SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 1 আহােমগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 1 আহােমগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 1 আহােমগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 1 আহােমগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 1 আহােমগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium দশম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 1 আহােমগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

তিওয়াগণ

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ

১। ভাষিক দিক থেকে তিওয়ারা কোন শাখার লোক?

উত্তরঃ ভাষিক দিক থেকে তিওয়ারা ইন্দো-চীনের অন্তর্গত তিব্বত-বর্মীয় ভাষাগোষ্ঠী পরিবারের বৃহত্তর শাখা “বোড়ো” শাখার লোক।

২। তিওয়াদের উৎসব পার্বণে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্য-যন্ত্রের নাম লেখো।

উত্তরঃ তিওয়াদের উৎসব পার্বণে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্য-যন্ত্রের নাম হল – খ্রাম্ বার, থ্রাম খুজুরা, থ্রাম পাঙ্গাই, দুম্‌দিং, দগর্, পাতিঢোল চামড়ার বাদ্য, বাঁশের চিয়ারি দিয়ে তৈরি বাফাং খ্রাম, মুখে ফু দিয়ে আঙুল ব্যবহার করে বাজানো বাঁশি, মোষের শিং এর পেঁপা, মুহুরি এবং খায়াং।

৩। তিওয়া সমাজে “জেলা” বলতে কাকে বোঝায়?

উত্তরঃ তিওয়া সমাজে খেলার প্রশাসনিক ও সামাজিক মুরব্বিকে সমতলে ‘‘জেলা” বলা হয়।

৪। তিওয়াদের কয়েকটি উৎসবের নাম লেখো।

উত্তরঃ তিওয়াদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রটি খুবই সমৃদ্ধ। স্নেহ, ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধের বিরল দৃষ্টান্ত “জোনবিল” মেলা। পার্বত্য অঞ্চলের বানছুয়া, ছত্রা, রালিং, মুইনারি, লাংখন, খালা ইত্যাদি বিভিন্ন উৎসব পালিত হয় এবং সমতল অঞ্চলে জোনবিল মেলা, বরত, বহাগ বিহু, মাঘ বিহু এবং কাতি বিহু পালিত হয়।

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -১প্রার্থনা
অধ্যায় -২বিজয়া দশমী
অধ্যায় -৩গ্রাম্যছবি
অধ্যায় -৪প্রতিনিধি
অধ্যায় -৫আবার আসিব ফিরে
অধ্যায় -৬সাগর-সঙ্গমে নবকুমার
অধ্যায় -৭বাংলার নবযুগ
অধ্যায় -৮বলাই
অধ্যায় -৯আদরণী
অধ্যায় -১০তোতাকাহিনি
অধ্যায় -১১অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম
অধ্যায় -১২কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা
অধ্যায় -১৩এসো উদ্যোক্তা হই
অধ্যায় -১৪জীবন সংগীত
অধ্যায় -১৫কাণ্ডারী হুঁশিয়ার
অধ্যায় –১৬পিতা ও পুত্ৰ
অধ্যায় -১৭অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি
অধ্যায় –১৮শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ
অধ্যায় -১৯উজান গাঙ বাইয়া
বাংলা ব্যাকরণ
S.L. Noবৈচিত্রপূর্ণ আসাম
অধ্যায় -১তিওয়াগণ
অধ্যায় -২দেউরিগণ
অধ্যায়নেপালিভাষী গোর্খাগণ
অধ্যায়বোড়োগণ
অধ্যায়মটকগণ
অধ্যায়মরাণগণ
অধ্যায়মিসিংগণ
অধ্যায়মণিপুরিগণ
অধ্যায়রাভাগণ
অধ্যায়১০চুটিয়াগণ

৫। “ফুলগুরির ধেঁওয়া” কী?

উত্তরঃ “ফুলগুরির ধেঁওয়া” হল মহিলাদের নেতৃত্বে সংঘটিত হওয়া অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ।

৬। সংক্ষেপে টীকা লেখো।

(ক) ইন্দ্রসিং দেউরি। 

(খ) বলাইরাম সেনাপতি।

উত্তরঃ (ক) ইন্দ্রসিং দেউরি – তিওয়া জনজাতির মধ্যে জাতীয় চেতনা জাগ্রত করার ক্ষেত্রে আজীবন সংগ্রাম করা অন্যতম ব্যক্তি হল ইন্দ্রসিং দেউরি। ১৯৩২ সালে কাৰ্বি আংলং জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের রংখৈপার-এ তাঁর জন্ম হয়েছিল। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করে অর্থাভাবে তাঁর বিদ্যাশিক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ির আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য তিনি পশুপালন বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। কার্বি আংলং জেলার তিওয়াদের অন্ধবিশ্বাস দূর করার জন্য থারাখুঞ্জি গ্রামে “তিওয়াসা মিশন” নামে এক সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্ম দেন এবং গ্রামগুলোতে পাঠদানের ব্যবস্থা করেছিলেন।

ইন্দ্রসিং দেউরি তিওয়া সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তাঁর রচিত “তিওয়া তসিমা” গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে তিওয়ারা গ্রহণ করেছেন।

ইন্দ্রসিং দেউরি মহাশয় তিওয়া জাতীয় জীবনের একজন কাণ্ডারি স্বরূপ। তিনি একাধারে সংগঠক, সমাজ সচেতক, সমাজ সংস্কারক, লেখক, গীতিকার, সুরকার এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। পাহাড়ের তিওয়ারা ইন্দ্রসিং দেউরিকে ‘ফ পরৈ’ (জাতির পিতা) বলে সম্বোধন করতেন। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ২০ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়।

(খ) বলাইরাম সেনাপতি – বলাইরাম সেনাপতি অসমিয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংস্কৃতি সাধক ছিলেন। নগাঁও জেলার ইতিহাসপ্রসিদ্ধ বারপূজিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বগারাম সেনাপতি ও মাতা পদ্মেশ্বরী বরদলৈ। তিনি মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করতেন। “মিকির পাহাড়ত কি ঘটিছে (মিকির পাহাড়ে কী ঘটেছে) নামক “রামধেনু” তে প্রকাশিত প্রবন্ধটি রচনা করার জন্য সরকারী রোষাগ্নিতে পড়েন এবং বরথল থেকে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসেন। তারপর তিনি কৃষিকার্যে মনোনিবেশ করেন। তিওয়াদের সঙ্গীতচর্চার জন্য তিনি এক পদ্ধতিতে অনুশীলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন । তিওয়া লোকগীতির স্বরলিপি এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিওয়া জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য “তিওয়া কৃষ্টি সন্থা” গঠনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। অসমিয়া ভাষায় বহুসংখ্যক সাহিত্যের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছিলেন। তিনি “রামধেনু” পত্রিকায় লেখার পর অসমিয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে পরিচিতি লাভ করেন। “রামধেনু”-তে লেখা তাঁর তিওয়াদের “রাতিসেক” বিষয়ক প্রবন্ধ অসমিয়া সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। বলাইরাম সেনাপতি রচিত গীতি আলেখ্য গুয়াহাটি বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল। আকাশবাণীতে তাঁর রচিত গীতি আলেখ্যগুলো হল-নগরে নরোত্তম গোঁসাই শ্রীরাম, ফুলগুরির ধেওয়া, তিওয়া সমাজ সংস্কৃতি হারানো দিনের সুর এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী গীত।

সাহিত্য জগতে অবদানের জন্য অসম সরকার তাঁকে সাহিত্যিক পেনশন প্রদান করেন।

২০১৪ সালের ১১মে এই মহান ব্যক্তি ইহলীলা সম্বরণ করেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top