Class 11 Political Science Chapter 13 সমতা, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 13 সমতা The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 13 সমতা Solutions are free to use and easily accessible.
Class 11 Political Science Chapter 13 সমতা
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali Class 11 Political Science Chapter 13 সমতা The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 13 সমতা The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন 2023 Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.
সমতা
একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান
দ্বিতীয় খণ্ড
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। “মানুষ প্রাকৃতিকভাবে সমান” একথা কে বলেছেন?
অথবা,
“মানুষ স্বাভাবিকমানেই সমান।” এই উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তরঃ জন লক্।
প্রশ্ন ২। যে কোনো এক ধরনের সমতা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ আইনগত সমতা।
প্রশ্ন ৩। ইতিবাচক সমতার একটি প্রয়োজনীয় উপাদান লেখো?
উত্তরঃ সকলের জন্য যথোপযুক্ত সুযোগ–সুবিধা।
প্রশ্ন ৪। যে কোনো এক প্রকার অর্থনৈতিক সমতার উল্লেখ করো?
উত্তরঃ জীবিকা অর্জনের সমান সুযোগ।
প্রশ্ন ৫। কে ভারতের বিখ্যাত সমাজবাদী নেতা ছিলেন?
উত্তরঃ রামমনোহর লোহিয়া।
প্রশ্ন ৬। কোন দেশে বর্ণ বৈষম্য নীতি প্রচলিত ছিল?
উত্তরঃ দক্ষিণ আফ্রিকায়।
প্রশ্ন ৭। সামাজিক সমতা কী?
উত্তরঃ সামাজিক সমতা হল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
প্রশ্ন ৮। রাজনৈতিক সমতার একটি উদাহরণ দাও?
উত্তরঃ সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকার।
প্রশ্ন ৯। আইনগত সমতার দাবি কখন উত্থাপিত হয়?
উত্তরঃ অষ্টাদশ শতকে।
প্রশ্ন ১০। মার্ক্সের মতে বৈষম্যের যে কোনো একটি কারণ উল্লেখ করো?
উত্তরঃ মুষ্টিমেয় কতিপয় মানুষের হাতে সম্পদ কেন্দ্রীয়ভূত হওয়া বৈষম্যের একটি প্রধান কারণ।
প্রশ্ন ১১। রামমনোহর লোহিয়া ভারতের কতপ্রকার বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেছেন করেছেন?
উত্তরঃ পাঁচ প্রকার।
প্রশ্ন ১২। সপ্ত ক্রান্তি বা সপ্ত সংগ্রামের প্রবক্তা কে?
উত্তরঃ রামমনোহর লোহিয়া।
প্রশ্ন ১৩। রামমনোহর লোহিয়া কতপ্রকার বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ সাতপ্রকার।
প্রশ্ন ১৪। কে “শ্রেণী সংগ্রাম” তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন?
উত্তরঃ কার্লমার্ক্স।
প্রশ্ন ১৫। একজন বিখ্যাত লেখকের নাম লেখো যিনি স্বাধীনতা ও সমতা পরস্পর বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ লর্ড একটন।
প্রশ্ন ১৬। “আইনের চোখে সকল সমান”– ধারণাটি কোন্ প্রকার সমতার কথা ব্যক্ত করে?
উত্তরঃ পৌর সমতার।
প্রশ্ন ১৭। মার্কসবাদ কোন্ প্রকার সমতার উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে।
উত্তরঃ অর্থনৈতিক সমতার উপর।
প্রশ্ন ১৮। সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার প্রবর্তনের মাধ্যমে কোন্ প্রকার সমতা প্রতিষ্ঠা করবার ব্যবস্থা করা হয়?
S.L. No. | সূচীপত্র |
প্রথম খণ্ড | |
পাঠ – ১ | সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? |
পাঠ – ২ | ভারতীয় সংবিধানে অধিকার |
পাঠ – ৩ | নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব |
পাঠ – ৪ | সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা |
পাঠ – ৫ | কেন্দ্র ও রাজ্য |
পাঠ – ৬ | বিচার বিভাগ |
পাঠ – ৭ | যুক্তরাষ্ট্রবাদ |
পাঠ – ৮ | স্থানীয় সরকার |
পাঠ – ৯ | জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান |
পাঠ – ১০ | সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন |
দ্বিতীয় খণ্ড | |
পাঠ – ১১ | রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা |
পাঠ – ১২ | স্বাধীনতা |
পাঠ – ১৩ | সমতা |
পাঠ – ১৪ | সামাজিক ন্যায় |
পাঠ – ১৫ | অধিকার |
পাঠ -১৬ | নাগরিকত্ব |
পাঠ -১৭ | জাতীয়তাবাদ |
পাঠ -১৮ | ধর্মনিরপেক্ষতা |
পাঠ -১৯ | শান্তি |
পাঠ -২০ | উন্নয়ন |
উত্তরঃ রাজনৈতিক সমতা।
প্রশ্ন ১৯। সমতার একটি বৈশিষ্ট্য লেখো?
উত্তরঃ সমতা চূড়ান্ত নয়, তা আপেক্ষিক।
প্রশ্ন ২০। অর্থনৈতিক সমতার লক্ষ্য কী?
উত্তরঃ সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা।
সঠিক উত্তর বেছে লেখোঃ
প্রশ্ন ১। মার্ক্সবাদীদের মতে মৌলিক সমতা হলঃ
(ক) সামাজিক সমতা।
(খ) রাজনৈতিক সমতা।
(গ) অর্থনৈতিক সমতা।
(ঘ) আইনগত সমতা।
উত্তরঃ (গ) অর্থনৈতিক সমতা।
প্রশ্ন ২। আইনগত সমতার দাবি উত্থাপিত হয়েছিলঃ
(ক) সপ্তদশ শতকে।
(খ) ঊনবিংশ শতকে।
(গ) অষ্টাদশ শতকে।
(ঘ) বিংশ শতকে।
উত্তরঃ (গ) অষ্টাদশ শতকে।
প্রশ্ন ৩। “অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ব্যতীত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।” কার উক্তি?
(ক) অধ্যাপক লাস্কি।
(খ) জন লক।
(গ) থমাস হবস্
(ঘ) রুশো।
উত্তরঃ (ক) অধ্যাপক লাস্কি।
প্রশ্ন ৪। “ক্ষুধা ও অভাব হতে স্বাধীনতা” – কি ধরনের সমতা?
(ক) সামাজিক সমতা।
(খ) প্রাকৃতিক সমতা।
(গ) অর্থনৈতিক সমতা।
(ঘ) পৌর সমতা।
উত্তরঃ (গ) অর্থনৈতিক সমতা।
প্রশ্ন ৫। সংবিধানের কোন্ অনুচ্ছেদ মতে “আইনের চক্ষে সকল সমান”?
(ক) ১৪ অনুচ্ছেদ মতে।
(খ) ১১ অনুচ্ছেদ মতে।
(গ) ২২ অনুচ্ছেদ মতে।
(ঘ) ২১ অনুচ্ছেদ মতে।
উত্তরঃ (ক) ১৪ অনুচ্ছেদ মতে।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। “সকলের জন্য সমান সুযোগ” বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তরঃ “সকলের জন্য সমান সুযোগ” এর ধারণা আধুনিককালে উদারপন্থিগণ দিয়েছেন। এই ধারণামতে, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার বংশ, পদমর্যাদা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান সুযোগ দেওয়ার কথাই বোঝায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সমতা বলতে সকলে সমান বা সমান হতে হবে একথা বোঝায় না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সমতার প্রকৃত অর্থ হল, সকলকে সমান সুযোগ দিয়ে তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ সহজ করে দেওয়া।
প্রশ্ন ২। সমতা অর্থে কী বোঝায়?
অথবা,
সমতার অর্থ কী?
উত্তরঃ সমতা বলতে সকলে সমান বা সমান হতে হবে তা বোঝায় না। সমতার প্রকৃত অর্থ হল, সমাজে বসবাসরত সকলকেই সমান সুযোগ দিয়ে তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথ সহজ করে দেওয়া। তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে, সমতা বলতে সমাজের সকল ব্যক্তিকে সমান সুযোগ দেওয়ার কথাই বোঝায়।
প্রশ্ন ৩। যে কোনো দুপ্রকারের সমতা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ দুপ্রকার সমতা হল–
(ক) পৌর সমতা। এবং
(খ) আইনগত সমতা।
প্রশ্ন ৪। “আইনের চক্ষে সকল সমান” বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তরঃ “আইনের চক্ষে সকল সমান”– এ ধারণাটি ব্যক্ত করে পৌর সমতা। পৌর সমতার অর্থ হল যে প্রত্যেক নাগরিকই আইনের চক্ষে সমান এবং আইন সকলকেই সমানভাবে রক্ষা করবে। কোনো ব্যক্তি বিশেষকে কোনো বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে না। আইনের চক্ষে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, প্রতিপত্তি নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তিই সমান এবং আইন সকলকে সমানভাবে সুরক্ষা প্রদান করবে। এই সমতা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি।
প্রশ্ন ৫। রাজনৈতিক সমতা কী?
উত্তরঃ রাজনৈতিক অধিকারসমূহ উপভোগের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক সকল নাগরিকদের সমতাকে রাজনৈতিক সমতা বলে। সার্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার প্রবর্তনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠা করবার ব্যবস্থা করা হয়। এক কথায় রাজনৈতিক সমতা বলতে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যে অংশ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিককে সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করা বোঝায়।
প্রশ্ন ৬। সামাজিক বৈষম্য সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?
উত্তরঃ সমাজে জন্ম, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যখন সুযোগ–সুবিধা প্রদান করা হয়, তখন তাকে সামাজিক বৈষম্য বলা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বৈষম্য বলতে কোনো বিশেষ শ্রেণীর লোকের জন্য কোনো বিশেষ সুবিধার কথা বোঝায়। হিন্দু সমাজে শুদ্র বা অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ের লোকদের তাদের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত রাখা হত। আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গদের কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনায় উচ্চ মনে করা হত। যার ফলে কৃষ্ণাঙ্গ লোকেরা নানা অধিকার হতে বঞ্চিত থাকত। কুখ্যাত বর্ণবৈষম্য নীতি ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচলিত ছিল। এসব বৈষম্য সামাজিক বৈষম্যের উদাহরণ। এ বৈষম্য সমাজ সৃষ্টি করেছে। সামাজিক পদমর্যাদা ও সুযোগ–সুবিধা উপভোগের বিষয়ে যখন সকলের অধিকার সমান হয় না, তখন আমরা এটাকে সামাজিক বৈষম্য বলি।
প্রশ্ন ৭। সমতা সম্পর্কে মার্ক্সবাদী মতামত ব্যাখ্যা করো?
অথবা,
সমতা সম্পর্কে মার্ক্সবাদীদের অভিমত কী?
উত্তরঃ মার্ক্সবাদ অর্থনৈতিক সমতার উপর গুরুত্ব প্রদান করেছে। মার্ক্সবাদ সমাজে থাকা বৈষম্যসমূহ হ্রাস অথবা নির্মূল করতে চায়। মার্ক্সবাদ কয়েকজনের হাতে রাষ্ট্রসম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিরোধিতা করে। মার্ক্সের মতে সমাজে আর্থিকভাবে শক্তিশালী শ্রেণী রাজনৈতিকভাবেও প্রভাবশালী হয়। এই শ্রেণী নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্রের কার্যপ্রণালী বা শাসন প্রণালীকেও নিয়ন্ত্রিত করে। সেজন্য মার্কস সম্পদের উৎপাদন ও বণ্টন প্রক্রিয়ায় সামগ্রিক কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা বলেছেন। তাঁর মতে এভাবেই অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অর্থনৈতিক সমতা স্থাপিত হলে অন্যান্য বিষয়েও সমতা প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য।
প্রশ্ন ৮। সমতার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো?
অথবা,
সমাজে সমতার প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ আমাদের সমাজে আমাদর চারিদিকে নানা প্রকার অসাম্য বা বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, লিঙ্গ, প্রতিপত্তি প্রভৃতি বিষয়সমূহের উপর ভিত্তি করে সমাজে নানাপ্রকার বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামাজিক মর্যাদা ও সুযোগ–সুবিধা উপভোগের ক্ষেত্রেও বৈষম্য দেখা যায়। রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক অধিকারসমূহের উপভোগের ক্ষেত্রেও বৈষম্য দেখা যায়। সমাজের সকল বৈষম্যসমূহ দূর করাই সমতার লক্ষ্য। তাই সমাজে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করার জন্য সমতার নীতি প্রতিষ্ঠিত করা। আবশ্যক।
প্রশ্ন ৯। কীভাবে আমরা সাম্যের বৃদ্ধি করতে পারি?
অথবা,
সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন পদ্মাগুলি উল্লেখ করো?
উত্তরঃ সমতা নিম্নোক্ত উপায়ে বৃদ্ধি করা যেতে পারেঃ
(ক) আনুষ্ঠানিক সাম্যের প্রতিষ্ঠাঃ “সকলের জন্য সমান অধিকার” – এ নীতি স্বীকৃত হওয়া আবশ্যক। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে প্রচলিত আর্থ–সামাজিক বৈষম্য দূর করে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠা করা।
(খ) বিভিন্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমতাঃ সমাজে সকল মানুষের প্রতিভা, দক্ষতা বা সামর্থ্য একই ধরনের হয় না। তাই সমাজে সমতা স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। তাই বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমাজে সমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। যেমন দুর্বল ও দরিদ্র শ্রেণীর জন্য বিশেষ সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করা।
(গ) ইতিবাচক প্রক্রিয়াঃ বঞ্চিত বা পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর সুবিধার জন্য পছন্দ মত ব্যয় করার ব্যবস্থা, শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে অনুন্নত শ্রেণীর মানুষকে সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান, সংরক্ষণ নীতির ব্যবস্থা রাখা প্রভৃতি ইতিবাচক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
প্রশ্ন ১০। সমাজবাদ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ সমাজবাদ বা Socialism শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Socias’ হতে উদ্ভূত হয়েছে। ‘Socias’ শব্দের অর্থ হল সমাজ বা Society। সমাজবাদ সমাজের আর্থ–সামাজিক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সমাজবাদ এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে শ্রেণী বৈষম্যের কোনো স্থান থাকবে না। সমাজবাদে উৎপাদনের উপায় ও বিনিময়ের উপর সামাজিক মালিকানা সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণ দ্বারা সমাজবন্ধ জনস্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন ১১। সমতার যে কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো?
উত্তরঃ সমতার দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তি হল সমতা।
(খ) সমতা চূড়ান্ত বা স্বতঃসিদ্ধ নয়, তা আপেক্ষিক।
প্রশ্ন ১২। রামমনোহর লোহিয়া চিহ্নিত যে কোনো দু–প্রকার বৈষম্যের উল্লেখ করো?
উত্তরঃ রামমনোহর লোহিয়া চিহ্নিত দু প্রকার বৈষম্য হলঃ
(ক) নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য।
(খ) জাত ও সাম্প্রদায়িক ভিত্তিক বৈষম্য।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সমতা ও স্বাধীনতার মধ্যে সম্পর্ক সংক্ষেপে আলোচনা করো?
উত্তরঃ লর্ড একটন এবং ডি. টকভিল স্বাধীনতা ও সমতাকে একটি অপরটির পরিপুরক হিসাবে গ্রহণ করেন নি। কারণ তাদের মতে সমতা প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা ব্যক্তির পূর্ণ স্বাধীনতা নষ্ট করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্বাধীনতা বলতে স্বেচ্ছাচারিতা বোঝায় না। কারণ চরম স্বাধীনতা সমতা নষ্ট করে। উৎপাদন ও সম্পদ বণ্টন ব্যবস্থায় যদি বেশি পার্থক্য হয়, তাহলে মুষ্টিমেয় কতিপয় ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা ও সম্পদ পুঞ্জিভূত হয়ে যাবে। ফলে রাষ্ট্রের কার্যে দরিদ্র ব্যক্তি অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ব্যতীত সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা মূল্যহীন। সুতরাং প্রকৃত স্বাধীনতা ও সমতা উভয়ই সমাজে একে অন্যের সম্পূরক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত।
প্রশ্ন ২। সমতা সম্পর্কে উদারবাদীদের মতামত ব্যাখ্যা করো?
অথবা,
উদারবাদ সমতা ব্যাখ্যা করো?
অথবা,
সমতা সম্পর্কে উদারবাদ মতবাদ ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ হবস্ (Hobbes), লক (Locke), রুশো (Rousseau), মিল (Mill), গ্ৰীন (Green) প্রমুখ রাজনৈতিক চিন্তাবিদদের রচনায় আমরা সমতা সম্পর্কিত উদারবাদের ধারণা পাই। সমতা সম্পর্কে উদারবাদের অভিমতকে নিম্নোক্ত ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারেঃ
(ক) উদারবাদীরা মানুষের প্রকৃতির সমতার উপর গুরুত্ব প্রদান করেছেন। হবসের মতে, প্রকৃতি মানুষকে মোটামোটি সমানভাবে সৃষ্টি করেছে। লকের মতে, – স্বাভাবিকভাবে সকল মানুষ মুক্ত, সমান ও স্বাধীন। রুশোর মতে, – মানুষ স্বাভাবিক কারণেই স্বাধীনতা ও সমতার অধিকারী।
(খ) জন স্টুয়ার্ট মিল সংখ্যা লঘিষ্ঠের উপর সংখ্যা গরিষ্ঠের অত্যাচারের বিরোধিতা করেছেন।
(গ) টি. এইচ. গ্রীন মানুষের নৈতিক সমতাকে সমর্থন করেছেন এবং তাদের সমতার দাবির বিবেচনাকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রশ্ন ৩। ইতিবাচক সমতার তিনটি উপাদান লেখো?
উত্তরঃ ইতিবাচক সমতার প্রয়োজনীয় তিনটি উপাদান নিম্নরূপঃ
(ক) ব্যক্তিত্ব বিকাশে সকলের জন্য যথোপযুক্ত সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা।
(খ) অধিকার সমূহ সমভাবে বণ্টন করা।
(গ) সকলের সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার।
প্রশ্ন ৪। রাজনৈতিক সমতা ও সামাজিক সমতার মধ্যে পার্থক্য দেখাও?
উত্তরঃ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সমতা সাধারণতঃ রাষ্ট্রের সকল সদস্যকে সমান নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমরূপেই গণ্য করা হয়। সমান নাগরিকত্ব প্রদানের সঙ্গে যুক্ত আরও কিছু মূল অধিকার; যেমন– ভোটাধিকার, নির্বাচনে অংশ গ্রহণের অধিকার, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদি। এক কথায় রাজনৈতিক অধিকার সমূহ উপভোগের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক সকল নাগরিকদের সমান অধিকারকে রাজনৈতিক সমতা বলে।
সামাজিক সমতার অর্থ হল জন্ম, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি কারণে কোন ব্যক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না, আবার অর্জিত কোন বিশেষ সুবিধার জন্য কোন ব্যক্তি বিশেষ অধিকারও উপভোগ করতে পারবে না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বংশ, স্ত্রীপুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান সুযোগ– সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বিশেষ সামাজিক পদমর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা উপভোগের বিষয়ে সমাজে সকল মানুষের সমান অধিকার – এটি সামাজিক সমতার মূল বক্তব্য।
প্রশ্ন ৫। সমতা ও সমরূপতার পার্থক্য নির্দেশ করো?
অথবা,
সমতা ও একরূপতার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো?
উত্তরঃ সমতা বলতে সমরূপতা বা একরূপতা বোঝায় না। সকল মানুষের সঙ্গে আচরণ এক ধরনের হতে পারে না। কারণ বিভিন্ন মানুষের প্রতিভা, দক্ষতা ও ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। তাই দক্ষ ও অদক্ষকে সমানভাবে দেখা সম্ভব নয়।
সমতা ও সমরূপতার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
সমতা | সমরূপতা |
(ক) সকলের জন্য যথোপযুক্ত সুযোগ। | (ক) সকলের জন্য একরূপ বা সমান সুযোগ। |
(খ) এটি প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিভা, দক্ষতা ও সামর্থ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। | (খ) এটি প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিভা, দক্ষতা ও সামর্থ্যকে স্বীকৃতি দেয় না। |
(গ) সমতা সমাজে কাম্য। | (গ) সমরূপতা বা একরূপতা সমাজের সকল ক্ষেত্রে কাম্য নয়। |
প্রশ্ন ৬। সামাজিক সমতা কী?
উত্তরঃ সমাজিক সমতা হল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বংশ, লিঙ্গ, ভাষা, প্রতিপত্তি নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সমান সুযোগ–সুবিধা প্রদান করা। জন্মগত ধর্মগত ইত্যাদি কারণে সমাজে কোনো ব্যক্তিকে অযোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে না, আবার অর্জিত কোনো সামর্থ্য বা ক্ষমতার জন্য কোনো ব্যক্তি বিশেষ কোনো অধিকারও উপভোগ করবে না। সামাজিক পদ মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা উপভোগের ক্ষেত্রে সকল ব্যক্তিই সমান – এ ধারণা সামাজিক সমতার মূল বিষয়।
প্রশ্ন ৭। রামমনোহর লোহিয়া ভারতে যে পাঁচ প্রকার বৈষম্য বা অসমতা চিহ্নিত করেছেন তা উল্লেখ করো?
উত্তরঃ রাম মনোহর লোহিয়া চিহ্নিত পাঁচ প্রকার বৈষম্য নিম্নরূপঃ
(ক) লিঙ্গ বৈষম্য।
(খ) বর্ণ বৈষম্য অর্থাৎ গায়ের চামড়ার রং-এর ভিত্তিতে বৈষম্য।
(গ) জাতি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক বৈষম্য।
(ঘ) রাজনৈতিক বৈষম্য।
(ঙ) আর্থিক বৈষম্য।
প্রশ্ন ৮। রামমনোহর লোহিয়ার সাতপ্রকার বিপ্লব বা ‘সংক্রান্তি’ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ রামমনোহর লোহিয়ার সাতপ্রকার বিপ্লব বা ‘সক্রান্তি’ হল নিম্নরূপঃ
(ক) লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব বা ক্রান্তি।
(খ) বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব বা ক্রান্তি।
(গ) জাত ও সম্প্রদায় ভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব বা ক্রান্তি।
(ঘ) রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব বা ক্রান্তি।
(ঙ) আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব বা ক্রান্তি।
(চ) ব্যক্তিগত জীবনে অন্যায় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিপ্লব।
(ছ) অস্ত্র সংবরণের জন্য ক্রান্তি।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.