SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 23 কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 23 কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 23 কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 23 কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 23 কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।
(ক) কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাগ কয়টি ও কী কী ?
উত্তরঃ কেন্দ্রীয় সরকারের ভাগ তিনটি। যথা-
১। আইন বিভাগ।
২। শাসন বিভাগ।ও
৩। বিচার বিভাগ।
(খ) লোকসভা ও রাজ্যসভার অন্য নাম দুটো কী ?
উত্তরঃ লোকসভা হল নিম্নসদন এবং রাজ্যসভা হল উচ্চসদন।
(গ) লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা কত ?
উত্তরঃ লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৫ এবং রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৫০।
(ঘ) প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের কে নিয়োগ করে ?
উত্তরঃ প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে।
(ঙ) কেন্দ্রীয়মন্ত্রীদের দপ্তর কে বণ্টন করে।
উত্তরঃ প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয়মন্ত্রীগণকে দপ্তর, বন্টন করেন।
(চ) বিচার বিভাগ কী করে ?
উত্তরঃ ন্যায়পালিকা বা বিচার বিভাগ বিচার করে এবং ন্যায়বিচার প্রত্যক্ষ করে।
S.L. No. | সূচিপত্র |
পাঠ | ভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী ) |
পাঠ-১ | সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী |
পাঠ -২ | পৃথিবীর আকার ও আকৃতি |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর গতি |
পাঠ -৪ | পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ |
পাঠ -৫ | ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র |
পাঠ -৬ | পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব |
পাঠ -৭ | অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি |
পাঠ -৮ | আমাদের ভারতবর্ষ |
পাঠ | ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য ) |
পাঠ – ৯ | কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে |
পাঠ -১০ | আদি প্রস্তর যুগ |
পাঠ -১১ | আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ) |
পাঠ -১২ | প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা |
পাঠ -১৩ | বৈদিক সভ্যতা |
পাঠ -১৪ | মহাজনপদ |
পাঠ -১৫ | নতুন ভাবের অভ্যুদয় |
পাঠ -১৬ | মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র |
পাঠ | অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড (আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন) |
পাঠ -১৭ | আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ |
পাঠ -১৮ | উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ |
পাঠ -১৯ | জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব |
পাঠ -২০ | কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব |
পাঠ -২১ | সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ |
পাঠ -২৩ | কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার |
পাঠ -২৪ | স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা |
(ছ) রাজ্য সরকারের প্রধান ভাগগুলো কয়টি ও কী কী ?
উত্তরঃ রাজ্য সরকারের প্রধান ভাগ তিনটি।
এইগুলো হল-
১। আইন বিভাগ।
২। শাসন বিভাগ।ও
৩। বিচার বিভাগ।
(জ) বিধানসভায় নির্বাচিত সদস্যকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ বিধায়ক বলা হয়।
(ঝ) রাজ্যের সর্বোচ্চ আসনের অধিকারীকে কী বলে ?
উত্তরঃ রাজ্যপাল রাজ্যের প্রধান।
(ঞ) মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদকে কে নিযুক্তি দেয় ?
উত্তরঃ মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নিযুক্তি দেন।
(চ) অসমের উচ্চ ন্যায়ালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ গুয়াহাটীতে।
প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূর্ণ করো-
(ক) আইন বিভাগ __________ প্রণয়ন করে।
উত্তরঃ আইন।
(খ) শাসনবিভাগ আইনগুলোকে __________ করে।
উত্তরঃ বাস্তবায়ন করে।
(গ) বিচার বিভাগ __________ বিচার করে।
উত্তরঃ ন্যায়।
প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো-
(ক) অসম বিধানসভা আসনের সমষ্টি ১১৬/ ১২৬/ ১৩৬টি।
উত্তরঃ ১২৬টি।
(খ) বর্তমান ভারতবর্ষে রাজ্য ২৫/ ২৩/ ২৮টি আছে।
উত্তরঃ ২৮টি।
(গ) বিধানসভার কার্যকাল ৪/ ৫/ ৬ বছর।
উত্তরঃ ৫ বছর।
(ঘ) রাজ্যে মুখ্য বিচারপতি ১/ ২/ ৬ জন থাকে।
উত্তরঃ ১ জন।
প্রশ্ন ৪। প্রকল্প-
অসমের রাজ্যপাল এবং মুখমন্ত্রীসহ মন্ত্রীপরিষদের নাম এবং ফটো একাদিক্রমে সংগ্রহ করে সাজিয়ে একটি অ্যালবাম প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ শিক্ষার্থীগণ বিদ্যালয়ে শিক্ষক বা বাড়ীর কারো সাহায্য নিয়ে প্রকল্পটি তৈরি করবে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ভারতের রাষ্ট্রপতিকে কিভাবে নির্বাচিত করা হয় ? অথবা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য “নির্বাচন দলটি” কিভাবে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট দ্বারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৫৪ ধারা মতে ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্য এবং বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যগণকে লইয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য একটি “নির্বাচন সংস্থা” গঠিত হয়। এই নির্বাচন-সংস্থা নির্বাচন করে।
প্রশ্ন ২। ভারতের উপরাষ্ট্রপতিকে কিভাবে নির্বাচিত করা হয় ?
উত্তরঃ সংবিধানের ৬৬ নং ধারা অনুযায়ী ভারতের উপরাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যদের লইয়া একটি নির্বাচন সংস্থা দ্বারা একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট দ্বারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হন।
প্রশ্ন ৩। ভারতের উপরাষ্ট্রপতির দুইটি কার্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ উপরাষ্ট্রপতির দুইটি কার্য হ’ল-
(ক) রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতির কার্য সম্পাদন করেন।
(খ) রাজ্যসভার পদাধিকারী সভাপতি হিসাবে রাজ্যসভার কার্য সম্পাদন করেন।
প্রশ্ন ৪। রাজ্যসভায় কতজন মনোনীত সদস্য আছেন ? কিভাবে তাঁরা মনোনীত হয়ে থাকেন ?
উত্তরঃ রাজ্যসভায় ১২জন মনোনীত সদস্য আছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, সমাজসেবা প্রভৃতি বিষয়ের খ্যাতনামা ব্যক্তিগণের মধ্য হতে মোট ১২জনকে রাজ্যসভার মনোনীত করেন।
প্রশ্ন ৫। লোকসভার সদস্য হতে চাইলে কি ধরনের যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন ?
উত্তরঃ ১। প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২। তাঁর বয়স কমপক্ষে ২৫ বৎসর হতে হবে।
৩। কোন লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না।
প্রশ্ন ৬। রাজ্যসভার সদস্য হতে হলে কি ধরনের যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন ?
উত্তরঃ ১। প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২। তাঁর বয়স কমপক্ষে ৩০ বৎসর হতে হবে।
৩। কোন লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না।
প্রশ্ন ৭। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কিভাবে নিযুক্ত করা হয় ? অথবা, ভারতের রাষ্ট্রপতি কি যেকোন ব্যক্তিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন ?
উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন। তিনি যে- কোন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করতে পারেন না। লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকেই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেন।
প্রশ্ন ৮। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ কিভাবে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ সাধারণ নির্বাচনের পর লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অন্যান্য মন্ত্রীগণকে নিযুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীগণের মধ্যে দপ্তর বন্টন করেন। মন্ত্রীসভায় সাধারণত তিন ধরনের মন্ত্রী থাকেন। যথা-
১। পূর্ণমন্ত্রী।
২। রাষ্ট্রমন্ত্রী।
৩। উপমন্ত্রী।
প্রশ্ন ৯। লোকসভায় কতজন সদস্য মনোনীত করা হয়? তাঁদের কে মনোনীত করেন ?
উত্তরঃ লোকসভায় ২জন মনোনীত সদস্য আছেন। এর মধ্যে দুইজন ইঙ্গ-ভারতীয় সদস্য রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেন।
প্রশ্ন ১০। রাজ্যের রাজ্যপাল কে নিযুক্ত করেন ? তাঁর কার্যকাল লেখ।
উত্তরঃ রাজ্যের রাজ্যপালকে ভারতের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন। তাঁর কার্যকাল সাধারণত ৫ বৎসর।
প্রশ্ন ১১। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে নিযুক্ত হন ? অথবা, কোন রাজ্যের রাজ্যপাল যেকোন ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন কি ?
উত্তরঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন।
বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেন। রাজ্যপাল যেকোন ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করতে পারেন না।
প্রশ্ন ১২। মুখ্যমন্ত্রীর তিনটি প্রধান কার্যের উল্লেখ কর।
উত্তরঃ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রীপরিষদের নেতা বা নেত্রী। রাজ্যের প্রশাসনে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাঁর তিনটি প্রধান কার্য হল-
১। মন্ত্রীসভা গঠন- মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজ্যের রাজ্যপাল মন্ত্রীপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা সে সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মন্ত্রীদের মধ্যে সহযোগ ও সময়ে রক্ষা করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীই বহন করেন। মন্ত্রীসভার বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী আহমদ করেন ও সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বৈঠক পরিচালনা করেন।
২। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের নিযুক্তির ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকেন। তাঁর পরামর্শক্রমেই রাজ্যপাল উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নিয়োগ করেন।
৩। সরকারী নীতি আইনে পরিণত করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীই মন্ত্রীপরিষদ ও রাজ্যপালের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন করেন। রাজ্যিক বাজেট তৈরি করতেও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকেন। রাজ্যের বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি ও কার্যকরী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে হয়। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রশ্ন ১৩। রাজ্য মন্ত্রীপরিষদ কিভাবে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতে প্রত্যেক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হয়ে থাকে রাজ্যপাল বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কা নিযুক্ত করেন। অন্যান্য মন্ত্রীগণকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রীর সংখ্যা স্থির করে থাকেন।
সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীসভার সদস্যদের বিধানমণ্ডলের সদস্য হতে হবে। মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার সময় যিনি বিধানমণ্ডলের সদস্য নন, মন্ত্রী হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে তাঁর বিধানমণ্ডলের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক।
পদমর্যাদা অনুসারে বর্তমানে রাজ্যগুলিতে দুই শ্রেণির মন্ত্রী রয়েছে- পূর্ণ পর্যায়ের মন্ত্রী ও রাজ্যিক মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যতা অনুযায়ী সমূহ মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর ভাগ করে দেন। মন্ত্রীপরিষদের কোন নির্দিষ্ট কার্যকাল নেই। মন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের তাঁদের নিজের দায়িত্ব ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে রাজ্যপালের কাছে শপথ গ্রহণ করতে হয়।
প্রশ্ন ১৪। রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হতে হলে কি ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন ?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের মতে একজন রাজ্যপালের নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি থাকতে হবে-
১। তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২। তাঁর বয়স ৩৫ বৎসর হতে হবে।
৩। তিনি সংসদ বা কোন বিধান-মণ্ডলের সদস্য হতে পারবেন না।
৪। তিনি কোন লাভজনক পদ ধারণ করতে পারবেন না।
৫। দেউলীয়া বা মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি এই পদের প্রার্থী হতে পারবেন না।
প্রশ্ন ১৫। রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যাবলী কি কি পর্যায়ে ভাগ করা হয় ?
উত্তরঃ রাজ্যপালের ক্ষমতাকে পাঁচভাগে করা হয়। যথা-
১। কার্যবাহী ক্ষমতা।
২। আইন প্রণয়ন ক্ষমতা।
৩। আর্থিক ক্ষমতা।
৪। ন্যায়িক ক্ষমতা।
৫। স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।
প্রশ্ন ১৬। রাজ্য প্রশাসনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার বিষয়ে উল্লেখ কর।
উত্তরঃ রাজ্য প্রশাসনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রধান প্রশাসক, বিধানসভার নেতা, রাজ্যপালের প্রধান পরামর্শদাতা, মন্ত্রীসভার সভাপতি, দলের ও জনসাধারণের নেতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা তাঁর ব্যক্তিগত গুণাবলী দলের উপরে তাঁর প্রভাব, দলীয় সদস্যদের সহযোগিতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের প্রকৃতির উপরে নির্ভরশীল। তাঁর ব্যক্তিগত গুণাবলী, নিপুণতা, বিচক্ষণতা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তাই তাঁর প্রভাব বিস্তারে সহায়তা করে থাকে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। প্রশাসন পরিচালনা, আইনসভার নেতৃত্ব দান, সরকারী নীতি নির্ধারণ, মন্ত্রীসভা পরিচালনা, রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংযোগ ও সরকারের প্রধান মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ইত্যাদি কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বলে ধরা যায়।
প্রশ্ন ১৭। কিভাবে রাজ্যের বিধানসভা গঠিত হয়।
উত্তরঃ রাজ্যের বিধানসভা হল রাজ্য বিধানমণ্ডলের নিম্নকক্ষ। বিধানসভা জনপ্রতিনিধিমূলক সভা। সংবিধানের ১৭০ নং অনুচ্ছেদ মতে রাজ্য বিধানসভার সদস্য-সংখ্যা ৫০০-এর বেশি এবং ৬০ জনের কম হতে পারবে না। প্রতি ৭৫০০০ ভোটদাতা থেকে বিধানসভায় একজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়। বিধানসভার সদস্যদের ভারতীয় নাগরিক হতে হবে ও তাঁদের বয়স কমপক্ষে ২৫ বৎসর হতে হবে। বিধানসভার কার্যকাল পাঁচ বৎসর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে বা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশক্রমে বিধানসভা পাঁচ বৎসরের পূর্বে ভঙ্গ করা হলে সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়।
প্রশ্ন ১৮। রাজ্য বিধানসভার সদস্য হতে চাইলে কি ধরনের যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন ?
উত্তরঃ ১। প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২। তাঁর বয়স কমপক্ষে ২৫ বৎসর হওয়া প্রয়োজন।
৩। কোন লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না।
প্রশ্ন ১৯। দ্বিকক্ষযুক্ত বিধানমণ্ডল থাকা তিনটি রাজ্যের নাম লিখ। অথবা, বিধানপরিষদ বিশিষ্ট তিনটি রাজ্যের নাম লিখ।
উত্তরঃ ১। উত্তরপ্রদেশ।
২। বিহার।
৩। অন্ধ্রপ্রদেশ।
প্রশ্ন ২০। আমাদের দেশের কয় স্তরীয় ন্যায়পালিকা আছে এবং কি কি ?
উত্তরঃ আমাদের দেশে ত্রিস্তরীয় ন্যায়পালিকা বা বিচার ব্যবস্থা আছে। এইগুলো হলো-
(ক) উচ্চন্যায়ালয়- কেন্দ্রে (নূতন দিল্লী)।
(খ) উচ্চ ন্যায়ালয়- রাজ্যে।
(গ) নিম্ন/জেলা আদালত- জেলায়।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ভারতের রাষ্ট্রপতি কার নিকট আনুগত্যের শপথ বাক্য পাঠ করেন ?
উত্তরঃ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নিকট।
প্রশ্ন ২। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কে শপথ বাক্য পাঠ করান ?
উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন ৩। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ কার নিকট যৌথভাবে দায়বদ্ধ ?
উত্তরঃ লোকসভার নিকট।
প্রশ্ন ৪। সংসদ সদস্য নন এমন একজন মন্ত্রীকে কত দিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হতে হয় ?
উত্তরঃ ৬ মাসের মধ্যে।
প্রশ্ন ৫। লোকসভার সদস্য হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা কত ?
উত্তরঃ ২৫ বৎসর।
প্রশ্ন ৬। কে লোকসভার অধিবেশন আহ্বান/ স্থগিত ঘোষণা/ভঙ্গ করতে পারেন ?
উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন ৭। কে লোকসভার অধিবেশন মূলতুবি ঘোষণা করেন ?
উত্তরঃ লোকসভার অধ্যক্ষ।
প্রশ্ন ৮। একটি বিল অর্থবিল কিনা তা কে নির্ধারণ করেন ?
উত্তরঃ লোকসভার অধ্যক্ষ।
প্রশ্ন ৯। রাজ্যসভায় কতজন মনোনীত সদস্য আছেন ?
উত্তরঃ ১২ জন।
প্রশ্ন ১০। লোকসভায় কতজন মনোনীত সদস্য আছেন ?
উত্তরঃ ২ জন।
প্রশ্ন ১১। লোকসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তরঃ ৫৫২ জন।
প্রশ্ন ১২। লোকসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তরঃ ৫৪৫ জন।
প্রশ্ন ১৩। রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা কত ?
উত্তরঃ ২৫০ জন।
প্রশ্ন ১৪। রাজ্যসভার পদাধিকারী সভাপতি কে ?
উত্তরঃ ভারতের উপরাষ্ট্রপতি।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.