SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 24 স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 24 স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 24 স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 24 স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 24 স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 24 স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও।

(ক) গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা কয়টি ও কী কী ?

উত্তরঃ গ্রামাঞ্চলে ত্রিস্তরীয় স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা আছে। এইগুলো হল-

১। গাঁও পঞ্চায়েত গ্রাম পর্যায়ে।

২। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত- ব্লক পর্যায়ে।

৩। জেলা পরিষদ জেলা স্তরে।

(খ) গাঁও পঞ্চায়েতের সদস্যসংখ্যা কত ?

উত্তরঃ গাঁও পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা দশ (১০) জন।

(গ) কোন সালে অসমে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সূচনা হয় ?

উত্তরঃ ১৯৯৪ সালের পঞ্চায়েত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে।

(ঘ) আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের কার্যকাল কয় বছর ?

উত্তরঃ পাঁচ (৫) বছর।

(ঙ) জেলা পরিষদের আসন কত সংখ্যক জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভাগ করা হয়।

উত্তরঃ চল্লিশ হাজার জনসংখ্যা।

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তরটি বের করো।

(ক) জেলা পরিষদের কার্যকাল ২/ ৩/ ৫ বছর

উত্তরঃ পাঁচ (৫) বছর।

S.L. No.সূচিপত্র
পাঠভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )
পাঠ-১সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী
পাঠ -২পৃথিবীর আকার ও আকৃতি
পাঠ -৩পৃথিবীর গতি
পাঠ -৪পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ
পাঠ -৫ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র
পাঠ -৬পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব
পাঠ -৭অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি
পাঠ -৮আমাদের ভারতবর্ষ
পাঠ ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
পাঠ – ৯কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে
পাঠ -১০আদি প্রস্তর যুগ
পাঠ -১১আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ)
পাঠ -১২প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
পাঠ -১৩বৈদিক সভ্যতা
পাঠ -১৪মহাজনপদ
পাঠ -১৫নতুন ভাবের অভ্যুদয়
পাঠ -১৬মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
পাঠ অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড
(আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন)
পাঠ -১৭আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ
পাঠ -১৮উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ
পাঠ -১৯জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২০কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২১সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার
পাঠ -২২গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ
পাঠ -২৩কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
পাঠ -২৪স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

(খ) গ্রাম পঞ্চায়েতে তফসিলী জাতি, জনজাতি ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন আছে/ নেই।

উত্তরঃ আছে।

(গ) অসমে স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ ২/ ৩/ ৪টি।

উত্তরঃ ৪ খানা।

(ঘ) আঞ্চলিক পঞ্চায়েত নগর সমিতি/গ্রাম পঞ্চায়েত/জেলা পরিষদ সদস্য দ্বারা গঠিত।

উত্তরঃ গ্রাম পঞ্চায়েত।

(ঙ) অসম পৌর নিগম ১/ ২/ ৩টি আছে।

উত্তরঃ ১ টি আছে।

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) বোড়োল্যাণ্ড টেরিটোরিয়েল __________ একটি স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদ।

উত্তরঃ কাউন্সিল।

(খ) জেলা পরিষদের একটা কেন্দ্রে প্রায় __________ জনসংখ্যা থাকে।

উত্তরঃ ৪০,০০০

(গ) বি. টি. সি __________ টি জেলা নিয়ে গঠিত।

উত্তরঃ চার (৪)

প্রশ্ন ৪। (ক) স্বায়ত্ত শাসিত জেলা পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ অসম এমন এক বৈচিত্র্যময় রাজ্য যেখানে নানা জাতি ও জন জাতির লোক পাহাড় ও সমতলে বসবাস করে। প্রত্যেক জাতি ও জনজাতি নিজ নিজ ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও পরম্পরা আছে। এইগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নতির উদ্দেশ্যে ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ তপশীল অনুযায়ী স্বায়ত্ত শাসিত জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

(খ) সমতলের যেকোনো দুইটি স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদের নাম লেখো।

উত্তরঃ সমতল অঞ্চলের দুইটি স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদ হল-

১। মিসিং স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদ।

২। রাভা স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদ।

প্রশ্ন ৫। জেলা পরিষদের কার্যাবলীগুলো লেখো।

উত্তরঃ ১৯৯৪ সালের আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জেলার আর্থ-সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকালে পরিকল্পনা রচনা করবে। এই বিষয়গুলি হল-

১। কৃষি ও ভূমির উন্নতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়।

২। জলসেচ ভূগর্ভের জলের উন্নয়ন। 

৩। বৈদ্যুতিকরণ ; মৃত্তিকা সংরক্ষণ। 

৪। বাজার স্থাপন।

৫। সামাজিক বনানীকরণ। 

৬। পশুপালন ও দুগ্ধ প্রকল্প।

৭। বনজ সম্পদ ; জ্বালানী কাঠ ও পশু খাদ্য।

৮। মৎস চাষ।

৯। কুটির শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্প।

১০। গ্রামীণ রাস্তা ও জলপথ। 

১১। স্বাস্থ্য ও সংক্রান্ত বিষয়।

১২। পল্লী গৃহ নির্মাণ।

১৩। শিক্ষা।

১৪। সমাজ কল্যাণ।

১৫। দারিদ্র দূরীকরণ। 

১৬। সমাজসংস্কারমূলক কার্যাবলী।

১৭। সঞ্চয়ের উন্নতি। 

১৮। বিভিন্ন বিষয়ের পরিসংখ্যা প্রকাশ।

প্রশ্ন ৬। দলগত কার্য-

আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে কার্যাবলীর একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ আঞ্চলিক কার্যাবলী- ১৯৯৪ সালের আইন অনুযায়ী আঞ্চলিক পঞ্চায়েত নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে।

এর প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপ-

১। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এলাকায় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং পানীয় জল সরবরাহ করা।

২। রাস্তাঘাট, সেতু, নালা নর্দমা প্রভৃতি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।

৩। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত এলাকার গাঁও পঞ্চায়েতসমূহের কার্যকলাপ পরিদর্শন করা এবং গাঁও পঞ্চায়েতের বাজেট ও উপ-আইন অনুমোদন করা।

৪। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এলাকার মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করে। এ ছাড়া মহিলা ও শিশুদের কল্যাণের জন্য নানাপ্রকার কার্য করে।

৫। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত ক্ষুদ্র শিল্প ও কুটির শিল্পের উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

৬। আঞ্চলিক পঞ্চায়েত নিজ এলাকার কৃষি, বনাঞ্চল রক্ষা, মাটির ক্ষয়রোধেও বিহিত ব্যবস্থা অবলম্বন করে।

আঞ্চলিক পঞ্চায়েত প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী। এর কার্যাবলীও ব্যাপক। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাব ও প্রশাসনিক দুর্নীতির ফলে ইহা সুচারুরূপে কার্য সম্পাদন করতে পারে না।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলো কী কী ?

উত্তরঃ গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনসংস্থাগুলো হল-

(ক) গ্রামপঞ্চায়েত। 

(খ) আঞ্চলিক পঞ্চায়েত।ও 

(গ) জেলা পরিষদ।

প্রশ্ন ২। শহরাঞ্চলের স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলো কী কী ?

উত্তরঃ শহরাঞ্চলের স্বায়ত্ত শাসন সংস্থাগুলো হল-

(ক) পুরনিগম। 

(খ) পুরসভা।ও 

(গ) নগর সমিতি।

প্রশ্ন ৩। আসামে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কয় স্তরীয় ও কী কী ?

উত্তরঃ আসামের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ত্রিস্তরীয়, যথা-

(ক) গাঁও পঞ্চায়েত। 

(খ) আঞ্চলিক পঞ্চায়েত।ও 

(গ) জেলা পরিষদ।

প্রশ্ন ৪। আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের কার্যাবলী কী কী ?

উত্তরঃ আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের প্রধান কার্যাবলী হল-

(ক) কৃষি সম্প্রসারণ। 

(খ) ক্ষুদ্র জলসিঞ্চন।

(গ) সাধারণ গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা। 

(ঘ) পশুপালন, গো-পালন।

(ঙ) মৎস্যপালন।

(চ) রাস্তাঘাট,নালা নর্দমা নির্মাণ।

(ছ) গ্রামীণ বাসস্থান। 

(জ) প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা।

(ঝ) পানীয় জল সরবরাহ। 

(ঞ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ব্যবস্থা।

(ট) বৃক্ষরোপণ।

(ঠ) কুটির শিল্পের উন্নয়ন।

প্রশ্ন ৫। আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের আয়ের উৎসসমূহ কী কী ?

উত্তরঃ আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের আয়ের প্রধান উৎসসমূহ হল-

(ক) কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রদত্ত আর্থিক অনুদান।

(খ) পঞ্চায়েতের আরোপ করা বিভিন্ন কর।

(গ) জেলা পরিষদ কিংবা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া দান-সাহায্য।

প্রশ্ন ৬। জেলা পরিষদের আয়ের উৎসগুলো কী কী ?

উত্তরঃ জেলা পরিষদের আয়ের প্রধান উৎসগুলো হল-

(ক) ভূমি রাজস্ব। 

(খ) বিভিন্ন কর।

(গ) জেলা পরিষদের জমি বা সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত উপার্জন।

(ঘ) কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য দেওয়া আর্থিক অনুদান প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৭। সংবিধানের দ্বাদশ তপশিল অনুযায়ী শহরাঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসিত সংস্থাগুলোর কয়েকটি কার্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দ্বাদশ তপশিল অনুযায়ী শহরাঞ্চলের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসিত সংস্থাগুলোর ১৮টি কার্যের কয়েকটি নিম্নরূপ-

(ক) নালা-নর্দমা, সেতু, জনগণের জন্য সাধারণ শৌচাগার-প্রস্রাবাগার, রাস্তাঘাট প্রভৃতি নির্মাণ ও সংরক্ষণ করা, রাস্তাঘাটের নামকরণ করা।

(খ) সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক প্রদান।

(গ) রাস্তাঘাট বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করা।

(ঘ) জনগণকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা।

(ঙ) খেলাধুলোর মাঠ, সাধারণ উদ্যান, গ্রন্থাগার প্রভৃতি স্থাপন।

(চ) মানুষের জন্ম-মৃত্যুর হিসাব রাখা, শহরের ভিতরে বা বাইরে শ্মশান, কবরখানা প্রভৃতি নির্মাণ ও সংরক্ষণ।

(ছ) পথঘাটের জায়গায় জমা আবর্জনা সরিয়ে পরিষ্কার করা।

(জ) হাটবাজার, কসাইখানা স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ভেজাল জিনিস বেচাকেনা নিষিদ্ধকরণ।

(ঝ) অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

(ঞ) মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন, প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৮। গাঁও পঞ্চায়েতের গঠন প্রণালী লেখো।

উত্তরঃ গাঁও পঞ্চায়েতের গঠন- গাঁও পঞ্চায়েত হল ত্রিস্তর বিশিষ্ট পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর। ১৯৯৪ সালের অসম পঞ্চায়েতীরাজ আইন অনুযায়ী কোন রাজস্ব গ্রাম অথবা কোন বনভূমি বিশিষ্ট গ্রাম অথবা চা বাগান এলাকাকে পঞ্চায়েত এলাকা হিসাবে নিদ্ধারণ করা হয়। ছয় হাজার বা তদুৰ্দ্ধে এবং ১০ হাজারের অনুর্দ্ধ জনসংখ্যা বিশিষ্ট এলাকার একটি গাঁও পঞ্চায়েত থাকবে। গাঁও পঞ্চায়েত নিম্নলিখিতভাবে গঠিত হয়।

গাঁও পঞ্চায়েত ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। সদস্যগণ প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। তপশীলভুক্ত জাতি ও তপশীলভুক্ত উপজাতি এবং মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকে।

সভাপতি- গাঁও পঞ্চায়েতের একজন সভাপতি ও একজন সহসভাপতি থাকেন। সভাপতি জনসাধারণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত সদস্যগণ তাদের মধ্য হতে একজনকে সহসভাপতি নির্বাচন করেন।

প্রশ্ন ৯। গাঁও পঞ্চায়েতের পাঁচটি কার্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ১৯৯৪ সালের আইন অনুযায়ী গাঁও পঞ্চায়েত নানাবিধ কার্য সম্পাদন করে।

গাঁও পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপ-

১। গ্রামের জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং পানীয় জল সরবরাহ করা।

২। পথঘাট, সেতু ইত্যাদি নির্মাণ করা।

৩। শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং খেলার মাঠ, উদ্যান, গ্রন্থাগার ইত্যাদি স্থাপন করা।

৪। গ্রামরক্ষীবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা ও এর পরিচালনা করা।

৫। মাতৃমঙ্গল ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা এবং শ্মশান ও কবর-স্থান ইত্যাদি ব্যবস্থা করা।

প্রশ্ন ১০। জিলা পরিষদের গঠন প্রণালী লেখো।

উত্তরঃ জিলা পরিষদ হল ১৯৯৪ সালের অসম পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত সংস্থার সর্বোচ্চ স্তর। উক্ত আইন অনুযায়ী প্রত্যেক, জিলায় সংশ্লিষ্ট জিলার নামানুসারে একটি জিলা পরিষদ থাকবে।

গঠন জিলা পরিষদ নিম্নলিখিত সদস্যগণ নিয়ে গঠিত হয়-

১। নির্দিষ্ট এলাকা হইতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্য। চল্লিশ হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট এলাকা হইতে একজন সদস্য নির্বাচিত হয়।

২। সংশ্লিষ্ট জিলা পরিষদভুক্ত এলাকার আঞ্চলিক পঞ্চায়েে সভাপতিগণ।

৩। সংশ্লিষ্ট জিলা পরিষদের এক্তিয়ারভুক্ত সংসদ ও বিধায়কগণ।

জিলার জনসংখ্যা অনুপাতে তপশীলভুক্ত জাতি ও তপশীলভুক্ত উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকিবে।

সভাপতি- জিলা পরিষদের নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনে ইহার নির্বাচিত সদস্যগণ তাহাদের মধ্য হইতে একজন সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত করে।

রাজ্য সরকার প্রত্যেক জিলা পরিষদে একজন কার্যকরী অধিকারিক ও একজন অতিরিক্ত কার্যকরী অধিকারিক নিযুক্ত করেন। জিলা পরিষদ রাজ্য সরকার কর্তৃক সেক্রেটারী নিয়োগেরও ব্যবস্থা আছে।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর কোনটি ?

উত্তরঃ গাঁও পঞ্চায়েত।

প্রশ্ন ২। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্যবর্তী স্তর কোনটি ?

উত্তরঃ আঞ্চলিক পঞ্চায়েত।

প্রশ্ন ৩। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর কোনটি ?

উত্তরঃ জেলা পরিষদ।

প্রশ্ন ৪। গাঁও পঞ্চায়েত/আঞ্চলিক পঞ্চায়েত/ জেলা পরিষদের কার্যকাল কত ?

উত্তরঃ পাঁচ বছর।

প্রশ্ন ৫। সংবিধানের ৭৩তম সংশোধন অনুযায়ী পঞ্চায়েতের দায়িত্বে কতটি বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে ?

উত্তরঃ ২৯টি বিষয়।

প্রশ্ন ৬। সংবিধানের ৭৩তম সংশোধন কখন হয় ?

উত্তরঃ ১৯৯২ সালে।

প্রশ্ন ৭। অসমে বর্তমান পঞ্চায়েত আইন কখন প্রণয়ন করা হয় ?

উত্তরঃ ১৯৯৪ সালে।

প্রশ্ন ৮। জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহীকে কে নিযুক্ত করেন ?

উত্তরঃ রাজ্য সরকার।

প্রশ্ন ৯। আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের নির্দিষ্ট সদস্য সংখ্যা আছে কী ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ১০। জেলা পরিষদের নির্দিষ্ট সদস্য সংখ্যা আছে কী ?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ১১। পুরসভা গঠনের জন্য কত জনসংখ্যা প্রয়োজন ?

উত্তরঃ ন্যূনতম ৩০ হাজার।

প্রশ্ন ১২। পুরনিগম গঠনের জন্য কত জনসংখ্যা প্রয়োজন ?

উত্তরঃ একলক্ষ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top