SEBA Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 Bengali Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF SEBA Class 10 Bengali textbook Solutions. I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 10 Bengali (MIL) Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Suggestions with you. SEBA Class 10 Bengali Solutions Chapter – 7 বাংলার নবযুগ I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Notes. If you liked SEBA Class 10 Bengali Chapter – 7 বাংলার নবযুগ Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
বাংলার নবযুগ
অনুশীলনীর প্ৰশ্নোত্তরঃ
( ক ) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ছাত্র আন্দোলন কোন শহরে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ ছাত্র আন্দোলন প্রথমে গড়ে উঠেছিল বোম্বাই শহরে । পরে আনন্দমোহন বসু ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় ছাত্র আন্দোলন কলকাতায় গড়ে উঠেছিল ।
প্রশ্ন ২। দাক্ষিণাত্যে আধুনিক রাষ্ট্রজীবনের প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তরঃ দাক্ষিণাত্যে আধুনিক রাষ্ট্রজীবনের প্রতিষ্ঠাতা হল দাক্ষিণাত্য শিক্ষাসমাজ বা Deccan Education Society.
প্রশ্ন ৩। কলিকাতা ছাত্রমণ্ডলীর প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তরঃ কলিকাতা ছাত্রমণ্ডলীর প্রতিষ্ঠাতা হলেন আনন্দমোহন বসু ।
প্রশ্ন ৪। কোথায় প্রথম সুরেন্দ্রনাথের বাগ্মী প্রতিভার পরিচয় ঘটে ?
উত্তরঃ কলিকাতা ছাত্ৰমণ্ডলী বা Student’s Association- এর রঙ্গমঞ্চেই প্রথম সুরেন্দ্রনাথের বাগ্মী প্রতিভার পরিচয় ঘটে ।
( খ ) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। আনন্দমোহন বোম্বাই শহরে কী দেখে আসেন ?
উত্তরঃ বিলেত থেকে ফেরবার সময় বোম্বাই শহরে শিক্ষিত ও শিক্ষার্থীরা মিলিত হয়ে , কীভাবে দেশে একটা নতুন শক্তি জাগাবার চেষ্টা করছিল তা আনন্দমোহন দেখে আসেন ।
প্রশ্ন ২। বোম্বাইয়ের ছাত্র আন্দোলন কী নামে পরিচিত ছিল ? তার উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তরঃ বোম্বাইয়ের ছাত্র আন্দোলন Student Movement নামে পরিচিত ছিল । তার উদ্দেশ্য ছিল দেশে কীভাবে একটা নতুন শক্তি জাগানো যায় , যার ফলে সমাজের নতুন শিক্ষা অর্জন হবে।
প্রশ্ন ৩। দাক্ষিণাত্য শিক্ষক সমাজের জন্ম কীভাবে হয়েছিল ?
উত্তরঃ বোম্বাইয়ে যে নতুন ছাত্রমণ্ডলী Student Movement গড়ে উঠেছিল এবং তাদের নতুন আন্দোলন থেকেই ক্রমে ক্রমে দাক্ষিণাত্য শিক্ষাসমাজ বা Deccan Education Society- র জন্ম হয়েছিল ।
প্রশ্ন ৪। কলিকাতা ছাত্রমণ্ডলীর সভাপতি ও সম্পাদক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ কলিকাতা ছাত্রমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন আনন্দমোহন বসু এবং সম্পাদক ছিলেন নন্দকৃষ্ণ বসু ।
প্রশ্ন ৫। সুরেন্দ্রনাথের বক্তৃতার বিষয় কি ছিল ? তিনি কোথায় প্রথম বক্তৃতা করেছিলেন ?
উত্তরঃ সুরেন্দ্রনাথের বক্তৃতার বিষয় ছিল— ‘ Rise of the Sikh power in India ‘. কলিকাতার ছাত্রমণ্ডলী বা Student’s Association- এর রঙ্গমঞ্চেই তিনি প্রথম বক্তৃতা করেছিলেন ।
( গ ) দীর্ঘ উত্তর লেখো :
প্রশ্ন ১। বাংলায় নবযুগ প্রবর্তনে সুরেন্দ্রনাথের ভূমিকা বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ বিপিনচন্দ্র পালের ‘ বাংলার নবযুগ ‘ গদ্যাংশটিতে সুরেন্দ্রনাথের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হতে দেখা গেছে ।
আনন্দমোহন বসুর সাথে মিলিত হয়ে সুরেন্দ্রনাথ বোম্বাইয়ের এক ছাত্রমণ্ডলীর অভিনব আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতায় একই ধরনের এক ছাত্রমণ্ডলী গঠন করেন এবং তাঁরা উভয়েই এই ছাত্রমণ্ডলীর দ্বারা দেশের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রকর্মকে তুলে ধরেন । সুরেন্দ্রনাথই প্রথম কলকাতার ছাত্রমণ্ডলীকে অবলম্বন করে সেকালের শিক্ষানবীশ বাঙালীদের রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তুলেছিলেন ।
সুরেন্দ্রনাথ হলেন একজন অন্যতম বাগ্মী প্রতিভাবান ব্যক্তি । তাঁর এই বাগ্মী প্রতিভার পরিচয় সর্বপ্রথম পাওয়া যায় কলিকাতা ছাত্রমণ্ডলী বা Student’s Association- এর রঙ্গমঞ্চে । তিনি Rise of the Sikh Power ‘ বিষয় সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা থেকে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মণ্ডলীর অন্তরে অভূতপূর্ব ভাবের বন্যা শুরু হয়েছিল । আমাদের সকলের সামনে সুরেন্দ্রনাথই সর্বপ্রথম শিখ ইতিহাসের স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনী বর্ণনা করেন । সকলের কাছে তাঁর সেই বক্তব্য খুবই উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল ।
সাহিত্যের মধ্য দিয়ে , নাট্যকলা ও রঙ্গমঞ্চের মাধ্যমে ও ইংরাজের শিক্ষাদীক্ষার ফলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নামে গতানুগতিক ধর্মদ্রোহিতা এবং সমাজদ্রোহিতার ভিতর দিয়ে নব্যশিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে যে অভিনব স্বাধীনতার প্রেরণা এবং স্বাজাত্যাভিমান জেগে উঠেছিল সুরেন্দ্রনাথই সেই জেগে ওঠা প্রেরণাকে রাষ্ট্রীয় কর্মক্ষেত্রে তুলে ধরেন । আধুনিক ইতিহাসে ভারত মহাকাব্যের যে আদর্শ ফুটে উঠেছিল তা কেবলমাত্র সুরেন্দ্রনাথের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে সকলের কল্পনাকে বাস্তব জগতে ফিরিয়ে এনেছিল । তাঁর বক্তৃতা বাংলার নবযুগের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা । সেদিন থেকেই নবযুগের বাংলার ইতিহাসে নতুন রাষ্ট্রকর্মের এবং রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম হয় ।
প্রশ্ন ২। বাংলার জাতীয় চেতনার বিকাশে আনন্দমোহন বসুর অবদান কতখানি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ‘ বাংলার নবযুগ ‘ গদ্যাংশটিতে বিশিষ্ট বাগ্মী বিপিনচন্দ্র পাল আনন্দমোহন বসুকে বাংলার জাতীয় চেতনার দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য স্থান দিয়েছেন । আনন্দমোহন বসু একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং একজন অন্যতম শিক্ষক ।
বিলেত থেকে দেশে ফেরবার সময় বোম্বাই শহরে শিক্ষিত ও শিক্ষার্থীদের মিলিত হয়ে এক নতুন শক্তিজোট গড়ে উঠতে দেখেছিলেন । বোম্বাইয়ের ছাত্রমণ্ডলীকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সুরেন্দ্রনাথের সাথে মিলিত হয়ে কলকাতায় এই ধরনের ছাত্রমণ্ডলী গঠন করেন ১৮৭৫ সালের শেষ দিকে । আনন্দমোহন বসু ছিলেন এই ছাত্রমণ্ডলীর সভাপতি । এই ছাত্রমণ্ডলীকে আশ্রয় করেই আনন্দ মোহন নিজের নতুন রাষ্ট্রকর্ম দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন । আনন্দমোহন বসু সর্বপ্রথম কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমণ্ডলীকে রাষ্ট্রীয় জীবন গড়বার জন্য পথ দেখিয়েছিলেন । আনন্দমোহনের হাত ধরেই ‘ Calcutta Students Association ‘ জাগ্রত হয় ।
আনন্দমোহন বসু একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব যিনি হলেন রাষ্ট্রকর্মের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ । তিনি কলিকাতা ছাত্রমণ্ডলীর প্রাণপুরুষ ।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | প্রার্থনা |
অধ্যায় -২ | বিজয়া দশমী |
অধ্যায় -৩ | গ্রাম্যছবি |
অধ্যায় -৪ | প্রতিনিধি |
অধ্যায় -৫ | আবার আসিব ফিরে |
অধ্যায় -৬ | সাগর-সঙ্গমে নবকুমার |
অধ্যায় -৭ | বাংলার নবযুগ |
অধ্যায় -৮ | বলাই |
অধ্যায় -৯ | আদরণী |
অধ্যায় -১০ | তোতাকাহিনি |
অধ্যায় -১১ | অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম |
অধ্যায় -১২ | কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা |
অধ্যায় -১৩ | এসো উদ্যোক্তা হই |
অধ্যায় -১৪ | জীবন সংগীত |
অধ্যায় -১৫ | কাণ্ডারী হুঁশিয়ার |
অধ্যায় –১৬ | পিতা ও পুত্ৰ |
অধ্যায় -১৭ | অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি |
অধ্যায় –১৮ | শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ |
অধ্যায় -১৯ | উজান গাঙ বাইয়া |
বাংলা ব্যাকরণ | |
S.L. No | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
অধ্যায় -১ | তিওয়াগণ |
অধ্যায় -২ | দেউরিগণ |
অধ্যায় –৩ | নেপালিভাষী গোর্খাগণ |
অধ্যায় –৪ | বোড়োগণ |
অধ্যায় –৫ | মটকগণ |
অধ্যায় –৬ | মরাণগণ |
অধ্যায় –৭ | মিসিংগণ |
অধ্যায় –৮ | মণিপুরিগণ |
অধ্যায় –৯ | রাভাগণ |
অধ্যায় –১০ | চুটিয়াগণ |
প্রশ্ন ৩। সুরেন্দ্রনাথ ও আনন্দমোহন সম্পর্কে যা জান নিজের ভাষায় লেখো ।
উত্তরঃ রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথের ( ১৮৪৮-১৯২৫ ) জন্ম বারাকপুরের মণিরামপুর পল্লিতে । ১৮৭১ সালে আই . সি . এস . পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শ্রীহট্ট জেলায় সরকারি ম্যাজিস্ট্রেট থাকার সময় সরকারের সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় পদচ্যুত হন । বঙ্গভঙ্গ ( ১৯০৫ ) রোধ করায় তাঁর অশেষ ভূমিকা ছিল । তাঁর অসাধারণ বাগ্মিতা ও ব্যক্তিত্বের জন্য ১৮৯৫ ও ১৯০২ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন । তাঁর লেখা ‘ A Nation in Making ‘ বিখ্যাত । ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এতে বর্ণিত আছে ।
আনন্দমোহন বসু ( ১৮৪৭-১৯০৭ ) পণ্ডিত , শিক্ষাব্রতী , সমাজসেবক ও রাষ্ট্রনেতা । এঁর জন্ম ময়মন সিংহ জেলার জয়সিদ্ধি গ্রামে ( বর্তমান বাংলাদেশে ) । এম . এ . পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় আনন্দমোহন বসু প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন । অংকশাস্ত্রে তাঁর বিশেষ পারদর্শিতা ছিল । ১৮৭৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ক সর্বোচ্চ উপাধি ‘ র্যাংলার ’ লাভ করেন । সেই বছরই ব্যারিস্টার হয়ে বিলাত থেকে দেশে ফেরেন । ১৮৯৮ সালে জাতীয় কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন ।
● টীকা নিজে লেখো :
গোপালকৃষ্ণ গোখলে , লোকমান্য তিলক , রানাডে , হিন্দু স্কুল , তেগ বাহাদুর , গুরু গোবিন্দ
উত্তরঃ গোপালকৃষ্ণ গোখলে : গোপালকৃষ্ণ গোখলে হলেন ভারতের একজন সমাজ রাজনীতি বিষয়ক অন্যতম নেতা । তিনি ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ৯ ই মে মহারাষ্ট্রের কোঠাপুরে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলেন খুবই সাধারণ পরিবারের সন্তান । তিনি ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে এলফিনস্টোন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করেন । গোখলে ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য হন । ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের বারাণসী অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে গোপালকৃষ্ণ গোখলে বয়কট আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান । দাক্ষিণাত্য শিক্ষা সমাজ বা Deccan Education Society- তেও তিনি সদস্য হয়েছিলেন । তিনি বাল্যবিবাহকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন এবং প্রত্যাহার করার চেষ্টা করেন । ১৯১৫ সালের ১৯ শে ফেব্রুয়ারী এই মহান ব্যক্তিত্বের দেহাবসান ঘটে।
লোকমান্য তিলক : ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ২৩ শে জুলাই মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে বালগঙ্গাধর তিলক জন্মগ্রহণ করেন । তিলক হলেন একজন সংস্কৃতিমনস্ক মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান । তিলক প্রথমে ‘ আইন’ পড়বার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন । কিন্তু পরে একটি প্রাইভেট স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক হন । ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি দাক্ষিণাত্য শিক্ষা সমাজের সদস্য হয়েছিলেন । তাঁর একটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছিল যার নাম ‘ কেশরী ‘ — মারাঠী পত্রিকা । তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন । ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে ১ লা আগস্ট এই মহান বিপ্লবীর মহাপ্রয়াণ ঘটে । তিলকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহারাষ্ট্রের কিছু কিশোর ‘ বাল সমাজ ‘ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করে ।
রানাডে : মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে ১৮ ই জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন । সাত বছর বয়স থেকেই তিনি সমাজসেবায় নিযুক্ত হন এবং বাল্য – বিবাহ , বিধবা বিবাহ প্রভৃতি বিষয়ক কাজে নিযুক্ত হন । ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাইয়ের এলিফিনস্টোন কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন । রানাডে তাঁর ‘ ইন্ডিয়ান ইকনমি ‘ গ্রন্থ মারফৎ ইংরেজদের স্বৈরাচারী শোষণের মারকা স্বরূপ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন । আত্মারাম নাত্তুরঙ্গের পরবর্তী সময়ে গোবিন্দ রানাডে প্রার্থনা সমাজে যোগদান করেন । গোবিন্দ রানাডে তাঁর মূল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ গ্রন্থে ব্রিটিশ শোষণের নগ্নরূপ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন । ১৯০১ সালের ১৬ ই জানুয়ারী পুণাতে এই মহান বিপ্লবীর দেহাবসান ঘটে ।
হিন্দুস্কুল : ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় । কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় , ডেভিড হেয়ার ও রাধাকান্ত দেবের দ্বারা হিন্দু স্কুল নির্মিত হয় । এই স্কুলে বিজ্ঞান , কলাবিভাগ ও বাণিজ্য বিভাগ বিষয়গুলি শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য ।
তেগবাহাদুর : গুরু তেগবাহাদুর ১৬২১ খ্রিস্টাব্দের ১ লা এপ্রিল পাঞ্জারের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি শিখ সম্প্রদায়ের ষষ্ঠ গুরু। তাঁর একটি কন্যা ও পাঁচজন পুত্র । হিন্দু ও শিখদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের যে লড়াই তাকে তিনি তীব্রভাবে প্রত্যাহারে সোচ্চার হয়ে ওঠেন । তিনি ১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১১ ই নভেম্বর দিল্লীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।
গুরু গোবিন্দ : গুরু গোবিন্দ সিং জন্মগ্রহণ করেন পাটনাতে ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে ২২ শে ডিসেম্বর । তাঁর পিতার নাম গুরু তেজ বাহাদুর এবং মাতা হলেন মাতা গুজরি । তিনি হলেন শিখ সম্প্রদায়ের দশম শুরু । তিনি সংস্কৃত ও পারসিক এবং যুদ্ধ বিষয়ক শিক্ষা লাভ করেন । তিনি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন । তিনি ৪১ বছর বয়সে ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে ৭ ই অক্টোবর দেহত্যাগ করেন ।
প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি : জন্মসূত্রে গুজরাটি । কলকাতায় এসে সেকালে প্রচুর তুলো রপ্তানি করে বিপুল অর্থ ও বিত্ত উপার্জন করেন । পরে বোম্বাইয়ের ( মুম্বাই ) তুলোর বাজারেও তাঁর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে । জীবনের উপার্জন থেকে ৬০ লক্ষ টাকা দান করেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে যে দু’লক্ষ টাকা দেন তা থেকে ১৮৬৮ সালে P.R.S. ( Premchand Roychand Scholarship ) বৃত্তি চালু হয় এবং তা আজও অব্যাহত আছে ।
সংস্কৃত কলেজ : কলকাতায় সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি । বউবাজারের এক ভাড়া বাড়িতে কলেজের সূচনা । দু’বছর পরে বর্তমান কলেজ স্কোয়ারে কলেজ ভবনটি স্থানান্তরিত হয় । সংস্কৃত ভাষার নানান বিষয় শেখানোর উদ্দেশ্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় । ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০ ১৮৯১ ) এই কলেজের ছাত্র ছিলেন পরে অধ্যক্ষ হন । ১৮৬০ সালে কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায় ।
সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর : জোড়াসাঁকো ( কলকাতা ) ঠাকুরবাড়ির অন্যতম বিখ্যাত সন্তান হলেন সত্যেন্দ্র ঠাকুর । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় পুত্র রবীন্দ্রনাথের সেজদাদা । ১৮৬৪ সালে ভারতে প্রথম আই . সি . এস ( Indian Civil Service ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । সত্যেন্দ্রনাথ সুলেখক ছিলেন । তাঁর রচনার মধ্যে আছে ‘ সুশীলা ও বীরসিংহ ’ নাটক, ‘ বোম্বাই চিত্র ’ , ‘ বাল্যকথা ’ , ‘ বৌদ্ধধর্ম ’ ইত্যাদি । তিনি বাল গঙ্গাধর তিলকের গীতাভাষ্য বাংলায় অনুবাদ করেন । তাঁর দেশাত্মবোধক গান ‘ গাও ভারতের জয় ’ হিন্দুমেলায় ( ১৮৬৭ ) গীত হয় ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Thank You Very Much and you Stay With Us