SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 12 সুখ Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

সুখ

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। কবিতাটি শুদ্ধ উচ্চারণে পড়ো ও আবৃত্তি করো।

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো।

প্রশ্ন ২। উত্তর দাও।

(ক) পরের জন্য কী ত্যাগ করতে হয়?

উত্তরঃ পরের জন্য আপন স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়।

(খ) ‘সুখ’ ‘সুখ’ করে কাঁদলে কী বাড়ে?

উত্তরঃ সুখ-সুখ করে কাঁদলে মানসিক যন্ত্রণা বাড়ে।

(গ) সকলের হাসি দেখে কী মোছা যায়?

উত্তরঃ সকলের হাসি দেখে নিজেদের চোখের জল মোছা যায়।

(ঘ) আমাদের সকলের জীবন কার জন্য?

উত্তরঃ অপরের ভালোর জন্যই আমাদের সকলের জীবন।

(ঙ) পৃথিবীতে আমরা কেন এসেছি?

উত্তরঃ আত্মসুখ বিসর্জন দিয়ে সকলের জন্য চিন্তা করার জন্য, অপরের সুখদুঃখের ভাগীদার হওয়ার জন্য, ক্ষুদ্র স্বার্থচিত্তা বিসর্জন দিয়ে অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যই পৃথিবীতে আমরা এসেছি।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

প্রশ্ন ৩। শব্দের অর্থগুলো দাগ টেনে মেলাও।

স্বার্থ – দুঃখ।

নয়ন – ব্যতিব্যস্ত।

ব্ৰত – মন, চিত্ত।

বিষাদ – অবশ্যপালনীয় কর্ম।

বিব্রত – নিজের লাভ বা উপকার।

অবনি – চোখ।

হৃদয় – পৃথিবী।

উত্তরঃ স্বার্থ – নিজের লাভ বা উপকার।

নয়ন – চোখ।

ব্ৰত – অবশ্যপালনীয় কর্ম।

বিষাদ – দুঃখ।

বিব্রত – ব্যতিব্যস্ত।

অবনি – পৃথিবী।

হৃদয় – মন, চিত্ত।

প্রশ্ন ৪। কবিতাটির মূলভাব নিজের মতো করে লেখো।

উত্তরঃ মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ পরার্থপরতা। মানুষের সঙ্গে অন্য জীবজন্তুর এখানেই পার্থক্য। আত্মরক্ষা, বংশরক্ষা, খাদ্য সংগ্রহ জীবমাত্রেরই জৈবিক ধর্ম। মানুষেরও এসব প্রবৃত্তি রয়েছে। এর উপর আবার জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, হৃদয়ের সুকোমল বৃত্তি প্রভৃতি মহৎ গুণের অধিকারী মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক ভাবনাচিন্তা, কার্যকলাপ মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে। সংসারে স্বার্থপরেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। সমাজের অপর সকলের কথা ভুলে গিয়ে শুধু নিজেকে নিয়ে অতি ব্যস্ত ও বিব্রত থাকে তারা। অথচ সমাজ সংসারের কাছে তাদের ঋণের বোঝা অপরিসীম। মানুষ সামাজিক জীব। সংঘবদ্ধ জীবনই তাকে দিয়েছে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য। সেজন্য প্রতিটি মানুষেরই সমাজ সংসারের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতা মহাপাপ। পারস্পরিক সহযোগিতার যোগসূত্রে সকলেই আবদ্ধ। আমরা কেউই কেবল নিজের জন্য জগৎ সংসারে আসিনি। একা বাঁচাও যায় না। সকলের সাথে মিলে মিশে বাঁচাই হল সার্থক বাঁচা। তার জন্য প্রয়োজন আত্মত্যাগ। পরার্থে আত্মোৎসর্গে জীবন সার্থক হয়- এই বোধ থাকলেই ব্যক্তিজীবনে যেমন সত্যকার সুখের অধিকারী হওয়া যায়, তেমনি সমষ্টি জীবনও সুখের আগারে পরিণত হয়। পরার্থে কর্ম-সাধনা ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত প্রচুর আছে। মহৎ জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা নিজের দিকে না তাকিয়ে সারা জীবন পরের কল্যাণ করেই গেছেন। অপরের দুঃখ-কষ্টে আপদ-বিপদে সহানুভূতি ও সাহায্যের দক্ষিণ হস্ত সম্প্রসারণ করাই পরম মানব ধর্ম।

প্রশ্ন ৫। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

সকলের ………………………হাসি-ভরা দেখে

পার না……………………… নয়ন-ধার?

পরহিত-ব্রতে পার না ………………………

চাপিয়া……………………… বিষাদ-ভার?

উত্তরঃ সকলের মুখ হাসি-ভরা দেখে

পার না মুছিতে নয়ন-ধার?

পরহিত-ব্রতে পার না রাখিতে

চাপিয়া আপন বিষাদ-ভার?

প্রশ্ন ৬। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।

আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে

আসে নাই কেহ অবনি পরে,

সকলের তরে সকলে আমরা,

প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।

উত্তরঃ আমরা সকলে নিজেদের নিয়ে এই পৃথিবীতে ব্যস্ত। কিন্তু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে আমাদের কিন্তু কারও জন্ম হয়নি। এই সমাজের প্রত্যেকটি মানুষই একে অপরের জন্য চিন্তা-ভাবনা করবে- এটাই ছিল অভিপ্রেত। কারণ মানুষই একমাত্র জীব। সে সমাজ গঠন করেছে। সমাজের সকল মানুষেরই তাই একের আপদে-বিপদে অন্যের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। মানুষের মনের দয়া, মায়া, স্নেহ, প্রেম- প্রীতি- ভালোবাসা প্রভৃতি মানবিক গুণাবলিই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে উন্নীত করেছে। অন্যান্য প্রাণীরা নিজের নিজের সুখ শান্তিতেই সন্তুষ্ট। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। সেইজন্য স্বতঃই প্রশ্ন জাগে, মানুষও কী ওই রকম ছোটো প্রাণীর ছোটো সংকীর্ণ জীবনের মধ্যে কেবল আটকে থাকবে। এই জন্যই কী আমাদের এই পৃথিবীতে আসা? এই কবিতাটির মধ্যে দিয়ে সেসব জিজ্ঞাসারই জবাব দিয়েছেন কবি। কবিতাটির মধ্যে দিয়ে কবি স্পষ্টভাবে বলতে চেয়েছেন, স্বার্থপরতা কখনোই প্রকৃত বাঁচার পথ নয়। সমাজ সংসারে আমরা কেউই ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার দ্বীপে বাস করতে পারি না। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে আমরা মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিনি। প্রীতি ভালোবাসা সেবা ইত্যাদির দ্বারা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এইরূপে বহুজনের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করলে আমরা নিজেরাও সমৃদ্ধ হবো। তবেই আমরা মানুষ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবো এবং সার্থকভাবে বাঁচবো।

বোঝা যায় কবির এই বাণী নিছক আদর্শের বাণী নয়, এ বাণী খুবই বাস্তব। এ বাণীর নির্দেশ আমাদের সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার পথে খুবই জরুরী।

খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

ロ জেনে নাও।

পাঠে তোমরা ‘কারণে’, ‘জীবন’, ‘মরণে’, ‘নয়ন’, ‘আপন’, ‘অবনি’ প্রভৃতি শব্দ পেয়েছ। এই শব্দগুলোর কতকগুলোতে ‘ন’ (দন্ত্য-ন) এবং কর্তকগুলোতে ‘ণ’ (মূর্ধন্য-ন) ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলা বানানে ‘ন’, ‘ণ’  ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এই নিয়ম জেনে লিখলে বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এই নিয়মগুলোকে ণ-ত্ব বিধি বলা হয়।                  কোনো শব্দে ঋ, র, ষ থাকলে তার পর সাধারণত মূর্ধন্য-ণ ব্যবহৃত হয়। যেমন- কারণ, মরণ, ধারণা, বর্ণ, ঋণ, বিষ্ণু, রণ ইত্যাদি। তবে ধরন, করেন, পরেন, নরেন প্রভৃতি বাংলা শব্দে এই নিয়ম মানা হয় না।

প্রশ্ন ৭। নীচের শব্দগুলোর বানান অশুদ্ধ থাকলে শুদ্ধ করো।

প্রনাম, বিশেষন, অনুসরণ, পরিনয়, প্রাণ, প্রনব

উত্তরঃ প্রণাম।

বিশেষণ।

অনুসরণ। 

পরিণয়।

প্রাণ।

প্রণব।

ロ জেনে নাও

কয়েকটি বানানে কোনো বর্ণের প্রভাব ছাড়াই ‘ণ’ হয়। যেমন- বাণিজ্য, লাবণ্য, শোণিত, গণনা, গণিত, চাণক্য, নিপুণ, লবণ, বণিক, পুণ্য, পন, বাণ ইত্যাদি।

ロ জেনে নাও

ঋষি, ঋষভ শব্দে ঋ-এর পর ‘ষ’ হয়েছে, ‘স’ বা ‘শ’ হয়নি। বাংলায় ‘শ’, ‘স’, ‘ষ’ ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়মকে ষ-ত্ব বিধি বলে।

প্রশ্ন ৮। এবার নীচে শুদ্ধ শব্দে 〇 চিহ্ন দাও।

(ক) ঋস্য, ঋশ্য, না ঋষ্য (এক ধরনের হরিণ, কৃষ্ণসার মৃগ)।

(খ) বৃষ্টি, বৃষ্টি, না বৃষ্টি।

(গ) বৃষ, বৃস, না বৃশ।

(ঘ) দৃষ্টি, দৃষ্টি, না দৃষ্টি।

উত্তরঃ (ক) ঋস্য, ঋশ্য, না ঋষ্য (এক ধরনের হরিণ, কৃষ্ণসার মৃগ)।

(খ) বৃষ্টি, বৃষ্টি, না বৃষ্টি।

(গ) বৃষ, বৃস না বৃশ।

(ঘ) দৃষ্টি, দৃষ্টি, না দৃষ্টি।

প্রশ্ন ৯। দুষ্ট, ঘনিষ্ঠ, স্পষ্ট, প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি শব্দে ‘ট’ ও ‘ঠ’ -এর সঙ্গে সব সময়ই ‘ষ’ হয়। এবার ‘ক্ট’ ও ‘ন্ঠ’ যুক্ত পাঁচটি করে শব্দ লেখো।

ষ্ট – ………….  ………….  …………  ……….. 

ষ্ঠ – ………….  ………….  …………  ……….. 

উত্তরঃ ষ্ট – নষ্ট, স্পষ্ট, আদিষ্ট, কষ্ট।

ষ্ঠ – ওষ্ঠ, জ্যেষ্ঠ, বলিষ্ঠ, ভূমিষ্ঠ।

ロ জেনে নাও

‘ণ’-এর পর ‘ষ’ হয়। যেমন- শ্রীচরণেষু। কিন্তু মনে রাখবে অন্যান্য জায়গায় হবে। কল্যাণীয়াসু, সুচরিতাসু ইত্যাদি।               এ ছাড়াও কয়েকটি বানানে স্বাভাবিক ভাবেই ‘ষ’-এর ব্যবহার হয়। যেমন- কোষ, পুষ্প, দোষ, ভাষা, মেষ, আষাঢ়, ঈষৎ, ষোড়শ, শেষ, বর্ষা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১০। দু-জন করে দলে ভাগ হয়ে নীচের শুদ্ধ বানানটিকে খুঁজে বের করে লেখো।

অষম/অসম ………………

বিমর্শ/বিমর্ষ ………….

শশ্য/শস্য ………………..

কৃশ/কৃষ ……………

বিষেশন/বিশেষণ …………….

মানসিক/মানষিক ……………

উত্তরঃ অসম (শুদ্ধ)।

বিমর্ষ (শুদ্ধ)।

শস্য (শুদ্ধ)।

কৃশ (শুদ্ধ)।

বিশেষণ (শুদ্ধ)।

মানসিক (শুদ্ধ)।

প্রশ্ন ১১। বাক্য রচনা করো।

স্বার্থ, জীবন, হৃদয়, পরহিত, বিষাদ, অবনি, বিব্রত

উত্তরঃ স্বার্থ- পরের উপকারের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়।

জীবন- মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান।

হৃদয়- পৃথিবীতে হৃদয়বান মানুষের সংখ্যা কম।

পরহিত- বিদ্যাসাগরের জীবনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরহিত ব্রত।

বিষাদ- আমাদের সকলের জীবন আনন্দ বিষাদ পূর্ণ।

অবনি- অবনি সকলের থাকবার জায়গা।

বিব্রত- অনেক পরিস্থিতিতে বিব্রত বোধ করতে হয়।

প্রশ্ন ১২। বিপরীত শব্দ লেখো।

জীবন- ……………

হাসি- ……………..

দিন- ………………..

উত্তরঃ জীবন – মরণ

হাসি – কান্না। 

দিন – রাত্রি

প্রশ্ন ১৩। নীচের ব্যাসবাক্যগুলোকে সমস্ত পদে পরিবর্তন করো।

শরণকে আগত – শরণাগত

সুখকে প্রাপ্ত – …………………

আধাভাবে ফোটা – …………………

দানে বীর – …………………

উত্তরঃ শরণকে আগত – শরণাগত

সুখকে প্রাপ্ত – সুখ প্রাপ্ত

আধাভাবে ফোটা – অর্ধ প্রস্ফুটিত

দানে বীর – দানবীর

👎 জেনে নাও

যে সমাসে পূর্বপদের কারকবোধক বা সম্বন্ধ-বোধক বিভক্তি লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

প্রশ্ন ১৪। নীচের সমস্ত পদগুলোকে ব্যাস বাক্যে পরিবর্তন করো। 

(ক) চিরসুখ – চিরকাল ধরে সুখ।

বিষয়াপন্ন – …………………

অর্ধমৃত – …………………

পূর্বপদে দ্বিতীয়া বিভক্তি লুপ্ত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।

(খ) মধুমাখা – মধুর দ্বারা মাখা

বিদ্যাহীন – ……………………

বজ্রাহত – ……………………

পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তি লুপ্ত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।

রান্নাঘর – রান্নার নিমিত্ত ঘর

ছাত্রাবাস – ……………………

শান্তিনিকেতন – ……………………

পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি লুপ্ত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে।

(ঘ) ধর্মভ্রষ্ট – ধর্ম থেকে ভ্রষ্ট

গাছপাড়া – ……………………

রোগমুক্তি – ……………………

পূর্বপদে পঞ্চমী ভিক্তি লুপ্ত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে।

(ঙ) নরোত্তম – নরের উত্তম

শিক্ষামন্ত্রী – ……………………

দেশবন্ধু – ……………………

পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তি লুপ্ত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।

উত্তরঃ (ক) চিরসুখ – চিরকাল ধরে সুখ।

বিষয়ের আপন্ন – বিষয়াপন্ন।

অর্ধেক মৃত – অর্ধমৃত।

(খ) মধুমাখা – মধুর দ্বারা মাখা।

বিদ্যাহীন – বিদ্যার দ্বারা হীন।

বজ্রাহত – বজ্রের দ্বারা হত।

(গ) রান্নাঘর – রান্নার নিমিত্ত ঘর।

ছাত্রাবাস – ছাত্রের নিমিত্ত বাস।

শান্তিনিকেতন – শক্তির জন্য নিকেতন।

(ঘ) ধর্মভ্রষ্ট – ধর্ম থেকে ভ্রষ্ট।

গাছপাড়া – গাছ থেকে পাড়া।

রোগমুক্তি – রোগ থেকে মুক্তি।

(ঙ) নরোত্তম – নরের উত্তম।

শিক্ষামন্ত্রী – শিক্ষার মন্ত্রী।

দেশবন্ধু – দেশের বন্ধু।

ロ জেনে নাও

ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে আরও কয়েকটি বিষয় লক্ষ করো।
⇒ ‘রাজা’ শব্দ পরে থাকলে প্রায়ই শেষের আকার লোপ পায়। যেমন- জাপানের রাজা = জাপানরাজ; এরূপ- কুরুরাজ, ধর্মরাজ ইত্যাদি।
⇒ ‘দাস’ শব্দ পরে থাকলে কালী, দেবী ও ষষ্ঠী শব্দের ঈ হ্রস্ব-ই হয়। যেমন- কালিদাস, দেবিদাস, ষষ্ঠিদাস। কিন্তু কালীচরণে-এ ‘ঈ’ বজায় আছে।

(ক) কাৰ্যদক্ষ – কার্যে দক্ষ

সংখ্যালঘু – ………………..

বিশ্ববিখ্যাত – ……………….

পূর্বপদে সপ্তমী বিভক্তি লুপ্ত হয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয় তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে।                এই সমাসে অনেক স্থানে পূর্বপদের স্থানান্তর পরপদে ঘটে। যেমন -পূর্বে ভূত ভূতপূর্ব, পূর্বে দৃষ্ট দৃষ্টপূর্ব ইত্যাদি।

(খ) হাতেকাটা – হাত দিয়ে কাটা

ঘানির তেল – ……………………

কানে শোনা – ……………………

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে বিভক্তি লুপ্ত হয় না তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে।

(গ) অসুখ – সুখ নয়

অসভ্য – ……………………

অনন্ত – ……………………

যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে নিষেধার্থক অব্যয় থাকে তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলে।

উত্তরঃ (ক) কার্যদক্ষ – কার্যে দক্ষ।

সংখ্যালঘু – সংখ্যাতে লঘু।

বিশ্ববিখ্যাত – বিশ্বে বিখ্যাত।

(খ) হাতেকাটা – হাত দিয়ে কাটা।

ঘানির তেল – ঘানি থেকে পাওয়া তেল।

কানে শোনা – কান দিয়ে শোনা।

(গ) অসুখ – সুখ নয়।

অসভ্য – সভ্য নয়।

অনন্ত – অন্ত নয়।

গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ

প্রশ্ন ১৫। দু-জন করে দলে ভাগ হয় নীচের কবিতার অংশটি আবৃত্তি করো। যে-শব্দগুলোকে অপরিচিত মনে হবে, দলের একজন তা খুঁজে বের করবে, আরেকজন অভিধান থেকে সেই শব্দগুলোর অর্থ দেখে নেবে। তারপর দু-জনে মিলে শব্দার্থ মিলিয়ে কবিতাটির অর্থ বোঝার চেষ্টা করবে।

বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে।

করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,

দীন যে, দীনের বন্ধু!-উজ্জ্বল জগতে

হেমাদ্রির হেমকাস্তি অম্লান কিরণে।

উত্তরঃ দুজনে মিলে চেষ্টা করো।

ロ এসো, নেতাজির জীবনের একটি ঘটনার কথা শুনি।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছোটোবেলায় খুব বন্ধুবৎসল ছিলেন। একবার তাঁর এক বন্ধুর বসন্ত রোগ হয়েছিল। বসন্ত রোগটা ছোঁয়াচে বলে কেউ তার কাছে যেতে চাইছিল না। রোগের খবর পেয়ে সুভাষ কিন্তু ছুটলেন বন্ধুর বাড়ি। সেবাযত্ন করে বন্ধুকে ভালো করে তুললেন এবং নিজের জলখাবারের পয়সা বাঁচিয়ে বন্ধুর জন্য ওষুধ আর পথ্য কিনলেন।

প্রশ্ন ১৬। ওপরের ঘটনা থেকে তোমরা বন্ধুবাৎসল্য ও সেবাপরায়ণতার পরিচয় পেলে। বন্ধুর বিপদে তোমরাও এভাবে এগিয়ে আসবে। যতটুকু পার অন্যকে সাহায্য করার চেষ্টা করবে। এ-বিষয়ে তোমার কোনো অভিজ্ঞতা শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীকে লিখে দেখাবে।

উত্তরঃ দুপুর গড়িয়ে গেছে। বাড়ির সকলেরই খাওয়া হয়ে গিয়েছে। সকলের শেষে সব কাজকর্ম সেরে বাড়ির গৃহিণী খেতে বসবেন। এমন সময় সদর দরজার বাইরে থেকে এক করুণ কণ্ঠ ভেসে এল— ‘মাগো দুটি ভাত দাও। দুদিন ধরে খায়নি আমার ছেলেটা। খিদেয় পেট জ্বলে গেল মা! দুটি খেতে দাও মা!’ বাড়ির গৃহিণীর আর খেতে বসা হল না। তিনি দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলেন একটি শতচ্ছিন্ন ময়লা কাপড় পরা মহিলা একটি ৫/৬ বছরের ছেলের হাত ধরে দাঁড়িয়ে কাতর স্বরে ডাকছে। ছেলেটির পেট ও পিঠ যেন প্রায় মিশে গেছে। মায়ের চেহারা কঙ্কালসার। গৃহিণী দরজা খুলে বললেন, ভেতরে এসো, এই কলের জলে ভালো করে হাত মুখ ধুইয়ে দাও তোমার ছেলের। তুমিও হাত মুখ ধুয়ে নাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই গৃহিণী নিজের খাবারের থালাটা এনে রাখলেন মা ছেলের সামনে। ছেলেটি গোগ্রাসে খেতে লাগল। ছেলেটির খাওয়ার পর বাকি ভাতটুকু মা খেল। গৃহিণী বুঝেছিল মহিলাটি “ভিখারি নয়। বিপদে পড়েছে বলেই খাবার চাইতে বেরিয়েছে। তাই ওরা চলে যাওয়ার সময় কয়েকটি টাকা হাতে দিয়ে বললেন-এসো, সাবধানে যেও। স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িতা মেয়েটির দিকে অপলক নয়নে তাকিয়ে রইলেন গৃহিণী। তারপর ঘরে এসে একটা বাটিতে মুড়ি আর কয়েকটি লাল বাতাসা নিয়ে খেতে লাগলেন। ভাবছিলেন সদ্য চলে যাওয়া অতিথির দুঃখের কথাগুলি। তারপর খাওয়া শেষ করে ঢক ঢক করে এক ঘটি জল খেয়ে পেট ভরালেন।

প্রশ্ন ১৭। নীচের প্রার্থনা-সংগীতটি তোমরা সমবেতভাবে গাও।

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে

বিরাজ’, সত্য সুন্দর।।

মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগন মাঝে,

বিশ্বজগৎ মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে…।।

কবি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উত্তরঃ ছাত্রছাত্রীরা সমবেতভাবে গাও।

ঘ-প্রকল্প

প্রশ্ন ১৮। তুমি তোমার গুরুজন, স্নেহভাজন ও বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তিদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কী ভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সে-বিষয়ে দলে ভাগ হয়ে আলোচনা করে একটি তালিকা তৈরি করো।

উত্তরঃ অভিভাবকের মাধ্যমে নিজেরা চেষ্টা করো।

প্রশ্ন ১৯। তোমরা দলে আলোচনা করে একটি প্রার্থনাসংগীত তৈরি করো এবং শ্রেণিতে সবাইকে গেয়ে শোনাও।

উত্তরঃ দলগতভাবে চেষ্টা করো।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top