SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Syllabus of SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু Question Answer in Bengali. সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই প্রশ্ন উত্তর Are you a Student of (Secondary Education Board of Assam). SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু Notes in Bengali Which you can Download PDF Notes SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু Solutions for free using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু

Today’s We have Shared in This Post, SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু Solutions in Bengali for Free with you. SEBA Class 7 Science Chapter 8 বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 7th Science Question Answer in Bengali. if you liked SEBA Class 7 Science Textbook Question Answer in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নিম্নলিখিত উক্তিগুলোর শূন্যস্থান পূর্ণ করো — 

( ক ) বাতাস হল বায়ুর ____ অবস্থা ।

উত্তরঃ গতিশীল । 

( খ ) পৃথিবী পৃষ্ঠে ____ উত্তাপের ফলে বাতাসের সৃষ্টি হয় । 

উত্তরঃ তারতম্য । 

( গ ) ____ বাতাস উপরের দিকে উঠে এবং ____ বাতাস পৃথিবীপৃষ্ঠে নীচের দিকে আসে । 

উত্তরঃ গরম , অপেক্ষাকৃত শীতল । 

( ঘ ) বায়ু ____ চাপযুক্ত অঞ্চল থেকে বায়ু ____ চাপযুক্ত অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ উচ্চ , নিম্ন । 

প্রশ্ন ২। কোনো একটি স্থানের বায়ুর দিক নির্দেশ করার দুটি পদ্ধতি আলোচনা করো । 

উত্তরঃ কোনো স্থানের বাতাসের দিক্‌নির্ণয় করতে পারা দুটি পদ্ধতির কথা— যন্ত্রটি ব্যবহার করে কোনো স্থানের বাতাসের দিকনির্ণয় করা সম্ভব । 

বাতাসের দিক্‌নির্ণয়ের জন্য একটি সহজ পদ্ধতি হল — এক মুঠো ধুলো হাতে নিয়ে তা বাতাসে ছেড়ে দিলে সেগুলি বাতাসের গতির দিকে উড়ে যাবে । এভাবেও বাতাসের দিক্‌নির্ণয় করতে পারা যায় । 

প্রশ্ন ৩। বায়ু চাপ দেয় এই কথাটি বোঝানোর জন্য দুটো পরীক্ষার উল্লেখ করো । ( পাঠ্য বইয়ের বাইরে ) 

উত্তরঃ প্রথম পরীক্ষা : বায়ুশূন্য একটি বেলুনে ফুঁ দিলে বায়ুর চাপের জন্য সেটি ফুলে ওঠে । আবার বেলুনটিতে যখন অতিরিক্ত বায়ু ভর্তি হয়ে পড়ে তখন বায়ুর অতিরিক্ত চাপের জন্য বেলুনটি ফেটে যায় ।

দ্বিতীয় পরীক্ষা : স্ট্র পাইপ দিয়ে শরবত খেলে শরবত মুখে উঠে আসে কারণ মুখ দিয়ে টান মারলে ভিতরের বায়ু বেরিয়ে আসে এবং স্ট্রয়ের ভিতরে বায়ুর চাপ কমে যায় । ফলে বাইরে থেকে স্টুয়ের ভিতরে বায়ু ঢোকার চেষ্টা করতেই গ্লাস বা বোতলের শরবতের ওপর চাপ পড়ে । বায়ুর এই চাপ ক্রিয়া করার ফলেই শরবত স্ট্রয়ের ভিতরে ঢুকে মুখে উঠে আসে । সুতরাং এতে প্রমাণিত হয় যে বায়ু চাপ দেয় । 

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -1উদ্ভিদের পরিপুষ্টি
অধ্যায় -2প্রাণীর পরিপুষ্টি
অধ্যায় -3তন্ত্র থেকে বস্ত্ৰ
অধ্যায় -4তাপ
অধ্যায় -5অম্ল , ক্ষার ও লবণ
অধ্যায় -6ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন
অধ্যায় -7আবহাওয়া , জলবায়ু এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর অভিযোজন
অধ্যায় -8বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু
অধ্যায় -9মাটি
অধ্যায় -10জীবদেহে শ্বসন
অধ্যায় -11প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র
অধ্যায় -12উদ্ভিদের প্রজনন
অধ্যায় -13গতি ও বল
অধ্যায় -14বিদুৎ প্রবাহ ও তার প্রভাব
অধ্যায় -15আলোক
অধ্যায় -16জল একটি অমূল্য সম্পদ
অধ্যায় -17বনাঞ্চল : আমাদের জীবনরেখা
অধ্যায় -18বর্জিত জলের গল্প

প্রশ্ন ৪। তুমি একটি বাড়ি কিনতে চাইছ । তুমি কি এখন একটি বাড়ি কিনতে চাইবে যেখানে শুধু জানালা আছে কিন্তু কোন ভেন্টিলেটর নেই ? ( তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও ) 

উত্তরঃ না , জানালা থাকা কিন্তু ভেন্টিলেটর না থাকা ঘরটি আমরা কিনব না । কেননা আমরা জানি গরম বায়ু ওপরের দিকে ওঠে এবং শীতল বায়ু নীচের দিকে ধাবিত হয় । সুতরাং জানালা দিয়ে ঘরের ভিতরে নির্মল ও শীতল বায়ুর পরিচলন অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ঘরের দেওয়ালের ওপরের অংশে ভেন্টিলেটর থাকা প্রয়োজন । 

প্রশ্ন ৫। ব্যানার ও বিজ্ঞাপন পত্র আটকানোর তক্তার বেড়ায় কেন ছিদ্র রাখা হয় ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ আমরা জানি বায়ু চাপ দেয় । যদি ঝুলিয়ে রাখা বেনার এবং হোর্ডিং এ কোনো ছিদ্র না থাকে তাহলে এগুলি বায়ুর চাপে নষ্ট হয়ে যেতে পারে । বেনার এবং হোর্ডিং – কে নিরাপদ রাখার জন্যই এগুলিতে ছিদ্র করা হয় যাতে বায়ু এই ছিদ্রগুলির মধ্য দিয়ে অনায়াসে বেরিয়ে যেতে পারে । 

প্রশ্ন ৬। তোমার গ্রামে বা শহরে যদি ঘূর্ণিবাত বয়ে যায় তবে তুমি কিভাবে তোমার প্রতিবেশীকে সাহায্য করবে ? 

উত্তরঃ নিজ গ্রাম বা শহরে ঘূর্ণীবায়ু অগ্রসর হওয়ার সময় আমরা আমাদের প্রতিবেশীগণকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারি । যেমন— 

( ১ ) ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র , গৃহপালিত জীবজন্তু এবং যানবাহন ইত্যাদিকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা ।

( ২ ) ঘূর্ণীবায়ুর সময় নিম্নলিখিত সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য প্রতিবেশীগণকে পরামর্শ দেওয়া , যেমন— ঘূর্ণীবায়ুর সময় গাড়ী না চালানো , জরুরীকালীন সময়ের জন্য পানীয় জল মজুত রাখা , দূষিত জল পান না করা , জলে ভেজা বৈদ্যুতিক সুইচ এবং মাটিতে পড়ে থাকা পরিবাহী তার স্পর্শ না করা , তামাসা করে ঘরের বাইরে বেরিয়ে না আসা ইত্যাদি । 

প্রশ্ন ৭। আসন্ন ঘূর্ণিবাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ? 

উত্তরঃ ঘূর্ণীবায়ুর ফলে সৃষ্টি হওয়া অবস্থার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সরকারের পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত অগ্রিম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে । যেমন— 

( ১ ) ঘূর্ণীবায়ুর আগাম সতর্কবাণী সরকারী সংস্থাসমূহ , নদী বন্দর , জাহাজ , ধীবর এবং সাধারণ লোকদের নিকট অতি দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা । 

( ২ ) ঘূর্ণীবায়ু প্রবণ এলাকায় আশ্রয় শিবির স্থাপন করা এবং ঘূর্ণীবায়ুর পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে অতি সত্ত্বর নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা । 

তাছাড়া জনগণের পক্ষ থেকে ঘূর্ণীবায়ুর পূর্বাভাসের ভিত্তিতে অবলম্বন করা দাবধানতাগুলি হল— 

( ১ ) দূরদর্শন , রেডিও এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জারি করা সাবধানবাণীগুলি অবজ্ঞা করা উচিত নয় । 

( ২ ) অগ্নিনির্বাপক বাহিনী , আরক্ষী থানা , চিকিৎসালয় ইত্যাদি কিছু সংখ্যক জরুরী সেবাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর জেনে রাখা উচিত যাতে তৎক্ষণাৎ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারা যায় । 

( ৩ ) খাদ্যদ্রব্য , জল , প্রাথমিক সাহায্যের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ঔষধপত্র সহজে পাওয়ার মতো অবস্থা প্রস্তুত করে রাখা উচিত ।

প্রশ্ন ৮। নীচের কোন্ জায়গাটি ঘূর্ণিবাতের প্রভাব থেকে মুক্ত ? 

( i ) চেন্নাই ।

( ii ) ব্যাঙ্গালোর ।

( iii ) অমৃতসর ।

( iv ) পুরী ।

উত্তরঃ ( iii ) অমৃতসর । 

প্রশ্ন ৯। নীচের কোন উত্তরটি শুদ্ধ ? 

( i ) শীতকালে বাতাস স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয় । 

( ii ) গ্রীষ্মকালে বাতাস স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয় । 

( iii ) উচ্চচাপযুক্ত বায়ুর সাথে প্রবল বেগে চারদিক ঘুরিয়ে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখন ঘূর্ণিবাতের সৃষ্টি হয় । 

( iv ) ভারতবর্ষের সমুদ্র উপকূলবর্তী স্থানে ঘূর্ণিবাতের সম্ভাবনা কম । 

উত্তরঃ ( i ) শীতকালে বাতাস স্থলভাগ থেকে সাগরের দিকে বহে । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বাতাস কী ? 

উত্তরঃ বায়ু যখন গতি করে তখন তাকে বলা হয় বাতাস । 

প্রশ্ন ২। গরম বায়ু ওপরের দিকে ওঠার কারণ কী ? 

উত্তরঃ তাপ পেলে বায়ু প্রসারিত হয় এবং অধিক পরিমাণ স্থান দখল করে । এর ফলে বায়ু পাতলা হয়ে যায় । গরম বায়ু ঠাণ্ডা বায়ুর চেয়ে পাতলা হওয়ায় গরম বায়ু ওপরের দিকে উঠে । 

প্রশ্ন ৩। বাতাস বহিলে গাছের পাতা , বেনার বা পতাকা ইত্যাদি নড়াচড়া করে কেন ? 

উত্তরঃ বাতাস বহিলে বায়ুর চাপের কারণে গাছের পাতা , বেনার বা পতাকা ইত্যাদি নড়াচড়া করে । 

প্রশ্ন ৪। মেরু অঞ্চল এবং বিষুব অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কীভাবে বাতাসের স্রোতের সৃষ্টি হয় আলোচনা করো । 

উত্তরঃ আমরা জানি বিষুব রেখার কাছাকাছি স্থানগুলি সূর্যের তাপ বেশি পাওয়ায় এই অঞ্চলগুলোর বায়ু বেশি গরম হয় । গরম বায়ু ওপরের দিকে উঠে এবং বিষুব রেখার উভয়দিকে ০-৩০ ডিগ্রী অক্ষাংশের অঞ্চলের দিকে ঠাণ্ডা বাতাস বহিতে থাকে । এই বাতাস উত্তর দক্ষিণ অঞ্চল থেকে বিষুব অঞ্চলের দিকে বহে । পুনরায় মেরু অঞ্চলের বায়ু ৬০ ডিগ্রী অক্ষাংশে থাকা বায়ুর চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা । এই অক্ষাংশের গরম বায়ু ওপরের দিকে যায় এবং মেরু অঞ্চলের ঠাণ্ডা বায়ু এই অঞ্চলের দিকে বহিতে থাকে । এইরূপে মেরু অঞ্চল থেকে বিষুবীয় অঞ্চলের দিকে বায়ুর একটি স্রোত বহে । 

প্রশ্ন ৫। মৌসুমী শব্দের অর্থ কী ? 

উত্তরঃ মৌসুমী একটি আরবী শব্দ । এর অর্থ হলো ঋতু । 

প্রশ্ন ৬। মৌসুমী বায়ু বলতে কী বোঝায় ? 

উত্তরঃ গ্রীষ্মকালে বিষুর রেখার কাছাকাছি স্থলভাগ খুব দ্রুত গরম হয় এবং সাগরের জলভাগের চেয়ে স্থলভাগের উত্তাপ বেশি থাকে । ফলে স্থলভাগের ওপরের গরম বায়ু ওপরের দিকে উঠে যায় এবং এই শূন্যস্থান পূরণ করতে জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে । এটিকে বলা হয় মৌসুমী বায়ু । সাগর থেকে আগত মৌসুমী বায়ু জল বহন করে আনে এবং এর ফলে বৃষ্টিপাত হয় । 

প্রশ্ন ৭। বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় কীভাবে সৃষ্টি হয় ? 

উত্তরঃ বেড়ে যাওয়া উষ্ণতা বায়ুকে তীব্রগতিতে ঊর্ধমুখী করে । ঊর্ধমুখী বাতাস জলের কণিকাগুলিকেও ওপরের দিকে বহন করে নিয়ে যায় এবং সেখানে জল ঘনীভূত হয়ে পুনরায় নীচের দিকে নেমে আসে । জলের কণিকাগুলির নিম্নমুখী তীব্র গতি এবং ঊর্ধমুখী বায়ু বিদ্যুৎ এবং শব্দের সৃষ্টি করে । একেই বলা হয় বজ্র – বিদ্যুৎসহ ঝড় । 

প্রশ্ন ৮। বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ের সময় কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ? 

উত্তরঃ বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ের সময় নিম্নলিখিত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ।

( ১ ) গাছের নীচে আশ্রয় গ্রহণ করতে নেই । বনের মধ্যে থাকলে ছোটো গাছের নীচে আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে । 

( ২ ) ছোটো মোটরগাড়ী বা বাসস্থান আশ্রয় গ্রহণের জন্য নিরাপদ স্থান। 

( ৩ ) জলের মধ্যে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জল থেকে উপরে উঠে ঘরে প্রবেশ করা প্রয়োজন । 

( ৪ ) ধাতু নির্মিত দণ্ডের ছাতির নীচে আশ্রয় গ্রহণ করতে নেই । 

( ৫ ) জানালার পাশে বসতে নেই । 

প্রশ্ন ৯। ঘূর্ণীবায়ু কীভাবে সৃষ্টি হয় ? 

উত্তরঃ মেঘ সৃষ্টি হওয়ার আগে জল বাষ্পে পরিণত হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডল থেকে তাপ গ্রহণ করে । যখন জলীয় বাষ্প বৃষ্টিকণারূপে পুনরায় তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয় তখন তাপ বায়ুমণ্ডলে বর্জিত হয়। বায়ুমণ্ডলে ত্যাগ করা এই তাপ চারপাশের বায়ুকে উত্তপ্ত করে । তখন বায়ু ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে এবং বায়ুর চাপ কমে যায় । এর ফলে ঝড়ের কেন্দ্র অংশের দিকে বেশি করে বায়ু প্রবাহিত হয় । এই চক্রটির পুনরাবৃত্তি ঘটে । এর চারদিকে ঘুরতে থাকা উচ্চগতি সম্পন্ন বায়ুর সঙ্গে অতি নিম্নচাপ গঠিত হয়ে ঘটনা প্রবাহের শৃংখলটি শেষ হয় । আবহাওয়ার এই অবস্থাকে বলা হয় ঘূর্ণীবায়ু । 

প্রশ্ন ১০। ঘূর্ণীবায়ুর অপর যে কোনো দুটি নাম উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ আমেরিকা উপমহাদেশগুলিতে ঘূর্ণীবায়ুকে বলা হয় হারিকেন । ফিলিপাইনস্ এবং জাপানে এটিকে বলা হয় টাইফুন । 

প্রশ্ন ১১। ভারতবর্ষের অতি সংবেদী এবং কম সংবেদী ঘূর্ণীবায়ু অঞ্চলের নাম করো । 

উত্তরঃ ভারতবর্ষের পূর্ব উপকুলীয় অঞ্চল ঘূর্ণীবায়ুর জন্য অতি সংবেদী। আবার ভারতবর্ষের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল ঘূর্ণীবায়ুর জন্য কম সংবেদী ।

প্রশ্ন ১২। বাতাসের গতিবেগ মাপার যন্ত্রের নাম কী ? 

উত্তরঃ বাতাসের গতিবেগ মাপার যন্ত্রের নাম হলো এনিমোমিটার । 

প্রশ্ন ১৩। ঘূর্ণীবায়ুর পূর্বাভাস দিতে পারা দুটি আধুনিক প্রযুক্তির নাম লেখো । 

উত্তরঃ কৃত্রিম উপগ্রহ এবং রাডার । 

প্রশ্ন ১৪। ঘূর্ণীবায়ুর ফলে হওয়া ধ্বংসলীলা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো । 

উত্তরঃ ঘূর্ণীবায়ুর ফলে সাগরের জলোচ্ছ্বাস 12 মিটার পর্যন্ত উচ্চ হয় বলে সাগরের জল উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্নভাগে প্রবেশ করে এবং মানুষের জীব ও সম্পত্তির প্রভূত ক্ষতি সাধন করে। তাছাড়া মাটির উর্বরতাও হ্রাস পায় । ঘূর্ণীবায়ুর সঙ্গে আসা উচ্চগতি সম্পন্ন বাতাস ঘরবাড়ী , টেলিফোন , অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা , গাছপালা ইত্যাদি নষ্ট করতে পারে । এছাড়া মানুষের জীবন এবং সম্পত্তির অপূরণীয় ক্ষতি হয়।  

প্রশ্ন ১৫। টর্নাডো কী ? 

উত্তরঃ টর্নাডো হলো আকাশ থেকে পৃথিবীর মাটিতে চলে আসা ফানেল আকৃতির কালো মেঘ। বেশিরভাগ টর্নাডো দুর্বল হয়ে থাকে । একটি ভয়ানক টর্নাডো ঘণ্টায় ২০০ কি.মি বেগে গতি করতে পারে । ঘূর্ণীবায়ুর মধ্যে টর্নাডো সৃষ্টি হতে পারে ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top