SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 13 ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও ।

(ক) ইংরেজ এবং ফরাসিদের মধ্যে কীসের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল?

উত্তরঃ ইংরেজ এবং ফরাসি উভয় পক্ষই ভারতবর্ষে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন দেখায় উভয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল।

(খ) প্রথম এবং দ্বিতীয় কর্ণাটক যুদ্ধের সময়ে ফরাসিদের গভর্নর কে ছিলেন?

উত্তরঃ প্রথম এবং দ্বিতীয় কর্ণাটক যুদ্ধের সময়ে ফরাসিদের গভর্নর ছিলেন যোশেফ ফ্রান্সিস ডুপ্লে।

(গ) নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?

উত্তরঃ নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লার প্রধান সেনাপতি ছিলেন মিরজাফর।

(ঘ) বঙ্গদেশের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

উত্তরঃ বঙ্গদেশের প্রথম গভর্নর জেনারেল হলেন রবার্ট ক্লাইভ।

(ঙ) স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেছিলেন?

উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেছিলেন।

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করো—

(ক) পণ্ডিচেরী ইংরেজদের বাণিজ্য কুঠি ছিল।

(খ) ফরাসিরা সালাবৎ জং-কে হায়দারাবাদের নিজাম হিসাবে অধিষ্ঠিত করেছিল।

(গ) নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যার পুত্র ছিলেন।

(ঘ) পলাশি অঞ্চলটি ভাগিরথী নদীর পাশে অবস্থিত ছিল।

(ঙ) রেগুলেটিং অ্যাক্ট বঙ্গের গভর্নর পদটিকে গভর্নর উন্নীত করে।

(চ) লর্ড ওয়েলেসলি স্বত্ব বিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন।

উত্তরঃ (খ) ফরাসিরা সালাবৎ জং-কে হায়দরাবাদের নিজাম হিসাে অধিষ্ঠিত করেছিল। (শুদ্ধ)।

(ঘ) পলাশি অঞ্চলটি ভাগিরথী নদীর পাশে অবস্থিত ছিল। (শুদ্ধ)।

প্রশ্ন ৩। ক্রমানুসারে সাজাও–

নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা, মিরজাফর, আলিবর্দি খাঁ, মিরকাশিম।

উত্তরঃ আলিবর্দি খাঁ, নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা, মিরজাফর, মিরকাশিম।

প্রশ্ন ৪। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও—

(ক) প্রথম কর্ণাটক যুদ্ধ।

(খ) ভূগে।

(গ) পলাশির যুদ্ধ।

(ঘ) রেগুলেটিং অ্যাক্ট।

(ঙ) পিটের ভারত শাসন আইন।

(চ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।

উত্তরঃ (ক) প্রথম কর্ণাটক যুদ্ধ – সুযোগ সন্ধানী ইংরেজ নৌবাহিনী ১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ফরাসি জাহাজ অবরুদ্ধ করে পণ্ডিচেরী পর্যন্ত ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। চতুর, দূরদর্শী এবং তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন গভর্নর ডুপ্লে ইংরেজদের অধীনস্থ মাদ্রাজ দখল করেছিলেন। ইংরেজরা নিরুপায় হয়ে কর্ণাটকের নবাবের সাহায্য করেছিল। কর্ণাটকের নবাবের ইংরেজদের সাহায্যের জন্য পাঠানো প্রকাণ্ড সৈন্যবাহিনীকেও ফরাসিরা পরাজিত করেছিল। কিন্তু হঠাৎ ইউরোপে দুই জাতির মধ্যে সন্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষেও ইংরেজ এবং ফরাসিদের মধ্যে সন্ধি হয়। সেই সন্ধি অনুসারে ফরাসিরা ইংরেজদের থেকে দখল করে নেওয়া স্থানগুলো পুনরায় ফিরিয়ে দেয়। এটাই ইতিহাসে প্রথম কর্ণাটক যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।

(খ) ডুপ্লে – ১৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে ফরাসী নৌ-সেনাপতি লা-বুর্দনে ইংরেজদের নিকট হতে মাদ্রাজ অধিকার করে নেয়। এই সময় বিখ্যাত ফরাসী রাজনীতিবিদ জোসেফ ফ্রান্সিস ডুপ্লে পণ্ডিচেরীর শাসনকর্তা পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ভারতে ইংরেজদের উচ্ছেদ সাধন করে ফরাসি আধিপত্য স্থাপনে দৃঢ় সংকল্প ছিলেন।

(গ) পলাশির যুদ্ধ – ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জুন মুর্শিদাবাদের তেইশ মাইল দক্ষিণে ভাগিরথী নদীর পারে পলাশির প্রান্তরে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নবাব সিরাজ- উদ- দৌল্লার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায়। নবাবের সেনা সংখ্যা ইংরেজ পক্ষের তুলনায় অনেকগুণ বেশি হলেও এই যুদ্ধে নবাবের দুই সেনাপতি মিরজাফর ও রায়দুর্লভ যুদ্ধ না করে দূরে সরে থাকেন, কিন্তু নবাবের অন্য দুই বিশ্বস্ত সেনাপতি মিরমদন ও মোহনলাল অল্পসংখ্যক সৈন্য নিয়েই অসীম পরাক্রমের সঙ্গে যুদ্ধ করেও সেনাপতি মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হন। এটিই পলাশির যুদ্ধ নামে খ্যাত।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

(ঘ) রেগুলেটিং অ্যাক্ট – ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্যে এবং ভারতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন নিয়ন্ত্রণ তথা সুদৃঢ় করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ‘রেগুলেটিং অ্যাক্ট’ নামক একটি আইন প্রণয়ন করে বলবৎ করেছিল। এই আইনের দ্বারা বঙ্গদেশের গভর্নরের পদটি গভর্নর জেনারেলে উন্নীত হয়েছিল। রেগুলেটিং অ্যাক্টের যথেষ্ট সাংবিধানিক গুরুত্ব আছে। এই আইন অনুসারে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতবর্ষের রাজনৈতিক কার্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এর দ্বারা ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকারের স্থায়ী শাসনের গোড়াপত্তন করা হয়েছিল। কিন্তু রেগুলেটিং অ্যাক্টে বঙ্গের গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা নির্দিষ্ট না করে দেওয়ার জন্য পরবর্তীকালে এই আইন বিফলতার সম্মুখীন হয়।

(ঙ) পিটের ভারত শাসন আইন – ভারতীয় প্রশাসনের কেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্যে এবং ভারতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন নিয়ন্ত্রণ তথা সুদৃঢ় করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ‘রেগুলেটিং অ্যাক্ট’ নামক একটি আইন প্রণয়ন করে বলবৎ করেছিল। কিন্তু এই ‘রেগুলেটিং অ্যাক্ট’-এর অসঙ্গতির জন্য ইংল্যান্ড পুনরায় একটি আইন জারি করে ভারতবর্ষে ব্রিটিশের শাসন অধিক পুদৃঢ় করে তুলেছিল। এইটিই ছিল ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে বলবৎ পিটের ভারত শাসন আইন। এই আইন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট (কনিষ্ঠ) এর নামে নামকরণ হয়েছিল। এই আইন অনুসারে ভারতবর্ষে সদস্যের একটি নিয়ন্ত্রকমণ্ডলী গঠন করা হয়। এই সদস্যগণ ভারতবর্ষে কোম্পানির কাজকর্ম তদারক করতেন। ভারতবর্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে শাসন পরিচালনার মূল পরিকল্পনা পিটের ভারত শাসন আইনের দ্বারাই সূচিত হয়েছিল বলে বলা যেতে পারে। পিটের ভারত শাসন আইনই ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

(চ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত – গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্ণওয়ালিস কোম্পানির রাজস্ব বিভাগটি শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছিলেন। কৃষিভূমির ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আরোপিত হয়েছিল। ভূমিসমূহ ভাগ ভাগ করে এক একজন জমিদারের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবস্থাপনার জন্য জমিদারদের বার্ষিক একটি নির্ধারিত রাজস্ব ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দিতে হত। এই রাজস্ব বা খাজনা দিতে না পারলে জমিদারি কোম্পানির হাতে চলে যেত। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে লর্ড কর্ণওয়ালিস তাঁর সাত বছরের কার্যকালে যথেষ্ট পরিমাণে  অর্থসংগ্রহ করে কোম্পানির রাজকোষ সমৃদ্ধ করেছিলেন।

প্রশ্ন ৫। ‘বঙ্গের ঘরোয়া কোন্দলই ইংরেজদের বঙ্গ দখলের প্রধান কারণ’—কথাগুলোর যথার্থতা নির্ণয় করো।

উত্তরঃ ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গের নবাব আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কোনো পুত্র না থাকায় নবাবের পদকে ঘিরে বিবাদের সূত্রপাত হয়। নবাব আলিবর্দি খাঁ তাঁর মৃত্যুর আগেই তাঁর কনিষ্ঠা কন্যার পুত্র সিরাজ-উদ্-দৌল্লাকে বঙ্গের নবাব হিসেবে মনোনীত করে গিয়েছিলেন। সেই হিসেবে আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর সিরাজ-উদ-দৌল্লা বঙ্গের নবাব হন। কিন্তু জ্যেষ্ঠা কন্যা ঘসিটি বেগম এবং মধ্যম কন্যার পুত্র সৌকৎ জংও বঙ্গের সিংহাসনের দাবীদার ছিলেন। সেই সময় ঘসিটি বেগম ছিলেন ঢাকার শাসনকর্তা। বঙ্গের দেওয়ান রাজবল্লভ ঘসিটি বেগমের সমর্থক ছিলেন। সিংহাসন থেকে বঞ্চিত হয়ে এরা সিরাজ-উদ্-দৌল্লার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এই ঘরোয়া কোন্দলই ইংরেজদের দখলের প্রধান কারণ। স্বাভাবিক কারণে, ‘বঙ্গের ঘরোয়া কোন্দলই ইংরেজদের বঙ্গ দখলের প্রধান কারণ’ কথাগুলো যথার্থ।

প্রশ্ন ৬। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কী ধরনের কাজকর্ম নরাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লাকে অসন্তুষ্ট করেছিল?

উত্তরঃ ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গের নবাব আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কনিষ্ঠা কন্যার পুত্র সিরাজ-উদ-দৌল্লা নবাব পদে অধিষ্ঠিত হলে ঘরোয়া কোন্দল শুরু হয়ে যায়। আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা ঘসিটি বেগম এবং মধ্যম কন্যার পুত্র সৌকৎ জংও বঙ্গের সিংহাসনের দাবীদার ছিলেন। সেই সময় ঘসিটি বেগম ছিলেন ঢাকার শাসনকর্তা এবং বঙ্গের দেওয়ান রাজবল্লভ ছিলেন ঘসিটি বেগমের সমর্থক। সিংহাসন থেকে বঞ্চিত হয়ে এরা সিরাজ-উদ্-দৌল্লার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এই ঘরোয়া কোন্দলের সুযোগ নিয়ে ইংরেজ এবং ফরাসিরা নিজেদেরকে শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত করার জন্য বঙ্গদেশে সামরিক দুর্গ নির্মাণ করার জন্য অগ্রসর হয়। দু-পক্ষকেই সিরাজ-উদ-দৌল্লা দুর্গের নির্মাণ কার্য বন্ধ করার জন্য আদেশ দিলে ফরাসিরা নবাবের আদেশ পালন করলেও ইংরেজরা করল না। 

অপরদিকে ইংরেজদের বঙ্গদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য যে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তারও তারা অপব্যবহার করছিল। ইংরেজ বণিকরা কোম্পানির নামে ব্যবসা আরম্ভ করার ফলে নবাব প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এছাড়া, নবাবের কর্মচারী দেওয়ান রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাসকে নবাবের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইংরেজরা কলিকাতাতে আশ্রয় দিয়েছিল। ইংরেজ ইস্ট| ইন্ডিয়া কোম্পানির এই ধরনের কাজকর্ম নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লাকে অসন্তুষ্ট করেছিল।

প্রশ্ন ৭। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাম্রাজ্যবাদী নীতি কী কী কার্যাবলির দ্বারা প্রকাশ পেয়েছিল আলোচনা করো।

উত্তরঃ কলিকাতার গভর্নর ড্রেকের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লা ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করলে, অভিযানে ইংরেজরা পরাজিত হয়। বঙ্গদেশে ইংরেজদের পরাজয়ের খবর পেয়ে ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির মাদ্রাজ দুর্গের কর্ণেল রবার্ট ক্লাইভ এবং নৌ সেনাপতি ওয়াটসন সসৈন্যে এসে কলিকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ উদ্ধার করেন।

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে কর্ণেল রবার্ট ক্লাইভ ফরাসি অধিকৃত চন্দননগর দখল করে ফরাসি শক্তিকে শিক্ষা দেবার জন্য প্রস্তুত হওয়াতে ফরাসিগণ নবাবের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করে। এতে ক্ষুণ্ণ হয়ে ইংরেজরা নবাব এবং ফরাসিদের সঙ্গে মিত্রতা শেষ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়। এই জন্য নবাব সিরাজ- উদ্- দৌল্লাকে সিংহাসনচ্যুত করতে ইংরেজরা এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এই ষড়যন্ত্রে নবাবের সেনাপতি মিরজাফর, রায়দুর্লভ, দেওয়ান রাজবল্লভ, উমিচাঁদ এবং ব্যবসায়ী ফর জগত শেঠ প্রমুখের সঙ্গে রবার্ট ক্লাইভ গোপনে চুক্তি করেন। সেই চুক্তি ঘটন অনুযায়ী ইংরেজরা সিরাজ-উদ্-দৌল্লাকে সরিয়ে মিরজাফরকে বঙ্গের নবাব পদে অধিষ্ঠিত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।

ষড়যন্ত্রের সমস্ত আয়োজন সম্পূর্ণ হওয়ার পর রবার্ট ক্লাইভ সিরাজ-উদ-দৌল্লার বিরুদ্ধে সন্ধিভঙ্গের মিথ্যা অভিযোগ এনে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এই সমস্ত কার্যাবলির দ্বারাই ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সাম্রাজ্যবাদী নীতিগুলি প্রকাশ পেয়েছিল।

প্রশ্ন ৮। লর্ড ডালহোসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোন কোন রাজ্যগুলি কোম্পানির শাসনাধীনে এনেছিলেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ লর্ড ডালহোসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে  মন্দতি, ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে কোলাবা, ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সাঁতারা, জৈৎপুর এবং সম্বলপুর রাজ্য প্রত্যক্ষভাবে কোম্পানির শাসনাধীনে এনেছিলেন। আবার এই নীতির দ্বারা ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভাগলপুর, উদয়পুর, নাগপুর এবং ঝাঁসি কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রশ্ন ৯। ভারতবর্ষের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে নীচে দেওয়া স্থানগুলো বসাও–

পণ্ডিচেরী, মাদ্রাজ, বোম্বাই, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, পলাশি, কর্ণাটক।

উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।

প্রশ্ন ১০। শিক্ষকের সাহায্যে ইউরোপের মানচিত্র দেখে অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি দেশগুলো খুঁজে বের করো।

উত্তরঃ শিক্ষকের সাহায্যে নিজে নিজে করতে হবে।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। হায়দারাবাদের মুজাফ্ফর জং এবং কর্ণাটকের চাঁদ সাহেবকে ফরাসিরা কেন সমর্থন করেছিল?

উত্তরঃ হায়দারাবাদের মুজাফ্ফর জং এবং কর্ণাটকের চাঁদ সাহেবকে ফরাসিরা সমর্থন করেছিল হায়দারাবাদ ও কর্ণাটক দুটি রাজ্যেরই অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে।

প্রশ্ন ২। কে আর্কট অভিযান চালিয়েছিলেন?

উত্তরঃ ইংরেজ গভর্নর সান্ডার্স কোম্পানির একজন তরুণ কর্মচারী রবার্ট ক্লাইভ আর্কট অভিযান চালিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৩। চন্দননগর কাদের অধিকৃত অঞ্চল ছিল?

উত্তরঃ চন্দননগর ফরাসি অধিকৃত অঞ্চল ছিল।

প্রশ্ন ৪। বন্দীবাসের যুদ্ধে ইংরেজ এবং ফরাসিদের সেনাপতি কে কে ছিলেন?

উত্তরঃ বন্দীবাসের যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিলেন স্যার আয়ারকূট এবং ফরাসি সেনাপতি ছিলেন লালি এবং বুসি।

প্রশ্ন ৫। আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর বঙ্গের নবাব কে হয়েছিলেন?

উত্তরঃ আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর তিন কন্যার মধ্যে কনিষ্ঠা কন্যার পুত্র সিরাজ-উদ্-দৌল্লা বঙ্গের নবাব হয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৬। বঙ্গের নবাব পদের দাবীদার কে কে ছিলেন?

উত্তরঃ আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা ঘসিটি বেগম এবং মধ্যম কন্যার পুত্র সৌকৎ জং বঙ্গের নবাব পদের দাবীদার ছিলেন।

প্রশ্ন ৭। সিরাজ-উদ্-দৌল্লা কলিকাতা আক্রমণ করার সময় রবার্ট ক্লাইভ কোথায় ছিলেন?

উত্তরঃ সিরাজ-উদ্-দৌল্লা কলিকাতা আক্রমণ করার সময় রবার্ট ক্লাইভ ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্ণেল হয়ে মাদ্রাজে ছিলেন।

প্রশ্ন ৮। পলাশির যুদ্ধে কোন দুজন সেনাপতি নবাবের হয়ে পরাক্রমের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন?

উত্তরঃ পলাশির যুদ্ধে মিরমদন এবং মোহনলাল—এই দুজন সেনাপতি নবাবের হয়ে পরাক্রমের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন।

প্রশ্ন ৯। ভারতবর্ষের ইতিহাসে পলাশির যুদ্ধের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ ভারতবর্ষের ইতিহাসে পলাশির যুদ্ধের গুরুত্ব–

১। পলাশির যুদ্ধে জয়ী হয়েই ইংরেজরা বঙ্গের এমনকি ভারতবর্ষের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও প্রভুত্ব বিস্তার করার সুযোগ লাভ করেছিল।

২। ফরাসি শক্তি ক্রমে লোপ পেয়েছিল।

৩। মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের প্রায় সমাপ্তি ঘটেছিল।

৪। ভারতবর্ষে আধুনিক যুগের সূচনা হয়েছিল।

৫। এই যুদ্ধে দেশীয় সৈন্যদের সামরিক দুর্বলতা এবং তার পাশাপাশি ইংরেজ সৈন্যদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছিল।

৬। নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লার পরাজয়ের মাধ্যমে ক্লাইভের কূট কৌশলেরই জয় হয়েছিল।

প্রশ্ন ১০। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এলাহাবাদ সন্ধির গুরুত্ব নির্ণয় করো।

উত্তরঃ ভারতবর্ষের ইতিহাসে এলাহাবাদ সন্ধির গুরুত্ব–

১। এলাহাবাদ সন্ধির শর্তানুযায়ী অযোধ্যার নবাব পুনরায় অযোধ্যা ফিরে পেয়েছিলেন।

২। মোগল সম্রাটের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানির কাছ থেকে সম্রাট কোরা ও এলাহাবাদ জেলা দুটি লাভ করেন এবং এর প্রতিদান স্বরূপ মোগল সম্রাট কোম্পানিকে বঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি দেওয়া ছাড়াও উত্তর অঞ্চলের রাজস্ব সংগ্রহেরও কর্তৃত্ব প্রদান করেন।

৩। ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বঙ্গের সর্বময় শাসনকর্তা হয়ে ওঠেন।

৪। ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা নিজেদের অধীনে নিয়ে আসে।

প্রশ্ন ১১। পিটের ভারত শাসন আইন রেগুলেটিং অ্যাক্ট থেকে উন্নততর বলে মনে করো কী? দলগতভাবে আলোচনা করে লেখো।

উত্তরঃ নিজেরা দলগতভাবে আলোচনা করে উত্তর লিখতে হবে।

প্রশ্ন ১২। স্বত্ববিলোপ নীতি কতটুকু ন্যায্য ছিল? দলগতভাবে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ দলগতভাবে আলোচনা করে প্রতিবেদন লিখতে হবে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও—

(ক) অস্ট্রিয়ায় উত্তরাধিকারের যুদ্ধ কবে শুরু হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে অষ্ট্রিয়ায় উত্তরাধিকারের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

(খ) ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে হায়দারাবাদের নিজামের মৃত্যুর পর হায়দারাবাদের নিজাম হয়েছিলেন কে?

উত্তরঃ ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে হায়দারাবাদের নিজামের মৃত্যুর পর হায়দারাবাদের নিজাম হয়েছিলেন তারই ছেলে নাসির জং।

(গ) কোন যুদ্ধের শেষে দাক্ষিণাত্যে ইংরেজদের সম্প্রসারণের পথ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে?

উত্তরঃ দ্বিতীয় কর্ণাটক যুদ্ধের শেষে দাক্ষিণাত্যে ইংরেজদের সম্প্রসারণের পথ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

(ঘ) কোন যুদ্ধ ভারতবর্ষে ইংরেজদের উত্থান, প্রসার এবং আধিপত্য বিস্তারের পথ সুগম করে?

উত্তরঃ বন্দীবাসের যুদ্ধ ভারতবর্ষে ইংরেজদের উত্থান, প্রসার এবং আধিপত্য বিস্তারের পথ সুগম করে।

(ঙ) পিটের ভারত শাসন আইন কার নামে নামকরণ করা হয়েছিল?

উত্তরঃ পিটের ভারত শাসন আইন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট (কনিষ্ট)-এর নামে নামকরণ করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূরণ করো।

(ক) নবাব ______ ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করেন।

উত্তরঃ নবাব সিরাজ-উদ-দৌল্লা ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করেন।

(খ) ভারতবর্ষে ইংরেজ কোম্পানির শাসন সুদৃঢ় করার জন্য ব্রিটিশ সরকার______ অ্যাক্ট প্রবর্তন করেছিল।

উত্তরঃ ভারতবর্ষে ইংরেজ কোম্পানির শাসন সুদৃঢ় করার জন্য ব্রিটিশ সরকার রেগুলেটিং অ্যাক্ট প্রবর্তন করেছিল।

(গ) _____ নীতি ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের প্রথম প্রকাশ ছিল।

উত্তরঃ ‘করদ মৈত্রী’ নীতি ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের প্রথম প্রকাশ ছিল।

(ঘ) ______মৃত্যুর পর সিরাজ-উদ্-দৌল্লা বঙ্গের নবাব হন।

উত্তরঃ আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর সিরাজ-উদ্-দৌল্লা বঙ্গের নবাব হন।

(ঙ) ______ খ্রিস্টাব্দে পলাশিতে নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লার সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ হয়।

উত্তরঃ ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশিতে নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লার সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ হয়।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) পিটের ভারত শাসন আইনের অসঙ্গতিগুলি দূর করার জন্য রেগুলেটিং অ্যাক্ট প্রবর্তিত হয়েছিল।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) লর্ড ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করেছিলেন।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) ‘করদ মৈত্রী’ নীতিটি ছিল রবার্ট ক্লাইভের।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) ইংরেজরা পলাশির যুদ্ধের পরিপূর্ণতা বক্সারের যুদ্ধে লাভ করেছিল।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে পুরানো জমিদাররা কোম্পানিকে রাজস্ব দিতে না পারলে তাদের জমিদারীর জমি বা ভূমি নিলামে বিক্রি হত।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। রবার্ট ক্লাইভ মিরজাফরকে বঙ্গের নবাবের পদ থেকে পদচ্যুত করেছিলেন কেন?

উত্তরঃ পলাশীর যুদ্ধের পর মিরজাফর বঙ্গের নবাব হলেও প্রকৃতপক্ষে রবার্ট ক্লাইভই বঙ্গের শাসনভার পরিচালনা করতেন। কালক্রমে ইংরেজদের সীমাহীন দাবি পূরণ করতে না পারায় মিরজাফরও ইংরেজদের অপ্রিয়ভাজন হয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে ইংরেজদের প্রভুত্ব মিরজাফরের কাছেও অসহনীয় হয়ে উঠায় তিনিও ওলন্দাজদের সঙ্গে নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করলেন। ক্লাইভ এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে মিরজাফরকে পদচ্যুত করেন। এই ঘটনার পরই ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ক্লাইভ স্বদেশে ফিরে যান। বঙ্গদেশের নতুন গভর্নর এক চুক্তি করে মিরকাশিমকে বঙ্গের নবাব পদে অধিষ্ঠিত করেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top