SEBA Class 7 Bengali Chapter 8 মিসাইল মানব Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 8 মিসাইল মানব Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 8 মিসাইল মানব Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 8 মিসাইল মানব Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 7 Bengali Chapter 8 মিসাইল মানব
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 8 মিসাইল মানব Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 8 মিসাইল মানব I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 8 মিসাইল মানব Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 8 মিসাইল মানব Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
মিসাইল মানব
ক্রিয়াকলাপ
ক – পাঠভিত্তিক
১। (ক) মিসাইল মানব কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালামকে মিসাইল মানব বলা হয়।
(খ) ভারতের ভূমি থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটির নাম কী?
উত্তরঃ ভারতের ভূমি থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটির নাম রােহিণী।
(গ) আব্দুল কালাম শেষ নিঃশ্বাস কোথায় ত্যাগ করেছিলেন?
উত্তরঃ ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই শিলং-এ ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এ ভাষণরত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
(ঘ) আব্দুল কালামের মতে শিশুদের জন্য আদর্শ নায়ক কারা ?
উত্তরঃ আব্দুল কালামের মতে শিশুর ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত পিতা-মাতা, প্রাথমিক এবং হাইস্কুলের শিক্ষকরাই হলেন শিশুদের আদর্শ নায়ক।
২। উত্তর লেখাে।
(ক) “স্বপ্ন দেখাে, স্বপ্ন দেখাে, স্বপ্নই চিন্তাতে পরিবর্তিত হবে এবং চিন্তার ফলশ্রুতিই হল কাজ” -এই কথাগুলাে কে কাকে বলেছিলেন?
উত্তরঃ এই কথা আব্দুল কালাম সমস্ত শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন।
S.L. No. | সূচি পত্র |
পাঠ -১ | গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র |
পাঠ -২ | জাতকের গল্প |
পাঠ -৩ | পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া |
পাঠ -৪ | মাতৃপূজা |
পাঠ -৫ | বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা |
পাঠ -৬ | আশার আলো |
পাঠ -৭ | পড়ার হিসাব |
পাঠ -৮ | মিসাইল মানব |
পাঠ -৯ | অসম |
পাঠ -১০ | প্ৰত্যাহ্বান |
পাঠ -১১ | ভালো থেকো |
পাঠ -১২ | আমার ছেলেবেলা |
পাঠ -১৩ | প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ |
পাঠ -১৪ | হে ভারতের শ্ৰমজীবি |
পাঠ -১৫ | মালেগড় |
(খ) তিনি কোন কোন বিষয়ের অনুরাগী ছিলেন?
উত্তরঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা ছাড়াও সংগীত ও সাহিত্যের প্রতি তিনি অনুরাগী ছিলেন।
(গ) স্কুল জীবনে কোন রহস্য আব্দুল কালামকে প্রভাবান্বিত করেছিল?
উত্তরঃ স্কুল জীবন থেকেই আকাশের বিশালতা এবং উড়ন্ত পাখির ঝাঁকের রহস্য তাকে প্রভাবিত করেছিল। সেজন্যই কালাম তার সহপাঠীদের সঙ্গে প্রায়ই সাগরের উপকূলে যেতেন এবং সেখানে পানকৌড়ি, গাংচিল পাখিদের আকাশে ওড়ার প্রচেষ্টাকে গভীরভাবে নিরীক্ষণ করতেন।
(ঘ) তিন মনে প্রাণে ভারতকে কোন রূপে দেখতে চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ তিনি মনে প্রাণে সকল বিষয়ে ভারতকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী রাষ্ট্ররূপে দেখতে চেয়েছিলেন।
৩। শব্দের সাথে অর্থ মেলাও।
উৎক্ষেপণ | যাকে দমাতে বা বশ করতে পারা যায় না। |
প্রজ্বলিত | ভিতরকার। |
অভ্যন্তরীণ | জ্বলন্ত। |
বিচক্ষণ | পরের দিকে ছোঁড়া। |
অদম্য | অভিজ্ঞ। |
দিগন্ত | দূর থেকে ভালাে করে দেখা। |
ভূষণ | যেকোনাে দিকের প্রান্তসীমা। |
নিরীক্ষণ | অলংকার। |
উত্তরঃ
উৎক্ষেপণ | ওপরের দিকে ছোঁড়া |
প্রজ্বলিত | জ্বলন্ত। |
অভ্যন্তরীণ | ভিতরকার। |
বিচক্ষণ | অভিজ্ঞ। |
অদম্য | যাকে দমাতে বা বশ করতে পারা যায় না। |
দিগন্ত | যেকোনাে দিকের প্রান্তসীমা। |
ভূষণ | অলংকার। |
নিরীক্ষণ | দূর থেকে ভালাে করে দেখা। |
৪। পদগুলাের কারক নির্ণয় করাে।
(ক) বিজ্ঞানীরা মনিটরে নিরীক্ষণ করেন।
(খ) জ্যোতির্বিদরা দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে মহাকাশকে লক্ষ করেন।
(গ) তরুণ বিজ্ঞানী গবেষণা করেন।
(ঘ) শ্রীহরিকোটা থেকে রােহিণী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
(ঙ) আব্দুল কালামের নেতৃত্বে রােহিণী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপিত হয়েছিল।
(চ) মনীষীগণ দেশের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন।
উত্তরঃ (ক) বিজ্ঞানীরা মনিটরে নিরীক্ষণ করেন- অধিকরণ কারক।
(খ) জ্যোতির্বিদরা দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে মহাকাশকে লক্ষ করেন- করণ, কারক।
(গ) তরুণ বিজ্ঞানী গবেষণা করেন- কর্মকারক
(ঘ) শ্রীহরিকোটা থেকে রােহিণী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল- অপাদান কারক।
(ঙ) আব্দুল কালামের নেতৃত্বে রােহিণী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপিত হয়েছিল- সম্প্রদান কারক।
(চ) মনীষীগণ দেশের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন- সম্প্রদান কারক।
৫। নীচের শব্দগুলাের বিপরীত শব্দ লেখাে।
জাগ্রত __________
কৃত্রিম __________
সুপ্ত __________
সফলতা __________
হতাশ __________
অক্ষম __________
উত্তরঃ জাগ্রত- নিদ্রিত।
কৃত্রিম- অকৃত্রিম।
সুপ্ত- জাগ্রত।
সফলতা- বিফলতা।
হতাশ- আনন্দ।
অক্ষম- সক্ষম।
৬। বানান শুদ্ধ করাে।
কর্ন, মরন, পরায়ন, ভান্ড, দারুন।
উত্তরঃ কন- কর্ণ ঋ, র, ষ এই তিনটি বর্ণের পরবর্তী ন সবসময় ণ-এ পরিণত হয়।
মরন- মরণ ঋ, র, ষ এই তিনটি বএবর পরবর্তী ন সবসময় ণ- এ পরিণত হয়।
পরায়ন- পরায়ণ- পর, পার, উত্তর, চান্দ্র, নার শব্দের পরবর্তী ‘আয়ন’ শব্দের ন’ এর জায়গায় ‘ণ’ হয়।
ভান্ড- ভাণ্ড- ট বর্গ অর্থাৎ ট, ঠ, ড এই বর্ণ কটির আগের ‘ণ’ হয়।
দারুন- দারুণ- ঋ, র, ষ এই তিনটি বর্ণের পরবর্তী ন সবসময় ণ-এ পরিণত হয়।
৭। ণত্ব বিধির নিয়ম প্রয়ােগ করে নীচের শূন্যস্থানে ণ বা ন বসিয়ে পূর্ণ করাে।
র __________
ধ __________
তৃ __________
ব __________
শ্ৰব __________
কথ __________
পঠ __________
লিখ __________
রাব __________
বিভীষ __________
রামায় __________
কীর্ত __________
শাস __________
তোষ __________
আস __________
ভূষ __________
উত্তরঃ
র- রণ।
ধ- ধন।
তৃ- তৃণ।
শ্রব- শ্রবণ।
কথ- কথন।
পঠ – পঠন।
রাব- রাবণ।
বিভীষ- বিভীষণ।
রামায়- রামায়ণ।
শাস- শাসন।
তােষ- তােষন।
আস- আসন।
ব- বন।
লিখ- লিখন।
কীর্ত- কীর্তন।
ভূষ- ভূষণ।
৮। প্রাপ্ত নতুন শব্দের অর্থ অভিধান দেখে লেখাে।
উত্তরঃ প্রচেষ্টা- উদ্যোগ।
প্রক্ষেপণ- নিক্ষেপ- আতসবাজি উপরের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রজ্বলিত- জ্বলন্ত- মােমগুলি জ্বলন্ত অবস্থায় আছে।
উৎক্ষেপণ- উধের্ব নিক্ষেপ- কৃত্রিম উপগ্রহ রােহিণী ঊৰ্দ্ধে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
উৎপীড়ন- অত্যাচার- অবলা পশুদের উপর অত্যাচার করতে নেই।
উৎসাহ- আগ্রহ- আমার সব কাজে আগ্রহ আছে।
বিফল- অসফল- চেষ্টা কখনাে কখনাে অসফল হয়।
বিচিত্র- নানা- শরৎ ঋতু মানেই নানা ফুলের বাহার।
বিজয়- জয় পাওয়া- খেলায় আমরা জয়লাভ করেছি।
৯। বাক্য রচনা-
মনে-প্রাণে, শিক্ষাগুরু, অদম্য ইচ্ছা, সর্ববৃহৎ
উত্তরঃ মনে-প্রাণে- আমি মনে-প্রাণে ঈশ্বর বিশ্বাসী।
শিক্ষাগুরু- আমার শিক্ষাগুরু আমার পিতা।
অদম্য ইচ্ছা- পড়াশােনার শেখার অদম্য ইচ্ছা মেয়েটির আছে।
সর্ববৃহৎ- পরিশ্রম করাই হল জীবনের সর্ববৃহৎ বিষয়।
গ- জ্ঞান সম্প্রসারণ
১০। আব্দুল কালামের মতে বাবা-মা এবং শিক্ষকেরা হলেন শিশুদের আদর্শ নায়ক। তােমার আদর্শ নায়ক কে? তার বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখাে ?
উত্তরঃ নিজে করাে।
১১। নীচের ছবিগুলাে পর্যবেক্ষণ করে কোন ছবির কী কাজ তা বলে এবং লেখাে।
উত্তরঃ নিজে করাে।
ঘ – প্রকল্প
১২। তােমাদের ব্যবহৃত ঘড়ি, কলম, ফ্যান, রেডিয়াে, দূরদহন, রেলগাড়ি, উড়ােজাহাজ ইত্যাদি সামগ্রীর আবিষ্কারকদের তথ্য সংগ্রহ করে নীচের তালিকায় লেখাে।
সামগ্রীর নাম | আবিষ্কারকের নাম | আবিষ্কারের নাম |
উত্তরঃ নিজে করাে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ
(ক) আব্দুল কালামের পুরাে নাম কী?
উত্তরঃ আব্দুল কালামের পুরাে নাম আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম।
(খ) কারা রােহিণী উৎক্ষেপণ করেছিল?
উত্তরঃ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (SRO) রােহিণী উৎক্ষেপণ করেছিল।
(গ) রােহিণী কবে উৎক্ষেপণ হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯৮০ সালের ১৮ জুলাই ৮.৩০ মিনিটে রােহিনী উৎক্ষেপণ হয়েছিল।
(ঘ) তিনি কী ছিলেন?
উত্তরঃ তিনি এ্যারােনেটিক ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
(ঙ) এস.এল. ভি-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ এস.এল.ভি-র পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ১০ আগস্ট।
(চ) কালাম সাহেবের শিক্ষাগুরু কে ছিলেন?
উত্তরঃ কালাম সাহেবের শিক্ষাগুরু ছিলেন অধ্যাপক সতীশ ধাওয়ান।
(ছ) কোন বিষয়টি ভারতকে মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল?
উত্তরঃ আব্দুল কালামের নেতৃত্বে মাত্র দশ বছরে ভারত পাঁচটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মিসাইল প্রকল্প বাস্তবে রূপায়ণ করতে সক্ষম হয়। এটিই ভারতকে মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করে।
(জ) পাঁচটি প্রকল্প কী?
উত্তরঃ পাঁচটি প্রকল্প হল নাগ, পৃথ্বী, আকাশ, ত্রিশূল ও অগ্নি।
(ঝ) কর্মজীবনে অবসরের পর কালাম কী করেছিলেন?
উত্তরঃ কর্মজীবনে অবসরের পর কালাম ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতির আসন অলংকৃত করেছিলেন।
(ঞ) আব্দুল কালাম কীভাবে আনন্দ উপভােগ করতেন?
উত্তরঃ সকল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আব্দুল কালাম অতি আন্তরিকভাবে ভাব বিনিময় করে আনন্দ উপভােগ করতেন।
(ট) তিনি ছাত্রছাত্রীদের সাথে সংযােগ স্থাপন করেছিলেন কেন?
উত্তরঃ “শিশুর প্রজ্বলিত মনই দেশের বড়াে সম্পদ” এই চিন্তা ধারাতে তিনি দেশের প্রায় লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীর সাথে সংযােগ স্থাপন করেছিলেন।
(ঠ) রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর কী করেছিলেন?
উত্তরঃ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর কালাম সাহেব সমাজের বিভিন্ন হিতকর কাজে আত্মনিয়ােগ করেছিলেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মূল্যবান বক্তৃতা প্রদান করতেন।
টীকা লেখাে-
১। ইউরি গ্যাগারিন।
উত্তরঃ ইউরি আলেক্সেইভি গ্যাগারিন (৯ মার্চ ১৯৩৪ – ২৭ মার্চ ১৯৬৮) একজন সােভিয়েত বৈমানিক এবং নভােচারী। তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি মহাকাশ ভ্রমণ করেন । তিনি ভস্টক নভােযানে করে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেন।
গ্যাগারিন এর ফলে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি সােভিয়েত ইউনিয়নের নায়কে পরিণত হন এবং দেশে বিদেশে বহু পুরস্কার এবং পদক লাভ করেন। ভস্টক-১ তার একমাত্র মহাকাশ যাত্রা হলেও তিনি সুয়ােজ-১ মিশনের ব্যাকআপ হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। গ্যাগারিন পরবর্তীতে মস্কোর বাইরে অবস্থিত মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি ট্রেনিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গ্যাগারিন ১৯৬৮ সালে মিগ-১৫ প্রশিক্ষণ বিমান চালনার সময় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
২। ভালেন্তিনা তেরেশকোভা।
উত্তরঃ ভালেন্তিনা তেরেশকোভা অবসরপ্রাপ্ত সােভিয়েত নভােচরীরূপে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে তিনি মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করেন। ১৯৬৩ সালের ১৬ জুন উৎক্ষেপণকৃত ভক্তক খেয়াযানের ৭১ ঘন্টায় ৪৮ বার কক্ষপথ ঘূর্ণায়মান অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি এক কীর্তি গড়েন। নভােচারী দলে যােগদানের ফলে সােভিয়েত বিমানবাহিনীতে একমাত্র সম্মানসূচক ও প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ গমনের সুযােগ পান। ভক্তক-৬ এর দুদিন আগে উৎক্ষেপণকারী ভক্তক-৫ এর রুশ নভােচারী ভালেরি এফ.বাইকোভস্কিকে সাথে নিয়ে ১৯ জুন তারিখে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
তেরেশকোভা সােভিয়েত ইউনিয়নের বীর এবং দুবার অর্ডার অব লেনিন পুরস্কারে ভূষিত হন।
৩। রাকেশ শর্মা।
উত্তরঃ রাকেশ শর্মা (জন্ম ১৩ জানুয়ারী ১৯৪৯) একজন ইণ্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের পাইলট যিনি সারা বিশ্ব আকাশ ভ্রমণ করেছেন। ইন্টারকসমস কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে সােয়ুজ টি-১১ উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৮৪ খ্রিঃ ২ এপ্রিল। রাকেশ শর্মা হলেন একমাত্র ভারতীয় নাগরিক যিনি মহাকাশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি কাজাখ সােভিয়েত সােশ্যালিস্ট রিপাবলিকের বাইকোনুর কসমােড্রোম থেকে উৎক্ষিপ্ত সােভিয়েত সােয়ুজ টি-১১ মহাকাশযানে উডডয়ন করেন। তিনজন সােভিয়েত ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রুয়ের মধ্যে যুক্ত ছিলেন কম্যাণ্ডার ইউরি মালিশেভ এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার গেন্নাদি স্ত্রেকালােভ যারা সােয়ুজ টি-১১ মহাকাশযানে করে সলিউত ৭ মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান।
রাকেশ শর্মা সলিউত ৭ মহাকাশ স্টেশনে ৭ দিন ২১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট কাটান যে সময়ে তার টিম ৪৩টি বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়। তার কাজ ছিল প্রধানত বায়াে মেডিসিন এবং রিমােট সেন্সিং বিষয়ে। মহাকাশ যাত্রার পর ফিরে এসে তিনি “হিরাে অফ দ্য সােভিয়েত ইউনিয়ন” সম্মানে ভূষিত হন। ভারত রাকেশ শর্মাকে এবং তার দুজন সঙ্গী মহাকাশযাত্রীকে অসম সাহসী সর্বোচ্চ সম্মান অশােকচক্র প্রদান করেন।
বানান সংক্রান্ত নিয়মাবলি
ণত্ব-ষত্ব ঘটিত সাধারণ নিয়ম
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দে কোথাও কোথাও দন্ত্য ন হয়। আবার কোথাও কোথাও হয় মূর্ধন্য ‘ণ’-এর ব্যবহার। অনুরূপভাবে ‘শ’ ‘ষ’ ‘স’-এই তিনিটি স-এর ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার আছে। বাংলা ভাষার উচ্চারণে ‘ন’ এবং ‘ণ’-র মধ্যে কোনাে তফাত নেই। তেমনি, তিনটি স-এর উচ্চারণ বাংলায় একই প্রকার। এমন অনেক শব্দ আছে যে শব্দগুলির বানানে ভেদ থাকলেও উচ্চারণগত বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রকম। সুতরাং লেখায় প্রকাশের ক্ষেত্রে ঠিক বানানটি না লিখলে অর্থবিপর্যয় ঘটা স্বাভাবিক। যেমন- আপণ (অর্থ-দোকান) কিন্তু আপন (অর্থ- নিজ); বানি (অর্থ- মজুরি) কিন্তু বাণী (অর্থ -কথা)। আবার, বর্শা (অর্থ- অস্ত্রবিশেষ) কিন্তু বর্ষা (অর্থ- ঋতুবিশেষ), বিশ (অর্থ- কুড়ি সংখ্যা) কিন্তু বিষ (অর্থ- গরল)।
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের সংখ্যা প্রচুর। এইসব সংস্কৃত শব্দ বাংলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবিকৃত অবস্থায় ব্যবহার হয় বলে সংস্কৃত ব্যাকরণের বিশেষ বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয়। তৎসম শব্দে যে নিয়ম মেনে মূর্ধন্য- ‘ণ’ ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে ‘ণত্ব বিধান’ এবং মূর্ধন্য ‘ষ’ যে নিয়ম মেনে ব্যবহৃত হয়, তাকে বলে ‘ষত্ব বিধান’।
বাংলায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ণত্ব-বিধান এবং ষত্ব-বিধান মেনে চলা আবশ্যিক ; নইলে বানান যেমন ভুল হবে, তেমনি অর্থ-বিভ্রাটও হতে পারে। অথবা ভুল বানানের জন্য শব্দ অর্থহীনও হতে পারে।
তাই, ছাত্রাবস্থায় ণত্ব-ষত্ব ঘটিত সাধারণ নিয়মগুলি অনুশীলন করা একান্ত প্রয়ােজন।
ণত্ব-বিধান-
নীচে ‘ণত্ব-বিধান’-এর সাধারণ নিয়মগুলি উদাহরণসহ আলােচনা করা হল-
এক- ঋ র ষ -এই তিনটি বর্ণের কোনাে একটির পর দন্ত্য ‘ন’ থাকলে, সব সময় মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন- ঋণ, কর্ণ, তৃণ, ঘৃণা, পূর্ণ, স্বর্ণ, কৃষ্ণ, বিষ্ণু, মসৃণ ইত্যাদি।
দুই- শব্দে ঋ র ষ -এর পর ক-বর্গ, প-বর্গ য ব হ ং (অনুস্বার) এবং স্বরবর্ণ ব্যবধান থাকলেও পরবর্তী ন’ স্থানে ‘ণ’ হয়। যেমন- হরিণ (হ+ অ + র + ই + ণ + অ) এখানে ‘র’ -এর পর ‘ই’ -কার আছে, সুতরাং ‘ণ’ হয়েছে। তেমনি- কৃপণ, ভূষণ, বৃংহণ, নির্বাণ, আরােহ, অবরােহর, গ্রহণ, রাবণ, রুক্মিণী, সর্বাঙ্গীণ, লক্ষ্মণ, রামায়ণ ইত্যাদি।
(‘মূর্ধন্য’ শব্দে ‘র’-এর পর ক্-বর্গ, প-বর্গ য ব হ ইত্যাদি নেই বলে ন’ থেকে যাবে, ‘গ’ হবে না।)
তিন- কিন্তু যদি ঋ র -এর পরে অন্য কোনাে বর্গের বর্ণ থাকে এবং তারপরে দন্ত্য ‘ন’ থাকে, এমন ক্ষেত্রে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না। যেমন- অর্চনা, প্রার্থনা, দর্শন, নর্তন, বর্ধন, বিসর্জন ইত্যাদি।
চার- ট-বর্গের (ট ঠ ড ঢ ণ) পূর্ববর্তী ‘ন’-যুক্ত শব্দ সর্বদা ‘ণ’ হয়। যেমন- বণ্টন (ব + অ + ণ + ট + অ + ন + অ), লুণ্ঠন, লণ্ঠন, ঘণ্টা, কণ্ঠ, কুষ্ঠ, পাণ্ডব ইত্যাদি।
পাঁচ- যদি ঋ র য একপদে এবং অন্যপদে দন্ত্য ‘ন থাকে এবং উভয়পদ সমাসবদ্ধ হয়ে এক পদ হয়, এমন ক্ষেত্রে দন্ত্য ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয় না। যেমন- হরিনাম, দুর্নাম, সর্বনাম, বরানুগমন ইত্যাদি। কিন্তু সমাসবদ্ধ পদ কোনাে ব্যক্তির নাম হলে মূর্ধন্য ‘ণ হয়। যেমন- সূর্পণখা (রাবণের ভগিনীর নাম) ; তবে, নাম না বােঝালে মূর্ধন্য ‘ণ হয় না। যেমন- তানখ (তানখ হবে না)।
ছয়- প্র, পরা, পরি ও নি– এই চারটি উপসর্গের পরে নু, নম, নশ, নী ইত্যাদি ধাতু নিষ্পন্নে শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন- প্রণাম (প্র-নম্ ধাতু), পরিণাম (পরিনম্ ধাতু), পরিণয় (পরিনী ধাতু), প্রণব (প্র- নু ধাতু), প্রণাশ (প্র-নশ ধাতু) ইত্যাদি।
সাত- প্র, পরা, পূর্ব ও অপর শব্দের পরবর্তী ‘অহ’ শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন— প্রাহ্ন (প্র-অহ), পূর্বাহ্ন (পূর্ব-অহ), অপরাহ্ন (অপর-অহ্ন) ইত্যাদি।
কিন্তু সায়াহ্ন, মধ্যাহ শব্দের ক্ষেত্রে দন্ত্য ‘ন’ হবে, মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না।
দ্রষ্টব্য- হ + ন = ; হ + ণ = হ্ন।
আট- পদের শেষে দন্ত্য ন মূর্ধন্য ‘ণ হয় না। যেমন- শ্ৰীমান, আয়ুষ্মন, অধিকারিন, শমন ইত্যাদি।
বাংলা ক্রিয়াপদের শেষে সর্বদা দন্ত্য ‘ন’ থাকবে। যেমন- করেন, বলেন, আসুন, বসুন, ধরুন, করুন ইত্যাদি। (কিন্তু করুণ’ তৎসম বিশেষণ পদ- করুণ আঁখি’)।
নয়- তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে ঋ র ষ -এর পরে দন্ত্য ‘ন’ লেখা সংগত। যেমন- শ্রবণ- সােনা, স্বর্ণ – সােনা, মাণিক্য- মানিক, বর্ণ (রং অর্থে) বরন (মেঘবরন কন্যা), কর্ণ- কান ; প্রাণ- পরান (কবিতায় ব্যবহৃত) ইত্যাদি। এইগুলি ছাড়া, আরও কিছু ক্ষেত্রবিশেষে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ হয় না। উদাহরণ-
(ক) ত-বর্গের কোনাে বর্ণের সঙ্গে যুক্ত দন্ত্য ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয় না যেমন- বসন্ত, সন্তান, বৃন্ত, ক্রন্দন ইত্যাদি।
(খ) ফাল্গুন, গগন, ফেন, ফেনা, বানি (গহনার মজুরি) ইত্যাদি।
(গ) বিদেশি শব্দ- কোরান, ট্রেন, গভর্নর, জার্মান, কুর্নিশ, কেরানি ইত্যাদি। কতকগুলি শব্দে স্বভাবত মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
বেণু বীণা বাণী
গুণ পণ পুণ্য পাণি।
বণিক বাণিজ্য স্থাণু ঘুণ
গৌণ মাণিক্য বাণ নিপুণ।
পণ্য লবণ নিপুণ কোণ
চিক্কণ বেশি লাবণ্য শশাণ ইত্যাদি।
যত্ব-বিধান-
নীচে যত্ব-বিধানের সাধারণ নিয়মগুলি উদাহরণসহ আলােচনা করা হল-
এক- ঋ-কারের পরে সবসময় ‘য’ হয়। যেমন— ঋষি, কৃষি, বৃষ, কৃষক, তৃষ্ণা, বৃষ্টি, কৃষ্টি ইত্যাদি। (ব্যতিক্রম কৃশ)।
দুই- অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ (ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ও) এবং ক্ ও র -এইসব বর্ণের পর প্রত্যয়ের দন্ত্য ‘স’ সবসময় মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন- উষা, মূষিক, রােষ, ঘােষ, ভবিষ্যৎ, মুমূর্য, কল্যাণীয়েষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, শ্রীচরণেষু, প্রীতিভাজনেষু ইত্যাদি। (স্ত্রীলিঙ্গে- কল্যাণীয়াসু, সুচরিতাসু) তবে, ‘সাৎ’ প্রত্যয়ের ‘স্‘ ‘ষ’ হয় না। যেমন- ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
তিন- টু ও ঠ -এর পূর্বের দন্ত্য ‘স’ মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন- নিষ্ঠা, স্পষ্ট, ওষ্ঠ, পাপিষ্ঠ, উক্তৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, কষ্ট ইত্যাদি।
চার- উপসর্গের ই-কার ও উ-কারের পর কতকগুলি ধাতুর দন্ত্য ‘স’ মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন- অধিষ্ঠান (অধি-স্থান), অনুষ্ঠান (অনু-স্থান), অভিষেক (অভি-সেক), প্রতিষ্ঠিত (প্রতি-স্থিত), বিষন্ন, বিষাদ, বিষম, সুষমা, দুর্বিষহ ইত্যাদি। (ব্যতিক্রম অনুসন্ধান, বিসর্গ, বিসর্জন, অনুসরণ, সুস্থ, অনুস্বার ইত্যাদি।)
পাঁচ- পরি-পূর্বক কৃ-ধাতুর দন্ত্য ‘স’ মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন- পরিষ্কার, পরিষ্কৃত ইত্যাদি। কিন্তু স্কুট, স্ফুর ধাতুর দন্ত্য ‘স্’ ‘’ হয় না। যেমন- পরিস্ফুট, বিস্ফারিত ইত্যাদি।
ছয়- সমাস হলে ‘মাতৃ’ ও ‘পিতৃ’ শব্দের পরবর্তী স্বস্ শব্দের প্রথম দন্ত্য ‘স্’ মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন } মাতৃত্বস (মাসি), পিতৃম্বসা (পিসি)।
সাত- ‘যুধি’ শব্দের পরবর্তী ‘স্থির’ শব্দের এবং ‘সু’ শব্দের পরবর্তী ‘স্থু’ শব্দের দন্ত্য ‘স্ মূর্ধন্য ‘’ হয়। যেমন- যুধিষ্ঠির, সুষ্ঠু ইত্যাদি।
আট- সু, বি, দুর- এই তিনটি উপসর্গের পরের ‘সম্’ শব্দের দন্ত্য ‘স্’ মূর্ধন্য ‘ হয়। যেমন- সুষম, বিষম, দুঃযম।
কতকগুলি শব্দে স্বভাবত মূর্ধন্য ‘’ হয়। যেমন-
অষ্ট আষাঢ় বিষ ওষধি পৌষ পুষ্প যষ্টি ষট
বর্ষ হর্ষ পাষাণ অভিলাষ মাষা পুষ্টি।
কাষ্ঠ কষায় বাষ্প তুষার বিষাণ পুরুষ
কৃষি রােষ প্রদোষ ঈষৎ উষর দূষণ পাষণ্ড
গণ্ডুষ গ্রীষ্ম বর্ষা শেষ।
মনে রেখাে- ণত্ব-ষত্ব’ ঘটিত বানানগুলি নিয়মিত অনুশীলন করলে ওই জাতীয় বানান ভুলের সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না।
প্রবন্ধ লেখাে-
১ বিজ্ঞানের অপব্যবহার।
উত্তরঃ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে পাশবিক শক্তি, জিগীষা ও জিঘাংসা প্রকাশ ঘটেছে কত কুরুক্ষেত্রে, ট্রয়, কলিঙ্গ, যার্মপলি, হলদিঘাটের যুদ্ধে- এই সমস্ত যুদ্ধে ফুটে উঠত তার বাহুবল ও বীরত্ব।
পরবর্তীকালে অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটল রণনীতি ও সমরকৌশলে। ধর্মবােধ, মানবতাবােধ ও সততার গলা টিপে ধরলাে বিজ্ঞান। অনেকক্ষেত্রেই বস্তুত, অস্ত্রবলের সাহায্যেই সংগঠিত হচ্ছে আধুনিক কালের যুদ্ধ-বিগ্রহ। বিজ্ঞানের নিত্য নতুন মারণাস্ত্র আবিষ্কারের দিকে আজ সারা পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় মানুষ বিমূঢ় বিভ্রান্তভাবে চেয়ে রয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে আবিষ্কৃত ব্রিটিশ ট্যাংক যুদ্ধের গতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত করে জার্মানির পরাজয়কে ত্বরান্বিত করল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত হ’ল আনবিক বােমা- নিশ্চিহ্ন করল শিল্পসমৃদ্ধ জাপানের দুটি শহর- হিরােশিমা আর নাগাসাকি। বােমারু বিমানের জন্য সৃষ্টি হল বিমান-বিধবংসী কামান, বিষবাষ্পের প্রতিরােধে গ্যাসমুখােশ, ট্যাংকের প্রতিরােধে ট্যাংকধবংসী অস্ত্র, টরপেডাে আক্রমণকে প্রতিরােধ করতে এল ডেপথ চার্জ, র্যাডার বিম, ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল ও তার প্রতিরােধে এন্টি-ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল। হিংসা জন্ম দিচ্ছে হিংসাকে -বিজ্ঞান মানবসভ্যতা তথা আপামর মানব জাতিকে করে তুলেছে ভীত, সন্ত্রস্ত, বলির পশুর মতাে। বিজ্ঞান সাধকের মূলমন্ত্র ছিল -সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের জয় ঘােষণা। প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজ্ঞান কেদিন জুগিয়েছিল শক্তি, বয়ে নিয়ে এিেছল শান্তির ললিত বাণী—সেই বিজ্ঞানই আজ মানবসমাজের ধবংসকে ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগী হয়েছে।
এমন হ’ল কেন, তার কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, মুষ্টিমেয় মানুষের সীমাহীন লােভ, শােষণের ইচ্ছা সমগ্র মানবগােষ্ঠীকে এই ভয়াবহ অবস্থার মুখােমুখি দাঁড় করিয়েছে। পরিতাপের বিষয় এই স্বার্থান্ধ ধনিকদের কাছে বিজ্ঞানীরাও নিজেদের বিবেক বুদ্ধি বিকিয়ে দিচ্ছে। রাষ্ট্রের স্বার্থ মানবতারঊর্ধের্ব স্থান পেয়েছে, সাম্রাজ্যবাদীদের অশুভ বুদ্ধির প্রভাবে আদর্শভ্রষ্ট হয়ে বর্তমান বিজ্ঞানীরা মানবসভ্যতার পরিসমাপ্তির ইন্ধন যােগাতে এগিয়ে এসেছে। উগ্র জাতীয়তাবাদ জন্ম দিয়েছিল নাৎসি জার্মানি, ফ্যাসিস্ট ইটালি ও জাপানের জীবনদর্শকে করে তুলেছিল বিকৃত, ফলে জাতির পতনকে করেছিল ত্বরান্বিত। জাপান, জার্মানি, ইংল্যাণ্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশগুলির আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে মূলত এক। বর্তমান দুনিয়ায় জাতিতে জাতিতে রেষারেষিকে উত্তরােত্তর বাড়িয়ে দিতে তথাকথিত ক্ষমতাশালী দেশগুলির ভূমিকা খুবই ভয়াবহ।
মানুষের কল্যাণের তাগিদেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। তাই লক্ষ রাখতে হবে, সেই বিজ্ঞান যদি দেশবাসীর কল্যাণের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়ায় তবে তাকে ত্যাগ করাই মঙ্গল। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহারকেই যথার্থ অপব্যবহার বলা যায়। বিজ্ঞানের প্রয়ােজনীয়তা আগের থেকেও বেড়ে গেছে, তাই প্রতিটি বিষয়ে চিন্তাভাবনাকেও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রবাহিত করতে হবে- রাজনীতি, দর্শনের প্রতিটি বিষয়কেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিচার করতে হবে। শুধুমাত্র অস্ত্র উৎপাদনের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রয়ােজন শেষ হতে পারে না।
মনে রাখতে হবে, সারা পৃথিবীর ন্যায় ধর্ম, আত্মিক শক্তি ও শাশ্বত সত্যকে চিরদিন পঙ্গু করে রাখতে উগ্র জাতীয়তাবাদ, বিকৃত অর্থলালসা বা উদ্ধত পশুশক্তি কেউই পারবে না। নাৎসিবাদ-ফ্যাসিবাদ পৃথিবী থেকে নিয়েছে বিদায়- সাম্রাজ্যবাদেরও অবস্থা দাঁতনখহীন অস্থি-চর্মসার হিংস্র পশুর মতাে- দেশে দেশে তার দুর্গ ভেঙে পড়েছে- গড়ে উঠেছে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র- মানুষে-মানুষে ভেদ বুদ্ধি ভুলে গিয়ে সাম্য ও ঐক্য এবং মৈত্রীর প্রতিষ্ঠা লক্ষ করা যাচ্ছে। সুতরাং এ কথা খুব জোরের সঙ্গে বলা যেতে পারে যে, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে শুভবুদ্ধি স্বাধীন চিন্তা ও সৎ চিন্তার উদঘাটন হবেই হবে। তাই আসুন, সকলে প্রতিজ্ঞা করি যে, বিজ্ঞান সাধকের সৎ তপস্যার ওপর বিশ্বাস রাখব, বর্তমান অস্বাস্থ্যকর সমাজের অবসান ঘটাব ও মানবকল্যাণকে কেন্দ্র করেই গড়ে তুলব বিজ্ঞান সাধনা।
অনুরূপ প্রবন্ধ- বিজ্ঞান ও উন্নত দেশসমূহ। বিজ্ঞানের অবিবেচনাপ্রসূত ব্যববহার। বিজ্ঞান- মানবতার মৃত্যু ?
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Thank you so much sir ☺️
You Are Most Wlcm