SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি

SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি Question Answer Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি Question Answer We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি

SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি Question Answer Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি Question Answer ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 7 অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি Question Answer If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

অসম- জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি

ভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও।

(ক) কোন্ বৃত্তির ওপর অসমের অধিকাংশ লােক নির্ভরশীল ?

উত্তরঃ কৃষির উপর।

(খ) চিরসবুজ উদ্ভিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ?

উত্তরঃ চিরসবুজ উদ্ভিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই উদ্ভিদগুলাের পাতা সর্বদাই সবুজ থাকে।

(গ) মানস রাষ্ট্ৰীয় উদ্যান কোন্ জেলায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ বাসা ও চিরাং জেলায়।

(ঘ) প্রাকৃতিক উদ্ভিদ বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ মানুষের প্রভাব না পড়ে প্রাকৃতিকভাবে বড় হওয়া গাছ-পালাকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ বলে।

S.L. No.	সূচিপত্র
পাঠ	ভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )
পাঠ-১	সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী
পাঠ -২	পৃথিবীর আকার ও আকৃতি
পাঠ -৩	পৃথিবীর গতি
পাঠ -৪	পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ
পাঠ -৫	ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র
পাঠ -৬	পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব
পাঠ -৭	অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি
পাঠ -৮	আমাদের ভারতবর্ষ
পাঠ	ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
পাঠ – ৯	কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে
পাঠ -১০	আদি প্রস্তর যুগ
পাঠ -১১	আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ)
পাঠ -১২	প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
পাঠ -১৩	বৈদিক সভ্যতা
পাঠ -১৪	মহাজনপদ
পাঠ -১৫	নতুন ভাবের অভ্যুদয়
পাঠ -১৬	মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
পাঠ	অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড (আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন)
পাঠ -১৭	আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ
পাঠ -১৮	উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ
পাঠ -১৯	জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২০	কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২১	সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার
পাঠ -২২	গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ
পাঠ -২৩	কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
পাঠ -২৪	স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

প্রশ্ন ২। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখাে।

(ক) জলবায়ু বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ কোন একটি অঞ্চলের কমপক্ষে ৫০ বৎসরের সূর্যের আলাে, বায়ুর উষ্ণতা ও চাপ, বাতাস, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার গড় অবস্থাকে সেই অঞ্চলটির জলবায়ু বলে।

(খ) অসমের প্রধান ঋতু কয়টি ও কী কী ?

উত্তরঃ অসমের প্রধান ঋতু চারটি। 

১। গ্রীষ্মকাল।

২। বর্ষাকাল।

৩। শরৎকাল। 

৪। শীতকাল।

(গ) বর্ষাকাল ধানচাষের জন্য উপযােগী কেন ?

উত্তরঃ ধান চাষের জন্য ১০০ থেকে ২০০ সে.মি. বৃষ্টিপাতের প্রয়ােজন। একমাত্র বর্ষাকালে এই পরিমাণের জল, পাওয়া যায়। এছাড়া ২৪° থেকে ২৭° পর্যন্ত তাপমাত্রা ধান চাষের জন্য প্রয়ােজন। বর্ষাকালেই এই বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা পাওয়া যায়। বৃষ্টির জল প্রচুর পরিমাণে পলি, বহন করে আনে। এই পলিমাটি ধান চাষের উপযােগী।

(ঘ) কৃষির সঙ্গে জলবায়ুর সম্পর্ক কী রকম ?

উত্তরঃ জলবায়ু ও কৃষির সাথে ওতঃপ্রােত সম্পর্ক।

(ঙ) চিরসবুজ উদ্ভিদ ও পর্ণমােচী উদ্ভিদের প্রধান পার্থক্যগুলি কী কী ?

উত্তরঃ চিরসবুজ গাছের পাতা সারাবৎসরই সবুজ থাকে।

পর্ণমােচী বৃক্ষের পাতা বৎসরের একটি সময়ে একবার ঝরে পড়ে আবার কিছুদিন পর নতুন পাতা হয়।

(চ) গাছপালা আমাদের কেন প্রয়ােজন আলােচনা কর।

উত্তরঃ উদ্ভিদ আমাদের জন্য ব্যবহৃত হওয়া একপ্রকারের প্রাকৃতিক সম্পদ। গাছ-পালা আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং আমরা যে নিশ্বাসের সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছাড়ি গাছ-পালা এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড শােষণ করে। গাছ-পালা প্ৰদূষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গাছ-পালা ভূমিক্ষয় রােধ করে, গাছ থেকেই আমরা প্রয়ােজনীয় আসবাবপত্র তৈরি করতে পারি। গাছ আমাদের ইন্ধনেরও যােগান দেয়। গাছ থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ প্রস্তুত করতে পারি। গাছের সাহায্যেই আমরা বাসগৃহ নির্মাণ করতে পারি।

(ছ) গাছপালা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়ােজন কেন ? আলােচনা কর।

উত্তরঃ পৃথিবীর সৌন্দর্যরক্ষার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ বিশেষভাবে সাহায্য করে। উদ্ভিদ প্রাণীজগৎ তথা মানুষের জীবনধারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করে। মানুষের মৌলিক প্রয়ােজনীয় সাজ-সরঞ্জাম খাদ্যসামগ্রী ঔষধ ইত্যাদি উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে যেখানে সেখানে গাছ কাটা, বন্যপ্রাণী হত্যা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক উদ্ভিদের সাথে সাথে বন্যপ্রাণীর জীবনধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অসমের বনাঞ্চলের জীবজন্তু বিশেষভাবে গণ্ডার, হাতি, হরিণ, বাঘ, বন্য মহিষ ইত্যাদি চোরাশিকারী ও দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ এদের হত্যা করে এবং এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বাজারে বিক্রি করে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকারের মূল্যবান গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করে। নানাপ্রকার গাছ বিদেশে বিক্রি হচ্ছে।

অতএব বর্তমানে উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ভারত সরকার ও অসম সরকার উক্ত পরিপ্রেক্ষিতে নানাপ্রকার আইন করেছে। বিভিন্ন প্রকারের বে-সরকারী সংস্থা উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী। সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রকারের কার্যসূচী হাতে নিয়েছে। এদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ গ্রুপ, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফাণ্ড, নেচার্স বেকন, প্রভাতী পাখি ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে-

(ক) কোনাে একটি অঞ্চলের ন্যূনতম ৫০ বছরের সূর্যের আলাে, উষ্ণতা, বায়ুর চাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা ইত্যাদির গড় অবস্থাকে __________ বলে।

উত্তরঃ জলবায়ু।

(খ) জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অসমে বছরটিকে __________ ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।

উত্তরঃ ৪টি।

(গ) ভারতবর্ষে চা-উৎপাদনের ক্ষেত্রে অসমের স্থান __________।

উত্তরঃ প্রথম।

(ঘ) __________ বায়ুর জন্য বর্ষাকালে অসমে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি।

(ঙ) বর্তমান অসমে মােট __________ টি অভয়ারণ্য আছে।

উত্তরঃ ১৭

(চ) কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান __________ জন্য বিখ্যাত।

উত্তরঃ এক খড়গ বিশিষ্ট গণ্ডারের।

(ছ) শীতকালে দিন ছােট ও রাত __________ হয়।

উত্তরঃ বড়।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করাে-

(ক) পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের স্থানটি হল-

১। চেরাপুঞ্জী।

২। মৌসিনরাম। 

৩। শিলং।

উত্তরঃ মৌসিনরাম।

(খ) কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান প্রধানত অসমের কোন্ জেলায় অবস্থিত-

১। গােলাঘাট। 

২। যােরহাট।

৩। মরিগাঁও। 

৪। কামরূপ।

উত্তরঃ গােলাঘাট।

(গ) একটি বছরের একবার করে পাতা ঝরানাে উদ্ভিদগুলাে হল-

১। পর্ণমােচী।

২। চিরসবুজ। 

৩। তৃণভূমি।

উত্তরঃ পর্ণমােচী।

(ঘ) উদ্ভিদের ছেড়ে দেওয়া গ্যাসের নাম __________।

১। কার্বন-ডাই-অক্সাইড। 

২। অক্সিজেন।

৩। নাইট্রোজেন।

উত্তরঃ অক্সিজেন।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আবহাওয়া বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ কোন একটি স্থানের সূর্যের আলাে, তাপ, বায়ুর চাপ, বাতাস, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্পের আপেক্ষিক পরিমাণ ইত্যাদি একত্রে যে অবস্থার সৃষ্টি করে তাকে আবহাওয়া বলে।

প্রশ্ন ২। অসমের প্রাকৃতিক উদ্ভিদসমূহকে প্রধানত কি কি ভাগে ভাগ করা যায় ?

উত্তরঃ (ক) ক্রান্তীয় চিরসবুজ উদ্ভিদ। 

(খ) ক্রান্তীয় পর্ণমােচী উদ্ভিদ।

(গ) ক্রান্তীয় তৃণভূমি অঞ্চল।

প্রশ্ন ৩। বর্তমানে অসমে কয়টি অভয়ারণ্য, রাষ্ট্রীয় উদ্যান ও প্রস্তাবিত বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য আছে ?

উত্তরঃ ১৭টি অভয়ারণ্য, ৫টি রাষ্ট্রীয় উদ্যান এবং ৩টি প্রস্তাবিত বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য আছে।

প্রশ্ন ৪। অসমে কোন প্রকারের জলবায়ু দেখা যায় ?

উত্তরঃ ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু।

প্রশ্ন ৫। রাজস্থানের মরুভূমিটির নাম কি ?

উত্তরঃ থর।

প্রশ্ন ৬। মৌসিনরামে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত ?

উত্তরঃ বার্ষিক ১২৫০ সেন্টিমিটার।

প্রশ্ন ৭। অসমের জলবায়ু অপেক্ষা শিলং এর জলবায়ু পৃথক কেন ?

উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে শিলং অসম অপেক্ষা অধিক উপরে।

প্রশ্ন ৮। অসমের জলবায়ু কিরূপ ?

উত্তরঃ নাতিশীতােষ্ণ।

প্রশ্ন ৯। বরদৈশিলা কাকে বলে ?

উত্তরঃ বৈশাখ মাসে অসমে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে এই ঝড়-বৃষ্টিকে বরদৈশিলা বলে।

প্রশ্ন ১০। কোন সময়টিকে গ্রীষ্মকাল বলে ?

উত্তরঃ চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসকে অসমে গ্রীষ্মকাল বলে।

প্রশ্ন ১১। অসমে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত হবার কারণ কি ?

উত্তরঃ আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অসমে বর্ষাকাল (জুন মাসের শেষভাগ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ভাগ পর্যন্ত) ধরা হয়। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অসমের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সাগরের উপর দিয়ে আসার সময়বাপ্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বহন করে আনে। এই বায়ু মেঘালয়,বামিজোরাম প্রভৃতি পাহাড়ে ধাক্কা লেগে উপরে উঠে যায় এই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ঘনীভূত হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।

প্রশ্ন ১২। কোন সময়টিকে হেমন্তকাল বলে ?

উত্তরঃ কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত হেমন্তকাল।

প্রশ্ন ১৩। হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য কি ?

উত্তরঃ হেমন্তকালে আকাশ পরিস্কার থাকে এবং উষ্ণতা কমে আসে। বৃষ্টিপাত কমে আসে।

প্রশ্ন ১৪। বসন্তকাল কাকে বলে ?

উত্তরঃ ফাল্গুন মাসের মধ্যভাগ থেকে বৈশাখ মাসের প্রথমভাগ পর্যন্ত অসমের উত্তাপ অধিক হয় না। গাছপালাতে নতুন কচিপাতা ও ফুল-ফল বের হয়। এই সময়টিকে বসন্তকাল বলে।

প্রশ্ন ১৫। অসমের অরণ্যে কি কি উদ্ভিদ দেখা যায় ?

উত্তরঃ শিশু, গামারি, নাগেশ্বর, হলং, হলখ, অগরু, খােল, নাহার, শাল, তিতাচাপ, শিমূল, সােনারু, সেগুন, খয়ের, কদম, হরিতকী, নিম ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৬। অসমে তৃণভূমি অঞ্চল কোথায় দেখা যায় ?

উত্তরঃ অসমের ব্রহ্মপুত্র সমতলের উত্তর অংশে অর্থাৎ হিমালয়ের পাদদেশে ব্রহ্মপুত্র নদ সহ অন্যান্য কিছুসংখ্যক নদীর তীরবর্তী স্থানে তৃণভূমি দেখা যায়। বাসা জেলার মানস, মাজুলী, কাজিরাঙা, ভুরবন্ধা, পবিতরা, ওরাং ইত্যাদি অঞ্চল উল্লেখযােগ্য।

প্রশ্ন ১৭। অসমে অর্কিড জাতীয় গাছ কি কি দেখা যায় ?

উত্তরঃ কপৌফুল, ভাটৌফুল ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৮। অসমের অরণ্যে কি কি প্রকারের জীব-জন্তু দেখা যায় ?

উত্তরঃ এক খড়গযুক্ত গণ্ডার, হাতি, বাঘ, বন্য মহিষ, ভালুক, শূকর, হলৌ বান্দর, সােনালী বান্দর, হরিণ, বিভিন্ন প্রকারের পাখি, নেউল, কাঠবিড়াল, হিংস্র সাপ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৯। অসমের কত শতাংশ লােক কৃষিজীবী ?

উত্তরঃ ৭০%

প্রশ্ন ২০। রােপণ কৃষি কাকে বলে ?

উত্তরঃ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যে কৃষিকাজ করা হয় তাকে রােপণ কৃষি বলে। যেমন- চা, কফি, রবার, নুনি গাছ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২১। অসমে কি কি ধরনের কৃষিজদ্রব্য পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ ধান, পাট, ঝিঙা, লাউ, কুমড়া, ভুট্টা, সরষে, তিসি, তিল, আলু, কপি, মিষ্টি আলু ও বিভিন্ন প্রকারের শাক-সব্জি।

প্রশ্ন ২২। পৃথিবীর উপরিভাগে গাছ-পালা না থাকলে আমাদের কি কি অসুবিধা হত ?

উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগে গাছ-পালা না থাকলে নানাপ্রকারের অসুবিধা হত-

(ক) জীব-জন্তুর প্রয়ােজনীয় অক্সিজেনের অভাব হত ।

(খ) ভূমিক্ষয় রােধ করা সম্ভব হত না।

(গ) বৃষ্টিপাত কম হত ফলে খাদ্যের অভাব ঘটত।

(ঘ) বাসস্থান নির্মাণ করাতে কিছুটা অসুবিধা হত।

(ঙ) বায়ু প্ৰদূষণ ঘটত।

প্রশ্ন ২৩। চিড়িয়াখানার বাঘ এবং অভয়ারণ্যের বাঘের জীবননির্বাহের কি কি পার্থক্য আছে ?

উত্তরঃ চিড়িয়াখানার বাঘ বন্দী অবস্থায় থাকে। এর ফলে এদের স্বাধীনভাবে বিচরণ করা সম্ভব হয় না। এদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে কাজেই এদের আয়ু কম হয়। উপযুক্ত খাদ্য পায় না। এ সমস্ত বাঘ তাদের প্রজাতি থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা হয়ে যায়।

অপরপক্ষে, অভয়ারণ্যের বাঘ স্বাধীনভাবে বিচরণ ও প্রয়ােজনীয় খাদ্য নিজেরাই সংগ্রহ করে। ফলে এই সকল বাঘের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এরা নিজেদের প্রজাতির সঙ্গে থাকার সুযােগ পায়। এরা অভয়ারণ্যের সৌন্দর্যরক্ষা করে।

প্রশ্ন ২৪। অসমের অরণ্যে পাওয়া যায় এরূপ গাছের নাম কর।

উত্তরঃ নিম, অশ্বগন্ধা, সর্পগন্ধা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৫। অসমের মানচিত্র অঙ্কন করে অভয়ারণ্যের অবস্থানগুলাে দেখাও।

উত্তরঃ নিজে চেষ্টা কর।

প্রশ্ন ২৬। অসমের মানচিত্র এঁকে অসমের উপর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব দেখাও।

উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তকের চিত্র নং ১ অঙ্কন কর।

প্রশ্ন ২৭। দীপরবিল কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ কামরূপ (মেট্রোতে)।

প্রশ্ন ২৮। ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পাড়ের একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যানের নাম লেখ।

উত্তরঃ মানস রাষ্ট্রীয় উদ্যান।