Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Question Answer is made for Assam Seba Board students. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ
Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 10 Bengali Byakoron Suggestion, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Question Answer, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Notes, SEBA Class 10 Bengali Byakoron Solution, Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ Question Answer absolutely free of cost. Class 10 Grammar | দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ | মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ বই, বাংলা ব্যাকরণ বোর্ড বই, বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ কারক, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ সমাস, দশম শ্রেণির ব্যাকরণ, If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
ব্যাকরণ
১। ব্যঞ্জনসন্ধি
স্বরবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলা হয়।
১। স্বরবর্ণের পর ছ থাকিলে ছ-স্থানে ‘চ্ছ’ হয়। যেমন –
পরি + ছন্ন = পরিচ্ছন্ন।
পবি + ছেদ=পরিচ্ছেদ।
প্রেত + ছায়া = প্রেতচ্ছায়া।
অ+ ছদ= অচ্ছদ।
রাজ + ছত্র = রাজচ্ছত্র।
২। স্বরবর্ণ, গ্ ম্ দ্ প্ র্ ভ্ কিংবা য্ র্ ল্ পরে থাকলে পূর্বপদের অন্তঃস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন –
জগৎ + ইন্দ্ৰ = জগদিন্দ্র।
তৎ + উপরি = তদুপরি।
ণিচ্ + অন্ত = নিজস্ত।
কিন্তু স্মরণীয় – যাচ্ + অক = যাচক [যাজক নয়],
পত্ + অঙ্গ = পতঙ্গ [পদঙ্গ নয়]।
৩। চ্ বা ছ্ পরে থাকলে ত্ ও দ় স্থানে ‘চ্” হয়। যেমন –
উৎ+ ছল = উচ্ছল।
উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ।
উৎ + চকিত = উচ্চকিত।
৪। জ্ বা ঝ পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘জ্’ হয়। যেমন –
সৎ + জন = সজ্জন।
কুৎ + ঝটিকা = কুজ্বাটিকা।
৫। ট্ বা ঠু পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘ট্’ হয়। যেমন –
তৎ + টীকা = তট্টীকা।
মহৎ +ঠক্কর = মহট্ঠক্কর।
৬। ড্ বা ঢ় পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘ড্’ হয়। যেমন –
উৎ + ডীন = উড্ডীন।
বৃহৎ + ডম্বরু = বৃহড্ডম্বরু।
বৃহৎ + ডঙ্কা = বৃহড্ডঙ্কা।
৭। ল পরে থাকলে ত্ ও দ স্থানে ‘ল্’ হয়। যেমন –
উৎ + লাস্ = উল্লাস।
৮। পদের অন্তঃস্থ ত্ বা দ্-এর পর হ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে যথাক্রমে ‘দ’ ও ‘প্’ হয়। যেমন –
উৎ+হত = উদ্ধত।
তৎ + হিত = তদ্ধিত।
৯। পদের শেষে ত্ বা দ্-এর পর শ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ‘চ্’ এবং শ্ স্থানে ‘ছ’ হয়। যেমন –
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস।
উৎ + শ্বসিত = উচ্ছ্বসিত।
১০। চ্ বর্গের পরস্থিত নৃ-স্থানে ‘ঞ’ হয়। যেমন –
যাচ্ + না = যাচ্ঞা।
রাজ্ + নী = রাজ্ঞী।
১১। ষ্-এর পরস্থিত ত্ ও থ্ স্থানে যথাক্রমে ‘ট্’ ও ‘ঠ’ হয়। যেমন –
হৃষ্ + ত = হৃষ্ট।
রুষ + ত = রুষ্ট।
ষষ + থ = ষষ্ঠ।
কৃষ্ + তি = কষ্টি।
১২। ন্ বা ম্ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ত্, দ্ ও প্-স্থানে ‘ন্’ এবং ক্-স্থানে ‘ঙ’ হয়। যেমন –
উৎ + মন = উন্মন।
উৎ + মীলিত = উন্মীলিত।
১৩। ক-বর্গ, ত-বর্গ ও প-বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ণ কিংবা ‘স্’ পরে থাকলে ‘দ্’ ও ‘স্’ স্থানে ত্ [ৎ] হয়। যেমন –
হৃদ্ +পিণ্ড = হৃৎপিণ্ড।
হৃদ্ + পদ্ম = হৃৎপদ্ম।
১৪। ‘উৎ’ উপসর্গের পরবর্তী ‘স্থা’ ও ‘স্তম্ভ’ ধাতুর ‘স্’ লুপ্ত হয়। যেমন–
উৎ + স্থা = উত্থান।
উৎ + স্থাপন = উত্থাপন।
উৎ + স্থাপিত = উত্থাপিত।
উৎ + স্তম্ভন = উত্থম্ভন।
১৫। স্পর্শবর্ণ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থ ম্-স্থানে ‘ং’ বা বর্গের ‘পঞ্চম বর্ণ’ হয়। যেমন –
প্রিয়ম্ + বদা = প্রিয়ংবদা।
স্বয়ম +বয় = স্বয়ংবর বা স্বয়ম্বর।
স্বয়ম্ + ভর = স্বয়ংভর বা স্বয়ম্ভর।
সম্ + গীত = সংগীত বা সঙ্গীত বা সঙ্গীত।
১৬। ‘সম্’ ও ‘পরি’ উপসর্গের পর কৃ-ধাতু থাকলে ধাতুর পূর্বে ‘স্’-এর আগম হয়। যেমন –
সম্ + কৃত = সংস্কৃত।
সম্ + কৃতি = সংস্কৃতি।
১৭। য্, র্, ল্, ব্ কিংবা শ, ষ্, স্, হ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত ম্-স্থানে ‘ং’ হয়। যেমন –
সম্ + যত = সংযত্।
সম্ + বাদ = সংবাদ।
সম্ + হার = সংহার।
১৮। বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ বর্ণ বা য্, র্, ল্, ব্, হ পরে থাকলে পদের অন্তঃস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণ স্থানে ‘তৃতীয় বর্ণ’ হয়। যেমন–
বাক্ + বিস্তার = বাগ্বিস্তার।
ষট্ + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র।
সৎ+গুরু = সদ্গুরু।
উৎ + ভব = উদ্ভব।
১৯। নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি –
পর + পরা = পরম্পরা।
বন + পতি = বনস্পতি।
দিব্ + লোক = দ্যুলোক।
আ + পদ = আস্পদ।
২০। খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি : বাংলার নিজস্ব উচ্চারণ-রীতি অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি সংঘটিত হয়।
(ক) বর্গের তৃতীয় চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণ বা য্, র্, ল্ ব্, হ পরে থাকলে বর্গের প্রথম বর্ণের স্থানে ‘তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন –
ছোট + দি = ছোড়দি।
এত + দূর = এদ্দূর।
(খ) বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ পরে থাকিলে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে সেই বর্গের যথাক্রমে ‘প্রথম’ ও ‘দ্বিতীয়’ বর্ণ হয়। যেমন –
বড় + ঠাকুর = বঠাকুর।
আধু + খানা = আখানা।
(গ) শ্, ষ্, স্ থাকলে চ্-স্থানে ‘শ্’ হয়। যেমন –
পাঁচ + সের = পাঁসের।
(ঘ) চ-বর্গ পরে থাকলে পূববর্তী ত-বর্গ স্থানে ‘চ্’-বর্গ হয়ে যায়। যেমন –
নাতি [নাত্] + জামাই = নাজ্জামাই।
ভাত + জল = ভাজ্জল।
(ঙ) চ-বর্গ পরে থাকলে পূববর্তী স্বর লুপ্ত হয় এবং চ-বর্গের ‘দ্বিত্ব’ হয়। যেমন –
জুয়া + চোর = জোচ্চোর।
(চ) র্-কারের পর ব্যঞ্জনবর্ণ থাকলে র্-এর লোপ হয় এবং ব্যঞ্জনবর্ণের ‘দ্বিত্ব’ হয়। যেমন –
বাপের + জন্মে = বাপেজ্জন্মে।
ব্যাটার + ছেলে = ব্যাটাচ্ছেলে।
(ছ) ট-বর্গ পরে থাকলে ত-বর্গ স্থানে ‘ট-বর্গ’ হয়। যেমন –
হাত + টান = হাট্টান।
এত + টুকু = এট্টুকু।
(জ) ত্-বর্ণের পর ‘স্’ থাকলে উভয়ে মিলে ‘চ্ছ’ হয়। যেমন–
উৎ + সব = উচ্ছব।
প্রত্যয়
প্রত্যয় – শব্দ বা ধাতুর উত্তর যে সকল বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ যুক্ত হয়ে প্রতিপাদিক গঠিত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। যেমন—
রঘু + ষ্ণ = রাঘব।
ঠাকুর + আলি = ঠাকুরালি।
প্রত্যয় দুই প্রকার। যথা—
(ক) কৃৎপ্রত্যয়।
(খ) তদ্ধিত প্রত্যয়।
কৃৎপ্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয় দুইটির প্রত্যেকটির দুইটি করে উপবিভাগ রয়েছে। যেমন—সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় ও বাংলা কৃৎপ্রত্যয় এবং সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় ও বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়।
কৃৎ-প্রত্যয় – ধাতু-প্রকৃতির সঙ্গে যে সকল প্রত্যয় যুক্ত হয়ে প্রতিপাদিক গঠিত হয় তাদের কৃৎপ্রত্যয় বলে। যেমন—
পড় + আ = পড়া।
গম্ + তব্য = গন্তব্য।
তদ্ধিত প্রত্যয় – শব্দ বা নাম-প্রকৃতির সঙ্গে যে সকল প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে সকল নতুন প্রতিপাদিক গঠিত হয় তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যথা—
পাণ্ডু + ষ্ণ = পাণ্ডব।
দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি।
ঠাকুর + আলি = ঠাকুরালি।
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় – সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় যোগে তৎসম শব্দ গঠিত হয়। সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতকগুলি সম্পূর্ণভাবেই ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় ; আবার কতকগুলি প্রত্যয়ের বর্ণগুচ্ছের আংশিক পরিত্যক্ত হয়ে অবশিষ্টাংশ যুক্ত হয়ে শব্দ গঠন করে।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | প্রার্থনা |
অধ্যায় -২ | বিজয়া দশমী |
অধ্যায় -৩ | গ্রাম্যছবি |
অধ্যায় -৪ | প্রতিনিধি |
অধ্যায় -৫ | আবার আসিব ফিরে |
অধ্যায় -৬ | সাগর-সঙ্গমে নবকুমার |
অধ্যায় -৭ | বাংলার নবযুগ |
অধ্যায় -৮ | বলাই |
অধ্যায় -৯ | আদরণী |
অধ্যায় -১০ | তোতাকাহিনি |
অধ্যায় -১১ | অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম |
অধ্যায় -১২ | কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা |
অধ্যায় -১৩ | এসো উদ্যোক্তা হই |
অধ্যায় -১৪ | জীবন সংগীত |
অধ্যায় -১৫ | কাণ্ডারী হুঁশিয়ার |
অধ্যায় –১৬ | পিতা ও পুত্ৰ |
অধ্যায় -১৭ | অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি |
অধ্যায় –১৮ | শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ |
অধ্যায় -১৯ | উজান গাঙ বাইয়া |
বাংলা ব্যাকরণ | |
S.L. No | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
অধ্যায় -১ | তিওয়াগণ |
অধ্যায় -২ | দেউরিগণ |
অধ্যায় –৩ | নেপালিভাষী গোর্খাগণ |
অধ্যায় –৪ | বোড়োগণ |
অধ্যায় –৫ | মটকগণ |
অধ্যায় –৬ | মরাণগণ |
অধ্যায় –৭ | মিসিংগণ |
অধ্যায় –৮ | মণিপুরিগণ |
অধ্যায় –৯ | রাভাগণ |
অধ্যায় –১০ | চুটিয়াগণ |
সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের উদাহরণ –
অড্ (পুংলিঙ্গে ‘অ’, স্ত্রীলিঙ্গে ‘আ’) – এই প্রত্যয় কেবলমাত্র ভাববাচ্যেই প্রযুক্ত হয়। যেমন—
নিদ + অ = নিন্দা।
শ্রদ্ধ + অঙ্ শ্রদ্ধা।
কৃপ্ + অঙ্ = কৃপা।
ভিক্ষ্ + অ = ভিক্ষা।
অচ্ (অ) – ভাববাচ্যে ও কর্তৃবাচ্যে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়। কর্তৃবাচ্যে—
চর + অচ্ = চর।
ধৃ + অচ্ = ধর্।
কৃ + অচ্ = কর।
হৃ + অচ্ = হর।
অপ্ (অ) – ভাববাচ্যে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়।
জপ্ + অপ্ = জপ।
কৃ + অপ্ = কর।
স্পৃশ্ + অচ্ = স্পর্শ।
ভূ + অপ্ = ভব।
আ-দৃ + অপ্ = আদর।
কি (ই) – (ভাববাচ্যে) –
সম-ধ + কি = সন্ধি।
জল-ধা + কি = জলধি।
খল্ (অ) – সু-গম্ + খল্ = সুগম।
সু-লভ্+ খল্ = সুলভ।
দুর্-গম্ +খল্ = দুর্গম্।
দুর্-লভ্ + খল্ = দুর্লভ।
সু-কৃ + খল = সুকর।
ড (অ) – কর্তৃবাচ্যে এই প্রত্যয় হয়—
সহ-জন্ + ড = সহজ।
সরস্-জন্ + ড = সরোজ।
পঙ্ক-জন্ + ড = পঙ্কজ।
জল-জন + ড = জলজ।
ক্ত (ত) – অতীত কালের কার্য হয়েছে এই অর্থে প্রকাশ। কর্তৃবাচ্যে কর্তার ও কর্মবাচ্যে কর্মের বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন—
কৃ + ক্ত = কৃত।
পঠ + ক্ত = পঠিত।
দা + ক্ত = দত্ত।
উৎ + নম্ + ত্ত = উন্নত।
নশ্ + ক্ত = নষ্ট।
তব্য (উচিৎ অর্থে ) – কৃ + তব্য = কর্তব্য।
দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য।
বচ্ + তব্য = বক্তব্য।
দা + তব্য = দাতব্য।
মন্ + তব্য = মন্তব্য।
অনীয় (উচিত অর্থে ) – পা + অনীয় = পানীয়।
পূজ + অনীয = পূজনীয়।
কৃ + অনীয় = করণীয়।
বৃ + অনীয় = বরণীয়।
স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়।
আচর্ + অনীয় = আচরণীয়।
পাল + নিচ্ + অনীয় = পালনীয়।
ণক্ (অক্) – কর্তৃবাচ্যে এই প্রত্যয় হয়। যথা—
গৈ + ণক্ = গায়ক।
পচ্ + ণক্ = পাচক।
লিখ্ + = লেখক।
হন্ + ণক্ = আঘাত।
শতৃ (অৎ)– হইতেছে, চলিতেছে বা ঘটমান বর্তমান কাল নির্দেশ করে। যেমন–
পা + শতৃ = পিবৎ।
জাগ্ + শতৃ = জাগ্ৰৎ ইত্যাদি।
ন্যৎ প্রত্যয় – কৃ + ণ্যৎ = কার্য।
ভৃ + ণ্যৎ = ভার্য।
ধৃ + ন্যৎ = ধার্য।
যৎ প্রত্যয় – দা + যৎ = দেয়।
পা + যৎ = পেয়।
জ্ঞা + যৎ = জ্ঞেয়।
ক্যপ্ (ষ) প্রত্যয় – হন্ + ক্যপ্ + আ = হত্যা।
সূ + ক্যপ্ = সূর্য।
শানচ্ (মান, আন)।
বৃৎ + শানচ্ = বর্তমান।
কৃ + শানচ্ = কুৰ্বান।
চল্ + শানচ্ = চলমান।
ক্তি (তি) – ভাব অর্থে ভাববাচ্যে এই প্রত্যয় হয়। যেমন—
ভী + ভিন্ = ভীতি।
স্থা + ক্তিন্ = স্থিতি।
শক্ + ক্তিন = শক্তি।
তৃণ্, তৃচ্ প্রত্যয় – (শীলার্থে)–
দা + তৃচ = দাতা।
না + তৃচ্ = নেত্য।
যুপ্ + তৃচ্ = যোদ্ধা।
মা + তৃচ্ = মাতা।
সা + তৃচ্ = সবিতা।
শ্ৰু + তৃচ্ = শ্রোতা।
কৃ + তৃচ্ = কর্তা।
বাংলা কৃৎ প্রত্যয় –
অ – ধাতুর অর্থে অথচ বিশেষ্যাকারে ব্যবহারের জন্য এই প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন—
বাড়ু + অ = বাড়।
চল্ + অ = চল।
কাঁদ + অ = কাঁদ ইত্যাদি।
অন্ – ভাববাচ্যে, কারক বাচ্যে ও ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বুঝাইতে ‘অন্’ প্রত্যয় হয়। যেমন—
ভাঙ্ + অন = ভাঙন।
ঝাড় + অন = ঝাড়ন।
বল্ + অন = বলন।
অন্ত – কর্তৃবাচ্যে বর্তমানকালে ধাতুর উত্তর অন্ত প্রত্যয় হয়। যেমন—
উঠ + অন্ত = উঠন্ত।
ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত।
ভাস্ + অন্ত = ভাসন্ত ইত্যাদি।
অনা; না – লাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনা।
গঞ্জ + অনা = গঞ্জনা।
কুট্ + না = কুট্না।
কাঁদ্ + না = কান্না।
আই – কর্তবাচ্যে ধাতুর উত্তর আই প্রত্যয় হয়। যথা—
যাচ্ + আই = যাচাই।
বাছ + আই = বাছাই।
খুদ + আহ = খোদাই।
ঢাল + আই = ঢালাই।
আনি, আনী – ঝলক্ + আনি = ঝল্কানি।
পিট্ + আনী = পিটানী।
গোজ্ + আনি = গোঙানি।
নিড় + আনী = নিড়ানী।
আরি, আরী – ধুন + আরী ধুনারী।
কাট্ + আরি = কাটারি ইত্যাদি।
নী, নি, অনী, উনি – কারক বাচ্যে ভাববাচক বিশেষ্য বুঝাইতে এই প্রত্যয় হয়। যথা—
বিন্ + উনি = বিনুনি।
কাঁপ্ + উনি = কাঁপুনি।
সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় –
অপত্যার্থে প্রযুক্ত তদ্ধিত প্রত্যয়–
ষ্ণ (অ) – মনু + ষ্ণ =মানব।
রঘু + ষ্ণ = রাঘব।
বিমাতা + ষ্ণ = বৈমাত্র।
পুত্র + ষ্ণ = পৌত্র।
দুহিতা + ষ্ণ = দৌহিত্র।
বসুদেব + ষ্ণ = বাসুদেব।
ঞ্চি (ই) – রাবণ + ষ্ণি = রাবণি।
অর্জুন + ষ্ণি = আর্জুনি।
ভাগীরথ + ষ্ণি = ভাগীরথী।
অরুণ + ষি আরুণি ইত্যাদি।
ষ্ণেয় (এয়) – রাধা + ষ্ণেয়= রাধেয়।
ভগ্নী + ষ্ণ্যে = ভাগিনেয়।
অতিথি + ষ্ণেয = আতিথেয়।
আগ্নি + ষ্ণেয় = আগ্নেয়।
ষ্ণায়ন (আয়ন) – নর + ষ্ণায়ন = নারায়ণ।
দক্ষ + ষ্ণায়ন = দাক্ষায়ণ।
রাম্ + ষ্ণায়ন = রামায়ণ।
দ্বীপ + ষ্ণায়ন = দ্বৈপায়ন।
ষ্ণ্য (য) – অদিতি + ষ্ণ্য = আদিত্য।
দিতি + ষ্ণ = দৈত্য।
গণপতি + ষ্ণ = গাণপত্য।
বৃহস্পতি + ষ্ণ্য = বার্হস্পত্য।
বিবিধ অর্থে প্রযুক্ত তদ্ধিত প্রত্যয়–
পথ + ষ্ণিক = পথিক।
জ্ঞান + ইন্ = জ্ঞানিন।
গুণ + ময়ট্ = গুণময়।
মানব + তা = মানবতা।
শিক্ষক + তা = শিক্ষকতা।
মৃদু + তা = মৃতুতা।
সাধ + তা = সাধুতা।
মধুর + তা = মধুরতা ।
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় –
আ (উৎপন্ন অর্থে) – বাঘ + আ = বাঘা (সদৃশ অর্থে)।
হাত + আ = হাতা (ভাব অর্থে)।
মন্দ + আ =মন্দা।
বাদল + আ = বাদলা।
ঈ (আছে অর্থে) – ঢাক + ঈ = ঢাকী।
চাষ + ঈ = চাষী।
কটক + ঈ = কটকী।
পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী।
দোকান + ঈ = দোকানী।
ভাণ্ডার + ঈ = ভাণ্ডারী।
আই (উৎপন্ন অর্থে) – ঢাক + আই = ঢাকাই।
মোগল + আই = মোগলাই।
ছেলে + মি = ছেলেমি।
দুষ্ট + মি = দৃষ্টুমি।
গোঁড়া + মি = গোঁড়ামি।
আমি (ভাব অর্থে) – পাগল + আমি = পাগলামি।
পাকা + আমি = পাকামি।
বাঁদর + আমি = বাঁদরামি।
কতকগুলি ভিন্নার্থক বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়–
তল + আনি = তলানি।
আধ + লা = আলা।
হাত + ল = হাতল।
চিড়িয়া + খানা = চিড়িয়াখানা।
চৌকি + দাব = চৌকিদার।
কাবুলি + ওয়ালা = কাবুলিওয়ালা।
কৃৎ ও তদ্ধিত প্রত্যয়ের পার্থক্য –
কৃৎ প্রত্যয় – ধাতুর সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে কতকগুলি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে সকল নতুন শব্দ গঠিত হয়, সেগুলিকে
কৃৎপ্রত্যয় বলে। যথা—
চল + অন্ত = চলন্ত।
পা + তব্য = পাতব্য।
তদ্ধিত প্রত্যয় – শব্দের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে কতকগুলি প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে সকল নতুন শব্দ গঠিত হয়, সেগুলিকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। যেমন— দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি ;
ছেলে + মি = ছেলেমি।
নির্দেশক প্রত্যয় – যে সকল শব্দ বা শব্দাংশ বিশেষ্যের সঙ্গে বা বিশেষ্যের পূর্বে ব্যবহৃত সংখ্যাবাচক বিশেষণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য ও সংখ্যাবাচক শব্দকে বিশেষভাবে নির্দেশ করে, তাদের নির্দেশক প্রত্যয় বলে। যেমন— টি, টা, টুক্, টুকুন্, টুকু, খানা, খানি, গাছ, গাছা, গাছি ইত্যাদি। নির্দেশক প্রত্যয়গুলি প্রকৃতপক্ষে তদ্ধিত প্রত্যয়েরই একটি রূপ।
সংখ্যা নির্দেশ করার জন্য বিশেষ্যের পূর্বে সংখ্যাবাচক বিশেষণ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু, সংখ্য’বাচক বিশেষণ একটি অনির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করে। সুনির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বিশেষ্যের সঙ্গে বা বিশেষণের সঙ্গে নির্দেশক প্রত্যয় ব্যবহার করতে হয়।
১। টা, টি, টে, টো – যেমন— একটা, একটি, তিনটে, দুটো, ছেলেটা, মেয়েটি।
টা – বিরক্তি বা অবজ্ঞাবোধক : “ছেলেটা ভীষণ দুষ্টু।”
টি – স্নেহ ও সহানুভূতি-ব্যঞ্জক : “ছেলেটি বড়ো ভালো।”
টে – সংখ্যাবাচক বিশেষণ তিন ও চারের সঙ্গে বসে : টাকায় চারটে লেবু।
টো – সংখ্যাবাচক বিশেষণ দু-এর সঙ্গে বসে : দুটো বাজে।
২। টুক্, টুকু, টুকুন্ – যেমন— এতটুকু, একটুকু, কতটুকু, যতটুকু, ততটুকু, এতটুকম্।
টুক্ – স্বল্পতম পরিমাণ-জ্ঞাপক, কিন্তু অবজ্ঞাবাচক : “বিড়ালের এঁটো দুধটুকু ফেলে দিও।”
টুকু – পরিমাণ জ্ঞাপক অথবা ক্রিয়াবিশেষণরূপে : দুধটুকু খেয়ে ফেল। (পরিমাণ)।
“তোমাদের এইটুকু অনুরোধ শুনব না।” (ক্রিয়াবিশেষণ)।
টুকুন্ – স্বল্পতম পরিমাণ-জ্ঞাপক ও স্নেহাদরবোধক : “জামাই এইটুকুন্ দুধ খেলে না?”
৩। খান, খানা, খানি — যেমন — একখান, তিনখান, কয়খান, চারখানা, দুইখানি।
খান্ – স্নেহাদর ব্যঞ্জক ও নিঃসঙ্গতাবোধক : “ছপ্ছপ ছিপ্ খান্ তিনজন মাল্লার।”
খানা – দৈর্ঘ্য প্রস্থযুক্ত বড় আয়তনের বস্তুবোধক ও অবজ্ঞা-ব্যঞ্জকঃ “একখানা দিলে নিমেষ ফেলিতে তিনখানা করে আনে।”
খানি – দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-যুক্ত ছোট আয়তনের বস্তু-বোধক ও স্নেহাদর-ব্যঞ্জক : “শুধু বাঁশিখানি হাতে দাও তুলি।”
৪। গাছ গাছা, গাছি — যেমন—একগাছ লাঠি, দু-গাছ দড়ি, চারগাছি সূতা, একগাছ চুল, একগাছ শাক, গাছ তিনেক ছড়ি, গাছি তিন-চার সূতা ইত্যাদি।
গাছ – লম্বা বস্তু বুঝালে: “চিনিল না মোরে নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ।”
গাছা – লম্বা বস্তু বুঝালে : “লাঠিগাছা রাখলে কোথায়?”
গাছি – সরু বস্তু বুঝালে : “ফুলের মালাগাছি বিকাতে আসিয়াছি।”
অনির্দেশক প্রত্যয় –
১। জন, এক — যেমন— একজন, দুজন, জন দুই, জন চারেক।
জন – সংখ্যাবাচক বিশেষণের আগে এই নির্দেশক প্রত্যয় যোগ করে অনির্দিষ্ট ভাব প্রকাশ করা হয় ;
“জন চার লোক এখানে এসেছিল।”
এক– ‘এক’ সংখ্যাবাচক শব্দ অনিশ্চয়তাবোধক প্রত্যয় যোগ করে অনির্দিষ্ট ভাবকে আরও জোরালো করে প্রকাশ করা যেতে পারে। “এক যে ছিল রাজা।”
২। গোটা, গুটি — অনেক সময়ে অনির্দিষ্ট ভাব বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।
গোটা – অনাদর বোধক : “সেই সাপ জ্যান্ত, গোটা দুই আনতো।”
গুটি – “প্রীতিবাক্যে কব গিয়া গুটিকত কথা।”
সমাস
সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য –
১। পাশাপাশি দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে, সেক্ষেত্রে বর্ণগুলি অর্থযুক্ত না হলেও চলে। যেমন—
নে + অ = নয়ন।
রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র।
২। অপরদিকে সমাস হল দুই বা ততোধিক অর্থযুক্ত পদের একপদে পরিণত হওয়া। যেমন—
হর ও পার্বতা = হবপার্বতী।
যিনিই রাজা তিনিই ঋষি = রাজর্ষি।
৩। সন্ধির কাজ সংক্ষিপ্ত — উচ্চারণকে সাহায্য করে। কিন্তু সমাসে উচ্চারণ সবসময় সংক্ষিপ্ত বা সহজ হয় না। সন্ধিতে বিভক্তি লুপ্ত হয় না। কিন্তু অলুক্ ছাড়া প্রায় প্রতিটি সমাসের পদে বিভক্তি লোপ পায়।
৪। দুটি বর্ণ মিলিত হয়ে একটি শব্দ গঠন করে। দুই বা ততোধিক পদের মিলিত রূপ একপদে পরিণতি লাভ করে।
সমাস কাকে বলে ? দুই বা ততোধিক অর্থযুক্ত পদের একপদে মিলিত হওয়াকেই বলে সমাস। সমাসের আনুষঙ্গিক উপাদান হল—সমস্তপদ, সমস্যমান পদ, পূর্বপদ ও উত্তরপদ। এছাড়া থাকে ব্যাসবাক্য।
সমাসগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় —
দ্বন্দ্ব সমাস — পূর্বপদ ও উত্তর পদের প্রত্যেকটি যে সমাসে সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয় পদের অর্থই যেখানে মুখ্য সেখানে দ্বন্দ্ব সমাস হয়। যেমন— মাতা ও পিতা = মাতাপিতা।
অলুক দ্বন্দ্ব — যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, সমাসবদ্ধ হবার পরেও বিভক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন, হাটে ও বাজারে = হাটেবাজারে।
তৎপুরুষ সমাস — যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি বিভক্তির লোপ হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন, রাজার পুত্র = রাজপুত্র।
তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ –
(ক) কর্ম তৎপুরুষ — রথকে দেখা = রথদেখা।
(খ) করণ তৎপুরুষ — পদ দ্বারা দলিত = পদদলিত।
(গ) নিমিত্ত তৎপুরুষ — শিশুদের জন্য সাহিত্য = শিশুসাহিত্য।
(ঘ) অপাদান তৎপুরুষ — আগা থেকে গোড়া।
(ঙ) সম্বন্ধ তৎপুরুষ — গঙ্গার জল = গঙ্গাজল।
(চ) অধিকরণ তৎপুরুষ — গাছে পাকা = গাছপাকা।
আগাগোড়া।
(ছ) নঞ্ তৎপুরুষ (পূর্বপদ নঞর্থক অব্যয়) — নয় স্থির = অস্থির।
(জ) উপপদ তৎপুরুষ (পূর্বপদ উপপদ ও পরপদ কৃদন্ত পদ) — জলে জন্মে যে = জলজ।
তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লুপ্ত না হলে তাকে অলুক্ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন : মেঘের দ্বারা ঢাকা মেঘেঢাকা (অলুক্ করণ তৎপুরুষ)। অরণ্যেতে রোদন = অরণ্যেরোদন (অলুক্ অধিকরণ তৎপুরুষ)। কলেজে পড়ে যে = কলেজেপড়া (অলুক উপপদ তৎপুরুষ)।
কর্মধারয় সমাস — যে সমাস বিশেষ্যে বিশেষ্যে, বিশেষণে বিশেষণে, ও বিশেষ্যে বিশেষণে সাধিত হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন— যিনিই রাজা, তিনিই ঋষি = রাজর্ষি।
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় — যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝের অংশটি লুপ্ত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন— সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।
উপমান কর্মধারয় — উপমানের সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পদের সমাস হলে তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- শঙ্খের ন্যায় ধবল = শঙ্খধবল ৷
উপমিত কর্মধারয় — যে কর্মধারয় সমাসে উপমেয়ের সঙ্গে উপমানের সমাস হয়, কিন্তু সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—পুরুষ সিংহের
ন্যায় = পুরুষসিংহ।
রূপক কর্মধারয় — যে সমাসে উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভেদ কল্পিত হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। —মন রূপ মন্দির = মনোমন্দির, মানব রূপ জমিন = মানবজমিন।
দ্বিগু সমাস
সংজ্ঞা – যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক, পরপদটি বিশেষ্য এবং সমাসবদ্ধ পদে সমাহার বোঝায়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন–
পঞ্চবটের সমাহার পঞ্চবটী, সপ্ত অহের সমাহার = সপ্তাহ।
অব্যয়ীভাব সমাস
সংজ্ঞা – যে সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে পূর্বপদ অব্যয় এবং পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। এই সমাসে সমস্তপদটিও অব্যয় হয়ে যায়। যেমন–
অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ।
শক্তিকে অতিক্রম না করে = যথাশক্তি।
শৈশব পর্যন্ত = আশৈশব।
ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ।
দিন দিন = প্রতিদিন।
ক্ষুদ্র গ্রহ = উপগ্রহ।
কথার সদৃশ = উপকথা।
কূলের সমীপে = উপকূল ইত্যাদি।
অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। এই সমাসে সমস্তপদটিও অব্যয় হয়ে যায়। যেমন–
অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ।
শক্তিকে অতিক্রম না করে = যথাশক্তি।
শৈশব পর্যন্ত = আশৈশব।
ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ।
দিন দিন = প্রতিদিন।
ক্ষুদ্র গ্রহ = উপগ্রহ।
কথার সদৃশ = উপকথা।
কূলের সমীপে = উপকূল ইত্যাদি।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.