SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 মিসিংগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 মিসিংগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 মিসিংগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.
SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 মিসিংগণ
Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium দশম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 মিসিংগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
মিসিংগণ
পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ
১। মিসিং জাতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ অসমের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী হচ্ছে মিসিং জনজাতি। মিসিংরা “মিরি” নামে পরিচিত। মিসিংরা নিজেদের “তানি” বলে পরিচয় দেন। “তানি” শব্দের অর্থ মানব। মিসিংদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। একজন গাওবুঢ়া মিসিং গ্রামগুলোতে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা করে থাকেন। “কৌবা” বা সভার আয়োজন করে গাওবুঢ়ার তত্ত্বাবধানে দোষীর বিচার করা হয়। মিসিংদের উপাস্য দেবতা চন্দ্র-সূর্য। তাদের জাতীয় উৎসব হল আলি-আঃয়ে লৃগা। এই উৎসবের দিনে গাছরোপণ করা হয়। আপং মিসিংদের পানীয় দ্রব্য।
২। মিসিং জাতীর তিন রকমের পোশাক আষাকের নাম লেখো।
উত্তরঃ মিসিংদের তিন রকমের সাজ পোশাকের নাম হল- মিবু, গালুগ, রিহা, মেখেলা এবং রিবি গাচেং।
৩। মিসিংদের ধর্ম সম্পর্কে কী জানো লেখো।
উত্তরঃ মিসিংদের মহাপুরুষীয়া, শৈব, শাক্ত বা তন্ত্র বিশ্বাসের উপরে ও “রাতি” সেবাধর্মে বিশ্বাস দেখা যায়। মিসিংদের উপাস্যদেবতা হল “দঞ্চি-পল” বা সূর্য চন্দ্ৰ। আজন্ম কাল সূর্য চন্দ্র দেবতারা তাদের পরিচালনা করেন বলে মিসিংদের বিশ্বাস। মিসিংদের মধ্যে ধর্মীয় “দবুর” পূজা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | প্রার্থনা |
অধ্যায় -২ | বিজয়া দশমী |
অধ্যায় -৩ | গ্রাম্যছবি |
অধ্যায় -৪ | প্রতিনিধি |
অধ্যায় -৫ | আবার আসিব ফিরে |
অধ্যায় -৬ | সাগর-সঙ্গমে নবকুমার |
অধ্যায় -৭ | বাংলার নবযুগ |
অধ্যায় -৮ | বলাই |
অধ্যায় -৯ | আদরণী |
অধ্যায় -১০ | তোতাকাহিনি |
অধ্যায় -১১ | অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম |
অধ্যায় -১২ | কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা |
অধ্যায় -১৩ | এসো উদ্যোক্তা হই |
অধ্যায় -১৪ | জীবন সংগীত |
অধ্যায় -১৫ | কাণ্ডারী হুঁশিয়ার |
অধ্যায় –১৬ | পিতা ও পুত্ৰ |
অধ্যায় -১৭ | অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি |
অধ্যায় –১৮ | শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ |
অধ্যায় -১৯ | উজান গাঙ বাইয়া |
বাংলা ব্যাকরণ | |
S.L. No | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
অধ্যায় -১ | তিওয়াগণ |
অধ্যায় -২ | দেউরিগণ |
অধ্যায় –৩ | নেপালিভাষী গোর্খাগণ |
অধ্যায় –৪ | বোড়োগণ |
অধ্যায় –৫ | মটকগণ |
অধ্যায় –৬ | মরাণগণ |
অধ্যায় –৭ | মিসিংগণ |
অধ্যায় –৮ | মণিপুরিগণ |
অধ্যায় –৯ | রাভাগণ |
অধ্যায় –১০ | চুটিয়াগণ |
৪। আলি আয়ে লৃগাং কী এবং কখন অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ মিসিংদের জাতীয় উৎসব হচ্ছে আলি আয়ে লৃগাং। আলি-আয়ে-লৃগাং শব্দটি তিনটি পদের সমষ্টি। আলি অর্থাৎ মাটির নীচে হওয়া বীজ, আয়ে হল গাছের উপর হওয়া ফল, লৃগাং শব্দের অর্থ হল বীজরোপণ কার্যের শুভারম্ভ।
ফাল্গুন মাসের বুধবার দিন এই উৎসবের শুভারম্ভ।
৫। আলি আঃয়ে লৃগাং শব্দের বুৎপত্তি লেখো।
উত্তরঃ আলি আঃয়ে লৃগাং তিনটি পদের সমষ্টি। আলি মাটির নীচে হওয়া বীজ, আঃয়ে হল গাছের হওয়া ফল, লৃগাং শব্দের অর্থ বীজ রোপণ কার্যের শুভারম্ভ।
৬। সংক্ষেপে টীকা লেখো।
(ক) ভৃগুমণি কাগয়ুং।
(খ) শহিদ কমলা মিরি।
(গ) ঐরাম বরি।
(ঘ) যাদব পায়েং।
উত্তরঃ (ক) ভৃগুমণি কাগয়ুং – সুসাহিত্যিক কাগয়ুং-এর পূর্বপুরুষের নাম ছিল কার্তং। ১৯৩২সালে অক্টোবর মাসে ভৃগুমণি কাগয়ুং-এর জন্ম হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর গুয়াহাটির বি. বরুয়া কলেজ থেকে ১৯৮৭ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। অসমিয়া কাব্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে ভৃগুমণি কাগয়ুং-এর দান অপরিসীম। “কবিতা কলি” অনাহুত ইত্যাদি তার বিশেষ কাব্যগ্রন্থ। তাঁর সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে “কুসুম কলি”। ১৯৭১ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তিনি মিসিং জনগোষ্ঠীর প্রথম রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক। তিনি অসমিয়া ভাষার সঙ্গে সঙ্গে মিসিং ভাষাতেও কবিতা রচনা করেছিলেন। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা সর্বমোট সাতাশটি।
ভৃগুমণি কাগয়ুং একজন সার্থক প্রবন্ধকার এবং প্রসিদ্ধ লোকসংস্কৃতির গবেষক ছিলেন। অসমিয়া ও মিসিং ভাষা সাহিত্য-সংস্কৃতি গভীর অধ্যয়ন ও চর্চা তাঁর জীবনের ব্রত ছিল।
(খ) শহিদ কমলা মিরি – নিজের দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার কবল থেকে মুক্ত করার জন্য জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে কমলা মিরি অন্যতম। শিবসাগর জেলার টেমেরা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল চিকৌ লই। এবং মাতার নাম ছিল মঙ্গলি লইং।
মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সংগঠিত স্বাধীনতা আন্দোলন ভারতবর্ষের সর্বত্র দেশপ্রেমের জোয়ার এনেছিল। গোলাঘাট জেলার (তখনকার শিবসাগর জেলা) কমলা মিরি এবং তাঁর সতীর্থ মিসিং যুবকদেরও দেশপ্রেমের অমরবাণী উদ্বেলিত করেছিল। কমলা মিরির নেতৃত্বে মহুয়া মৌজার বংকুয়াল অঞ্চলে বিকারাম মিরি, বেজিয়া লইং, ভুটাই লইং, শম্ভুরাম মিরি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
১৯৪২ সালে “ভারত ত্যাগ আন্দোলন” আরম্ভ করার জন্য মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু নেতাগণকে ব্রিটিশ সরকার যখন কারাগারে প্রেরণ করেছিল তখন কমলা মিরি রাঙামাটী মৌজার ওপর টেমেরা গ্রামে শান্তিসেনার দল গঠন করেছিলেন।
১৯৪২ সালে গোলাঘাটে কংগ্রেসের কার্যালয়ে বিপ্লবের খবরাখবর সংগ্রহ করতে গেলে কমলা মিরি ও তাঁর সঙ্গীদলকে ব্রিটিশ সরকারের সিপাহীরা বন্দী করে। কারাগারে বন্দী অবস্থায় কমলা মিরি, গোপীনাথ বরদলৈ, ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ, হেম বরুয়া নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎলাভ করেন। কারাগারে বন্দী জীবন কাটাবার সময় তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং ১৯৪৩ সালে ২৩ এপ্রিল তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
(গ) ঐরাম বরি – ১৮৭৭ সালে মিসিং সংস্কৃতির পিতৃপুরুষ ঐরাম বরি“নেফা”র অন্তর্গত অয়াণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল তাকির বরি মাতার নাম ছিল মঙলি বরি।
সেকালে বরিদের গ্রামে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় স্বগ্রাম থেকে ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ কিঃমিঃ নিম্নভূমির পুরানো মুকুংসেলেকের অন্তর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ঐরাম বরি মিসিং সংস্কৃতির সংরক্ষণ করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। কৃষ্টি-প্রাণ একদল যুবক যুবতিকে সঙ্গে নিয়ে মিসিংদের মূল্যবান ঐনিঃতম, চৌল্লয়া, কাবান, তৌবঃ ইত্যাদির প্রণালীবদ্ধভাবে চর্চা, সংরক্ষণ এবং সংবর্ধনের কাজে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। বরিদের সাংস্কৃতিক দলটি জোনবই, পাচিঘাট থেকে আরম্ভ করে গুয়াহাটি, যোরহাট, ডিব্ৰুগড়, মাজুলি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়েছিল, তিনি “অয়ান অঞ্চলের সংস্কার এবং উন্নয়ন সভা” থেকে আরম্ভ করে “ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম” পর্যন্ত নানা মূল্যবান কাজ করেছিলেন।
সেইসময় “নেফা” প্রশাসনের অধিকারী আর্নল্ড সাহেব এবং মাথুর সাহেবের পরিকল্পনায় ঐরাম বরির নেতৃত্বে অয়ান চারি আলি থেকে চিয়াং ব্রহ্মপুত্র পর্যন্ত একটি পথ নির্মাণ করেন। চিয়াং ব্রহ্মপুত্র ঘাটটিকে “ঐরাম ঘাট” নামে নামাঙ্কিত করা হয়।
(ঘ) যাদব পায়েং – ১৯৫৯ সালে ৩০ অক্টোবর তারিখে যোরহাট জেলার ককিলামুখের বরখোপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম লক্ষ্মীনাথ পায়েং এবং মাতার নাম আফুলি পায়েং। ব্রহ্মপুত্রের ভয়ে বাসস্থান পরিবর্তন করে তিনি মিরি গ্রামে বাস করেন। বালিগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষা শুরু হয়। সেখান থেকেই তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ ও জীবজন্তুর প্রতি ভালবাসার পাঠ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমি এবং পরিবেশকর্মী। ব্রহ্মপুত্রের বানে প্রচুর জীবজন্তুর মৃত্যু হয়। তিনি সাপদের আশ্রয়দানের জন্য বাঁশের ঝোপ রোপণ করেছিলেন। “মোলাই কাঠনি” অরণ্য তাঁর সৃষ্টি। যাদব পায়েং-এর মোলই অরণ্যের বিশাল পরিবারের মধ্যে মূল্যবান লাল চন্দন, সাদা চন্দন, শিশুগাছ, গামরী, তিতাচপ উল্লেখযোগ্য। চারটি বাস মোলাই অঞ্চলের বিশেষ আকর্ষণ।
পরিবেশ রক্ষা করার জন্য তিনি ভারতের অরণ্যমানব উপাধি পেয়েছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম ২৫০লক্ষ টাকাসহ হীরাখচিত পুরস্কার প্রদান করেন। প্রকৃতির নীরব সাধক পায়েংকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী উপাধি প্রধান করে।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Tanks