Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes Class 8 Science Textbook Question Answer in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ Notes PDF Download. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ If you liked SEBA Class 8 Science Chapter 7 উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। শূন্যস্থান পূর্ণ করো :
(ক) যে জায়গাতে প্রাণীদের তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে রক্ষা করা হয় তাকে বলে।
উত্তরঃ অভয়ারণ্য ।
(খ) নির্দিষ্ট এলাকাতে যেসব প্রজাতি পাওয়া যায় সেগুলোকে বলে।
উত্তরঃ স্থানিক প্রজাতি।
(গ) প্ৰব্ৰজনে আসা পাখী উড়ে অনেক দূর অতিক্রম করে আসে পরিবর্তনের জন্য।
উত্তরঃ জলবায়ু।
প্রশ্ন ২। পার্থক্য লিখো :
(ক) বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চল।
উত্তরঃ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীবণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চল : যে বনাঞ্চল প্রাণীদের সংরক্ষণ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা সহকারে চিহ্নিত করে রাখা হয় সেই অঞ্চলটিই বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য বলে। এই আবাসস্থলীতে প্রাণীর বেঁচে থাকার সবরকম সুবিধা থাকে।
(খ) চিড়িয়াখানা ও অভয়ারণ্য।
উত্তরঃ চিড়িয়াখানা ও অভয়ারণ্য : ইহা একটি কৃত্রিম স্থান যেখানে বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণ করা হয় তাদের স্বাভাবিক বাসস্থানের মতন পরিবেশে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যগুলিতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা হয়। এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণীসমূহ সুরক্ষা এবং উপযুক্ত জীবনযাত্রার উপযোগী করে তোলা হয়। এই অঞ্চলে প্রাণী ধরা বা বধ করা কঠোরভাবে দণ্ডনীয়।
(গ) বিপন্ন প্রজাতি ও বিলুপ্ত প্রজাতি।
উত্তরঃ বিপন্ন ও বিলুপ্ত প্রজাতি : যে সকল প্রাণীর সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকেও হ্রাস পেয়ে বিলুপ্তির পর্যায়ে আসে সেই প্রজাতির প্রাণীকে বিপন্ন প্রজাতি বলে। কতগুলি প্রাণীর অস্তিত্ব পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীকে বিলুপ্ত প্রজাতি বলে।
(ঘ) উদ্ভিদকূল ও প্রাণীকূল।
উত্তরঃ উদ্ভিদকূল এবং প্রাণীকূল : কতগুলি উদ্ভিদ কয়েকটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে থাকে এবং বৃদ্ধি পায়। আবহাওয়া ও পরিবেশে বড় হতে থাকে যে অঞ্চলে উদ্ভিদগুলি সেই উদ্ভিদগুলিকে উদ্ভিদকূল বলে। যে প্রাণীগুলি তাদের নিজের আবাসস্থলে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করে সেই প্রাণীগুলিকে সেই অঞ্চলের প্রাণীকূল বলে।
প্রশ্ন ৩। নির্বনানীকরণের ফলে নিচে দেওয়াগুলোতে কী প্রভাব পড়তে পারে আলোচনা করো।
(ক) বন্যপ্রাণী।
উত্তরঃ বন্যপ্রাণী : নির্বনানীকরণের ফলে বন্যপ্রাণীরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং এদের খাদ্যাভাব দেখা দেয়। এতে বহু প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে বহু মূল্যবান প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।
(খ) পরিবেশ।
উত্তরঃ পরিবেশ : নির্বনানীকরণের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়, জমির উর্বরতা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। তাছাড়া বন্যা, খরা ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহের সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং পাহাড়ী অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিস্খলন ঘটতে থাকে।
(গ) গ্রামগঞ্জ।
উত্তরঃ গ্রামগঞ্জ : গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী যেমন জ্বালানি কাঠ, বাঁশ, বেত, খাদ্য, ওষুধ, পশুখাদ্য ইত্যাদি অরণ্য থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। গাছপালা কাটার ফলে গ্রামাঞ্চলের লোকেরা এসব সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হন। তাছাড়া বন জঙ্গল কমে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীরা খাদ্যের সন্ধানে নিকটবর্তী লোকবসতিপূর্ণ গ্রামগুলিতে এসে হানা দেয়। ভূমিক্ষয় হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -1 | শস্য উৎপাদন ও পরিচর্যা |
অধ্যায় -2 | অনুজীব সমূহঃ শত্ৰু ও মিএ |
অধ্যায় -3 | কৃত্রিম তন্তু ও প্লাষ্টিক |
অধ্যায় -4 | পদার্থ: ধাতু ও অধাতু |
অধ্যায় -5 | কয়লা ও পেট্রোলিয়াম |
অধ্যায় -6 | দহন ও শিখা |
অধ্যায় -7 | উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ |
অধ্যায় -8 | কোষ – গঠন ও কার্য |
অধ্যায় -9 | প্রাণীর প্রজনন |
অধ্যায় -10 | বয়ঃসন্ধির দোরগোড়ায় |
অধ্যায় -11 | বল ও চাপ |
অধ্যায় -12 | ঘর্ষণ |
অধ্যায় -13 | শব্দ |
অধ্যায় -14 | বিদ্যুৎ প্রবাহের রাসায়নিক ফলাফল |
অধ্যায় -15 | কিছু প্রাকৃতিক পরিঘটনা |
অধ্যায় -16 | আলোক |
অধ্যায় -17 | তারকা ও সৌরজগত |
অধ্যায় -18 | বায়ু ও জল প্রদূষণ |
(ঘ) নগর।
উত্তরঃ নগর : বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে অরণ্য নিধন করে সেই ভূমি নগর বানানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে অরণ্য নিধনের ফলে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এতে বন্যা, খরা ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়ই ঘটতে থাকে। নগর অঞ্চলের লোকেরাও এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে থাকেন।
(ঙ) পৃথিবী।
উত্তরঃ পৃথিবী : বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে গাছপালা কমে যাওয়ায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে পৃথিবীর উপরিভাগের উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়া তাপরশ্মিগুলি ধরে রাখে। পৃথিবীর গড় উষ্ণতার এই বৃদ্ধি জলচক্রে ব্যাঘাত ঘটায় এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তাছাড়া ভূগর্ভস্থ জলের মাত্রা নীচে নেমে যায়। বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর উর্বর মাটি মরুভূমিতে রূপান্তরিত হয়।
(চ) পরবর্তী প্রজন্ম।
উত্তরঃ পরবর্তী প্রজন্ম : বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদেরকে পরবর্তী প্রজন্মের লোকেরা দেখতে পাবে না এবং এগুলির উপকারিতা থেকে এরা বঞ্চিত হবে। তাছাড়া অরণ্য নিধনের ফলে সৃষ্ট পরিবেশগত সমস্যাগুলি পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে মোকাবিলা করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। এরা প্রচণ্ড সংকটের সম্মুখীন হবে, দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেবে, শ্বাস- দূষণমুক্ত নির্মল বায়ু এরা পাবে না।
প্রশ্ন ৪। কী হতে পারে যদি—
(ক) আমরা গাছ কাটতে থাকি।
উত্তরঃ যদি আমরা অনবরত গাছ কাটতে থাকি তাহলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে, মাটির উর্বরতা হ্রাসপ্রাপ্ত হবে। তাছাড়া বন্যা, খরা ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির সম্ভাবনা বেশি করে বৃদ্ধি পাবে।
(খ) প্রাণীর আবাসস্থল বিঘ্নিত হলে।
উত্তরঃ যদি প্রাণীটির আবাসস্থলে কোন প্রকারের বাধাবিঘ্ন বা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হত তাহলে প্রাণীটি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে এবং অদূর ভবিষ্যতে প্রাণীটির বিলুপ্তি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
(গ) মাটির সবচেয়ে উপরের স্তর মুক্ত হয়ে থাকলে ।
উত্তরঃ মাটির উপরের স্তর অনাবৃত থাকলে উপরের উর্বর মাটি ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে তার নীচে অনুর্বর শিলাময় শক্ত মাটির আবরণটি বেরিয়ে আসবে। মাটির উপরের স্তর অনাবৃত থাকার ফলে এভাবে উর্বর মাটি মরুভূমিতে পরিণত হয় ।
প্রশ্ন ৫। সংক্ষেপে উত্তর লিখো :
(ক) আমাদের কেন জৈব-বৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করা উচিত?
উত্তরঃ জীবজগত থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন উপায়ে আমরা উপকৃত হই। আমাদের খাদ্য, বস্তু, কাঠ, বাঁশ, ওষুধ, তেল, রবার, ধূনাজাতীয় পদার্থ বা রেজিন ইত্যাদি আমরা জীববৈচিত্র্যের কারণেই পেয়ে থাকি। তাছাড়া জীববৈচিত্র্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেজন্য জীববৈচিত্র্যকে আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত।
(খ) সংরক্ষিত অরণ্যগুলো বন্যপশুদের জন্য সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ নয় কেন?
উত্তরঃ সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাহারাদার নিয়োগ করা সত্ত্বেও চোরাশিকারীরা বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চামড়া, শৃঙ্গ, দাঁত, মাংস ইত্যাদির লোভের বশবর্তী হয়ে চোরাগুপ্তা পথে সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিতে ঢুকে পড়ে এবং এগুলি আহরণের জন্য বন্যপ্রাণীদেরকে নির্দয়ভাবে হত্যা করে। তাছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পার্শ্ববর্তী লোকেরা বনাঞ্চলে অনধিকার প্রবেশ করে সেখানকার অনেক ক্ষতিসাধন করে। সুতরাং সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিও রন্যাপ্রাণীদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ নয়।
(গ) কিছু কিছু উপজাতি জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল কিভাবে?
উত্তরঃ উপজাতি লোকদের প্রধান আবাসস্থল হল বনাঞ্চল। বনাঞ্চল থেকে এরা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন খাদ্য, জ্বালানী কাঠ, গৃহ নির্মাণের জন্য কাঠ ও বাঁশ, উদ্ভিদজাত ওষুধ. তেল, মধু, ধূনাজাতীয় পদার্থ ইত্যাদি আহরণ করে থাকে। তাছাড়া কিছু জনজাতি লোকেরা বনাঞ্চলে গাছপালা কেটে সেখানে জুম চাষ পদ্ধতিতে কৃষিকার্য করে থাকে। এভাবে এরা বনাঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল।
(ঘ) নির্বনানীকরণের কারণ ও পরিণতিগুলো কী কী?
উত্তরঃ নির্বনানীকরণের কারণসমূহ : প্রাকৃতিক সৃষ্ট কিছু কারণ যেমন দাবানল অর্থাৎ অরণ্যের আগুন এবং প্রচণ্ড খরা ইত্যাদির জন্য নির্বানানীকরণ হয়ে থাকে। তাছাড়া মনুষ্যসৃষ্ট কিছু কারণে নির্বননীকরণ হয় সেগুলি হল-
(১) বনাঞ্চলের গাছপালা কেটে কৃষিজমি সম্প্রসারণ করার ফলে নির্বনানীকরণ হয়।
(২) বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে বনাঞ্চলের মাটিতে নতুন বসতি স্থাপন, নির্মাণ তাছাড়া বৃহৎ উদ্যোগ নির্মাণ ইত্যাদির ফলে নির্বনানীকরণ হয়।
(৩) কাগজ, দিয়াশলাই, প্লাইউড ইত্যাদি শিল্পে কাঠকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কাঠের এই চাহিদা অরণ্য নিধন করে মেটানোর ফলে নির্বনানীকরণ হয়।
নির্বনানীকরণের ফলে হওয়া কতকগুলি পরিণতি নীচে উল্লেখ করা হল।
(১) বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা এবং প্রদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
(২) বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস হয় এবং মাটির উর্বরাশক্তি কমে।
(৩) বনাঞ্চল ধ্বংস হলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকে।
(৪) বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে মাটির উপরিভাগের জমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অবশেষে মরুভূমিতে পরিণত হয়।
(৫) অক্সিজেনের অভাব হয় ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
(ঙ) রেড ডেটা বুক কাকে বলে?
উত্তরঃ বিপন্ন অস্তিত্ব সম্পন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর তথ্য সম্বলিত পুস্তককে রেড ডেটা বুক বা লাল তথ্যপুস্তক বলে।
(চ) প্ৰব্ৰজন বলতে তোমরা কী বোঝ?
উত্তরঃ কোনো এক প্রজাতি তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে বৎসরের কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে দূরবর্তী অপর কোনো স্থানে ডিম প্রসবের মতো কোনো এক বিশেষ উদ্দেশ্যে গমন করে থাকে। তাদের এই গমন প্রক্রিয়াকে প্ৰব্ৰজন বলে।
প্রশ্ন ৬। কারখানার বৰ্দ্ধিত চাহিদা মেটাবার জন্য ও ঘর বাড়ি বানানোর জন্য গাছ সর্বদা কাটা হয়। এটা কি উচিত? আলোচনা করো এবং একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ উত্তরটি নিজে লেখার চেষ্টা করবে।
প্রশ্ন ৭। তোমার এলাকাতে সবুজ সম্পদ বজায় রাখার জন্য তুমি কি পরামর্শ দেবে ? তার একটি তালিকা বানাও।
উত্তরঃ আমাদের এলাকার সবুজ সম্পদ বজায় রাখতে হলে নিম্নলিখিত কার্যগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে।
(১) এলাকার যেসব স্থানে বৃক্ষ কাটা হয়েছে সেই সব স্থানে বেশি করে গাজ লাগানো।
(২) এলাকার পতিত জমিতে সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থাগুলির সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ করা।
(৩) ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এলাকার সবুজ সম্পদ বজায় রাখতে বৃক্ষরাজির প্রতি অধিক যত্নশীল হওয়া।
(৪) এলাকার জনসাধারণকে বিভিন্ন শিক্ষার মাধ্যমে সবুজ সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলা।
প্রশ্ন ৮। কীভাবে অরণ্যধ্বংসের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায় বর্ণনা করো।
উত্তরঃ উদ্ভিদের সালোক সংশ্লেষণের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের প্রয়োজন। বনজঙ্গল কেটে ফলে গাছপালার সংখ্যা কমে যাওয়ায় বায়ুমণ্ডল – গুলোতে কার্বন ডাই অক্সাইড-এর পরিমাণ বাড়তে থাকে। এতে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে গোলকীয় উত্তাপনের সৃষ্টি করে। কারণ পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়া তাপরশ্মিগুলি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ধরে রাখে। এর ফলে জলচক্রের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায় এবং খরার সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ৯। তোমার জেলার রাষ্ট্রীয় উদ্যানগুলো খুঁজে বের করো। সেগুলোর অবস্থান ভারতবর্ষের মানচিত্রে দেখাও।
উত্তরঃ উত্তরটি নিজে করার চেষ্টা করবে।
প্রশ্ন ১০। কাগজ কেন বাঁচানো দরকার? কী কী ভাবে কাগজ বাঁচাতে পারবে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ কাগজ কলে কাগজ প্রস্তুত করতে কাঁচামাল হিসাবে কাঠ ব্যবহার করা হয়। এই কাঠ অরণ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এক টন কাগজ তৈরি করতে ১৭টি পূর্ণতাপ্রাপ্ত গাছের প্রয়োজন হয়। সুতরাং অরণ্যের সুরক্ষার জন্য কাগজ বাঁচিয়ে রাখা উচিত।
কাগজ বাঁচিয়ে রাখতে নিম্নলিখিত উপায়গুলি গ্রহণ করা যেতে পারে। যথা-
(১) কাগজ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া। অপ্রয়োজনে কাগজ ব্যবহার না করা।
(২) ব্যবহার করা কাগজ, খাতা, ফাটা ছেঁড়া পুস্তক, পুরাতন সংবাদপত্র এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কাগজগুলি যেখানে সেখানে না ফেলে কোন গ্রাহকের মাধ্যমে কাগজ কলে সরবরাহ করা যাতে এই কাগজগুলি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পুনরাবর্তন প্রক্রিয়ায় আবার সম্পদে পরিণত হয়। ব্যবহার করা কাগজ পুনরাবর্তনের মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাত বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
(৩) কাগজ না জ্বালানো।
প্রশ্ন ১১। শব্দের ধাঁধাটি সম্পূর্ণ করো :
অনুভূমিক দিকে :
(২) পাচমারী জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলের একটি অভয়ারণ্য।
(৪) প্রাণীদের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের জায়গা ।
(৫) কিছু সংখ্যক পাখির বছরের বিশেষ সময়ে নিজের বাসস্থান থেকে দূর – দূরান্তে উড়ে যাওয়া কার্য ।
লম্বভাবে :
১। নষ্ট হয়ে যাওয়া অরণ্যে নতুন গাছ লাগানো।
৩। মানুষ দেখতে পারা বিভিন্ন জীবজন্তুকে কৃত্রিমভাবে তৈরি আবাসস্থানে রাখার ব্যবস্থা ।
উত্তরঃ (২) বরি অভয়ারণ্য।
(৪) অভয়ারণ্য।
(৫) প্রব্রজন ।
(১) পুন: বনানীকরণ ।
(৩) চিড়িয়াখানা ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। নির্বনানীকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ বৃক্ষ কেটে স্থানটি পরিষ্কার করে ফেলাকেই নির্বনানীকরণ বলে।
প্রশ্ন ২। বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে মাটির গুণাগুণ কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ অরণ্য নিধন মাটির গুণাগুণ পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ। গাছপালা ভূমিক্ষয় রোধ করে। বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে গাছপালার সংখ্যা কমে গিয়ে ভূমিক্ষয়ের পরিমাণ বেশি হয়। এতে মাটির উপরের স্তর অপসারিত হয়ে নীচের শক্ত পাথুরে মাটি বেরিয়ে আসে। এই মাটিতে হিউমাস কম থাকায় অনুর্বর হয়। ভূমিক্ষয়ের ফলে উর্বর মাটি ক্রমশ মরুভূমিতে রূপান্তরিত হয়। অরণ্য নিধনের ফলে মাটির জলধারণ ক্ষমতা কমে যায়, মাটির উপরিভাগ থেকে জল চুইয়ে ভূগর্ভে অনুপ্রবেশের হার হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। তাছাড়া মাটির অন্যান্য গুণাগুণ যেমন গঠন, মাটিতে থাকা পোষক দ্রব্য ইত্যাদিও পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্ন ৩। জীবমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর যে অঞ্চলটি জুড়ে জীব বসবাস করে তাকে জীবমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন ৪। জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ কোনো একটি অঞ্চলে দেখতে পাওয়া বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অনুজীব যারা একটি নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত তাদেরকে একত্রে জীববৈচিত্র্য বলে।
প্রশ্ন ৫। বনাঞ্চল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তরঃ বনাঞ্চল ছাড়া বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব সম্ভব নহে। বনাঞ্চল হলো জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার। কোনো একটি বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্য্যতা হ্রাস পেলে সেই স্থানের পরিবেশের ভারসাম্যতা বিঘ্নিত হয় এবং এর ফলে পরিবেশ নষ্ট হয়। কোনো এক ভূখণ্ডের মোট কালির 33% বনাঞ্চল দ্বারা পূর্ণ থাকলে তখনই সেই স্থানের পরিবেশের ভারসাম্যতা অটুট থাকে। সুতরাং পরিবেশের ভারসাম্যতা অটুট রাখার জন্য বনাঞ্চল সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৬। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা লেখো।
উত্তরঃ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। এই আইনগুলির আওতায় বনবিভাগ বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। তাছাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সরকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল, অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান, বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকাকে ঘোষণা করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্ন ৭। আসামের দুটি রাষ্ট্রীয় উদ্যানের নাম লেখো।
উত্তরঃ গজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান এবং মানস রাষ্ট্রীয় উদ্যান।
প্রশ্ন ৮। জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চল বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ বন্যজীব, উদ্ভিদ এবং প্রাণীজাত সম্পদসমূহ এবং সেইসব অঞ্চলে বাস করা জনজাতি লোকদের পরম্পরাগত জীবনকে সংরক্ষণ করার জন্য এক বৃহৎ পরিমাণ মাটির বিশাল অঞ্চলকে জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চল বলে জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলগুলি সেই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতিসমূ রক্ষা করতে সাহায্য করে। জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলে অপর সংরক্ষিত অঞ্চলগুলি যেমন অভয়ারণ্য, রাষ্ট্রীয় উদ্যান ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রশ্ন ৯। পাঁচমারী জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্যগুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ পাঁচমারী জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলের ‘সাতপুরা’ নামক একটি রাষ্ট্রীয় উদ্যান এবং ‘ববি’ ও ‘পাঁচমারী’ নামক দুটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আছে।
প্রশ্ন ১০। স্থানিক প্রজাতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতিগুলিকে কেবল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় এবং সেগুলিকে অন্য কোথাও প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখতে পাওয়া যায় না তাদেরকে স্থানিক প্রজাতি বলে।
প্রশ্ন ১১। পাঁচমারী জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলে দেখতে পাওয়া দুটি স্থানিক উদ্ভিদ প্রজাতি এবং দুটি স্থানিক প্রাণী প্রজাতির নাম লেখো ।
উত্তরঃ পাঁচমারী জীবমণ্ডল সংরক্ষিত অঞ্চলে দেখতে পাওয়া দুটি হানিকর উদ্ভিদ প্রজাতির নাম, যথা – শাল এবং বন্য আম, দুটি হানিকর প্রাণী প্রজাতির নাম, যথা – ভারতীয় দৈত্যকায় কাঠবিড়ালী এবং উড়ন্ত কাঠবিড়ালী ।
প্রশ্ন ১২। বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রাণীসমূহ এবং তাদের আবাসস্থলের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন না করে সংরক্ষিত করা অঞ্চলকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য বলে । অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী হত্যা করা বা শিকার ধরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ । পর্যটকরা অনুমতি সাপেক্ষে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে প্রবেশ করতে পারেন ।
প্রশ্ন ১৩। ব্যাঘ্র প্রকল্প বলতে কী বোঝ? এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ ব্যাঘ্র প্রকল্প বলতে বাঘের সংরক্ষণের ব্যবস্থাকে বোঝায় । প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঘের সংখ্যা কমে আসছে । তাই সংরক্ষিত বনাঞ্চল তৈরি করে সেখানে বাঘের অবাধ বিচরণের এবং তাদের প্রজননের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একেই ব্যাঘ্র প্রকল্প বলা হয় । ব্যাঘ্র প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো বাঘকে বিলুপ্তির সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করা এবং বাঘের জনসংখ্যার রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা।
প্রশ্ন ১৪। বনাঞ্চল ধ্বংসের কৃত্রিম কারণগুলি কি কি?
উত্তরঃ বনাঞ্চল ধ্বংসের কৃত্রিম কারণগুলি হল –
১। আসবাবপত্র বানানোর জন্য ।
২। ইন্ধন হিসাবে কাঠের ব্যবহার করা।
৩। ঘর – বাড়ি এবং উদ্যোগ গড়ার জন্য ।
৪। খেত – খামার এবং জনবসতির জন্য ।
প্রশ্ন ১৫। প্রজাতি বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রজাতি হলো নিজেদের মধ্যে আন্ত:প্রজনন করতে সমর্থ একটি প্রাকৃতিক জীবগোষ্ঠী । অর্থাৎ একই প্রজাতির অন্তর্গত সদস্যেরা নিজেদের মধ্যে জনন ক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রজননক্ষম সন্তান-সন্ততি জন্ম দিতে পারে কিন্তু অন্য প্রজাতির সদস্যদের সঙ্গে তা করতে পারে না।
প্রশ্ন ১৬। ভারতের বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যগুলিতে সংরক্ষিত করে রাখা কয়েকটি বিপদের আশঙ্কাগ্রস্ত প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তরঃ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যগুলিতে সংরক্ষণ করে রাখা বিপদের আশঙ্কাগ্রস্ত কয়েকটি প্রাণী প্রজাতির নাম, যথা—কৃষ্ণ মৃগ, সোনালী বিড়াল, গোলাপী মাথাযুক্ত হাঁস, ঘরিয়াল, কুমীর, অজগর, হাতী, বন্য মহিষ, গণ্ডার ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৭। রাষ্ট্রীয় উদ্যান বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ বন্যপ্রাণী সমূহের আবাসস্থল এবং প্রাকৃতিক সম্পদসমূহকে স্বাধীনভাবে ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষিত অঞ্চলকে রাষ্ট্রীয় উদ্যান বলা হয়। যেমন—কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান, সাতপুরা রাষ্ট্রীয় উদ্যান ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৮। ব্যাঘ্র প্রকল্প বলতে কী বোঝ? এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ ব্যাঘ্র প্রকল্প বলতে বাঘের সংরক্ষণের ব্যবস্থাকে বোঝায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঘের সংখ্যা কমে আসছে। তাই সংরক্ষিত বনাঞ্চল তৈরি করে সেখানে বাঘের অবাধ বিচরণের এবং তাদের প্রজননের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একেই ব্যাঘ্র প্রকল্প বলা হয়। ব্যাঘ্র প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো বাঘকে বিলুপ্তির সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করা এবং বাঘের জনসংখ্যার রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা।
FAQ
Question: Where can students find the Class 8 Science Bengali Textbook solutions for free?
Answer: Students can find the solutions for the Class 8 Science Bengali textbook for free on Roy Library’s website. Solutions for the textbook questions are concise and accurate. Students can find the solutions very helpful while studying for the examination.
Question: How can students use the solutions for exam preparation?
Answer: Students can use the solutions for the following:
- Students can use solutions for revising the syllabus.
- Students can use it to make notes while studying.
- Students can use solutions to understand the concepts and complete the syllabus.
IMPORTANT NOTICE
We have uploaded this Content by Roy Library. You can read-write and Share your friend’s Education Purposes Only. Please don’t upload it to any other Page or Website because it is Copyrighted Content.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.