুদ্রা বলে। ভারতে টাকার মাধ্যমেই সবকিছু বেচা-কেনা বিনিময় হয়। ভারতে মুদ্রা বলতে টাকাকড়িকে বােঝায়।

প্রশ্ন ৫। মুদ্রার মাধ্যমে কী কী সেবা-পরিষেবা বেচা-কেনা করা যায় ?

উত্তরঃ মুদ্রার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা, আইনজীবীর সেবা, ইঞ্জিনিয়ারের সেবা এবং পানীয় জল, পরিবহণ, ইলেকট্রিক, টেলিফোন ইত্যাদি পরিষেবা আমরা টাকা বা মুদ্রার বিনিময়ে ক্রয় করে থাকি।

প্রশ্ন ৬। বাজার বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ বর্তমানে বাজার বলতে আমরা মুদ্রার বিনিময়ে বিভিন্ন সামগ্রী ও সেবা, পরিষেবা বেচা-কেনা করাকে বুঝি।

প্রশ্ন ৭। বর্তমানে জিনিসপত্র বেচা-কেনার কোন প্রক্রিয়াটি যথেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ?

উত্তরঃ বর্তমানে ইন্টারনেটের সাহায্যে জিনিসপত্র বেচা-কেনার প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ৮। বিনিময় প্রথার চারটি অসুবিধা লেখ।

উত্তরঃ ১। সঞ্চয়ের অসুবিধা- বিনিময় প্রথায় পণ্যদ্রব্য দীর্ঘসময়ে জন্য সঞ্চয় করা যায় না।

২। অভাবের সামঞ্জ্যহীনতা- বিনিময় প্রথায় মানুষের অভাবের সামঞ্জস্য থাকে না। আটার পরিবর্তে চাল চাওয়া একজন মানুষ চালের পরিবর্তে আটা চাওয়া বা খোঁজা একজন মানুষ পেতে হবে। অর্থাৎ দু’জন মানুষের বা ব্যক্তির অভাবের মিল চাই। অভাবের এই অসামঞ্জস্যতাই বিনিময় প্রথার বিলুপ্তির প্রধান কারণ।

৩। বিভাজনের অসুবিধা- একটিগরুর মূল্য এক কিলাে চালের মূল্যের সমান হতে পারে না। এক কিলাে চালের বিনিময়ে গরুটির একটি অংশ পেতে পারে। কিন্তু গরুটিকে ভাগ করা যায় না।

৪। ভবিষ্যৎ পরিশােধে অসুবিধা- বিনিময়প্রথায় বাকী দ্রব্যের বিনিময় করতে ত সুবিধা। কারণ এখন বিনিময় করতে খোঁজা দ্রব্যের মূল্য পরবর্তীকালে কম বেশি হতে পারে।

প্রশ্ন ৯। স্থায়ী বাজার কাকে বলে ?

উত্তরঃ সাধারণত স্থায়ী ঘরে যে সকল দোকানপাট বা বাজার বসে তাকে স্থায়ী বাজার বলে। যেমন- গুয়াহাটির পল্টন বাজর একটি স্থায়ী বাজার।

প্রশ্ন ১০। দৈনিক বাজারের দোকানগুলােতে কী কী বস্তু বা সামগ্রী পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ দৈনিক বাজারের দোকানগুলােতে ডাল, ডাল, আটা-ময়দা, কাপড়, জুতা, শাক-সবজী, ফল-মূল, মাছ-মাংস ইত্যাদি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর প্রস্তুত করা নির্দিষ্ট দাম ও মান বিশিষ্ট সামগ্ৰীসমূহ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১১। পাক্ষিক বাজার কাকে বলে ?

উত্তরঃ অসমের বেশ কিছু অঞ্চলে চা-শ্রমিকদের প্রতি পনেরাে দিন অন্তর অন্তর বেতন দেওয়া হয়। বেতনের দিনে এই বাগানগুলােতে একটি বাজার বসে। তাকে পাক্ষিক বাজার বলা হয়। এখানে তাদের প্রয়ােজনীয় সামগ্রী বেচা-কেনা করা হয়।

প্রশ্ন ১২। গুয়াহাটির কোন স্থানের অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারটি উল্লেখযােগ্য ?

উত্তরঃ গুয়াহাটির বেলতলা বাজারটি নগরাঞ্চলের একটি উল্লেখযােগ্য অৰ্ধ-সাপ্তাহিক বাজার।

প্রশ্ন ১৩। কাছাড় জেলার একটি বৃহৎ সাপ্তাহিক বারের নাম উল্লেখ কর।

উত্তরঃ কাছাড় জেলার লক্ষীপুর শহরের বৃহস্পতি বাজারের বাজারটি একটি বৃহৎ সাপ্তাহিক বাজার।

প্রশ্ন ১৪। স্থায়ী দোকান রা দৈনিক বাজারে সামগ্রীর দাম বেশি হয় কেন ?

উত্তরঃ স্থায়ী দোকান বা দৈনিক বাজারে দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ, কর্মচারী ইত্যাদি বাবদ অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয় বলেই এইসব বাজারে সামগ্রীর দাম তুলনামূলকভাবে সাপ্তাহিক বা অর্ধ-সাপ্তাহিক বাজারের থেকে একটু বেশি হয়।

প্রশ্ন ১৫। পাইকারি বিক্রেপ্তারা কোথা থেকে দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করেন বা কিনে থাকেন ?

উত্তরঃ পাইকারি বিক্রেতারা উৎপাদনকারীদের থেকে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করেন বা কিনে থাকেন।

প্রশ্ন ১৬। কার বা ফেরিওয়ালা পরিচালিত বাজার বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ যে সকল লােক বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাক-সবজি, দুধ, ডিম, মাছ, ফল-মূল, প্রসাধন সামগ্রী, সুলভ মূল্যের সামগ্রী, সংবাদপত্র ইত্যাদি বিক্রী করে তাকে হকার বা ফেরিওয়ালা বাজার বলে ।

প্রশ্ন ১৬। শপিং মল বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ শপিং মল হল একই ব্যক্তি বা গােষ্ঠীর মালিকাধীন একটি বৃহৎ ভবনে অবস্থিত একটি বিশাল বাজার, যেখানে আমাদের প্রয়ােজনীয় ডাল, চাল, চিনি, কাপড়, তেল, মশলা ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি সামগ্রী বিভিন্ন কক্ষে বা জায়গায় অতিআকর্ষণীয় ভাবে বিক্রীর জন্য সাজিয়ে রাখা হয়। ক্রেতাগণ তাদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ করে ভবনের নির্দিষ্ট জায়গায় বিল পরিশােধ করেন। এই প্রকারের বাজারের এক বিশেষ সুবিধা হল গ্রাহককে তার নিজের চাহিদারবস্তুগুলাে কেনার জন্য বিভিন্ন দোকানের খোঁজে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতে হয় না। গুয়াহাটির ভিশাল ও বিগ বাজার শপিং মল দুটি বিখ্যাত।

প্রশ্ন ১৭ শপিং কমপ্লেক্স বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ শপিং কমপ্লেক্স হল একটি বৃহৎ বা বিশাল ভবনে থাকা বেশ কিছু দোকানের সমষ্টি, যেখানে বিভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন সামগ্রী বেচা-কেনা করা হয়। এখানে সাধারণত প্রতিটি দোকানের মালিকানাস্বত্ব ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির অধীনে থাকে।

প্রশ্ন ১৮। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

১। বর্তমান সময়ে __________ বলতে আমরা মুদ্রার মাধ্যমে সামগ্রী বা ভি সেবা-পরিষেবা বেচা-কেনা করার ব্যবস্থাটিকেই বুঝি।

উত্তরঃ বাজর।

২। গুয়াহাটির বেলতলা বাজারটি নগরাঞ্চলের একটি উল্লেখযােগ্য __________ বাজার।

উত্তরঃ অর্ধ-সাপ্তাহিক।

৩। কাছাড় জেলার লক্ষীপুর শহরের বৃহস্পতিবারের বাজারটি একটি বৃহৎ __________ বাজার।

উত্তরঃ সাপ্তাহিক।

৪। বিনিময় প্রথায় সামগ্রীর পরিবর্তে __________ বিনিময় করা হয়।

উত্তরঃ সামগ্রী।

৫। দৈনিক বাজার হচ্ছে __________ প্রকৃতির বাজার।

উত্তরঃ স্থায়ী।

৬। পাইকারী বিক্রেতারা __________ কাছ থেকে দ্রব্যসামগ্রী কিনে থাকেন।

উত্তরঃ উৎপাদনকারীদের।

(৭) খুচরাে দাম থেকে __________ দাম সর্বদা কম হয়।

উত্তরঃ পাইকারি।

প্রশ্ন ১৮। গ্রামের মানুষ সাপ্তাহিক বাজারে কী কী জিনিসপত্র বা সামগ্রী বিক্রী করে ?

উত্তরঃ গ্রামের এক বৃহৎ সংখ্যক মানুষ নিজস্ব উৎপাদিত কৃষিজাত সামগ্রী, যেমন- শস্য, তিল-তিসি, পাট, ধান, চাল, শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি ছাড়াও গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, পায়রা প্রভৃতিও সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রী করে থাকেন। এছাড়াও নানা প্রকারের ঘরে তৈরি কাপড়, কাঠ ও বাঁশ-বেতের সামগ্রী, বিভিন্ন খাবার ইত্যাদিও সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রী করা হয়।

প্রশ্ন ২০। একটি গ্রাম্য সাপ্তাহিক বাজারের চিত্র অঙ্কন কর।

উত্তরঃ

প্রশ্ন ২১। একুটি শপিং মলের চিত্র অঙ্কন কর।

উত্তরঃ 

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top