SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 9 অসম Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 9 অসম I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 9 অসম Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 9 অসম Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অসম

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। নিজে করাে।

২। উত্তর বলাে।

(ক) লেখক কোন স্থানকে স্বর্গের চেয়েও প্রিয় বলে অভিহিত করেছেন?

উত্তরঃ লেখক যে রাজ্যে জন্ম নিয়েছেন, সে রাজ্যের অন্ন, জলে বড়াে হয়েছেন, সে রাজ্যের বাতাসে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন, সেই অসমকেই তিনি স্বর্গের চেয়েও প্রিয় বলে অভিহিত করেছেন।

(খ) প্রাচীনকালে আমাদের রাজ্যের কোন অঞ্চলকে সৌমার পীঠ বলা হত?

উত্তরঃ প্রাচীনকালে কামরূপ রাজ্যের সীমা দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে করতােয়া পর্যন্ত এবং ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রের মজে যাওয়া ধারা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সুবিস্তৃত কামরূপ রাজ্যের উজান অঞ্চলের নাম সৌমার ছিল। সুমেরু বা দেবলােকের নিম্নদেশে স্থিত, সেই জন্য হয়তাে এই খণ্ডটিকে সৌমার পীঠ বলা হত।

(গ) ইতিহাসবিদদের মতে কাদের রাজত্বকালে আমাদের রাজ্যটির জন্ম অসম বা আহােম হয়েছিল?

উত্তরঃ ইতিহাসবিদদের মতে আহােম জাতির রাজত্বকালে আমাদের রাজ্যটির নাম অসম বা আহােম হয়েছিল।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

(ঘ) আমাদের সব শক্তি কীসের সেবায় লাগাতে হবে?

উত্তরঃ আমাদের সব শক্তি স্বদেশের সেবায় লাগাতে হবে।

(ঙ) ইংরেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমে এই দেশের নাম ইংরাজীতে কী লিখেছিলেন?

উত্তরঃ ইংরেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমে এই দেশকে ASAM এই হিসেবে লিখতেন।

(চ) অসমকে কারা ‘অসমের দেশ’ বলে অভিহিত করেছিলেন?

উত্তরঃ মুসলমান ঐতিহাসিকেরা এই দেশকে ‘অসমের দেশ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

৩। উত্তর লেখাে।

(ক) প্রাচীন কামরূপে দক্ষিণ সীমা কতদূর বিস্তৃত ছিল?

উত্তরঃ প্রাচীন কামরূপে দক্ষিণ সীমা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

(খ) সৌম্য রাজ্যের আর্য সন্তানদেরকে কী বলা হত?

উত্তরঃ সৌম্য রাজের আর্য সন্তানদের সৌম্য বা সােম বলা হত।

(গ) সৌমারের সােমরা শান জাতীয় লােকদের কী বলে ডাকতেন?

উত্তরঃ সৌমারের সােমরা শান জাতীয় লােকদের ‘আসােম’ বা ‘অসম’ বলে ডাকতেন।

(ঘ) চুকাফা কোন পর্বর্ত পার হয়ে উজান অসম অধিকার করেছিলেন?

উত্তরঃ চুকাফা পাটকাই পৰ্বৰ্ত পার হয়ে উজান অসম অধিকার করেছিলেন।

৪। ক অংশের বাক্সের শব্দগুলাের অর্থ গ অংশের বাক্সতে আছে। শব্দগুলাের অর্থ খুঁজে খ অংশের বাক্সে লেখাে।

ক অংশখ অংশ

উত্তরঃ 

ক অংশখ অংশ
চিরস্মরণীয়সর্বদা মনে রাখার যােগ্য।
কীর্তিকলাপভালাে কাজের পরিচয়সূচক কার্যাবলী।
প্রাণপণেঅতি কঠোর, যথাসাধ্য।
অনুসন্ধানগভীরভাবে তথ্য খোঁজা।
স্বতন্ত্ৰ স্বাধীন।
সন্তোষআনন্দ, হর্ষ, পরিতৃপ্তি।

৫। উত্তর লেখাে।

(ক) অসম নামের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছিল?

উত্তরঃ যখন শান জাতীয় চুকাফা রাজা পাটকাই পর্বত পার হয়ে এসে উজান অসম দখল করেন, তখন সৌমারের অধিবাসী সােমরা শান জাতীয় লােকদেরকে ‘আসােম’ বা ‘অসম’ বলে অভিহিত করতে শুরু করে। আসাে বা অসম শব্দটিই পরে আহােম বা অসম রূপে শান জাতির মানুষের মুখে রূপান্তরিত হয়ে যায়। শ’ বর্ণটি আহােমদের মুখে হ’ হয়ে যায়। অসম জাতি এই দেশ অধিকার করলে এর নাম হয় ‘অসমের দেশ’ বা ‘অসম দেশ’।

(খ) বর্তমানে এই রাজ্য কীভাবে গঠিত হয়েছে?

উত্তরঃ আর্য ও অনার্যের সংমিশ্রণে, অনেক জাতি ও উপজাতি মিলে বর্তমানে এই রাজ্য গঠিত হয়েছে।

(গ) অসমকে অনুপমা করে তুলতে আমাদের কী করা উচিত?

উত্তরঃ অসমকে অনুপমা করে তুলতে হলে প্রথমে আমাদের ভাষা এবং সাহিত্যের উন্নতি সাধন করতে হবে, সাধারণ শিক্ষার স্রোত সর্বস্তরে পৌছে দিতে হবে এবং ধর্মনীতির উজ্জ্বল আলােকে সমগ্র দেশকে আলােকিত করতে হবে।

(ঘ) অসমের গৌরব বাড়ানাের জন্য আমাদের কী কী কাজ করতে হবে?

উত্তরঃ অসমের গৌরব বাড়ানাের জন্য প্রত্যেক অসমবাসীর প্রাণপণে কাজ করে যাওয়া উচিত।

৬। বিভিন্ন সময়ে অসমকে কী কী নামে জানা যেত, ডানদিকের শব্দের সাথে মেলাও-

ক অংশখ অংশ

উত্তরঃ 

ক অংশখ অংশ
ইংরেজ শাসনের প্রথম পর্বেASAM
বৈদিক যুগেপ্ৰাকীদেশ
পৌরাণিক যুগেপ্ৰাগজ্যোতিষ
তান্ত্রিক যুগেকামরূপ
বর্তমান যুগেঅসম
মুসলমানের শাসনকালেঅসমের দেশ

৭। বাক্যগুলাের তাৎপর্য লেখাে।

(ক) প্রথমে নিজকে একটি পর্বতের ক্ষুদ্র ঝরণার মতাে মনে করে তা থেকে ধীরে ধীরে একটি বড়াে বেগবতী নদী হতে পারলে সেই ক্ষুদ্র ঝরনাটি নিজেই একদিন সাগরের সাথে মিলিত হতে পারবে।

উত্তরঃ মানব সভ্যতার প্রবাহিত ধারায় চলমান আমাদের পৃথিবী। অজেয় মানুষের নিরলস কর্মপ্রেরণায় সেখানে নিত্য চলে অমরতার অভিযান। কিন্তু জীবনের এই গতিপথ সর্বত্র অনুকূল মসৃণতায় অব্যাহত থাকেনি। সভ্যতার গতিকে রুদ্ধ করে দেবার জন্য পৃথিবীর বুকে বারবার নেমে এসেছে অশুভ শক্তির অভিশাপ। স্বৈরশক্তির নিষ্ঠুর পীড়নে ধবংস হয়েছে মানবজীবনে স্পন্দিত কত জনপদ। ঠগ, দস্যু, বৰ্গীর আক্রমণে বিপন্ন হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন, ব্যাহত হয়েছে সভ্যতার সৃষ্টিশীলতা। কিন্তু মানব জীবন প্রবাহের মধ্যে রয়েছে এক মৃত্যুঞ্জয়ী শক্তি। এই শক্তির মূলে রয়েছে শ্রমজীবী মানুষের দল। কৃষক, তাঁতি, জেলে, মাঝি, কামার, কুমােরের জীবন আপাতদৃষ্টিতে যতই অকিঞ্চিৎকর বলে মনে হােক না কেন তাদের সৃষ্টিশীলতার মধ্যেই টিকে আছে সভ্যতার ধারা। তাদের কর্মপ্রবাহের কোনাে লয় নেই, ক্ষয় নেই, প্রতিকূল শক্তিতে তাদের বিনষ্টি নেই। এই জীবন প্রবাহে তারাই রচনা করে চলেছেন অমরতার সঙ্গীত।

(খ) নম্র বিনয়ী হয়েই সংসার পার করা যায়। অহংকার আর আলস্যের দ্বারা উন্নতি অসম্ভব।

উত্তরঃ অলঙ্কার নারীর দেহের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। তেমনি মানবতার সৌন্দর্য হল নম্রতা, বিনয়, শিষ্টাচার । নম্রতা ও বিনয় মনুষ্যত্বের পরম সম্পদ। অলংকার বাইরের জিনিস, কিন্তু শিষ্টাচার হল মানুষের অন্তরের সামগ্রী আর সৌজন্যবােধ হল তার মার্জিততম রুচির প্রকাশ। এই গুণগত বিশিষ্ট্যের জন্য মানুষ সকলের প্রিয়, শ্রদ্ধেয় ও বরেণ্য হয়ে ওঠে। কেবলমাত্র ব্যক্তিগত জীবনে নয়, সমাজজীবনের বিশিষ্ট গৌরবের আভরণ এগুলি। তাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে এই দুটি গুণের প্রয়ােজন অপরিহার্য। এই দুটি গুণের অধিকারী হলেই মানুষ প্রকৃত মানুষ বলে অভিহিত হয়।

নম্রতা ও বিনয় মানবজীবনের এক দুর্লভ সম্পদ। এটি তার জীবনের চির উজ্জ্বল অমলিন অলংকার। শৈশব থেকে বহু যত্নে ও সাধনায় মানব একে লাভ করে। মানবজীবন উদ্যানে চিরপ্রস্ফুটিত কমল হল শিষ্টাচার ও সৌজন্য। এই দুটি গুণের দ্বারাই মানুষ ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী হয়ে ওঠে। এগুলিকে বাদ দিয়ে মানব সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতি সম্ভব নয়। যেখানে শিষ্টাচার, সৌজন্য ও ভদ্রতাবােধ নেই, সেখানে মনুষ্যত্ব বলে কোনাে বস্তু নেই। পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যাবে সমস্ত উন্নত সভ্যতার মূলে ছিল এই সম্পদগুলি। সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রাণবস্তু হল নম্রতা ও বিনয় ।

ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যকরণ)

৮। বিপরীত শব্দ লেখাে।

উত্তরঃ পরাধীন – স্বাধীন। 

অনুচিত – উচিত।

অসন্তোষ – সন্তোষ। 

নিরানন্দ – আনন্দ।

বিদেশ – স্বদেশ।

বর্জন – গ্রহণ।

৯। সন্ধি গঠন করাে এবং সন্ধি বিচ্ছেদ করাে।

উত্তরঃ যথা + অর্থ – যথার্থ।

উন্নতি – উৎ + নতি।

হিম + আলয় – হিমালয়।

উৎ + যাপন – উদযাপন।

দেবালয় – দেব + আলয়।

নরেন্দ্র – নর + ইন্দ্র।

১০। নীচের শব্দগুলাের প্রত্যয় ভেঙে দেখাও।

উত্তরঃ শারীরিক – শরীর + ইক (ষ্ণিক)।

দৈহিক – দেহ + ইক (ষ্ণিক)।

মৌখিক – মুখ + ইক (ষ্ণিক)।

সামাজিক – সমাজ + ইক (ষ্ণিক)। 

১১। শব্দগুলাে দিয়ে বাক্য গঠন করাে ?

উত্তরঃ অসম – অসম আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য।

জন্মভূমি – জন্মভূমি আমার কাছে মাতৃসমা।

অনুসন্ধান – ভূমিকম্পের পর অনুসন্ধান কার্য চলছে।

সংগ্রহ – সংসার বড়ােই বিচিত্র জায়গা।

ক্ষুদ্র – ক্ষুদ্র গণ্ডীর বাইরে বেরােতে হবে।

গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ

১২। দেশের সেবা মানে দেশের জন্য সব ধরনের ছােটো বড়াে, কাজ করা। তােমরা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী হিসেবে কীভাবে দেশের সেবা করবে।

উত্তরঃ (ক) নিজের দেশকে অন্তর থেকে ভালবাসতে হবে।

(খ) জন্মদাত্রী মা যেমন সন্তানকে কোলে নিয়ে বড় করে তােলেন তেমনি দেশমাতার কোলে চড়ে আমরা বড় হই। বঙ্কিমচন্দ্র তাই বলেছেন -দেশপ্রীতি সর্বাপেক্ষা গুরুতর ধর্ম।

(গ) মানুষের যতপ্রকার প্রবৃত্তি আছে তার মধ্যে সর্বোত্তম ও মহত্তম হচ্ছে দেশপ্রেম।

(ঘ) দেশসেবার মূল বাণী হল মানুষকে ভালােবাসা, মানুষকে বড়াে করে তােলা।

(ঙ) দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি, কাজকর্মকে ভালােভাবে জানতে হবে।

(চ) দেশের অতীত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তারই ভাবগত আদর্শে সকলকে আদর্শায়িত করতে হবে।

(ছ) সবার মধ্যে শিক্ষার আলাে ছড়িয়ে দিতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কোনাে জাতির উন্নতি সম্ভব নয়।

(জ) দেশসেবা করতে হলে নিজের স্বার্থের জন্য নয়, বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে হবে।

(ঝ) জাতিগত ভেদাভেদ থেকে সরে গিয়ে সবার মধ্যে জাতীয়তাবোধ গড়ে তুলতে হবে।

(ঞ) দেশের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।

(ট) এক জাতি এক প্রাণ একতা- এই বোধ জাগ্রত করতে হবে।

(ঠ) দেশপ্রেমের বড়ো কথা হল ঐক্যবদ্ধ জনশক্তি, সম্মিলিত এক নিগূঢ় ভ্রাতৃত্ববোধ।

(ড) নিজের দেশের সম্পদ ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।

(ঢ) নিজের দেশের সংস্কৃতি ভুলে চলবে না।

(ণ) শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরা উগ্র অন্ধ জাতি-প্রেমের প্রতিবাদ করবে।

অর্থনীতি – শাল শিশু প্রভৃতি কাঠ আসাম রাজ্যের প্রধান লাভজনক পণ্য। বন্য হস্তী থেকেও আয় হয়। মুগা ও এণ্ডি রেশম এ রাজ্যের বিখ্যাত ব্যবসায়ের দ্রব্য। চায়ের ব্যবসাতেও লাভ ঘটে।

১৩। নিজে করো।

১৪। নিজে করো।

ঘ – প্রকল্প

১৫। নিজে করো।

১৬। নিজে করো।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

টীকা লেখো-

উত্তরঃ আসাম- আসাম বা অসম ভারতবর্ষের উত্তর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত একটি রাজ্য। আসামের রাজধানীর নাম দিসপুর।

১৮২৬ সালে ইয়ান্তাবু চুক্তির মাধ্যমে আসাম প্রথম ব্রিটিশ ভারতের অন্তভুক্ত হয়। এ রাজ্য মূলত চা, রেশম, পেট্রোলিয়াম এবং জীববৈচিত্র্যের জন্যয বিখ্যাত। আসাম সাফল্যের সাথে একশৃঙ্গ গণ্ডার সংরক্ষণ করে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছে। এশিয় হাতির অন্যতম বাসস্থান হল- আসাম।

ভৌগােলিক অবস্থান- উত্তর পূর্ব ভারতের এ রাজ্যটি হিমালয়ের দক্ষিণে অবস্থিত এবং এর অভ্যন্তরে রয়েছে ব্রহ্ম পুত্র নদ, বরাক উপত্যকা এবং উত্তর কাছাড় পর্বতমালা। অরুণাচল, নাগাল্যাণ্ড, মণিপুর,  জোরাম ত্রিপুরা এবং মেঘালয় দ্বারা আসাম পরিবেষ্টিত। আসাম সহ প্রতিটি রাজ্যই উত্তরবঙ্গের একটি সংকীর্ণ অংশ দ্বারা ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। এছাড়াও আসামের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে।

চা- চা আসামে উৎপাদিত এক প্রকারের রং চা। আসামের চা বিশেষকে Camellia Sinensis Var assamica (manters) নামে এক প্রকার চা গাছ থেকে তৈরী করা হয়। এই চা সমুদ্রপৃষ্ঠের অধিক উচ্চতায় বৃদ্ধি হয়। বাংলাদেশ এবং মায়ানমার সীমান্তে ব্রহ্মপুত্রের দুধারে অবস্থিত আসাম হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক চা উৎপাদনকারী অঞ্চল। ভারতের এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের হার অনেক বেশি। মৌসুমী জলবায়ুতে দৈনিক সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ২৫০-৩০০ মিমি পর্যন্ত হতে দেখা যায়। দিনের বেলায় প্রায় ১০৩ ফারেনহাইট পর্যন্ত উষ্ণতা থাকে, বিরল জলীয় বাষ্প এবং উত্তাপ উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে।

ধর্ম- আসামের প্রধান ধর্ম হল হিন্দু ধর্ম (৬২.৯%) এবং ইসলাম (৩৪.৯%)। এছাড়া অন্যান্য ধর্মের মধ্যে রয়েছে খ্রিস্ট ধর্ম (৩.৭%), শিখ, ধর্ম (১%) বৌদ্ধধর্ম ইত্যাদি।

উৎসব- আসাম বিভিন্ন উৎসব আর মেলার ভূমি। এই রাজ্যের প্রধান উৎসবগুলাে হল- বিহু, দুর্গাপূজা, কালিপূজা, দীপান্বিতা, কামাখ্যা মেলা, মে-ডাম-মে-ফী, ঈদ, মহরম, শঙ্করদেবের জন্মােৎসব বৈচাগু, বাই, রংকের, অম্বুবাচী মেলা, জোনবিল মেলা ইত্যাদি।

প্রবন্ধ-

১। জীবনচরিত পাঠের প্রয়ােজনীয়তা।

উত্তরঃ মানবসমাজকে রবীন্দ্রনাথ পনেরাে আনা ও এক আনা- সাধারণ ও অসাধারণ এই দুই শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। সাধারণ মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে বেশি। তারা সুখে দুঃখে খেয়ে পরে জীবনযাপন করে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। তাদের স্মৃতিমাত্র কোনােরকমে থেকে যায় ভবিষ্যৎ বংশধরদের মধ্যে। বৃহৎ পৃথিবীর মানুষ তাদের নামগন্ধও জানে না। আর যাঁরা অসাধারণ ব্যক্তি তারা ক্ষণজন্মা। তারা চারিত্ৰমাহাত্মে, আদর্শে ও প্রতিভাবলে অমরত্ব অর্জন করেন। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, ধর্মবেত্তা, দেশপ্রেমিক, সৈনিক ও কর্মবীররা হলেন আসাধারণ এক শ্রেণির মানুষ। তারা মনুষ্যজাতির শুভ আকাঙ্খর প্রতীক। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথপদর্শক, উজ্জ্বল দিশারী। যুগে যুগে তাঁরা বরণীয় স্মরণীয় মহাপুরুষ। সাধারণ মানুষ তাদের জীবন থেকে বৃহত্তর জীবনের আদর্শগত প্রেরণা লাভ করে।

যুগে যুগে মহাপরুষ অনেক আবির্ভূত হয়েছেন। তারা আলাে নিয়ে, বাণী নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে মানুষের সামনে মহৎ আদর্শ তুলে ধরেছেন। দেশবিদেশে যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন যাজ্ঞবল্ক্য, গার্গী, কনফুসিয়াস, বুদ্ধ দেব, যিশুখ্রীষ্ট, অশােক, সেক্সপিয়র, রবীন্দ্রনাথ, শ্রীচৈতন্যদেব, বিদ্যাসাগর, গুরু নানক, কবির, সুভাষচন্দ্র এমনি আরও অনেক কবি, সাহিত্যকি, সমাজসংস্কারক, রাষ্ট্রনেতা, ও ধর্মপ্রচারকের নামকরা যেতে পারে। তারা সমকালের সমাজে আলােড়ন তুলেছেন- মানুষকে অসত্য থেকে সত্যে, অন্ধকার থেকে আলােতে নিয়ে যাবার সাধনায় জীবন উৎসর্গ করেছেন।

প্রাচীনকালে মহাপুরুষদের জীবনচরিত লেখার তেমন তাগিদ ছিল না। তবুও তাদের জীবনকাহিনীর পরিচয় আমরা নানা প্রসঙ্গ থেকে খুঁজে পাই। আধুনিককালে মহামানবরা নিজেদের জীবনচরিত লিখে যান। তাদের জীবনসাধনার মধ্যেই জীবনচরিতের বৈশিষ্ট্য সুন্দরভাবে ধরা পড়ে। তাছাড়া, অন্যেরা মহাপুরুষদের জীবনচরিত লিখে সমাজের মানুষকে উপহার দেন।

আধুনিককালে মহামানবদের জীবনচরিত-গ্রন্থ লেখা হয়েছে প্রচুর। মানব-সংস্কৃতির সেগুলি অমূল্য সম্পদ। এই সব গ্রন্থে দেশবিদেশের কবি সাহিত্যিক ও মনীষীদের সমকালীন সমাজজীবনের প্রেক্ষাপটে জীবনসাধনা, কর্মপ্রচেষ্টা ও বিচিত্র সৃষ্টির মূল্যায়ণ করা হয়েছে।

জীবনচরিত গ্রন্থপাঠে আমরা মহামানবদের বিচিত্রমুখী সাধনার সঙ্গে পরিচিত হই। তাদের মহানুভবতা, দুঃখ জয়ের অবিচল সাধনা, অন্যায়, অসত্য ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম, মানবতার ব্রত উদ্যাপন ও সৃষ্টির সৌন্দর্য ও আদর্শ আমাদের নতুন এক জীবনচেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। মহাপুরুষদের জীবনের আলােকস্পর্শে আমরা স্বার্থসংঘাত, মনুষ্যত্বের কলঙ্ক ও জড়তাতামস থেকে মুক্তিলাভ করি। সাধারণ মানুষ আমরা। নৈরাশ্য, জড়তা, ক্ষুদ্রতা ও দীনতার মধ্যে নিতান্ত খণ্ড ও বদ্ধ জীবনযাপন করি। মহাপুরুষদের জীবনচরিতপাঠে আমরা পাই অপরিমেয় মানসিক শক্তি। আমাদের জন্মান্তর রূপান্তর ঘটে। দুর্জয় সাহসে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে দুর্গম বন্ধুর পথ দিয়ে অমৃতের সন্ধানে যাত্রা করি। আমাদের কাপুরুষতা ও চিত্তের সর্বপ্রকার সংকীর্ণতা ও দীনতা দূর হয়ে যায়। মনুষ্যত্বের আদর্শে আমাদের চিত্ত উদ্ভাসিত হয়। আত্মত্যাগের সদিচ্ছায় কল্যাণকর্মের জন্য আমরা সংকীর্ণ জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বমানবতার উদার প্রাঙ্গণে বেরিয়ে পড়ি।

জীবনচরিত গ্রন্থে থাকে মহৎ আদর্শের বীজ। পরশমণির মতাে চরিতগ্রন্থ মানুষকে সুন্দর ও মহৎ করে তােলে। মানুষ তখন এক নতুন চারিত্র্যশক্তি লাভ করে। মানুষের এই নবজন্মে দেশ ও জাতির প্রগতি সাধিত হয়। মনুষ্যত্ব জাগ্রত থাকলে সমাজের অশেষ কল্যাণ সাধিত হয়। প্রকৃতপক্ষে মহাপুরুষরাই সভ্যতার ধারক ও বাহক। তারা চিরকালের মানুষ। যুগযুগান্তবে তাঁদের জীবনাদর্শ সমাজকে কলুষমুক্ত ও গতিশীল করে রাখে।

জীবনচরিতপাঠে আমাদের চিত্তের সংকীর্ণতা ঘুচে যায়। দৃষ্টি হয় স্বচ্ছ। জীবনচরিতগ্রন্থ আর্থসামাজিক রাজনীতিক ইতিহাসের দলিলও বটে। জীবনচরিতপাঠে আমরা কীভাবে বিরুদ্ধ ও প্রতিকূল অবস্থায় মহামানবরা সংগ্রাম করে তাদের আদর্শকে জয়যুক্ত করেছে তার পরিচয় পাই। ন্যায় অন্যায়, সত্য ও অসত্য সম্পর্কেও আমাদের ধারণা স্পষ্ট হয়।

ভালাে-মন্দ, শুভ ও অশুভ এবং ন্যায়-অন্যায় যুগে যুগে মানবসমাজে সমানভাবে কাজ করে চলেছে। মানুষের মধ্যে রয়েছে পশুসত্তা ও মানবসত্তার নিরন্তর দ্বন্দ্ব। তবুও জগৎটাতে ভালােটারই প্রাধান্য ঘটবে। জীবনচরিত-গ্রন্থ মানুষকে শুভব্রতী করে তােলে।

বর্তমান বিশ্বে মানুষ আজ বিজ্ঞানশক্তিকে করায়ত্ত করে প্রযুক্তিবিদ্যার সাহয্যে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ছুটে চলেছে। বস্তুবিশ্বে সে সাতমহলা সৌধ নির্মাণ করেছে। কিন্তু মানুষের হৃদয়ে মানবতা ও কল্যাণশক্তি দূরীভূত হয়ে গেছে। একদিকে চলেছে মানবকল্যাণের বিপুল আয়ােজন -চলেছে শান্তিমৈত্রী প্রচেষ্টায় বিশ্বমান তার সাধনা- অন্যদিকে চলেছে অশুভ প্রতিযােগিতা। স্বার্থসংঘাত, বিচ্ছিন্নতাবাদ, আত্মকেন্দ্রিকতা ও বিবেকহীনতায় মানুষ নির্লজ্জ পশুর মতাে জিঘাংসায় রক্তলােলুপ হয়ে উঠেছে। সভ্যতার সংকট আজ চরম রূপ নিয়েছে। দেশে দেশে দিশে দিশে মানবতার আদর্শ ভূলুণ্ঠিত। চলেছে হানাহানি রক্তপাত ও নরহত্যা। বর্তমানের সংকটাপন্ন অবস্থায় মহামানবদের জীবনচরিত আমাদের আত্মহনন থেকে রক্ষা করবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

২। পদান্তর-ঘটিত নিয়ম।

উত্তরঃ পদ পরিবর্তন বা পদান্তর বলতে বােঝায়, এক পদ থেকে অন্যপদে পরিবর্তন। পদের এই পরিবর্তন হল, বিশেষ্য পদকে বিশেষণ পদে এবং বিশেষণ পদকে বিশেষ্য পদে রূপান্তরিত করা। পদের এই রূপান্তরে প্রধানত বিভিন্ন সংস্কৃত প্রত্যয়, বাংলা প্রত্যয় এবং কিছু কিছু বিদেশি প্রত্যয়ের সাহয্যে নতুন নতুন শব্দের যেমন সৃষ্টি হয়, তেমনি পদান্তর কাজটিও সাধিত হয়।

ধাতু বা শব্দের মূল অংশের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে-সব নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়, সেইসব শব্দের বানানের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরিচিত হওয়া একান্ত প্রয়ােজন। পদান্তরিত নতুন শব্দের বানান নিয়মিত অনুশীলন না করলে, বানান-বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। পদান্তরিত বিশেষ বিশেষ শব্দের বানান যাতে শুদ্ধ ভাবে লেখা যায়, সেদিকে লক্ষ রেখে নীচে কিছু পদান্তর-বিষয়ক নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হল। সংস্কৃত ধাতু প্রত্যয় এবং সংস্কৃত শব্দ প্রত্যয় যােগে কীভাবে নতুন শব্দ গঠন করা যায়, দেখাে-

(ক) ক্ষম্ ধাতু + ক্ত প্রত্যয় = ক্ষান্ত। 

(খ) পৃথিবী শব্দ + ত্ম = পার্থিব।

(গ) মুচ ধাত + ক্তি প্রত্যয় মুক্তি।

(ঘ) চণক শব্দ + ষ্য চাণক্য ইত্যাদি।

উপরে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্ষান্ত এবং মুক্তি’- বিশেষণ পদ দুটি পাওয়া গেল। তেমনি, শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে পার্থিব এবং ‘চাণক্য’-বিশেষণ পদ দুটি পাওয়া গেল।

এইভাবে বিভিন্ন ধাতু এবং বিভিন্ন শব্দের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যয় যুক্ত হয়ে বিশেষ্য এবং বিশেষণ পদ গঠন করা যায়।

(ক) ১। অ – এই প্রত্যয় ভাববাচক বিশেষ্য পদ গঠন করে। 

যেমন- পঠ + অ = পাঠ।

লভ + অ = লাভ।

বি ণ্ঠ অব – সা + অ = ব্যবসা। 

অভি সিচ্ + অ = অভিষেক ইত্যাদি।

(বিশেষণ ও পাঠ্য, লভ্য, ব্যবসায়িক, অভিক্তি)

২। অনীয়- ভবিষ্যতে কিছু করা উচিত বা করার যােগ্য অর্থে বিশেষণপদ গঠিত হয়। (কর্ম ও ভাববাচ্যে এই প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়)। 

যেমন- স্মৃ অনীয় = স্মরণীয়।

কৃ অনীয় করণীয়, পা অনীয় = পানীয়।

শ্ৰু অনীয় = শ্রবণীয়।

(বিশেষ্য – স্মরণ, করা, পান, শ্রবণ)

৩। অক- প্রত্যয় যােগে কর্তৃবাচক বিশেষ্যপদ গঠিত হয়। 

যেমন- গৈ অক =গায়ক। 

কৃষ অক = কৃষক।

পরি-ঈক্ষ অক = পরীক্ষক। 

সম – পদ অক = সম্পাদক ইত্যাদি।

১। অ- নানা অর্থে এই প্রত্যয় নামপদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ গঠন করে। যেমন-

মনু + অ = মানব।

দনু + অ = দানব। 

পৃথা + অ = পার্থ।

(বিশেষণ – মানবিক, দানুবীয় / দানবিক, পার্থিব)

সম্বন্ধ-অর্থে বিশেষণপদ হয়। যেমন-

বস্তু + অ = বাস্তব।

সন্ধ্যা + অ = সান্ধ্য। 

সূর্য + অ = সৌর।

দেব + অ = দৈব ইত্যাদি।

ভাব অর্থে বিশেষ্যপদ গঠন। যেমন-

গুরু + অ = গৌরব।

শিশু + অ = শৈবব।

পুরুষ অ = পৌরুষ। 

সুষ্ঠ + অ = সৌষ্ঠব ইত্যাদি।

উপাসক এবং ওই বিষয় অর্থে, বিশেষণ পদ- যেমন-

বুদ্ধ + অ = বৌদ্ধ।

শক্তি = শাক্ত।

সরস্বতী + অ = সারস্বত।

শিব + অ = শৈব ইত্যাদি।

বিকার অর্থে নিষ্পন্ন বিশেষ্য পদ- যেমন- 

হিম (ঠাণ্ডা ) + অ = হৈম। 

তিল + অ = তৈল।

হেম (সােনা) + অ = হৈম। 

সুবর্ণ + অ = সৌবর্ণ ইত্যাদি।

২। ষ- অপত্য অর্থে বিশেষ্যপদ। যেমন-

অদিতি + য = আদিত্য।

সহিত + অ = সাহিত্য।

দিতি + অ = দৈত্য।

চণক + অ = চাণক্য ইত্যাদি।

ভাব এবং বৃত্তি অর্থে বিশেষ্য পদ- যেমন-

তরুণ + অ = তারুণ্য।

সুভগ + অ = সৌভাগ্য।

সফল + অ = সাফল্য।

চপ + অ = চাপল্য।

বিবাগ + অ = বৈরাগ্য ইত্যাদি।

ভাব, উৎস বা জাত অর্থে বিশেষণ পদ- যেমন-

আদি + অ = আদ্য।

দন্ত + অ = দন্ত্য।

ওষ্ঠ + অ = = ওষ্ঠ্য। 

পর্বত + অ = পার্বত্য।

গ্রাম + অ = গ্রাম্য।

কর্ম বা ধর্ম অর্থে বিশেষ্যপদ। যেমন-

পুরােহিত + অ = পৌরােহিত্য। 

দূত + অ = দৌত্য।

সেনাপতি + অ = সৈনাপত্য ইত্যাদি।

৩। ই- অপত্য অর্থে বিশেষপদ। যেমন-

রাবণ + ই = রাবণি।

সুমিত্রা + অ = সৌমিত্রি।

দশরথ + অ = দাশরথি।

অরুণ + অ = আরুণি।

সুর + অ = সৌর (জগৎ)ইত্যাদি।

৪। এয়- অপত্য অর্থে বিশেষণ। যেমন –

অগ্নি + এয় = আগ্নেয়।

কুন্তী + এয় = কৌন্তেয়।

বিনতা + এয় = বৈনতেয়। 

গঙ্গা + এয় = গাঙ্গে।

পাণ্ডব + এয় = পাণ্ডবেয়।

৫। অয়ন- কোনাে কোনাে বিষয় বা ব্যক্তি সংক্রান্ত এবং জাত অর্থে বিশেষ্যপদ। 

যেমন- দ্বীপ + অয়ন দ্বৈপায়ন (দ্বীপে জাত)।

রাম + অয়ন = রামায়ণ। 

অপত্য বা পুত্র অর্থে নর + অয়ন = নারায়ণ।

দক্ষ + অয়ন = দাক্ষায়ণ ইত্যাদি।

৬। ইক- সম্বন্ধ অর্থে বিশেষণ পদ। যেমন-

পুরাণ ইক = পৌরাণিক (পুরাণ সম্বন্ধীয়)। 

লােক + ইক = লৌকিক।

জগৎ + ইক = জাগতিক।

ভূগােল + ইক = ভৌগােলিক। 

শরীর + ইক = শারীরিক ইত্যাদি।

জ্ঞাত বা জানা অর্থে বিশেষণ পদ- যেমন- 

তত্তব + ইক = তাত্ত্বিক। 

অলংকার + ই = আলংকরিক। 

বেদ + ইক = বৈদিক ইত্যাদি।

বিশেষ সময়ে জাত, অবস্থিত অর্থে বিশেষণপদ ও 

যেমন – হেমন্ত + ইক = হৈমন্তিক।

ইহ + ইক = ঐহিক। 

পরলােক + ইক = পারলৌকিক ইত্যাদি।

বৃত্তি, নিবৃত্তি, ব্যাপ্তি ও সময় অর্থে বিশেষণপদ- সপ্তাহ + ইক = সাপ্তাহিক।

মাস + ই = মাসিক।

ধর্ম + ইক = ধার্মিক। 

বর্ষ + ইক = বার্ষিক ইত্যাদি।

স্বার্থে- বিশেষ্য ও বিশেষণ- যেমন-

পথ + ইক = পথিক।

ভূগােল + ইক = ভৌগােলিক। 

অধুনা + ই = আধুনিক। 

অর্থনীতি + ইক = অর্থনীতিক ইত্যাদি।

৭। ঈয়- নানা অর্থে বিশেষণ সম্বন্ধীয় পদ- যেমন-

ধৰ্ম + ঈয় = ধর্মীয়।

বঙ্গ + ঈয় = বঙ্গীয়।

স্বর্গ + ঈয় = স্বর্গীয়। 

শরৎ + ঈয় = শারদীয়।

বন্সি + ঈয় = বাষ্পীয় ইত্যাদি।

৮। ইতঃ জাত অর্থে বিশেষণপদ। যেমন-

পুষ্প + ইত = পুষ্পিত।

তরঙ্গ + ইত = তরঙ্গিত। 

মূচ্ছা + ইত = মূচ্ছিত।

পিপাসা + ইত = পিপাসিত ইত্যাদি।

৯। ঈন্ ও ভাব অর্থে বিশেষণ- যেমন-

সর্বজন + ঈ = সর্বজনীন।

কুল + ঈ = কুলীন।

গ্রাম + ঈ = গ্রামীণ।

সম্মুখ + ঈ = সম্মুখীন। 

বিশ্বজন + ঈ = বিশ্বজনীন ইত্যাদি।

১০। তন ও বিশেষণপদে পরিণত হয়। যেমন-

পূৰ্ব + তন = পূর্বতন।

পুরা + তন = পুরাতন। 

চির + তন = চিরন্তন।

প্রাক্ + তন = প্রাক্তন।

নূ (নব) + অন = নবতম নূতন ইত্যাদি।

(খ) ১। আই – এই প্রত্যয় যােগে নানা অর্থে বিশেষণপদ গঠিত হয়। যেমন- ভাব ও সম্বন্ধ অর্থে-

বামুন + আই = বামনাই।

খাড়া + আই = খাড়াই।

ননদ + আই = নন্দাই ইত্যাদি।

উৎপন্ন অর্থে-

ঢাকা + আই = ঢাকাই। 

খাগড়া + আই = খাগড়াই।

মােগল + আই = মােগলাই ইত্যাদি।

আদর অর্থে- বলাই ; কানাই (কানু আই) জগ + আই জগাই ইত্যাদি।

২। আমি (মিঃ আমাে – বিশেষ ভাব-বােধক বিশেষ্যপদ- যেমন-

পাগল + আমি = পাগলামি। 

পাগল + আমাে = পাগলামাে।

বাঁদর + আমি = বাঁদরামি।

বাঁদর + আমাে = বাঁদরমাে ইত্যাদি।

৩। আরি – আকার এবং বৃত্তিবােধক বিশেষ্য- যেমন-

মাঝ + আরি = মাঝারি। 

ভিখ + আরি = ভিখারি। 

পূজা + আরি পূজারি ইত্যাদি।

৪। আলি – বিশেষ্য বা বিশেষণপদ গঠন করে- যেমন-

সোনা + আলি = সােনালি। 

গৃহস্থ + আলি = গৃহস্থালি।

চৈত (ত্র) + আলি = চৈতালি।

মিতা + আলি = মিতালি ইত্যাদি।

৫। উক – স্বভাব-বােধক বিশেষণপদ-

ভার + উক = ভাবুক। 

নিন্দা + উক = নিন্দুক।

মিথ্যা + উক = মিথুক। 

হিংসা + উক = হিংসকু হিংসুটে ইত্যাদি।

৬। পনা – ভাববােধক বিশেষ্যপদ- যেমন- বেহায়াপনা, গুণপনা, গিন্নিপনা ইত্যাদি।

পানা /পারা – সাদৃশ্যবােধক বিশেষণ পদ- পাগলপারা, লালপান, কালােপানা ইত্যাদি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top