Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ Question Answer is made for Assam Seba Board students. Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter Chapter 9 রাভাগণ

Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Suggestion, SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Question Answer, SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Notes, SEBA Class 10 Bengali Boichitrapurno Assam Solution, Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ Question Answer absolutely free of cost. Class 10 Boichitrapurno Assam | বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 9 রাভাগণ | মাধ্যমিক বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম সাজেশন, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম বই, বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম বোর্ড বই, বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম প্রশ্ন pdf, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম, দশম শ্রেণীর বাংলা বৈচিত্রপূর্ণ আসাম, দশম শ্রেণির বৈচিত্রপূর্ণ আসাম, If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

রাভাগণ

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তরঃ

১। রাভাদের আদি বাসভূমি কোথায় ছিল?

উত্তরঃ ১৯০৩ সালে প্রকাশিত লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মতানুসারে গারো পাহাড় জেলার ফুলবাড়ি থেকে দক্ষিণ কামরূপের রানা পর্যন্ত, গারো পাহাড়, খাসিয়া পাহাড় জেলার উত্তর সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চলে রাভা জাতির বাসস্থান ছিল। তাছাড়াও নেপাল, ভুটান, মেঘালয়, বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান সহ অসমের কোকরাঝাড়, বঙ্গাইগাঁও, চিরাং, বাক্সা, ওদালগুড়ি, কামরূপ, শোণিতপুর, গোলঘাট, নগাঁও, ধেমাজি, ডিব্ৰুগড়, শিবসাগর ইত্যাদি জেলার বিভিন্ন স্থানে রাভাদের বাসভূমি আছে।

২। সামাজিক দিক থেকে রাভারা কী কী শাখায় বিভক্ত?

উত্তরঃ মঙ্গোলীয় গোষ্ঠীভুক্ত রাভা জাতি সামাজিক দিক থেকে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত, যেমন—রংদানি, পাতি, দাহরি, মায়তরি, কোচ, বিতলিয়া হানা, মদাহি ইত্যাদি।

৩। রাভা সংস্কৃতির প্রতীক কী?

উত্তরঃ “মানচালেংকা” বা “মাছরোকা” পাখি (মাছরাঙা) রাভা সংস্কৃতির প্রতীক। মানচালেংকার মতো কাঠের প্রতিকৃতির করুরা ও বাতিকটিকা নামের পাখি একটি লগিতে গেঁথে দেওয়া হয় আর নাচের তালে তালে পুরুষ ও মহিলারা ঢাল ও তলোয়ার নিয়ে নৃত্য করে।

৪। রাভাদের প্রধান দেবতা কে?

উত্তরঃ রাভাদের প্রধান দেবতা রিসি বা মহাদেব।

৫। রাভাদের প্রধান পুজোর নাম কী ?

উত্তরঃ বুরঞ্জি অনুসারে রাভাদের বীর রাজা দদানই “বায়খো” পূজা করেছিল। পরবর্তীকালে সেই বায়োখা পূজাই রাভাদের প্রধান পূজা। রাভারা জড় উপাসক, পাথর, গাছপালা ইত্যাদির পূজা করে মোরগ, শূকর, কবুতর ইত্যাদি উৎসর্গ করত।

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -১প্রার্থনা
অধ্যায় -২বিজয়া দশমী
অধ্যায় -৩গ্রাম্যছবি
অধ্যায় -৪প্রতিনিধি
অধ্যায় -৫আবার আসিব ফিরে
অধ্যায় -৬সাগর-সঙ্গমে নবকুমার
অধ্যায় -৭বাংলার নবযুগ
অধ্যায় -৮বলাই
অধ্যায় -৯আদরণী
অধ্যায় -১০তোতাকাহিনি
অধ্যায় -১১অরুণিমা সিনহা: আত্মবিশ্বাস ও সাহসের এক নাম
অধ্যায় -১২কম্পিউটার কথা, ইন্টারনেট কথকতা
অধ্যায় -১৩এসো উদ্যোক্তা হই
অধ্যায় -১৪জীবন সংগীত
অধ্যায় -১৫কাণ্ডারী হুঁশিয়ার
অধ্যায় –১৬পিতা ও পুত্ৰ
অধ্যায় -১৭অরণ্য প্রেমিক: লবটুলিয়ার কাহিনি
অধ্যায় –১৮শ্ৰীকান্ত ও ইন্দ্ৰনাথ
অধ্যায় -১৯উজান গাঙ বাইয়া
বাংলা ব্যাকরণ
S.L. Noবৈচিত্রপূর্ণ আসাম
অধ্যায় -১তিওয়াগণ
অধ্যায় -২দেউরিগণ
অধ্যায়নেপালিভাষী গোর্খাগণ
অধ্যায়বোড়োগণ
অধ্যায়মটকগণ
অধ্যায়মরাণগণ
অধ্যায়মিসিংগণ
অধ্যায়মণিপুরিগণ
অধ্যায়রাভাগণ
অধ্যায়১০চুটিয়াগণ

৬। সংক্ষেপে টীকা লেখো।

(ক) বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা। 

(খ) রাজেন রাভা।

(গ) প্রসন্ন পাম।

(ঘ) বীরুবালা রাভা।

(ক) বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা – ১৯০৯ সালের ৩১ জানুয়ারিতে কলাগুরু বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, নৃত্যবিদ, অভিনেতা ছিলেন। প্রথমে তিনি ইংরাজি, বাংলা অসমিয়া মাধ্যমে বিদ্যাশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।

তেজপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে “কুইন এক্সপ্রেস” পদক লাভ করেছিলেন। তিনি প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড় ছিলেন। ফুটবল, হকি, ক্রিকেট খেলা ছাড়াও তিনি গান, নৃত্য, অভিনয়, ছবি আঁকাতে পারদর্শী ছিলেন।

তিনি মহাপুরুষ শংকরদেবের ভক্ত ছিলেন। বিদ্যাশিক্ষা সমাপ্ত করে কোলকাতায় গিয়ে হাতে কলম তুলে নিয়েছিলেন। “আবাহ”, “বাঁশি” কাগজে তাঁর রচনা প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসমিয়া সাহিত্যের প্রেমিকদের কাছে তিনি বিষ্ণু রাভা নামে পরিচিত হন। অসমের সাংস্কৃতিক জগতের বরেণ্য শিল্পী জ্যোতিপ্ৰসাদ আগরওয়ালার সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। গায়িকা প্রিয়লতা দত্তের সঙ্গে ১৯৩৭ সালে তাঁর বিবাহ হয় এবং মাত্র ২৮দিনের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়।

কাশীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ ক্রমে তিনি মহাদেব তাণ্ডব নৃত্য প্রদর্শন করে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের থেকে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছিলেন। ১৯৬২ সালে দেশদ্রোহী সাজিয়ে তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। তিনি দ্বিতীয় পত্নীর মৃত্যুর পর যাযাবর জীবন যাপন শুরু করেন। তাঁর রচিত ‘সোনপাহি’ ও ‘মিচিং কনেং’ দুইটি বিখ্যাত গ্রন্থ। সংগ্রামী জীবনযোদ্ধা বিষ্ণু রাভার জীবন অতি দুঃখ যন্ত্রণায় ভরা ছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জুন তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

(খ) রাজেন রাভা – ১৯২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজেন রাভা জন্মগ্রহণ করেন। কৃতী শিক্ষক, যশস্বী সাহিত্যিক, গবেষক রাজেন রাভার জীবন কৃতিত্বে পরিপূর্ণ ছিল। রাজেন রাভা বলতেন “অভিধানেই মোর গুরু”। তাঁর রচিত ‘রাভা লোককথা’, ‘রাভা জনজাতি’ ইত্যাদি গ্রন্থ ছাড়াও চল্লিশটির অধিক প্রবন্ধ ছিল। এম. ই. স্কুলের অধ্যয়ন শেষ করে মাত্র পাঁচ টাকা বেতনে এক মাড়োয়ারি দোকানে জীবিকার বৃত্তি গ্রহণ করেছিলেন। নিজ প্রচেষ্টায় মাধ্যমিক, আই. এ. পাশ করে অসমিয়া সাহিত্য নিয়ে এম. এ. পাশ করেছিলেন। আজীবন সাহিত্য সেবক, সমাজ ও মানবপ্রেমিক রাজেন রাভার প্রথম জীবন দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করে তিনি ‘করব কিংমা মরব’ বাহিনিতে ভর্তি হয়েছিলেন। ‘অসম বঙ্গীয় সারস্বত আশ্রম’-এর ঋষি বিদ্যালয়ে এক বছর সংস্কৃত ও বাংলা ভাষা অধ্যয়ন করে দুই ভাষাই আয়ত্ত করেছিলেন।

তিনি অসম সাহিত্য সভার বঙ্গাইগাঁও অধিবেশনের উপ-সভাপতি ও দুধনৈ অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন। অসম সরকারের থেকে তিনি সাহিত্যিক পেনসন এবং রাষ্ট্রীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন।

(গ) প্রসন্ন পাম – গোয়ালপাড়া জেলার বালিজান চক্রের অন্তর্গত লতাপারা গ্রামে প্রসন্ন পাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল কমলকুমার রাভা এবং মাতার নাম ছিল দাখেলাবালা রাভা। শৈশবকাল থেকেই তিনি রাভা কৃষ্টির সাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন। বেতার শিল্পী হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করে তিনি অনেক গীত রচনা করে সুর দিয়েছিলেন। ‘দদান বীর’ নাটকের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তাঁর রচিত সৃষ্টি বিধান, ময়রা শক্তি, কামগিরি, পিদান সংসার গ্রন্থগুলি অপ্রকাশিত ছিল।

নির্বাচনের প্রচার কার্য চালানোর সময় মোটর দুর্ঘটনায় মহান শিল্পীর অকাল মৃত্যু হয়েছিল।

(ঘ) বীরুবালা রাভা – ডাইনি হত্যার মতো অন্ধবিশ্বাসকে সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করে একটি সুস্থ সমাজ গড়ার চেষ্টায় নিজেকে উৎসর্গ করা, সংগ্রামী নেত্রী ছিলেন বীরুবালা রাভা। ১৯৪৯ সালে গোয়ালপাড়া জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কালিয়ারাম রাভা ও মাতার নাম সাগরবালা রাভা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন এবং বোনাই কটাইয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সামাজিক ডাইনী হত্যার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর কর্মের স্বীকৃতির জন্য ‘শান্তির নোবেল পুরস্কার’, উর্মিলা দাস মেমোরিয়াল পুরস্কার, জয়মতী পুরস্কার পেয়েছিলেন।

২০১৫ সালে গুয়াহাটী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top