SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার Suggestions in Bengali. SEBA Class 8 Social Science Chapter 23 মৌলিক অধিকার Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Social Science Part – I Geography, Class 8 Social Science Part – II History, Class 8 Social Science Part – III Political Science or Economics. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

মৌলিক অধিকার

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(ক) মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ ব্যক্তির মানসিক বিকাশের সুযোগ-সুবিধাগুলোকেই মৌলিক অধিকার বলে। এর মধ্যে যে অধিকারগুলো না থাকলে সুস্থ, সুন্দর ও সংহত জীবন যাপন করা সম্ভব নয় এবং যে সকল অধিকার রাষ্ট্রের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত সেগুলিকে মৌলিক অধিকার বলে।

(খ) কোন দেশে প্রথম মৌলিক অধিকারের ধারণার জন্ম হয়েছিল?

উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে।

(গ) সংবিধানের কয়টি অনুচ্ছেদের মধ্যে মৌলিক অধিকারসমূহের উল্লেখ আছে?

উত্তরঃ সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের ১৪ নং অনুচ্ছেদ থেকে ৩৫ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত ছয় প্রকার মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে।

(ঘ) ভারতীয় সংবিধানে ‘সম্পত্তির অধিকার’টি কত খ্রিস্টাব্দে বিলোপ করা হয়?

উত্তরঃ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে।

(ঙ) কত খ্রিস্টাব্দে শিশুশিক্ষার অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়?

উত্তরঃ ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূরণ করো।

(ক) অস্পৃশ্যতা এক সামাজিক_____।

উত্তরঃ ব্যাধি।

(খ) ভারতবর্ষ একটি ধর্ম______ রাষ্ট্ৰ।

উত্তরঃ নিরপেক্ষ।

(গ) মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানের এক_____অঙ্গ।

উত্তরঃ অবিচ্ছেদ্য।

(ঘ) মৌলিক অধিকার নাগরিকের ______বিকাশের সাহায্য করে।

উত্তরঃ ব্যক্তিত্ব।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো।

(ক) দেশে জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে নাগরিকরা মৌলিক অধিকার উপভোগ করতে পারেন/পারেন না।

উত্তরঃ পারেন না।

(খ) মৌলিক অধিকার থেকে কোনো নাগরিক বঞ্চিত হলে ন্যায়ালয়ের সাহায্য নিতে পারেন/পারেন না।

উত্তরঃ পারেন।

(গ) আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান/সমান নন।

উত্তরঃ সমান।

(ঘ) সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ছাত্র-ছাত্রীই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে/পারে না।

উত্তরঃ পারে।

(ঘ) প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকই নিজ নিজ ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারেন/ পারেন না।

উত্তরঃ পারেন।

প্রশ্ন ৪। সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহ অন্তর্ভুক্ত করার কারণ স্পর্কে লেখো।

উত্তরঃ মৌলিক অধিকার গণতন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই অধিকারে মাধ্যমে জনসাধারণ নিজের ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন করতে পারে এবং দেশের শাসন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। রাষ্ট্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে এইজন্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করা দরকার। কারণ ব্যক্তি স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। সেইজন্য ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকার সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। মৌলিক অধিকার সরকারকে স্বেচ্ছাচারী হইতে বাধা দেয় এবং নাগরিকদের  স্বাধীনতা রক্ষা করে। মৌলিক অধিকার ছাড়া গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করা যায় না। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য সংবিধানে মৌলিক অধিকারসমূহ অন্তর্ভুক্ত করার  হয়েছে।

প্রশ্ন ৫। শিক্ষকের সাহায্যে তোমার শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে নীচের  বিষয়টির উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করো— “মৌলিক অধিকার জনসাধারণের রক্ষা কবচ”।

উত্তরঃ নিজের শ্রেণিতে শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্যে কর।

প্রশ্ন ৬। শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধ করণ, মহিলাদের সমঅধিকার প্রদান, সূফ সমাজ থেকে অন্ধবিশ্বাস দূরীকরণ’—এ ধরনের সমস্যাগুলোর ওপর  দলগতভাবে একটি করে ছোটো পথনাটক লিখে আশে পাশের অঞ্চলে অনুষ্ঠিত করো।

উত্তরঃ শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধকরণ – আমাদের দেশে হোটেল, ধাবা, দোকান, ইটভাটা, চা বাগান ইত্যাদিতে মালিকরা শিশুদেরকে খুব কম মজুরিতে কাজে নিয়োগ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশুদের মালিকেরা বিপদজনক বা অনিষ্টকারী কাজ করতেও বাধ্য করে। কিন্তু ভারতের সংবিধানের ২৩ নং এবং ২৪ নং অনুচ্ছেদে শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার অনুযায়ী শ্রমিকের কাছ থেকে বিনা মজুরিতে শ্রম আদায় করা, জোর করে পরিশ্রম করতে বাধ্য করা, অন্যায় ও অবৈধ কাজে শিশু নিয়োগ করা ইত্যাদি আইন বিরুদ্ধ কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারত সরকার ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধ আইন বলবৎ করিয়াছে। তথাপিও বর্তমানেও বহু শিশুকেই কল-কারখানা, হোটেল, ইট ভাটা  ইত্যাদিতে কাজ করতে দেখা যায়। এই শিশু শ্রমিকদের নিজ অধিকার সাব্যস্ত করে একটি শোষণ মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের সবারই সচেষ্ট হওয়া দরকার। নতুবা দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে।

মহিলাদের সম অধিকার প্রদান – ভারতের সংবিধানের ১৪নং অনুচ্ছেদ থেকে ১৯নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত সমতার অধিকার প্রদান করেছে। অর্থাৎ পুরুষ-মহিলা সবারই সমাজে সমান অধিকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে মহিলাদেরকে সমান অধিকার দেওয়া হয় না। একই কাজের জন্য পুরুষকে যে মজুরি দেওয়া হয়, মহিলাকে সেই মজুরি দেওয়া হয় না। সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দেখা যায় যে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মহিলাদেরকে পুরুষের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। আমাদের সমাজ হতে এই লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে না পারলে দেশের উন্নতি হবে না।

সমাজ থেকে অন্ধবিশ্বাস দূরীকরণ – যুক্তিহীন কথা বা কাজে বিশ্বাস করাকে অন্ধবিশ্বাস বলে। শিক্ষার বিস্তার হলে অন্ধবিশ্বাস হ্রাস পায়। অন্ধ বিশ্বাসী অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর এবং অশিক্ষিত। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যার সুফলগুলি সাধারণ মানুষের কল্যাণ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে পারলে ও অন্ধ বিশ্বাস নির্মূল হয়। দরিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে তাদের মধ্যে অন্ধবিশ্বাসের প্রভাব কমানো যেতে পারে।

S.L. No.সূচীপত্র
ভূগোল খণ্ড
অধ্যায় -1 প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -2জনসংখ্যার বৃদ্ধি এবং বিতরণ
অধ্যায় -3বসতি
অধ্যায় -4বসতি : গ্ৰাম ও শহুরে জীবন
অধ্যায় -5সাগর-মহাসাগর
অধ্যায় -6ভারতের উদ‍্যোগ এবং পরিবহণ ব‍্যবস্থা
অধ্যায় -7অসমের নদ-নদী
অধ্যায় -8ভূগোল বিজ্ঞান অধ‍্যয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ
ইতিহাস খণ্ড
অধ্যায় -9নব‍্য ধর্মীয় ভাবধারার উথান
অধ্যায় -10মধ‍্যযুগের অসম
অধ্যায় -11অসমের আর্থ-সামাজিক জীবনে মধ‍্যযুগের শাসকদের অবদান
অধ্যায় -12বাণিজ্যবাদ এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের ভারতবর্ষে আগমন
অধ্যায় -13ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ এবং সুদৃঢ়করণ
অধ্যায় -14ইস্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতবর্ষে সংস্কারসমূহ
অধ্যায় -15সাম্রাজ্যবাদ এবং অসম
অধ্যায় -16১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খণ্ড
অধ্যায় -17মানব সম্পদ উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়নের নির্দেশক এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভূমিকা
অধ্যায় -18মানব সম্পদ উন্নয়নের অসুবিধাসমূহ এবং
মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
অধ্যায় -19আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিত্তীয় অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
অধ্যায় -20গ্রাহকের সজাগতা, অধিকার এবং সুরক্ষা
অধ্যায় -21সংবিধান ও তার প্রয়োজনীয়তা
অধ্যায় -22ভারতীয় সংবিধান
অধ্যায় -23মৌলিক অধিকার
অধ্যায় -24আমাদের মৌলিক কর্তব্য

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

প্রশ্ন ১। অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ রাষ্ট্রের নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশ এবং ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার পরিবেশই হল অধিকার।

প্রশ্ন ২। বীণাপাণির মাকে মাতৃমণ্ডলীর সদস্যারা কী পরামর্শ দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ মাতৃমণ্ডলীর সদস্যারা বীণাপাণির মাকে বীণাপাণিকে সঞ্জীব ঠিকাদারের ঘর থেকে এনে বীণাপাণিকে স্কুলে সব ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে লেখা-পড়া শিখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৩। বীণাপাণিকে ফিরিয়ে আনার জন্য ওর মা ও মাতৃমণ্ডলী কার সাহায্য নিয়েছিলেন?

উত্তরঃ বীণাপাণিকে ফিরিয়ে আনার জন্য ওর মা মাতৃমণ্ডলী ও পুলিশের সাহায্য নিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ৪। তোমাদের গ্রাম/শহর/আশে-পাশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেরা সংবিধানের কী কী সুবিধা উপভোগের থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ আমাদের গ্রামের লোকেরা সংবিধানের সমতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকারের সুবিধা উপভোগের থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে।

সমতার অধিকার – গ্রামের মহিলাদের পুরুষের সমান কাজ কর্মে মজুরি দেওয়া হয় না। একই বা সমান কাজের জন্য মহিলাদেরকে পুরুষের থেকে কম মজুরি দেওয়া হয়।

শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার – গ্রামের মহাজনগণ শিশুদেরকে নানা ধরনের কাজ-কর্ম যেমন—রাস্তা তৈরি, শস্যক্ষেত্রের কাজে ইত্যাদি করাইয়া খুব কম মজুরি দেয়।

শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার – আমাদের গ্রামে কোনো স্কুল, কলেজ নেই। যার জন্য গ্রামের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা ও সংস্কৃতি থেকে বঞ্চিত।

ক্রিয়াকলাপ

প্রশ্ন ১। শিশুদের কেন শ্রমিকরূপে নিয়োগ করে?

উত্তরঃ মালিকরা শিশুদেৱকে বেশি করে কাজে নিয়োগ করার মূল কারণ হল, অতি কম মজুরিতে এদেরকে দিয়ে উদয়াস্ত কাজ করানো যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশুদেরকে মালিকরা বিপদজনক বা অনিষ্টকারী কাজ করাতেও বাধ্য করে।

প্রশ্ন ২। কত খ্রিস্টাব্দে শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধ আইন জারি করা হয়?

উত্তরঃ ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধ আইন জারি করা হয়।

প্রশ্ন ৩। ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম আছে কি?

উত্তরঃ ভারতের কোনো রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই।

প্রশ্ন ৪। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে একজন নাগরিক কার সহায্য নিতে পারেন?

উত্তরঃ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে একজন নাগরিক ন্যায়ালয়ের সাহায্য নিতে পারেন।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংবিধানের ৪৪-তম সংশোধনীতে কোন অধিকার বাতিল করা হয়েছে?

উত্তরঃ সম্পত্তির অধিকার।

প্রশ্ন ২। আয়ারল্যান্ডের সংবিধান কত খ্রিস্টাব্দের?

উত্তরঃ আয়ারল্যান্ডের সংবিধান ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের।

প্রশ্ন ৩। সর্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণাপত্র কত খ্রিস্টাব্দের?

উত্তরঃ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের।

প্রশ্ন ৪। মৌলিক অধিকারের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তরঃ মৌলিক অধিকারের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হল-

১। মৌলিক অধিকার সংবিধানের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

২। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার অনুযায়ী যে কোনো ব্যক্তি ন্যায়ালয়ের দ্বারস্থ হতে পারে। তাই ন্যায়ালয়কে মৌলিক অধিকারের রক্ষক বলে অভিহিত করা হয়।

৩। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে ভারতীয়দের সকলেই এই অধিকার সমানভাবে উপভোগ করতে পারে।

প্রশ্ন ৫। ভারতের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারগুলোর নাম লেখ।

উত্তরঃ ১। সমতার অধিকার।

২। স্বাধীনতার অধিকার।

৩। শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার।

৪। শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার।

৫। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার। ও

৬। সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার।

প্রশ্ন ৬। সমতার অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ সমতার অধিকার বলতে আইনের চোখে সকলেই সমান। সরকারি নিযুক্তির ক্ষেত্রে সমতা, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও সর্বজনীন স্থানগুলোর সম ব্যবহার।

প্রশ্ন ৭। স্বাধীনতার অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ মনের ভাব প্রকাশ করা, মতামত প্রকাশ করা, ভারত ভূখণ্ডে বসবাস করা, জীবিকার অধিকার, আইনি সাহায্য নেওয়া, সমানভাবে শিক্ষা লাভ করা।

প্রশ্ন ৮। শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ শিশু শ্রমিক নিষিদ্ধ করণ। উপযুক্ত কাজের জন্য উপযুক্ত মজুরি। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, মহিলাদের নিরাপত্তা।

প্রশ্ন ৯। শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ প্রয়োজন অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা, নিজ নিজ ভাষা সংস্কৃতির চর্চা, প্রচার ও রক্ষা করা।

প্রশ্ন ১০। ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ নিজ নিজ ইচ্ছানুসারে ধর্ম গ্রহণ, বর্জন, পালন ও প্রচার করা।

প্রশ্ন ১১। সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ মৌলিক অধিকার উপভোগ থেকে বঞ্চিত হলে ন্যায়ালয়ের সাহায্য নেওয়া।

প্রশ্ন ১২। মৌলিক অধিকারের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ মৌলিক অধিকারের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ হল—

(ক) মৌলিক অধিকারসমূহ সংবিধানের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

(খ) মৌলিক অধিকারসমূহ বৈষম্যমূলক নয়।

(গ) সাংবিধানিক প্রতিকারের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার রক্ষা করা যায়।

(ঘ) মৌলিক অধিকারগুলো নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশের সাহায়ক।

(ঙ) সরকারের স্বেচ্ছাচারী শাসনের ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার বাধা প্রদান করে।

প্রশ্ন ১৩। শূন্যস্থান পূরণ করো।

(ক) ন্যায়ালয়কে_____ অধিকারের রক্ষক বলে।

উত্তরঃ মৌলিক।

(খ) ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে______ শিক্ষার অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়।

উত্তরঃ শিশু।

(গ) ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে______ সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।

উত্তরঃ আয়ারল্যান্ডের।

(ঘ) মৌলিক অধিকারসমূহ______ নয়।

উত্তরঃ বৈষম্যমূলক।

(ঙ) সরকারের স্বেচ্ছাচারী শাসনের ক্ষেত্রে______ অধিকার বাধা প্রদান করে।

উত্তরঃ মৌলিক।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলোর বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ সংবিধানে ভারতীয় নাগরিকদের ছয়টি মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই মৌলিক অধিকারগুলো হল-

১। সমতার অধিকার।

২। স্বাধীনতার অধিকার। 

৩। শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার। 

৪। শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার।

৫। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার। ও 

৬। সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার।

১। সমতার অধিকার – এই অধিকারের অর্থ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সকলের সমান অধিকার থাকবে। আইনের চক্ষে সকলেই সমান।

২। স্বাধীনতার অধিকার – এই অধিকারের বলে প্রত্যেক নাগরিক স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার, সংঘ বা সমিতি গঠন, স্বাধীনভাবে সারা দেশে ভ্রমণ, বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে।

৩। শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার – আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কোনো রকম শোষণ চলিবে না, মানুষ ক্রয়-বিক্রয়, বলপূর্বক শ্রম আদায়, বেগার খাটানো এবং ১৪ বৎসরের কম বয়সের ছেলে-মেয়েকে কলকারখানা, খনি প্রভৃতি বিপদজনক কাজে নিয়োগ করতে পারবে না।

৪। শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার – প্রত্যেক নাগরিকের নিজের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার আছে। সকল সম্প্রদায়ের সরকারি অথবা সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভের অধিকার আছে। দেশের নাগরিকরা নিজস্ব ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে পারবে।

৫। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার – ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ভারতে বসবাসকারী সকল নাগরিককে ধর্মের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো নাগরিক নিজের ইচ্ছানুযায়ী ধর্মগ্রহণ, ধর্ম চর্চা ও ধর্ম প্রচার করতে পারবে। অবশ্য অন্যের ধর্মে কেউ কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

৬। সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার – নাগরিকদের অধিকারগুলোকে রক্ষা করার জন্য সাংবিধানিক প্রতিকার আছে। নাগরিকগণ নিজের অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে তাহা রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা উচ্চতম ন্যায়ালয়ে বিচার প্রার্থী হতে পারে। ন্যায়ালয়গুলো নানা প্রকারের আদেশ বা নির্দেশ জারী করে জনসাধারণের মৌলিক অধিকারগুলোকে রক্ষা করতে পারে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top