Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 1 প্রাকৃতিক সম্পদ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রাকৃতিক সম্পদ
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১৷ সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও—–
(ক) মাটির চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার যে কোনো দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (১) জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এবং
(২) অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা।
(খ) কোনো একস্থানের জনবসতি ঘন হওয়ার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ প্রাকৃতিকভাবে সুবিধাজনক স্থানে মানুষেরা জীবন যাপন আরম্ভ করে এবং সেই মানুষদের কাছে ধীরে ধীরে অন্য মানুষের আগমন ঘটে। সাধারণত নদী উপত্যকা অঞ্চলে জনবসতি ঘন। এর কারণগুলো হল এই স্থানে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, যেমন—-
(১) কৃষিকার্য ও বসবাসের উপযোগী।
(২) সমতল হওয়ার জন্য যাতায়াতের সুবিধা আছে।
(৩) সমতল অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থা অতি উন্নত।
(গ) ভূমি অবক্ষয় হওয়ার দুটি কারণ লেখো।
উত্তরঃ (১) অপরিকল্পিত কৃষিকার্য। এবং
(২) অরণ্য ও ঘাসবনের অত্যাধিক ব্যবহার।
(ঘ) বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে জল সংকট দেখা দেওয়ার দুটি কারণ লেখো।
উত্তরঃ (১) জল সম্পদের অপব্যবহার। এবং
(২) জল প্রদূষণ।
প্রশ্ন ২৷ শুদ্ধ উত্তরে চিহ্ন দাও :—
(ক) জল সংরক্ষণে সাহায্য করে—-
(১) বিনা কারণে জলের ট্যাপ খুলে রাখলে।
(২) ভূ-গর্ভের জলের অত্যাধিক ব্যবহার করলে।
(৩) বৃষ্টির জল জমিয়ে রাখলে।
উত্তরঃ বৃষ্টির জল জমিয়ে রাখলে।
(খ) বিশুদ্ধ জল পাওয়ার জন্য—-
(১) নদীতে আবর্জনা ফেলতে হয়।
(২) জলে রাসায়নিক সার মেশানো হয়।
(৩) জলের উৎস প্রদূষণহীন রাখা উচিত।
উত্তরঃ জলের উৎস প্রদূষণহীন রাখা উচিত।
(গ) কোনটি শক্তি সংরক্ষণে সাহায্য করে না?
(১) জীবাশ্ম ঈন্ধনের ব্যবহার অধিক হলে।
(২) অপরম্পরাগত শক্তির সুব্যবহার করলে।
(৩) শক্তি সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হলে।
উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধনের ব্যবহার অধিক হলে।
প্রশ্ন ৩। ভূমি সম্পদের গুরুত্ব এবং ব্যবহারের বিষয়ে লেখো।
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগের প্রায় ২৯ শতাংশ ভূমিভাগ। এই ভূমি জীবজগতের আধার। মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান এবং ইন্ধনের মূলে আছে ভূমি সম্পদ। ভূমির উপর ভিত্তি করেই কৃষি, শিল্প, যাতায়াত, যোগাযোগ ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। মানুষের সভ্যতা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভূমি বা মাটির ভূমিকা সর্বাধিক।
সাধারণত কৃষিকার্য, উদ্যোগ, খনিজ সম্পদ আহরণ বনানীকরণ, বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করার ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহার করা হয়। কোনো স্থানের অবস্থান,জলবায়ুর ধরন, মাটির গুণাগুণ, শ্রেণি, জলের উৎস, বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির স্থিতি ছাড়াও অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণের উপর নির্ভর করে জমির ব্যবহার। কাজেই উপযুক্ত ভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৪৷ তুমি যে অঞ্চলে বাস করো, সেখানকার ভূমি সম্পদের ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন হয়েছে? পরিবারের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বা প্রতিবেশী বিজ্ঞলোকের কাছে সে সম্পর্কে জেনে, একটি প্রতিবেদন লেখো।
উত্তরঃ নিজে চেষ্টা কর।
প্রশ্ন ৫৷ বনজ সম্পদ ও জলজ সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী ধরনের ভূমিকা নেওয়া উচিত?
উত্তরঃ বনজ সম্পদের ব্যবহার দু’ধরনে হয়—
(ক) বাণিজ্যিক। এবং
(খ) পরিস্থিতিক।
(ক) বাণিজ্যিক—- মানুষদের প্রয়োজনীয় বাঁশ, কাঠ, খড়ি, কাঁচামাল, ওষধি উদ্ভিদ বনাঞ্চল থেকেই পাওয়া যায়। এমনকি লেখার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ বনজ সম্পদ থেকেই আহরণ করি। এগুলোই হচ্ছে বনজ সম্পদের বাণিজ্যিক ব্যবহার।
(খ) পরিস্থিতিক—- উদ্ভিদ আমাদের অক্সিজেনের যোগান দেয়, বন্যপ্রাণীকে আশ্রয় প্রদান করে, মাটি সংরক্ষণে সাহায্য করে, ভূতল জল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, গোলকীয় উত্তাপ হ্রাস করে। এর উপযোগিতা বা ব্যবহারই হল পরিস্থিতিক ব্যবহার।
জলজ সম্পদ প্রধানত জলসিঞ্চন, পরিবহণ, উদ্যোগ এবং ঘরোয়া কাজে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুত শক্তি আহরণের জন্যও প্রচুর পরিমাণে জল সম্পদ ব্যবহৃত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলের ব্যবহার বেড়েছে।
প্রশ্ন ৬। শক্তি সম্পদ সংরক্ষণের জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্ৰহণ করা উচিত?
উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধনের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে এগুলোর পরিমাণ দ্রুত কমে আসছে। ঘরোয়া কাজ ছাড়াও উদ্যোগসমূহে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কয়লার ব্যবহার অনেক পরিমাণে বেড়েছে। পরিবহণ ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য পেট্রোলিয়ামের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। অতএব ইন্ধনসমূহের পরিমিত ব্যবহার ও ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে। যদি সঞ্চয়ের প্রতি নজর না দেওয়া যায় তবে ইন্ধনের ভাণ্ডার একদিন শূন্য হয়ে পড়বে।
প্রশ্ন ৭। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো :—-
উত্তরঃ (ক) বন্যপ্রাণী : ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জীবাণু থেকে শুরু করে অতিকায় জীবজন্তুর বাসস্থল বনাঞ্চল। পাখি, বন্যপ্রাণী পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। জলবায়ুর তারতম্যের জন্য বিভিন্ন অরণ্যে ভিন্ন ভিন্ন জীবজন্তু দেখা যায়। যেমন—- উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে সাধারণত গরিলা, শিম্পাঞ্জী, হাতী, বাঘ, সিংহ, বানর, সাপ, পাখি, গণ্ডার, ভল্লুক, হরিণ ইত্যাদি পাওয়া যায়। আবার কম বৃষ্টিপাত অঞ্চলে তৃণভূমি থাকায় সেখানে হরিণ,জেব্রা, জিরাফ, গরু, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া ইত্যাদি পাওয়া যায়। এই সকল বন্যপ্রাণীর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। বর্তমানে বন্যপ্রাণীদের নিয়ে প্রমোদ বিহারের স্থান গড়ে উঠেছে।
(খ) জীবাশ্ম ইন্ধন : জীবাশ্ম ইন্ধনগুলো হল পরম্পরাগত শক্তির উৎস কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম ইন্ধন। এগুলোকে নতুন করে সৃষ্টি করা যায় না।
কয়লা : কয়লাকে ঘরোয়া ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও লৌহ-ইস্পাত উদ্যোগ, বাষ্পীয় ইঞ্জিন, তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভারতের রানিগঞ্জ, ঝরিয়া, ধানবাদ, বোকারো ইত্যাদি স্থানে কয়লা পাওয়া যায়। অসমের লিডু, মাকুম, জয়পুর এবং মেঘালয়ের লাড্রিমবাই, চেরাপুঞ্জি ইত্যাদি স্থানে কিছু পরিমাণে কয়লা পাওয়া যায়।
পেট্রোলিয়াম : পেট্রোলিয়াম ভূপৃষ্ঠের নীচের শিলাস্তরের মধ্যে জমা হওয়া একপ্রকার তরল জীবাশ্ম ইন্ধন। তৈল খনি থেকে অপরিশোধিত তেল আহরণ করে শোধনাগারে শোধন করে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি উৎপন্ন করা হয়। অতি মূল্যবান সম্পদ হওয়ার জন্য একে ‘তরল সোনা’ বলা হয়। পৃথিবীর প্রধান পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারী দেশগুলো হল– ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ইত্যাদি। অসমের ডিগবয়, নাহারকাটিয়া, মরান, মহারাষ্ট্রের বম্বে হাই ইত্যাদি স্থানে পেট্রোলিয়াম উত্তোলন করা হয়। এল.পি.জি একপ্রকার পেট্রোলিয়াম গ্যাস।
প্রাকৃতিক গ্যাস : তৈল খনি থেকে অপরিশোধিত তেল আহরণ করার সময় প্রাকৃতিক গ্যাসও আহরণ করা হয়। ঘরোয়া তথা ঔদ্যোগিক ইন্ধন রূপে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। ভারতের জয়সলমির, কৃষ্ণা-গোদাবরীর ব-দ্বীপ অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়। অসম, ত্রিপুরা, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।
(গ) মরুকরণ : প্রাকৃতিক বা মানুষের কার্যকলাপের জন্য মরুভূমির প্রসার হওয়া বা নতুনভাবে মরুভূমির সৃষ্টি হওয়াকে মরুকরণ বলা হয়। অধিক উৎপাদনের জন্য জমিতে বেশি করে সার, রাসায়নিক দ্রব্য,জলসিঞ্চন ইত্যাদি প্রয়োগ করার ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায় এবং ভূ-জল নিম্নগামী হয়।ফলস্বরূপ অঞ্চলটি শুষ্ক হয়ে মরু সদৃশ হয়ে পড়ে। মরুভূমির পার্শ্ববর্তী বা নিকটবর্তী অঞ্চলের বনাঞ্চল ধ্বংস এবং অধিক পশুচারণও মরুভূমির সৃষ্টি করতে পারে।
(ঘ) সৌরশক্তি : প্রতিদিনই সূর্য থেকে তাপ ও।আলো পাই। সূর্যের এই অফুরন্ত শক্তিকে সৌরকোষের সাহায্যে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা হয়। এই বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে সৌর-চুল্লি, সৌর-হিটার ইত্যাদি চালানো হয়।সৌরকোষের মাধ্যমে সৌর-বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ঘড়ি, ক্যালকুলেটার ইত্যাদি চালানো, বিদ্যুৎ সংযোগ বিহীন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো, মহাকাশ যান, উপগ্ৰহ ইত্যাদিতেও সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
(ঙ) ভূমিস্খলন : অবিশ্রান্ত বৃষ্টি, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির ফলে উঁচু স্থানের ভূখণ্ড খসে পড়াকে ভূমিস্খলন বলে। ভূমিস্খলন মানবসৃষ্ট কার্যের ফলেও হতে পারে। যেমন—- পাহাড়ি অঞ্চলে মাটি কেটে চাষাবাদ ও গাছপালা কাটার ফলেও ভূমিস্খলন হতে পারে।
প্রশ্ন ৮। পার্থক্য দেখাও :—
(ক) গ্ৰামাঞ্চলের ভূমির ব্যবহার এবং শহরাঞ্চলের ভূমির ব্যবহার।
গ্ৰামাঞ্চলের ভূমির ব্যবহার | শহরাঞ্চলের ভূমির ব্যবহার |
১। গ্ৰামাঞ্চলের একজন কৃষকের জন্য ভূমি-মাটিই বেচেঁ থাকার সম্বল। | ১। শহরাঞ্চলে মাটি সীমিত। কাজেই মাটির উপর বিশেষ নির্ভরশীল নয়। |
২। গ্ৰামাঞ্চলের মানুষ সাধারণত কৃষিজীবী। | ২। শহরাঞ্চলের মানুষ চাকুরীর উপর নির্ভর করার জন্য এদের জমির পরিমাণ কম। |
৩। গ্ৰামাঞ্চলের অনেকেই বন, ঘাস বন, ডোবা, গোচারণ ভূমি ইত্যাদিকে কৃষিভূমিতে রূপান্তরিত করে। | ৩। শহরাঞ্চলের লোকেরা বন, ঘাসবন, ডোবা, গোচারণ ভূমি ইত্যাদিতে গৃহনির্মাণ করে। |
৪। গ্ৰামাঞ্চলের বন, ঘাসবন, ডোবা গোচারণ ভূমি বন্ধ হবার ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। | ৪। শহরাঞ্চলের ভূমিতে অট্টালিকা বানানোর ফলে প্রদূষণ ঘটছে। |
৫। গ্ৰামাঞ্চলের মাটি বন্যার জলে ধুয়ে যায়। | ৫। শহরাঞ্চলে সেটা হতে পারে না। |
(খ) পরম্পরাগত শক্তি এবং অপরম্পরাগত শক্তি।
পরম্পরাগত শক্তি | অপরম্পরাগত শক্তি |
১। প্রদূষণ ঘটে। | ১। প্রদূষণের পরিমাণ কম। |
২। উৎপাদন ব্যয় বেশি। | ২। উৎপাদন ব্যয় কম। |
৩। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। | ৩। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অতি কম। |
৪। অনবীকরণ যুক্ত। | ৪। নবীকরণ যোগ্য। |
৫। অক্ষয় শক্তি নয়। এগুলো নিঃশেষ হয়ে যায়। | ৫। অক্ষয় শক্তি। |
প্রশ্ন ৯। তোমাদের আশে-পাশে থাকা সম্পদসমূহের সংরক্ষণ এবং বৃদ্ধির জন্য কী কী উপায় নেওয়া যায় উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বনজ সম্পদসমূহের সংরক্ষণ এবং বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত উপায়সমূহ অবলম্বন করা যেতে পারে :
(১) অর্থনৈতিক লাভালাভের জন্য অনাবশ্যক গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য আইনের আশ্রয় নিতে হয়। এ ব্যাপারে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।
(২) মনুষ্য বসতির নিকটবর্তী বনাঞ্চলে পশুর খাদ্য আহরণ করা উচিত।
(৩) বিভিন্ন প্রকারের পোকামাকড়, পরজীবী প্রতি বৎসর বনাঞ্চলের অনেক গাছ নষ্ট করে দেয়। বিভিন্ন প্রকারের নির্বীজকরণের ঔষধ প্রয়োগ করে গাছগুলোকে পোকা- মাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
(৪) প্রতি বৎসর দাবানল (Forest fire) প্রচুর পরিমাণে বনাঞ্চল ধ্বংস করে। কাজেই বন বিভাগের কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
(৫) প্রতি বৎসরই ঝুম চাষের জন্য প্রচুর পরিমাণে বনাঞ্চলের জঙ্গল কেটে বা পুড়িয়ে পরিস্কার করা হয়। বনাঞ্চলে এ ধরনের চাষ বন্ধ করার জন্য অন্য কোন প্রকারের চাষের কথা চিন্তা করতে হবে।
(৬) যখন কোন পূর্ণতা বৃক্ষ কাটা হবে, তার বিপরীতে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। এটা অতি প্রয়োজনীয় বিষয়।
(ক) বনাঞ্চল বৃদ্ধির জন্য বনাঞ্চলের নিকটবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের মধ্যে বন ও পরিবেশের সম্পর্কের বিষয়ে সজাগ করতে হবে।
(খ) বনাঞ্চল সংরক্ষণ বিষয়ে কড়া আইনের ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে এবং আইনভঙ্গকারী ব্যক্তিকে প্রয়োজন মত শাস্তি প্রদান করতে হবে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক যে সব উপাদান, যা মানুষের কাজে লাগে তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
প্রশ্ন ২। ব্যবহার যোগ্য ভূমি-সম্পদের চাহিদা দিনে দিনে কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে?
উত্তর পৃথিবীর উপরিভাগের ২৯ শতাংশ হল ভূমি। এই ভূমি- ভাগের কিছু অংশ ব্যবহার যোগ্য এবং কিছু অংশ অব্যবহার যোগ্য। কিন্তু সমগ্ৰ ভূমিভাগ জীব জগতের আধার। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, এবং ইন্ধনের মূলে আছে ভূমি-সম্পদ। উদ্ভিদ এবং প্রাণীর স্থিতি এবং বিকাশের মূলে রয়েছে ভূমি সম্পদ।
ভূমি-সম্পদের উপর ভিত্তি করেই কৃষি, শিল্প, যাতায়াত, যোগাযোগ ইত্যাদি গড়ে উঠেছে। মানুষের সভ্যতা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভূমি বা মাটির ভূমিকা সর্বাধিক, এজন্যই ভূমিকে সম্পদ হিসাবে গণ্য করা হয়।
জনসংখ্যা ও জীবজন্তু বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে ভূমি-সম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই অনুপাতে ব্যবহার যোগ্য ভূমির যোগান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
প্রশ্ন ৩। কী কী কারণে ভূমির অবক্ষয় হয়?
উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে ভূমির অবক্ষয় ঘটে। অপরিকল্পিত কৃষিকার্য ঔদ্যোগীকরণ, অরণ্য এবং ঘাসবনের অত্যাধিক ব্যবহার ইত্যাদির ফলে মাটির পরিবর্তন ঘটে। ভূমি অবক্ষয়ের অন্যান্য কারণগুলো হল— ভূমিস্খলন, খনন কার্য, নদীর পাড় ভাঙন, মরুকরণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪। ভূমি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাসমূহ কী কী?
উত্তরঃ নিম্নলিখিত উপায়ে ভূমি সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
(১) ভূমির গুণাগুণ সাপেক্ষে ঘাস-বন এবং বৃক্ষরোপণ করা।
(২) পরিবেশ অনুকূল কৃষিপদ্ধতি প্রয়োগ করা।
৩। উচ্চভূমি অর্থাৎ পার্বত্য অঞ্চলে সোপান পদ্ধতিতে চাষ করা।
(৪) যথেচ্ছভাবে গাছ কাটা এবং পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করা।
(৫) কৃষিক্ষেত্রের চারদিকে উপকারী গাছপালা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা।
(৬) অব্যবহৃত মাটিতে বৃক্ষরোপণ করা।
(৭) সরকার দ্বারা মাটি কাটার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা।
(৮) জনগণের মধ্যে সজাগতার সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন ৫। ব্যবহারযোগ্য বিশুদ্ধ জলের অভাব হওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ বর্তমানে বিশুদ্ধ জলের অভাব দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হল —-
(১) কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক দ্রব্য ইত্যাদি জলে দ্রবীভূত হয়ে জল দূষিত হচ্ছে।
(২) বিভিন্ন কলকারখানা থেকে নির্গত আবর্জনা এবং বিভিন্ন দ্রব্য মেশানো জল নদীতে ফেলে দেওয়ার জন্যও জল প্রদূষিত হয় এবং বিশুদ্ধ জলের অভাব হয়।
(৩) অ্যাসিড যুক্ত বৃষ্টির জন্যও জল প্রদূষিত হয়। এর ফলে স্থানীয়ভাবে বিশুদ্ধ জলের অভাব দেখা যায়।
প্রশ্ন ৬। কী কী ব্যবস্থা হাতে নিলে জলের প্রদূষণ কমানো যায়?
উত্তরঃ (১) কল-কারখানার ব্যবহৃত জল বিভিন্ন জলাধারে ফেলার আগে আবর্জনাযুক্ত জল পরিশ্রুত করে ফেলতে হবে।
(২) কল-কারখানা স্থাপনের আগে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে যে আশে- পাশে কোন নদী বা জল ব্যবহার করা হয় এরূপ কোন জলাশয় নেই।
(৩) নালা- নর্দমা, নদী, বিল, ডোবা ইত্যাদিতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন হলে আইনগত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) পৃথকভাবে জলপ্রদূষণ বিভাগ তৈরি করতে হবে ।
প্রশ্ন ৭। জল সংরক্ষণের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা যায়?
উত্তরঃ জল সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা নীচে উল্লেখ করা হল—-
(১) জল।প্রদূষণ রোধ করার জন্য সরকার দ্বারা জল প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ তৈরী করতে।
(২) অরণ্য তথা ঘাস-বন প্রবাহিত জলকে বাধা দিয়ে ভূমিগত জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। এজন্য বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে অধিক মনোনিবেশ করতে হবে।
(৩) সোপান কৃষির মাধ্যমে জলপ্রবাহ হ্রাস করে পাহাড়ের ঢালে জল সংরক্ষণ করা যায়।
(৪) কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া অনাবশ্যকভাবে জলের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
(৫) বৃষ্টির জল সংগ্ৰহ করে সেই জল নানা কাজে ব্যবহার করা যায়।
(৬) জল একবার ব্যবহার করার পর পুনঃ চক্রায়ন দ্বারা জল পরিশোধিত করে জলকে কাজে লাগাতে হবে।
(৭) গাছ-পালা রোপণের দ্বারা খোলা জায়গায় বাষ্পীভবনের মাত্রা কমাতে হবে।
(৮) পরিবার, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে।
(৯) ঘরের বাইরে যাবার আগে জলের কলগুলো বন্ধ আছে কিনা দেখে যেতে হবে।
প্রশ্ন ৮। শক্তি সম্পদ মানে কী?
উত্তরঃ কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জোয়ারের শক্তি, পারমাণবিক শক্তি, জৈব গ্যাস, ভূ-তাপক শক্তি ইত্যাদি যেগুলো উদ্যোগ, কৃষি পরিবহণ, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা হয় এগুলোকে শক্তি সম্পদ বলা হয়।
প্রশ্ন ৯। জীবাশ্ম ইন্ধনসমূহ চিরদিন একই পরিমাণে না থাকার কারণ কী?
উত্তরঃ ঘরোয়া কাজ ছাড়াও উদ্যোগ সমূহেও কয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে যানবাহন ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য পেট্রোলিয়ামের ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্যই জীবাশ্ম ইন্ধন ক্রমশ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে এবং জীবাশ্ম ইন্ধনের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন ১০। পরম্পরাগত শক্তি বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের আগুন জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত কাঠ এবং জীবাশ্ম ইন্ধনগুলোই হল পরম্পরাগত শক্তির উৎস। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদিই হল জীবাশ্ম ইন্ধন। এই ইন্ধনগুলো একবার ব্যবহার করলেই শেষ হয়ে যায়। মানুষ যত বেশি এই ইন্ধন শক্তি ব্যবহার করবে, তত তাড়াতাড়ি এগুলো শেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন ১১। শক্তির বিকল্প হিসেবে অপরম্পরাগত শক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধন ক্রমান্বয়ে ব্যবহার করতে করতে নিঃশেষ হয়ে যাবে। কাজেই বিকল্প হিসেবে অপরম্পরাগত শক্তি, যেমন— সৌরশক্তি, জলশক্তি, বায়ুশক্তি, জোয়ারের শক্তি, পারমাণবিক শক্তি, জৈবগ্যাস, ভূ-তাপক শক্তি ইত্যাদির ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরম্পরাগত শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন ১২। শক্তি সম্পদ কেন সংরক্ষণ করতে হয়?
উত্তরঃ শক্তি সম্পদের ব্যবহারের ফলে ক্রমশঃ সমস্ত উৎসগুলোই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে লক্ষ্য রেখে অনাবশ্যকভাবে শক্তি সম্পদের ব্যবহার সীমিত করতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রশ্ন ১৩। কয়েকটি প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মাটি, জল,বাতাস, খনিজ পদার্থ, উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী প্রভৃতি প্রাকৃতিক সম্পদের উদাহরণ।
প্রশ্ন ১৪। পৃথিবীর উপরিভাগে ভূমির পরিমাণ কত শতাংশ ?
উত্তরঃ ২৯ শতাংশ।
প্রশ্ন ১৫। উদ্ভিদ এবং প্রাণীর স্থিতি ও বিকাশ কিসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তরঃ ভূমি সম্পদের উপর।
প্রশ্ন ১৬। সাধারণত কী কী কার্যের জন্য ভূমি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ কৃষিকার্য, উদ্যোগ, খনিজ সম্পদ আহরণ, বনানীকরণ, বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট নির্মাণ করার ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ১৭। ভূমি বা মাটি ব্যবহার করার সময় মানুষ কী কী বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখে?
উত্তরঃ ভূমি বা মাটি ব্যবহার করার সময় মানুষ উক্ত স্থানটির অবস্থান, জলবায়ুর প্রকৃতি, মাটির গুণাগুণ, শ্রেণি, জলের সম্পদ, বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির স্থিতি তথা অন্যান্য কারকের প্রতি লক্ষ্য রাখে।
প্রশ্ন ১৮। নদী উপত্যকার সমভূমি অঞ্চলে জনবসতি ঘন হয়, কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে কম হবার কারণ কী?
উত্তরঃ নদী উপত্যকার সমভূমি অঞ্চলে কৃষিকার্য এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুবিধে আছে কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চলে স্থায়ী কৃষি, উদ্যোগ, যাতায়াত ইত্যাদির সুবিধে অনেক কম হবার জন্য তুলনামূলকভাবে জনবসতি অনেক কম। এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে মাঝে মাঝেই ভূমিস্খলন ঘটে থাকে।
প্রশ্ন ১৯। ব্যবহারযোগ্য মাটি বৃদ্ধি পাবার কারঢ কী?
উত্তরঃ একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহারযোগ্য মাটির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন ২০। পরিবেশের ভারসাম্যতা নষ্ট হবার কারণ কী?
উত্তরঃ মাটির অত্যাধিক ব্যবহার ও এর সাথে অপব্যবহার, যেমন—অরণ্য ধ্বংস অথবা চাষের জমিতে উদ্যোগ স্থাপন ইত্যাদির ফলে পরিবেশের ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে।
প্রশ্ন ২১। পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিস্খলনের প্রধান কারণ কী ?
উত্তরঃ যথেচ্ছভাবে মাটি কেটে বসতি স্থাপন করা এবং অতিরিক্ত কৃষি কাজ।
প্রশ্ন ২২। গ্ৰামাঞ্চলের কৃষকদের বেঁচে থাকার সম্বল কী?
উত্তরঃ ভূমি বা মাটি।
প্রশ্ন ২৩। কী কী বিষয়ের ওপর নজর রেখে ভূমি ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবেশিক কথাগুলো বিবেচনা করে ভূমি ব্যবহার করা উচিত।
প্রশ্ন ২৪। শহরাঞ্চলে মাটি বা ভূমির প্রয়োজন বেশি হবার কারণ কী?
উত্তরঃ বর্ধিত জনসংখ্যা।
প্রশ্ন ২৫। কী কী কারণে ভূমি-সম্পদের ক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ ভূমিস্খলন, ভূমিক্ষয়, মরুকরণ, ভূমির অবক্ষয় এবং মানুষের কার্যকলাপ ইত্যাদি কারণে।
প্রশ্ন ২৬। নদীর পাড় ভাঙন বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ নদীর দ- পাড়ের মাটি ধ্বসিয়ে ব্যাপক ভূমিক্ষয়কেই নদীর পাড় ভাঙন বলে। বন্যার ফলে এর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ২৭। জল অপরিহার্য কেন?
উত্তরঃ পৃথিবীতে প্রাণী এবং উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য।
প্রশ্ন ২৮। পৃথিবীর ক’ত ভাগ জলে আবত?
উত্তরঃ ২/৩ ভাগ।
প্রশ্ন ২৯। মানুষের দৈনন্দিন কার্যের মোট কত শতাংশ জল ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ২.৫ শতাংশ।
প্রশ্ন ৩০। সাগর-মহাসাগরের এক ফোঁটা জলও ব্যবহার যোগ্য না হবার কারণ কী?
উত্তরঃ সাগর মহাসাগরের জল।ব্যবহার যোগ্য না হবার কারণ হল এর জল লবণাক্ত।
প্রশ্ন ৩১। আমরা নির্মল জল কেন উৎস থেকে পাই?
উত্তরঃ বৃষ্টি, ভূতল জল, নদ-নদী ইত্যাদি থেকে।
প্রশ্ন ৩২। পৃথিবীতে জলের পরিমাণ প্রায় একই থাকে, এর কারণ কী?
উত্তরঃ পৃথিবীতে জলের পরিমাণ সামগ্ৰিকভাবে একই থাকে কারণ জল বাষ্পীভবন, অধক্ষেপণ এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরায় উৎস সমূহে জমা হয়।
প্রশ্ন ৩৩। জল সম্পদ সাধারণত কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ জল সম্পদ প্রধানত জলসিঞ্চন, পরিবহণ, উদ্যোগ, ঘরোয়া কাজ ও জল বিদ্যুৎ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ৩৪। ব্যবহার যোগ্য জলের পরিমাণ হ্রাস পাবার একটি কারণ উল্লেখ কর?
উত্তরঃ জলের উৎস সমূহ প্রদূষিত হওয়া।
প্রশ্ন ৩৫। বিশুদ্ধ অভাব দেওয়া পৃথিবীর কয়েকটি দেশের নাম লেখো?
উত্তরঃ আফ্রিকা, পশ্চিম-এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, মেক্সিকো ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২৬। পাশ্চাত্য ধনী দেশের একজন নাগরিক গড়ে কী পরিমাণ জল ব্যবহার করে?
উত্তরঃ ৩০০ লিটার।
প্রশ্ন ৩৭। একজন ভারতীয় দৈনিক কী পরিমাণ জল ব্যবহার করে?
উত্তরঃ প্রায় ২৫ লিটার।
প্রশ্ন ৩৮। রাজস্থান, গুজরাটের লোকেরা সাধারণত কোন জলের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ ভূ-তল জলের উপর।
প্রশ্ন ৩৯। পৃথিবীর মোট ভূমির পরিমাণের কত অংশ বনাঞ্চল?
উত্তরঃ এক তৃতীয়াংশ।
প্রশ্ন ৪০। বনাঞ্চল থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় কী কী জিনিস সংগ্ৰহ করি?
উত্তরঃ বাঁশ, কাঠ, খড়ি, কাঁচামাল, ওষধি উদ্ভিদ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪১। শকুন কিভাবে আমাদের সাহায্য করে?
উত্তরঃ শকুন জীবজন্তুর মৃতদেহ খেয়ে পরিবেশ পরিষ্কার রাখে।
প্রশ্ন ৪২। অরণ্যসমূহকে প্রধানত কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তরঃ চিরসবুজ ও পর্ণমোচী।
প্রশ্ন ৪৩। চিরসবুজ ক্রান্তীয় অরণ্যসমূহকে বর্ষারণ্য বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাত হবার জন্য ঘন অরণ্যের সৃষ্টি হয়। এজন্য এ ধরনের অরণ্যকে বর্ষারণ্য বলা হয়।
প্রশ্ন ৪৪। কীভাবে বনজ সম্পদের ক্ষতি সাধন হচ্ছে?
উত্তরঃ অরণ্য ধ্বংস, নদীর পাড় ভাঙন, ভূমিক্ষয়, দাবানল, সুনামি, ভূমিস্খলন, বন্যা ইত্যাদি দুর্যোগের জন্য বনজ সম্পদের ক্ষতিসাধন হচ্ছে।
প্রশ্ন ৪৫। বনজ সম্পদ সংরক্ষণের কয়েকটি উপায় উল্লেখ কর।
উত্তরঃ বনজ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও সচেতনা বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, অভয়ারণ্য ইত্যাদি ছাড়াও বনজ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমাদের ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনমত আইনের আশ্রয় নিতে হবে।
প্রশ্ন ৪৬। কয়লাকে কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ কয়লাকে ঘরোয়া ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও লৌহ ইস্পাত উদ্যোগ, বাষ্পীয় ইঞ্জিন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ৪৭। ভারতের কোন কোন স্থানে কয়লা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ রানিগঞ্জ, ঝরিয়া, ধানবাদ, বোকারো, গোদাবরী উপত্যকা ইত্যাদি স্থানে।
প্রশ্ন ৪৮। পেট্রোলিয়াম থেকে কী কী পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪৯। কয়েকটি প্রধান প্রধান পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারী দেশের নাম লেখ।
উত্তরঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত, ভেনিজুয়েলা,লিবিয়া, নাইজিরিয়া, কানাডা, আলজিরিয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫০। ভারতবর্ষের কয়েকটি তৈল উৎপাদনকারী স্থানের নাম লেখ।
উত্তরঃ অসমের নাহারকাটিয়া, মরান, রুদ্রসাগর, ডিগবয়, হুগ্ৰীজান, লাকোয়া,মহারাষ্ট্রের বম্বে হাই, আঙ্কলেশ্বর এবং জ্বালামুখী ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫১। ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় এরূপ স্থানগুলোর নাম লেখ।
উত্তরঃ জয়সলমির, কৃষ্ণা-গোদাবরীর ব-দ্বীপ অঞ্চল, কচ্ছ, ত্রিপুরা, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চল।
প্রশ্ন ৫২। অপরম্পরাগত শক্তিগুলোর উৎস, সুবিধা ও অসুবিধাগুলো লেখ।
উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তক থেকে লেখ।
প্রশ্ন ৫৩। অপরম্পরাগত শক্তিগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ (ক) সৌরশক্তি : সূর্য সকল শক্তির উৎস। সূর্য থেকে আমরা তাপ ও আলো পাই। সূর্যের এই শক্তিকে সৌরশক্তি বলে। সূর্যের এই শক্তিকে সৌর কোষের সাহায্যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করার কাজে ব্যবহার করা হয়। সৌরশক্তির সাহায্যে সৌর-চুল্লি, সৌর-হিটার ইত্যাদি চালানো হয়। ঘড়ি, ক্যালকুলেটার, বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো এমনকি মহাকাশ যান, উপগ্ৰহ ইত্যাদিতেও সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়।
(খ) বায়ুশক্তি : উপকূলীয় অঞ্চল, পর্বতের গিরিপথ ইত্যাদিতে বাতাসের তীব্রতা যেখানে আছে, সেখানে বায়ুকল বসিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। বায়ুশক্তি প্রয়োগ করে জলতোলার পাম্প, আটা ময়দার কল, বৈদ্যুতিক জেনারেটর ইত্যাদি চালানো হয়। নেদারল্যাণ্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের কচ্ছ উপকূল, তামিলনাড়ুর টুটিকরণে এ ধরনের প্রকল্প আছে।
(গ) পারমাণবিক শক্তি : ইউরেনিয়াম, থরিয়াম ইত্যাদি থেকে নিষ্কাসিত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলোর অণু-পরমাণুতে নিহিত শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি আহরণ করা হয়। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপের কয়েকটি উন্নত দেশ,ভারতের কাল্পক্কম (তামিলনাড়ু), মহারাষ্ট্রের তারাপুর, রাজস্থানের রাণাপ্রতাপ নগর ইত্যাদি স্থান উল্লেখযোগ্য।
(ঘ) ভূ-তাপক শক্তি (Geothermal power) : ভূগর্ভে স্থিত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গত হয় ভূ-তাপক শক্তি। এই শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়। উষ্ণ প্রস্রবণ, গলিত লাভা বা বাষ্পের উত্তাপ থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জাপান, ভারতের মণিকরণ (হিমাচল প্রদেশ), লাদাখের পুগাতে এ ধরনের শক্তির প্রকল্প আছে।
(ঙ) জোয়ার শক্তি (Tidal power) : সমুদ্রের জোয়ারের সময় সেই জল আবদ্ধ করে ভাটার সময় নেমে যেতে দিয়ে ‘টার্বাইনে’র সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। রাশিয়া, ফ্রান্স, ভারতের কচ্ছ উপসাগরে এভাবে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়।
মৃত জীবজন্তু এবং উদ্ভিদের অবশিষ্ট কৃষিজাত আবর্জনা, গোবর ইত্যাদি গ্যাস যন্ত্রে জমা করে রাখে আবর্জনা থেকে উৎপন্ন গ্যাসের দ্বারা বিজলি বাতি জ্বালানো এবং রন্ধনের কাজ করা যায়।
(চ) জলবিদ্যুৎ শক্তি : নদী বা বৃষ্টির জল বাঁধের সাহায্যে আবদ্ধ করে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। ভারতের ভাকরা-নাঙ্গাল, দামোদর উপত্যকা, গান্ধিসাগর ইত্যাদি স্থানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প আছে।
প্রশ্ন ৫৪। সঠিক উত্তরটি লেখ :
(১) প্রাকৃতিক সব উপাদান, যা মানুষের কাজে লাগে তাকে বলা হয়—-
(ক) বনজ সম্পদ।
(খ) প্রাকৃতিক সম্পদ।
(গ) ভূমি সম্পদ।
উত্তরঃ (খ) প্রাকৃতিক সম্পদ।
(২) পৃথিবীর উপরিভাগের ভূমির পরিমাণ—-
(ক) ২৫ শতাংশ।
(খ) ৩০ শতাংশ।
(গ) ২৯ শতাংশ।
উত্তরঃ (গ) ২৯ শতাংশ।
(৩) ভারতের সামগ্ৰিক ভূমির কৃষিকার্যে ব্যবহারের পরিমাণ—-
(ক) ৬০ শতাংশ।
(খ) ৫০ শতাংশ।
(গ) ৫৪ শতাংশ।
উত্তরঃ (গ) ৫৪ শতাংশ।
(৪) পৃথিবীতে প্রাণী এবং উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য একান্ত অপরিহার্য—–
(ক) জল।
(খ) অর্থ।
(গ) বাসস্থান।
উত্তরঃ (ক) জল।
(৫) বিগত ২০০০ বছরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীর সংখ্যা—-
(ক) ২০০ প্রকার।
(খ) ৫০০ প্রকার।
(গ) ১৬০ প্রকার।
উত্তরঃ (গ) ১৬০ প্রকার।
(৬) বিগত ২০০০ বছরে বিলুপ্ত প্রাপ্ত পাখির সংখ্যা—-
(ক) ৮৮ প্রকার।
(খ) ১০০ প্রকার।
(গ) ৯০ প্রকার।
উত্তরঃ (ক) ৮৮ প্রকার।
(৭) উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে—–
(ক) প্রজাপতি।
(খ) জল।
(গ) রাসায়নিক সির।
উত্তরঃ (ক) প্রজাপতি।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
plz privide in pdf
Website a ase Complete Update hoiye gale pdf update post r vitore diye debo
Please pdf file daw
pdf file dewa ase check koro