SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস 

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক 

প্রশ্ন ১। পাঠটি শুদ্ধ উচ্চারণে কয়েকবার পড়বে তারপর যে অজানা শব্দের অর্থ শব্দ-সম্ভার বা অভিধান থেকে দেখে শিখে নেবে।

উত্তরঃ নিজেদের করতে হবে।

প্রশ্ন ২। উত্তর দাও।

(ক) হৈমবতী কেন রুষ্ট হয়েছিলেন?

উত্তরঃ আশ্রমের বেশির ভাগ মেয়ের অনুপস্থিতি ও নিষ্ঠাহীনতার জন্য হৈমবতী রুষ্ট হয়েছিলেন।

(খ) বিমলা কী বোনে?

উত্তরঃ বিমলা এন্ডি মুগার চাদর বা কাপড় বোনে।

(গ) বিমলা হতাশ কণ্ঠে কী জানিয়েছে?

উত্তরঃ বিমলা হতাশ কণ্ঠে জানিয়েছে, “দিদি আমাদের তহবিলে যে বেশি টাকা নেই।”

(ঘ) জবাবে হৈমবতী কী বলেছেন?

উত্তরঃ জবাবে হৈমবতী বলেন, “হ্যাঁ, কথাটা ঠিক যে আমাদের তহবিলে বেশি টাকা নেই। আমি ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কঋণের জন্য আবেদন জানিয়েছি। সরকারও আশ্বাস দিয়েছেন, তোমরা চিন্তা কোরো না।” এই কথা বলেছিলেন।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

(ঙ) হাতে বোনা কাপড়কে কী বলে?

উত্তরঃ হাতে বোনা কাপড়কে “এন্ডি মুগা” বলে।

(চ) গীতা কী জানতে চেয়েছে?

উত্তরঃ গীতা হৈমবতীর কাছে জানতে চেয়েছিল, “দিদি, আপনি বলেছিলেন আমাদের আপনি আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন?”

(ছ) ‘স্বাবলম্বী’ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ ‘স্বাবলম্বী’ বলতে বুঝায় নিজে উপার্জন করতে শেখা। নিজের উপার্জনের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজন মেটানোর নামই স্বাবলম্বী। যাতে নিজের প্রয়োজন মেটাতে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়।

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থানগুলো পূর্ণ করো।

(ক) সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির উপযোগী জিনিসপত্র………………….. উৎসাহ দেওয়া হয়।

উত্তরঃ সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির উপযোগী জিনিসপত্র তৈরি করতেও উৎসাহ দেওয়া হয়।

(খ) একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এই গৌরবময়……………………..।

উত্তরঃ একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এই গৌরবময় ঐতিহ্য।

(গ) কিছুক্ষণের মধ্যে………………….. হয়ে ওঠে সমিতি।

উত্তরঃ কিছুক্ষণের মধ্যে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে সমিতি।

(ঘ) নিজেকে…………………….করতে আজ ওরা প্রচুর খাটছে এখানে।

উত্তরঃ নিজেকে স্বাবলম্বী করতে আজ ওরা প্রচুর খাটছে এখানে।

(চ) ভারতীয় নারীরা কোনো অর্থেই………………….. নেই।

উত্তরঃ ভারতীয় নারীরা কোনো অর্থেই পিছিয়ে নেই।

প্রশ্ন ৪। উত্তর লেখো।

(ক) হৈমবতী গীতাকে কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ হৈমবতী গীতাকে বলেছিলেন, “কয়েকদিনের মধ্যে আরও দক্ষতা অর্জনের জন্য তোমাদের পাঠানো হবে সরকারি হস্ততাঁত ও কারুশিল্প-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।”

(খ) এন্ডি-মুগার কাপড় কীভাবে বোনা হয়?

উত্তরঃ এন্ডি-মুগার কাঁপড় তাঁতে বোনা হয়।

(গ) ‘জয়মতী মহিলা সমিতি’তে কী কী জিনিস বানানো হয়?

উত্তরঃ ‘জয়মতী মহিলা সমিতিতে’ বোনা হয় মেখলা, এন্ডি-মুগা, আচার, পাঁপড়, ভুজিয়া, মুখশুদ্ধি, গামছা, পাটি, তোম্বি, টেবিল ঢাকনির নকশা, উলের পোশাক ইত্যাদি।

(ঘ) ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সমবায় উদ্যোগের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ ব্যক্তিগত উদ্যোগ বলতে একক উদ্যোগ বোঝায়, আর একের অধিক উদ্যোগকে সমবায় উদ্যোগ বলে।

(ঙ) সমিতির মেয়েদের নিপুণ ও অভিজ্ঞ করে তোলার জন্য কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ সমিতির মেয়েদের নিপুণ ও অভিজ্ঞ করে তোলার জন্য তাদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারি হস্ততাঁত ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।

(চ) হৈমবতী যে-কথাটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ হৈমবতী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, আমরা আজ আর হীনবল নই, নই পরমুখাপেক্ষী; গার্গী, মৈত্রেয়ী ও লক্ষ্মীবাইয়ের দেশের নারী আমরা।

প্রশ্ন ৫। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।

(ক) আমরা সতর্ক আর নিষ্ঠাবান না হলে একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এই গৌরবময় ঐতিহ্য।

উত্তরঃ হৈমবতী ছিলেন ‘জয়মতী মহিলা সমিতির’ অধ্যক্ষা। যেখানে মেয়েদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন জিনিস তৈরি হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আশ্রমের কিছু মেয়ে ছিল অনিয়মিত এবং নিষ্ঠাহীন। তাদের চেতনাকে জাগ্রত করতে হৈমবতী এই কথা বলেছিলেন।

(খ) আমরা আজ আর হীনবল নই, নই পরমুখাপেক্ষী; গার্গী, মৈত্রেয়ী, লক্ষ্মীবাঈয়ের দেশের নারী আমরা।

উত্তরঃ ‘জয়মতী মহিলা সমিতি’ মেয়েদের একটি স্বনির্ভর আশ্রম। এখানে মেয়েরা তাঁতে বোনা অসমিয়া মেখলা, গামছা, আচার, পাঁপড়, ভুজিয়া, মুখশুদ্ধি পাটি, তোম্বি, এন্ডির চাদর, মিথিংগা প্রভৃতি জিনিস তৈরি করে। সমবায় ভিত্তিতে এই জিনিসগুলো তারা বাজারে বিক্রি করে। বাজার চাহিদাও এই জিনিসগুলোর যথেষ্ট। এই আশ্রমের অধ্যক্ষা হৈমবতী। তিনি আশ্রমের মেয়েদের আরও উদ্বুদ্ধ করাতে এই কথাগুলো বলেছিলেন।

(গ) আমাদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে চলেছে।

উত্তরঃ হৈমবতী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করার জন্য অসমের মহীয়সী নারী অমলপ্রভা দাসের কথা বলেন। তিনি বলেন অমলপ্রভা ছিলেন গান্ধীজির ভাবশিষ্যা। তাঁর প্রেরণাতেই অসমের মেয়েরা গান্ধীজির সাথে খাদি কাপড় বানানোর কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছিলেন। হৈমবতী আরও বলেন আমরা মেয়েরা আজ আর কোনো অর্থেই পিছিয়ে নেই। পুরুষের পাশাপাশি আমরাও এগিয়ে চলেছি দৃঢ় প্রত্যয়ে, আমাদের গরিমা আজ বিশ্বব্যাপী। আমাদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা আজ পূরণ হতে চলেছে।

খ-ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

প্রশ্ন ৬। অর্থের পার্থক্য বুঝে বাক্য রচনা করো।

নারী ……………………………………………..

নাড়ী ……………………………………………..

উত্তরঃ নারী- অসমের অমলপ্রভা দাস ছিলেন একজন মহিয়সী নারী

নাড়ী- ভারতবর্ষের সাথে প্রত্যেক ভারতীয়ের নাড়ীর টান আছে

প্রশ্ন ৭। সন্ধি করো।

দুঃ + লভ = …………….

স্ব + অবলম্বন = …………….

নিঃ + চিহ্ন = …………….

সম্ + মান = …………….

মুখ + ছবি = …………….

হর্ষ + উল্লাস = …………….

উত্তরঃ 

দুঃ + লভ = দুর্লভ 

স্ব + অবলম্বন = স্বাবলম্বন 

নিঃ + চিহ্ন = নিশ্চিহ্ন 

সম্ + মান = সম্মান 

মুখ + ছবি = মুখচ্ছবি 

হর্ষ + উল্লাস = হষোল্লাস

প্রশ্ন ৮। নীচের শব্দগুলোর বিপরীতার্থক শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

অসফল ………………..

অসতর্ক ………………..

অপরিকল্পিত …………………

পাকা …………………

পুরাতন ………………..

শান্ত ………………..

পরাধীনতা …………………

অপকার ………………

উত্তরঃ 

অসফল – সফল 

অসতর্ক – সতর্ক 

পাকা – কাঁচা 

অপরিকল্পিত – পরিকল্পিত 

পুরাতন – নতুন 

শান্ত – অশান্ত 

পরাধীনতা – স্বাধীনতা 

অপকার – উপকার

প্রশ্ন ৯। এক কথায় প্রকাশ করো।

(ক) যে অন্যের ওপর নির্ভর করে চলে ……………..

উত্তরঃ যে অন্যের ওপর নির্ভর করে চলে- পরনির্ভর

(খ) যে নিজের ওপর নির্ভর করে চলে ……………..

উত্তরঃ যে নিজের ওপর নির্ভর করে চলে- স্বনির্ভর

(গ) যে অপরকে হিংসা করে না ……………..

উত্তরঃ যে অপরকে হিংসা করে না- অসূয়াহীন

(ঘ) যে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ……………….

উত্তরঃ যে নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে- স্বার্থপর

(ঙ) যে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখে………………….

উত্তরঃ যে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখে- আত্মবিশ্বাসী

প্রশ্ন ১০। নীচের যুক্তবর্ণগুলো দিয়ে অর্থ প্রকাশক শব্দ লেখো।

ন্দ ………..…….

ন্ধ ………..…….

স্ত ………..…….

স্থ্ ………..…….

ল্প ………..…….

ষ্ঠ ………..…….

ত্ম ………..…….

ঞ্চ ………..…….

উত্তরঃ 

ন্দ – নন্দন

ন্ধ – স্কন্ধ

স্ত – স্তবক

স্থ – স্থাবর

ল্প – অল্প

ষ্ঠ – ওষ্ঠ

ত্ম – আত্ম

ঞ্চ – পঞ্চ

পাঠে তোমরা নীচের শব্দগুলো পেয়েছ।
অনু + প্রেরণা = অনুপ্রেরণা।সু + পরিচিত = সুপরিচিত।

প্রশ্ন ১১। এবার তোমরা প্র, অপ, পরা, অতি, উপ শব্দাংশগুলো আগে বসিয়ে নতুন শব্দ গঠন করো।

বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে যেগুলো শব্দের আগে বসে শব্দের অর্থের প্রসার, সংকোচন বা অন্যরূপ পরিবর্তন ঘটায় এবং নতুন শব্দ গঠন করে তাদের উপসর্গ বলে। যেমন- অনুপ্রেরণা, সুপরিচিত

প্রশ্ন ১২। লিঙ্গ পরিবর্তন করো।

অধ্যক্ষা ……………….

মহীয়সী ……………….

পুরুষ ……………….

উত্তরঃ অধ্যক্ষা – অধ্যক্ষ

মহীয়সী – মহান

পুরুষ – মহিলা

প্রশ্ন ১৩। নীচের বাক্যটি পড়ো।

‘গীতা হৈমবতীর কাছে এসে, আমতা আমতা করে জানতে চায়’

এখানে তোমরা আমতা শব্দটি পেয়েছ। আমের সঙ্গে তা যুক্ত হয়ে আমতা (আম + তা) শব্দটি গঠিত হয়েছে।            ধাতু বা শব্দের শেষে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে।

প্রশ্ন ১৪। নীচের শব্দগুলোতে প্রত্যয় যুক্ত করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো। (শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)।

ঈশ্ + ……………. = ঈশ্বর

বাজ + ……………. = বাজনা

নাচ + ……………. = নাচন

উঠ + ……………. = উঠন্ত

জান + ……………. = জানতা

দৃশ্ + ……………. = দ্ৰষ্টব্য

পা + ……………. = পানীয়

মদ + ……………. = মত্ত

অদ + ……………. = অন্ত 

নী + ……………. = নয়ন

বন্দ + ……………. = বন্দনা

হাস্ + ……………. =  হাসি

ধৃ + ……………. = ধৰ্ম

লড় + ……………. = লড়াই

ঘট + ……………. = ঘটনা

ভী + ……………. = ভীরু

ছদ + ……………. = ছদ্ম 

ক্ৰী + ……………. = ক্ৰীত

উত্তরঃ 

ঈশ্ + বর = ঈশ্বর

বাজ + না = বাজনা

নাচ + অন = নাচন

উঠ + অন্ত = উঠন্ত

জান + তা = জানতা

দৃশ্ + তব্য = দ্ৰষ্টব্য

পা + নীয় = পানীয়

মদ + মত্ত = মত্ত

অদ + অন্ত = অন্ত 

নী + অন = নয়ন

বন্দ + না = বন্দনা

হাস্ + ই =  হাসি

ধৃ + = ধৰ্ম

লড় + আই = লড়াই

ঘট + না = ঘটনা

ভী + রু (উ) = ভীরু

ছদ + = ছদ্ম 

ক্ৰী + ইত = ক্ৰীত

প্রশ্ন ১৫। বিভিন্ন কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগ করে বাক্য রচনা করো। (শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)।

আমরা ইতিমধ্যে হতে, দিয়ে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি অনেক শব্দ পেয়েছি। বাংলা ভাষায় পর্যাপ্ত বিভক্তি নেই। কিছু কিছু অব্যয় বা অব্যয়াত্মক পদ বাক্যে বিশেষ্য বা সর্বনামের পরে বসে বিভক্তির কাজ চালায়। এগুলোকে অনুসর্গ বলে।

গ-জ্ঞান সম্প্রসারণ

প্রশ্ন ১৬। নীচের বিষয়গুলো নিয়ে দলে আলোচনা করে লেখো।

(ক) বাড়িতে বসে হাতের সাহায্যে কী কী জিনিস বানানো যায়?

উত্তরঃ বাড়িতে বসে হাতের সাহায্যে মেখলা-চাদর, গামছা, আচার, পাঁপড়, ভুজিয়া, মুখশুদ্ধি, উলের পোশাক, জাপি, রুমাল, বাঁশ-বেতের আসবাব, টেবিল ঢাকনি, পার্টি, মিথিংগা, তোম্বি, এন্ডির চাদর ইত্যাদি জিনিস বানানো যায়।

(খ) হাতে বানানো সেই জিনিসগুলো যদি সুন্দর হয় তাহলে নিশ্চয় কাউকে উপহার দেওয়া যাবে। এ ছাড়া আর কী করা যাবে?

উত্তরঃ হাতে বানানো জিনিসগুলি যদি খুব সুন্দর হয়, তাহলে সেগুলো বাড়িতে বাড়িতে, হাটে-বাজারে বিক্রি করা যায় এককভাবে বা সমবায় ভাণ্ডার তৈরি করে। এতে রোজগারও হয় অনেক এবং স্বাবলম্বীও হওয়া যায়।

(গ) লেখা-পড়ার ফাঁকে ফাঁকে হাতের কাজ শিখলে ভবিষ্যৎ জীবনে তা কীভাবে উপকারে আসতে পারে?

উত্তরঃ লেখা-পড়ার ফাঁকে হাতের কাজ শিখলে ভবিষ্যতে তা অনেক উপকারে আসতে পারে। লেখা-পড়া শিখলেও চাকরির দুর্মূল্যের বাজারে চাকরি পাওয়া অনিশ্চিত। হাতের কাজ জানা থাকলে বেকারত্ব ঘুচানো যায়। নিজে স্বাবলম্বী হওয়া যায়, নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা যায়। চাকরি না পেলেও জীবনটা নষ্ট হয়ে যায় না।

ロ জেনে নাও-

কুটিরশিল্প- হাতে-তৈরি বস্তু বাড়িতে ও কারুকর্মকে বলা হয় কুটিরশিল্প। যেমন- পাটি, মেখলা, খেশ ইত্যাদি।
জাপি- এক ধরনের টুপি, ছাতার মতো। অসমিয়া কৃষকেরা এ-টুপি ব্যবহার করেন। ঘর সাজাবার জন্য জাপি ব্যবহার করা হয়।
মেখলা- এক ধরনের পরিধেয় কাপড়। অসমিয়া মহিলারা এই কাপড় পরেন।
খেশ- এক ধরনের মোটা চাদর। মণিপুরি মেয়েরা খেশ বানাতে পারংগম।
দখনা- বোড়ো মহিলাদের পরনের কাপড়। বোড়ো মেয়েরাই এই কাপড় বোনে।
পাটি- এক ধরনের মাদুর। বরাক উপত্যকার মেয়েরা পাটি বুনতে পটু।

প্রশ্ন ১৭। দলে আলোচনা করে বিস্তারিতভাবে নিজের মতো করে লেখো।

(ক) নারী কী কী উপায়ে স্বাবলম্বী হতে পারে?

উত্তরঃ নারী ঘরে বসে বিভিন্ন হাতের কাজের দ্বারা স্বাবলম্বী হতে পারে। হাতের কাজের মধ্যে জাপি, পাটি, গামছা, মেখলা, খেশ, দখনা, টেবিল ঢাকনি, চাদর, আচার, মুখশুদ্ধি- এইসব তৈরি করে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে নারীরা স্বাবলম্বী হতে পারে।

(খ) ভারতীয় মহিলাদের পিছিয়ে থাকার কারণ কী?

উত্তরঃ ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে বেশির ভাগ মহিলাই মনে করে কোনোরকম পড়াশুনা করে, বিয়ে হয়ে গেলেই স্বামী, বাচ্চা নিয়ে ঘর-সংসার করেই কাটিয়ে দেব। নিজে রোজগার করব, স্বাবলম্বী হব, এই চিন্তা তাদের মনে আসেই না। সেজন্য কারণে না তারা ভালো করে পড়াশুনা শেখে, না শেখে কোনো হাতের কাজ। সেজন্য তারা রোজগার ভিত্তিক কোনো কাজই করতে পারে না। এই জন্যেই ভারতীয় মহিলারা পিছিয়ে থাকে।

ロ জেনে নাও-

মহিলাদের বৃত্তিমুখী করে তুলতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা কল্যাণমূলক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য স্থাপিত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের শাখা বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে- যেমন-(ক) রাষ্ট্রীয় মহিলা আয়োগ।(খ) ইন্দিরা মহিলা যোজনা।(গ) কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ।(ঘ) নারীকল্যাণ আয়োগ।(ঙ) ভারতীয় উদ্যোক্তা সংস্থা।(চ) উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন ও বিত্তীয় নিগম (নেডফি)।
মহিলাদের জন্য নেফি (NEDFI)-র উদ্যোগে কয়েকটি প্রকল্প-
১। নারী-উদ্যম বিকাশ প্রকল্প (ওমেন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট স্কিম)২। পাট-উদ্যোগ প্রকল্প (জুট এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট স্কিম)৩। ক্ষুদ্র বিত্ত সাহায্য প্রকল্প (মাইক্রো-ফাইনান্স স্কিম)

ঘ-প্রকল্প

প্রশ্ন ১৮। তোমাদের অঞ্চলের কোনো স্ব-নির্ভর সংস্থার বিষয়ে জেনে নিয়ে সেখানের কাজ-কর্মের বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।

প্রশ্ন ১৯। নীচের সামগ্রীর যে কোনো একটি বাড়িতে তৈরি করে শ্রেণিতে সাজিয়ে রাখো।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।

2 thoughts on “SEBA Class 8 Bengali Chapter 5 হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top