SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 5 বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। নিজে করাে।

২। উত্তর দাও।

(ক) টিকা সম্পর্কীয় প্রচারিত উড়ােখবর কোন মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ টিকা সম্পর্কীয় প্রচারিত উড়ােখবর মােবাইলের হােয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল।

(খ) বুধবার বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা কেন আসেনি?

উত্তরঃ বুধবার বিদ্যালয়ে টিকা নেওয়ার ভয়ে ছাত্রছাত্রীরা আসেনি।

(গ) কোন ব্যক্তি বিদ্যালয়ে এসে টিকা সম্পর্কে সবিশেষ জানিয়েছিলেন?

উত্তরঃ গ্রামের চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক প্রণব আলি বিদ্যালয়ে এসে টিকা সম্পর্কে সবিশেষ জানিয়েছিলেন।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(ক) হােয়াটস অ্যাপে প্রচারিত টিকা সম্পর্কীয় উড়াে খবরটিতে টিকা নিলে কী হবে বলে জানা গিয়েছিল?

উত্তরঃ হােয়াটস অ্যাপে প্রচারিত টিকা সম্পৰ্কীয় উড়াে খবরে বলা হয়েছিল যে টিকা নিলে শিশুদের অপকার হবে।

(খ) নেহা বুধবার বিদ্যালয় গিয়ে অন্যদিনের তুলনায় কী ধরনের আলাদা পরিবেশ দেখতে পেয়েছিল?

উত্তরঃ নেহা বুধবার বিদ্যালয় গিয়ে খেলার মাঠে, শ্রেণিকক্ষে কোথাও নিজের বন্ধু-বান্ধবকে দেখতে না পেয়ে সহপাঠী শংকরের বাড়ি গেল।

(গ) সংক্রামক রােগ এবং সেগুলাের প্রতিরােধ ক্ষমতার বিষয়ে চিকিৎসক কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ সংক্রামক রােগ এবং সেগুলাের প্রতিরােধ ক্ষমতার বিষয়ে চিকিৎসক বলেছিলেন যে অন্যান্য অনুজীবের মতাে জীবাণুও আমাদের দেহে প্রবেশ করে। কিছু কিছু শক্তিশালী জীবাণু পােলিও, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রােগ সৃষ্টি করে। এই জীবাণুগুলাে মানুষের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা সহজে গ্রাস করে। টিকা দিয়ে এই ভয়ানক জীবাণুগুলাের সংক্রমণ রােধ করা যায়। উপযুক্ত সময়ে শরীরে টিকা প্রয়ােগ করে শিশুদের রােগ প্রতিরােধের ক্ষমতা বাড়ানাে খুবই দরকার।

(ঘ) উড়ােখবরটি কীভাবে রতনপুর গ্রামের পরিবেশ বদলে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ উড়াে খবরে বলা হয়েছিল যে টিকা নিলে শিশুদের অপকার হবে। তাই বিদ্যালয়ের নােটিশ বাের্ডে টিকা দেবার খবরটি দেখার পর থেকে অভিভাবকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। সবাই নিজের সন্তানকে বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকা নিতে নিষেধ করেন। এর ফলে কেউই বিদ্যালয়ে যায় না।

(ঙ) প্রধান শিক্ষক মহাশয় টিকার বিষয়ে জানার জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তরঃ টিকার বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক মহাশয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক প্রণব মালি দুজনেই আলােচনা করে সেদিনই বিকেলে বিদ্যালয়ে জরুরী সভা আয়ােজন করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সহযােগী কর্মী হারাধনকে বললেন সভার কথা গ্রামের মােড়ল, অভিভাবক আর ছাত্রছাত্রীদের জানাতে। সন্ধার সভায় গ্রামের চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক প্রণব মালি মহাশয় সভায় সচিত্র প্রচার পুস্তিকাগুলি বের করে টিকা সম্পর্কে বােঝানাের চেষ্টা করলেন।

৪। উদাহরণের মতাে শব্দের সঙ্গে অর্থ মেলাও।

হাট  বাধা।
বীজাণুছোঁয়াচে।
সংক্রামকছােটো বই।
প্রতিরােধযিনি চিকিৎসা করেন।
পুস্তিকানির্দিষ্ট দিনে একই জায়গায় অনেক লােক জমা হয়ে কেনাবেচা করর স্থান।
চিকিৎসকরােগ সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র জীবাণু।

উত্তরঃ 

হাট  নির্দিষ্ট দিনে একই জায়গায় অনেক লােক জমা হয়ে কেনাবেচা করর স্থান।
বীজাণুরােগ সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র জীবাণু।
সংক্রামকছোঁয়াচে।
প্রতিরােধবাধা।
পুস্তিকাছােটো বই।
চিকিৎসকযিনি চিকিৎসা করেন।

৫। শংকর তুমি এখনও স্কুলে যাবার জন্য তৈরি হওনি কেন? কথাগুলাে কে কাকে এবং কেন বলেছিল?

উত্তরঃ কথাগুলি নেহা শংকরকে বলেছিল।

নেহাদের বিদ্যালয়ে যেদিন টিকা দেওয়ার কথা ছিল সেদিন সে বিদ্যালয়ে গিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। নেহা বুঝতে পারল হােয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ছড়ানাে ভুয়াে খবরটি জেনে তার বন্ধু-বান্ধব এবং অভিভাবকেরা সকলেই চিন্তিত। বিদ্যালয়ে খেলার মাঠে, শ্রেণিকক্ষে কাউকেই দেখতে পেয়ে সহপাঠী শংকরের বাড়ি গেল। শংকরের বাড়ি বিদ্যালয়ের কাছেই। শংকরকে বাড়িতে খেলতে দেখে নেহা আশ্চর্য হয়ে জানতে চাইল শংকর বিদ্যালয় যাওয়ার জন্য এখনাে কেন তৈরি হয়নি।

৬। নিজে করাে।

৭। নীচের বাক্সে দেওয়া শব্দগুলাের সাহায্যে বাক্যরচনা করাে।

শিংব্যাংরংসং

উত্তরঃ শিং – গরু, মহিষের দুটি শিং থাকে।

ব্যাং – ব্যাং একটি উভচর প্রাণী।

রং – বাড়িতে নতুন রং করা হয়েছে।

সং – রং মেখে সং সেজেছে।

৮। একটি শব্দে প্রকাশ করো।

(ক) যারা এক সঙ্গে পড়াশােনা করে ____________।

উত্তরঃ যারা এক সঙ্গে পড়াশােনা করে – সহপাঠী।

(খ) যে স্থানে একসঙ্গে অনেক ছেলেমেয়ে পড়াশােনা করে ____________।

উত্তরঃ যে স্থানে একসঙ্গে অনেক ছেলেমেয়ে পড়াশােনা করে – বিদ্যালয়। 

(গ) গ্রামের প্রধান ____________।

উত্তরঃ গ্রামের প্রধান – মােড়ল।

(ঘ) একের শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে যে রােগ ____________।

উত্তরঃ একের শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে যে রােগ – ছোঁয়াচে।

(ঙ) যা বাধা দেয় ____________।

উত্তরঃ যা বাধা দেয় – প্রতিরােধ।

৯। লিঙ্গ পরিবর্তন করাে।

বন্ধু ____________

শিক্ষক ____________

মহাশয়া ____________

কাকা ____________

উত্তরঃ বন্ধু – বান্ধবী

শিক্ষক – শিক্ষিকা

মহাশয় – মহাশয়া

কাকা – কাকী

১০। বিপরীত শব্দ লেখাে।

কৃত্রিম ____________

উপস্থিত ____________

ভুল ____________

কৃতজ্ঞতা ____________

উত্তরঃ কৃত্রিম – অকৃত্রিম

উপস্থিত – অনুপস্থিত

ভুল – ঠিক

কৃতজ্ঞতা – অকৃতজ্ঞতা

১১। স্বরবর্ণের সন্ধিগুলাে করাে।

মহা + ঈশ = ____________

যথা + ইষ্ট = ____________

দেব + ঋষি = ____________

উত্তরঃ মহা + ঈশ = মহেশ। 

যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট

দেব + ঋষি = দেবর্ষি

১২। এবার তােমরা নীচের ব্যঞ্জনবর্ণের সন্ধিগুলাে করাে।

ঋক + বেদ = ____________

কন্ + পন্ = ____________

যাবৎ + জীবন = ____________

উত্তরঃ ঋক + বেদ = ঋগবেদ/ ঋগ্বেদ

কন + পন্ = কম্পন

যাবৎ + জীবন = যাবজ্জীবন

১৩। বিসর্গযুক্ত বর্ণের সন্ধিগুলাে করাে।

দুঃ + চিন্তা = ____________

আশীঃ + বাদ = ____________

ততঃ + অধিক = ____________

উত্তরঃ দুঃ + চিন্তা = দুশ্চিন্তা। 

আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ। 

ততঃ + অধিক = ততােধিক

১৪। উক্তিগুলি পরিবর্তন করাে।

(ক) নেহা বলল, “আমার মা আমাকে স্কুলে যেতে বারণ করেছেন।” (প্রত্যক্ষ উক্তি)

উত্তরঃ নেহা বলল যে তার মা তাকে স্কুলে যেতে বারণ করেছেন।

(খ) গ্রামের মােড়ল বললেন যে ডাক্তারবাবু তাদের জীবাণু সংক্রমণ আর প্রতিরােধ ক্ষমতার বিষয়ে কিছু তথ্য দিলে তারা লাভবান হবেন। (পরােক্ষ উক্তি)

উত্তরঃ গ্রামের মােড়ল বললেন, “ডাক্তারবাবু আপনাদের জীবাণু সংক্রমণ আর প্রতিরােধ ক্ষমতার বিষয়ে কিছু তথ্য দিলে আপনারা লাভবান হবেন।”

(গ) নেহা বলল, “টিকা দেয়া হবে শুনে বাকিরা কেউ ভয়ে আসেনি, দিদিমণি”। (প্রত্যক্ষ উক্তি)

উত্তরঃ নেহা দিদিমণিকে বলল যে টিকা দেয়া হবে শুনে বাকিরা কেউ ভয়ে আসেনি।

জ্ঞান সম্প্রসারণ-

১৫। স্থানীয় হাট বাজারের বিষয়ে পাঁচটি লাইন-

(ক) আমাদের গ্রামের হাট বাজার ইছামতী নদীর তীরে সপ্তাহে দুদিন বসে।

(খ) আমাদের গ্রামের হাটে দূরদুরান্ত থেকে প্রচুর চাষীরা নিজেদের জিনিস নিয়ে আসেন।

(গ) আমাদের গান ডাও অন্যান্য গ্রাম থেকেও অনেক মানুষ হাটে আসেন।

(ঘ) আমিও বাবার সাথে হাটে যাই।

(ঙ) সকাল থেকে প্রায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাটে কেনাবেচা চলে।

১৬। নিজে করাে।

১৭। তােমার এলাকার যেকোনাে একটি সমস্যার বিষয়ে বৰ্ণনা করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।

উত্তরঃ মাননীয় সম্পাদক

আনন্দবাজার পত্রিকা

কলিকাতা,

মহাশয়,

আমি ব্যারাকপুর মণিরামপুরের বাসিন্দা। আমাদের এলাকায় সম্প্রতি প্রচণ্ড মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। আগেও মশা ছিল, কিন্তু বর্তমানে মশার উপদ্রব মাত্রাহীনভাবে বেড়ে গিয়েছে। পাড়ার দুজনে ইতিমধ্যে ডেঙ্গুতেও আক্রান্ত হয়েছে। পাড়ায় কয়েকটি অপরিস্কার নর্দমা রয়েছে দুটি কচুরিপানায় পূর্ণ নােংরা পুকুর রয়েছে। অনেকেই বাড়ির ময়লা সেই পুকুরে ফেলে। দিনের বেলাতেও প্রচুর পরিমাণে মশা কামড়ায়। দুপুরের পর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা বাড়িতে ঢুকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। শিশু এবং বৃদ্ধরা খুবই অস্বস্তিতে আছে। এমনকি দরজা জানলা বন্ধ রেখেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না ।

স্থানীয় কাউন্সিলারকে বারংবার জানানাের পর একবার মাত্র ব্লিচিং পাউডার ও মশা মারার তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে সব বন্ধ। নদমাগুলি নােংরায় ভরে যাচ্ছে। পুকুরের কচুরিপানা সরিয়ে পরিস্কারও একরা হচ্ছে না। ব্লিচিং পাউডার ও মশা মারার তেল দেওয়াও একদম বন্ধ।বাস্থানীয় কাউন্সিলারকে এবং প্রশাসনকে বারংবার জানিয়েও কোনাে সুরাহা হয়নি।

তাই আপনাদের পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি যদি সকলের গােচরে আসে এবং প্রশাসন প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে আমাদের অত্যন্ত উপকার হয়।

ধন্যবাদান্তে-

মােহন বরুয়া

১৮। তুমি যদি কখনও কোনাে উড়ােখবর শুনে প্রভাবিত হতে শুরু কর, তবে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কী উপায় গ্রহণ করবে তা বলাে-

উত্তরঃ (ক) প্রথমেই উড়ােখবরটির ক্ষতিকর দিকটি সম্পর্কে বুঝে নিতে হবে।

(খ) উড়াে খবরের সত্যতা যাচাই করতে হবে।

(গ) ভুয়াে খবরটির অসত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর সবাইকে বােঝাতে হবে।

(ঘ) প্রয়ােজনে সকলকে এক জায়গায় জড়াে করে খবরটির সত্য মিথ্যা দুটো দিকই তুলে ধরতে হবে।

(ঙ) প্রচার পুস্তিকা বিলি করা যেতে পারে।

(চ) মাইকেও প্রচার করা যেতে পারে।

(ছ) এলাকায় আশেপাশে পােস্টারিং করা যেতে পারে।

১৯। নীচের ছবিটি দেখে একটি গল্প লেখাে।

উত্তরঃ নিজে করাে।

ঘ – প্রকল্প

২০। নিজে করাে ।

২১। নীচের মতাে করে উড়ােখবর সম্পর্কে সমাজে সজাগতা সৃষ্টির জন্য দুটি করে শ্লোগান লেখাে।

উত্তরঃ (ক) সঠিক সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়।

(খ) টিকা নিলে কোনাে অপকার হয় না।

(গ) টিকা নিলে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

(ঘ) উড়ােখবর মানেই অত্যন্ত ক্ষতিকর।

(ঙ) উড়ােখবরে বিশ্বাস না করলেই ভালাে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ

(ক) নেহা কোন বিদ্যালয়ের ছাত্রী?

উত্তরঃ নেহা রতনপুর গ্রামের নতুন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

(খ) রতনপুরে কবে সাপ্তাহিক হাট বসে?

উত্তরঃ রতনপুরে বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসে।

(গ) স্কুলের নােটিশ বাের্ডে কিসের খবর দেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ স্কুলের নােটিশ বাের্ডে টিকা দেবার খবর দেওয়া হয়েছিল।

(ঘ) নেহা স্কুলে যাওয়ার সময় কাকে দেখতে পেল না?

উত্তরঃ নেহা স্কুলে যাওয়ার সময় কমল আর মেঘাকে দেখতে পেল না।

(ঙ) নেহাকে দেখে শংকর কী বলল?

উত্তরঃ নেহাকে দেখে শংকর বলল যে নেহা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাক। নাহলে টিকা দেবার লােক এসে ধরে টিকা দিয়ে দেবে।

(চ) নেহা আর শংকর মিলে কোথায় গেল?

উত্তরঃ নেহা আর শংকর মিলে নীলিমা খাতুন দিদিমণির কাছে গেল।

ব্যাকরণ-

১। কয়েকটি সন্ধির উদাহরণ দাও।

(ক) স্ব + ছন্দ = স্বচ্ছন্দ।

(খ) এক + ছত্র = একচ্ছত্র।

(গ) আ + ছাদন = আচ্ছাদন।

(ঘ) বৃক্ষ + ছায়া = বৃক্ষচ্ছায়া।

(ঙ) জগৎ + ঈশ = জগদীশ।

(চ) ষট্ + আনন = ষড়ানন।

(ছ) শরৎ + ইন্দু = শরদিন্দু।

(জ) নিচ্ + অন্ত = নিজন্ত।

(ঝ) সৎ + আচার = সদাচার।

(ঞ) ভবৎ + ঈয় = ভবদীয়।

(ট) প্রাক্ + ঐতিহাসিক = প্রাগৈতিহাসিক।

(ঠ) তৎ + অবধি = তদবধি।

(ড) মৃৎ + অঙ্গ = মৃদঙ্গ।

(ঢ) উৎ + মুখ = উন্মুখ।

(ণ) চলৎ + শক্তি = চলচ্ছক্তি।

(ত) বাক্ + ময় = বাঙময়।

২। ব্যঞ্জনসন্ধির কয়েকটি নিয়ম উদাহরণ সহযােগে লেখাে ।

(ক) স্বরবর্ণের পর ছ থাকলে ছ স্থানে চ্ছ হয়। অর্থাৎ 

স্বরবর্ণ + ছ = চ্ছ।

আ + ছ = চ্ছ।

ই + ছ = চ্ছ

যেমন- বি + ছেদ = বিচ্ছেদ।

প্র + চ্ছদ = প্রচ্ছদ।

(খ) বর্গের প্রথম বর্ণের (ক চ  ট ত প ) পর স্বরবর্ণ থাকলে প্রথম বর্ণ স্থানে সেই বর্গের তৃতীয় বর্ণ (গ, জ, ড, দ, ব) হয় এবং স্বরবর্ণ তার সঙ্গে যুক্ত হয়। অর্থাৎ বর্গের প্রথম বর্ণ স্বরবর্ণ বর্গের তৃতীয় বর্ণ (ক + অ = গ, চ্ + অ = জ, ত + অ = দ, প + অ = ব)।

যেমন- সৎ + উপায় = সদুপায়।

বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর।

সৎ + আলাপ = সদালাপ।

মৃৎ + অঙ্গ = মৃদঙ্গ।

(গ) বর্গের প্রথম বর্ণের ( ক চ ট ত প ) পর বর্গের তৃতীয় বর্ণ (গ জ, ড, দ, ব) বা চতুর্থ বর্ণ (ঘ ঝঢ় ধূ ভ) বা ম র ল ব হ থাকলে বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে সেই বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়। অর্থাৎ বর্গের প্রথম বর্ণ বর্গের তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ণ য র ল্ ব হ বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে সেই তৃতীয় বর্ণ হয়।

যেমন- উৎ + হার = উদ্ধার। 

জগৎ + হিতায় = জগধিবতায়।

পদ + হতি = পদ্ধতি।

তদ্ + হিত = তদ্বিত।

(ঘ) ন্ এর পরহ থাকলে ন্ স্থানে হয়। 

যেমন- দন + শন = দংশন। 

প্রশন্ + সা = প্রশংসা।

হিন্ + সা = হিংসা।

৩। বিভক্তি ও অনুসর্গের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

(ক) বিভক্তি বিভক্তির (কে, রে, য়, তে ইত্যাদি) কোনাে অর্থ নেই।

অনুসর্গ- অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।

(খ) বিভক্তি চিহ্নটি শব্দের সঙ্গে একাঙ্গ হয়ে যায়। যেমন- পাগলে, আমায়, কানাকে ইত্যাদি।

অনুসর্গ কখনােই শব্দের সঙ্গে একাঙ্গ হয়ে যায় না, শব্দটির ডানদিকে একটু তফাতে বসে। যেমন- কানু বিনা গীত নেই। দুধ থেকে দই হয়।

(গ) বিভক্তি সর্বদা শব্দটির শেষে বসে। অনুসর্গ স্থলবিশেষে শব্দের পূর্বেও বসে। যেমন- “বিনা কাজে বাজিয়ে বাঁশি কাটবে সকালবেলা।”

(ঘ) কয়েকটি অনুসর্গের প্রয়ােগ লেখাে।মাঝারে- সবার মাঝারে দেখি সঞ্চারিত শকতি তােমার।

বিনা- দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় না।

উপরে- সবার উপরে মানুষ সত্য।

সাথে- তিনি রৌদ্রে জলে আছেন সবার সাথে ।

মতো- অবসর মতাে আমার এখানে এসাে।

পরে- খাওয়ার পরে বিশ্রাম নাও।

প্রতি- দীনের প্রতি দয়া করাে।

দিয়ে- তােমায় দিয়ে একাজ হবে না।

অপেক্ষা- রাম অপেক্ষা শ্যাম বড়াে।

ভিতর- মনের ভিতর ঈশ্বর থাকেন।

উপসর্গ-স্থানীয় অব্যয় (গতি)

আলােচিত উপসর্গগুলি ব্যতীত সংস্কৃতে আরও কতকগুলি অবায় আছে, যেগুলি উপসর্গের মতাে ব্যবহৃত হয়। এই জাতীয় অব্যয় উপসর্গকে গতি বলে। বাংলা ব্যাকরণে এই জাতীয় উদাহরণও গৃহীত হয়েছে। এই সমস্ত উপসর্গ-স্থানীয় অব্যয়কে স্বাধীনভাবেও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। যেমন-

অন্তঃ- মধ্য অর্থে – অন্তঃপুর, অন্তর্গত, অন্তঃপাতী, অন্তঃস্থ, অন্তঃকরণ, অন্তঃসার।

অদৃশ্য হওয়া অর্থে – অন্তর্ধান, অন্তঃশীলা, অন্তঃসলিলা, অন্তর্হিত অন্তর্নিহিত।

আবিঃ – প্রকাশ অর্থে- আবির্ভাব, আবিষ্কার, আবির্ভূত।

পুর – সমক্ষে- পুরােহিত, পুরস্কার, পুরােভাগ, পুরােবর্তী, পুরােগামী।

প্রাদুঃ – প্রকাশ অর্থে- প্রাদুর্ভাব, প্রাদুর্ভূত।

তিরঃ – অদৃশ্যার্থে- তিরােহিত, তিরােভাব।

নিন্দার্থে- তিরস্কার, তিরস্কৃত।

বহিঃ – বাহির অর্থে- বহিষ্কার, বহির্বাণিজ্য, বহির্জগৎ, বহির্ভাগ, বহির্বাটী, বহিঃস্থ।

নমঃ – প্রণাম অর্থে- নমস্কার।

পরিঃ – বিশুদ্ধ অর্থে- পরিষ্কার।

পূর্ব – পূর্ব অর্থে- পূর্বরাগ, পূর্বপুরুষ, পূর্বজন্ম, পূর্বতন, পূর্বাভাষ, পূর্বাচল, পূর্ববর্তী।

অলম্ – ভূষণ অর্থে- অলংকার, অলংকৃত, অলংকরণ।

সাক্ষাৎ – সমক্ষে- সাক্ষাকার।

সহ – সহিত বােঝাতে- সহযােগী, সহকারী, সহকর্মী, সহজাত।

বাংলা বা দেশি উপসর্গ

বাংলা বা দেশি উপসর্গ প্রকৃতপক্ষে একজাতীয় অব্যয় পদ। অধ্যাপক শ্যামাপদ চক্রবর্তীর ন্যায় অনেকে মনে করেন, বাংলা উপসর্গ বলে কিছু নেই- যেগুলিকে আমরা বাংলা উপসর্গ বলছি, সেগুলি বিশুদ্ধ অব্যয়। কিন্তু ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতানুযায়ী বাংলা ব্যাকরণে বাংলা উপসর্গের স্থান আছে।

আ – না, নয় বা নাই অর্থে- অজানা, অচেনা, অদেখা, অনামা, অঢেল, অখুশি, অফুরন্ত।

মন্দ অর্থে- অসৎ, অবেলা, অসভ্য, অকাজ।

স্বার্থে- অকুমারী (কুমারী), অঘাের (ঘাের)।

আ – না অর্থে- আধােয়া, আচালা, আছাঁটা, অসিদ্ধ, আকাড়া, আকাটা, আবছা ।

নিন্দার্থে- আকাট, আদেখলা, আগাছা, আকাল’।

ঈষদর্থে- আপাকা, আভাঙা।

অনা – না অর্থে- অনাবৃষ্টি, অনাহার, অনাদর।

নিন্দার্থে- অনামুখাে, অনাসৃষ্টি।

কু – নিন্দা অর্থে- কুকথা, কুকাজ, কুচুটে, কুপথ্য, কুঅভ্যাস, কুপথ, কুগ্রহ, কু-কর্ম।

নি – না অর্থে- নিখোঁজ, নিলাজ, নিটোল, নিটুট, নিখরচে, নিখাঁজ, নিখরচা, নিখুঁত।

তদ্ধিত প্রত্যয়

তদ্ধিত প্রত্যয় মূলত তিন জাতীয় হয়ে থাকে- 

১। সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়।

২। বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়।এবং 

৩। বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়।

প্রথমে আমরা সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় সম্বন্ধে উদাহরণ সহযােগে আলােচনা করব।

সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

বহু সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় বাংলায় প্রচলিত আছে। এই সংস্কৃত তদ্ধিত-প্রত্যয় যােগে যে-সকল শব্দ গঠিত হয়, তা বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দ। শব্দগঠনের সময় প্রত্যয়ের কোনাে কোনাে বর্ণ বর্জিত হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে অনুরূপ পরিবর্তনও ঘটে। যেমন- দশরথ = ষ্ণি + দাশরথি ( ‘ষ্ণি’ র ষ্ণ বাদ দিয়ে শুধু ‘ই’ আছে এবং প্রথম বর্ণ হয়েছে আকারান্ত) ; বুদ্ধি + মতুল্ = বুদ্ধিমান (মতু’ পরিবর্তিত হয়েছে মান’-এ)।

মনে রাখা প্রয়ােজন যে, ধাতুর সঙ্গে যুক্ত না হয়ে শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয় বলে তদ্ধিতের ক্ষেত্রে বাচ্যের কোনাে প্রশ্ন ওঠে না।

ষ্ণ (> অ)- ষ্ণ একটি বিচিত্র তদ্ধিত প্রত্যয়। বিবিধ অর্থে এই  প্রত্যয়ের ব্যবহার দেখা যায়। যেমন।

অপত্য অর্থে- (বিশেষ্য)

পাণ্ডব = পাণ্ডু + ষ্ণ

রাঘব = রঘু + ষ্ণ

জানকী = জনক + ষ্ণ + ঈ (স্ত্রী) 

পার্থ = পৃথা + ষ্ণ

উপাসক অর্থে- (বিহেস্য থেকে বিশেষণ)

শাক্ত = শক্তি + ষ্ণ

শৈব = শিব + ষ্ণ

বৌদ্ধ = বুদ্ধ + ষ্ণ

ব্রাহ্ম= ব্রহ্ম + ষ্ণ

সম্বন্ধ অর্থে- (বিশেষ্য থেকে বিশেষণ)

সৌর = সূর্য + ষ্ণ

চান্দ্র = চন্দ্র + ষ্ণ

সান্ধ্য = সন্ধ্যা + ষ্ণ

শারদ = শরৎ + ষ্ণ

অবস্থা বা ভাব অর্থে- (বিশেষ্য)

পৌরুষ = পুরুষ + ষ্ণ

ঐশ্বর্য = ঈশ্বর + ষ্ণ

কৈশাের = কিশাের + ষ্ণ

শৈশব = শিশু + ষ্ণ

পরিণতি বা রূপান্তর অর্থে- (বিশেষ্য)

তৈল = তিল + ষ্ণপয়স (দুধ) + ষ্ণ = পায়স

বিবিধ অর্থে-

ভাগবত = ভাগবৎ + ষ্ণ

আর্য = ঋষি + ষ্ণ

বৈশাখ = বিশাখা + ষ্ণ

নৈশ = নিশা + ষ্ণ

অনুরূপ প্রবন্ধ-

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার

প্রবন্ধ সূত্র- ভূমিকা। কুসংস্কার কী? কুসংস্কারের প্রবল প্রভাব। বিজ্ঞান ও মানবজীবন। কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞান। উপসংহার।

সৃষ্টির প্রাথমিক মুহূর্তে মানুষ ছিল অসহায়। আরণ্যক পশুর সঙ্গে লড়াই করে তাকে বাঁচতে হয়েছে। পৃথিবী ও প্রকৃতির বিপুল রহস্য তাকে বিমূঢ় করেছে। প্রথমে সে বুঝতে পারেনি যে পৃথিবীতে প্রতিটি ঘটনার পিছনে নিগূঢ় কার্যকারণ-সম্পর্ক রয়েছে। যতােদিন সে সেই সম্পর্ককে আবিষ্কার করতে পারেনি, ততােদিন মনগড়া নানাবিধ চিন্তায় সেই সত্যকে ভ্রান্তির ছনে নানা যুক্তিহীন প্রক্রিয়ায় স্বস্তি লাভ করেছে। এভাবেই যুগ যুগ ধরেই নানা কুসংস্কার মানুষের চিত্তে দৃঢ়বদ্ধ হয়ে গেছে। কোনাে কিছুকে ব্যাখ্যা করার সময় অন্ধবিশ্বাস, চিন্তার পরিবর্তে কল্পনা ও অনুমানও সেইমতাে অবৈজ্ঞানিক কাজ করার যে প্রবণতা তাকেই বলে কুসংস্কার।

কুসংস্কার মানুষকে বিভ্রান্ত করে- প্রকৃত সত্য থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখে। বিজ্ঞান যুক্তিতর্কের দ্বারা সত্যসন্ধানী ও প্রগতিমুখী, আর কুসংস্কার যেহেতু মিথ্যা বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তাই তা প্রগতিবিমুখ।

প্রাচীন ও মধ্যযুগে সারা পৃথিবীর বুকে অন্ধ কুসংস্কার জগদ্দল পাথরের মতাে চেপে বসেছিল। এখনাে সভ্যতার আলােকিত উজ্জ্বলিত যুগে এইসর কুসংস্কার মানুষের চিত্ত থেকে সম্পূর্ণ মুছে যায়নি। এখনাে আমরা দেখি অনেকে বাড়ির ছাদের ওপর শকুন বসলে অমঙ্গল ভাবে, যাত্রাকালে শুকনাে ডালে কাক ডাকলে, পথের ডানপাশে শৃগাল দেখলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা থাকে। যাত্রাকালে মা যদি ছেলেকে পিছনে ডাকে তবে যাত্রা শুভ। স্বামী মরলে সতী স্ত্রীকে সহমরণে জ্যান্ত দগ্ধ হতে হয়, থুরথুরে বুড়িকে ডাইনি ভেবে হত্যা করা হয়। প্রথম সন্তানকে এককালে গঙ্গাজলে বিসর্জন দিতে হতাে। জোড়াশালিখ দেখলে গৃহস্থনারীর মঙ্গল হয়। যাত্রাকালে হাঁচি ও টিকটিকির শব্দ অমঙ্গল, পরীক্ষার দিনে কলা, ডিম ও রসগােল্লা খেতে নেই- তাহলে পরীক্ষা ভালাে হবে না। বসন্ত-কলেরা রােগে আক্রান্ত হলে মা শীতলাকে পূজো দিলে রােগ নিরাময় অবশ্যম্ভাবী। আর্থিক দুর্দশায় শনিবারে শনিদেবতার পূজা করলে দুর্ভাগ্য দূর হয়ে যাবে। গ্রহনক্ষত্রের কুপ্রভাব থেকে মুক্তির জন্য নীলা ও গােমেদ প্রভৃতি পাথর ধারণ জ্যোতিষী-বচন। মাদুলি ও কবচ জীবনে সাফল্য অর্জনে অব্যর্থ। এভাবে মানব সমাজে কুসংস্কারের ছড়াছড়ি।

আগেই বলা হয়েছে কুসংস্কার প্রগতিবিরােধী। কুসংস্কার জীবনের গতি থামিয়ে দেয়। এইসব কুসংস্কার থেকে জীবনের ক্ষেত্রে মুক্তি আনতে পারে বিজ্ঞান। জনসমাজে যতােই বিজ্ঞানচেতনার বিস্তার ঘটবে, ততােই মানুষের জীবন থেকে কুসংস্কার দূর হয়ে যাবে। আমাদের জীবনে যেসব অর্থহীন অযৌক্তিক বিশ্বাস ও তদনুযায়ী কাজকর্ম ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে, তাকে সমূলে উচ্ছেদসাধনই বিজ্ঞানের কাজ। পৃথিবীতে যা ঘটছে, তার পিছনে কোনাে আকস্মিকতা নেই। এই নিগূঢ় কার্যকারণ পরম্পরার শৃঙ্খলে সব ঘটনাই আবদ্ধ ; তাকেই সত্যের আলােকে উদ্ভাসিত করে তােলে। বিজ্ঞান। মিথ্যার জগৎ থেকে, দুবুদ্ধির জগৎ থেকে, অপকর্ম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র বিজ্ঞান।

অন্ধবিশ্বাসের যুগ পেরিয়ে আজকে আমরা যুক্তির তত্ত্ব ও তথ্যকে স্বীকার করে নিচ্ছি। কিন্তু দুঃখের কথা, বিংশ শতাব্দীর পদপ্রান্তে পৌঁছেও আজ বহু মানুষই পরিপূর্ণ বিজ্ঞাননির্ভর হয়ে উঠতে পারেনি। আপামর জনসাধারণ যে তিমিরে সেই তিমিরেই। কুসংস্কারের অচলায়তন থেকে মানুষকে সত্যসন্ধানের ও সত্য জ্ঞানলাভের মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তারে। মনে রাখতে হবে ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মীয় কুসংস্কাৰরের বেড়াজালে চিরকাল সাধারণ অশিক্ষিত ও অল্পশিক্ষিত মানুষকে আবদ্ধ রেখে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে উন্মুখ। এ কথা সত্য, ভারত যেহেতু এখনও অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাদপদ দেশ, জনসাধারণের দারিদ্র্য এখনও যেহেতু প্রবল, তাই কিছুতেই ভারতীয় জনগণ বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারছে অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযােগে যুক্তিহীন বিশ্বাস তাদের হৃদয় জুড়ে বসছে। তাই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তারে উদ্যোগী হতে হবে দেশের সরকার ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের। ছাত্রদেরও একাজে অগ্রণী হতে হবে। বিজ্ঞানের বিচিত্র বিষয়ে ছােটো ছােটো পুস্তিকা প্রকাশ করে জনগণের মধ্যে প্রচার করতে হবে। রেডিও টেলিভিশনে কুসংস্কার উচ্ছেদে বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে আলােচনা করতে হবে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিজ্ঞানের সহজ সত্য গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে দিতে হবে। এইঙাবে কুসংস্কার রাত্রির অন্ধকারের মতাে জনচিত্ত থেকে কোথায় মিলিয়ে যাবে। যতােই জনগণের মধ্যে ব্যাপক বিজ্ঞানচেতনার বিস্তার ঘটবে ততােই কুসংস্কার ধরাতল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top