SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 15 শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। পদ্যটি স্পষ্ট উচ্চারণে সুর, লয় ও ছন্দের সঙ্গে সবাই মিলে আবৃত্তি করবে।

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো।

প্রশ্ন ২। শব্দ-সম্ভার বা অভিধান দেখে নীচের শব্দের অর্থগুলো খুঁজে নিজের খাতায় লেখো ও শেখো।

মৃত্তিকা, রঙ্গ, সম্বর, নেতের অঞ্চল, ভক্ষ্য, ভোজ্য, লেহা, পেয়, চৰ্য, চুষ্য, বদন, স্থাবর, জঙ্গম, সিদ্ধ, শৈল, সাধ্যগণ, বিদ্যাধর, গন্ধর্ব্ব, কিন্নরী, রোমাঞ্চিত, কদাচ, ধন্দ, সলিল, মার্জন।

উত্তরঃ রঙ্গ – তামাশা। 

সম্বর – সম্বল। 

নেতের অঞ্চল – প্রাচীন কালে ব্যবহৃত সূক্ষ্ম পট্টবস্তুবিশেষের আঁচল। 

ভক্ষ্য – খাওয়া বা ভোজন করা উচিত।

ভোজ্য – খাওয়ার যোগ্য। লেহা-লেহন করা মতো। 

পেয় – পান করার মতো।

চর্ব্য – চিবোনোর যোগ্য। 

চুষ্য – চুষে খাওয়ার যোগ্য। 

বদন – মুখ। 

স্থাবর – জড়, অচেতন। 

জঙ্গম – গতিশীল। 

সিদ্ধ – সাধিত হওয়া। 

শৈল – পাহাড়।

সাধ্যগণ – সাধনীয়, সাধনযোগ্য। 

বিদ্যাধর – বিদ্যাকে ধারণ করে যে।

গন্ধর্ব্ব – স্বর্গের চিকিৎসকগণ। 

কিন্নরী – ঘোড়ার মতো মুখ এবং মানুষের মতো দেহবিশিষ্ট দেবলোকের গায়ক জাতি বিশেষ। 

রোমাঞ্চিত – শিহরিত।

কদাচ – কখনো। 

ধন্দ – ধাঁধাঁ। 

সলিল – জল। 

মার্জন – পরিষ্কার।

প্রশ্ন ৩। উত্তর দাও।

(ক) শ্রীকৃষ্ণ কী ‘ভক্ষণ’ করেছিলেন?

উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণ খেলতে খেলতে মাটি ভক্ষণ করেছিলেন।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

(খ) কে যশোমতীকে শ্রীকৃষ্ণের ‘মৃত্তিকা ভক্ষণে’র কথা জানিয়েছিলেন?

উত্তরঃ দাদা বলরাম যশোমতীকে শ্রীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন।

(গ) যশোমতী কী দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের ‘অঙ্গ মার্জন’ করেছিলেন?

উত্তরঃ যশোমতী নিজের পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল জলে ভিজিয়ে শ্রীকৃষ্ণের অঙ্গ মার্জন করেছিলেন।

প্রশ্ন ৪। কে, কখন, কাকে এবং কেন বলেছিলেন লেখো।

(ক) তোমার ছেলের রঙ্গ দেখ গিয়ে রানি।

ধুলায় ধূসর দেখ হৈল অঙ্গখানি৷

উত্তরঃ বলরাম কথাটি মাতা যশোমতীকে বলেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপার মহিমা। তিনি মানব শিশুর রূপ নিয়ে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাতা-পিতা, সঙ্গীদের চোখে তিনি একজন সাধারণ বালক মাত্র। সেই সাধারণ বালক ধরাধামে অন্যান্য বন্ধু সাথীদের সাথে ধুলায় গড়াগড়ি দিয়ে খেলাধুলা করেন। খেলতে খেলতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাটি ভক্ষণ করে ফেলেছেন। সারা শরীরে ধুলি মেখে ধূসরিত হয়েছে। বালক কৃষ্ণের চেহারার এই বর্ণনা দাদা বলরাম যশোদা মাতাকে দিয়েছিল। পুরাণ অনুসারে, বিষ্ণু স্বয়ং ভূ-ভার হরণের জন্য বৈকুণ্ঠলোক থেকে মর্ত্যলোক অবতরণ করেছিলেন।

(খ) কিসের অভাব মোর আরে বাছাধন।

কি কারণে কর তুমি মৃত্তিকা ভক্ষণ৷

উত্তরঃ উক্তিটি যশোদা মাতা শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে করেছিলেন। বালক মাটি খেয়ে ফেলেছে শুনে যেখানে কৃষ্ণ সাথীদের সঙ্গে খেলছিলেন সেখানে ছুটে এসেছিলেন।

বাস্তব মানব সংসারে মাতা পুত্রের স্নেহ সম্পর্ক। স্নেহের দুলাল গোপাল শ্রীদাম সুদামের সঙ্গে গোষ্ঠে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে মায়ের হৃদয় উৎকণ্ঠায় ব্যাকুল হয়ে ওঠে। নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তানটির জন্য মাতা যশোদার নানা আশঙ্কা। গোষ্ঠে যাওয়ার পূর্বে তিনি নিজের সন্তানকে রক্ষা করবার জন্য শ্রীদাম সুদামকে বারবার সাবধান করতেন। গোপাল অত্যন্ত চঞ্চল হয়তো সে মায়ের কথা শুনবে না। হয়তো ছুটে সে ধেনুদের আগে যাবে, তারা তখন হয়তো শিং দিয়ে আঘাত করবে। এসব নানা ভাবনায় শঙ্কাতুর মায়ের হৃদয় প্রকাশিত হয়েছে। ধনবান নন্দরাজার ঘরে কিসের অভাব আছে যে বালক কৃষ্ণকে মাটি খেয়ে পেট ভরাতে হবে সে কথা যশোদা মা জানতে চেয়েছে।

প্রশ্ন ৫। উত্তর লেখো।

(ক) নন্দরানি শ্রীকৃষ্ণের মুখগহ্বরে কী দেখতে পেলেন?

উত্তরঃ নন্দরানি শ্রীকৃষ্ণের গহ্বরে ত্রিভুবন দেখতে পেলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৈকুণ্ঠের বিষ্ণু কংসবধের জন্যই তিনি মানবদেহে মর্ত্যে অবতীর্ণ। বালক শ্রীকৃষ্ণের মুখ গহ্বরে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালের এমন কোনো বস্তু নেই যা তার মুখ-গহ্বরে নেই। মুখগহ্বরের মধ্যে সমস্ত দেবগণ, স্থাবর জংগম বিশ্বচরাচর জগৎ সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মা, ঋষিগণ দিব্য সর্পগণ ছিলেন। ত্রিভুবন অর্থাৎ স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালের যত নদ নদী সরোবর, মানব ভুজঙ্গ সবই রয়েছে। বনচর, জলচর, কীটপতঙ্গ, দেব, দৈত্য, বিদ্যাধর, গন্ধর্ব, কিন্নরী, যক্ষগণ, রুদ্রগণ, আদিত্যগণ, বসুগণ, সাধ্য নামক দেবতাগণ, বিশ্ব দেবগণ, অশ্বিনীকুমারদ্বয়, মরুৎগণ, উষ্মপা নামক পিতৃগণ, অসুরগণ, দৈত্যগণ, দেবাধিপতি ইন্দ্ৰ, চন্দ্র, কমলাসনস্থ প্রজাপতি ব্রহ্মা, পঞ্চানন প্রভৃতি বালক শ্রীকৃষ্ণের মুখগহ্বরে বিরাজমান।

(খ) নন্দরানি চোখে ধাঁধা লাগল বলে কেন ভাবলেন?

উত্তরঃ কৃষ্ণ চরিত্রটি অ-মানবিক, যশোদা মা কৃষ্ণের জন্য চিত্তাকুল, কৃষ্ণই তাঁর সব। শ্রীকৃষ্ণের মুখের মধ্যে ত্রিভুবনের দৃশ্য দেখে যশোদা মাতা আশ্চর্যান্বিত। মাতৃ-মনের ব্যাকুলতা আলোচ্য কবিতাটিতে পাওয়া যায়। কৃষ্ণের বিরহে কাতর মা বলরামের কাছে অভিযোগ জানায়। যশোদা মাতা ঘুণাক্ষরেও জানেন না তিনি যাকে পুত্ররূপে লালন পালন করছেন তিনি প্রকৃতপক্ষে সনাতন ধর্মের প্রতিপালক। জগৎ সংসারে তাঁকে জানা ছাড়া ভিন্ন কোনো কাজ নেই। ভগবান শ্রীকৃষ্ণই ব্রিজগতের আধার। তিনি এই বিশ্বের স্রষ্টা, জগৎকে রক্ষা করছেন আবার প্রয়োজনে ধ্বংসও করছেন। সর্বশক্তির আধারস্বরূপ। তিনি ব্রহ্মাণ্ডকে সর্বতোভাবে পরিব্যাপ্ত করে দশ আঙুল স্থান অতিক্রম করে অবস্থিত আছেন।

প্রশ্ন ৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) একদিন …………………… রাখিয়া গোপালে।

গৃহকর্ম হেতু তবে চলে ……………………।।

হেথা প্রভু ……………………কৌতুক করিয়া।

ধুলায় খেলেন হরি …………………… দিয়া ৷৷

(খ) জননী গমন জানি দেব ……………………

বদনে …………………… প্রভু সম্বরে আপনি।।

…………………… দেখি তবে হায় হায় বলে।

ধুলায় ……………………পুত্রে তুলে নিল কোলে৷।

উত্তরঃ (ক) একদিন নন্দরানি রাখিয়া গোপালে।

গৃহকর্ম হেতু তবে চলে কুতূহলে ৷৷

হেতু প্রভু শ্রীনিবাস কৌতুক করিয়া।

ধুলায় খেলেন হরি হামাগুড়ি দিয়া ৷৷

(খ) জননী গমন জানি দেব চক্রপাণি

বদনে মৃত্তিকা প্রভু সম্বরে আপনি ৷৷

যশোমতী দেখি তবে হায় হায় বলে।

ধুলায় ধূসর পুত্রে তুলে নিল কোলে ৷।

প্রশ্ন ৭। ‘শ্রীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ’ পদ্যটির মূলভাব চলিত ভাষায় গদ্যরূপে লেখো।

উত্তরঃ যশোদানন্দন শ্রীকৃষ্ণ মানবরূপ ধারণ করে ধরধামে আবির্ভূত হয়েছেন। একদিন নন্দরানি শিশু গোপালকে রেখে নিজের গৃহকর্ম করতে গেছেন। তখন বালক কৃষ্ণ রসিকতা করে ধুলাতে হামাগুড়ি দিয়ে মুঠো ভর্তি মাটিও খেয়ে ফেলে। এই দৃশ্য দেখে অগ্রজ বলরাম ছুটে গিয়ে মাতা যশোমতীকে খবর দেয়। বলে যে তোমার ছেলের রঙ্গ দেখে এসো, ধুলায় ধূসরিত করেছে নিজের দেহ। বলরাম সঙ্গী সাথীদের কথা না শুনে ধুলো খেয়েছে। বলরামের কথা শুনে যশোদামাতা চক্রপাণি অর্থাৎ কৃষ্ণের কাছে ছুটে যান। কৃষ্ণের মুখ ভর্তি মাটি দেখে তিনি হায় হায় করে ওঠেন। ধুলায় ধূসরিত পুত্রকে কোলে তুলে নেন। নিজের পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল জলে ভিজিয়ে শ্রীকৃষ্ণের শরীর পরিষ্কার করে দেন। যশোদা মা বালক পুত্রের প্রতি অভিযোগ জানান যে তার ঘরে এমনকি ধন নেই যে তাকে মাটি খেয়ে পেটপূর্ণ করতে হবে। কিসের অভাবে শিশু কৃষ্ণ মাটি খাচ্ছে। এরপর মা যশোদা কৃষ্ণের মুখের ভিতর দেখতে চান। তিনি বালক কৃষ্ণের মুখগহ্বরে ত্রিভুবন দেখতে পান। ত্রিভুবনে বিরাজিত সকলেই রয়েছেন। যশোদা মা বিস্মিত হয়ে যান। তিনি তো মুখের মধ্যে মাটি দেখতে পাচ্ছেন না। স্বর্গ মর্ত্য পাতাল দেখছেন। এই দৃশ্য যশোমতীর চোখে ধাঁধা লাগায়। তিনি কৃষ্ণকে পুনরায় মুখগহ্বর দেখাতে বলেন। এবার ত্রিভুবন নয়। এক মানব শিশুর খেয়ে ফেলা মাটি দেখতে পান। যশোদা ভাবেন তিনি হয়তো ভুল দেখেছেন। তাঁর চোখে ধাঁধা লেগেছে। মনের ভ্রমে ভুল দেখেছেন। সব কিছুকে মিথ্যা মনে করে নন্দরানি পুত্রকে কোলে তুলে নিয়ে বারংবার চুম্বন করতে থাকেন।

প্রশ্ন ৮। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।

(ক) “রানি বলে কিবা ধন নাহিক আমার।

ভক্ষ্য ভোজ্য লেহ্য পেয় চর্ব চুষ আর ৷

কিসের অভাব মোর আরে বাছাধন।

কি কারণে কর তুমি মৃত্তিকা ভক্ষণ ৷৷” 

(খ) মনে মনে ভাবে রানি করে অনুমান।

পূর্বে যাহা দেখিলাম হয়ে হীন জ্ঞান৷

নয়নেতে ধাঁধা কিবা আমার লাগিল।

কিবা মনভ্রম হয় তেমন দেখিল ৷৷

উত্তরঃ (ক) বালক শ্রীকৃষ্ণ খেলতে খেলতে মাটি খেয়ে ফেলেছে এবং সারা শরীরে ধুলোবালি মেখেছে। নন্দরানির কাছে এই খবর বলরাম পৌঁছায়। পুত্র কৃষ্ণকে দেখতে তিনি ব্যস্ত হয়ে ছুটে আসেন। কৃষ্ণের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে নন্দরানি বলেন যে তার ঘরে এমন কোন জিনিসের অভাব আছে যার জন্য কৃষ্ণ মাটি খেয়ে পেট ভরাচ্ছে। শ্রীকৃষ্ণ গোপরাজ নন্দগোপের বা নন্দরাজের সন্তান। রাজার সম্পদ তার গৃহে। প্রচুর খাদ্যসামগ্রী মজুত আছে ভোজন করার মতো, চেটে খাওয়ার মতো, চুষে খাওয়ার মতো, চিবিয়ে কিংবা পান করার মতো কোনো খাদ্যবস্তুরই অভাব নেই নন্দরাজের। তবুও কেন বালক শ্রীকৃষ্ণ ঘরের দামী খাদ্য ছেড়ে ধুলায় হামাগুড়ি দিচ্ছে এবং মুঠো মুঠো মাটি খাচ্ছে।

(খ) মানবরূপী কৃষ্ণ মাটি খাচ্ছে সংবাদ পেয়ে মা যশোদা ছুটে এসেছেন। তিনি কৃষ্ণের মুখের ভিতর দেখতে চেয়েছেন সত্যিই সে মাটি খেয়েছে কিনা জানার জন্য। বিশ্বেশ্বর কৃষ্ণের মুখের ভিতর ত্রিভুবন অর্থাৎ স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল দেখে যশোমতী চিন্তান্বিত হয়ে পড়েছেন। মুখগহ্ববের অদ্ভুত দৃশ্য দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে পড়েছেন। বালক কৃষ্ণের মুখের ভিতর ত্রিভুবনের সমস্ত দেবতাগণ, দেবরাজ ইন্দ্র, পদ্মাসনে আসীন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা, চন্দ্র, সূর্য, পঞ্চানন, স্থাবর, জঙ্গম পার্থিব সব বস্তু, পর্বতশ্রেণি, সিদ্ধ পুরুষেরা, সাধ্যনামক দেবতাগণ, নদ, নদী, সরোবর, মানবজাতি, দিব্য সর্পগণ, বনচর, জলচর, কীটপতঙ্গ, দেবতা, দৈত্যগণ, বিদ্যাধর, গন্ধ স্বর্গের গন্ধর্ব, কিন্নর কিন্নরী আছেন। এই দৃশ্য মাতা যশোমতীকে অবাক করে। তিনি প্রথমে ভাবলেন অতিরিক্ত স্নেহবশত হয়ে হয়তো তিনি ভুল দেখেছেন। সেজন্য পুনরায় দেখাতে বললেন। তখনই লীলাময় ঈশ্বরের মুখগহবরে মাটি দেখলেন।

খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ) 

প্রশ্ন ৯। নীচের শব্দগুলোতে প্রত্যয় যুক্ত করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

বাংলা কৃৎ প্রত্যয়সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
কাঁদ + ………….. = কাঁদনিরাজ + …………… = রাজন
মান্ + …………… = মানতকৃ + …………… = কৰ্তব্য
বস + …………… = বসতিবৃ + …………… = বরণীয়
বাছ + …………… = বাছাইভুজ + …………… = ভোজ্য
বাঁচ + …………… = বাঁচাওদুহ + …………… = দুগ্ধ
পূজ + …………… = পূজারীদৃশ + …………… = দ্ৰষ্টা
গাহ + …………… = গাইয়েপা + …………… = পেয়
ডুব + …………… = ডুবুধা + …………… = ধেয়
উড় + …………… = উড়োভক্ষ + …………… = ভক্ষ্য
ভাব + …………… = ভাবুকবদ + …………… = বদন
খেল + …………… = খেলনাবন্দ + …………… = বন্দন
ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দ গঠন করে তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।

উত্তরঃ 

বাংলা কৃৎ প্রত্যয়সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
কাঁদ + নি = কাঁদনিরাজ + অন = রাজন
মান্ + ত = মানতকৃ + তব্য = কৰ্তব্য
বস + তি = বসতিবৃ + অনীয় = বরণীয়
বাছ + আই = বাছাইভুজ + ল্যপ = ভোজ্য
বাঁচ + আও = বাঁচাওদুহ + ন্যৎ = দুগ্ধ
পূজ + আরী = পূজারীদৃশ + ত্বা = দ্ৰষ্টা
গাহ + ইয়ে = গাইয়েপা + অন = পেয়
ডুব + উবু = ডুবুধা + অন = ধেয়
উড় + ও = উড়োভক্ষ + ল্যপ = ভক্ষ্য
ভাব + উক = ভাবুকবদ + অন = বদন
খেল + না = খেলনাবন্দ + অন = বন্দন

প্রশ্ন ১০। নীচের সমস্ত পদগুলোকে ব্যাসবাক্যে পরিণত করো।

পঞ্চানন, দুগ্ধজাত, স্নেহাতুর, নীলবরন, ভক্ষ্য-ভোজ্য, চক্রপাণি, সদগুরু, প্রতিফল, ত্রিভুবন।

উত্তরঃ পঞ্চানন – পঞ্চ আনন যার।

দুগ্ধজাত – দুগ্ধ থেকে জাত।

স্নেহাতুর – স্নেহের দ্বারা আতুর।

নীলবরণ – নীল যে বরণ।

ভক্ষ্য-ভোজ্য – ভক্ষ্য ও ভোজ্য।

চক্রপাণি – চক্রের যে পাণি।

সদগুরু – সৎ যে গুরু।

ত্রিভুবন – তিনটি ভুবনের সমাহার।

প্রশ্ন ১১। পদ-পরিবর্তন করো (বিশেষ্য থেকে বিশেষণ)।

যেমন- মুখ – মৌখিক।

লেহন, ঈশ্বর, কথা, সুখ, সুন্দর, ধন, বৈশাখ।

উত্তরঃ লেহন – লেহ্য।

ঈশ্বর – ঐশ্বরিক।

কথা – কথ্য।

সুখ – সৌখিন।

সুন্দর – সৌন্দর্য।

ধন – ধনী।

বৈশাখ – বৈশাখী।

প্রশ্ন ১২। নীচের শব্দগুলোতে প্রত্যয় যুক্ত করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
ভয় + …………… = ভয়ালনীল + ……………. = নীলিমা
পাত + …………… = পাতাতিল + ……………. = তৈল
বড় + …………… = বড়াইগুরু + …………… = গুরুতর
ছেলে + ………… = ছেলেমিমাতৃ + ……………. = মাতৃক
রূপ + ………….. = রূপালিলোক + ……………. = লৌকিক
হামা + …………. = হামাগুড়িরাম + ……………. = রামায়ণ
শব্দের শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে শব্দ গঠন করে তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

উত্তরঃ 

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
ভয় + আল = ভয়ালনীল + ইমা = নীলিমা
পাত + আ = পাতাতিল + ই = তৈল
বড় + আই = বড়াইগুরু + তর = গুরুতর
ছেলে + মি = ছেলেমিমাতৃ + ক = মাতৃক
রূপ + আলি = রূপালিলোক + ইক = লৌকিক
হামা + গুড়ি = হামাগুড়িরাম + অয়ন = রামায়ণ

প্রশ্ন ১৩। পাঠ থেকে অস্তমিলযুক্ত শব্দ খুঁজে বের করো।

ভুজঙ্গ ………………

রাজন ………………

কোলে ………………

পঞ্চানন ………………

উত্তরঃ ভুজঙ্গ – রঙ্গ।

রাজন – ভক্ষণ।

কোলে – সলিলে।

পঞ্চানন – বাছাধন।

প্রশ্ন ১৪। নীচের শব্দের সংস্কৃত রূপকে তদ্ভব রূপে পরিবর্তন করো।

মৃত্তিকা ……………..

অঞ্চল ……………..

গৃহ ……………..

মাৰ্জ্জন ……………..

পঞ্চ ……………..

পতঙ্গ ……………..

দুগ্ধ ……………..

সম্বর ……………..

উত্তরঃ মৃত্তিকা – মাটি।

অঞ্চল – আঁচল।

গৃহ – ঘর।

মাৰ্জ্জন – মাৰ্জনা।

পঞ্চ – পাঁচ।

পতঙ্গ – পতংগ।

দুগ্ধ – দুধ।

সম্বর – শম্বর।

প্রশ্ন ১৫। কাল নির্ণয় করো।

(ক) আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। …………………….

(খ) যখন মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তখন কৃষ্ণ মাটি খাছিলেন। ……………………..

(গ) উপাখ্যানমূলক গল্প বোধ হয় তুমি তোমার ঠাকুমার কাছ থেকে শুনে থাকবে।……………………..

(ঘ) হজরত মহম্মদ ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। ………………….

উত্তরঃ (ক) আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। – বর্তমান কাল

(খ) যখন মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তখন কৃষ্ণ মাটি খাছিলেন। – অতীত কাল

(গ) উপাখ্যানমূলক গল্প বোধ হয় তুমি তোমার ঠাকুমার কাছ থেকে শুনে থাকবে। – অতীত কাল

(ঘ) হজরত মহম্মদ ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। – অতীত কাল

প্রশ্ন ১৬। পাঠে তোমরা ‘হায় হায়’, ‘মনে মনে’ ইত্যাদি যুগ্মশব্দগুলো পেয়েছ। সেরকম আরও পাঁচটি যুগ্ম শব্দ ভেবে তোমার খাতায় লেখো এবং বাক্য রচনা করো।

উত্তরঃ যুগে যুগে – যুগে যুগে ভগবান পৃথিবীতে দূত পাঠিয়েছেন।

বারবার – বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও বাবুসোনা খেলতে গেল।

কৃষ্ণ কৃষ্ণ – তোতাপাখিটি কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম করে।

পাতায় পাতায় – পিপড়ের দল পাতায় পাতায় ঘুরে বেড়ায়।

মাঠে মাঠে – রাখালেরা মাঠে মাঠে গোরু চড়ায়।

প্রশ্ন ১৭। বাক্যে নিম্নরেখ পদগুলোর কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।

(ক) যেইজন ধর্ম রাখে, তারে ধর্ম রাখে। …………………..

(খ) মাঠে মাঠে কাঁদে কৃষ্ণ নাম বলে। …………………

(গ) চাবুক মেরে শায়েস্তা করব। …………………..

(ঘ) জলে কুমুদের বাস, চাঁদের আকাশে। …………………..

(ঙ) গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা করি। …………………..

উত্তরঃ (ক) যেইজন ধর্ম রাখে, তারে ধর্ম রাখে। – কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি

(খ) মাঠে মাঠে কাঁদে কৃষ্ণ নাম বলে। – অধিকরণ কারকে এ বিভক্তি

(গ) চাবুক মেরে শায়েস্তা করব। – করণ কারকে শূন্য বিভক্তি

(ঘ) জলে কুমুদের বাস, চাঁদের আকাশে। – অপাদান কারকে এ বিভক্তি

(ঙ) গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা করি। – করণ কারকে এ বিভক্তি

প্রশ্ন ১৮। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।

জ্ঞান ………………..

পূর্বে ………………..

স্থাবর ………………..

মিথ্যা ………………..

জলচর ………………..

মানব ……………….

উত্তরঃ জ্ঞান – অজ্ঞান।

পূর্বে – পরে।

স্থাবর – অস্থাবর।

মিথ্যা – সত্য।

জলচর – উভচর।

মানব – অমানব।

গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ 

প্রশ্ন ১৯। এসো, মহাভারতের রচয়িতা কবি কাশীরাম দাসের রচিত উপাখ্যানমূলক পদ্য ‘গুরুভক্তি’ সবাই মিলে আবৃত্তি করি।

অবন্তী নগরে দ্বিজ ছিল একজন।

তাঁর স্থানে শিষ্যগণ করে অধ্যয়ন ৷৷

আরুণি নামেতে শিষ্য ছিল একজন।

ডাকি তারে গুরু আজ্ঞা কৈল ততক্ষণ ৷৷

ধান্যক্ষেত্রে সব জল যাইছে বহিয়া।

যত্ন করি আল বাঁধি জল রাখ গিয়া।

আজ্ঞামাত্র আরুণি যে করিল গমন।

আলি বাঁধিবারে বহু করিল যতন।

দত্তেতে খুদিয়া মাটি বাঁধি লয়ে ফেলে।

রাখিতে না পারে মাটি অতি বেগ জলে॥

পুনঃ পুনঃ শিষ্যবর করিল যতন।

নারিল ক্ষেত্রের জল করিতে বন্ধন ৷৷

জল বহি যায় গুরু পাছে ক্রোধ করে।

আপনি শুইল দ্বিজ বাঁধের উপরে ৷৷

সমস্ত দিবস গেল হইল রজনী।

না আইল শিষ্য দ্বিজ চলিল আপনি

ক্ষেত্রমধ্যে গিয়া ডাক দিল দ্বিজবর।

শিষ্য বলে শুয়ে আছি বাঁধের ভিতর।

বহু যত্ন করিলাম না রহে বন্ধন।

আপনি শুইনু বাঁধে তাহার কারণ।।

শুনিয়া বলিলা গুরু আইস উঠিয়া।

শীঘ্র আসি গুরুপায়ে প্রণমিল গিয়া ৷৷

আশিস করিয়া গুরু করিলা কল্যাণ।

চারিবেদ ষশাস্ত্রে হোক তব জ্ঞান ৷৷

এত বলি বিদায় করিলা শিষ্যবর।

প্রণাম করিয়া শিষ্য গেল নিজ ঘর।

উত্তরঃ দলগতভাবে নিজেরা আবৃত্তি করো।

ঘ – প্রকল্প

প্রশ্ন ২০। তুমি ২০টি তৎসম শব্দ সংগ্রহ করে অভিধানক্রমে একটি তালিকা প্রস্তুত করো এবং সেগুলোর পাশে অর্থ লেখে। শ্রেণিতে এনে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীকে দেখাও।

উত্তরঃ তণ্ডুল – চাল। 

অগ্নি – আগুন। 

অশ্ব – ঘোড়া। 

আকাশ – গগন।

ইন্দু – চাঁদ। 

ইতর – নীচ। 

ঊর্ধ্ব – উপর। 

ঊষা – সকাল। 

একাকী – একা।

ঐক্য – একতা। 

ঔষধ – পথ্য। 

কিশলয় – কচিপাতা। 

কাকলি – পাখির ডাক।

গৃহ – বাড়ি। 

গ্রন্থ – বই। 

ঘৃণা – বিরাগ, বিদ্বেষ। 

চক্ষু – চোখ। 

জগৎ – বিশ্ব।

টংকার – ধ্বনি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top