Class 11 Political Science Chapter 10 সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 10 সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 10 সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন Solutions are free to use and easily accessible.
Class 11 Political Science Chapter 10 সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali Class 11 Political Science Chapter 10 সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 10 সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.
সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান
প্রথম খণ্ড
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। কে গণপরিষদে উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাব উত্থাপন করেন?
উত্তরঃ পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।
প্রশ্ন ২। সংবিধান খসড়া কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ ডা. বি. আর. আম্বেদকর।
প্রশ্ন ৩। সংবিধান খসড়া কমিটিতে কতজন সদস্য ছিলেন?
উত্তরঃ ৭জন।
প্রশ্ন ৪। আসাম হতে সংবিধানের খসড়া কমিটিতে কে সদস্য ছিলেন?
উত্তরঃ মোহম্মদ শাদুল্লা।
প্রশ্ন ৫। প্রস্তাবনা কি সংবিধানের অংশ?
উত্তরঃ না।
প্রশ্ন ৬। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ভারত কী ধরনের রাষ্ট্র?
উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ভারত একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক গণরাজ্য।
প্রশ্ন ৭। ভারতের সংবিধান কখন গৃহীত হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর।
প্রশ্ন ৮। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত “সমাজতান্ত্রিক” শব্দ কী ধরনের সমাজবাদের অর্থ বহন করছে?
(ক) বৈজ্ঞানিক সমাজবাদ।
(খ) সাম্যবাদ।
(গ) গণতান্ত্রিক সমাজবাদ।
(ঘ) এদের কোনোটি নয়।
উত্তরঃ (গ) গণতান্ত্রিক সমাজবাদ।
প্রশ্ন ৯। ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত এবং তাই ভারত একটি –
(ক) গণতন্ত্র।
(খ) গণরাজ্য।
(গ) সংসদীয় গণতন্ত্র।
(ঘ) উদারবাদী গণতন্ত্র।
উত্তরঃ (খ) গণরাজ্য।
প্রশ্ন ১০। ভারতীয় সংবিধানের দর্শন সংবিধানের কোন্ অংশে প্রতিফলিত হয়েছে?
উত্তরঃ সংবিধানের প্রস্তাবনায়।
প্রশ্ন ১১। ভারতীয় সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সংবিধানের কোন্ অংশে প্রতিফলিত হয়েছে।
উত্তরঃ সংবিধানের প্রস্তাবনায়।
প্রশ্ন ১২। ভারতীয় সংবিধানের যে কোনো একটি রাজনৈতিক দর্শন উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ব্যক্ত–স্বাধীনতা।
প্রশ্ন ১৩। সংবিধানের কোন্ অংশকে কে. এম. মুন্সী ‘রাজনৈতিক গোষ্ঠী’ বলেছেন?
উত্তরঃ প্রস্তাবনাকে।
প্রশ্ন ১৪। কোন্ দেশের সংবিধানকে ‘শান্তি সংবিধান’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালের জাপানের সংবিধানকে।
প্রশ্ন ১৫। ভারতের একজন ভোটারের নিম্নতম বয়সসীমা কত?
উত্তরঃ ১৮ বছর।
প্রশ্ন ১৬। প্রত্যেক নাগরিকই এক একজন ভোটার কি?
উত্তরঃ না।
প্রশ্ন ১৭। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সন্নিবিষ্ট একটি আদর্শ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা।
প্রশ্ন ১৮। ভারতবর্ষ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। (সত্য না অসত্য লেখো)
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ১৯। ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কি ধর্মীয় স্বাধীনতার অনুমোদন করেছে? (হ্যাঁ বা না লেখো)
উত্তরঃ হ্যাঁ।
প্রশ্ন ২০। সংবিধানের কোন্ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সংহতি’ শব্দ কয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
উত্তরঃ ১৯৭৬ সালের ৪২-তম সংশোধনী আইনের মাধ্যমে।
S.L. No. | সূচীপত্র |
প্রথম খণ্ড | |
পাঠ – ১ | সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? |
পাঠ – ২ | ভারতীয় সংবিধানে অধিকার |
পাঠ – ৩ | নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব |
পাঠ – ৪ | সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা |
পাঠ – ৫ | কেন্দ্র ও রাজ্য |
পাঠ – ৬ | বিচার বিভাগ |
পাঠ – ৭ | যুক্তরাষ্ট্রবাদ |
পাঠ – ৮ | স্থানীয় সরকার |
পাঠ – ৯ | জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান |
পাঠ – ১০ | সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন |
দ্বিতীয় খণ্ড | |
পাঠ – ১১ | রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা |
পাঠ – ১২ | স্বাধীনতা |
পাঠ – ১৩ | সমতা |
পাঠ – ১৪ | সামাজিক ন্যায় |
পাঠ – ১৫ | অধিকার |
পাঠ -১৬ | নাগরিকত্ব |
পাঠ -১৭ | জাতীয়তাবাদ |
পাঠ -১৮ | ধর্মনিরপেক্ষতা |
পাঠ -১৯ | শান্তি |
পাঠ -২০ | উন্নয়ন |
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ধর্মনিরপেক্ষ বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ লিপিবন্ধ করা হয়েছে। শব্দাভিধানিক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে ‘ধর্ম অথবা ধর্মীয় মতাদর্শের প্রতি উদাসীন বা প্রত্যাখ্যান বা বর্জন বোঝায়’। ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় কোনো বিশেষ ধর্মের প্রতি রাষ্ট্র আনুগত্য দেখায় না, বা ধর্মবিরোধী হবে না বা অধার্মিকতার প্রশ্রয় দেবে না। সকল ধর্মের নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা এবং ধর্ম সম্পর্কে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে। ১৯৭৬ সালের ৪২-তম সংবিধান সংশোষন অনুযারী সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি সংযোজন করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২। ভারতীয় সংবিধানের ২টি উৎসের নাম উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের দুটি উৎস হল –
(ক) ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন।
(খ) ব্রিটিশ সংবিধান। এই সংবিধান হতে সংসদীয় পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সন্নিবেশিত তিন ধরনের ন্যায়ের উল্লেখ করো?
উত্তরঃ প্রস্তাবনায় সন্নিবেশিত তিন প্রকার ন্যায় হল নিম্নরূপঃ
(ক) সামাজিক ন্যায়।
(খ) অর্থনৈতিক ন্যায়। ও
(গ) রাজনৈতিক ন্যায়।
প্রশ্ন ৪। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত দু ধরনের স্বাধীনতার উল্লেখ করো?
উত্তরঃ প্রস্তাবনায় উল্লিখিত দু ধরনের স্বাধীনতা হল নিম্নরূপঃ
(ক) চিন্তা করার স্বাধীনতা (Liberty of thought)
(খ) অভিব্যক্তির স্বাধীনতা (Liberty of expression)
প্রশ্ন ৫। “আমরা ভারতীয় জনগণ।” এ কথাটির অর্থ ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতীয় জনগণ সংবিধান গ্রহণ ও বিধিবন্ধ করে নিজেদেরকে অর্পণ করছে। এর অর্থ হল জনগণই প্রকৃত শাসন–ক্ষমতার একমাত্র অধিকারী। ভারত রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতার উৎস হল ভারতীয়গণ। সুতরাং ভারতীয় জনগণই ভারতীয় সংবিধানের মূল ভিত্তি।
‘আমরা ভারতীয় জনগণ’ কথাটির তিনটি দিশা বিদ্যমানঃ
(ক) সার্বভৌম ক্ষমতা দেশের জনতার হাতে ন্যস্ত।
(খ) সংবিধান নির্মাতাগণ জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি। এবং
(গ) সংবিধান জনগণের সম্মতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। গণপরিষদ ভারতের জনমতকে সংবিধানে প্রতিফলিত করেছে। সুতরাং সংবিধানের উৎস হল ভারতবাসী।
প্রশ্ন ৬। ভারতের সংবিধানের ৪২-তম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রস্তাবনায় সংযোজিত যে কোনো দুটি/তিনটি শব্দের উল্লেখ করো?
উত্তরঃ সংবিধানের ৪২-তম সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় সংযোজিত দুটি/তিনটি শব্দ হল –
(ক) সমাজতান্ত্রিক।
(খ) ধর্মনিরপেক্ষ।
(গ) সংহতি।
প্রশ্ন ৭। ভারতবর্ষকে একটি প্রজাতান্ত্রিক (গণরাজ্য) রাষ্ট্র বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারত একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষিত। ‘প্রজাতন্ত্র’ বা ‘গণরাজ্য’ শব্দের অর্থ হল যে শাসন ব্যবস্থায় রাজা বা রাণীর কোনো স্থান নেই। ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত। তিনি রাজা বা রাণীর মতো বংশ পরম্পরাগত প্রথানুযায়ী মনোনীত হন না। ভারতের রাষ্ট্রপতি পরোক্ষ পদ্ধতিতে ভারতের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হন। সুতরাং ভারতে প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা প্রচলিত। ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি হতে ভারতের সংবিধান কার্যকরী হয়। সেইদিন হতে ভারত একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তাই প্রতি বছর ২৬শে জানুয়ারি দিনটিকে ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ৮। ভারতীয় সংবিধানের উৎস হিসাবে গণ্য করা হয় এরূপ দুটি অন্যদেশের সংবিধান উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের উৎস হিসাবে গণ্য করা হয় এরূপ দুটি অন্যদেশের সংবিধান হল–
(ক) ইংল্যাণ্ড (UK)। এবং
(খ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)।
প্রশ্ন ৯। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত দু প্রকার সমতার উল্লেখ করো?
উত্তরঃ প্রস্তাবনায় উল্লিখিত দু প্রকার সমতা হল–
(ক) সম মর্যাদা। ও
(খ) সমান সুযোগ।
প্রশ্ন ১০। প্রস্তাবনা বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তরঃ প্রস্তাবনা হল সংবিধানের মুখবন্ধ বা ভূমিকা। একে সংবিধানের চাবিকাঠিও বলা হয়। কোনো গ্রন্থের ভূমিকা পড়ে যেমন গ্রন্থটির মূল বিষয় বস্তুর আভাষ পাওয়া যায় তেমনি প্রস্তাবনা দ্বারাও সংবিধানের মূল উদ্দেশ্যের ও লক্ষ্যের সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। প্রতিটি সংবিধানের একটি নিজস্ব দার্শনিক ভিত্তি থাকে যা প্রস্তাবনার মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। প্রস্তাবনা বাড়ীত সংবিধান লক্ষ্যহীন হয়ে পড়ে। প্রস্তাবনা ভারতের সংবিধান নির্মাতাদের ইচ্ছা ও আশা–আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে।
প্রশ্ন ১১। যে কোনো দুটি রাজনৈতিক দর্শনের উল্লেখ করো যা ভারতীয় সংবিধানে মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ভিত্তি?
উত্তরঃ (ক) উদারবান।
(খ) সমাজবাদ। ও
(গ) গান্ধীবাদ।
প্রশ্ন ১৩। ভারতীয় সংবিধানের দুটি মৌলিক দর্শন উল্লেখ করো?
উত্তরঃ (ক) জনগণ ক্ষমতার উৎস। এবং
(খ) সার্বভৌমত্ব।
প্রশ্ন ১৪। ভারতীয় সংবিধানেরর প্রস্তাবনায় সন্নিবিষ্ট দুটি আদর্শ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সন্নিবিষ্ট দুটি আদর্শ হল –
(ক) সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা।
(খ) সমতার নীতি প্রতিষ্ঠা করা।
(গ) ব্যক্তি স্বাধীনতা।
প্রশ্ন ১৫। ভারতীয় সংবিধানের দুটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের দুটি সীমাবদ্ধতা হলঃ
(ক) কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ আর্থ–সামাজিক অধিকার মৌলিক অধিকারে অন্তরিভুক্ত করা হয়নি।
(খ) ভারতীয় সংবিধানে রাজাগুলোর ক্ষমতা কেন্দ্রের তুলনায় খুবই সীমিত। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্যের মানকে খর্ব করেছে।
প্রশ্ন ১৬। ভারতীয় সংবিধানের দুটি মৌলিক উদ্দেশ্য উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের দুটি মৌলিক উদ্দেশ্য হলঃ
(ক) সকল নাগরিককে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় প্রধান করা।
(খ) সকলকে সমান মর্যাদা ও সমান সুযোগ প্রদান করা।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ভারতীয় সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শনের যে কোনো চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শনের চারটি বৈশিষ্ট্য হল নিম্নরূপঃ
(ক) গণতন্ত্র।
(খ) সামাজিক ন্যায়।
(গ) রাজনৈতিক ন্যায়। ও
(ঘ) ধর্ম–নিরপেক্ষতা।
প্রশ্ন ২। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত যে কোনো তিনটি উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখিত তিনটি উদ্দেশ্য নিম্নরূপঃ
(ক) ন্যায়ঃ ভারতীয় সংবিধান ভারতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নানা প্রকার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেছে। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
(খ) স্বতন্ত্রতাঃ আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ব্যাক্তি স্বাধীনতার উল্লেখ আছে। স্বাধীনভাবে কথাবলা ও মতামত ব্যক্ত করা, ধর্মাচরণ, পূজার্চ্চনা করা প্রভৃতির উল্লেখ আছে।
(গ) সমতাঃ আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমতার নীতি বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে সকল সমান এবং সকলকে সমান সুযোগ প্রদান করা প্রভৃতি আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
এই উদ্দেশ্যসমূহ রুশ বিপ্লব ও ফরাসি বিপ্লবের প্রতিফলন।
প্রশ্ন ৩। ভারতীয় সংবিধানের চারটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের সীমাবদ্ধতাগুলো নিম্নরূপঃ
(ক) ভারতীয় সংবিধানে লিঙ্গ বৈষম্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয় নি।
(খ) আর্থ–সামাজিক কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অধিকার মৌলিক অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি।
(গ) ভারতীয় সংবিধানে রাজ্যগুলোর ক্ষমতা কেন্দ্রের তুলনায় খুবই সীমিত। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্যের মানকে খর্ব করেছে।
(ঘ) রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও সংহতির একটি কেন্দ্রীভূত ধারণা বিদ্যমান।
প্রশ্ন ৪। ভারতবর্ষকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। ভারত আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ব্যাপারসমূহ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করে। ভারতে রাষ্ট্রপরিচালনার কার্যে–যেমন আভ্যন্তরীণ কোনো বাধা বা অবরোধ নেই, তেমনি বৈদেশিক ব্যাপারে ভারত বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত। এক কথায় ভারত সব ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমুক্ত।
প্রশ্ন ৫। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা আলোচনা করলে আমরা তিনটি মূল উদ্দেশ্য দেখতে পাই। এই উদ্দেশ্য তিনটি কী কী?
উত্তরঃ প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করলে ভারতের সংবিধান রচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
এগুলো নিম্নরূপঃ
(ক) ভারত সরকারের ক্ষমতার উৎস হল “ভারতীয় জনগণ”।
(খ) ভারতে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন করবার সংকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
(গ) ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও মৈত্রী প্রতিষ্ঠা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এই উদ্দেশ্যগুলো রুশ বিপ্লব ও ফরাসি বিপ্লবের প্রতিফলন।
প্রশ্ন ৬। ভারতীয় সংবিধানের চারটি আদর্শ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কতকগুলো আদর্শ সংবিধানে বিধিবন্ধ করা হয়েছে।
এই আদর্শগুলো নিম্নরূপঃ
(ক) সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা।
(খ) চিন্তা ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, পূজার্চ্চনা, উপাসনার স্বাধীনতা প্রভৃতির ভিত্তি স্থাপন।
(গ) সমতার নীতির মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগ–সুবিধা প্রদান।
(ঘ) ব্যক্তির মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিত করে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বর্ধিত করা।
প্রশ্ন ৭। ভারতবর্ষকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা হয় কেন?
উত্তরঃ সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ভারত একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৭৬ সালের ৪২-তম সংশোধনী আইন দ্বারা প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উৎপাদন ও বণ্টনের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রাষ্ট্রের কর্তৃত্বাধীনে আনা হয়। রাষ্ট্র সমাজের প্রতিনিধিরূপে উৎপাদন ও বণ্টনের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের দেশে সরকারি এবং বেসরকারি খণ্ড পাশাপাশি পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৭৮ সালের ৪৪-তম সংশোধনী আইন দ্বারা সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের তালিকা হতে বাতিল করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সূচনা করা হয়। ভারতে বর্তমানে গণতান্ত্রিক সমাজবাদ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন ৮। ভারতীয় সংবিধানের আদর্শসমূহ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের আদর্শসমূহ হল নিম্নরূপঃ
(ক) সমাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় বিচার।
(খ) চিন্তা, বাক ও মত প্রকাশের, বিশ্বাসের, ধর্ম ও পূজার্চ্চনা, উপাসনা প্রভৃতির স্বাধীনতা।
(গ) ব্যক্তি স্বাধীনতা, ব্যক্তিসত্ত্বার স্বীকৃতি সুযোগের বিষয়ে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠা।
(ঘ) ব্যক্তির মর্যাদা ও রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চয় করার জন্য ভাতৃত্ববোধ বর্ধিত করা।
প্রশ্ন ৯। সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আমাদের রাষ্ট্রের প্রকৃতি কী?
উত্তরঃ সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আমাদের রাষ্ট্রের প্রকৃতি নিম্নরূপঃ
(ক) সার্বভৌম রাষ্ট্র।
(খ) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
(গ) ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
(ঘ) সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
(ঙ) গণরাজ্য।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.