SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 8 মণিপুরিগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 8 মণিপুরিগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 8 মণিপুরিগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 8 মণিপুরিগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 8 মণিপুরিগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium দশম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 10 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 8 মণিপুরিগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

মণিপুরিগণ

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কখন থেকে মণিপুরিগণ অসমে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন?

উত্তরঃ ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে মান সেনা মণিপুর রাজ্য আক্রমণ করে। মণিপুরি প্রজাদের ওপর মান সেনার অত্যাচারে থাকতে না পেরে তারা কাছাড়, সিলেটে বসবাস করতে শুরু করে। পরবর্তীকালে স্বস্থানে ঘুরে না গিয়ে তারা কাছাড় জেলাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।

প্রশ্ন ২। ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদে মণিপুরি ভাষা কত সালে অন্তর্ভূক্ত হয়?

উত্তরঃ ১৯৯২ সালে মণিপুরি ভাষা ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত হয়।

প্রশ্ন ৩। মণিপুরি মৈতে বা মীতৈ সমাজে সাতটা য়েক-সালাইয়ের নাম কী কী?

উত্তরঃ মণিপুরি মৈতে বা মীতৈ সমাজ সাতটি য়েক-সালাই অর্থাৎ গোত্র বা উপসম্প্রদায়ে বিভক্ত। সেগুলি হচ্ছে মঙাং, লুয়া, খুমন, মেহিরাং, অঙ্গেম, খাবা-ঙানবা এবং চংলৈ।

প্রশ্ন ৪। মণিপুরি মৈতে বা মীতৈদের ঘরে পূজা-অর্চনা করা দেবদেবীর নাম লেখো।

উত্তরঃ মণিপুরিরা বৈষ্ণবধর্মী হলেও তাঁরা তাঁদের আরাধ্য দেবতা “লাই নিংখৌ ছনাময়ী”, “ইমালৈমরেন শিদবী”র পূজা করে থাকে।

প্রশ্ন ৫। লাইহারোবা কী? বছরের কোন মাসে লাইহারোবা উৎসব পালন করা হয়? এই উৎসবের একটি বাদ্যযন্ত্রের নাম লেখো।

উত্তরঃ লাইহারোবা মণিপুরিদের কৃষিভিত্তিক উৎসব। বৈশাখ মাসে পাঁচদিনব্যাপী লাইহারোবা উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবে ব্যবহার করা বাদ্যযন্ত্র হচ্ছে‘পেমা’। এটি একপ্রকার বীণা জাতীয় বাদ্য।

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -১প্রার্থনা
অধ্যায় -২বিজয়া দশমী
অধ্যায় -৩গ্রাম্যছবি
অধ্যায় -৪প্রতিনিধি
অধ্যায় -৫আবার আসিব ফিরে
অধ্যায় -৬সাগর-সঙ্গমে নবকুমার
অধ্যায় -৭বাংলার নবযুগ
অধ্যায় -৮বলাই
অধ্যায় -৯আদরণী
অধ্যায় -১০তোতাকাহিনি
অধ্যায় -১১অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম
অধ্যায় -১২কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা
অধ্যায় -১৩এসো উদ্যোক্তা হই
অধ্যায় -১৪জীবন সংগীত
অধ্যায় -১৫কাণ্ডারী হুঁশিয়ার
অধ্যায় –১৬পিতা ও পুত্ৰ
অধ্যায় -১৭অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি
অধ্যায় –১৮শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ
অধ্যায় -১৯উজান গাঙ বাইয়া
বাংলা ব্যাকরণ
S.L. Noবৈচিত্রপূর্ণ আসাম
অধ্যায় -১তিওয়াগণ
অধ্যায় -২দেউরিগণ
অধ্যায়নেপালিভাষী গোর্খাগণ
অধ্যায়বোড়োগণ
অধ্যায়মটকগণ
অধ্যায়মরাণগণ
অধ্যায়মিসিংগণ
অধ্যায়মণিপুরিগণ
অধ্যায়রাভাগণ
অধ্যায়১০চুটিয়াগণ

প্রশ্ন ৬। মণিপুরিদের কয়েকটি নাচের নাম লেখো।

উত্তরঃ মণিপুরিদের নৃত্যের নাম হল—“থাবল-চোংবি মাইবি জগোই”। লাই-হারাওবা নৃত্য মণিপুরি সংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ।

প্রশ্ন ৭। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

(ক) নাওরিয়া ফুলে।

(খ) নৃত্যগুরু কে. যতীন্দ্র সিংহ। 

(গ) সমাজসেবিকা সরস্বতী সিংহ। 

(ঘ) নোংথম্বম বিদ্যাপতি সিংহ।

উত্তরঃ (ক) নাওরিয়া ফুলে – নাওরিয়া ফুলে আধুনিক মণিপুরি সাহিত্যের অন্যতম অগ্রগণ্য সাহিত্যিক। অসমের হাইলাকান্দি জেলার ‘লাইশ্রম খুন’ নামক গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ফুলের মতো কোমল দেখতে ছিলেন, তাই পাঠশালার শিক্ষক তাঁর নাম দিয়েছিলেন ফুলো। তাঁর পূর্বপুরুষ ছিলেন মণিপুর রাজ্যের প্রজা। 

নাওরিয়া ফুলে শিক্ষকতা করার সময় থেকেই অনুবাদের মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা শুরু করেছিলেন। হিন্দু পুরাণ কাহিনি অবলম্বনে পাঁচটি নাটক রচনা করেছিলেন। তাঁর রচিত ১৯টি গ্রন্থ আছে। মীতৈ হৌভম বারী, গৌড়ধর্ম, অহন য়াথং ইত্যাদি গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য।

১৯৩০ সালে তিনি মাত্র বারজন অনুরাগীকে নিয়ে অকোকপা মরূপ (অপোকপা) সমাজ গঠন করেন। তাঁর কবিতাসমূহ আধ্যাত্মিক ভাবধারা ও প্রাচীন ঐতিহ্যের গুণগান, দেব-দেবীর স্তোত্র, স্তুতি, মন্ত্র, গীত ইত্যাদি দ্বারা পরিপূর্ণ।

বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষটি মাত্র ৫৩ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।

(খ) নৃত্যগুরু কে. যতীন্দ্র সিংহ – বিশ্বভারতী সংগীত ভবনের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ যতীন্দ্ৰ সিংহ ১৯৪৩ সালে লখিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মণিপুরি নট সংকীর্তন গুরু কে. কামিনী সিংহ এবং শ্রীমতী পশৎলেমা দেবীর পুত্র ছিলেন। শৈশবকাল থেকেই তিনি সংগীত ও নৃত্যপ্রেমী ছিলেন। বিভিন্ন নৃত্যের সংযোজন ও সংমিশ্রণের মাধ্যমে নতুন নৃত্যশৈলী উদ্ভাবন করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় এবং আন্তরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নৃত্যের কর্মশালা করেছিলেন। নিজের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে বহু কর্মশালা ও আলোচনাচক্র আয়োজন করে মণিপুরি ও রবীন্দ্রনৃত্যের শ্রীবৃদ্ধির চেষ্টা করেন। তার তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে নৃত্য পরিবেশন করে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছিলেন। তিনি ‘ত্রিধার’ এবং ‘মীর জিজ্ঞাসা’ নামে দুটো টেলিফিল্মে অভিনয় করেছিলেন। যতীন্দ্র সিংহকে ২০০৬ সালে মণিপুরি সাহিত্য পরিষদ, অসমে “নৃত্যগুরু” রাজকুমার বুদ্ধিমন্ত মেমোরিয়াল ডান্স একাডমি ত্রিপুরা রাজকুমার মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১২ সালে মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ ইম্ফল ‘নৃত্যরত্ন’ উপাধিতে সম্মানিত করেন।

মণিপুরি নৃত্যের বিরল প্রতিভার অধিকারী যতীন্দ্র সিং শান্তিনিকেতনে নিজ বাসগৃহে পরলোকগমন করেন।

(গ) সমাজসেবিকা সরস্বতী সিংহ – সরস্বতী সিংহ লঙ্কা অঞ্চলের আমপুখুরি গ্রামে কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বাহেংবম জয়চন্দ্র সিংহ, মায়ের নাম বাহেংকম ফজবি দেবী। তিনি কাশিপুর এম. ভি. স্কুল থেকে বৃত্তিসহ এম. ভি. পাশ করার পর রাষ্ট্রভাষা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। নগাঁও গার্লস কলেজ থেকে বি. এ. পাশ করে আইনের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

অসম সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগে অঙ্গনবাড়ি কর্মী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। মণিপুরি ভাষা সাহিত্যের উন্নতির জন্য হোজাইতে “মণিপুরি লিটারেরি ফোরাম” প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাকপটুতা প্রত্যুৎপন্নমতি এবং অধ্যবসায়ী গুণের জন্য অতি কম দিনে নিজেকে আইনজীবীরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার প্রথম মহিলা অধিবক্তা ছিলেন। নারীচেতনা জাগ্রত করার জন্য তিনি বিভিন্ন মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে নিজে হাল ধরেছিলেন। মণিপুরি সাহিত্য পরিষদ, তাঁকে সমাজসেবিকা উপাধি দিয়েছিল।

(ঘ) নোংথম্বম বিদ্যাপতি সিংহ – নোংথম্বম বিদ্যাপতি সিংহ একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। হাইলাকান্দি জেলার লালা শহরে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম ললিতি সিংহ যিনি একজন কবিরাজ ও জ্যোতিষী ছিলেন। মাতার নাম ছিল মাইসন দেবী। তিনি বিদ্যাশিক্ষা শেষ করে সোনাই এম. ই. বিদ্যালয়ের ইংরাজি শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টাতে এম. ই. স্কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়।

নোংথস্বম বিদ্যাপতি সিংহ একজন সহজ সরল প্রকৃতির আদর্শবান পুরুষ ছিলেন। স্বজাতির যুব প্রজন্মকে জাগ্রত করার জন্য মণিপুরি যুবসংঘ গড়ে তুলেছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্থানে বাস করা মণিপুরিদের উৎপীড়ন করার খবর শুনে তিনি কাছাড়ের তিনজন নেতা এবং একশত ছাত্র-ছাত্রী সেখানে প্রেরণ করে মণিপুরি প্রজার মধ্যে সদ্ভাব বজায় রেখে বসবাস করার সু-পরামর্শ দিয়েছিলেন।

মাত্র ৪২ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সোনাই শহরে তাঁর মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top