SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 12 প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা Question Answer Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 12 প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা Question Answer We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 12 প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 12 প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা Question Answer Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 12 প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা Question Answer ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 12 প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা Question Answer If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।
(ক) কোন্ কোন্ নদীর তীরে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ সিন্ধুনদ, নীলনদ, ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রীস নদী, হােয়াংহাে এবং ইয়াংসিকিয়াং নদীর পারে ।
(খ) পাঠে উল্লিখিত প্রাচীন সভ্যতাসমূহের কোষ্টার বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি ছিল ?
উত্তরঃ সিন্ধু সভ্যতার।
(গ) কিসের উপর ভিত্তি করে সিন্ধু। সভ্যতার সঙ্গে মেসােপটেমিয়া সভ্যতার সম্পর্ক ছিল বলে ধরা হয়।
উত্তরঃ হরপ্পা সভ্যতাতে ব্যবহার করা মােহর, মণি ইত্যাদি মেসােপটেমিয়াতে পাওয়া গেছে। এর থেকে মনে করা হয় যে, সিন্ধু সভ্যতা ও মেসােপটেমিয়া সভ্যতার মিল ছিল।
(ঘ) সিন্ধু উপত্যকার মানুষের নানাস্থানে ব্যবসা বাণিজ্যের কথা কী প্রমাণ করে তা পাঠটির আধারে লেখাে ?
উত্তরঃ সিন্ধু সভ্যতার মােহর, ধাতু, মণি, কপড়, মাটির পাত্র, মাটির পুতুল খাদ্যসামগ্রী অন্যান্য সভ্যতাতে পাওয়া গিয়েছিল। এর থেকে বােঝা যায় যে অন্যান্য সভ্যতার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক ছিল |
S.L. No. | সূচিপত্র |
পাঠ | ভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী ) |
পাঠ-১ | সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী |
পাঠ -২ | পৃথিবীর আকার ও আকৃতি |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর গতি |
পাঠ -৪ | পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ |
পাঠ -৫ | ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র |
পাঠ -৬ | পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব |
পাঠ -৭ | অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি |
পাঠ -৮ | আমাদের ভারতবর্ষ |
পাঠ | ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য ) |
পাঠ – ৯ | কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে |
পাঠ -১০ | আদি প্রস্তর যুগ |
পাঠ -১১ | আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ) |
পাঠ -১২ | প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা |
পাঠ -১৩ | বৈদিক সভ্যতা |
পাঠ -১৪ | মহাজনপদ |
পাঠ -১৫ | নতুন ভাবের অভ্যুদয় |
পাঠ -১৬ | মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র |
পাঠ | অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড (আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন) |
পাঠ -১৭ | আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ |
পাঠ -১৮ | উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ |
পাঠ -১৯ | জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব |
পাঠ -২০ | কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব |
পাঠ -২১ | সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ |
পাঠ -২৩ | কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার |
পাঠ -২৪ | স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা |
(ঙ) কিসের উপর ভিত্তি করে সিন্ধু সভ্যতা যুগের মানুষ সেলাই জানতাে বলে অনুমান করা হয় ?
উত্তরঃ সিন্ধু উপত্যকার মানুষ সুচ ও বােতাম পাওয়া যায়। এর থেকে বোঝা যায় এরা সেলাই করতে জানত।
প্রশ্ন ২। পাঠের অন্তর্ভুক্ত মানচিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলাের উত্তর দাও-
(ক) লােথাল।ও
(খ) কালিবাঙ্গান বর্তমান কোন্ কোন্ রাজ্যে অবস্থিত ?
উত্তরঃ লােথাল গুজরাটে এবং কালিবাঙ্গান উত্তর প্রদেশে।
(খ) সিন্ধু নদের তীরবর্তী স্থানগুলাের নাম লেখাে।
উত্তরঃ কাশ্মীর ও পাঞ্জাব।
(গ) বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্গত জায়গাগুলাের নাম লেখাে।
উত্তরঃ মহেঞ্জোদারাে, আমরি, চোটকাকোহ ইত্যাদি।
(ঘ) ঝিলম বর্তমানে কোন্ দেশে অবস্থিত ?
উত্তরঃ পাকিস্তানে।
(ঙ) রােপার বর্তমান ভারতবর্ষের কোন্ রাজ্যের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ পাঞ্জাব।
প্রশ্ন ৩। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মিলাও-
ক | খ |
১। সিন্ধু উপত্যকার মানুষ | ১। শস্য রাখার জন্য। |
২। সিল মােহরগুলাে ছিল | ২। ইরাকের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। |
৩। সিন্ধু উপত্যকার মানুষ, গরুর গাড়ী, নৌকা ও | ২। চতুর্ভুজ, গােলাকার ও চোঙা-কৃতি। |
৪। ভাঁড়ারগুলাে ব্যবহার করা হয়েছিল | ৪। সােনা-রূপার তৈরি। |
৫। সিন্ধু উপত্যকার সমসাময়িক সভ্যতা | ৫। জন্তুর পিঠে চড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। |
উত্তরঃ
ক | খ |
১। সিন্ধু উপত্যকার মানুষ | ১। ইরাকের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। |
২। সিলমােহরগুলাে ছিল | ২। চতুর্ভূজ, গােলাকার চোঙাকৃতি। |
৩। ভাঁড়ারগুলাে ব্যবহার করা হয়েছিল | ৩। শস্য রাখার জন্য। |
৪। সিন্ধু উপত্যকার মানুষ, গরু, গাড়ী, নৌকা ও | ৪। জন্তুর পিঠে চড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। |
প্রশ্ন ৪। দলগত কাজ।
তােমার অঞ্চলে পােড়া মাটি দিয়ে কী কী সামগ্রী তৈরি হয় তার একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ নিজেরা কর ।
প্রশ্ন ৫। শুদ্ধ বাক্যে (✔) চিহ্ন দাও।
(ক) মহেঞ্জোদারাে নগরের রাস্তাগুলাে ছিল একেবারে সােজা।
উত্তরঃ ✔
(খ) রাস্তার কোণগুলাে সােজা।
উত্তরঃ ×
(গ) বাড়িগুলােতে একটি করে কুয়াে ও স্নানাগার ছিল।
উত্তরঃ ×
(ঘ) বাড়িগুলাের নােংরা জল বের হওয়ার ব্যবস্থা ছিল না।
উত্তরঃ ×
(ঙ) হরপ্পা সংস্কৃতির সামগ্ৰীসমূহ বেশিরভাগ টিন ও তামার সংমিশ্রণে তৈরি।
উত্তরঃ ×
প্রশ্ন ৬। সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার নগর পরিকল্পনা বিষয়ে লেখাে।
উত্তরঃ মহেঞ্জোদারাে ও হরপ্পা নিয়ে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। মহেঞ্জোদারােতে অট্টালিকাসমূহের ভগ্নাবশেষ দেখে অনুমান করা যায় যে এগুলাে আধুনিক যুগের অট্টালিকাসমূহের যথেষ্ট মিল আছে। নগরটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। এর রাজপথগুলাে প্রশস্ত ছিল। সমান ও প্রশস্ত রাস্তাগুলাে সমান্তরালভাবে নগরের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত সংযােগ করা ছিল। রাস্তাগুলাে একটি অপরটিকে আড়াআড়ি ভাবে পার হয়ে শহরটিতে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছিল। রাস্তার মােড়গুলাে ছিল ধনুকের মত বাঁকা। এর ফলে ভারী যানবাহন অতি সহজে চলাচল করতে পারে। রাস্তার পারে অট্টালিকাসমূহ শােভা বর্ধন করত। ঘরগুলাে একতলা ও দোতলা উভয় প্রকারই ছিল। প্রত্যেক ঘরে একটি করে কুয়া ও স্নানাগার ছিল। নালা নর্দমাগুলাে সুপরিকল্পিত ছিল। নালাগুলোতে ঢাকনার ব্যবস্থা ছিল।
মহােঞ্জোদারােতে অবস্থিত ধবংসাবশেষগুলাের মধ্যে উল্লেখযােগ্য নিদর্শন হল সার্বজনিক স্নানাগার। এটা চতুর্ভুজ আকৃতির। এর মধ্যে ১১.৮৮ x ৭.০১ মিটারের একটি জলভান্ডার ছিল। এর পাশে কাপড় বদলানাের জন্য ঘর ছিল। কয়েকটি শস্যভান্ডারও পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন ৭। হরপ্পা সংস্কৃতির মানুষের ব্যবহৃত করা আসবাবপত্র, ব্যবহৃত ঘর সাজানাে সামগ্রীর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তৈরি করাে।
উত্তরঃ হরপ্পার শিল্পকলা ও সংস্কৃতি খুবই উন্নত ছিল। বিভিন্ন আকৃতিতে গড়া পাত্ৰসমূহ খুবই আকর্ষণীয় ছিল। বিভিন্ন রঙ ও আকৃতিতে সাজিয়ে তােলা সামগ্ৰীসমূহ প্রধানত টিন ও তামার সংমিশ্রণে তৈরী করা ব্রোঞ্জ দ্বারা নির্মিত ছিল। এছাড়া মাটির বাসন-পত্র, অলংকারসমূহ, পুতুল ইত্যাদি তৈরি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। হরপ্পা সংস্কৃতিতে তাঁতশিল্পেরও প্রচলন ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। উলের কাপড় বােনা, নৌকা সাজানাে, মােহর তৈরি করা অলংকার তৈরি করা ইত্যাদি মুখ্য শিল্প ছিল।
প্রশ্ন ৮। হরপ্পা সংস্কৃতির মানুষের জীবিকার মূল উৎস কী কী ছিল? তালিকা তৈরি কর।
উত্তরঃ হরপ্পা সংস্কৃতির কিছু সংখ্যক মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। কৃষকেরা গম, বার্লি, মটর ডাল, সরষে, কার্পাস, চাষ করত বলে অনুমান করা হয়।
হরপ্পার লােকেরা পশুপালন করেও জীবিকা নির্বাহ করত। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, শূকর ইত্যাদি পালন করত। উট ও গাধাও ছিল।
এগুলাে ছাড়াও ঘর সাজানাে, ইট তৈরি করা, বাসন-পত্র তৈরি করা, অলংকার প্রস্তুত করা এবং কাপড় বুনেও জীবিকা নির্বাহ করত। কুমার, কারিগর, বণিক, তাতী ইত্যাদি শ্রেণির লােকও ছিল।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। আদিম মানুষ সাধারণত কোথায় সমাজ গড়ে তুলেছিল ?
উত্তরঃ নদী বা হ্রদের তীরে।
প্রশ্ন ২। নগর সভ্যতার আরম্ভ কখন আরম্ভ করেছিল ?
উত্তরঃ নগর উত্থাপনের প্রক্রিয়াই নগর সভ্যতার আরম্ভ হয়েছিল।
প্রশ্ন ৩। সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা কোন নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ সিন্ধুনদের তীরে।
প্রশ্ন ৪। মিশরীয় সভ্যতা কোন্ নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ নীল নদীর তীরে।
প্রশ্ন ৫। ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রীস নদীর তীরে কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ ব্যবলনীয় সভ্যতা।
প্রশ্ন ৬। চীন সভ্যতা কোন্ কোন্ নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ হােয়াংহাে এবং ইয়াংসিকিয়াং নদীর তীরে।
প্রশ্ন ৭। অতি প্রাচীন সভ্যতাগুলাে প্রধানত নদীর তীরে গড়ে ওঠার কারণ কি কি ?
উত্তরঃ প্রতিটি প্রাচীন সভ্যতা গড়ে ওঠার কারণগুলাে হল-
(ক) নদীর তীরে মাটি উর্বর।
(খ) নদীর তীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাসের বন গড়ে ওঠায়, পশুপালনের সুবিধা পাওয়া যায়।
(গ) নদীর জল কৃষিক্ষেত্রে যােগান দেওয়া হত ফলে উন্নত ফসল ফলানাে সম্ভব হত।
(ঘ) নদীপথে যাতায়াতের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যেত।
(ঙ) নদীপথে দূর-দূরান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব হত।
প্রশ্ন ৮। হরপ্পা সংস্কৃতি কাকে বলা হত ?
উত্তরঃ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতাকে।
প্রশ্ন ৯। সিন্ধু উপত্যকায় আবিষ্কৃত শহর দুটোর নাম কি ?
উত্তরঃ মহেঞ্জোদারাে এবং হরপ্পা।
প্রশ্ন ১০। কত সালে সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা দুটো আবিষ্কার হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৯২২ সালে।
প্রশ্ন ১১। সিন্ধু সভ্যতা কত দূর বিস্তৃত ছিল ?
উত্তরঃ জম্মু শহর থেকে নর্মদা নদীর মােহনা পর্যন্ত এবং বেলুচিস্তান থেকে মীরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
প্রশ্ন ১২। মহেঞ্জোদারাের রাস্তা-ঘাট কিরূপ ছিল ?
উত্তরঃ মহেঞ্জোদারাের রাস্তা-ঘাট সুপরিকল্পিত ছিল। রাজপথগুলাে প্রশস্ত ছিল। সােজা ও প্রশস্ত পথগুলাে সমান্তরালভাবে একদিক থেকে অন্যদিকে পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাস্তাগুলাে লম্বভাবে কাটাকাটি করার ফলে নগরটিকে ছােট ছােট সমানভাবে ভাগ করেছিল। রাস্তার মােড়গুলাে কিছুটা ধনুকাকৃতি ছিল।
প্রশ্ন ১৩। সিন্ধু সভ্যতাতে পাওয়া ঘরগুলাে কিরূপ প্রকৃতির ছিল ?
উত্তরঃ অট্টালিকাগুলাে প্রধানত রাস্তার ধারে নির্মাণ করা হয়েছিল। ঘরগুলাে ইট ও কাদামাটি দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছিল। একতল ও দ্বিতল বিশিষ্ট ঘরের নিদর্শন পাওয়া গেছে। ভগ্নাবশেষ থেকে পাওয়া ঘরগুলাে দেখে বােঝা যায় যে তিন প্রকারের ঘর ছিল-
(ক) সাধারণ মানুষের থাকার ঘর।
(খ) বড় অট্টালিকা।
(গ) স্নানাগার, তদুপরি কিছু সংখ্যক গুদাম ঘরের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন ১৪। হরপ্পা সংস্কৃতির মূল ভিত্তি কি ছিল ?
উত্তরঃ কৃষি।
প্রশ্ন ১৫। হরপ্পা-সংস্কৃতির লােকেরা কি কি খাদ্য খেত ?
উত্তরঃ হরপ্পা-সংস্কৃতির লােকেরা ফলমূল, দুধ, ছাড়াও ধান ডাল, বার্লি, তিল ইত্যাদি উৎপাদন করে খেত। তদুপরি গরু, ভেড়া, শূকর, মুরগী, ঘরিয়াল ও কচ্ছপের মাংসও খেত বলে অনুমান করা হয়। এরা বড়শী দিয়ে মাছ ধরত বলেও অনুমান করা হয়।
প্রশ্ন ১৬। সিন্ধু সভ্যতার লােকেদের পােশাকপরিচ্ছদের একটি বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা সাজ-পােশাক হিসেবে দুটো কাপড় ব্যবহার করত। গায়ের উপরে একটি চাদর এবং নীচের অংশে ধুতির মত একপ্রকারের বস্ত্র পরিধান করত।
প্রশ্ন ১৭। সিন্ধু উপত্যকার লােকেদের ব্যবহৃত অলংকারের বিষয়ে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ সিন্ধু উপত্যকার লােকেদের বর্তমান যুগের লােকেদের মত অলংকারের প্রতি মােহ ছিল। পুরুষ-মহিলা উভয়েই অলংকার ব্যবহার করত। সােনা, রূপা ছাড়াও হাতীর দাঁত, শংখ, পাথর জন্তুর হাড় দ্বারা অলংকার তৈরি করত। সাধারণত আংটী, চুড়ি, গলার হার, কানের ফুল ইত্যাদি ছিল প্রধান অলংকার।
প্রশ্ন ১৮। সিন্ধু উপত্যকার মানুষের ধর্মীয় বিষয়ের উপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।
উত্তরঃ সিন্ধু সভ্যতার ভগ্নাবশেষ থেকে একজন ব্যক্তির মাথায় ষাঁড় গরুর শিং এ চারদিকে জন্তুর চিত্র দেখে মনে হয় এই ব্যক্তি মানুষের কাছে ভগবান ছিল। হরপ্পা সংস্কৃতির লােকেরা ধরিত্রী দেবীর সাথে সাথে গাছ ও সাপেরও পূজো করত। সম্ভবত এরা মাতৃপূজো করত। মন্দিরের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন ১৯। সিন্ধু উপত্যকার লােকেরা সাধারণত কিসের উপর লিখত ?
উত্তরঃ শিলা, মাটির পাত্র এবং মােহরের উপর।
প্রশ্ন ২০। হরপ্পা, সুমেরীয় এবং মেসােপটেমিয়া সভ্যতার যােগাযােগ ছিল- এ বিষয়ে কিভাবে জানা যায় ?
উত্তরঃ সুমেরীয় ও মেসােপটেমিয়া সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির মত যােগাযােগ ব্যবস্থার জন্য চিহ্ন ব্যবহার করত। হরপ্পা সভ্যতার মত অপর দুটো সভ্যতাও ধরিত্রী দেবীর পুজো করার সাথে সাথে ঘর-দুয়ার ইট দ্বারা তৈরি করেছিল। তিনটি সভ্যতাই ব্রোঞ্জ ও তামার ব্যবহার করত। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে হরপ্পা সংস্কৃতির সাথে সুমেরীয় এবং মেসােপটেমিয়া সভ্যতার যােগাযােগ ছিল। সিন্ধু সভ্যতার মােহর সুমেরীয় ও মেসােপটেমিয়া সভ্যতার অঞ্চলে পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন ২১। সিন্ধু সভ্যতার লােকেরা লােহার ব্যবহার করত কি ?
উত্তরঃ এই অঞ্চলে লােহার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন ২২। প্রাচীন সভ্যতাগুলাে কতদিন পর্যন্ত টিকে ছিল ?
উত্তরঃ প্রায় এক হাজার বৎসর।
প্রশ্ন ২৩। শূন্যস্থান পূরণ কর।
(ক) পৃথিবীর আদিম সভ্যতাসমূহ প্রধানত __________ গড়ে উঠেছিল।
উত্তরঃ নদীর পারে।
(খ) __________ নদীর পারে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ সিন্ধু।
(গ) সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতাকে __________ সংস্কৃতি বলেও জানা যায়।
উত্তরঃ হরপ্পা ।
(ঘ) সিন্ধু নদী উপত্যকার দুটো শহর হল __________ ও __________ ।
উত্তরঃ মহেঞ্জোদারাে, হরপ্পা।
(ঙ) অন্য দেশ থেকে সামগ্ৰীসমূহ আনাকে __________ করা বলে।
উত্তরঃ আমদানি।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.