SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 11 অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংক্ষেপে উত্তর লেখো—–

(ক) মধ‍্যযুগের অসমে শাসনকারী উল্লেখযোগ্য রাজ‍্যগুলোর নাম।

উত্তরঃ মধ‍্যযুগ বলতে আমরা ত্রয়োদশ শতকের প্রথম ভাগ থেকে উনিশ শতকের প্রথম ভাগ পযর্ন্ত সময়কেই বুঝি। ঊক্ত সময়ে কামরূপ-কামতা, চুতিয়া, বারোভূইঞা, কছাড়ি এবং আহোমরাই অসমের বিভিন্ন প্রান্তে শাসন করেছিল।

(খ) কোন জনজাতীয় মহিলারা দখনা পরিধান করেন?

উত্তরঃ বর্তমান সময়ে বোড়োদের পরিধেয় দখনা মধ‍্যযুগের বোড়ো কছাড়িরাও পরিধান করত।

(গ) আহোমদের রাজত্বকালে ভূ-সম্পত্তির অধিকারী কে ছিলেন?

উত্তরঃ আহোমদের রাজত্বকালে রাজা ভূ-সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন।

(ঘ) মধ‍্যযুগের প্রারম্ভিক পর্যায়ে কোন প্রথার দ্বারা ব‍্যবসা-বাণিজ্য চলত?

উত্তরঃ মধ‍্যযুগের প্রথম ভাগে বিনিময় প্রথার মাধমে ব‍্যবসা-বাণিজ্য চলত যদিও পরে মুদ্রার প্রচলন হয়েছিল।

(ঙ) কপিলির পারে আলিপুখুরির বরদোয়ায় কে টোল স্থাপন করে জ্ঞান চর্চা করেছিলেন?

উত্তরঃ মহেন্দ্র কন্দলী।

প্রশ্ন ২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও—

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
মাধব কন্দলীরত্নমালা
সুকুমার বরকাইথদরং রাজ বংশাবলি
পুরুষোত্তম বিদ‍্যাবাগীশরামায়ণ
ভট্টদেবহস্তিবিদ‍্যার্ণব
বলদেব সূর্যহরি দৈবজ্ঞকথাগীতা

উত্তরঃ 

‘ক’ অংশ‘খ’ অংশ
মাধব কন্দলীরামায়ণ
সুকুমার বরকাইথহস্তিবিদ‍্যার্ণব
পুরুষোত্তম বিদ‍্যাবাগীশরত্নমালা
ভট্টদেবকথাগীতা
বলদেব সূর্যহরি দৈবজ্ঞদরং রাজ বংশাবলি

প্রশ্ন ৩। শূন‍্যস্থান পূর্ণ করো——

(ক) হয়গ্ৰীব মাধব মন্দির ________ নির্মাণ করেছিলেন।

উত্তরঃ কোচ রাজা নরনারায়ণ।

(খ) মধ‍্যযুগে মহিলার স্থান ছিল ________।

উত্তরঃ উচ্চ।

(গ) জনজাতীয় লোকদের মধ্যে ________ কৃষির প্রচলন ছিল।

উত্তরঃ জুম।

(ঘ) অনন্ত কন্দলী ________ অসমিয়া ভাষায় অনুবাদ করেন।

উত্তরঃ ভাগবত।

(ঙ) ________ মধ‍্যযুগের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল।

উত্তরঃ আত্মনির্ভরশীলতা।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ উত্তরটিতে (✔) চিহ্ন দাও—-

(ক) মধ‍্যযুগের শাসনব‍্যবস্থা ছিল গণতান্ত্রিক/ রাজতান্ত্রিক।

উত্তরঃ রাজতান্ত্রিক।

(খ) পাইক প্রথা প্রচলন করেছিল আহোম/কোচরা।

উত্তরঃ আহোম।

(গ) টঙালি,হাচতি বোড়োদের/বারোভূইঞাদের অবদান ছিল।

উত্তরঃ বোড়োদের।

(ঘ) কছাড়িরা/ কোচরা নালা-নর্মদা নির্মাণ ব‍্যবস্থায় অগ্ৰণী ছিল।

উত্তরঃ কছাড়িরা।

(ঙ)  স্বর্গদেউ রুদ্রসিংহ/ স্বর্গদেউ শিবসিংহের সময়ে আহোম স্থাপত‍্য শিল্পে মোগল এবং পারসি স্থাপত্য শিল্পের প্রভাব পড়ে।

উত্তরঃ স্বর্গদেউ রুদ্রসিংহ।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

প্রশ্ন ৫।  উত্তর লেখো (৫০টি শব্দের মধ্যে)

উত্তরঃ (ক) আহোমদের পাইক প্রথা : আহোমদের একজন সুদক্ষ আধিকারিক মোমাই তামুলি বরবরুয়া স্বর্গদেউ প্রতাপ সিংহের সময়ে পাইক প্রথার প্রর্বতন করেছিলেন। এই পাইক প্রথার দ্বারা বিভিন্ন কাজের জন্য বিধিগত সামাজিক ব‍্যবস্থা, যেমন পুরোহিত খেল, ব‍্যবসায়ী খেল ইত‍্যাদি ভাগ করে তাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দেশকে অধিক শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। ২০ জন পাইকের দলের উপর একজন বরা,  ১০০ জন পাইকের দলের উপর একজন শইকিয়া,  ১০০০ জন পাইকের দলের উপর একজন হাজারিকা, ৩০০ জন পাইকের দলের উপর একজন রাজখোয়া এবং ৬০০০ জন পাইকের দলের উপর একজন ফুকন ছিলেন। আহোমদের এই পাইক এবং খেল প্রথার ধরনে সমসাময়িক মধ‍্যযুগের অন‍্যান শাসকগণও দেশ গঠনে এই ব‍্যবস্থা গ্ৰহণ করেছিলেন।

(খ) আহোমগণ কী কারণে পচা প্রথা প্রর্বতন করেছিলেন?

উত্তরঃ আহোম রাজা প্রতাপ সিংহ পচা প্রথার প্রর্বতন করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন উপজাতিদের দারিদ্র্যই তাদিগকে সমতল ভূমির অধিবাসীদিগকে আক্রমণে প্রলুব্ধ করে। তিনি পরিচিত অঞ্চলের কয়েকটি গ্ৰাম পাহাড়িয়া উপজাতিগুলোকে বিনা খাজনায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। এই গ্ৰামগুলো থেকে পাহাড়িয়া উপজাতিগুলো উৎপন্ন শস‍্যসমূহ সংগ্ৰহ করত। বিনিময়ে তারা আহোম রাজ‍্যের প্রজাদের উপর আক্রমণ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

(গ) ‌মধ‍্যযুগে অসমিয়া সমাজে নারীর ভূমিকা কেমন ছিল?

উত্তরঃ মধ‍্যযুগের মহিলাদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হত। মহিলাগণ দৌল-দেবালয়ে নর্তকীর কাজ, তাঁত বোনার কাজ এবং গুপ্তচর বৃত্তির কাজও করতেন। মধ‍্যযুগের মহিলাগণ কেবল ঘরোয়া কাজ-কর্মেই আবদ্ধ ছিলেন না, তাঁরা সময় সাপেক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন। এছাড়া মহিলারা রাজসিংহাসনে বসে রাজ‍্য শাসন করত। সেইসময় রুচিসম্পন্ন নিজস্ব সাজ-পোশাক এবং অলংকার পরিধেয় মহিলাদের সমাজে যথেষ্ট সম্মান করা হত। ভারতবর্ষে তুলনামূলকভাবে অসমিয়া সমাজেই মহিলাদের সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হত। ‘মহিলার স্থান উচ্চ’ এই ধারণাটি সম্ভবত অসমিয়া সমাজে তখন থেকেই শুরু হয়েছিল।

(ঘ)  মধ‍্যযুগের কৃষি ব‍্যবস্থা : মধ‍্যযুগে অসমের মানুষের প্রধান বৃত্তি ছিল কৃষি। ঋতুভেদে আলাদা আলাদা শস‍্যের চাষ হত। অসমিয়া মানুষ ধান, ডাল জাতীয় শস্য মুগ, মশুরী, অড়হর, মাসকলাই, খেসারী, আখ, পাট, কাপার্স, বিভিন্ন ধরনের ফল-মূল, শাক- সবজি ইত্যাদি আবশ‍্যকীয় সামগ্ৰী উৎপাদন করত। পাহাড়িয়া অঞ্চলে প্রধানত সোপান কৃষি পদ্ধতির সাহায্যে ফল-মূলের চাষ হত। জনগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে জুম চাষের প্রচলন ছিল। মাটাতে বাঁধ দিয়ে বৃষ্টির জল জমা করে রেখে খেতের জমিতে জল সরবরাহের ব‍্যবস্থা ছিল। বর্তমান সময়ে বাঁধ নির্মাণ করে বন‍্যার থেকে গাছপালা, শস‍্যাদি রক্ষার যে ব‍্যবস্থা আছে তার সূচনা মধ‍্যযুগেই হয়েছিল। কোচবিহারে ঝরনার উৎসে বাঁধ নির্মাণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী শস‍্য খেতে জল সরবারহ করা হত।

(ঙ) কছাড়িদের স্থাপত্য বিদ‍্যার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ কী কী?

উত্তরঃ কছাড়িদের স্থাপত্য-ভাস্কর্য শিল্প উচ্চমানের ছিল। যে সময়ে আহোমদের কাছে ইটের ব‍্যবহার জানা ছিল না, সেই সময়ে কছাড়িদের রাজধানী ডিমাপুর তিনদিক থেকে দেয়ালে ঘেরা ছিল। কছাড়িদের স্থাপত্য বিদ‍্যায় বঙ্গ দেশের মুসলমানদের গৃহনির্মাণ প্রণালির প্রভাব দেখা যায়। তারা নানা ধরনের চিত্র খোদিত স্তম্ভ গৃহনির্মাণে ব‍্যবহার করতেন। কছাড়িদের রাজধানী ডিমাপুর নগরের ভেতর অনেক সুন্দর সুন্দর পুকুর ছিল। কছাড়িরা নালা-নর্দমা নির্মাণ ব‍্যবস্থায়ও অগ্ৰণী ছিলেন।

প্রশ্ন ৬। মধ‍্যযুগের অসমের অর্থনৈতিক কাজকর্মের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ মধ‍্যযুগে অসমের অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল কৃষি। জনসাধারণের প্রধান বৃত্তি ছিল কৃষি। অসমিয়া মানুষ ধান, ডাল জাতীয় শস‍্য, আখ, পাট, কাপাস, বিভিন্ন ধরনের ফল-মূল, শাক-সবজি ইত্যাদি আবশ‍্যকীয় সামগ্ৰী উৎপাদন করত। জনগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে জুম চাষের প্রচলন ছিল। অসমিয়া মহিলারা তাঁতের কাপড়ও তৈরি করত।এই সমস্ত জিনিষপত্র বাজারে বিক্রী করে তারা প্রয়োজনীয় তেল, সাবান, লবণ ইত্যাদি ক্রয় করত।

আহোমদের সময়ে রাজা ভূ-সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন। কৃষকদের খেতের জন্য রাজাকে কর দিতে হত। অবশ্য প্রত‍্যেক পাইক রাজ‍্যের স্বার্থে কাজ করার জন্য ৪ বিঘা করে খাজনাহীন জমা ভোগ করত ।  আহোম রাজাগণ ব্রাক্ষণ, দেবালয়, সত্র, মন্দির ইত‍্যাদিকে করমুক্ত জমি দান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদ, কবর ইত‍্যাদির সংস্কার ও সংরক্ষণের জন‍্যও জমি দান করেছিলেন। মধ‍্যযুগের এই ব‍্যবস্থা বর্তমানেও প্রচলিত আছে।

আহোমেরা বঙ্গ, তিব্বত, চীন ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সু-সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। কোচ রাজাদের সময়ে ব‍্যবসা-বাণিজ্য যথেষ্ট প্রসার লাভ করেছিল। কোচ রাজাগণ ব‍্যবসা-বাণিজ‍্যের জন্য রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন।

প্রশ্ন ৭। আহোমদের ভূমিনীতির ওপর মতামত দাও।

উত্তরঃ আহোম যুগে দেশের ভূ-সম্পত্তির প্রকৃত অধিকারী ছিলেন দেশের রাজা। কৃষির উপযোগী ভূ-সম্পত্তির উপর রাজার পূর্ণ অধিকার ছিল। দেশের প্রজা-জনসাধার কেবলমাত্র জমি-বাড়ি ও বসত বাড়ির মাটি ব‍্যবহার এবং বংশানুক্রমিক স্বত্ব লাভ করত। ঐ জমিটুকুকে বলা হত পৈতৃক সম্পত্তি। এই ধরনের ভূমির প্রতি প্রজাদের দখলি স্বত্ব পুরুষানুক্রমে স্বীকৃত হতো। মাটি ভোগ করার বিনিময়ে প্রজাকে বার্ষিক এক টাকার রূপোর  মোহর খাজনা দিতে হত। তবে এই ধরনের ভূমির উপরেও রাজার অবাধ কর্তৃত্ব ছিল। কোন প্রজা যদি রাজদ্রোহের অপরাধে হতো তবে রাজা তাকে ঐ জমি থেকে উচ্ছেদ করে দিতেন।

তবে উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীরা আমলাদের প্রত‍্যেককে মাসিক বেতন দেওয়ার পরিবর্তে দেওয়া হত নিদির্ষ্ট পরিমাণের জমি, সঙ্গে পাইক অর্থাৎ লাঠিয়াল জাতীয় প্রজা। ঐ সব ভূমি থেকে উৎপাদিত ফসল রাজস্বও পাইকদের সেবার উপর নির্ভর করেই রাজকর্মচারী বা আমলারা বেঁচে থাকত। প্রতিজন পাইক পেত আট বিঘা করে চাষের উপযোগী জমি। জমিগুলোর কেনা-বেচার অধিকার কোন পাইকদের ছিল না। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে উচ্চপদস্থ কর্মচারী আমলারা টাকার বিনিময়ে তাদের জমি অন‍্যের কাছে কেনা-বেচা করতে পারত।

প্রশ্ন ৮। মধ‍্যযুগে নির্মিত মঠ-মন্দিরগুলোর ছবি সংগ্ৰহ করে একটি অ্যালবাম তৈরি করো।

উত্তরঃ মধ‍্যযুগের নির্মিত রংপুরের রংঘর, তলাতল ঘর, কারেং ঘর গড়গাঁও, শিবসাগরের জয় দৌল, শিব দৌল, হাজোর হয়গ্ৰীব-মাধব মন্দির, গুয়াহাটির কামাক্ষা মন্দিরের ছবি নীচে দেওয়া হল——

অসমের আর্থ- সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান

Class 8 Social Science pic

প্রশ্ন ৯। মধ‍্যযুগে রচিত বিভিন্ন গ্ৰন্থসমূহের সঙ্গে তাদের রচয়িতাদের নামের একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ মাধব কন্দলী অসমিয়া ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। সুকুমার বরকাইথ ‘হস্তীবিদ‍্যার্ণব’ গ্ৰন্থ রচনা করেছিলেন। রামনারায়ণ চক্রবর্তী অসমিয়া ভাষায় গীতগোবিন্দ , ব্রক্ষবৈবর্ত পুরাণ,শকুন্তলা কাব্য, শঙ্খচূড় বধ কাব‍্য রচনা করেছিলেন। কবি নারায়ণদেব সূর্যহরি দৈবজ্ঞ দর‌ং রাজবংশাবলি রচনা করেছিলেন। রামসরস্বতী মহাভারত এবং পুরুষোত্তম বিদ‍্যাবাগীশ সংস্কৃত ভাষায় রত্নমালা ব‍্যাকরণ রচনা করেন। অনন্ত কন্দলী ভাগবত এবং আরও কয়েকটি গ্ৰন্থ অসমিয়া ভাষায় অনুবাদ করেন। ভট্টদেব কথা গীতা রচনা করেছিলেন। ভট্টদেবই ছিলেন ভারতের প্রথম গদ‍্য সাহিত্যের রচয়িতা, শ্রীমন্ত শঙ্করদেব রচিত বরগীত, রুক্মিণীহরণ কাব‍্য এবং এক অঙ্কের নাটক, ভাগবত পুরাণের একাংশের অনুবাদ অসমিয়া সাহিত্যের ভাণ্ডারকে শক্তিশালী করেছে।

প্রশ্ন ১০। ‘সাম্প্রতিক অসমের ভাষা, সাহিত্য- সংস্কৃতি প্রতিটি জাতি-জন গোষ্ঠীর সম্মিলিত সৃষ্টি এবং সম্পত্তি’—- এই বাক‍্যটির তাৎপর্য ব‍্যাখ‍্যা করো।

উত্তরঃ অসমিয়া সাহিত্য-সংস্কৃতিতে মধ‍্যযুগের অনবদ্য অবদানের আলোচনা ছাড়া বর্তমানের সাহিত্য-সংস্কৃতির আলোচনা করার কোন অর্থ হয় না। কারণ মধ‍্যযুগের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভিত্তি করেই বর্তমানের সাহিত্য-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। মধ‍্যযুগের সাহিত্য-সংস্কৃতি যে রাজ- পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এতো সমৃদ্ধ হত না তাও স্বীকার করতে হবে। রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত কিছু সংখ্যক গ্ৰন্থে রাজা, মন্ত্রী বা অন‍্যান‍্য বিশিষ্ট ব‍্যক্তিবর্গের গুণকীর্তন যদিও অনেকখানি অতিরঞ্জিত করা হয়েছিল তবুও এইগুলোর সাহিত‍্যমূল‍্য কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

মধ‍্যযুগের অসমে সাহিত্য-সংস্কৃতির মানচিত্রটির নির্মাতা স্থানীয় জনজাতীয় ভাষিক গোষ্ঠী, কামতা রাজাগণ এবং উজানের আহোমগণ। সম্প্রতিক অসমের ভাষা, সাহিত্য- সংস্কৃতি প্রতিটি জাতি জনগোষ্ঠীরই সম্মিলিত সৃষ্টি এবং সম্পত্তি। কামরূপ-কামতার রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় হেম সরস্বতী, কবিরত্ন সরস্বতী এবং হরিহর বিপ্র অসমিয়া ভাষায় কাব‍্য রচনা করেছিলেন। কছাড়ি রাজা মহামাণিক‍্যের পৃষ্ঠপোষকতায়।মাধব কন্দলী অসমিয়া ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। এই রাজার সময়ে কপিলির পারে আলিপুখুরির বরদোয়ায় মহেন্দ্র কন্দলী টোল প্রতিষ্ঠা করে জ্ঞানমার্গের সাধনার দ্বারা অন‍্যদেরও জ্ঞানচর্চায় উৎসাহিত করেছিলেন।

মধ‍্যযুগের আহোমদের সাহিত্য-সংস্কৃতির অবদানের কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথম বুরঞ্জী সাহিত্যের নাম নিতে হবে। প্রথমে তাই আহোম ভাষায় এরপর অসমিয়া ভাষায় বুরঞ্জী লেখার পরম্পরা সৃষ্টি হয়েছিল। সংস্কৃত ভাষায় রচিত মহাভারত, রামায়ণ এবং পুরাণ ইত্যাদি গ্ৰন্থসমূহ অসমিয়াতে অনুবাদ করা ছাড়াও অন‍্যান‍্য অনেকগুলো মূল‍্যবান গ্ৰন্থ সে সময়ে রচিত হয়েছিল।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। বর্তমান অসমের সীমান্তবর্তী রাজ‍্যগুলি শনাক্ত করো। এই রাজ‍্যগুলোর সঙ্গে আমাদের রাজ‍্যের সম্পর্ক কেমন? দলগতভাবে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ বর্তমান অসমের সীমান্তবর্তী রাজ‍্যগুলি হলো—- বাংলাদেশ, নাগাল‍্যাণ্ড, মণিপুর, অরুণাচল, মেঘালয়, ত্রিপুরা।

এই রাজ‍্যগুলোর সঙ্গে আমাদের অসম রাজ‍্যের সম্পর্ক মোটামুটি একপ্রকার ভালই। তথাপিও নাগাল‍্যাণ্ড, অরুণাচল ও মেঘালয়ের সঙ্গে রাজ‍্যের সীমানা নিয়ে প্রায় সংঘর্ষ হয়। বিশেষ করে নাগারা অসমের গোলাঘাট ও যোরহাট সীমান্তে অসমের জনসাধারণের উপর উৎপাত করে। অরুণাচল ও মেঘালয়ের সঙ্গেও প্রায়ই সীমান্ত নিয়ে বিবাদ হয়। বাংলাদেশীরাও ধুবরী এবং করিমগঞ্জ সীমান্তে উৎপাত করে।

প্রশ্ন ২। আমাদের সমাজে বর্তমান সময়ে পুরুষ- মহিলাদের পরিধেয় সাজ- পোশাকের একটি তালিকা প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ বর্তমানে আমাদের সমাজে দেশর বিভিন্ন রাজ‍্যে পুরুষ-মহিলারা বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করে।

পুরুষদের ধূতি, পেণ্ট, পায়জামা, ট্রাউজার, বিভিন্ন ধরনের জামা, গেঞ্জি, সুয়েটার, চাদর, পাগড়ী, টাই ইত্যাদি পরতে দেখা যায়। কেউ ঢিলে-ঢালা পোশাক পরে।

মহিলারা শাড়ী কাপড়, মেখলা চাদর, সালোয়ার কামিজ, চুড়িদার, সায়া ব্লাউজ ইত্যাদি পরিধান করে। তাছাড়া মহিলারা সোনা রূপার নানাধরনের অলংকার যেমন, গলার হার বা নেকলেস, কানের দুল,হাতের চুড়ি ইত্যাদি পরিধান করে।

প্রশ্ন ৩। মধ‍্যযুগের জলসিঞ্চন ব‍্যবস্থার সঙ্গে বর্তমান জলসিঞ্চন ব‍্যবস্থার একটি তুলনামূলক প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ মধ‍্যযুগে মাটাতে বাঁধ দিয়ে বৃষ্টির জল জমা করে রেখে খেতের জমিতে জল সরবরাহের ব‍্যবস্থা ছিল। কোচবিহারে ঝরনার উৎসে বাঁধ নির্মাণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে জল সরবরাহ করা হয়।

বর্তমানে ভারতবর্ষে কূপ, জলাশয় ও খাল হতে খেতে বা জমিতে জলসেচন করা হয়।

কূপ : বিহার, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব ও অন্দ্রপ্রদেশে কূপ হতে জল তুলে জমিতে জল সিঞ্চন করা হয়‌। বিহার ও উত্তর প্রদেশের কোন কোন স্থানে বিদ‍্যুৎ চালিত পাম্পের সাহায্যে জমিতে জলসিঞ্চন করা হয়।

জলাশয় : নদীতে কাঁচা বা পাকা বাঁধ দিয়ে জল সঞ্চয় করে রাখা হয়। প্রয়োজন কালে ঐ জলাশয় হতে  শস‍্যক্ষেত্রে জল সিঞ্চন করা হয়।

খাল : যে স্থানে নদী আছে সেখানে নদী হতে খাল কেটে জমিতে জল সিঞ্চন করা হয়। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে এইরূপ অনেক খাল আছে।

প্রশ্ন ৪। অসমের জোনবিল মেলায় কোন ব‍্যবস্থার মাধ্যমে দ্রব্য-সামগ্ৰী কেনা-বেচা হয়? শিক্ষক অথবা অভিজ্ঞ ব‍্যক্তির সাহায্যে জোনবিল মেলার ওপর একটি প্রকল্প প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ অসমের মরিগাঁও জেলার জাগীরোডের জোবিলের পাশে মাঘ বিহুর কয়েকদিন পরেই একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠিত হয়। একে জোনবিল  মেলা বলা হয়। এখানে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে দ্রব্য-সামগ্রী কেনা- বেচা হয়। মেলাটিতে বিরাট বাজার বসে। পাহাড়ের তিওয়া, কার্বি, খাসিয়া, জয়ন্তিয়া প্রভৃতি জনজাতীয় লোকদের সঙ্গে সমতলের মানুষজনও শস্য, তিল-তিসি, পাট,ধান, চাল, হাঁস,মুরগি, পায়রা, নানা প্রকারের ঘরে তৈরি কাপড়, কাঠ ও বাঁশ-বেতের সামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে বাজারে আসেন। বাজারে তাঁরা নিজ নিজ সামগ্ৰীর সঙ্গে অন‍্যের সামগ্রী বদল বা বিনিময় করেন। এই মেলা থেকে তিওয়া জনগোষ্ঠীর রাজা সমস্ত বৎসরের কর সংগ্ৰহ করেন। সমগ্ৰ ভারতবর্ষের মধ্যে এইটিই একমাত্র বাজার সেখানে এখনও বিনিময় প্রথা প্রচলিত আছে।

প্রশ্ন ৫ । তোমাদের জেলায় স্থিত পুরোনো কীর্তি চিহ্ন গুলোর নাম এবং ছবিসহ একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ আমাদের কামরূপ জেলায় পুরোনো কীর্তিচিহ্নগুলোর মধ্যে গুয়াহাটির কামাখ্যা ও ভূবনেশ্বর মন্দির, উমানন্দ মন্দির, বশিষ্ঠাশ্রম মন্দির, হাজোর হয়গ্ৰীব-মাধব, শুক্রেশ্বর মন্দির, নবগ্ৰহ মন্দির প্রভৃতি বিখ‍্যাত মন্দিরের ফটো নিজেরা সংগ্ৰহ করো এবং প্রত‍্যেকটির বিষয়ে বর্ণনা কর।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মধ‍্যযুগের শাসন ব‍্যবস্থা কি ধরনের ছিল।

উত্তরঃ মধ‍্যযুগের শাসন ব‍্যবস্থা ছিল রাজতান্ত্রিক।

প্রশ্ন ২। পাইক প্রথা কে প্রবর্তন করেছিলেন?

উত্তরঃ স্বর্গদেউ প্রতাপ সিংহ।

প্রশ্ন ৩। পাইক কাকে বলা হত?

উত্তরঃ ১৫ বৎসর থেকে ৫০ বৎসর বয়স পযর্ন্ত সব সক্ষম পুরুষকে এক একজন পাইক বলা হত।

প্রশ্ন ৪। পচা প্রথা কে প্রবর্তন করেছিলেন?

উত্তরঃ স্বর্গদেউ প্রতাপ সিংহ।

প্রশ্ন ৫ । উজান অসমে কাদের নিজস্ব বিচারালয় ছিল?

উত্তরঃ উজান অসমে শক্তিশালী ভূইঞাদের নিজস্ব বিচারালয় ছিল।

প্রশ্ন ৬। ভূইঞাদের বিচারালয়কে কি বলা হত?

উত্তরঃ কারখানা।

প্রশ্ন ৭। কোন আহোম রাজা বরবরুয়া ও বরফুকন পদ সৃষ্টি করেছিলেন?

উত্তরঃ স্বর্গদেউ প্রতাপ সিংহ।

প্রশ্ন ৮। “হস্তিবিদ‍্যার্ণব” কে রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ সুকুমার বরকাইথ।

প্রশ্ন ৯। “নামঘোষা” কে রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ মাধবদেব।

প্রশ্ন ১০। আহোমরা নাগাদেরকে দান করা ভূমি বা মাটিকে কি বলা হত?

উত্তরঃ নাগাখাট।

প্রশ্ন ১১। আহোম যুগের সামন্তবাদী সমাজটি কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল এবং কী কী?

উত্তরঃ আহোম যুগের সামন্তবাদী সমাজটি প্রধানত দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল—–সম্ভ্রান্ত শ্রেণি এবং অধীনস্থ প্রজা বা রায়ত শ্রেণি।

প্রশ্ন ১২। অসমিয়া ভাষায় কে রামায়ণ রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ মাধব কন্দলী।

প্রশ্ন ১৩। কামরূপ-কামতার রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কে কে অসমিয়া ভাষায় কাব‍্য রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ কামরূপ-কামতার রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় হেমসরস্বতী, কবিরত্ন সরস্বতী এবং হরিহর বিপ্র অসমিয়া ভাষায় কাব‍্য রচনা করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৪। রামনারায়ণ চক্রবর্তী অসমিয়া ভাষায় কোন কোন কাব‍্য রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ রামনারায়ণ চক্রবর্তী অসমিয়া গীতগোবিন্দ, ব্রক্ষবৈবর্ত পুরাণ, শকুন্তলা কাব‍্য ছাড়াও শঙ্খচূড় বধ কাব‍্য রচনা করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৫। কে অসমিয়া ভাষায় ‘পদ্মাপুরাণ’ রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ সুকবি নারায়ণদেব।

প্রশ্ন ১৬। কোচ রাজাদের সময়ে কে “দরং রাজ বংশাবলী” রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ বলদেব সূর্যমুখী দৈবজ্ঞ।

প্রশ্ন ১৭। সংস্কৃত ভাষায় ‘রত্নমালা ব‍্যাকরণ’ কে রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ পুরুষোত্তম বিদ‍্যাবাগীশ।

প্রশ্ন ১৮। ভারতে প্রথম গদ‍্যসাহিত‍্য রচয়িতা কে ছিলেন?

উত্তরঃ ভট্টদেব।

প্রশ্ন ১৯। মধ‍্যযুগে অসমের মানুষের প্রধান বৃত্তি কী ছিল ?

উত্তরঃ কৃষি।

প্রশ্ন ২০। আহোম আমলে প্রতিটি পরিবারের মানুষ নিজেদের বাগানে কি চাষ করত?

উত্তরঃ তাম্বুল পানের চাষ।

প্রশ্ন ২১। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের শিক্ষাগুরু কে ছিলেন?

উত্তরঃ মহেন্দ্র কন্দলী।

প্রশ্ন ২২। পাহাড়িয়া অঞ্চলে কোন পদ্ধতির সাহায্যে ফল-মূলের চাষ হত?

উত্তরঃ পাহাড়িয়া অঞ্চলে প্রধানত সোপান কৃষিপদ্ধতির সাহায্যে ফল- মূলের চাষ হত।

প্রশ্ন ২৩। আহোম রাজাদের প্রতি সেবাদানের বিনিময়ে প্রতিজন পাইক খাজনাহীন কত জমি ভোগ করত?

উত্তরঃ ৪ বিঘা জমি।

প্রশ্ন ২৪। আহোম রাজাগণ কাকে করমুক্ত জমি দান করেছিলেন?

উত্তরঃ আহোম রাজাগণ ব্রাক্ষণ, দেবালয়, সত্র, মন্দির ইত‍্যাদিকে করমুক্ত জমি দান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদ, কবর ইত্যাদি সংস্কার ও সংরক্ষণের জন‍্যও জমি দান করেছিলেন।

প্রশ্ন ২৫। অসমের কোন কোন স্থানে তাঁতিকুচিত উৎপত্তি হয়েছিল?

উত্তরঃ শুয়ালকুচি এবং বরপেটায় তাঁতিকুচিত উৎপত্তি হয়েছিল।

প্রশ্ন ২৬। অসমের মধ‍্যযুগের কুটির এবং ক্ষুদ্র শিল্পগুলো কি কি?

উত্তরঃ অসমের মধ‍্যযুগের কুটির এবং ক্ষুদ্র শিল্পগুলো হল—-বস্ত্র শিল্প বয়ন শিল্প, রঞ্জন (রং করা)শিল্প,হাতির দাঁতের শিল্প, বাশঁ- বেতের শিল্প,মৃৎশিল্প এবং বিভিন্ন ধাতু শিল্প ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৭। মধ‍্যযুগে অসমের বিভিন্ন প্রান্তে কে কে শাসন করেছিল?

উত্তরঃ মধ‍্যযুগে কামরূপ-কামতা, চুতিয়া, বারোভূইঞা, কছাড়ি এবং আহোমদের অসমের বিভিন্ন প্রান্তে শাসন করেছিলেন।

প্রশ্ন ২৮। কি কি উপাদান থেকে মধ‍্যযুগের বিষয়ে জানতে পারি?

উত্তরঃ বুরঞ্জী গ্ৰন্থ, বিদেশী ভ্রমণকারীর বিবরণ, কাহিনী, কিংবদন্তি, প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান ইত্যাদি থেকে মধ‍্যযুগের বিষয়ে জানতে পারি।

প্রশ্ন ২৯। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ :

(ক) বুরঞ্জী সাহিত্য।

(খ) কথা-গুরু চরিত।

(গ) বরগীত।

উত্তরঃ (ক) বুরঞ্জী সাহিত্য : মধ‍্যযুগে অসমের অন‍্যতম সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হল বুরঞ্জী সাহিত্যের সৃষ্টি। আহোমদের নেতৃত্বে ব্রক্ষপুত্র উপত্যকায় প্রথম থেকেই টাই-আহোম ভাষায় এবং পরে অসমিয়া ভাষায় বুরঞ্জী লেখার পরম্পরা সৃষ্টি হয়েছিল।

দেশের প্রধান রাজনৈতিক ঘটনা, রাজা ও রাজ পরিবারের বর্ণনা, দেশ জয় করা ও রাজ‍্যবিস্তারের কাহিনী, শাসন ব‍্যবস্থার।বিবরণ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করার ব‍্যবস্থা আহোমরা তাদের রাজত্বকালের শুরু থেকেই করে আসছিলেন। এইভাবে লিপিবদ্ধ করা ঘটনাপঞ্জীকেই বুরঞ্জী বলা হত। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম পর্ব থেকেই অসমিয়া ভাষায় বুরঞ্জী লেখার উদ‍্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অসমিয়া ভাষায় প্রথম বুরঞ্জী রচিত হয়েছিল ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে। আহোমদের বুরঞ্জীসাহিত্য মধ‍্যযুগের অসমের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ।আনন্দরাম ঠেকিয়ালফুকন এবং ভাষাতত্ত্ববিদ গ্ৰিয়ারসন সাহেব অসমের বুরঞ্জী সাহিত‍্যসম্ভারের ভূয়সী প্রশংসা করে গিয়েছেন।

(খ) কথা-গুরু চরিত : ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীর অসমীয়া সাহিত্যের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হলো নব-বৈষ্ণব আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বৈষ্ণব গুরুদের জীবনী গদ‍্য-সাহিত্য রচনা। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় ‘কথা-গুরু-চরিত’- এর কথা। ‘কথা-গুরু-চরিত’ গ্ৰন্থে আহোম যুগের বহু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্ৰহ করা যায়। এই গ্ৰন্থ থেকে জানা যায় যে তখনকার সমাজে টাকা ও কড়ির ব‍্যবহার করার কথা। এই টাকা ও কড়ি তখন কেনা-বেচার ক্ষেত্রে বিনিময় মাধ্যম রূপে ব‍্যবহৃত হত তার উল্লেখ আছে। ‘কথা-গুরু-চরিত’ গ্ৰন্থে। এমনকি ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে ঋণদাতা ঋণগ্ৰস্ত মানুষের গবাদি পশু, অস্থাবর সম্পত্তি করায়ত্ত করা , টাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখা বেশকিছু আর্থিক ও সামাজিক খবরও এই গ্ৰন্থে আছে। এই গ্ৰন্থে আরও উল্লেখ আছে যে তাম্বুল-পান ছাড়া জালজাতীয় শস্য, সোনা-রূপা, পাটের কাপড়, জাপি,মাটির বাসনপত্র ইত্যাদি বাজারে কেনা-বেচা হত।

(গ) বরগীত : অসমিয়া সংস্কৃতির ধর্ম আন্দোলনের এবং নববৈষ্ণব আন্দোলনের সাধনমার্গের একটি বিশেষ ধারার ভক্তিগীতি- ই হলো বরগীত। এই গীত বিশেষ করে ব্রজবুলি ভাষায় রচিত হয়েছিল। অসমের ভক্তি আন্দোলনের সংগঠক এবং পথ-প্রদর্শক অন‍্যতম প্রবাদ পুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ব্রজবুলি ভাষায় ৩৬ টি ‘বরগীত’ রচনা করেছিলেন। শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের পর তাঁর প্রধান শিষ্য মাধবদেবও পরে অসমিয়া সাহিত্যের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে গিয়েছেন।তিনিও ব্রজবুলি ভাষায় মোট ১৫৭ টি ‘বরগীত’ রচনা করে গিয়েছেন।

প্রশ্ন ৩০। শূন‍্যস্থান পূর্ণ করো—-

(ক) মধ‍্যযুগের শাসন ছিল ________।

উত্তরঃ রাজতান্ত্রিক।

(খ) উজান অসমের শক্তিশালী ভূইঞাদের নিজস্ব ________পর্যন্ত ছিল।

উত্তরঃ বিচারালয়।

(গ) আহোমদের খেল ব‍্যবস্থার সঙ্গে মোগলদের ________ প্রথার অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

উত্তরঃ মনসবদারি।

(ঘ) মধ‍্যযুগে ________ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হত।

উত্তরঃ মহিলাদের।

(ঙ) মধ‍্যযুগে অসমের অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল ________।

উত্তরঃ কৃষি।

(চ) আহোমদের সময়ে ________ ভূ-সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন।

উত্তরঃ রাজা।

(ছ) অসম মধ‍্যযুগ থেকেই কুটির এবং ক্ষুদ্র ________ সমৃদ্ধ।

উত্তরঃ শিল্পে।

(জ) মধ‍্যযুগের প্রথম ভাগে ________ প্রথার মাধ্যমে ব‍্যবসা-বাণিজ্য চলত।

উত্তরঃ বিনিময়।

(ঝ) মাধব কন্দলী অসমিয়া ভাষায় ________ রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ রামায়ণ।

(ঞ) ________ ছিলেন ভারতের প্রথম গদ‍্যসাহিত‍্যের রচয়িতা।

উত্তরঃ ভট্টদেবই।

প্রশ্ন ৩১। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো—-

(ক) শঙ্করদেব/মাধবদেব অসমে বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেছিলেন।

উত্তরঃ শঙ্করদেব।

(খ) সুকুমার বরকাইথ/মাধব কন্দলী অসমিয়া ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ মাধব কন্দলী।

(গ) মহেন্দ্র কন্দলী/মাধব কন্দলী টোল প্রতিষ্ঠা করে জ্ঞানমার্গের সাধনার দ্বারা অন‍্যদেরও জ্ঞানচর্চায় উৎসাহিত করেছিলেন।

উত্তরঃ মহেন্দ্র কন্দলী।

(ঘ) অনন্ত কন্দলী/রামনারায়ণ চক্রবর্তী ‘শঙ্খচূড় বধ’ কাব‍্য রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ রামনারায়ণ চক্রবর্তী।

(ঙ) ভট্টদেব/রামসরস্বতী ‘কথা গীতা’ রচনা করেছিলেন।

উত্তরঃ ভট্টদেব।

(চ) আহোমদের/ভূঞাদের নিজস্ব বিচারালয় ছিল।

উত্তরঃ ভূঞাদের।

(ছ) প্রতাপ সিংহ/রুদ্র সিংহ পাইক প্রথার প্রর্বতন করেছিলেন।

উত্তরঃ প্রতাপ সিংহ।

প্রশ্ন ৩২। চিত্র অঙ্কন কর :

(ক) অসমিয়া মহিলার অলংকার এবং সাজ- পোশাক।

(খ) শিবসাগরের জয়সাগর পুকুর।

(গ) কছাড়ি রাজধানী ডিমাপুরের ভগ্নাবশেষ।

উত্তরঃ

অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top