SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 9 আদাব Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

আদাব

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। পাঠটি পড়ে গল্পের মূল বক্তব্যটি সংক্ষেপে বলো।

উত্তরঃ সারাংশ পড়ে নিজে নিজে লিখতে হবে।

প্রশ্ন ২। উত্তর দাও।

(ক) কার সঙ্গে কার দাঙ্গা?

উত্তরঃ হিন্দুর সঙ্গে মুসলমানের দাঙ্গা।

(খ) কোথায় আগুন জ্বলছে?

উত্তরঃ শহরে বস্তিতে বস্তিতে আগুন জ্বলছে ।

(গ) ডাস্টবিনটার অন্য দিকে কী আছে?

উত্তরঃ ডাস্টবিনটার অন্য দিকে আছে একজন মানুষ।

(ঘ) পুঁটুলিটা কার দিকে বাড়িয়ে দিল?

উত্তরঃ মুসলমান মাঝি তার পুঁটুলিটা এক হিন্দু সুতা-মজুরের দিকে বাড়িয়ে দিল।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

প্রশ্ন ৩। সঠিক উত্তরটি বেছে লেখো।

(ক) ‘আদাব’ গল্পটির লেখক –

সমরেশ  মজুমদার  সমরেশ বসু    সমরেশ চাকি    ________

(খ) ডাস্টবিনের দুপাশে দুটি –

মানুষ    কুকুর    প্রাণী  _________

(গ) হঠাৎ কাছাকাছি ওঠে একটি –

শোরগোল      হট্টগোল      কোলাহল    __________

উত্তরঃ (ক) ‘আদাব’ গল্পটির লেখক – সমরেশ বসু

(খ) ডাস্টবিনের দুপাশে দুটি – মানুষ

(গ) হঠাৎ কাছাকাছি ওঠে একটি – শোরগোল

প্রশ্ন ৪। নীচের বাক্যগুলোর তাৎপর্য বুঝিয়ে লেখো।

(ক) ভূত দেখার মতো চমকে উঠল সুতা-মজুর।

উত্তরঃ রাত্রির নিস্তব্ধতা কাঁপিয়ে দিয়ে দাঙ্গা বিধ্বস্ত শহরে মিলিটারী টহলদার গাড়ি টহল দিচ্ছে। তাদের ভয়ে এক ডাস্টবিনের দুই প্রান্তে লুকিয়ে আছে, একজন হিন্দু, একজন মুসলমান। একে অপরের উপস্থিতি যখন জানতে পারল তখন উভয়েরই মনে শঙ্কা, এই বোধ হয় একে অপরকে আক্রমণ করল। সেটা যখন ঘটল না, তখন একে অপরের জাত জানার চেষ্টা করতে লাগল। হঠাৎ, কাছাকাছি একটা শোরগোল উঠতেই, আচম্বিতে তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল, সুহান আল্লা! এই কথা শুনে অপরজন ভূত দেখার মতো চমকে উঠল।

(খ) ভুলুম না ভাই এই রাত্রের কথা।

উত্তরঃ ডাস্টবিনের দুই প্রান্তে লুকিয়ে থাকা দুইজন মানুষের মধ্যে একজন মুসলমান মাঝি এবং অপরজন সুতা কলের মজুর। প্রাণ বাঁচাতে অবশেষে তারা আশ্রয় নেয় এক দোকানের আড়ালে। মুসলমান মাঝির বাড়ি যাবার তাড়া, কেননা তার পরদিন ঈদ। তাই সে তার ছেলেমেয়ে, বিবির জন্যে নতুন পোশাক কিনেছে। কিন্তু হিন্দু মজুর তাকে দোকানের আড়াল থেকে বেরোতে দেবে না। সে মাঝিকে বোঝানোর চেষ্টা করে মিলিটারীদের চোখ এড়িয়ে সে পালাতে পারবে না। হিন্দু হয়ে এক মুসলমানের জন্য এই উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ- মাঝিকে হতবাক করে দেয়। সেজন্য মুসলমান মাঝি বিদায় নেবার সময় তার হিন্দু দোস্তকে বলে যায়, ভুলুম না ভাই এই রাত্রের কথা।

প্রশ্ন ৫। পাঠের কঠিন শব্দের অর্থ শব্দ-সম্ভার অথবা অভিধান থেকে দেখে শিখে নাও।

উত্তরঃ শব্দার্থ দেখো।

প্রশ্ন ৬। উত্তর লেখো।

(ক) ‘পারলাম না ভাই’ – বক্তা কী পারল না?

(খ) মাঝি এবং সুতা-মজুরের কথাবার্তায় যে সাম্প্রয়িক সম্প্রীতি ধরা পড়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখাও।

উত্তরঃ (ক) দাঙ্গা বিধ্বস্ত শহরে রাতের অন্ধকারে শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মিলিটারী এবং পুলিশ। শহরে জারী করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক নিরীহ মাঝি ঈদ উপলক্ষে তার পরিবারের জন্য নতুন পোশাক কিনে, তার নিজের বাড়ি যাবার সময় পুলিশ তাকে ডাকু ভেবে গুলি করে। মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তার হিন্দু বন্ধুকে সে বলে, ‘পারলাম না ভাই’- বাড়ি যেতে আমি আর পারলাম না। নতুন পোশাক আমার বিবি, ছেলে-মেয়েদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলাম না।

(খ) মাঝি মুসলমান এবং সুতা-মজুর হিন্দু, পরস্পরের কাছে এই পরিচয় প্রকাশ পাবার পরও, তাদের মধ্যে কোনো বিকার ঘটেনি। মাঝির কাছে একটি পুঁটুলি। পরের দিন ছিল ঈদ। সেই উপলক্ষে ছেলেমেয়ে বিবির জন্য পোশাক ছিল সেই পুঁটুলিতে। এই কথা জেনে সুতো মজুর পুরোপুরি সন্দেহ মুক্ত হয়। তারা আলোচনা করে, এই দাঙ্গায় কারো কোনো লাভ হয় না। লাভ হয় কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক নেতার। বিনা কারণে, হিন্দু-মুসলমান, উভয় পক্ষের লোক মারা যায়। বাড়ি যাবার ব্যাকুলতায় যখন মুসলমান মাঝি পুলিশের গুলিতে মরে, তখন হিন্দু সুতো-মজুরের চোখে জল এক সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি ধরা পড়েছে, তাদের ব্যবহারে এবং কথাবার্তায়।

🖨 জেনে নাও।

বুড়িগঙ্গা – বাংলা দেশের ঢাকা জেলায় প্রবাহিত একটি নদী। ঢাকা শহর এই নদীর তীরে অবস্থিত।

খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

প্রশ্ন ৭। পাঠ থেকে ছয়টি যুগ্মশব্দ খুঁজে বের করে লেখো। যেমন- রাগে-দুঃখে

…………..  …………..  …………..

…………..  …………..  …………..

উত্তরঃ 

মৃত্যু – কাতর।

দিক্‌ – বিদিক।

নারী – শিশু।

শিরা – উপশিরা।

হিন্দু – মুসলমান।

পোশাক – পরিচ্ছেদ

🍥 জেনে নাও।

তোমরা আগের পাঠে ‘সমাস’ কী তা জেনেছ। যে পদগুলো মিলিত হয়ে সমাস হয় তাদের প্রত্যেককে বলা হয় সমস্যমান পদ। যেমন- রাগে ও দুঃখে। এখানে ‘রাগ’; ‘দুঃখ’ হল সমস্যমান পদ।              আবার সমাসবদ্ধ পদ অর্থাৎ সমস্যমান পদগুলো মিলিত হয়ে যখন একপদে সংহতি লাভ করে তখন তাকে বলা হয় সমস্ত পদ। যেমন- রাগে-দুঃখে।               সমাসের অর্থ বোঝার জন্য যে বাক্য বা পদগুলোর প্রয়োগ করতে হয়, তাকে ব্যাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য বা সমাস বাক্য বলে।

প্রশ্ন ৮। দুটি সমার্থক পদকে সমাসে বদ্ধ করো।

হাসা ও হাসি ………………

নির্মম ও নিষ্ঠুর ……………..

মারা ও মারি ………………

কাটা ও কাটি ………………

যে সমাসে দুই বা তার অধিক পদ মিলে এক পদ হয় এবং সমস্যামান প্রত্যেক পদের অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।                দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যামান পদগুলির মধ্যে ‘ও’, ‘বা’ ‘এবং’ প্রভৃতি অব্যয়যোগে ব্যাসবাক্য গঠিত হয়ে থাকে।

উত্তরঃ হাসা ও হাসি – হাসাহাসি।

নির্মম ও নিষ্ঠুর – নির্মম ও নিষ্ঠুর।

মারা ও মারি – মারামারি।

কাটা ও কাটি – কাটাকাটি।

প্রশ্ন ৯। দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদকে এক পদের দ্বন্দ্ব সমাসে পরিণত করো।

হাটে ও বাজারে ও দোকানে ……………….

জাতি ও ধর্ম ও বর্ণ …………………..

স্বর্গ ও মর্ত্য ও পাতাল …………………

জন্ম ও মৃত্যু …………………

উত্তরঃ হাটে ও বাজারে ও দোকানে – হাটে-বাজারে-দোকানে

জাতি ও ধর্ম ও বর্ণ – জাতি-ধর্ম-বর্ণ

স্বর্গ ও মর্ত্য ও পাতাল – স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল

জন্ম ও মৃত্যু – জন্ম-মৃত্যু

প্রশ্ন ১০। দুটি বিশেষণ পদকে দ্বন্দ্ব সমাসে পরিণত করো।

সত্য ও মিথ্যা ……………………..

সুখী ও অসুখী ……………………..

ছোটো ও বড়ো …………………….

ভালো ও মন্দ ……………………….

এইভাবে দুটি সর্বনাম পদে (তুমি ও আমি = তুমি-আমি), দুটি ক্রিয়া পদে (দেখা ও শোনা = দেখা-শোনা), একজাতীয় অর্থসূচক পদে (যুদ্ধ ও বিগ্রহ = যুদ্ধবিগ্রহ), বিপরীতার্থক শব্দে (সুখ ও দুঃখ = সুখ-দুখ) দ্বন্দ্ব সমাস প্রয়োগ করা হয়।

উত্তরঃ সত্য ও মিথ্যা – সত্য-মিথ্যা

সুখী ও অসুখী – সুখী-অসুখী

ছোটো ও বড়ো – ছোটো-বড়ো

ভালো ও মন্দ – ভালোমন্দ

প্রশ্ন ১১। নিম্নলিখিত সমাসবদ্ধ পদগুলোকে সমস্যমান পদে পরিবর্তন করো।

মাঠে-ময়দানে – মাঠে ও ময়দানে

দেশে-বিদেশে – ……………………..

তেলে-জলে – …………………………

হাটে-বাজারে – ………………………

যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির বিভক্তি লোপ পায় না তাকে অলুক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- মাঠে (ঠ+এ) ও ময়দানে (ন+এ)।

উত্তরঃ মাঠে-ময়দানে – মাঠে ও ময়দানে

দুধে-ভাতে – দুধে ও ভাতে

দেশে-বিদেশে – দেশে ও বিদেশে

তেলে-জলে – তেলে ও জলে

হাটে-বাজারে – হাটে ও বাজারে

প্রশ্ন ১২। বিভিন্ন কারকে ষষ্ঠী বিভক্তি প্রয়োগ করে বাক্যরচনা করো।

উত্তরঃ নিজে নিজে লিখতে হবে।

প্রশ্ন ১৩। অনুচ্ছেদে যতি চিহ্ন ব্যবহার করে আবার লেখো।

উত্তরঃ লোকটা ডাস্টবিনটাকে ঠেলে দিল একটু। খানিকক্ষণ চুপচাপ। আবার নড়ে উঠল ডাস্টবিনটা, ভয়ের সঙ্গে এবার একটু কৌতূহল হল। আস্তে আস্তে মাথা তুলল লোকটা… ওপাশ থেকেও উঠে এলো ঠিক তেমনি একটি মাথা। মানুষ ! ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী, নিস্পন্দ নিশ্চল। হৃদয়ের স্পন্দন তালহারা- ধীর…! স্থির চারটে চোখের দৃষ্টি ভয়ে সন্দেহে উত্তেজনায় তীব্র হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। উভয়ে উভয়কে ভাবছে খুনী। চোখে চোখ রেখে উভয়েই একটা আক্রমণের প্রতীক্ষা করতে থাকে। কিন্তু খানিকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো পক্ষ থেকেই আক্রমণ এল না। এবার দুজনের মনেই একটি প্রশ্ন জাগল- হিন্দু, না মুসলমান?

প্রশ্ন ১৪। পাঠ থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে সন্ধি-বিচ্ছেদ করো।

উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষিকা সাহায্য নিয়ে নিজে নিজে করতে হবে।

গ – জ্ঞান-সম্প্রসারণ

রূপকথা ও ছোটোগল্পের পার্থক্য – রূপকথা লোকসাহিত্যের অন্তর্গত লোকমুখে প্রচারিত চিরন্তন কাল্পনিক কাহিনি। যেহেতু রূপকথার জগৎ কাল্পনিক, তাই এই জগৎ কৃত্রিম । রূপকথায় গাছ-পালা, পশু-পাখি সবাই মানুষের ভাষায় কথা বলে। আয়তনে রূপকথা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ এবং বর্ণনামূলক। কল্পনার সাহায্যে এর কাহিনি দীর্ঘতর করা সম্ভব। এর ভাষা সহজ এবং অনাড়ম্বর, ঘটনায় অলৌকিকতার স্পর্শ পদে পদে অনুভূত হয়। রূপকথার মাধ্যমে নীতিকথা; উপদেশ বা পরামর্শ পাওয়া যায় যা নৈতিক চরিত্র গঠন করতে সহায়তা করে এবং শিশুদের কল্পনাশক্তি, ভাষাজ্ঞান বাড়িয়ে তোলে।

ছোটোগল্প অপেক্ষাকৃত আধুনিক যুগের সৃষ্টি। এটি গদ্য সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখাঁ ৷ আয়তনে ক্ষুদ্র অথচ ব্যঞ্জনাধর্মী। নাটকীর আকর্ষণীয়তা, উৎকণ্ঠা, চরম মুহূর্ত, দৃঢ় সংবদ্ধ গঠনশৈলী সার্থক ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথই ছোটোগল্পের সার্থক প্রবর্তক ও সর্বশ্রেষ্ঠ রূপকার।

প্রশ্ন ১৫। ওপরের অনুচ্ছেদ দুটি ভালো করে পড়ে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

(ক) রূপকথার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তরঃ রূপকথার বৈশিষ্ট্য – যেহেতু রূপকথার জগৎ কাল্পনিক, সেজন্য এর জগৎ কৃত্রিম। এর গাছ-পালা, পশু-পাখি সবাই মানুষের মতো কথা বলে। স্বভাবতই রূপকথাগুলি হয় আয়তনে দীর্ঘ এবং বর্ণনামুলক। কল্পনার সাহায্যে এর কাহিনি ইচ্ছামতো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করা সম্ভব। এর ভাষা হয় সহজ, সরল এবং অনাড়ম্বর। ঘটনার অলৌকিকতা, অবাস্তবতার স্পর্শ প্রতি পদে পদে দৃশ্যমান হয়। রূপকথার মাধ্যমে নীতিকথা, উপদেশ বা পরামর্শ যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় যা নৈতিক চরিত্র গঠন করতে সাহায্য করে এবং শিশুদের কল্পনাশক্তি, ভাষাজ্ঞান বাড়িয়ে তোলে।

(খ) ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তরঃ ছোটোগল্প হল অপেক্ষাকৃত আধুনিক যুগের সৃষ্টি। এটি গদ্য সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা। আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও রচনাটি সম্পূর্ণ ব্যঞ্জনাধর্মী। নাটকীয় আকর্ষণীয়তা, উৎকণ্ঠা, চরম মুহূর্ত, দৃঢ় সংবদ্ধ গঠনশৈলী সার্থক ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য।

(গ) রূপকথা ও ছোটোগল্পের পার্থক্য কী?

উত্তরঃ রূপকথা হল সম্পূর্ণ কাল্পনিক জগৎ। এর কাহিনি, সংলাপ, ঘটনা সব কাল্পনিক। কাল্পনিক হওয়ার কারণে ঘটনার বিন্যাস যেমন ইচ্ছামতো বাড়ানো-কমানো সম্ভব, তেমনই ইচ্ছামতো চরিত্র তৈরি, সংলাপ রচনা করা যায়, যা বাস্তবের সাথে মিল থাকার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে লেখকের ইচ্ছাই শেষ কথা। সেজন্য লেখক ইচ্ছামতো তার কাহিনি, চরিত্র, সংলাপ-সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কোনো দায়বদ্ধতা ছাড়াই।

কিন্তু ছোটোগল্পের ক্ষেত্রে এই নিয়ম একেবারেই প্রযোজ্য নয়। ছোটোগল্পের বিষয় অবশ্যই বাস্তবধর্মী হতে হবে। এর ঘটনা, চরিত্র কোনো কিছুই কাল্পনিক নয়। লেখক ইচ্ছামতো তার কাহিনি কমাতে বা বাড়াতে পারেন না। কাহিনির চাহিদা অনুযায়ী লেখক চলতে বাধ্য। অল্প কথার মধ্যে কাহিনির সারবত্তা, ‘উৎকণ্ঠা, আবেগ, চরম মুহূর্ত- সবকিছু সার্থকভাবে প্রকাশ করার নামই ছোটোগল্প।

(ঘ) বাংলা ছোটোগল্পের সর্বশ্রেষ্ঠ রূপকার কে?

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই ছোটোগল্পের সার্থক প্রবর্তক ও সর্বশ্রেষ্ঠ রূপকার।

প্রশ্ন ১৬। সবাই মিলে সুনির্মল বসুর ‘মহিম-রহিম’ কবিতাটি আবৃত্তি করো।

উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তক দেখে নিজেরা আবৃত্তি করো।

প্রশ্ন ১৭। ওপরের কবিতাটির মূল বক্তব্য বুঝে নিয়ে লেখো।

উত্তরঃ আলোচ্য কবিতাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। মহিম ও রহিম হল হিন্দু ও মুসলমান। তবুও তারা পরস্পরের অন্তরঙ্গ বন্ধু। একজন পড়ে মাদ্রাসায়, একজন পড়ে পাঠশালায়। একজনের আরাধ্য দেবতা ভগবান, আরেকজনের আল্লা। কিন্তু এতেও তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারেনি। মক্কা ও কাশীর সহাবস্থান সম্ভব হল, দুটি ছোটো শিশুর, ভাই ভাই সম্পর্কে। সম্ভব হল মন্দির আর মসজিদ এক হতে। রহিম এবং মহিমের কোলাকুলিতে একাকার হয়ে মিশে গেল মন্দির আর মসজিদ। সেজন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মর্মান্তিক পরিণাম রোধ করতে একটাই শ্লোগান আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তোলে-

হিন্দুর ঘরে শিশুর মহলে কে আছ মহিম ভাই-

মোল্লা ঘরের রহিম যে ডাকে, আয় আয় ছুটে তাই।

আজ যে রহিম জুড়ে থাক্ ভাই প্রতি মুসলিম ঘর।

মহিমের স্মৃতি ভরে থাক নিতি হিন্দুর অন্তর।

ঘ – প্রকল্প 

প্রশ্ন ১৮। পাঁচজন প্রসিদ্ধ বাংলা ছোটোগল্পকারের নাম সংগ্রহ করো এবং যেকোনো একজনের একটি গল্প সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ পাঁচজন প্রসিদ্ধ বাংলা ছোটোগল্পকারের নাম হল- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি গল্পটি নিজেরা সংগ্রহ করে সংক্ষেপে লেখার জন্য শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর সাহায্য নিতে হবে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top