Class 11 Advance Bengali Chapter 1 গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ is a textbook prescribed by the ASSAM AHSEC Board Class 11 Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Advance Bengali Chapter 1 গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Advance Bengali Chapter 1 গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ Solutions are free to use and easily accessible.
Class 11 Advance Bengali Chapter 1 গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ | একাদশ শ্রেণীর প্রাগ্রসর বাংলা পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্ন ও উত্তর
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 11 Advance Bengali Chapter 1 গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ Question Answer. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st year Advance Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. AHSEC Board Class XI Advance Bengali Books Solutions will be able to solve all the doubts of the students. HS 1st Year Advance Bengali Subject Suggestion Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Textbooks. HS 1st Year Advance Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.
গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ
পদ্যাংশ
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
১। গোবিন্দ দাসের অনুসরণে কবিতাটির কাব্যসৌন্দর্য বর্ণনা করো।
উত্তরঃ বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে একটি হল ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ । বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের যে সব পদ আজও লোকমুখে প্রচলিত, তাদের মধ্যে আমাদের আলোচ্য পাঠটি অন্যতম। ‘নীরদ নয়নে নীর ঘন সিঞ্চনে’ এই পদটি গোবিন্দ দাসের কাব্য প্রতিভার পরিচায়ক। কবি গোবিন্দ দাস আলোচ্য পদে শ্রীচৈতন্যের সৌন্দর্য ও ভাবধারা বর্ণনা করেছেন। এ সকল পদের মাধ্যমে গোবিন্দ দাসের কাব্য প্রতিভার শুধু প্রকাশ ঘটেছে তা নয়, সে সঙ্গে গভীর চৈতন্য প্রেমও প্রকাশ পেয়েছে। গোবিন্দ দাস তার পদগুলিকে বিশেষ ধর্ম বা জাতির মধ্যে আবদ্ধ না রাখায় পদগুলি সার্বজনীন রূপ লাভ করেছে।
গোবিন্দদাস ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ – কবিতায় ব্রজবুলির ছন্দ লালিত্য, অপূর্ব অলংকার ব্যবহার করেছেন। তাঁর ভাষা ভঙ্গিমা, ছন্দোলালিত্য, অলংকারের প্রাচুর্য ভাবের রূপ নির্মিতিতে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। এই কবিতায় একদিকে হৃদয়ের আবেগ অন্যদিকে রয়েছে আবেগের ভাবসংহত কাব্যরূপ।
“স্বেদ মকরন্দ বিন্দু বিন্দু চুয়ত
বিকশিত ভাব-কদম্ব”
এসকল পংক্তির মধ্য দিয়ে গোবিন্দদাসের ব্রজবুলি ভাষার নিপুণতার পরিচয় ফুটে ওঠে। কবিতায় শ্রীচৈতন্যের মহিমা ও ভক্তগণের ওপর তার প্রতিক্রিয়া বর্ণনার মধ্যে দিয়ে গোবিন্দদাসের আপন শিল্প নৈপুণ্যের যেমন পরিচয় পাওয়া যায় সেসঙ্গে কবিতাটির কাব্যসৌন্দর্যও প্রকাশ পায়।
২। গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ কাকে বলে ? পাঠ্য কবিতাটি অবলম্বনে গোবিন্দদাসের কবি কৃতিত্বের পরিমাপ করো।
উত্তরঃ শ্রীচৈতন্যের বা গৌরাঙ্গের লৌকিক, জীবনকে কেন্দ্র করে যে সব পদ রচিত হয়েছে তাকে গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ বলে। বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে একটি হল ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ । বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের যে সব পদ আজও লোকমুখে প্রচলিত, তাদের মধ্যে আমাদের আলোচ্য পাঠটি অন্যতম। ‘নীরদ নয়নে নীর ঘন সিঞ্চনে’ এই পদটি গোবিন্দ দাসের কাব্য প্রতিভার পরিচায়ক। কবি গোবিন্দ দাস আলোচ্য পদে শ্রীচৈতন্যের সৌন্দর্য ও ভাবধারা বর্ণনা করেছেন। এ সকল পদের মাধ্যমে গোবিন্দ দাসের কাব্য প্রতিভার শুধু প্রকাশ ঘটেছে তা নয়, সে সঙ্গে গভীর চৈতন্য প্রেমও প্রকাশ পেয়েছে। গোবিন্দ দাস তার পদগুলিকে বিশেষ ধর্ম বা জাতির মধ্যে আবদ্ধ না রাখায় পদগুলি সার্বজনীন রূপ লাভ করেছে।
গোবিন্দদাস ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ – কবিতায় ব্রজবুলির ছন্দ লালিত্য, অপূর্ব অলংকার ব্যবহার করেছেন। তাঁর ভাষা ভঙ্গিমা, ছন্দোলালিত্য, অলংকারের প্রাচুর্য ভাবের রূপ নির্মিতিতে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। এই কবিতায় একদিকে হৃদয়ের আবেগ অন্যদিকে রয়েছে আবেগের ভাবসংহত কাব্যরূপ।
“স্বেদ মকরন্দ বিন্দু বিন্দু চুয়ত
বিকশিত ভাব-কদম্ব”
এসকল পংক্তির মধ্য দিয়ে গোবিন্দদাসের ব্রজবুলি ভাষার নিপুণতার পরিচয় ফুটে ওঠে। কবিতায় শ্রীচৈতন্যের মহিমা ও ভক্তগণের ওপর তার প্রতিক্রিয়া বর্ণনার মধ্যে দিয়ে গোবিন্দদাসের আপন শিল্প নৈপুণ্যের যেমন পরিচয় পাওয়া যায় সেসঙ্গে কবিতাটির কাব্যসৌন্দর্যও প্রকাশ পায়।
৩। পাঠ্য কবি চৈতন্যদেবের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
অথবা,
‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ কবিতাটিতে চৈতন্যদেবের যে রূপ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
অথবা,
‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ কবিতার বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লেখো।
অথবা,
‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ কবিতার মূলভাব পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ ‘গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ’ শীর্ষক কবিতায় কবি গোবিন্দ দাস গৌরাঙ্গের দৈহিক সৌন্দর্য ও ভাবধারা বর্ণনা করেছেন।
গৌরাঙ্গ ছিলেন অপরূপ দৈহিক সৌন্দর্যের অধিকারী। তিনি সবসময় কৃষ্ণপ্রেমে আত্মহারা হয়ে থাকেন। গৌরাঙ্গের চোখ দুটি মেঘের মত, কেননা তাঁর চোখ দুটি থেকে নিরন্তর জলধারা বর্ষিত হয়। বৃষ্টি হলে যেভাবে গাছে-গাছে মুকুল বা কুঁড়ি হয়, তেমনি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দেহে রোমাঞ্চরূপ মুকুলের উদগম হচ্ছে। তিনি যখন গঙ্গাতীরে ভ্রম করতেন, তখন চোখ দিয়ে তাঁর অনবরত অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ত। কৃষ্ণপ্রমে বিভোর হয়ে তিনি নৃত্য করতেন। তাঁর অঙ্গে খেদজাল মকরদের মতো অর্থাৎ ফুলের মধুর মতো বিন্দু- বিন্দু করে ঝরে পড়ছে, তাতে নানাপ্রকার ভাব ফুটে উঠে। গৌরাদ মহাপ্রভু গৌরবর্ণের বলে তাঁকে সোনার গাছ বলা হয়েছে। তবে কোনো সাধারণ গাছ নয়, তিনি পরম বাঞ্ছিত ফল প্রদান করেন। যেভাবে কল্পবৃক্ষ সকলের প্রার্থনা পূর্ণ করে। এখানে বলা যেতে পারে। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে কল্পবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। গৌরাঙ্গের পদতলে অগণিত ভক্তরা বিভোর হয়ে গুণগান করতেছেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভক্তবৃন্দের মধ্যে অবিরত প্রেমরত্ন বিতরণের ফলে সকলের মনোবাসনা পূর্ণ হচ্ছে, তাই দিনরাত্রি তাঁর পদতলে অচেতন হয়ে ভক্তবৃন্দরা তাঁর সেবা করছেন। শুধু দীনহীন গোবিন্দদাস গৌরাঙ্গের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন।
S.L. No. | সূচীপত্র |
পদ্যাংশ | |
পাঠ – ১ | গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ |
পাঠ – ২ | দুই বিঘা জমি |
পাঠ – ৩ | সনেট |
পাঠ – ৪ | সুদূরের আহ্বান |
পাঠ – ৫ | রানার |
পাঠ – ৬ | উত্তরাধিকার |
পাঠ – ৭ | কাস্তে |
গদ্যাংশ | |
পাঠ – ৮ | রাজধর্ম |
পাঠ – ৯ | ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে |
পাঠ – ১০ | রামায়ণ |
পাঠ – ১১ | রূপকথা |
ছোটগল্প | |
পাঠ – ১২ | কাবুলিওয়ালা |
পাঠ – ১৩ | রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা |
পাঠ – ১৪ | খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন |
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ) |
সম্প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা
১। “নীরদ নয়নে নীর ঘন সিঞ্চনে
পুলক-মুকুল অবলম্ব।
স্বেদ মকরন্দ বিন্দু বিন্দু চুয়ত
বিকশিত ভাব কদম্ব ৷৷
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু কবি গোবিন্দ দাসের রচিত ‘গৌরাঙ্গ- বিষয়ক পদ’ থেকে গৃহীত। উক্ত কবিতায় কবি গোবিন্দদাস গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সৌন্দর্য ও ভাবধারা বর্ণনা করেছেন। গৌরাঙ্গের চোখ দুটি মেঘের মত, কেননা তা থেকে অনবরত জলধারা বর্ষিত হয়। অবিরাম বৃষ্টি হলে যেভাবে গাছে গাছে মুকুল বা কুঁড়ি হয় সেভাবেই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর দেহে রোমাঞ্চরূপ মুকুলের দেখা দেয়। তাঁর অঙ্গের স্বেদজল অর্থাৎ ঘাম মকরন্দ বা ফুলের মধুর মতো বিন্দু বিন্দু করে ঝরে পড়ছে। তাতে নানা ভাবের প্রকাশ হচ্ছে।
২। কি পেখলু নটবর গৌর কিশোর।
অভিনব হেম কল্পতরু সঞ্চরু
সুরধনী-তীরে উজোর৷
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু গোবিন্দ দাসের রচিত ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ থেকে গৃহীত। এখানে কবি গোবিন্দদাস কিশোর বয়সী গৌরাঙ্গের ভাবমূর্তি বর্ণনা করেছেন।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ছিলেন অসামান্য রূপ-সৌন্দর্যের অধিকারী। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর গাত্রবর্ণ উজ্জল গৌরবর্ণ। তিনি যখন গঙ্গাতীরে ভ্রমণ করতেন, তখন তাঁর চোখ দিয়ে অনবরত অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ত। তাঁকে দেখে মনে হয় সোনার কল্পতরু। কল্পতরু যেভাবে সকলের প্রার্থনা পূর্ণ করে, তেমনি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ভক্তবৃন্দদের মনোবাসনা পূর্ণ করেন।
৩। “চঞ্চল চরণ কমল-তলে ঝঙ্করু
ভকত-ভ্রমরগণ ভোর।
পরিমলে লুবধ সুরাসুর ধাবই
অহর্নিশি রহত অগোর”
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু গোবিন্দদাসের রচিত ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ থেকে গৃহীত। এখানে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মহিমা ও ভক্তগণের উপর তাঁর প্রতিক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে।
শ্রীচৈতন্যের চরণতলে ভক্তগণ ঝঙ্কার করছে অর্থাৎ ভক্তগণ ভাবে বিভোর হয়ে শ্রীচৈতন্যের চরণতলে নানা গুণগান করছেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই ভালোবাসতেন। তাঁর সেই প্রেমের সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে ভক্তবৃন্দ তাঁর চরণতলে দিনরাত্রি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকেন।
8। “অবিরত প্রেম রতন-ফল বিতরণে
অখিল-মনোরথ পর।
তাকর-চরণে দীনহীন বঞ্চিত
গোবিন্দ দাস বহুদূর।।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটুকু কবি গোবিন্দদাসের রচিত ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ শীর্ষক কবিতা থেকে গৃহীত। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর চরণ স্পর্শে বিশ্বের জনগণের মনোবাসনা পূর্ণ হলেও কবি গোবিন্দ দাস গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর চরণ স্পর্শ হতে বঞ্চিত হয়ে বহুদূরে পড়ে আছেন।
শ্রীচৈতন্যের চরণতলে ভক্তগণ ঝঙ্কার করছে অর্থাৎ ভক্তগণ ভাবে বিভোর হয়ে শ্রীচৈতন্যের চরণতলে নানা গুণগান করছেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই আপন করে নেন। তাঁর সেই প্রেমের সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে ভক্তবৃন্দ তাঁর চরণতলে দিনরাত্রি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকেন। শ্রীচৈতন্য ভক্তবৃন্দের মনোবাসনা পূরণ করেন, শুধু দীনহীন গোবিন্দদাস শ্রীচৈতন্যের কৃপা থেকে বঞ্চিত হয়ে বহুদূরে পড়ে আছেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। “নীরদ নয়নে নীর ঘন সিঞ্চনে
পুলক-মুকুল-অবলম্ব।
ম্বেদ-মকরন্দ বিন্দু বিন্দু চুয়ত
বিকশিত ভাব-কদম্ব॥ ”
– এখানে কার নীরদ নয়ন এবং কেন ?
অথবা,
তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ এখানে নীরদ নয়ন বলতে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে বোঝানো হয়েছে। কারণ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর চোখ দুটি মেঘের মত। তাঁর এই চোখ দুটি দিয়ে অনবরত জল বেয়ে পড়ে।
২। “কি পেখলু নটবর গৌর কিশোর।”- নটবর কে ? গৌরকিশোর কে ?
উত্তরঃ নটবর হলেন শ্রীকৃষ্ণ। কিন্তু এখানে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে নটবর বলা হয়েছে। গৌরকিশোর হলেন কিশোর বয়স্ক গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু।
৩। “কি পেখলু নটবর গৌরকিশোর।
অভিনব হেম কল্পতরু সঞ্চরু
সুরধুনী-তীরে উজোর৷
‘কল্পতরু’ কাকে বলা হয়েছে ? এবং কেন ?
অথবা,
পংক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ শ্রীচৈতন্য বা গৌরাঙ্গকে কল্পতরুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ‘কল্পতরু’ হল স্বর্গীয় গাছ, সে গাছের কাছে যা প্রার্থনা করা হয়, তা-ই পাওয়া যায়। তেমনি শ্রীচৈতন্যের কাছে ভক্তরা যা চান তা-ই প্রদান করেন।
8। “ম্বেদ মকরন্দ বিন্দু বিন্দু চুয়ত
বিকশিত ভাব কদম্ব৷”
ম্বেদ-মকরন্দ শব্দের অর্থ কী ? এখানে কার ভাবের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘স্বেদ-মকরন্দ’ শব্দের অর্থ ফুলের মধু। এখানে শ্রীচৈতন্যর ভাবের কথা বলা হয়েছে।
৫। “চঞ্চল চরণ কমল-তলে ঝঙ্করু
ভকত-ভ্রমরগণ ভোর।
পরিমলে লুবধ সুরাসুর ধাবই
অহর্নিশি রহত অগোর ৷৷
তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ শ্রীচৈতন্যের চরণতলে ভক্তগণ ঝঙ্কার করছে অর্থাৎ ভক্তগণ ভাবে বিভোর হয়ে শ্রীচৈতন্যের চরণতলে নানা গুণগান করছেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই ভালোবাসতেন। তাঁর সেই প্রেমের সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে ভক্তবৃন্দ তাঁর চরণতলে দিনরাত্রি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকেন।
৬। ‘‘অবিরত প্রেম রতন -ফল-বিতরণে
আখিল-মনোরথ পর।
তাকর চরণে দীনহীন বঞ্চিত
গোবিন্দদাস রহুদূর ৷৷
তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ শ্রীচৈতন্যের চরণতলে ভক্তগণ ঝঙ্কার করছে অর্থাৎ ভক্তগণ ভাবে বিভোর হয়ে শ্রীচৈতন্যের চরণতলে নানা গুণগান করছেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকেই আপন করে নেন। তাঁর সেই প্রেমের সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে ভক্তবৃন্দ তাঁর চরণতলে দিনরাত্রি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকেন। শ্রীচৈতন্য ভক্তবৃন্দের মনোবাসনা পূরণ করেন, শুধু দীনহীন গোবিন্দদাস শ্রীচৈতন্যের কৃপা থেকে বঞ্চিত হয়ে বহুদূরে পড়ে আছেন।
প্রশ্ন ৭। ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ কবিতায় গৌরকিশোরের যে রূপ ফুটে উঠেছে তার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ সারাংশ দেখো।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ কবিতাটির কবির নাম কী ?
উত্তরঃ কবি গোবিন্দ দাস।
২। গোবিন্দদাসকে বৈষ্ণব ভক্তরা কী আখ্যা দিয়েছেন ?
উত্তরঃ ‘গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।
৩। ‘গৌরচন্দ্রিকা’ এবং ‘অভিসার’ বিষয়ক পদের শ্রেষ্ঠ পদকর্তার নাম কী ?
উত্তরঃ গোবিন্দদাস।
৪। গোবিন্দ দাস ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’ কবিতাটি কোন ভাষায় রচনা করেন ?
উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষায়।
৫। “অভিনব হেম, কল্পতরু সঞ্চরু, সুরধুনী-তীরে উজোর’’ ‘উজোর’ শব্দের অর্থ কি ?
উত্তরঃ ‘উজোর’ শব্দের অর্থ উজ্জল।
৬। “কি পেখলু নটবর গৌর কিশোর।”- গৌরকিশোর কে ?
উত্তরঃ কিশোর বয়স্ক গৌরাঙ্গ।
৭। “অভিনব হেম কল্পতরু সঞ্চরু। কল্পতরু কী ?”
উত্তরঃ স্বর্গীয় গাছ, এই গাছের কাছে যা প্রার্থনা করা হয়। তা-ই পাওয়া যায়।
৮। “অহর্নিশি রহত অগোর’ – ‘অগোর’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ অগোর শব্দের অর্থ হল অচৈতন্য বা অজ্ঞান।
৯। “ম্বেদ-মকরন্দ বিন্দু বিন্দু চুয়ত” – ‘মকরন্দ’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ ফুলের মধু।
১০। অভিনব হেম …………সঞ্চরু (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ কল্পতরু।
১১। গোবিন্দদাস বহু ……….. । (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ দূর ।
১২। “অখিল মনোরথ পর” – ‘অখিল’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ অখিল শব্দের অর্থ পৃথিবী বা বিশ্ব।
১৩। “কল্পতরু” কাকে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে।
১৪। “কি পেখলু নটবর গৌর কিশোর” – নটবর কে ?
উত্তরঃ নটবর হলেন শ্রীকৃষ্ণ – এখানে গৌরাঙ্গ।
১৫। “নীরদ নয়নে নীর ঘন সিঞ্চনে” – ‘নীর’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ মেঘ।
১৬। “তাকর চরণে দীনহীন বঞ্চিত” – ‘তাকর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ তাকর শব্দের অর্থ – তাঁর (শ্রীগৌরাঙ্গ)
১৭। শব্দার্থ লেখোঃ- পরিমল।
উত্তরঃ সুগন্ধ।
১৮। কি ……………. নটবর গৌর কিশোর। (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)
উত্তরঃ পেখলু।
FAQs
Question: Where I can get Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Suggestion Chapter Wise?
Answer: You can get Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Suggestion Chapter Wise On Roy Library. For every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly.
Question: Which is the best Site to get Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Solutions?
Answer: Roy Library is a genuine and worthy of trust site that offers reliable information regarding Assam AHSEC Board Class 11 Advance Bengali Solutions.
Question: How can students use the solutions for exam preparation?
Answer: Students can use the solutions for the following:
- Students can use solutions for revising the syllabus.
- Students can use it to make notes while studying.
- Students can use solutions to understand the concepts and complete the syllabus.
IMPORTANT NOTICE
We have uploaded this Content by Roy Library. You can read-write and Share your friend’s Education Purposes Only. Please don’t upload it to any other Page or Website because it is Copyrighted Content.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Amazing website
Thank you sir