Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 16 ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।
(ক) কখন থেকে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণরূপে ইংরেজ উপনিবেশে পরিণত হয়?
উত্তরঃ অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণরূপে ইংরেজ উপনিবেশে পরিণত হয়।
(খ) কোন গভর্নর জেনারেলের শাসনকালে একাংশ দেশীয় রাজার রাজকীয় মর্যাদা, উপাধি, পেনসন ইত্যাদি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির শাসনকালে একাংশ দেশীয় রাজার রাজকীয় মর্যাদা, উপাধি, পেনসন ইত্যাদি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ মঙ্গল পাণ্ডে।
(ঘ) মণিরাম দেওয়ানের সঙ্গে কোন নেতাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ মণিরাম দেওয়ানের সঙ্গে পিয়লি বরুয়াকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
(ঙ) অসমের কৃষক বিদ্রোহসমূহ কারা পরিচালনা করেছিল?
উত্তরঃ অসমের কৃষক বিদ্রোহসমূহ ‘গণ-সম্মেলন’ বা রাইজমেলগুলো পরিচালনা করেছিল।
প্রশ্ন ২। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাও–
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
(ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের আইন | সামরিক আধিকারিককে মঙ্গল পাণ্ডের আক্রমণ। |
(খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে মার্চ | গোমধর কোঁয়রের বিদ্রোহ। |
(গ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ | ফুলগুড়ির যুদ্ধ (ধেয়া)। |
(ঘ) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ | সাগর যাত্রা বাধ্যতামূলক করা। |
(ঙ) ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দ | ভারতের শাসনভার রানি ভিক্টোরিয়ার অধীন। |
উত্তরঃ
‘ক’ অংশ | ‘খ’ অংশ |
(ক) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের আইন | সাগর যাত্রা বাধ্যতামূলক করা। |
(খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে মার্চ | সামরিক আধিকারিককে মঙ্গল পাণ্ডের আক্রমণ। |
(গ) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ | ভারতের শাসনভার রানি ভিক্টোরিয়ার অধীন। |
(ঘ) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ | গোমধর কোঁয়রের বিদ্রোহ। |
(ঙ) ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দ | ফুলগুড়ির যুদ্ধ (ধেয়া)। |
প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করো।
(ক) অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক এবং ধর্মীয় ইত্যাদি নানা কারণে সিপাহি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিল।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহের তৎকালীন কারণটি ছিল মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(গ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতবর্ষের সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঘ) মণিরাম দেওয়ান আহোম শাসনভার পুরন্দর সিংহকে দেবার জন্য ইংরেজদের আবেদন জানিয়েছিলেন।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(ঙ) ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে রঙিয়া, নলবাড়ি এবং বরমাতেও খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষকরা বিদ্রোহ করেছিল।
উত্তরঃশুদ্ধ।
প্রশ্ন ৪। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো–
(ক) মণিরাম দেওয়ান।
(খ) ফুলগুড়ির যুদ্ধ।
(গ) সিপাহি বিদ্রোহের তৎকালীন কারণ।
উত্তরঃ মণিরাম দেওয়ান – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহে অসমের যে ভূমিকা তার নায়ক ছিলেন মণিরাম দত্ত বরভাণ্ডার বরুয়া দেওয়ান, সংক্ষেপে মণিরাম দেওয়ান। মণিরামত দেওয়ান চতুর এক রাজনীতিক তথা প্রশাসনিক দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। প্রথমে তিনি একজন ইংরেজ অনুরাগী ছিলেন। ইংরেজদের বৈষম্যমূলক নীতির নিজেই একজন ভুক্তভোগী হওয়ার জন্য পরে তিনি ইংরেজ বিদ্বেষী হয়ে পড়েন। মণিরাম দেওয়ান ইংরেজের অধীনে দেওয়ানের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে যোরহাটের পাশে চিনামারা’ এবং ‘চেলেং’-এ নিজে দুটি চা বাগান স্থাপন করে প্রথম অসমিয়া তথা ভারতীয় চা-পাতা কৃষক তথা ব্যবসায়ী রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
মণিরামের এই ব্যবসায়িক প্রত্যাহ্বান সহজভাবে না নিয়ে ইংরেজরা বিভিন্ন প্রকারে তাঁকে হেনস্থা করতে শুরু করে। এর থেকে পরিত্রাণ এবং অসমের জনসাধারণের স্বার্থরক্ষার জন্য অসমে পুনরায় কন্দর্পেশ্বর সিংহের অধীনে আহোম শাসন চেয়ে ইংরেজদের কাছে করা আবেদন বিফল হওয়ায় অবশেষে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সুযোগ গ্রহণ করে অসমে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি কলিকাতা থেকে পিয়লি বরুয়া, কন্দর্পের্শ্বর সিংহ প্রমুখ অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদ্রোহের প্রস্তুতি চালানোর জন্য আহ্বান জানান।
অসমে অসন্তুষ্ট বিভিন্ন শ্রেণির লোককে সংগঠিত করতে কোনো অসুবিধাই হল না। প্রস্তুতি অনেক দূর এগোনোর সময়ে বিদ্রোহ সম্পর্কিত মণিরাম দেওয়ানের কিছু নথিপত্র ইংরেজদের হাতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মণিরাম দেওয়ান ও তার সহযোগীদের আটক করা হল। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ফেব্রুয়ারি মণিরাম দেওয়ানকে যোরহাটে ফাঁসি দেওয়া হয়।
(খ) ফুলগুড়ির যুদ্ধ – অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহটি ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ফুলগুড়িতে সংঘটিত হয়েছিল। একে ফুলগুড়ির যুদ্ধ বা ধেয়া বলে জানা যায়।
(গ) সিপাহি বিদ্রোহের তৎকালীন কারণ – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের তৎকালীন কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেলের গুলির ব্যবহার। এগুলো বন্দুকে গুলি ভরার আগে দাঁত দিয়ে কামড়ে গুলির টোটাটি খুলতে হত। গুলিগুলো চর্বি জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। হঠাৎ গুজব রটল যে এই মিশ্রণটি গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। গোরু হিন্দুদের এবং শূকর মুসলমানদের খাদ্য তালিকায় নিষিদ্ধ থাকায় ভারতীয় সিপাহিরা এটি ব্যবহার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে এর দ্বারা ইংরেজরা দেশীয় সিপাহিদের ধর্ম নষ্ট করতে চায়। তাই তারা এ ধরনের গুলি ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছিল। এর ফলে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল।
প্রশ্ন ৫। সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলোকে কয় ভাগে বিভক্ত করা যায়? যেকোনো একটি কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তরঃ সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলো অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক, ধর্মীয় ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
কারণগুলির মধ্যে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে লক্ষ করলে দেখতে পাওয়া যায় যে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় ভারতীয়দের মনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। কোম্পানির শাসনকালে খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্রুত ধর্ম প্রচার, ধর্মের সঙ্গে জড়িত ভারতের চটি প্রথার বিলোপ সাধন এবং ধর্মান্তরিত লোকজনদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত না করা ইত্যাদি কার্যগুলো ভারতবাসীকে নিজ ধর্মের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলেছিল। অন্যদিকে দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যম এবং জনকল্যাণের নামে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষানুষ্ঠান, হাসপাতাল, গির্জা ইত্যাদি স্থাপন সর্বসাধারণের মনে সন্দেহ জাগিয়েছিল যে এসবের অন্তরালে আছে ভারতবর্ষকে একটি খ্রিস্টানধর্মী দেশে পরিণত করা।
এখানে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের দিকে তাকালে দেখা যায় ঐ বিদ্রোহের কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেলের গুলির ব্যবহার। এগুলো বন্দুকে গুলি ভরার আগে দাঁত দিয়ে কামড়ে গুলির টোটাটি খুলতে হত। গুলিগুলো চর্বিজাতীয় পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। হঠাৎ গুজব রটে যে এই মিশ্রণটি গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। গোরু হিন্দুদের এবং শূকর মুসলমানদের খাদ্য তালিকায় নিষিদ্ধ থাকায় ভারতীয় সিপাহিরা এটি ব্যবহার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে এর দ্বারা ইংরেজরা দেশীয় সিপাহিদের ধর্ম নষ্ট করতে চায়।
প্রশ্ন ৬। লর্ড ডালহৌসির নীতিসমূহ সিপাহি বিদ্রোহের জন্য কতটুকু দায়ী বলে ভাব? সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি তাঁর শাসনকালে স্বত্ববিলোপ নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করে বেশ কিছু ভারতীয় রাজ্যকে অধিগ্রহণ করায় ভারতীয়দের মনে শঙ্কা, ভয়, সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর শাসনকালে কিছু সংখ্যক দেশীয় রাজার রাজকীয় মর্যাদা, উপাধি, পেনশন ইত্যাদিও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অরাজকতার দোহাই দিয়ে অন্যায়ভাবে অযোধ্যা রাজ্য দখল করে ইংরেজরা চরম অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিল। তার ওপর মোগল সম্রাটের অস্তিত্ব নাশের ষড়যন্ত্রেও ডালহৌসি লিপ্ত হয়েছিলেন।
পরে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তা কার্যকরী হয়নি। তবুও সম্রাটের মৃত্যুর পর সম্রাটের পরিবারকে লালকেল্লা থেকে উৎখাত করা হবে বলে ডালহৌসি এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন। এই সমস্ত ঘটনাগুলো ভারতীয়দের মনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ ভাবের সূচনা করেছিল। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, লর্ড-ডালহৌসির নীতিসমূহ সিপাহি বিদ্রোহের জন্য ভীষণভাবে দায়ী।
প্রশ্ন ৭। কিছু সংখ্যক ইতিহাসবিদগণের মতে সিপাহি বিদ্রোহকে কেন ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা যায় না?
উত্তরঃ কিছু সংখ্যক ইতিহাসবিদগণের মতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনো মতেই বলা যায় না। কেন না, স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে জাতীয়তাবাদের ধারণা সেই সময়ের জনসাধারণের মধ্যে ছিল না। সেইজন্যই দক্ষিণ ভারতের লোকেরা এ বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেনি। তাছাড়াও গোর্খা, শিখ, জমিদার শ্রেণি এবং বুদ্ধিজীবি লোকেরা এই বিদ্রোহ থেকে দূরে ছিল। সে যাই হোক, এই বিদ্রোহে প্রতীয়মান হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যও ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সম্মুখে এক বিরাট প্রত্যাহানস্বরূপ ছিল। মোট কথা ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ প্রমাণ করেছিল যে দীর্ঘদিনের দমন, নির্যাতন নির্যাতিতদের সংগঠিত করার সঙ্গে সঙ্গে সাহসী এবং ত্যাগীও করে তোলে।
প্রশ্ন ৮। সিপাহি বিদ্রোহের নেতা/নেত্রীগণের ছবি সংগ্রহ করে একটি অ্যালবাম প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ সিপাহি বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য নেতা/নেত্রীগণ ছিলেন—নানা সাহেব, মঙ্গল পাণ্ডে, তাঁতিয়া টোপি, ঝানসীর রাণী। তাদের ছবি নিম্নে দেওয়া হল–
প্রশ্ন ৯। ভারতবর্ষের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে সিপাহি বিদ্রোহ সংঘটিত স্থানসমূহ যথাস্থানে বসাও।
উত্তরঃ উত্তর। সিপাই বিদ্রোহ সংঘটিত স্থানসমূহ হল—কলকাতার নিকটস্থ ব্যারাকপুর, মীরাট, কানপুর, দিল্লী, লক্ষ্ণৌ, ঝাঁসী প্রভৃতি স্থানসমূহ।
ক্রিয়া-কলাপ
প্রশ্ন ১। বস্ত্রশিল্পের (উদ্যোগের) সঙ্গে জড়িত তিন প্রকার কাঁচামালের নাম লেখো।
উত্তরঃ বস্ত্রশিল্পের (উদ্যোগের) সঙ্গে জড়িত তিন প্রকার কাঁচামাল হল— দীর্ঘ আঁশ যুক্ত তুলা, কার্পাসতুলা ও পাট।
প্রশ্ন ২। অসমের বস্ত্র নগরী বলতে কোন জায়গাকে বোঝায়?
উত্তরঃ শেয়ালকুচি।
প্রশ্ন ৩। পূর্বের পাঠের সাহায্যে ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে যে সব রাজ্যগুলো ইংরেজদের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তরঃ ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে মন্দতি, ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে কোলাবা, ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে সাঁতারা, জৈৎপুর এবং সম্বলপুর রাজ্যগুলো প্রত্যক্ষভাবে ইংরেজদের অধীনে এনেছিলেন।
প্রশ্ন ৪। ইংরেজদের কোন কোন কার্য ভারতীয় সিপাহিদেরকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল?
উত্তরঃ কোম্পানির শাসনকালে সামরিক বাহিনীর অধিকাংশ সিপাহিই ছিল ভারতীয়। কিন্তু এদের জাতিগত মূল্যবোধকে কোনো দিনই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সামরিক অনুশাসনের দোহাই দিয়ে সিপাহিদের নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি পরিহার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির সরকার একটি আইনের মাধ্যমে সাগর যাত্রা বাধ্যতামূলক করায় সিপাহিদের মনে গভীর অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতীয় সিপাহিদের ইউরোপীয় সিপাহিদের মতো একই হারে বেতন দেওয়া হত না। ইংরেজদের এই সকল কার্য ভারতীয় সিপাহিদেরকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিল।
প্রশ্ন ৫। সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে ভারতের তিনটি সেনা ছাউনির নাম লেখো।
উত্তরঃ সিপাহি বিদ্রোহের সময়ে ভারতের তিনটি সেনা ছাউনি হল দমদম সেনা ছাউনি, ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনি এবং মীরাট সেনা ছাউনি।
প্রশ্ন ৬। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী প্রথম অসমিয়া কে ছিলেন?
উত্তরঃ ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী প্রথম অসমিয়া হলেন আহোম রাজপরিবারের গোমধর কোয়র।
প্রশ্ন ৭। কী কারণে মণিরাম দেওয়ানকে ইংরেজরা হেনস্থা করেছিল?
উত্তরঃ মণিরাম দেওয়ান ইংরেজদের অধীনে দেওয়ানের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে যোরহাটের পাশে ‘চিনামারা’ এবং ‘চেলেং’-এ নিজে দুটি চা বাগান স্থাপন করে প্রথম অসমিয়া তথা ভারতীয় চা-পাতা কৃষক তথা ব্যবসায়ী রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। মণিরামের এই ব্যবসায়িক প্রত্যাহ্বান সহজভাবে না নিয়ে ইংরেজরা তাঁকে হেনস্থা করেছিল।
প্রশ্ন ৮। কী কারণে অসমে কৃষকরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল?
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের পর ভারতের শাসনভার ইংল্যান্ড সম্রাজ্ঞীর প্রত্যক্ষ অধীনে গেলেও ইংরেজরা বিদ্রোহ দমনের ঘাটতি পূরণের জন্য নতুন নতুন কর প্রবর্তন করে কৃষকদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছিল। এইসব কারণেই কৃষকরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল।
প্রশ্ন ৯। অসমের মানচিত্র অঙ্কন করে কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হওয়া স্থানগুলো যথাস্থানে বসাও।
উত্তরঃ নিজে নিজে করতে হবে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখো।
(ক) ১৯ শতকের ষষ্ঠ দশক থেকে শুরু অসমের কৃষক বিদ্রোহসমূহ কারা পরিচালনা করেছিল?
উত্তরঃ ১৯ শতকের ষষ্ঠ দশক থেকে শুরু অসমের কৃষক বিদ্রোহসমূহ গণসম্মেলন’ বা ‘রাইজমেল’ গুলো পরিচালনা করেছিল।
(খ) ইংরেজদের জাত্যাভিমানের বলি হয়ে অনেক শিক্ষিত ভারতীয় গীসের থেকে বঞ্চিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ইংরেজদের জাত্যাভিমানের বলি হয়ে অনেক শিক্ষিত ভারতীয় পদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।
(গ) বিদ্রোহী সিপাহিরা মীরাট থেকে দিল্লি পৌঁছে কাকে ভারতবর্ষের সম্রাট বলে ঘোষণা করে?
উত্তরঃ বিদ্রোহী সিপাহিরা মীরাট থেকে দিল্লি পৌঁছে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতবর্ষের সম্রাট বলে ঘোষণা করে।
(ঘ) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দের কোন সন্ধির মাধ্যমে ইংরেজরা অসমের দখল নিয়ে নিয়েছিল?
উত্তরঃ ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দের ইয়ান্ডাবু সন্ধির মাধ্যমে ইংরেজরা অসমের দখল নিয়ে নিয়েছিল।
(ঙ) অসমে সংঘটিত শেষ কৃষক বিদ্রোহ কোনটি?
উত্তরঃ অসমে সংঘটিত শেষ কৃষক বিদ্রোহ হল পাথরুঘাটের বিদ্রোহ।
প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূরণ করো—
(ক) অসমে প্রথম কৃষক বিদ্রোহটি ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে _____ সংঘটিত হয়েছিল।
উত্তরঃ অসমে প্রথম কৃষক বিদ্রোহটি ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ফুলগুড়িতে সংঘটিত হয়েছিল।
(খ) সিপাহি শব্দটি ইংরেজরা _____ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিল।
উত্তরঃ সিপাহি শব্দটি ইংরেজরা সৈন্যদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিল।
(গ) সম্রাটের মৃত্যুর পর সম্রাটের পরিবারকে লালকেল্লা থেকে উৎখাত করা হবে বলে ______এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন।
উত্তরঃ সম্রাটের মৃত্যুর পর সম্রাটের পরিবারকে লালকেল্লা থেকে উৎখাত করা হবে বলে ডালহৌসি এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন।
(ঘ) ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে রঙিয়া, নলবাড়ি এবং বরমাতেও _____বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষকরা বিদ্রোহ করেছিল।
উত্তরঃ ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে রঙিয়া, নলবাড়ি এবং বরমাতেও খাজনা বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষকরা বিদ্রোহ করেছিল।
প্রশ্ন ৩। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো—
(ক) পাথরুঘাট বিদ্রোহ।
উত্তরঃ পাথরুঘাট বিদ্রোহ – পাথরুঘাট হল অসমের মঙ্গলদৈ মহকুমার একটি স্থান যেখানে কৃষকরা ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। এই বিদ্রোহ ইংরেজদের ভীতিবিহ্বল করে তুলেছিল। এটি ছিল অসমে সংঘটিত শেষ কৃষক বিদ্রোহ।
প্রশ্ন ৪। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ সফল না হলেও এর ফলাফল তাৎপর্যপূর্ণ ছিল কেন?
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ সফল না হলেও এর ফলাফল তাৎপর্যপূর্ণ ছিল কারণ, ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি সরকার ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা হারায় এবং ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা সরাসরি ইংল্যান্ড সম্রাজ্ঞী রানি ভিক্টোরিয়ার অধীনে যায়।
প্রশ্ন ৫। কোম্পানির শাসনকালে কোন কোন কার্যগুলো ভারতবাসীকে নিজ ধর্মের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলেছিল?
উত্তরঃ কোম্পানির শাসনকালে খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্রুত ধর্ম প্রচার, ধর্মের সঙ্গে জড়িত ভারতের কয়েকটি প্রথার বিলোপ সাধন এবং ধর্মান্তরিত লোকজনদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত না করা ইত্যাদি কার্যগুলো ভারতবাসীকে নিজ ধর্মের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলেছিল।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সিপাহী বিদ্রোহের কারণগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের কারণগুলো নীচে উল্লেখ করা হল—
১। রাজনৈতিক – ডালহৌসীর রাজ্যবিস্তার নীতি দেশীয় রাজ্যের রাজাদের মনে ভীষণ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। তাদের ধারণা জন্মে যে ইংরেজ শেষ পর্যন্ত ভারতবর্ষে দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব রাখবে না, ডালহৌসির আমলে যারা সিংহাসনচ্যুত হয়েছিল, তারা ইংরেজদের প্রবল শত্রুতে পরিণত হয়। রাজনৈতিক কারণের সঙ্গে সামাজিক কারণও জড়িত ছিল।
২। সামাজিক – ইংরেজ সরকার ভারতের সামাজিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে এই দেশের প্রাচীনপন্থী লোক ভীত হয়ে পড়েন। সতীদাহ প্রথা নিবারণ, বিধবা বিবাহ প্রচলন, ইংরেজী শিক্ষার প্রসার—এই সব হতে প্রাচীনপন্থীদের মনে ধারণা জন্মে যে ইংরেজ সরকার ধর্ম ও সমাজ নষ্ট করে এই দেশে খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচার করতে চায়।
৩। সামরিক – উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ভারতে ইংরেজ সরকারের সৈন্য বিভাগে নানা কারণে নিয়মানুবর্তিতার অভাব ঘটেছিল। এই সময় এই দেশে অধিক সংখ্যক ইংরেজ সৈন্য না থাকায় ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর উপর ইংরেজ সরকারের কর্তৃত্ব হ্রাস পেয়েছিল। ফলে ইংরেজ বিদ্বেষী লোকেরা সৈন্যবাহিনীকে নিজেদের দলে টানার সুযোগ পেয়েছিল।
৪। বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ এনফিল্ড রাইফেল প্রবর্তন। এই রাইফেল প্রবর্তনের পর সৈন্যদের মধ্যে এক গুজব রটে যে হিন্দু ও মুসলমান সৈন্যদের জাতি নষ্ট করবার জন্য এই রাইফেলের টোটায় গরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২। সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল আলোচনা কর।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফলগুলো নীচে উল্লেখ করা হল-
১। সিপাহী বিদ্রোহের পর থেকে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ইংল্যাণ্ডের রাজতন্ত্রের হাতে চলে যায়। তখন ইংল্যাণ্ডের সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।
২। বিদ্রোহের পরিণতিস্বরূপ ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান হয়।
৩। বিদ্রোহের পর থেকে ইংল্যাণ্ডের সরকার ভারতবর্ষে সাম্রাজ্য বিস্তারের নীতি বর্জন করে।
৪। কোম্পানি শাসনের সময় দেশীয় রাজা- মহারাজাদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সকল প্রকার চুক্তি ও সন্ধিপত্র ইংল্যাণ্ড সরকার সমমর্যাদা দান করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
৫। দেশীয় শাসনকর্তাদের দত্তক ও পালিত পুত্র গ্রহণ করার অধিকার পুনরায় বহাল রাখা হয়।
৬। ইংল্যাণ্ড-সরকার ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসের প্রতি কখনও হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানায়।
৭। ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতে জাতীয়তাবাদের চেতনার উত্থান ঘটে।
৮। যোগ্যতা অনুসারে ভারতীয় নাগরিককে সরকারী কাজে নিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
৯। সিপাহী বিদ্রোহে জড়িত কয়েকজন বিদ্রোহী ছাড়া বেশির ভাগ বিদ্রোহীকে ক্ষমা করা হয়েছিল।
১০। সিপাহী বিদ্রোহের ফলস্বরূপে ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের সৃষ্টি হয় এবং স্বদেশ প্রেম জেগে উঠে।
প্রশ্ন ৩। সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণসমূহ নীচে উল্লেখ করা হল—
১। বিদ্রোহীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত এবং ঐক্যহীন ছিল।
২। সিপাহীরা ভারতের সকল অঞ্চলের এবং সকল শ্রেণীর মানুষের সমর্থন লাভ করতে পারে নি।
৩। শিখ এবং গুর্খাগণ প্রধানত ইংরেজের পক্ষে বিদ্রোহীদের দমন করেয়ছিল।
৪। সিপাহীগণের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট কর্মপন্থা ছিল না।
৫। বিদ্রোহীগণের মধ্যে যোগ্য নেতার অভাব ছিল, যিনি এই বিদ্রোহকে সুচারু রূপে পরিচালিত করতে পারেন।
৬। বিদ্রোহীদের সংগঠন ও আধুনিক সমরাস্ত্রের অভাব বিদ্রোহের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
৭। বিদ্রোহের সময় ভারতে দুর্ধর্ষ ইংরেজ সেনাপতি লরেন্স, আউটরাম ও নিকলসণ সেনানায়ক ছিলেন বলে বিদ্রোহ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল।
৮। বিদ্রোহীরা সমগ্র ভারতের প্রেরণা সৃষ্টি করতে পারে নি এবং এর ফলে বিদ্রোহীগণ জনসাধারণের সমর্থন পায় নাই।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ মঙ্গল পাণ্ডে।
প্রশ্ন ২। মঙ্গল পাণ্ডের প্রধান সহযোগী কে ছিলেন?
উত্তরঃ ঈশ্বরী পাণ্ডে।
প্রশ্ন ৩। অসমে সিপাহী বিদ্রোহের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ মণিরাম দেওয়ান।
প্রশ্ন ৪। কখন থেকে ভারতীয় সিপাহীদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল?
উত্তরঃ ইংগ-আফগান যুদ্ধ এবং ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যদের বিপর্যয় দেখে।
প্রশ্ন ৫। সিপাহী বিদ্রোহের প্রধান কারণটি কি ছিল?
উত্তরঃ সামরিক কারণ, এনফিল্ড রাইফেলের প্রবর্তন।
প্রশ্ন ৬। সিপাহী বিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্রস্থল কোথায় ছিল?
উত্তরঃ দিল্লী।
প্রশ্ন ৭। কত খ্ৰীষ্টাব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি সরকার ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা হারিয়েছিল?
উত্তরঃ ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে।
প্রশ্ন ৮। কত খ্রীষ্টাব্দে অসমে প্রথম কৃষক বিদ্রোহটি সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৮৯৪ খ্রীষ্টাব্দে অসমের ফুলগুড়িতে প্রথম কৃষক বিদ্রোহটি সংঘটিত হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহে ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান নেতা ও নেত্রীদের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ সিপাহী বিদ্রোহের প্রধান প্রধান নেতা ও নেত্রীগণ ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে, বখট খাঁ, সুরেন্দ্র শাহি, উজ্জ্বল শাহি, কোঁয়র সিং, অমর সিং, রাণী লক্ষ্মীবাঈ, নানা সাহেব, তাঁতিয়া টোপী, বাহাদুর শাহ, মৌলবি লিয়াকত আলি, রাণী হজরত মহল, আজিমুল্লা খাঁ প্রভৃতি নেতা ও নেত্রীগণ।
প্রশ্ন ২। সিপাহী বিদ্রোহে ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাঈয়ের ভূমিকা ও আত্মত্যাগের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ ঝাঁন্সি ছিল মারাঠা রাজ্যে। ঝাঁন্সির রাজা গঙ্গাধর রাও অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে লর্ড ডালহৌসির স্বত্ববিলোপ নীতির প্রভাবে ঝাঁন্সি কোম্পানির সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। অন্য স্থানে শুরু হয়ে যাওয়া বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে রাণী লক্ষ্মীবাঈ নিজ রাজ্য উদ্ধারের জন্য কোম্পানীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়ে পড়েন। রাণীর অনুগত সহযোদ্ধা লছমণ রাও রাজ্যে সবাসকারী ইংরেজ অফিসারদের হত্যা করে রাণীর বিদ্রোহকে দ্রুততর করার ভূমিকা গ্রহণ করেন। গোয়ালিয়রের ২০,০০০ সেন তাঁতিয়া টোপী ও রাণী লক্ষ্মীবাঈয়ের সমর্থনে বিদ্রোহে মিলিত হয়। রাণী লক্ষ্মীবাঈ নিজেও ইংরেজদের বিপক্ষে বিদ্রোহীদের দক্ষতা সহকারে নেতৃত্ব দিয়ে বীরাঙ্গনার পরিচয় দেন এবং রণক্ষেত্রে দেশের জন্য ইংরেজের হাতে নিহত হন।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.