Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 15 অধিকার The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন 2023 Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

অধিকার

একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান

দ্বিতীয় খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। একটি মৌলিক অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সমতার অধিকার। 

প্রশ্ন ২। যে কোনো একটি অর্থনৈতিক অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ কাজ করার অধিকার। 

প্রশ্ন ৩। প্রাকৃতিক অধিকারের সমর্থক কে ছিলেন?

উত্তরঃ থমাস হবস্ ও জন লক্। 

প্রশ্ন ৪। নাগরিকের যে কোনো একটি কর্তব্য লেখো?

উত্তরঃ রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা। 

প্রশ্ন ৫। মানবাধিকার বলতে তুমি কী বোঝ?

উত্তরঃ বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও স্বাধীনতার মূল হচ্ছে সমগ্র মানব সমাজে সকলের মর্যাদা ও সমান অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া। এই উদ্দেশ্যে মানবাধিকার সনদে কতিপয় অধিকার বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলোকে মানবাধিকার আখ্যা দেওয়া হয়। 

প্রশ্ন ৬। কাণ্ট প্রদত্ত অধিকার প্রদান সম্পর্কে একটি কারণ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ মানুষ নিজেদের মধ্যে মুল্যবান। তাই প্রত্যেক মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করার জন্য অধিকার প্রদান করা প্রয়োজন। 

প্রশ্ন ৭। “অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত।”– এ কথা কে বলেছেন?

উত্তরঃ অধ্যাপক লাস্কি।

প্রশ্ন ৮। কোন্ অধিকার নাগরিক ও বিদেশি উভয়েই ভোগ করতে পারে?

উত্তরঃ শিক্ষার অধিকার।

প্রশ্ন ৯। স্বামীর নিকট বিবাহিত স্ত্রীর ভরণ–পোষণ দাবি কী ধরনের অধিকার?

উত্তরঃ আইনগত অধিকার।

প্রশ্ন ১০। “যে সামাজিক শর্ত বা সুযোগ–সুবিধা ব্যতীত মানুষ তার ব্যক্তিত্বের পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারে না, সেই সামাজিক শর্তই হল অধিকার।” এটি কার উক্তি? 

উত্তরঃ অধ্যাপক লাস্কি। 

প্রশ্ন ১১। “অধিকার হল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী সেইসকল সুযোগ–সুবিধা যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সংরক্ষিত।” – এটি কার উক্তি?

উত্তরঃ বার্কার।

প্রশ্ন ১২। একটি পৌর অধিকার উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ সম্পত্তির অধিকার।

প্রশ্ন ১৩। UNDP-র সম্পূর্ণ রূপটি কী? 

উত্তরঃ United Nations Development Programme.

প্রশ্ন ১৪। মানব অধিকারের একটি উদাহরণ দাও?

উত্তরঃ জীবনের অধিকার (Right to life)।

প্রশ্ন ১৫। কোন্ দিনটিকে ‘বিশ্ব মানব অধিকার দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়?

উত্তরঃ ১০ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ১৬। একটি রাজনৈতিক অধিকারের উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ ভোটদানের অধিকার।

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
পাঠ – ১সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
পাঠ – ২ভারতীয় সংবিধানে অধিকার
পাঠ – ৩নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 
পাঠ – ৪সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা
পাঠ – ৫কেন্দ্র ও রাজ্য
পাঠ – ৬বিচার বিভাগ 
পাঠ – ৭যুক্তরাষ্ট্রবাদ 
পাঠ – ৮স্থানীয় সরকার 
পাঠ – ৯জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান
পাঠ – ১০সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
দ্বিতীয় খণ্ড
পাঠ – ১১রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা
পাঠ – ১২স্বাধীনতা
পাঠ – ১৩ সমতা
পাঠ – ১৪সামাজিক ন্যায়
পাঠ – ১৫অধিকার
পাঠ -১৬নাগরিকত্ব
পাঠ -১৭জাতীয়তাবাদ
পাঠ -১৮ধর্মনিরপেক্ষতা
পাঠ -১৯শান্তি
পাঠ -২০উন্নয়ন

সঠিক উত্তর বেছে লেখো:

প্রশ্ন ১। পৌর অধিকারগুলো নাগরিকদের প্রদান করে –

(ক) প্রকৃতি।

(খ) ঈশ্বর।

(গ) জনগণ।

(ঘ) রাষ্ট্র।

উত্তরঃ (ঘ) রাষ্ট্র।

প্রশ্ন ২। প্রাকৃতিক অধিকার আমাদের প্রদান করেঃ

(ক) সংবিধান।

(খ) সংসদ।

(গ) ঈশ্বর বা প্রকৃতি।

(ঘ) রাজা।

উত্তরঃ (গ) ঈশ্বর বা প্রকৃতি।

প্রশ্ন ৩। জীবনের অধিকার একটিঃ

(ক) নৈতিক অধিকার।

(খ) রাজনৈতিক অধিকার।

(গ) পৌর অধিকার।

(ঘ) অর্থনৈতিক অধিকার।

উত্তরঃ (গ) পৌর অধিকার।

প্রশ্ন ৪। কোন্ দিনটি মানবাধিকার দিবস হিসাবে পালিত হয়?

(ক) ১০ই ডিসেম্বর।

(খ) ২৪শে অক্টোবর।

(গ) ১১ই সেপ্টেম্বর।

(ঘ) ২৬শে নভেম্বর।

উত্তরঃ (ক) ১০ই ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ৫। রাষ্ট্রসংঘ সর্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছিল ১৯৪৫/ ১৯৪৮/ ১৯৫০ সনে। (সঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)

উত্তরঃ ১৯৪৮।

প্রশ্ন ৬। জীবনের অধিকার হল একটি নাগরিক অধিকার/রাজনৈতিক অধিকার/ অর্থনৈতিক অধিকার।

উত্তরঃ নাগরিক অধিকার।

শূন্যস্থান পূর্ণ করোঃ

প্রশ্ন ১। ভোটদানের অধিকার একটি …………….. অধিকার।

উত্তরঃ রাজনৈতিক।

প্রশ্ন ২। অধিকার এবং ………….. একই মুদ্রার দুদিক।

উত্তরঃ কর্তব্য।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অধিকারের অর্থ ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনের সার্বিক বিকাশ কাম্য। সেই বিকাশ সাধনে কতকগুলো সুযোগ–সুবিধার প্রয়োজন হয়। ব্যক্তির এই সার্বিক বিকাশে প্রয়োজনীয় সামাজিক অবস্থা বা সুযোগ–সুবিধাকেই অধিকার আখ্যা দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ২। অধিকার ও দাবিসমূহের মধ্যে পার্থক্য দেখাও?

উত্তরঃ দাবি ও অধিকারের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। অধিকার ও দাবিসমূহের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ 

(ক) সকল দাবি অধিকার নয়, কিন্তু সকল অধিকারই দাবি। 

(খ) অধিকার আইন অনুমোদিত। কিন্তু দাবি আইন অনুমোদিত নয়। 

(গ) অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। কিন্তু দাবির জন্য এরূপ কোনো সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। কারণ রাষ্ট্র দাবিকে স্বীকৃতি ও সংরক্ষণ দিলে এটি অধিকারে পরিণত হবে।

প্রশ্ন ৩। যে কোনো দুটি রাজনৈতিক অধিকারের বিবরণ দাও?

উত্তরঃ রাজনৈতিক অধিকার বলতে রাষ্ট্রীয় কার্যে নাগরিকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ গ্রহণের সুযোগ বোঝায়। 

দুই প্রকার রাজনৈতিক অধিকার হল নিম্নরূপঃ

(ক) ভোটদানের অধিকারঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের ভোটদানের অধিকার। ভারতে সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার ১৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর প্রত্যেক নাগরিক লাভ করে।

(খ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারঃ প্রত্যেক নাগরিক রাষ্ট্রীয় কার্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারী। 

প্রশ্ন ৪। আইনগত অধিকার ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ আইনগত অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত অধিকার। এই অধিকার সমূহ সরকারি আইন দ্বারা অনুমোদিত। এই অধিকার খর্ব হলে বঞ্চিত ব্যক্তি বিচারালয়ের দ্বারস্থ হতে পারে। আইনগত অধিকারকে 

(ক) পৌর অধিকার। 

(খ) রাজনৈতিক অধিকার।

(গ) অর্থনৈতিক অধিকার।

(ঘ) সামাজিক অধিকারে বিভক্ত করা যায়।

প্রশ্ন ৫। অধিকারসমূহ ব্যক্তির নিকট প্রয়োজনীয় কেন?

উত্তরঃ অধিকারের ধারণা সমাজ হতে উদ্ভূত। প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার জীবনের সার্বিক বিকাশ সাধনের জন্য কতকগুলো সামাজিক শর্তের প্রয়োজন হয়। এই সামাজিক শর্ত সমূহকেই অধিকার বলা হয়। অধিকার ব্যতীত ব্যক্তির পূর্ণ আত্মবিকাশ সম্ভব নয়। 

প্রশ্ন ৬। “অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত।” আলোচনা করো?

উত্তরঃ প্রবাদ আছে – “Rights imply duties.” অর্থাৎ অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত। অধ্যাপক লাস্কির মতে “অধিকার শুধু সমাজের কাছ হতে পাওয়ার ব্যাপার নয়। বিনিময়ে সমাজকে দিতেও হয়, সমাজের সঙ্গে এই দেওয়া–নেওয়ার সম্পর্কই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক।” মানুষের দাবি রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতির মাধ্যমে অধিকার রূপে গণ্য হয়। অধিকার স্বীকৃতির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার এসে পড়ে, আর এই দায়িত্ব পালনকেই আমরা কর্তব্য হিসাবে গণ্য করি। প্রতিটি অধিকারের সঙ্গে দায়িত্ব বা কর্তব্য জড়িত থাকে। এরা যেন একই মুদ্রার দুপিঠ। যার মূল লক্ষ্য হল ব্যক্তি ও সমাজ উিভয়ের কল্যাণ সাধন ।

প্রশ্ন ৭। কাজের অধিকার সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?

উত্তরঃ কাজের অধিকার একটি অর্থনৈতিক অধিকার। অধ্যাপক লাস্কির মতে, কাজের অধিকার নাগরিকদের একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। জীবনের উদ্দেশ্য/লক্ষ্য পূরণ করার জন্য কাজের অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কাজের অধিকারের মাধ্যমে নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতিও তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য কাজের অধিকারের প্রয়োজন। চৈনিক সংবিধান (১৯৮২) কাজের অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

প্রশ্ন ৮। “বাক্ ও মতামত প্রকাশে স্বাধীনতা”– অধিকার সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?

উত্তরঃ বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য কবি, দার্শনিক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এ অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন। মিলটন এবং জন স্টুয়ার্ট মিল এ অধিকারের প্রধান সমর্থক। 

প্রশ্ন ৯। আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিকরা উপভোগ করেন এমন দু প্রকার পৌর অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ আধুনিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের উপভোগ করা দু প্রকার পৌর অধিকার হলঃ

(ক) স্বাধীনভাবে বাক ও মতামত প্রকাশের অধিকার।

(খ) জীবনের অধিকার। 

প্রশ্ন ১০। প্রাকৃতিক অধিকার বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক অধিকার হল যে সকল অধিকার রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে প্রকৃতি–রাজ্যে (State of Nature) মানুষ ভোগ করত। হবস্ ও লক্ এর মতানুযায়ী প্রকৃতির রাজ্যে মানুষ এই অধিকার ভোগ করত। প্রাকৃতিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নয়। বর্তমান কালে এই অধিকারের কোনো গ্রহণ যোগ্যতা নেই।

প্রশ্ন ১১। নাগরিকের অধিকার রক্ষার দুটি উপায় উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নাগরিকের অধিকার রক্ষার দুটি উপায় নিম্নরূপঃ

(ক) লিখিত সংবিধান।

(খ) স্বাধীন বিচার বিভাগ ।

প্রশ্ন ১২। ‘অধিকার’ এর যে কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো?

উত্তরঃ “অধিকার” এর দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ 

(ক) অধিকার চূড়ান্ত বা স্বতঃসিদ্ধ নয়।

(খ) অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। 

প্রশ্ন ১৩। ব্যক্তিগত অধিকার রাষ্ট্রের উপর সীমাবদ্ধ কেন? দুটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ সংবিধান, প্রাথমিকভাবে অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়। আমাদের দেশে নাগরিকদের জন্য যে অধিকারগুলো সংবিধানে স্বীকৃত সেগুলোকে ‘মৌলিক অধিকার’ বলা হয়। অধিকার রাষ্ট্রের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। 

কারণ –

(ক) আমাদের সংবিধান নাগরিকদের জন্য কতকগুলো মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে। এই অধিকারগুলো উপভোগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। নাগরিকের এই ব্যক্তিগত অধিকার রাষ্ট্রের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। 

(খ) কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা সরকার কর্তৃক কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট নাগরিক তার অধিকার রক্ষাকল্পে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। উচ্চতম আদালত/উচ্চতর আদালত বিভিন্ন ধরনের লেখ জারি করে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের অধিকার রক্ষা করে। সুতরাং দেখা যায় যে ব্যক্তিগত অধিকার রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের উপর সীমাবন্ধতা বা বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। 

প্রশ্ন ১৪। মানবাধিকারের ধারণা বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ মানবাধিকার সুসভ্য সমাজের মুখ্য বিষয়। মানব সমাজের সভ্য হিসাবে আত্মবিকাশ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য মানুষের কতকগুলো অধিকার ভোগ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই অধিকারগুলোকে মানবাধিকার আখ্যা দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বের সকল মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ ১৯৪৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অনেক পরিশ্রমের পর রাষ্ট্রসংঘের মানব অধিকার আয়োগ মানবাধিকারের সার্বিক ঘোষণাপত্র তৈরি করে। এই ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত অধিকারগুলো। বিশ্বজনীন অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকারগুলো হল–

(ক) জীবনধারণের অধিকার। 

(খ) স্বাধীনতা ও সমতার অধিকার।

(গ) সম্পত্তির অধিকার।

(ঘ) স্বাধীনভাবে কথা বলার ও মতামত প্রকাশের অধিকার। 

(ঙ) ভয় থেকে মুক্তির অধিকার ইত্যাদি।

মানবাধিকার বিশ্বের মানব সমাজকে সর্বাঙ্গীন ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুবিধা দান করেছে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অধিকারের অর্থ ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ বার্কারের মতে, অধিকার হল ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী সেই সকল সুযোগ–সুবিধা যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত বা সংরক্ষিত; অর্থাৎ অধিকার সকল ব্যক্তির আত্মবিকাশের সহায়ক এবং রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। অধিকার সুষ্ঠু সমাজ জীবন প্রতিষ্ঠার সহায়ক। অধিকারের মধ্যে কর্তব্য নিহিত থাকে। 

প্রশ্ন ২। নৈতিক অধিকার বলতে তুমি কী বোঝ?

উত্তরঃ যে সকল অধিকারের ভিত্তি মানুষের নৈতিক বোধ জাগ্রত হয় সেই সকল অধিকারকে নৈতিক অধিকার আখ্যা দেওয়া হয়। এ অধিকারগুলো সমাজের রীতিনীতি, আচার–আচরণ, প্রচলিত প্রথার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। এ অধিকারগুলো আদালত দ্বারা বলবৎযোগ্য নয়। পিতামাতাকে পুত্র সেবা করবে – এটি একটি নৈতিক অধিকার। স্ত্রীর স্বামীর নিকট হতে সদ্ব্যবহারের দাবি নৈতিক অধিকারের একটি উদাহরণ। 

প্রশ্ন ৩। অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?

উত্তরঃ অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক আছে। প্রবাদ আছে, Rights imply duties অর্থাৎ অধিকারের মধ্যেই কর্তব্য নিহিত। এরা যেন একই মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ। লাস্কির মতে, “অধিকার শুধু সমাজের কাছ হতে পাওয়ার ব্যাপার নয়। বিনিময়ে সমাজকে দিতে হয়, সমাজের সঙ্গে ব্যক্তির এই দেওয়া–নেওয়ার সম্পর্কই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক”। অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও নৈতিকতার জীবনে বিদ্যমান। 

প্রশ্ন ৪। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে শিক্ষার ভূমিকা ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য শিক্ষার অধিকার অপরিহার্য। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল শিক্ষাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। ব্যক্তির সার্বিক বিকাশের জন্য শিক্ষার অধিকার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিক্ষা ব্যতীত ব্যক্তি অন্যান্য অধিকার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারে না। শিক্ষাই ব্যক্তিকে ভাল নাগরিকে পরিণত করে। শিক্ষাই নাগরিককে সর্ববিষয়ে সচেতন করে তোলে। এ জন্য শিক্ষার অধিকার ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ৫। আইনগত অধিকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করো? 

উত্তরঃ রাষ্ট্র স্বীকৃত অধিকারগুলো আইনগত অধিকার। এই অধিকারগুলো রাষ্ট্র সংরক্ষণ করে। আইনগত অধিকার চার প্রকার– পৌর অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার ও সামাজিক অধিকার। এই চারপ্রকার অধিকার রাষ্ট্রের আইন দ্বারা অনুমোদিত। তাই এই অধিকার রক্ষার দায়িত্বও রাষ্ট্রের হাতে থাকে। রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি আত্ম সচেতন হয়ে উঠতে পারে। আইনগত অধিকার রাষ্ট্রকে কেবলমাত্র নির্দেশ দেয় না, এ অধিকার রাষ্ট্রকে পথও দেখায় এবং কীভাবে তা সমাজের সার্বিক কল্যাণ করে তাও সুনিশ্চিত করে। সরকারের সহযোগিতা ও আইন প্রণয়নের দ্বারাই মানুষের সকল অধিকার সুনিশ্চিত ও সুরক্ষিত হয়। আইনগত অধিকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। 

প্রশ্ন ৬। নাগরিকের যে কোনো চারটি রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নাগরিকের চারটি রাজনৈতিক অধিকার হল নিম্নরূপঃ

(ক) ভোটদানের অধিকার।

(খ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার।

(গ) সরকারের সমালোচনা করার অধিকার। 

(ঘ) রাজনৈতিক দল গঠন করার অধিকার।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top