SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 6 আশার আলো Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 6 আশার আলো I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 6 আশার আলো Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 6 আশার আলো Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

আশার আলো

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। নিজে করাে।

২। নীচের প্রশ্নগুলাের উত্তর, বলাে এবং লেখা।

(ক) কীসের গন্ধে মন ভরে ওঠে?

উত্তরঃ বকুল ফুলের গন্ধে মন ভরে ওঠে।

(খ) ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের কী উপহার দিয়েছিল?

উত্তরঃ ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের বকুল ফুলের মালা গেঁথে উপহার দিয়েছিল।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

(গ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু কোন গান দিয়ে হয়েছিল?

উত্তরঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল “ও আমার দেশের মাটি” গান দিয়ে।

(ঘ) দেখাে ফুলগুলাে কত সতেজ ও সজীব “এই কথা কে কাকে বলেছিল?”

উত্তরঃ কথাগুলাে মিলি তিতলিকে বলেছিল।

(ঙ) অনুষ্ঠানে যে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তার নাম কী?

উত্তরঃ অনুষ্ঠানে যে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তার নাম মিলি।

(চ) মিলি বাড়ীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলির মা কী করতেন?

উত্তরঃ মিলি বাড়ীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলির মা ঝাড়ফুক, তাবিজ কবচ করতেন। মাদুলি ধােয়া জল খাওয়াতেন।

(ছ) মিলি যে অসুখে ভুগছিল সেই অসুখটার নাম কী?

উত্তরঃ মিলির অসুখটার নাম স্নায়ুর অসুখ।

(জ) মিলিকে পরীক্ষা করে ডাক্তারবাবু কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ মিলিকে পরীক্ষা করে ডাক্তারবাবু বলেছিলেন কিছুদিন চিকিৎসা করালেই সুস্থ হয়ে যাবে।

(ঝ) “সময় নদীর স্রোতের মতাে বয়ে চলে” -এই বাক্যটি কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল?

উত্তরঃ গ্রীষ্মের ছুটি ঘােষণার দিনটিতে মিলি আর তিতলি মিলে বকুল ফুলের মালা গাঁথছিল। সেই সময় তিতলি কথা বলে সময় । করতে বারণ করে। কারণ আটটা বেজে গেল, স্নান করে ভাত খেয়ে স্কুলে যাবার সময় হয়ে গেছে।

৩। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করাে।

এখন থেকে ঠিকমতাে চিকিৎসা করালে ভবিষ্যতে ও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।

উত্তরঃ বিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি ঘােষণার দিন মিলি নাচতে নাচতে হঠাৎ পড়ে যায়। প্রধান শিক্ষয়িত্রী সহ অনেকে ছুটে এল। শ্যামল স্যার একজন ডাক্তারকে ডেকে আনল। সেখানে উপস্থিত মিলির মা জানালাে ডাক্তার ডাকতে হবে না এমনি ঠিক হয়ে যাবে। এর আগেও মিলি স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখন মনে করা হয়েছিল গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু মিলির মা জানালাে এই অসুখ মিলির পাঁচ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়েছে। অনেক ঝাড়ফুক, তাবিজ কবচ করেছেন। মাদুলি বােয়া জল খাইয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই মিলি সুস্থ হচ্ছে না। তিনি ডাক্তারের কাছেও যাননি। কারণ তাহলে সবাই মিলির অসুখের কথা জেনে যাবে। প্রধান শিক্ষয়িত্রী বললেন যে মিলির যদি কোনাে অসুখ হয় সেটা মিলির। কোনাে অপরাধ নয়। ডাক্তারবাবুর দেওয়া ওষুধই মিলিকে খাওয়াতে হবে।

ডাক্তারবাবু এসে মিলিকে পরীক্ষা করার পর জানালেন আধ ঘণ্টার মধ্যেই মিলি সুস্থ হয়ে উঠবে। তিনি বললেন মিলি বােধহয় স্নায়ুর অসুখে আক্রান্ত। তবে ভয়ের কোনাে কারণ নেই। অবশ্যই সুস্থ হয়ে উঠবে। ডাক্তারবাবু পরামর্শ দিলেন স্নায়ুরােগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুখার্জির সাথে একবার কথা বলতে। এখন থেকে ঠিকমতাে চিকিৎসা করালে ভবিষ্যতে মিলি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে।

৪। মিলি বিদ্যালয়ে অসুস্থ হলে মিলির মা প্রধান শিক্ষায়িত্রীকে ডাক্তার ডাকতে কেন বাধা দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মিলি বিদ্যালয়ে অসুস্থ হলে মিলির মা প্রধান শিক্ষয়িত্রীকে ডাক্তার ডাকতে কেন বাধা দিয়েছিলেন কারণ তাহলে তার মেয়ের অসুখের কথা সবাই জেনে যাবে। এই ভয়ে মিলির মা ভীত ছিল।

৫। “মিলি অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলির মা মাদুলি ধােয়া জল খাওয়াতেন আর জুতাে শোঁকাতেন” -এই কথা শুনে ডাক্তারবাবু-কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ মিলির মার কথা শুনে ডাক্তারবাবু অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন যে বিজ্ঞানের এই অগ্রগতির যুগেও তিনি তাবিজ মাদুলির উপর বিশ্বাস রেখেছেন। এতদিন অভিভাবকদের ভুলে মিলি অনেক কষ্ট পেয়েছে। আর দেরী না করে এবার থেকে ভালােভাবে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

৬। দলগতভাবে আলােচনা করে লেখাে।

উপযুক্ত সময়ে রােগের চিকিৎসা না করালে তার পরিণাম কী হতে পারে?

উত্তরঃ নিজে করাে।

খ – ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

(ক) বাক্য রচনা করাে ?

কার্যক্রম ________________________

অনুষ্ঠান ________________________

সতীর্থ ________________________

আবৃত্তি ________________________ 

মাদুলি ________________________

উত্তরঃ কার্যক্রম- ভােরবেলায় রেডিওর কার্যক্রম শুরু হয়

অনুষ্ঠান- গ্রীষ্মের ছুটির দিনের অনুষ্ঠান শুরু হল

সতীর্থ- সতীর্থরা সবাই উপস্থিত ছিল

আবৃত্তি- তিতলি ‘প্রাণ’ কবিতাটি আবৃত্তি করলাে

মাদুলি- মাদুলি কবচে বিশ্বাস করতে নেই

(খ) বিপরীত শব্দ লেখো।

বৈজ্ঞানিক _____________

পড়া _____________

সুস্থ _____________

গ্রাম _____________

স্বাবাবিক _____________

দূরে _____________

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক – অবৈজ্ঞানিক। 

পড়া – লেখা

সুস্থ – অসুস্থ

গ্রাম – শহর

স্বাভাবিক – অস্বাভাবিক

দূরে – কাছে

৮। কয়েকটি শব্দের ভুল বানান দেওয়া হল। বাবানুগুলাে শুদ্ধ করাে এবং কী নিয়মে শুদ্ধ করলে তা লেখাে।

বিনষ্ট, ওঠ, তৃষা, বন্ধুবরেসু, কৃশি, সুচরিতা

উত্তরঃ বিনষ্ট – বিনষ্ট – ট ও ঠ -এর পূর্ববর্তী স ষ হয়।

ওঠ – ওষ্ঠ – ট ও ঠ -এর পূর্ববর্তী স ষ হয়।

তৃষা – তৃষা – ঋ-কারের পর সর্বত্রই ষ থাকবে।

বন্ধুবরেসু – বন্ধুবরেষু – অ-কার বা আ-কার ভিন্ন স্বরবর্ণ ও ক্, র-এর পূর্বে থাকলে পরবর্তী স-এর পরিবর্তে ষ হয়।

কৃশি – কৃষি – ঋ কারের পর সর্বত্রই ষ থাকবে।

সুচরিতাষু – সুচরিতাসু – অ-কার বা আ-কার ভিন্ন স্বরবর্ণ ও ক্, র এর পূর্বে থাকলে পরবর্তী স এর পরিবর্তে ষ হয়।

গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ

৯। নাটকের প্রথম দৃশ্যে যে ছবি দেওয়া হয়েছে সেটি ভালাে করে দেখে তারপর ছবিটি বর্ণনা করাে।

উত্তরঃ উনাটকের প্রথম দৃশ্যে শস্যশ্যামল একটি গ্রামের ভােরের ছবি দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক মানুষেরা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছে। কয়েকটি শিশু ব্যায়াম করছে। গ্রামে প্রচুর গাছপালা আছে। তাতে কয়েকটি শিশু জল দিচ্ছে। ভােরবেলায় পাখিদের খেতে দেওয়া হচ্ছে। শিশুরা ফুল তুলছে। গ্রামের ছােট ছােট কুঁড়েঘর দেখা যাচ্ছে। দু’তিনটি কুকুর ছানাও দেখা যাচ্ছে।

১০। “ফুল বলে ধন্য আমি” -গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কােন নৃত্যনাট্য থেকে নেওয়া হয়েছে।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চণ্ডালিকা নৃত্যনাট্য থেকে নেওয়া হয়েছে।

১১। তােমাদের আশেপাশে কেউ যদি এরকম সমস্যার (সর্প  জণ্ডিস, বসন্ত) সম্মুখীন হয় তুমি তাদের কী ধরনের পরামর্শ দেবে আর কীভাবে সাহায্য করবে?

উত্তরঃ (ক) সাপে কামড়ালে প্রথমেই ক্ষত স্থানটির আশেপাশে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। যাতে বিষ রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

(খ) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রােগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।

(গ) ওঝা কিংবা গুণিনের পরামর্শ একেবারেই নয়। কোনাে মাদুলি কবচও নয়। এতে অযথা সময় নষ্ট করে রােগীর মৃত্যু হতে পারে।

(ঘ) যে সাপটি কামড়েছে সেটি চিনতে পারলে ভালাে হয়। চিকিৎসার সুবিধা হয়।

(ঙ) জণ্ডিস মূলত জলবাহিত রােগ। সেজন্য জণ্ডিসে আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

(চ) পরিশুদ্ধ পানীয় জল খেতে হবে।

(ছ) সময়মতাে ওষুধ খেতে হবে।

(জ) মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। সাধারণ খাবা খাওয়াই শরীরের পদে ভালাে হবে।

(ঝ) বসন্ত রােগও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রােগ। তাই বসন্ত রােগে 

আক্ৰান্ত হলে প্রথমেই যতটা সময় সম্ভব মশারির মধ্যে থাকতে হবে।

(ঞ) ঘরের মধ্যে জীবাণুমুক্ত আবহাওয়া বজায় রাখতে হবে।

(ট) অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

(ঠ) স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া বজায় রাখতে হবে।

(ড) পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরতে হবে।

(ঢ) তেলমুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে ভালাে হয়।

ঘ – প্রকল্প

১২। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার থেকে মুক্তি পেতে আমাদের কী করা উচিত সে বিষয়ে তােমার বক্তব্য ১৫টি বাক্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে লেখাে।

(ক) অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার হলাে অভিশাপের মতাে।

(খ) এর থেকে সমাজকে মুক্ত করতে না পারলে পরিণাম ভয়াবহ।

(গ) মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

(ঘ) প্রথমেই সমাজের সর্বস্তরে শিক্ষার আলাে ছড়িয়ে দিতে হবে।

(উ) শুধু গ্রামে নয় শহরেরও অনেক মানুষ কুসংস্কারে বিশ্বাসী।

(চ) ছাত্রছাত্রী তরুণ সমাজকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।

(ছ) ছােট ছােট হ্যাণ্ডবিল বিলি করা যেতে পারে।

(জ) ডাইনী প্রথা, ওঝা গুণিনের বাড়-বাড়ন্ত এখনাে আছে।

(ঝ) মানুষকে বােঝাতে হবে সাপে কামড়ালে বা মৃগী রােগ হলে ওঝা বা গুণিনের কাছে না গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

(ঞ) যেখানে এধরনের ঘটনা বেশী পরিমাণে ঘটছে সেখানে বিজ্ঞান সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চালাতে হবে।

(ট) মাইকে প্রচার বা দেওয়ালের গায়ে পােস্টারিং করা যেতে পারে।

(ঠ) শিক্ষামূলক সিনেমা দেখানাে যেতে পারে।

(ড) সেমিনার করা যেতে পারে।

(ঢ) স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

(ণ) সমাজকে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মুক্ত করার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে।

১৩। বিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন শিবিরে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন মৃত্য গান অভিনয় আবৃত্তি ইত্যাদির বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করাে।

উত্তরঃ ১৫ মে থেকে ২১ মে ২০১৯ পর্যন্ত রতনপুর হাইস্কুলে চিত্ৰাঙ্কন নৃত্য গান অভিনয় আবৃত্তির উপর গ্রীষ্মকালীন শিবির হয়ে গেল। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিপুল পরিমাণে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল। প্রতিটি বিভাগে দুজন করে শিক্ষক ছিলেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই শিবিরটি অনুষ্ঠিত হত। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করেছিলেন।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

ব্যাকরণ

১। কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়ােগ দেখাও।

শূন্য বিভক্তি – আমি ( আমি + ০) প্রত্যহ পড়ি।

কে বিভক্তি – কাকলিকে (কাকলি + কে) আজই মাসিমার বাড়ি যেতে হবে।

র বিভক্তি – সেদিনটা আমার (আমা + র) খুব মনে পড়ে।

এ বিভক্তি – পাগলে (পাগল + এ) কী না বলে।

তে বিভক্তি – বুলবুলিতে (বুলবুলি + তে) ধান খেয়েছে।

কতৃকারকে অনুসর্গের প্রয়ােগ-

দ্বারা অনুসর্গ – তার দ্বারা কাজটি হওয়া সম্ভব নয়।

কতৃক অনুসর্গ – “সেই সময়” সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কর্তৃক রচিত।

বিজ্ঞান ও আশীর্বাদ না অভিশাপ

মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশে বিজ্ঞানের দান অপরিসীম। অরণচারী মানবসমাজ সহজাত জ্ঞান ও বুদ্ধির সাহায্যে একদিন সভ্যতার আলোক আবিষ্কার করেছিল। ক্রমে সেই আলােক-স্পর্শে তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশ হয় সভ্যতার ধাপে ধাপে ; চলতে থাকে তাদের অভিযান। এই অভিযানের মূলে রয়েছে মানুষের বস্তুজাগতিক জ্ঞান আমরা যাকে অভিহিত করেছি ‘বিজ্ঞান’ নামে।

বিজ্ঞানকে আমরা নানা শ্রেণিতে ভাগ করতে পারি। যেমন- রসায়নবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা, শারীরবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান জ্যোতির্বিদ্যা, ভূ-তত্ত্ব, নদী ও সমুদ্রবিজ্ঞান প্রভৃতি। বিজ্ঞানের এক-একটি বিভাগ আবার বিশেষ বিশেষ অনুশীলনের প্রয়ােজনে নিত্য-নতুন শাখায় ক্রমশই বিভক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে, মানুষের জ্ঞানের সীমা যাচ্ছে বেড়ে অনাবিষ্কৃত বহু তথ্যই আজ তার অধিগত। মানুষের কাছে আজ আর বিদ্যুত্তরঙ্গের কোনাে রহস্যই বিস্ময়কর নয়, বহুবিধ দুরারােগ্য ব্যাধিকে সে আজ চিকিৎসাবিজ্ঞানের দ্বারা দূর করতে সমর্থ। বিজ্ঞানের সাহায্যেই মানুষ আজ সৌরজগতের ও গ্রহনক্ষত্রের বিস্তৃত খবর রাখে, গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি জমাবার উদ্যোগ করে।

মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশে বিজ্ঞানের দান যে অপরিসীম, আমরা তার প্ৰমান পাই বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার থেকে। বাষ্পশক্তির আবিষ্কারে যেমন তৈরি হলাে রেলগাড়ি, চললাে স্টিমার এবং বহুরকমের কলকারখানা, তেমনি বিদ্যুৎশক্তির আবিষ্কারে মানুষের হলাে অনেক সুবিধা। বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে, বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে, বৈদ্যুতিক ট্রেনে চড়ে, টেলিগ্রাফ ও টেলিফোনের মাধ্যমে আমরা যে আজ সুখ-সুবিধা ভােগ করছি, তা বলে শেষ করা যায় না। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলেই আমরা পেয়েছি গ্রামােফোন, রেডিও, সিনেমা ও টেলিভিশন। তারে ও বেতারে আজ আর দূরত্ব বলে কোনো কিছু নেই ; ঘরে বসে কম সময়ে সংবাদ আহরণ ও অবসর-বিনােদনের সহজ উপায়ও এনে দিয়েছে বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী-শক্তি। বিমানের সাহায্যে মানুষ আজ অতি অল্প সময়ে পৃথিবীর দূরতম প্রান্তে গিয়ে হাজির হচ্ছে। এক্স-রশ্মির সাহায্যে আজ শরীরের অভ্যন্তরীণ বস্তুগুলিও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষের চোখে। ফলে চিকিৎসার হয়েছে অনেক সুবিধা। বিজ্ঞানচর্চার ফলেই কতরকমের যন্ত্রপাতি তৈরি হয়েছে ও হচ্ছে, গাণিতিক জটিলতাও দূরে সরে গিয়েছে বা যাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের বহুবিধ সুখ-সুবিধার উপকরণগুলি আজ যে আমরা করায়ত্ত করতে সমর্থ হয়েছি, সে তাে বিজ্ঞানেরই দান।

বর্তমান জগতে সকল সভ্য জাতি বিজ্ঞানকে এক বিশেষ আশীর্বাদ বলে মেনে নিয়েই বিজ্ঞানের অনুশীলনে তৎপর। চিকিৎসাবিজ্ঞান আজ উন্নতির এমন এক উচ্চতায় এসে পৌঁছেছে যে, যে ব্যাধি একদিন নিশ্চিত মৃত্যুর নামান্তর বলে পরিগণিত হতাে আজ সে ব্যাধি মানুষের কাছে আর বিভীষিকা বলে মনে হয় না। বাষ্পশক্তি ও বিদ্যুৎশক্তিকে মানুষ আজ বহুবিধ কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার মানকে করেছে উন্নত, দ্রুতগামী বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে সময়কে করেছে সংক্ষিপ্ত, সেই সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে মানবজাতির কল্যাণসাধনে তথা মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার আজ নিয়ােজিত।

তবে যখন চোখের সামনে যুদ্ধের বিভীষিকা ভেসে ওঠে, আণবিক বােমার ধবংসলীলা প্রত্যক্ষ হয়, মন তখন স্বভাবতই বিজ্ঞানের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে এবং প্রশ্ন জাগে- ‘বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ?’ যুদ্ধের প্রয়োজনে এ-যাবৎ যে-সকল মারণাস্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলির কার্যকারিতার কথা চিন্তা করলে বিজ্ঞানকে অভিশাপ বলেই মনে হয়। কিন্তু, একটু চিন্তা করে দেখলেই বােঝা যাবে যে, দোষটা ঠিক বিজ্ঞানের নয়, দোষটা বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে বিধবংসমূলক কাজে লাগানাের চেষ্টাতে। ধবংসশক্তিসম্পন্ন ডিনামাইট দিয়ে পাহাড়ের বুকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে রেলপথ বসিয়ে যখন মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম হয়, তখন কি কেউ ডিনামাইটকে অভিশাপ বলে গণ্য করে? রসায়নবিজ্ঞানের সাহায্যে কতরকম বিষই না আবিষ্কৃত হয়েছে। সেই বিষ প্রয়ােগে হত্যা করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু সেই বিষ যখন বিভিন্ন ওষুধে প্রযুক্ত হয়ে মানুষের উপকার করে, তখন কি রসায়নবিজ্ঞানের ভালাে দিকটা আমরা উপলব্ধি করি না? আণবিক অস্ত্রের প্রয়ােগ বিভীষিকার সৃষ্টি করলেও, আণবিক-শক্তির আবিষ্কারে মানুষ যে আজ কতাে দৈববলে বলীয়ান হয়ে উঠছে, তা অনস্বীকার্য। আণবিক শক্তিকে আজ মানবকল্যাণের জন্য এমনভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যার ফলে বাষ্পীয় ও বৈদ্যুতিক যুগ অতিক্রম করে না অভিনব এক সুখস্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ যুগে পদার্পণ করা সম্ভব। কাজেই বিজ্ঞানের কোনাে আবিষ্কারই অভিশাপ নয়, অভিশাপ হলাে সেই আবিষ্কারকে  বিধবংসমূলক বা মানবতাবিরােধী কাজে লাগানাের অপচেষ্টা।

মানবসভ্যতাকে যদি এই পাপবুদ্ধির কবল থেকে মুক্ত করতে হয়, তা হলে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন, তা হলাে- সত্যের পথে চলা। লাভ বা লােভের জন্যই যেন আমরা প্রকৃত সত্যের পথ পরিত্যাগ করি। মানবসভ্যতাকে যদি আজ ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হয়, তা হলে সকল রাষ্ট্রশক্তির উচিত সংঘবদ্ধ ভাবে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করা। তবেই মানুষ বিজ্ঞানের ক্রমােন্নতির সাহায্যে জীবনে প্রকৃত সুখভােগের আনন্দ লাভ করতে সক্ষম হবে।

বাগধারা-

১। অহিনকুল-সম্বন্ধ (চিরশত্রতা)- তােমাদের মধ্যে তাে দেখছি অহিনকুল সম্বন্ধ ; কেউ কাউকে সহ্য করতে পারাে না, কখনও কি একবার। দুজনের মিল হয় না?

২। আকাশ থেকে পড়া (অজ্ঞতার ভান করে চমকে ওঠা)- আজ যে তােমার ধার নেওয়া টাকাটা শােধ করবার কথা ছিল সেটা মনে করিয়ে দিতেই আকাশ থেকে পড়লে যে!

৩। আঠার মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রতা)- অরুণের মতাে যার আঠারাে মাসে বছর, তাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার দেওয়া কি ঠিক হলাে ?

৪। আক্কেল সেলামি (নির্বুদ্ধিতার খেসারত)- সত্যি ভাই তােমার পরামর্শ শুনলে আমার আর আক্কেল সেলামি দিতে হতাে না, এদিকে টাকাটাও গেল, ঠিক সময়ে জিনিসগুলােও পেলাম না।

৫। আঁতে ঘা (প্রাণে আঘাত)- সােজা কথা সােজা ভাবে বলতে পারাে না- সব সময় আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলার অভ্যাসটা কি ছাড়বে না?

৬। উত্তম-মধ্যম (বেদম প্রহার)- বাসের মধ্যে পকেটমার ধরা পড়তেই সকলে তাকে এমন উত্তম-মধ্যম দিলে যে, মারের চোটে বেচারি অজ্ঞান হয়ে পড়ল।

৭। ওজন বুঝে চলা (অবস্থানুযায়ী আচরণ)- এখন থেকেই নিজের ওজন বুঝে চলতে শেখ, যতােটুকু সামর্থ; ততােটুকু করাে, নইলে পরে অনুতাপ করবে।

৮। কড়ায়-গণ্ডায় (পুরােপুরি)- এই নাও বাপু, তােমার কাছে যে টাকা ধার নিয়েছিলাম কড়ায়-গণ্ডায় আজ তা শােধ করে দিয়ে গেলাম- একটুও বাকি রাখলাম না।

৯। কেঁচেগড়ুষ (গােড়া থেকে শুরু)- ব্যাকরণ তাে দেখছি সবা ভুলে গেছ, এখন কেঁচেগড়ুষ করতে হবে নাও, প্রথম থেকে শুরু করো।

১০। গদাইলস্করি চাল (দীর্ঘসূত্রতা)- অমন গদাইলস্করি চালে দুলতে দুলতে কাজকর্ম করলে কি আর সময়মতাে কাজ শেষ কতে পারবে?

১১। ঘােড়ার ডিম (অবাস্তব বস্তু)- বলছ বটে খুব পরিশ্রম করে জিনিসটা তৈরি করেছ, কিন্তু বস্তুটা তাে হয়েছে একটি ঘােড়ার ডিম কিছুই হয়নি।

১২। চোখে চোখে রাখা (নজরে রাখা)- নতুন লােকটিকে চোখে চোখে রাখবে, ওর হাতটান আছে- যে-কোনাে মুহূর্তে যে-কোনাে জিনিস সরাতে পারে।

১৩। চাঁদের হাট (বহু গুণীর সমাবেশ)- শচীনদেব বর্মনের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে যেন চাঁদের হাট বসে গিয়েছিল সমবেত হয়েছিলেন সমগ্র ভারত থেকে আসা বিভিন্ন সংগীতজ্ঞরা।

১৪। জগাখিচুড়ি (বিশৃঙ্খলা বা জটপাকানাে)- কাগজপত্র সব এমন জগাখিচুড়ি করে রাখলে, দরকারের সময় আসল কাগজ আর পাবে কেমন করে?

১৫৷ জলের আলপনা (ক্ষণস্থায়ী)- বড়ােলােকের সঙ্গে দরিদ্রের ভাব-ভালােবাসা জলের আলপনার মতাে মিলিয়ে যায় মুহূর্তে, অতএব সাবধান।

১৬। চোখে সর্ষে ফুল দেখা (আসন্ন বিপদ)- সারা বছর পড়ায় ফাঁকি দিয়ে পরীক্ষার সময় মহিম চোখে এখন সর্ষে ফুল দেখছে, কোন পড়বে আর কোনটা বাদ দেবে, ঠিক করতে পারছে না।

১৭। চক্ষুশূল (অপ্রিয়ভাজন)- নববধূটি শাশুড়ির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে- তিনি তার মধ্যে ভালাে কিছুই দেখতে পান না, কেবলই করে বকা-ঝকা।

১৮। টনক নড়া (চৈতন্যোদয়)- নায়েব-গােমস্তারা তলে তলে জমিদারি লাটে ওঠাবার চেষ্টা করছে, অথচ সেদিকে জমিদারবাবুর এখনও টনক নড়েনি- ওদের ওপর তার অটল বিশ্বাস।

১৯। ঠোটকাটা (অপ্রিয় সত্যভাষী)- তুমি যেমন ঠোটকাটা, তাতে ভয় হয় সভায় গিয়ে সত্যি কথা বলে একটা হইচই না বাধিয়ে বসাে।

২০। ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য বা বিরল)- বড়ােসড়াে একটা চাকরি পেয়ে সুদীপ্ত এখন ডুমুরের ফুল হয়ে উঠেছে, আজকাল তার দেখা পাওয়া ভার।

২১। ঢাকের বাঁয়া (অকেজো)- কানাইয়ের কথা আর বলাে না, ও তাে একটা ঢাকের বাঁয়া, যা করবার সবই তাে বলাই করছে, ও শুধু ওর পেছনে ঘুরঘুর করছে।

২২। তাসের ঘর (ক্ষণভঙ্গুর)- প্রচণ্ড ভূমিকম্পে কাশ্মীরের ঘরবাড়ি তাসের ঘরের মতাে ভেঙে পড়েছিল।

২৩। তীর্থের কাক (বিশেষ প্রত্যাশী বা সাগ্রহে প্রতীক্ষাকারী)- বিয়েবাড়িতে ভিয়েন বসেছে, ছেলেমেয়েরা তাে সেখানেই বসে আছে তীর্থের কাকের মতাে।

২৪। দু’মুখাে সাপ (বিপরীতধর্মী খলস্বভাব)- অমলবাবু আমার কাছে আমার বন্ধুদের নিন্দা করেন, আবার তাদের কাছে করেন আমার নিন্দা- এমন লােককে দু’মুখাে সাপ না বলে আর কী বলব?

২৫। দু নৌকোয় পা (দুই কাজ বা মতের মধ্যে অচল অবস্থা)- হয় বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাও, নয়তাে ভারতে চলে এসাে চিরদিনের মতাে, -আর কতদিন এমন করে দু’নৌকোয় পা দিয়ে থাকবে?

২৬। নয়নের মণি (অতি প্রিয়)- উঠতে বসতে গােপাল ছাড়া কথা নেই হেডমাস্টার মশায়ের, -সে তার নয়নের মণি হয়ে উঠেছে।

২৭। বালির বাঁধ (অস্থায়ী সম্বন্ধ)- ‘বড়র পীরিতি, বালির বাঁধ।’ – চণ্ডীদাস।

২৮। বুকের পাটা (প্রচণ্ড সাহস)- আচ্ছা বুকের পাটা, অফিসারকে দু’কথা শুনিয়ে দিল ছেলেটি -চাকরির ভয় করলাে না!

২৯। মাটির মানুষ (শান্ত প্রকৃতির)- মন্টুবাবু মাটির মানুষ, তিনি রাগ কাকে বলে জানেন না।

৩০। মিছরির ছুরি (মধুরতার সঙ্গে জ্বালা)- মধুবাবুর মিষ্টি মিষ্টি কথাগুলি বিশেষ কটাক্ষপূর্ণ -শুনতে বেশ, অথচ অন্তরে গিয়ে বেঁধে, ঠিক যেন মিছরির ছুরি।

৩১। রাঘববােয়াল (আগ্রাসী ব্যক্তি)- রাঘববােয়ালের মতাে হিটলার একসময় একের পর এক রাজ্য গ্রাস করার চেষ্টা করেছিলেন।

৩২। মুখের কথা (কথার কথা)- হরিশের প্রতিশ্রুতিটা আসলে মুখের কথা কারণ বিপদের মুহূর্তে একবারও সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি।

৩৩। হযবরল (বিশৃঙ্খলা অবস্থা)- খাতাপত্র যেভাবে হ-য-ব-র-ল করে রেখেছ, তাতে আসল কাগজ উদ্ধার করি কেমন করে বলাে তো?

সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ-

সংস্কৃত উপসর্গগুলি ধাতুর পূর্বে বসে কোন্ কোন্ অর্থ সৃষ্টি করে, তা লক্ষ করা যাক-

প্র – উৎকর্ষে- প্রকৃষ্ট, প্রকর্ষ, প্রকাণ্ড, প্রখর, প্রখ্যাত, প্রগতি, প্রচেষ্টা, প্রজ্জ্বলিত, প্রতাপ।

আধিক্যে- প্রকট, প্রকোপ, প্রখর, প্রগাঢ়, প্রগলভ, প্রচলিত, প্রচণ্ড, প্রবল, প্রদাহ।

দক্ষতা- প্রধান, প্রবণতা।

আরম্ভে- প্রজা, প্রজনন, প্রদোষ, প্রবেশিকা, প্রভাব, প্রস্তাব।

বৈপরীত্যে- প্রবাসী, প্রােষিতভর্তৃকা, প্রসাধন, প্রস্থান।

অন্যান্য অর্থে- প্রচ্ছদ, প্রবঞ্চ না, প্রতারণা, প্রণয়, প্রণীত, প্রবাহ, প্রভেদ, প্রপাত।

পরা- বৈপরীত্যে- পরাজয়, পরাভব, পরাক্ত, পরাবৃত্ত, পরাহত, পরাধীন।

আধিক্যে- পরাক্রম, পরাকাষ্ঠা।

সম্যক- পরামর্শ, পরায়ণ।

অন্যান্য অর্থে- পরাগ।

অপ- বৈপরীত্যুে- অপকার, অপকর্য, অপচয়, অপচার, অপমান, অপযশ, অপলাপ।

হীনতায় বা কদর্থে- অপকর্ম, অপঘাত, অপদেবতা, অপবাদ, অপব্যয়, অপপ্রয়ােগ।

স্থানান্তরিত অর্থে- অপগত, অপনয়ন, অপনীতি, অপসারণ, অপসৃত।

সম্ – সম্যক রূপ- সংস্থান, সম্ভব, সংগ্রহ, সংহার, সমাপ্তি, সম্প্রচার, সম্মান, সংক্ষেপ।

অভিমুখ্যে- সম্মুখ, সমক্ষে।

একত্রতার্থে- সম্বার, সম্মিলন, সংবাদ সম্পর্ক, সম্বন্ধ, সংকলন, সন্দর্ভ, সমবেত।

অন্যান্য অর্থে- সংকট, সংকীর্ণ, সন্তাপ, সঞ্চালন, সম্পত্তি, সংলাপ, সম্ভোগ।

নি – আতিশয্যে- নিদান, নিহত, নিপাত, নিশ্চয়, নিশ্চল।

সম্যক অর্থে- নিযুক্ত, নিখুঁত, নিবিষ্ট, নিকট, নিষ্ঠা, নিদর্শন, নিক্ষেপ, নিয়ােগ।

বিরতি অর্থে- নিবৃত্তি, নিষেধ, নিরামা, নিবার, নিবারণ, নিরাকরণ, নীরােগ।

নিন্দার্থে- নিকৃষ্ট, নিগ্রহ।

ভিতরে অর্থে- নিমগ্ন, নিহিত, নিবাস, নিমজ্জন।

অন্যান্য অর্থে- নিগম, নির্মাণ।

অব – নিন্দা-বাচক- অবনত, অবলােপ, অবহেলা, অবজ্ঞা, অবচ্ছেদ, অবমাননা, অবক্ষয়।

নিশ্চায়ার্থে- অবগতি, অবগত, অবদান, অবধারণ।

নিম্নতার্থে- অবগাহন, অবরােহণ, অবতরণ, অবরােধ।

দূরার্থে- অবকাশ, অবসর, অবচ্ছেদ।

অল্পার্থে- অবগুণ্ঠন, অবলােকন, অবলুপ্ত।

অন্যান্য অর্থে- অবস্থা, অবতার, অবদান, অবচেতন, অবলীলা।

অন – পশ্চাৎ- অনুগত, অনুপাত, অনুরাগ, অনুসরণ, অনুজ, অনুতাপ, অনুশােচনা।

সাদৃশ্যার্থে- অনুকরণ, অনুরূপ, অনুবাদ, অনুমান, অনুলিপি।

হীনতার্থে- অনুকল্প, অনুকম্পা, অনুশিষ্য।

সাকল্য অর্থে- অন্বেষণ, অনুসন্ধান, অনুমােদন।

মধ্যে অর্থে- অনুপ্রবেশ, অনুবিদ্ধ।

বীপ্সায়- অনুদিন, অনুধ্যান, অনুক্ষণ।

নি – অভাব- নির্দয়, নির্ধন, নির্মম, নির্লোভ, নিরাশ্রয়, নীরব, নিভকি, নির্বাক, নিরামিষ।

বহিষ্কার- নির্গমন, নিঃসরণ, নিৰ্গম, নির্মোক।

নিশ্চয়- নিঃশাস, নিঃসরণ, নির্ধারণ, নিরুক্তি, নির্ণয়, নিরতিশয়, নিরসন, নির্যাস।

সম্যক অর্থে- নিরীক্ষক, নির্দেশ।

দূর (:) – মন্দাৰ্থে-  দুর্গম, দুষ্কাৰ্য, দুর্মুখ, দুর্গত, দুঃস্বপ্ন, দুষ্পচ্য, দুর্জন, দুরদৃষ্ট, দুর্ঘটনা।

অভাবার্থে- দুর্বল, দুর্লভ, দুর্ভিক্ষ।

দুঃখার্থে- দুষ্কর, দুর্গম, দুর্জয়, দুস্তর, দুঃসাধ্য, দুশ্চর, দুঃশাসন।

আধিক্য অর্থে- দুর্মূল্য।

বি – বিশেষ অর্থে- বিকার, বিকাশ, বিখ্যাত, বিচূর্ণ, বিজয়, বিজ্ঞান, বিবর্তন, বিনীত।

বিরুদ্ধতা- বিক্রম, বিরাগ, বিয়ােগ, বিস্মৃত, বিক্রয়, বিরুদ্ধ, বিসর্জন, বিষম, বিতৃষ্ণা।

অভাব অর্থে- বিফল, বিধবা, বিনিদ্র।

অন্যান্য অর্থে- বিপ্লব, বিদ্রোহ, বিক্ষোভ, বিবিধ, বিবাহ, বিবর্ণ।

অধি – আধিপত্যের- অধিকার, অধিপতি, অধীশ্বর, অধিনায়ক।

উপরে অর্থে- অধিত্যকা, অধিরােহণ।

মধ্যে অর্থে- অধিবাসী, অধিগত।

আধিক্যে- অধ্যয়ন, অধ্যাত্ম, অধ্যবসায়।

অন্যান্য অর্থে- অধিষ্ঠান।

স – উত্তম উৎকর্ষ অর্থে- সুদৃশ্য, সুজন, সুনীতি, সুকুমার, সুশীল, সুদর্শন, সুচারু, সুকণ্ঠ।

আধিক্যে- সুতী, সুকোমল, সুচিন্তিত, সুদূর, সুনিপুণ, সুনির্মল, সুস্পষ্ট, সুদক্ষ।

সহজ- সুলভ, সুকর, সুগম, সুসাধ্য।

উৎ- আতিশয্যে- উচ্ছল, উদবেল, উৎপীড়ন, উদ্গ্রীব, উন্মুখ, উৎফুল্ল, উত্তপ্ত, উন্মুক্ত।

বাহিরে অর্থে- উদ্ভিদ, উদবাস্তু, উৎখাত, উৎসারণ, উদ্ধার, উত্তরণ, উৎপত্তি।

উর্ধ্ব অর্থে- উত্থান, উত্তোলন, উত্তীর্ণ, উত্থাপন, উৎক্ষিপ্ত, উদবাহু, উৎপাটন।

নিন্দা অর্থে- উৎকোচ, উজ্জ্বল।

অন্যান্য অর্থে- উৎসর্গ, উৎকর্ণ, উদাহরণ, উৎকীর্ণ, উত্তর।

পরি – বিরােধ- পরিবাদ, পরিপন্থী, পরিত্যাগ, পরিহার।

পূর্ণার্থে- পরিস্ফুট, পরিপূর্ণ, পরিপক্ক, পরিতৃপ্ত, পরিচ্ছন্ন, পরিণত, পরিপুষ্ট।

সম্যক অর্থে- পরিচয়, পরিণয়, পরিষ্কার, পরিশ্রম, পরিদর্শন, পরিচালক।

চতুর্দিকে- পরিক্রমা, পরিভ্রমণ, পরিবৃত্ত, পরিক্ষিপ্ত।

অন্যান্য অর্থে- পরিতাপ, পরিচ্ছদ, পরিসর, পরিচয়, পরিচ্ছেদ, পরিস্থিতি।

প্রতি – বিপরীত অর্থে- প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিহিংসা, প্রতিবাদ, প্রতিকার প্রত্যুত্তর, প্রতিকূল।

সাদৃশ্যার্থে- প্রতিমূর্তি, প্রতিবিম্ব, প্রতিনিধি, প্রতিধবনি, প্রতিকৃতি, প্রতিশব্দ।

সামীপ্যে- প্রতিবেশী, প্রতিবাসী, প্রতিহারী।

উৎকর্ষে- প্রতিজ্ঞা, প্রীতি, প্রত্যাশা, প্রতিষ্ঠা, প্রতিপালন, প্রতিপত্তি।

বীপ্সায়- প্রত্যহ, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

অভি – বিবােধ অর্থে- অভিযােগ, অভিযান, অভিশাপ।

সম্যক অর্থে- অভিজ্ঞ, অভিজ্ঞান, অভিজাত, অভিনন্দন, অভিনয়, অভিব্যাপ্ত।

আভিমুখ্য- অভিমুখ, অভিঘাত, অভিযান, অভিসার।

অন্যান্য অর্থে- অভিমান, অভিধান, অভিরাম, অভিজ্ঞান, অভিভাষণ।

অতি – আতিশয্যে- অতিরঞ্জিত, অত্যাচার, অতিভক্তি, অত্যাশ্চর্য অতীব, অত্যধিক।

অতিক্রম- অতিপ্রাকৃত, অতিমানব, অতিবাহন, অতিক্রমণ।

বৃহৎ- অতিকায়, অবিল ।

অপি – : এই উপসর্গ যােগে গঠিত বাংলা শব্দ দুর্লভ। কয়েকটি শব্দ- অপিনিহিতি, অপিচ।

উপ- : সাদৃশ্যে- উপকথা, উপমন্ত্রী, উপপতি, উপবন, উপদ্বীপ, উপদেবতা, উপযাচক।

ক্ষুদ্রার্থে- উপত্যকা, উপনদী, উপগ্রহ, উপনগরী, উপসাগর, উপমহাদেশ।

সামীপ্যে- উপস্থিত, উপকণ্ঠ, উপনীত।

সম্যক অর্থে- উপন্যাস, উপশম, উপক্রম, উপবেশন, উপনয়ন, উপভােগ।

আ – পর্যন্ত- আমরণ, আজন্ম, আজীবন, আকণ্ঠ, আবাল্য, আশৈশব, আকর্ষ, অব্রাহ্মণ।

বিশেষ রূপে- আশ্লেষ, আবেশ, আসক্ত, আনয়ন, আবেগ, আচ্ছন্ন।

সম্যক অর্থে- আকুল, আহরণ, আচরণ, আকাঙ্ক্ষা, আক্রান্ত, আগত, আদেশ।

ঈষদর্থে- আতপ্ত, আনত, আরম্ভ, আভাস, আকুঞ্চিত।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top