Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ

Join Roy Library Telegram Groups

Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ is a textbook prescribed by the ASSAM AHSEC Board Class 12 Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ Solutions are free to use and easily accessible.

Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 2nd year Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ, Gives you a better knowledge of all the chapters. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. AHSEC Board Class XII Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ will be able to solve all the doubts of the students. HS 2nd Year Advance Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ, HS 2nd Year Advance Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ Notes Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the AHSEC Board Class 12 Advance Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ Textbooks Solution. HS 2nd Year Advance Bengali Byakoran | বাংলা ব্যাকরণ – ছন্দ Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

ছন্দ

ব্যাকরণ

বাংলা বিদ্যার জগতে ছন্দ আজ একটি স্বীকৃত, সমৃদ্ধ এবং অবশ্য পাঠ্য বিদ্যা। ‘ছন্দ’ আলোচনায় একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, এই বিষয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। বিশেষ ভাবে প্রবোধ চন্দ্র সেন ও অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়ের মতো। তবে বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা অনেক যুক্তি সম্মত প্রবোধচন্দ্র সেনের মতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

তান প্রধান বা অক্ষরবৃত্ত, ধ্বনি প্রধান বা মাত্রাবৃত্ত, শ্বাসাঘাত বা স্বরবৃত্ত ছন্দ এগুলি আসলে ছন্দ নয় ছন্দ রীতি।

প্রশ্ন ১। ছন্দ কাকে বলে? ছন্দ কত প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ ছন্দ হলো কবিতার একটি স্বাভাবিক অংশ বা বন্ধন। এই ছন্দের মধ্যে থাকে সুরের স্পন্দন ও ঝংকার যা আমাদের মনের মধ্যে আনন্দের অনুভূতি জাগিয়ে তুলে অথবা যে ললিত ও সুমিত পদ স্থাপনায় বাক্যে ধ্বনি তরঙ্গের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাকেই ছন্দ বলে।

একটা দৃষ্টান্তের দ্বারা আমরা ছন্দ যুক্ত আর ছন্দ বিযুক্ত বা ছন্দহীন রচনার পার্থক্য দেখতে পাব।

“যবে হাসিয়া ধনু তুলিতে, প্রণয় ভীরু ষোড়শী চরণে ধরি মিনতি করিত” এই বাক্যটির একটি শব্দও পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র সুমিত পদস্থাপনার দ্বারা কবিগুরু এটাকে কেমন অসাধারণ রূপ দিয়েছেন

“হাসিয়া যবে তুলিতে ধনু প্রণয় ভীরু ষোড়শী

চরণে ধরি করিত মিনতি।”

এখানে একটি ধ্বনি তরঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে এবং এটাই ছন্দের প্রাণ বা ছন্দ স্পন্দন। 

ছন্দ তিন প্রকার –

(ক) তান-প্রধান বা অক্ষরবৃত্ত বা পয়ারের ছন্দ।

(খ) ধ্বনি-প্রধান বা মাত্রাবৃত্ত ছন্দ।

(গ) শ্বাসাঘাত-প্রধান বা স্বরবৃত্ত বা ছড়ার ছন্দ।

S.L. No.সূচীপত্র
পদ্যাংশ
পাঠ – ১বংশীনাদে
পাঠ – ২বিপ্রবেশে অর্জুন
পাঠ – ৩কপোতাক্ষ নদ
পাঠ – ৪আমার কৈফিয়ৎ
পাঠ – ৫মেরুর ডাক
পাঠ – ৬হায় চিল
পাঠ – ৭প্ৰত্যহের ভার
গদ্যাংশ
পাঠ – ৮ভালবাসার অত্যাচার
পাঠ – ৯পনেরো আনা
পাঠ – ১০সাহিত্যে খেলা
পাঠ – ১১দিবা দ্বিপ্রহরে
নাটক
পাঠ – ১২মুকুট
উপন্যাস
পাঠ – ১৩মেজদিদি
ব্যাকরণ
ছন্দ
অলঙ্কার

প্রশ্ন ২। সংজ্ঞা লেখো অথবা ছন্দের উপাদানগুলি আলোচনা করো।

উত্তরঃ (১) অক্ষর: ছন্দের আলোচনায় অক্ষরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি বাক্য দ্বারা। এই বাক্যকে বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই কতকগুলি পদ বা বিভক্তিযুক্ত ও বিভক্তিহীন শব্দ। আবার এই শব্দকে বিশ্লেষণ করে একেবারে গোড়ায় গেলে পাওয়া যায় কতগগুলি ধ্বনি যার লিখিত রূপ বর্ণ। এখানে একটু সতর্কতার প্রয়োজন আছে। সাধারণতঃ

বাংলা ব্যাকরণে ‘বর্ণ’ ও ‘অক্ষর’ সমার্থক বলে বিবেচিত হয়ে থাকে, কিন্তু ছন্দের ক্ষেত্রে এ দুটি শব্দকে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়।

সংজ্ঞা: বাগযন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে উৎপন্ন ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে বলে অক্ষর। (ইংরাজিতে যা Syllable) কিন্তু ছন্দের ক্ষেত্রে অক্ষর একটি বিশেষ অর্থে প্রযুক্ত হয়। এক্ষেত্রে স্বরধ্বনি ছাড়া অক্ষর উচ্চারিত হতে পারে না। ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ করতে হলেও স্বরধ্বনির প্রয়োজন।

অধ্যাপক তারাপদ ভট্টাচার্যের মতে ছন্দশাস্ত্রে আমরা একটা শব্দের যতটুকু অংশ একটি মাত্র ঝুঁকে উচ্চারণ করতে পারি ততটাই এক একটি অক্ষর।

‘ছন্দশাস্ত্র’ শব্দটিকে ভেঙ্গে উচ্চারণ করলে আমরা চারটি মাত্র অক্ষর পাই।

যেমন – “ছন, দ, শাস্, ত্র”। কিন্তু এক্ষেত্রে বর্ণ পাই অনেকগুলো – ছ + অ +ন + দ + অ, শ + আ + স + ত + র + অ। সংখ্যায় ১১ (এগারো)টি।

অতএব বর্ণ ও অক্ষর এক নয় তা বুঝা গেল। এখানে আর একটি জিনিস লক্ষ করতে হবে যে এই ১১টি বর্ণের মধ্যে ৪টি বর্ণ স্বরবর্ণ এবং এই চারটিই অক্ষর।

অক্ষর দুই প্রকার – 

(১) স্বরান্ত অক্ষর। 

(২) হলন্ত অক্ষর।

যে অক্ষরের শেষে আছে স্বরবর্ণ তাকে স্বরান্ত অক্ষর বলে। যেমন মা, (ম+আ), নি (ন+ই)।

আবার যে অক্ষরের শেষে থাকে ব্যঞ্জনধ্বনি তাকে বলে হলন্ত অক্ষর। যেমন- অন, দুর, বচ্ প্রভৃতি।

স্বরবর্ণ আবার দ্বিবিধ – হ্রস্ব স্বর ও দীর্ঘ স্বর। হ্রস্ব স্বর এক মাত্রা ও দীর্ঘ স্বর দুই মাত্রা।

যৌগিক স্বর ঐ, ঔ (দুই মাত্রা)।

(২) স্তবক: দুই বা ততোধিক চরণ পর পর সন্নিবিষ্ট হলে সেই চরণ সমষ্টিকে স্তবক বলা হয়। যেমন –

যেদিন আমারে ডেকেছিলে তুমি জানি

বীণাখানি মোর দিনু তব হাতে আনি,

ফুলে ফুলে আজ তাই নিয়ে কানাকানি। 

তিন চরণের স্তবক।

(৩) মাত্রা: যার দ্বারা ছন্দে ধ্বনির পরিমাপ করা হয় তাকেই বলে মাত্রা। অথবা, একটি অক্ষর উচ্চারণ করতে যে সময় লাগে, সে সময়টুকুকে আমরা ‘মাত্রা’ বা ‘কলা’ বলতে পারি।

যেমন – ‘আমরা’ শব্দে অক্ষর দুটি আছে – ‘আম’, ‘রা’। ‘আম’ বা ‘রা’ উচ্চারণে যে সময় লেগেছে তা হল ‘মাত্রা’ বা ‘কলা’।

বাংলা ছন্দে দু-প্রকার মাত্রার সন্ধান পাওয়া যায়।

যেমন – একমাত্রা, দু-মাত্রা।

একটি মুক্ত অক্ষরা বা অপ্রসারিত অক্ষর উচ্চারণ করতে যে সময় লাগে তাকে এক-মাত্রা বলে।

একটি রুদ্ধ বা প্রসারিত অক্ষর উচ্চারণ করতে যে সময় লাগে তাকে দু-মাত্রা বলে।

যেমন – ‘সকল’ শব্দে দুটি অক্ষর রয়েছে- স, কল। লক্ষ্য করা যায় ‘স’ উচ্চারণ করতে যে সময় লেগেছে, কল উচ্চারণে তার থেকে বেশি সময় লাগে ‘স’ মুক্ত অক্ষর। এর উচ্চারণ স্বাভাবিক ও অপ্রসারিত। এটি উচ্চারণ করতে যে সময় লেগেছে, তাকে একমাত্রা বলে। ‘কল’ হলো রুদ্ধ অক্ষর। এটি উচ্চারণ করতে যে সময় লেগেছে, তাকে বলে দু-মাত্রা।

(৪) যতি: সাধারণত কাব্য পাঠকালে ধ্বনি তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বাগ্যন্ত্র যে সাময়িক বিরতি লাভ করে তাকে যতি বলে। অথবা, একটি বাক্য এক নিঃশ্বাসে পাঠ করা যায় না। কথা বলবার সময় মধ্যে মধ্যে আমাদের থামতেই হয়। সুতরাং জিহ্বা যেখানে স্বেচ্ছায় বিশ্রাম করে তাকেই বলে যতি। অথবা এক কথায় বলা যায় জিহ্বার বিশ্রামের জন্য যেখানে থামতে নয় তাকে যতি বলে।

যেমন –

আকাশ জুড়ে/ মেঘ করেছে/ সূর্য্যি গেছে/ পাটে

খুকু গেছে/ জল আনতে/ পদ্মদিঘির ঘাটে ৷

যতি দুই প্রকার – অর্ধ যতি ও পূর্ণ যতি।

অর্ধযতি: কবিতার লাইনে ছন্দ তরঙ্গ সৃষ্টিতে স্বল্পক্ষণের জন্য যে বিরতি; তা অর্ধযতি বা হ্রস্বযতি। যেমন – আকাশ জুড়ে/

পূর্ণযতি: কবিতার লাইনের শেষে যে পরিপূর্ণ বিরতি; তা পূর্ণযতি।

যেমন – খুকু গেছে/ জল আনতে/ পদ্মদিঘির ঘাটে ।।

(৫) ছেদ: অর্থকে পরিস্ফুট করবার জন্য বাক্যের মধ্যে বা অন্তে যখন কোনো বিরতি ঘটে তখন তাকে বলে ছেদ। অথবা, বাক্যে ছেদ বলতে অর্থগত বিরামকে বুঝায়।

ছেদ দু-প্রকারের – 

(১) অর্ধচ্ছেদ। 

(২) পূর্ণচ্ছেদ।

যেমন – (১) তুমি এসো, না, এলে বিপদ ঘটবে।

(২) আজ তুমি কবি শুধু / নহ আর কেহ।

কোথা তব রাজসভা/কোথা তব গেহ। (পূর্ণচ্ছেদ)

বাক্যের মধ্যে থামা অর্ধচ্ছেদ এবং শেষে থামা পূর্ণচ্ছেদ।

(৬) পর্ব: কবিতার চরণ যতি দ্বারা ভাগ করা হয়, এই যতির ভাগগুলিকে ‘পর্ব’ বলে। অর্থাৎ এক যতি হতে অন্য যতি পর্যন্ত শব্দ সমষ্টিকে পর্ব বলে। সহজ ভাষায় বলা যায় – একশ্বাসে যতটুকু বলা হয় তাকেই পর্ব বলে।

যেমন – সকালবেলা / কাটিয়া গেল / বিকাল নাহি / যায়।

                পর্ব                পর্ব                   পর্ব

পর্বাঙ্গ: পর্বাঙ্গ বলতে পর্বের অন্তর্গত পৃথক পৃথক শব্দকে বুঝায়। (কয়েকটি পর্বাঙ্গ মিলে একটি পর্ব গঠিত হয়। অর্থাৎ একটি পর্বের অনেকগুলি পর্বাঙ্গ থাকতে পারে।)

(১)  (১) (১)  (১) (১)  (১) (১)

যেমন:- সকাল: বেলা/কাটিয়া : গেল/বিকাল : নাহি/যায়।

(৭) লয়: ছন্দশাস্ত্রে ধ্বনিগুচ্ছ উচ্চারণের গতি বা কাল পরিমাপকে লয় বলে।

লয় তিন প্রকার – দ্রুতলয়, ধীরলয় এবং বিলম্বিত লয়। স্বরাঘাত-প্রধান বা কলাবৃত্ত বিলম্বিত লয় এবং তান-প্রধান বা অক্ষরবৃত্ত হল ধীর লয়।

প্রশ্ন ৩। অক্ষরবৃত্ত বা তান-প্রধান ছন্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ তান-প্রধান ছন্দের লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উত্তরঃ যে ছন্দের মধ্যে তান বা একটানা সুরের প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে তাকে তানপ্রধান ছন্দ বলে। অথবা, যে জাতীয় ছন্দে চোখে দেখা যুক্ত বা বিযুক্ত অক্ষরকেই মাত্রা গণনার একক রূপে গ্রহণ করা হয় তাকেই বলে ‘অক্ষর বৃত্ত’ ছন্দ। যেমন – ‘ছান্দসিক’, এখানে বর্ণ আছে ৯টি কিন্তু অক্ষর মাত্র ৪টি।

উদাহরণ – (১) মহাভারতের কথা/অমৃত সমান। ৮+৬

কাশীরাম দাস কহে / শোনে পুণ্যবান। ৮+৬

(২) এনেছিলে সাথে কবে/মৃত্যুহীন প্রাণ। ৮+৬

মরণে তাহাই তুমি / করে গেলে দান। ৮+৬

লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য:-

১। অক্ষরবৃত্ত ছন্দের প্রতিটি অক্ষরই একমাত্রার।

২। স্বরের হ্রস্ব বা দীর্ঘ বিচারের কোনো অবকাশ এ ছন্দে নেই।

৩। এই ছন্দে তৎসম, অর্ধ তৎসম শব্দের ব্যবহার হয়।

৪। তানপ্রধান ছন্দ সাধারণত পয়ারের ভিত্তিতেই রচিত হয়।

৫। এই প্রকার ছন্দে ং, ৎ,: প্রভৃতিকে অক্ষর মাত্রা গণনার বাইরে রাখা হয়।

৬। একটানা সুরের প্রবাহ এই ছন্দের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

৭। তানপ্রধান ছন্দ ধীর লয়ের ছন্দ।

প্রশ্ন ৪। কলাবৃত্ত বা ধ্বনি-প্রধান ছন্দ কাকে বলে? উদাহরণস্বরূপ কলাবৃত্ত বা ধ্বনিপ্রধান-ছন্দের লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

অথবা, 

মাত্রাবৃত্ত ছন্দ কাকে বলে? এই ছন্দের চারটি বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ যে ছন্দে চরণের পর্বগুলিতে অক্ষরধ্বনি বিশেষ রূপে প্রাধান্য পায় তাকে ধ্বনি প্রধান ছন্দ বলে। বিশেষভাবে মাত্রার পরিমাপের উপর এই ছন্দ নির্ভরশীল বলে এই ছন্দকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দও বলা হয়। এই ছন্দে যৌগিক অক্ষরকে দুই মাত্রার ধরা হয় এবং অন্যান্য সকল একমাত্রার হয়।

উদাহরণ –

| | | |     | || | |       | | |    | |     | |

সাগর জলে / সিনান করি / সজল এলো / চুলে ৫ + ৫ + ৫ + ২

| | |   | |      | | | | |    | |

বসিয়াছিলে / উপল উপ / কূলে 5 + 5 + ২

বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ:

১। ধ্বনি-প্রধান ছন্দ সর্বদাই গীতিধর্মী।

২। ধ্বনি প্রধান ছন্দের শোষণ শক্তি নাই, পয়ারে রয়েছে।

৩। ধ্বনি-প্রধান ছন্দ বিলম্বিত লয়ের ছন্দ, এজন্য যৌগিক অক্ষরকে দুইমাত্রার ধরা হয়।

৪। এই ছন্দে মূল পর্ব চার, পাঁচ, ছয় বা সাত মাত্রার হয়।

৫। যুক্ত ব্যঞ্জনের পূর্ব স্বরটি দুই মাত্রার হয়।

৬। ধ্বনি প্রধান ছন্দ মূলত সংস্কৃত ও প্রাকৃত ছন্দের আদর্শে গঠিত।

৭। ং ও ঃ এর পূর্বের স্বর দীর্ঘ হয়।

৮। হলন্ত বা ব্যঞ্জনান্ত অক্ষরের স্বর দীর্ঘ।

প্রশ্ন ৫। স্বরবৃত্ত বা শ্বাসাঘাত-প্রধান ছন্দ কাকে বলে? উদাহরণস্বরূপ স্বরবৃত্ত বা শ্বাসাঘাত-প্রধান ছন্দের বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ যে ছন্দের প্রতি পর্বের আদিতে একটি প্রবল শ্বাসাঘাত বা ঝোক পড়ে তাকে শ্বাসাঘাত-প্রধান বা স্বরবৃত্ত অথবা ছড়ার ছন্দ বলে।

উদাহরণ:

|   | | |     |  | | |    | | | |     | |

কে মেরেছে / কে ধরেছে / কে দিয়েছে / গাল।

| |      |   | |      | |     | | |      | |   | | |       | |

তাই তো খুকু / রাগ করেছে / ভাত খায়নি / কাল।

স্বরবৃত্ত বা শ্বাসাঘাত-প্রধান ছন্দের বৈশিষ্ট্য:

১। এই ছন্দে একটা হালকা ভাব থাকে।

২। প্রত্যেক পর্বের গোড়ায় একটি করে শ্বাসাঘাত বা Stress পড়ে।

৩। শ্বাসাঘাত থাকায় এর লয় দ্রুত।

৪। প্রত্যেক অক্ষরকে একমাত্রা হিসেবে গণনা করা হয়।

৫। এই ছন্দে সাধারণ তিনটি পূর্ণ ও একটি অসম্পূর্ণ পর্ব থাকে।

৬। মূল পর্ব চারমাত্রার হয়।

৭। প্রবল শ্বাসাঘাত থাকার জন্য এই ছন্দে সমস্ত যৌগিক অক্ষর একমাত্রার হয়।

৮। শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঘরোয়া ছন্দ।

প্রশ্ন ৬। নিম্নলিখিত পংক্তিগুলির ছন্দোলিপি নির্ণয় করো:

(১) কে বলে ঈশ্বর গুপ্ত / ব্যাপ্ত চরাচর, (৮+৬)

যাহার প্রভায় প্রভা / পায় প্রভাকর? (৮+৬)

উত্তরঃ (ক) তান-প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – ধীর, চরণ – দুই 

(গ) চরণ – দুটি। 

(ঘ) মাত্রা – ৮ + ৬ 

(ঙ) পর্ব সংখ্যা – দুই পর্বের।

(২) হে মোর দুর্ভাগা দেশ / যাদের করেছ অপমান (৮+১০)

অপমানে হতে হবে / তাহাদের সবার সমান। (৮+১০)

উত্তরঃ (ক) তান-প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – ধীর। 

(গ) চরণ – দুটি। 

(ঘ) মাত্রা – ৮+ ১০ 

(ঙ) পর্ব – ২

(৩) একদা জানিতে তুমি / ভারত ঈশ্বর সাজাহান। (৮+১০)

কালস্রোতে ভেসে যায় / জীবন যৌবন ধনমান ৷। (৮+১০)

উত্তরঃ (ক) তান প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – ধীর। 

(ঘ) চরণ – দুটি। 

(ঘ) মাত্রা – ৮+ ১০ 

(ঙ) পর্ব – ২

(৪) উঠিল গৌতম ঋষি / ছাড়িয়া আসন (৮+৬)

বাহু মেলি বালকেরে / করি আলিঙ্গন (৮+৬)

কহিলেন অব্রাহ্মণ নহ / তুমি তাত, (৮+৬)

তুমি দ্বিজোত্তম, তুমি / সত্যকুলজাত ৷ (৮+৬)

উত্তরঃ (ক) তান প্রধান ছন্দ। (খ) লয় – ধীর (গ) চরণ – চার। (ঘ) মাত্রা – ৮+৬ (ঙ) পর্ব – ২

(৫) এনেছিলে সাথে করে / মৃত্যুহীন প্রাণ, (৮+৬)

মরণে তাহাই তুমি / করে গেলে দান। (৮+৬)

উত্তরঃ (ক) তান-প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – ধীর। 

(গ) চরণ – দুটি 

(ঘ) মাত্রা – ৮ + ৬ 

(ঙ) পর্ব – ২টি।

(৬) গগণে উঠিল রবি/ লোহিত বরণ। (৮+৬)

আলোক পাইয়া লোক / পুলকিত মন। (৮+৬)

উত্তরঃ (ক) তানপ্রধান বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। 

(খ) লয় – ধীর।

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) মাত্রা – (৮+৬) 

(ঙ) পর্ব – ২টি।

(৭) শৈবাল দিঘিরে বলে / উচ্চ করি শির। (৮+৬)

লিখে রাখো, এক ফোটা / দিলেম শিশির। (৮+৬)

উত্তরঃ (ক) অক্ষরবৃত্ত বা তানপ্রধান ছন্দ।

(খ) লয় – ধীর।

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) মাত্রা – ৮+৬ 

(ঙ) পর্ব – ২টি।

(৮) সারি সারি বসে গেছে / কথা নাহি মুখে। (৮+৬)

চিন্তা যত ভারি হয় / মাথা পড়ে ঝুকে। (৮+৬)

উত্তরঃ (ক) তানপ্রধান ছন্দ।

(খ) লয় – ধীর। 

(গ) চরণ দুটি। 

(ঘ) মাত্রা – ৮+৬ 

(ঙ) পর্ব – ২+২

(৯) কণ্টক গাড়ি কমল সম পদতল

মঞ্জীর চীরহি ঝাঁপি।

গাগরি বারি ঢারী করি পীছল

চলতিহ অঙ্গুলি চাপি ॥

উত্তরঃ (ক) ধ্বনিপ্রধান বা মাত্রাবৃত্ত ছন্দ। 

(খ) লয় – মধ্য (বিলম্বিত)। 

(গ) পর্ব – অষ্টমাত্রিক, দ্বিতীয় ও চতুর্থ চরণের শেষে পর্বটি অপূর্ণ।

(ঘ) চরণ – ৪টি।

(১০) | | | |     | ||   | |     | | |     | |     | |

সাগর জলে / সিনান করি / সজল এলো / চুলে ৫ + ৫ + ৫ + ২

| | | |  |        | | | | |      | |

বসিয়াছিলে / উপল উপ / কূলে

উত্তরঃ (ক) ধ্বনিপ্রধান ছন্দ। 

(খ) চরণ – দুটি। 

(গ) লয় – বিলম্বিত।

(ঘ) পর্ব সংখ্যা – তিনটি পূর্ণ পর্ব ও একটি অপূর্ণ পর্ব।

প্রথম চরণে এবং দ্বিতীয় চরণে দুটি পূর্ণ পর্ব ও একটি অপূর্ণ পর্ব।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৫ + ৫ + ৫ + ২ এবং ৫ + ৫ + ২

(১১) | |     | | | |    | | |  | |  |      | |  | |  | |      | |

মুখে দেয় জল / শুধায় কুশল / শিরে দেয় মোর / হাত ৬ + ৬ + 6 + ২

| | |    | | |       | |     | |    | |      | |      | |     | |      | | 

দাঁড়িয়ে নিঝুম / চোখে নাই ঘুম / মুখে নাই তার / ভাত ৬ + ৬ + 6 + 2

উত্তরঃ (ক) ধ্বনিপ্রধান ছন্দ। 

(খ) দুটি চরণ। 

(গ) লয় বিলম্বিত।

(ঘ) পর্বসংখ্যা যথাক্রমে – ৩টি পূর্ণ এবং একটি অপূর্ণ প্রতি চরণে।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৬ + ৬ + ৬ + ২

(১২) | | |     | | |      | | |      | | |    | | |      | | |   | |

বসন বেচিতে / এসেছে কবির / একটা হাটের / বারে, ৬ + 6 + 6 + 2

| | |      | | |      | | |      | | |     | | |     | | |     | |

সহসা কামিনী / সবার সামনে / কাঁদিয়া ধরিল / তারে। ৬ + ৬ +  ৬ + ২

উত্তরঃ (ক) ধ্বনিপ্রধান ছন্দ। 

(খ) চরণ দুটি। 

(গ) লয় – বিলম্বিত।

(ঘ) পর্বসংখ্যা – তিনটি করে পূর্ণ ও একটি অপূর্ণ।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৬ + ৬ + ৬ + ২

(১৩) | | |     | | |     | | |     | | |    | | | |   | |     | |

ভূতের মতন / চেহারা যেমন / নির্বোধ অতি / ঘোর ৬ + ৬ + ৬ + ২

|   | |   | | |   | ||   | | |    | ||    | | |      | |

যা কিছু হারায় / গিন্নি বলেন /কেষ্টা বেটাই / চোর ৬ + ৬ + ৬ + ২

উত্তরঃ (ক) ধ্বনি প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – বিলম্বিত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব – তিনটি করে পূর্ণ একটি করে অপূর্ণ পর্ব।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৬ + ৬ + ৬ + ২

(১৪) |     | | |      |   | |  |     |  | | |    | |

কে মেরেছে / কে ধরেছে / কে দিয়েছে / গাল ৪ + ৪ + ৪ + ২

|    |  | |      |   | | |     |    | | |       | |

তাই তো খুকু / রাগ করেছে / ভাত খায়নি / কাল। ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – দ্রুত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব – তিনটি এবং শেষের পর্বটি অপূর্ণ।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(১৫) | |     | |     | |     | |       | |     | |     | |

জলের উপর / রোদ পড়েছে / সোনা মাখা / মায়া। ৪ + ৪ + ৪ + ২

| |       | |      | |      | |       | |      | |       | |

ভেসে বেড়ায় / দুটি হাস / দুটি হাসের / ছায়া। ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – দ্রুত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব – পূর্ণ পর্ব তিনটি এবং একটি অসম্পূর্ণ পর্ব।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(১৬) | |      | |     | |       | |       | | | |       | |

পাক্কা নতূন / টাটকা ঔষুধ / এক্কেবারে / দিশি। ৪ + ৪ + ৪ + ২

| | | |       | |   | |      | |      | |     | |

দাম করেছি / সম্ভা বড় / চৌদ্দ আনা / শিশি। ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – দ্রুত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব – পূর্ণ পর্ব তিনটি এবং একটি অসম্পূর্ণ পর্ব

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(১৭) | |      | |     |  | | |     |  | | |       | |

খোকা গেছে / মাছ ধরতে / ক্ষীর নদীর / জলে। ৪ + ৪ + ৪ + ২

| |     | |       | |     | |     | |    | |    | | 

চিপটি নিল / কোলা বেঙে / মাছটি নিল / চিলে। ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – দ্রুত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব – তিনটি পূর্ণ এবং শেষের পর্বটি অসম্পূর্ণ।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(১৮) |  | | |        | |      | |      | |      | |

ঠাকুরদাদার / মতো বনে / আছেন ঋষি / মুনি ৪ + ৪ + ৪ + ২

|      |     | |     | |     | |      |  | | |     | |

তাদের পায়ে / প্রণাম করে / গল্প অনেক / শুনি ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় দ্রুত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব – তিনটি পূর্ণ এবং একটি অসম্পূর্ণ।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(১৯) |      | | |      | |    | |    | |     | |     | |

হেড অফিসের / বড় বাবু / লোকটি বড় / শান্ত ৪ + ৪ + ৪ + ২

|    |     | |     | |     | |    | |  |  |       |  |

তার যে এমন / মাথার ব্যামো / কেউ কখনো / জানত ॥ ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় – দ্রুত। 

(গ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্বসংখ্যা – পূর্ণ তিনটি এবং একটি অসম্পূর্ণ।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(২০) |    | | |      | |     | |        | |  | |     | |

আজ বিকেলে / কোকিল ডাকে / শুনে মনে / লাগে ৪ + ৪ + ৪ + ২

| | | |        |  |      | |      |   |      |  |       | |

বাংলাদেশে / ছিলাম যেন / তিনশো বছর / আগে। ৪ + ৪ + ৪ + ২ 

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত ছন্দ। 

(খ) লয় দ্রুত। 

(গ) চরণ দুটি।

(ঘ) পর্ব সংখ্যা, পূর্ণ পর্ব ৩টি করে এবং অসম্পূর্ণ পর্ব – ২

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(২১) | |     | |     |     | | |     | |    | |      | | |

আবার মোরে / ডাক দিয়েছে / তুষার মেরু / উত্তরে ৪ + ৪ + ৪ + ৩

|   |  | |      | | | |       | |   | |     |  | |

সে-রব শুনে / বিপদ গুণে / কেমন করে / রই ঘরে। ৪ + ৪ + ৪ + ৩

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) লয় দ্রুত। 

(গ) চরণ দুটি।

(ঘ) পর্ব সংখ্যা – পূর্ণ পর্ব তিনটি এবং অসম্পূর্ণ পর্ব – ২

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে – ৪ + ৪ + ৪ + ৩

(২২) |  |  | |   | |  |  |       |   | | |       | |

আমি যদি / জন্ম নিতেম / কালিদাসের / কালে। ৪ + ৪ + ৪ + ২

| |    |   |       | |    | |      |  | |   |        | |

দৈবে হতেম / দশম রত্ন / নবরত্নের / মালে। ৪ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ।

(খ) চরণ – দুটি।

(গ) লয় – দ্রুত।

(ঘ) পর্ব – পূর্ণ পর্ব তিনটি এবং অপূর্ণ পর্ব একটি।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(২৩) | |   | |      | |   | |     | |    | |    | |

বৃষ্টি পড়ে / টাপুর টুপুর / নদেয় এলো / বান ৪ + ৪ + ৪ + ২

|   | |    |    | |    | |  |  |   | |     |  |

শিব ঠাকুরের / বিয়ে হবে / তিন কন্যে / দান। ৪ + ৪ + ৩ + ২

উত্তরঃ (এখানে ‘তিন কন্যে’ টেনে পড়ে কনন্যে পড়তে হবে)

(ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। 

(খ) চরণ – দুটি।

(ঘ) পর্ব সংখ্যা – পুর্ণ পর্ব তিনটি, অপূর্ণ একটি।

(গ) লয় – দ্রুত।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২

(২৪) | | | | |    | | | |    |    | |  |    | | 

যমুনাবতী / সরস্বতী / কাল যমুনার / বিয়ে ৫ + ৪ + ৪ + ২

| | |    | |    |  |    | |     | |   | |    | |

যমুনা যাবে / শ্বশুড় বাড়ি / কাঁজি তলা / দিয়ে ৫ + ৪ + ৪ + ২

উত্তরঃ (ক) শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ।

(খ) চরণ – দুটি।

(গ) লয় – দ্রুত।

(ঘ) পর্ব সংখ্যা – পূর্ণ পর্ব তিনটি এবং একটি অপূর্ণ।

(ঙ) অক্ষর সংখ্যা – ৫ + ৪ + ৪ + ২

এখানে দুটি পর্বে ৫ মাত্রা কিন্তু ছন্দের প্রয়োজনে মাত্রা সঙ্কোচ করে ৪ মাত্রা করতেই হবে ‘যমুনাবতী’, ‘যুম্নাবতী’ এবং ‘যমুনা যাবে’, ‘যুম্না যাবে।

(২৫) |   | | |   | | | |      | |    | | | |

পাখিসব করে রব / রাতি পোহাইল।

|   | |   | | |   | |    | | |    | | | 

কাননে কুসুম কলি / সকলি ফুটিল

উত্তরঃ (ক) তানপ্রধান বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।

(খ) চরণ – দুটি।

(গ) লয় – ধীর।

(ঘ) পর্ব সংখ্যা – দুই।

(ঙ) মাত্রা সংখ্যা – ৮ + ৬

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top