Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Syllabus of SEBA Class 7 Science Chapter 10 জীবদেহে শ্বসন Question Answer in Bengali. সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই প্রশ্ন উত্তর Are you a Student of (Secondary Education Board of Assam). SEBA Class 7 Science Chapter 10 জীবদেহে শ্বসন Notes in Bengali Which you can Download PDF Notes SEBA Class 7 Science Chapter 10 জীবদেহে শ্বসন Solutions for free using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Science Chapter 10 জীবদেহে শ্বসন
Today’s We have Shared in This Post, SEBA Class 7 Science Chapter 10 জীবদেহে শ্বসন Solutions in Bengali for Free with you. SEBA Class 7 Science Chapter 10 জীবদেহে শ্বসন in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 7th Science Question Answer in Bengali. if you liked SEBA Class 7 Science Textbook Question Answer in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
জীবদেহে শ্বসন
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। দৌড়ানোর পর খেলোয়াড়রা কেন দীর্ঘ এবং ঘন ঘন শ্বাস নেয় ?
উত্তরঃ দৌড় দেওয়ার সময় ব্যায়ামবীরের বেশি পরিমাণ শক্তি খরচ হয়।শক্তির এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য দৌড় শেষ হওয়ার পর ব্যায়ামবীর স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক দ্রুততার সহিত দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ করে থাকেন । এতে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন দেহের ভিতরে প্রবেশ করে এবং শক্তির জোগান দেয় ।
প্রশ্ন ২। সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যগুলো উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ
বায়বীয় শ্বসন | অবায়বীয় শ্বসন |
( ১ ) মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে হয় বায়বীয় শ্বসন। | ( ১ ) অবায়বীয় শ্বসনে মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না । |
( ২ ) এই প্রকার শ্বসনে শর্করা অণু ভেঙে কার্বন – ডাই – অক্সাইড এবং জল সৃষ্টি হয়। | ( ২ ) এই প্রকার শ্বসনে শর্করা অণু ভেঙে এলকোহল এবং কার্বন – ডাই – অক্সাইড সৃষ্টি হয় আবায়বীয় শ্বসনে উৎপাদিত হওয়া শক্তির পরিমাণ কম হয়। |
( ৩ ) বায়বীয় শ্বসনে উৎপাদিত হওয়া শক্তির পরিমাণ বেশি হয়। | ( ৩ ) আবায়বীয় সনে উৎপাদিত হওয়া শক্তির পরিমাণ কম হয় । |
( ৪ ) বায়বীয় শ্বসন মুক্ত অক্সিজেন সেবন করা উচ্চ শ্রেণির জীবের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। | ( ৪ ) অবায়বীয় শ্বসন অক্সিজেন। সেবন না করা জীবের কোষের কোষের হয়। |
প্রশ্ন ৩। ধূলামিশ্রিত বায়ু শ্বাস নেওয়ার পর আমরা কেন হাঁচি দিতে থাকি ?
উত্তরঃ আমাদের চারদিকের বায়ুতে বিভিন্ন প্রকারের অবাঞ্ছিত পদার্থকণা যেমন — ধোঁয়া , ধূলিকণা , ফুলের রেণু ইত্যাদি মিশে থাকে।যখন আমরা শ্বাস গ্রহণ করি তখন আমাদের নাসিকাগহ্বরে থাকা লোমগুলি এই কণিকাগুলিকে ধরে রাখে । আবার কখনও এই কণিকাগুলি নাসিকা গহবরের ভিতরের আবরণটি উত্তেজিত করে তোলে।এর ফলে আমাদের হাঁচি হয় । হাঁচি এই অবাঞ্ছিত কণিকাগুলিকে শ্বাস গ্রহণ করা বায়ু থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় এবং ধূলিমুক্ত পরিষ্কার বাতাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -1 | উদ্ভিদের পরিপুষ্টি |
অধ্যায় -2 | প্রাণীর পরিপুষ্টি |
অধ্যায় -3 | তন্ত্র থেকে বস্ত্ৰ |
অধ্যায় -4 | তাপ |
অধ্যায় -5 | অম্ল , ক্ষার ও লবণ |
অধ্যায় -6 | ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন |
অধ্যায় -7 | আবহাওয়া , জলবায়ু এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর অভিযোজন |
অধ্যায় -8 | বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু |
অধ্যায় -9 | মাটি |
অধ্যায় -10 | জীবদেহে শ্বসন |
অধ্যায় -11 | প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র |
অধ্যায় -12 | উদ্ভিদের প্রজনন |
অধ্যায় -13 | গতি ও বল |
অধ্যায় -14 | বিদুৎ প্রবাহ ও তার প্রভাব |
অধ্যায় -15 | আলোক |
অধ্যায় -16 | জল একটি অমূল্য সম্পদ |
অধ্যায় -17 | বনাঞ্চল : আমাদের জীবনরেখা |
অধ্যায় -18 | বর্জিত জলের গল্প |
প্রশ্ন ৪। তিনটি টেস্টটিউব নাও । প্রত্যেকটির ৩/৪ অংশ জল দ্বারা পূর্ণ করো । প্রত্যেকটিতে A , B , C হিসাবে শনাক্ত করো । A- টেস্টটিউবে একটি শামুক , B- তে একটি জলজ উদ্ভিদ এবং C- তে শামুক এবং জলজ উদ্ভিদ রাখো । কোন টেস্টটিউবে সব থেকে বেশি CO₂ উৎপন্ন হবে ?
উত্তরঃ তিনটি পরীক্ষানলে সংঘটিত হওয়া গ্যাসের আদান – প্রদান নীচের চিত্রে দেখানো হল ।
( i ) ‘ A ’ পরীক্ষানল :- শামুকের শ্বসনের জন্য এটিতে CO₂ গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
( ii ) ‘ B ‘ পরীক্ষানল :- উদ্ভিদের শ্বসনের জন্য CO₂ গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং সালোকসংশ্লেষণের সময় অধিক পরিমাণ CO₂ গ্যাস ব্যয়িত হয় ।
( iii ) ‘ C ‘ পরীক্ষানল :- শামুক এবং উদ্ভিদের শ্বসনের জন্য CO₂ গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং সালোক সংশ্লেষণের সময় CO₂ ব্যয়িত হয় ।
সুতরাং ওপরের চিত্র থেকে এটা স্পষ্ট যে ‘ ক ’ পরীক্ষানলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হবে ।
প্রশ্ন ৫। শুদ্ধ উত্তরটিতে চিহ্ন দাও :
( ক ) আরশোলার শরীরে বায়ু ঢোকে –
( i ) ফুসফুস দিয়ে ।
( ii ) ফুলকা দিয়ে ।
( iii ) শ্বাসনালিকা দিয়ে ।
( iv ) ত্বক দিয়ে ।
উত্তরঃ ( iii ) শ্বাসনালিকা দিয়ে ।
( খ ) ভারী ব্যায়াম করার সময় পায়ের মাংস পেশিতে খিঁচুনি ধরে যে বস্তুর জমা হওয়ার ফলে , তা হল-
( i ) কার্বন ডাই – অক্সাইড ।
( ii ) ল্যাকটিক অ্যাসিড ।
( iii ) অ্যালকোহল ।
( iv ) জল জমা হওয়ার জন্য ।
উত্তরঃ ( iii ) ল্যাকটিক অ্যাসিড ।
( গ ) একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিশ্রামের সময় শ্বাস প্রশ্বাসের হার প্রতি মিনিটে—
( i ) ৯-১২ বার ।
( ii ) ১৫-১৮ বার ।
( iii ) ২১-২৪ বার ।
( iv ) ৩০-৩৩ বার ।
উত্তরঃ ( ii ) ১৫-১৮ বার ।
( ঘ ) শ্বাস ছেড়ে দেওয়ার সময় পাঁজর –
( ক ) বাইরের দিকে যায় ।
( খ ) নীচের দিকে নামে ।
( গ ) ওপরের দিকে উঠে ।
( ঘ ) কোনো দিকেই উঠানামা করে না ।
উত্তরঃ ( খ ) নীচের দিকে নামে ।
প্রশ্ন ৬। ‘ ক ’ অংশের সঙ্গে ‘ খ ’ অংশ যুক্ত কর-
স্তম্ভ -১ | স্তম্ভ -২ |
( ক ) ইষ্ট | ( i ) কেঁচো |
( খ ) মধ্যচ্ছদা | ( ii ) ফুলকা |
( গ ) ত্বক | ( iii ) এলকোহল |
( ঘ ) পাতা | ( iv ) বক্ষগহ্বর |
( ঙ ) মাছ | ( v ) পত্ররন্ধ্র |
( চ ) ব্যাঙ | ( vi ) ফুসফুস এবং ত্বক ( vii ) শ্বাসনলীকা |
উত্তরঃ
স্তম্ভ -১ | স্তম্ভ -২ |
( ক ) ইষ্ট | ( iii ) এলকোহল |
( খ ) মধ্যচ্ছদা | ( iv ) বক্ষগহ্বর |
( গ ) ত্বক | ( i ) কেঁচো |
( ঘ ) পাতা | ( v ) পত্ররন্ধ্র |
( ঙ ) মাছ | ( ii ) ফুলকা |
( চ ) ব্যাঙ | ( vi ) ফুসফুস এবং চামড়া |
প্রশ্ন ৭। শুদ্ধ উত্তরটিতে ‘ T ‘ এবং অশুদ্ধ উত্তরটিতে ‘ F ’ বসাও
( ক ) দীর্ঘ সময় ব্যায়ামের পর একজন লোকের শ্বাস – প্রশ্বাসের হার কমে যায় । ( T / F )
উত্তরঃ উক্তিটি মিথ্যা ( F )
( খ ) গাছে দিনেরবেলা সালোক সংশ্লেষণ এবং রাত্রিতে শ্বাস – প্রশ্বাসের হার কমে যায় । ( T / F )
উত্তরঃ উক্তিটি মিথ্যা ( F )
( গ ) ব্যাঙ তাদের চামড়া এবং ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় । ( T / F )
উত্তরঃ উক্তিটি সত্য ( T )
( ঘ ) শ্বাস – প্রশ্বাসের জন্য মাছের ফুসফুস আছে । ( T / F )
উত্তরঃ উক্তিটি মিথ্যা ( F )
( ঙ ) শ্বাস নেওয়ার সময় বক্ষগহ্বর আয়তনে বাড়ে । ( T / F )
উত্তরঃ উক্তিটি সত্য ( T )
প্রশ্ন ৮। জীবের শ্বাস – প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত কিছু শব্দ নীচের বর্ণের বর্গটিতে দেওয়া আছে । এই শব্দগুলো পাশাপাশি , উপর নী , কোণাকুণিভাবে দেওয়া আছে । শ্বসনতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত শব্দগুলো বেছে বের করো । নীচে ইঙ্গিত দেওয়া হল ।
( ক ) পতঙ্গের বায়ুনলি ।
( খ ) বক্ষগহ্বরের চারপাশের কংকাল ।
( গ ) বক্ষগহ্বরের মাংসপেশিযুক্ত স্থান ।
( ঘ ) পাতার পৃষ্ঠভাগে থাকা ছোটো ছোটো ছিদ্র ।
( ঙ ) পতঙ্গের দেহের পার্শ্বীয় অংশে থাকা ছোটো ছোটো ছিদ্র ।
( চ ) মানুষের শ্বসন অংগ ।
( ছ ) যে ছিদ্র দিয়ে আমরা শ্বাস – ক্রিয়া করি ।
( জ ) একপ্রকার অবায়বীয় জীব ।
( ঝ ) শ্বাসনলিকা থাকা একটি পতঙ্গ ।
উত্তরঃ ( ক ) শ্বাসনলিকা ।
( খ ) পাঁজর ।
( গ ) মধ্যচ্ছদা ।
( ঘ ) পত্ররন্ধ্র ।
( ঙ ) বায়ুছিদ্র ।
( চ ) ফুসফুস ।
( ছ ) নাসারন্ধ্র ।
( জ ) ইষ্ট ।
( ঝ ) আরশোলা ।
প্রশ্ন ৯। পর্বতারোহণকারীরা তাদের সঙ্গে অক্সিজেন নিয়ে যায় কারণ—
( ক ) ৫ কি.মি – এর বেশি উচ্চতায় বা বায়ু থাকে না ।
( খ ) একজন লোকের যতটুকু বাতাসের প্রয়োজন তার থেকে কম হয় ।
( গ ) নীচের তুলনায় উপরের বায়ুর উষ্ণতা অনেক বেশি ।
( ঘ ) নীচের তুলনায় উপরের বায়ুর চাপ অনেক বেশি ।
উত্তরঃ ( খ ) একজন লোকের যতটুকু বাতাসের প্রয়োজন তার থেকে কম হয় ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। কোষীয় শ্বসন বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা কোষে থাকা খাদ্যবস্তু ভেঙে শক্তি বের হয় তাকে কোষীয় শ্বসন বলা হয়।
প্রশ্ন ২। বায়বীয় শ্বসন বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়ে যখন শর্করা ভাঙে তখন তাকে বায়বীয় শ্বসন বলা হয় ।
প্রশ্ন ৩। অবায়বীয় শ্বসন বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ যে প্রকার শ্বসনে অক্সিজেন ব্যবহার হয় না সেই প্রকার শ্বসনকে অবায়বীয় শ্বসন বলে ।
প্রশ্ন ৪। বায়বীয় শ্বসনে শক্তি নির্গত হওয়ার সঙ্গে কী সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ কার্বন ডাই – অক্সাইড এবং জলের অণু সৃষ্টি হয় ।
প্রশ্ন ৫। বায়বীয় শ্বসনে জড়িত রাসায়নিক বিক্রিয়াটি কী ?
উত্তরঃ শর্করা অক্সিজেন ব্যবহার করে কার্বন ডাই – অক্সাইড + জল + শক্তি ।
প্রশ্ন ৬। অবায়বীয় শ্বসনের দ্বারা কারা শক্তি পায় ?
উত্তরঃ অবায়বীয় শ্বসনের দ্বারা ইষ্টের মতো কতকগুলি জীব শক্তি পায়।
প্রশ্ন ৭। অবায়বীয় শ্বসনে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শর্করা ভেঙে শক্তি নির্গত হওয়ার সঙ্গে কী কী উৎপাদিত হয় ?
উত্তরঃ কার্বন ডাই – অক্সাইড এবং এলকোহল ।
প্রশ্ন ৮। শ্বাসকার্য বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ শ্বাসকার্য বলতে পর্যায়ক্রমে প্রশ্বাস বা শ্বাসগ্রহণ এবং নিঃশ্বাস বা শ্বাস ভ্যাগ এই দুটি ক্রিয়াকে বোঝায় । অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ু শরীরের ভিতরে নেওয়াকে প্রশ্বাস এবং কার্বন ডাই – অক্সাইড সমৃদ্ধ বায়ু শ্বাস অঙ্গের দ্বারা বের করে দেওয়াকে নিঃশ্বাস বলা হয় ।
প্রশ্ন ৯। শ্বসনের হার কাকে বলে ?
উত্তরঃ একজন ব্যক্তি মিনিটে যত বার প্রশ্বাস – নিঃশ্বাস নেয় তাকে শ্বসনের হার বলা হয় ।
প্রশ্ন ১০। স্বাভাবিক অবস্থায় একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ এক মিনিটে গড়ে কত বার শ্বাস প্রশ্বাস নেয় ?
উত্তরঃ গড় হিসাবে ১৫ থেকে ১৮ বার ।
প্রশ্ন ১১। জীবেরা কেন শ্বাস নেয় ?
উত্তরঃ জীবের প্রতিটি কোষ পুষ্টি , পরিবহন রেচন এবং প্রজননের মতো নির্দিষ্ট কতকগুলি কার্য সম্পন্ন করে । এই কার্যগুলি সমাধা করার জন্য কোষের শক্তির দরকার হয় । আমাদের আহারে শক্তি সঞ্চিত থাকে । এই শক্তি শ্বসনের সময় মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে । তাই সকল জীবেরা খাদ্য থেকে শক্তি পাবার জন্য শ্বাস গ্রহণ করে থাকে ।
প্রশ্ন ১২। ইষ্ট কী ? এটিকে মদ এবং বিয়ার প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয় কেন ?
উত্তরঃ ইষ্ট হলো এক প্রকার এককোষী জীব । এরা অবায়বীয়ভাবে শ্বাসকার্য করে এবং এই প্রক্রিয়ায় এলকোহল উৎপন্ন হয় । তাই ইষ্টকে মদ এবং বিয়ার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ১৩। ভারী ব্যায়াম করার পর আমাদের দেহের পেশিগুলিতে খিল ধরে কেন ?
উত্তরঃ
ভারী ব্যায়ামের সময় শরীরের বেশি শক্তির দরকার হয় । কিন্তু শক্তি উৎপাদনের জন্য অক্সিজেনের যোগান পর্যাপ্ত নয় । শক্তির এই চাহিদা পূরণ করতে পেশিকোষে অবায়বীয় শ্বসন হয় । অবায়বীয় শ্বসনের সঙ্গে জড়িত রাসায়নিক বিক্রিয়াটি হলো—
শর্করা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে লেকটিক্ এসিড + শক্তি ।
পেশিগুলি অবায়বীয়ভাবে শ্বাস নেওয়ার সময় খিল ধরে অবায়বীয় শ্বসনে শর্করা ভেঙে লেটির এসিড উৎপন্ন হয় । এভাবে লেকটিক্ এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য পেশিগুলিতে খিল ধরে ।
প্রশ্ন ১৪। আমরা কীভাবে শ্বাস নিই এই কৌশলটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সাধারণত আমরা নাসারন্ধ্র দিয়ে বায়ু গ্রহণ করে থাকি । শ্বাস গ্রহণের সময় এই বায়ু নাসারন্ধ্র পার হয়ে নাসিকা গহ্বরের মধ্যে প্রবেশ করে । নাসিকা গহ্বর থেকে বায়ু নলির মাধ্যমে এই বায়ু ফুসফুসে যায় । বক্ষগহ্বরে ফুসফুস থাকে ।
এই গহ্বরের উভয় পার্শ্ব পাঁজর দিয়ে ঢাকা এবং গহ্বরটির তলদেশে মধ্যচ্ছদা নামক একটি বৃহৎ পেশিযুক্ত পর্দা আছে । শ্বাসকার্যের সঙ্গে মধ্যচ্ছদা এবং পাঁজরের সঞ্চালন জড়িত থাকে ।
প্রশ্বাসের সময় পাঁজর ওপরের দিকে উঠে বাইরের দিকে গতি করে এবং মধ্যচ্ছদাটি নীচের দিকে নেমে যায় । এরূপ সঞ্চালনের ফলে আমাদের বক্ষগহ্বরের ভিতরের আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং বায়ু নাসারন্ধ্র দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ফুসফুসের দিকে ধাবিত হয় । এভাবে ফুসফুস বায়ু দিয়ে ভর্তি হয়ে পড়ে । নিঃশ্বাসের সময় পাঁজরগুলি যখন নীচের দিকে এবং ভিতরের দিকে গতি করে তখন মধ্যচ্ছদাটি ওপরের দিকে অর্থাৎ এটি তার পূর্ব অবস্থানে ফিরে আসে । এর ফলে বক্ষগহ্বরের আকার হ্রাস পায় এবং ফুসফুস থেকে বায়ু বাইরের দিকে ক্ষিপ্র গতিতে ঠেলে দেয় ।
প্রশ্ন ১৫। গরম জল দিয়ে গা ধুইলে বা মালিশ করলে আমরা খিল ধরা থেকে আরাম পাই কেন ?
উত্তরঃ গরম জল দিয়ে গা ধুইলে বা মালিশ করলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নত হয় বলে পেশি কোষসমূহে অক্সিজেনের যোগান বাড়ে । অক্সিজেনের এই যোগান বাড়ায় লেকটিক এসিড সম্পূর্ণরূপে ভেঙে কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলের অণু সৃষ্টি করে । তাই গরম জল দিয়ে গা ধুইলে বা মালিশ করলে আমরা খিল ধরা থেকে আরাম পাই ।
প্রশ্ন ১৬। শারীরিক পরিশ্রম করার পর আমরা ক্ষুধা অনুভব করি কেন ?
উত্তরঃ শারীরিক পরিশ্রমের সময় বেশি শক্তির দরকার হয় । কোনো ব্যক্তির অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হলে সে দ্রুত শ্বাস নিতে থাকায় দেহের কোষগুলিতে বেশি পরিমাণ অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হয় । এই অতিরিক্ত অক্সিজেনের তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্যবস্তু ভাঙতে এবং অধিক শক্তি বের করতে সাহায্য করে । এভাবে গ্রহণ করা খাদ্য দেহে দ্রুত ভেঙে যাওয়ার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করার সময় আমরা ক্ষুধা অনুভব করি ।
প্রশ্ন ১৭। আরশোলা বা অন্যান্য কীট পতঙ্গের শ্বাসকার্য কীভাবে সম্পন্ন হয় তা সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তরঃ আরশোলার দেহের পার্শ্বদিকে কতকগুলি ছোটো ছোটো ছিদ্র রয়েছে । এই ছিদ্রগুলিকে বায়ুছিদ্র বলা হয় । শ্বসন গ্যাস বিনিময় হওয়ার জন্য এদের দেহের নলিকার দ্বারা গঠিত একটি জালিকা থাকে । এই নলিকাগুলিকে শ্বাসনলিকা বলে আরশোলা নেওয়ার সময় অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ু এদের বায়ুছিদ্রের মধ্য দিয়ে । শ্বাসনলিকার দিকে ধাবিত হয়ে দেহের বিভিন্ন কলায় ছড়িয়ে পড়ে এবং দেহের প্রতিটি কোষে প্রবেশ করে । একইভাবে কার্বন ডাই – অক্সাইড গ্যাস কোষগুলি থেকে শ্বাসনলিকার দিকে ধাবিত হয় এবং বায়ু ছিদ্রের মধ্য দিয়ে এই গ্যাস বাইরে বেরিয়ে আসে ।
প্রশ্ন ১৮। উদ্ভিদের শ্বাসক্রিয়া সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তরঃ উদ্ভিদের প্রত্যেক অংশই স্বাধীনভাবে বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই – অক্সাইড ত্যাগ করে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই – অক্সাইড চলাচল করার জন্য উদ্ভিদের পাতায় কতকগুলি সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে যাকে পত্ররন্ধ্র বলা হয় ।
শক্তি উৎপন্ন করার জন্য উদ্ভিদের অন্যান্য জীবিত কোষের মূলের কোষগুলিরও অক্সিজেনের দরকার হয় । মাটির কণাগুলির মধ্যে থাকা বায়ুস্থান থেকে মূলগুলি বায়ু গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ১৯। জলের নীচে মাছ কীভাবে শ্বাসকার্য চালায় ?
উত্তরঃ মাছ ফুলকার সাহায্যে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে শ্বাসকার্য চালায় । বায়ু চলাচলের জন্য ফুলকাগুলি রক্ত নলিকার দ্বারা পূর্ণ থাকে ।
প্রশ্ন ২০। মানুষের শ্বাসতন্ত্রের একটি চিহ্নিত চিত্র অংকন করো ।
উত্তরঃ
প্রশ্ন ২১। চামড়া দ্বারা শ্বাসপ্রশ্বাস চালানো দুই প্রকার প্রাণীর নাম লেখো ।
উত্তরঃ কেঁচো এবং জোঁক ।
প্রশ্ন ২২। ব্যাঙের শ্বাস অঙ্গের নাম লেখো ।
উত্তরঃ ফুসফুস এবং চামড়া ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.