Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XI Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Logic and Philosophy Chapter 3 অনুমান

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Medium Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy in Bengali Solution, Class 11 Logic and Philosophy in Bengali textbooks Solution Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. Assam Board HS 1st Year Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

ভাগ – ১ অনুমান

প্রথম খণ্ড

অতি- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অনুমান কী?

উত্তরঃ পূর্বলব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে অপর বা নতুন জ্ঞানে উপনীত হওয়ার যে প্রক্রিয়া, তাকে অনুমান বলে।

প্রশ্ন ২। অনুমান প্রধানত কয় প্রকার?

উত্তরঃ দুই প্রকার।

প্রশ্ন ৩। অনুমানের প্রকারভেদগুলি কী কী?

উত্তরঃ আরোহ অনুমান এবং অবরোহ অনুমান।

প্রশ্ন ৪। অবরোহ অনুমান মূলত কয় প্রকার?

উত্তরঃ দুই প্রকার।

প্রশ্ন ৫। অবরোহ অনুমানের প্রকারভেদগুলি কী কী?

উত্তরঃ অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমান।

প্রশ্ন ৬। অমাধ্যম অনুমান কি প্রকৃত অনুমান?

উত্তরঃ হ্যাঁ, প্রকৃত অনুমান।

প্রশ্ন ৭। অমাধ্যম অনুমানে দুটি আধারবাক্য (আশ্রয়বাক্য) থাকে—কথাটি কি সত্য?

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ৮। মাধ্যম অনুমানে দুটি আধারবাক্য বা হেতুবাক্য থাকে—কথাটি কি সত্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৯। সমবর্তন এবং প্রতিবর্তন কোন্ ধরনের অনুমান?

উত্তরঃ অমাধ্যম অনুমান।

প্রশ্ন ১০। সমবর্তনের অপর নাম কী?

উত্তরঃ আবর্তন।

প্রশ্ন ১১। সমবর্তন বা আবর্তনের সিদ্ধান্তের নাম কী?

উত্তরঃ সমবর্তিত বা আবর্তিত।

প্রশ্ন ১২। সমবর্তিত বা আবর্তনের আশ্রয়বাক্যের নাম কী?

উত্তরঃ সমবর্তনীয় বা আবর্তনীয়।

প্রশ্ন ১৩। বস্তুগত প্রতিবর্তন যথার্থ প্রতিবর্তন কি?

উত্তরঃ না, বস্তুগত প্রতিবর্তন যথার্থ প্রতিবর্তন নয়। 

প্রশ্ন ১৪। কোন্ বচনের বৈধ সমবর্তন সম্ভব হয় না?

উত্তরঃ ‘O’ বচনের।

প্রশ্ন ১৫। প্রতিবর্তনের অপর নাম কী?

উত্তরঃ বিবর্তন।

প্রশ্ন ১৬। প্রতিবর্তন বা বিবর্তনের আশ্রয়বাক্যের নাম কী?

উত্তরঃ প্রতিবর্তনীয় বা বিবর্তনীয়।

প্রশ্ন ১৭। প্রতিবর্তন বা বিবর্তনের সিদ্ধান্তের নাম কী?

উত্তরঃ প্রতিবর্তিত বা বিবর্তিত।

প্রশ্ন ১৮। কোন্ তর্কবিজ্ঞানী বিপরীত সম্বন্ধের সাহায্যে সমবর্তনের প্রক্রিয়া উল্লেখ করেছেন?

উত্তরঃ তর্কবিজ্ঞানী ডাঃ কিনস।

প্রশ্ন ১৯। অমাধ্যম অনুমানে কয়টি আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়?

উত্তরঃ একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে।

প্রশ্ন ২০। কোন্ বচনে সরল সমবর্তন সম্ভব নয়?

উত্তরঃ ‘A’ বচনে।

শুদ্ধ উত্তর দাওঃ

১। প্রতিবর্তন মাধ্যম/অমাধ্যম অনুমান।

উত্তরঃ অমাধ্যম অনুমান।

২। সমবর্তন মাধ্যম/অমাধ্যম অনুমান। 

উত্তরঃ অমাধ্যম।

৩। সমবর্তনে গুণ/পরিমাণ এক থাকে।

উত্তরঃ গুণ।

৪। অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্ত একটি/দুটি /তিনটি আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়।

উত্তরঃ একটি।

৫। প্রতিবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ/পরিমাণ এক থাকে। 

উত্তরঃ পরিমাণ।

৬। প্রতিবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ/পরিমাণ ভিন্ন হয়।

উত্তরঃ গুণ।

প্রশ্ন ৭। ‘বস্তুগত প্রতিবর্তন যথার্থ প্রতিবর্তন’—হ্যাঁ/না।

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ৮। অমাধ্যম অনুমানের প্রধান চারটি/দুটি/তিনটি প্রকারভেদ আছে।

উত্তরঃ দুটি।

প্রশ্ন ৯। A বচনের সমবর্তনে I বচন সমবর্তিত হয়/হয় না।

উত্তরঃ সমবর্তিত হয়।

প্রশ্ন ১০। সাধারণভাবে O বচন সমবর্তিত হয়/হয় না।

উত্তরঃ হয় না।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অনুমান কী?

উত্তরঃ পূর্বলব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে অপর বা নতুন এক জ্ঞানে উপনীত হবার যে প্রক্রিয়া, তাকে অনুমান বলে।

দূরে পর্বতে ধোঁয়া দেখে আমরা যখন ভাবি ‘পর্বতে আগুন রয়েছে’, তখন আমরা পর্বতে আগুনের অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করি। কারণ, অতীত থেকে আমরা জানি যে, যেখানে ধোঁয়া থাকে, সেখানে আগুন থাকে। 

প্রশ্ন ২। অনুমান কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ অনুমান প্রধানত দুই প্রকারের হয়। যেমন—

(ক) অবরোহ অনুমান।

(খ) আরোহ অনুমান।

অবরোহ অনুমান আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হল – (অ) অমাধ্যম অনুমান, (আ) মাধ্যম অনুমান।

প্রশ্ন ৩। অবরোহ অনুমান কাকে বলে?

উত্তরঃ অবরোহ অনুমান হল সেই অনুমান যেখানে সিদ্ধান্ত এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্ত কখনোই আশ্রয়বাক্য থেকে ব্যাপকতর হতে পারে না।

প্রশ্ন ৪। অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে?

অথবা,

অমাধ্যম অনুমানের সংজ্ঞা দাও।

অথবা,

অনন্তর অনুমান বা অনন্তরানুমান কাকে বলে?

উত্তরঃ যে অনুমানে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য থেকে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, তাকে ‘অমাধ্যম অনুমান’ বলে। যেমন— 

(১) কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ জীব। (হেতুবাক্য)

∴ কোনো চতুষ্পদ জীব নয় মানুষ। (সিদ্ধান্ত)

(২) সকল রাজা হয় মানুষ। (হেতুবাক্য)

∴ কোনো রাজা নয় অমানুষ। (সিদ্ধান্ত)

এই দুটি উদাহরণেই একটিমাত্র হেতু বা আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়, তাকে ‘মাধ্যম অনুমান’ বলে।

প্রশ্ন ৫। মাধ্যম অনুমান কাকে বলে?

অথবা,

মাধ্যম অনুমানের সংজ্ঞা দাও।

অথবা,

অন্তর অনুমান বা অন্তরানুমান কাকে বলে?

উত্তরঃ যে অনুমানে দুই বা ততোধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়, তাকে ‘মাধ্যম অনুমান’ বলে। যথা—

এই অনুমানে দুটি আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়েছে।

প্রশ্ন ৬। মাধ্যম এবং অমাধ্যম অনুমানের মধ্যে সাদৃশ্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ মাধ্যম এবং অমাধ্যম অনুমানের মধ্যে সাদৃশ্য নিম্নরূপ: 

(ক) মাধ্যম এবং অমাধ্যম উভয় অনুমানই অবরোহমূলক।

(খ) উভয় প্রকার অনুমানেই সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।

(গ) মাধ্যম এবং অমাধ্যম উভয়প্রকার অনুমানেই সিদ্ধান্ত কখনও আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হতে পারে না।

(ঘ) উভয় অনুমানই আকারগত সত্যতার সঙ্গে জড়িত। 

প্রশ্ন ৭। অমাধ্যম অনুমান কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ অমাধ্যম অনুমান বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে মুখ্য অমাধ্যম অনুমান চার প্রকার। যেমন—

(ক) আবর্তন বা সমবর্তন। 

(খ) বিবর্তন বা প্রতিবর্তন। 

(গ) সমবিবর্তন। 

(ঘ) বিরোধানুমান ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৮। মাধ্যম এবং অমাধ্যম অনুমানের বৈসাদৃশ্য বা পার্থক্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ মাধ্যম এবং অমাধ্যম অনুমানের পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য নিম্নরূপ:

(ক) অমাধ্যম অনুমানে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়। কিন্তু মাধ্যম অনুমানে দুই বা ততোধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়। 

(খ) অমাধ্যম অনুমানে শুধুমাত্র দুটি পদ থাকে। কিন্তু মাধ্যম অনুমানে তিন বা ততোধিক পদ উপস্থিত থাকে।

(গ) অমাধ্যম অনুমানের আশ্রয়বাক্যে যে সমস্ত পদ থাকে, সিদ্ধান্তে সেইসব পদ অথবা তাদের বিরুদ্ধপদ উপস্থিত থাকে। অন্যদিকে মাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের সব পদ সিদ্ধান্তে উপস্থিত থাকে না। আশ্রয়বাক্যের অন্তত একটি পদ সিদ্ধান্তে উপস্থিত থাকে না।

(ঘ) “কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ জীব।

∴ কোনো চতুষ্পদ জীব নয় মানুষ।”—এটি অমাধ্যম অনুমানের উদাহরণ। 

“সকল মানুষ হয় দ্বিপদ প্রাণী। 

রাম হয় একজন মানুষ।

∴ রাম হয় দ্বিপদ প্রাণী।”—এটি মাধ্যম অনুমানের উদাহরণ। 

প্রশ্ন ৯। অমাধ্যম অনুমান কি প্রকৃত অনুমান?

উত্তরঃ বিখ্যাত যুক্তিশাস্ত্রবিদ জন স্টুয়ার্ড মিল ও বেইন অমাধ্যম অনুমানকে প্রকৃত অনুমান বলে স্বীকার করেন না। তাঁদের মতে, প্রকৃত অনুমানে নতুন জ্ঞান অর্জিত হয়৷ কিন্তু অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্ত কোনো নতুন জ্ঞান বহন করে না; সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্যের অর্থই বহন করে, তবে পরিবর্তিত রূপে। আশ্রয় বাক্যে সেকথা বলা হয়। সিদ্ধান্তেও সেই কথাই বলা হয়, তবে অন্য ভাষায়।

কিন্তু জে. এস. মিল ও বেইনের এই মত অন্য যুক্তিবিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন না। তাঁদের মতে, অমাধ্যম অনুমানের সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বাক্যের পুনরুক্তিমাত্র, কথাটি সত্য নয়। আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়, তা শুধু ভাষাগত নয়, অর্থগত ও জ্ঞানগতও বটে। আশ্রয়বাক্যে যে সত্য সুপ্তভাবে থাকে, সিদ্ধান্তে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।

উপসংহারে এ কথাই বলা যায় যে অমাধ্যম অনুমান প্রকৃত অর্থেই অনুমান ৷ 

প্রশ্ন ১০। আবর্তন বা সমবর্তন অনুমান কাকে বলে?

উত্তরঃ আবর্তন বা সমবর্তন অনুমান হচ্ছে একটি অবরোহমূলক অমাধ্যম অনুমান। যাতে নিয়মসম্মতভাবে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় সিদ্ধান্তে যথাক্রমে বিধেয় ও উদ্দেশ্য হয়। অর্থাৎ, আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় সিদ্ধান্তে নিয়মানুসারে পরস্পর স্থান পরিবর্তন করে।

সমবর্তনের আশ্রয়বাক্যের নাম ‘সমবর্তনীয়’ এবং সিদ্ধান্তের নাম ‘সমবর্তিত’। (বা আবর্তনের আশ্রয়বাক্যের নাম আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্তের নাম আবর্তিত)।

প্রশ্ন ১১। সমবর্তনের নিয়মাবলি উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ লক্ষণ বা সংজ্ঞা অনুযায়ী সমবর্তনের নিয়মগুলো নিম্নরূপ :

(ক) আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তে বিধেয় হবে।

(খ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য হবে।

(গ) আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণ একই হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে আর আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।

(ঘ) যদি আশ্রয়বাক্যে কোনো পদ অব্যাপ্ত থাকে, তাহলে সিদ্ধান্তে সেই পদ ব্যাপ্ত হতে পারবে না।

প্রশ্ন ১২। A, E, I এবং O বচনের সমবর্তন দৃষ্টান্তের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও। 

উত্তরঃ A, E, I এবং O — এই চার প্রকার শর্তহীন বচনের সমবর্তনের উদাহরণ নিম্নরূপ:

(ক) ‘A’ বচনের সমবর্তন— 

সমবর্তনীয় A → সকল মানুষ হয় মরণশীল প্রাণী।

∴ সমবর্তিত I → কোনো কোনো মরণশীল প্রাণী হয় মানুষ। 

(খ) ‘E’ বচনের সমবর্তন—

সমবর্তনীয় E → কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ প্রাণী৷

∴ সমবর্তিত E → কোনো চতুষ্পদ প্রাণী নয় মানুষ। 

(গ) ‘I’ বচনের সমবর্তন— 

সমবর্তনীয় I → কোনো কোনো মানুষ হয় দার্শনিক। 

∴ সমবর্তিত I → কোনো কোনো দার্শনিক হয় মানুষ।

(ঘ) ‘O’ বচনের সমবর্তন— ‘O’ বচনের সমবর্তন সম্ভব নয়। সমবর্তনীয় ‘O’ বচন হলে সমবর্তিত নঞর্থক হতে হবে। সেক্ষেত্রে ‘O’ বচন সমবর্তনীয় হলে সিদ্ধান্ত ‘O’ বা ‘E’ হতে হবে। সমবর্তনীয় নঞর্থক এবং নঞর্থক বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্ত, সমবর্তনীয়ের বিধেয় পদ সমবর্তিতে উদ্দেশ্য পদ হওয়ায় সবসময় অব্যাপ্ত থাকে। অতএব ‘O’ বচনের সমবর্তন হয় না।

A, E, I এবং O বচনের সমবর্তনের ফলাফল: 

সমবর্তনীয় ‘A’ হলে, সমবর্তিত ‘I’ বচন হয়। 

সমবর্তনীয় ‘E’ হলে, সমবর্তিত ‘E’ বচন হয়। 

সমবর্তনীয় ‘I’ হলে, সমবর্তিত ‘I’ বচন হয়।

‘O’ বচনের বৈধ সমবর্তন হয় না।

প্রশ্ন ১৩। সমবর্তন কয়প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ সমবর্তন দুই প্রকারের হয়—

(ক) সরল সমবর্তন। ও 

(খ) অসরল সমবর্তন।

প্রশ্ন ১৪। সরল সমবর্তন কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে সমবর্তনে আশ্রয়বাক্যের এবং সিদ্ধান্তের মধ্যে পরিমাণগত কোনো পার্থক্য থাকে না, তাকে সরল সমবর্তন বলা হয়। অর্থাৎ, সরল সমবর্তনে আশ্রয়বাক্য সামান্য হলে, সিদ্ধান্তও সামান্য হবে এবং আশ্রয়বাক্য বিশেষ হলে, সিদ্ধান্তও বিশেষ হবে। যথা— ‘E’ এবং ‘I’ বচনের সমবর্তন হল সরল সমবর্তন বা সরল আবর্তন।

উদাহরণ—

(ক) সমবর্তনীয় E → কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ প্রাণী।

∴ সমবর্তিত E → কোনো চতুষ্পদ প্রাণী নয় মানুষ।

প্রশ্ন ১৫। অসরল সমবর্তন বা অসরল আবর্তন কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে সমবর্তনে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন হয় এবং আশ্রয়বাক্যের পরিমাণ সিদ্ধান্তে হ্রাস পায়, তাকে অসরল সমবর্তন বলে। ‘A’ বচনের সমবর্তন হল অসরল সমবর্তন।

উদাহরণ—

(ক) সমবর্তনীয় A → সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।

∴ সমবর্তিত I → কোনো কোনো মরণশীল জীব হয় মানুষ। 

প্রশ্ন ১৬। ‘A’ বচনের সরল সমবর্তন কি সম্ভব?

উত্তরঃ সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, ‘A’ বচনের সরল সমবর্তন সম্ভব নয়। কারণ ‘A’ বচনকে সরল সমবর্তন করতে গেলে সমবর্তনের ৪র্থ নিয়মটি লঙ্ঘন করা হয়। 

কিন্তু কতকগুলো ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সরল সমবর্তন বৈধ হয়। যেমন— 

(i) সংজ্ঞামূলক বচনের ক্ষেত্রে।

(ii) যে ‘A’ বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় নির্দিষ্ট বিশিষ্ট পদ।

(iii) যেসব ‘A’ বচনে বিধেয় পদ উদ্দেশ্য পদের সমর্থক বা পুনরাবৃত্তি।

উদাহরণ-

(ক) সমবর্তনীয় A → ভারতবর্ষের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী।

∴ সমবর্তিত A → নরেন্দ্র মোদী হন ভারতবর্ষের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

(খ) সমবর্তনীয় A → সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব। 

∴ সমবর্তিত A → সকল বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব হয় মানুষ।

প্রশ্ন ১৭। নিষেধমূলক সমবর্তন বা আবর্তন কাকে বলে?

উত্তরঃ সাধারণভাবে, ‘O’ বচনের সমবর্তন সম্ভব নয়। ‘A’ বচনকে সমবর্তিত করতে গেলে সমবর্তনের নিয়ম লঙ্ঘন করতে হয়, কেননা যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয়, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়ে যায়। কিন্তু ‘O’ বচনের সমবর্তনের জন্য কোনো কোনো তর্কবিদ্‌ একটি বিশেষ পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। সেই পদ্ধতিকে ‘নিষেধমূলক সমবর্তন’ বলা হয়।

এই পদ্ধতিতে প্রথমে সমবর্তনীয় ‘O’ বচনের নঞর্থক চিহ্নকে বিধেয়ের সঙ্গে যুক্ত করে ‘I’ বচনে রূপান্তরিত করা হয় এবং এই ‘I’ বচনটিকে সমবর্তনীয় ধরে সমবর্তনের নিয়মানুযায়ী সমবর্তিত করা হয়। যেমন—

সমবর্তনীয় O → কোনো কোনো মানুষ নয় সাধু।

সমবর্তনীয় I → কোনো কোনো মানুষ হয় অসাধু।

∴ সমবর্তিত I → কোনো কোনো অসাধু হয় মানুষ।

প্রশ্ন ১৮। ‘নিষেধমূলক সমবর্তনকে’ প্রকৃত সমবর্তন বলা যায় কি? 

উত্তরঃ ‘নিষেধমূলক সমবর্তনকে’ প্রকৃত সমবর্তন বলা যায় না। কারণ, সমবর্তনের দ্বিতীয় নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য পদ হবে। কিন্তু এই ধরনের সমবর্তনে আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধপদ সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্যপদ হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত, সমবর্তনের তৃতীয় নিয়মানুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণ একই হবে। কিন্তু নিষেধমূলক সমবর্তনে, সমবর্তনীয় নঞর্থক, কিন্তু সিদ্ধান্ত সদর্থক হয়ে থাকে। 

উদাহরণ—

সমবর্তনীয় (O) → কোনো কোনো মানুষ নয় সাধু।

সমবর্তনীয় (I) → কোনো কোনো মানুষ হয় অসাধু। 

∴ সমবর্তিত (I) → কোনো কোনো অসাধু হয় মানুষ।

প্রশ্ন ১৯। বিপরীত সম্বন্ধের সাহায্যে সমবর্তন বলতে কী বোঝো? 

উত্তরঃ তর্কবিজ্ঞানী ডাঃ কিনস (Keynes) বিপরীত সম্বন্ধের সাহায্যে সমবর্তনের একটি প্রক্রিয়া উল্লেখ করেছেন। এক্ষেত্রে সমবর্তনীয় বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুটি সাপেক্ষ পদ হতে হবে, আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ এক হবে, আশ্রয়বাক্যে যে সাপেক্ষ পদটি থাকবে, তার জায়গায় অন্য সাপেক্ষ পদ সিদ্ধান্তে ব্যবহৃত হবে এবং তার সঙ্গে সংগতি রেখে সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হবে। যেমন—

সীতা হলেন রামের স্ত্রী।

 ∴ রাম হলেন সীতার স্বামী।

প্রশ্ন ২০। বিপরীত সম্বন্ধের সাহায্যে সমবর্তন কি প্রকৃত সমবর্তন?

উত্তরঃ বিপরীত সম্বন্ধের সাহায্যে সমবর্তন প্রকৃত সমবর্তন নয়। কারণ, সমবর্তনের সকল নিয়ম এখানে অনুসরণ করা হয়নি। যেমন— আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তে বিধেয় হবে। কিন্তু এ ধরনের সমবর্তনে এই নিয়ম মানা হয় না। 

তাছাড়া, এ জাতীয় সমবর্তনে বাস্তব জ্ঞান দরকার, কিন্তু অবরোহমূলক অনুমানে যুক্তির আকারগত সত্যতাই বিবেচ্য। 

যেমন— সক্রেটিস হলেন প্লেটোর শিক্ষক।

∴ প্লেটো হলেন সক্রেটিসের ছাত্র।

S.L. No.সূচি-পত্র
অধ্যায় -১তর্কবিজ্ঞান
অধ্যায় -২বচন
অধ্যায় -৩অনুমান
অধ্যায় -৪প্রতীকাত্মক তর্কবিজ্ঞান
অধ্যায় -৫দর্শন
অধ্যায় -৬ভারতীয় দর্শন
অধ্যায় -৭জ্ঞানতত্ব : বুদ্ধিবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদ
অধ্যায় -৮জ্ঞানতত্ব : প্রমাণ (প্রত্যক্ষ ও অনুমান)
অধ্যায় -৯বাস্তববাদ ও ভাববাদ

প্রশ্ন ২১। দোষদুষ্ট সমবর্তন বলতে কী বোঝো? 

উত্তরঃ সমবর্তনের নিম্নোক্ত দুটি দোষ লক্ষ করা যায়:

(ক) A বচনের সরল সমবর্তন-জনিত দোষ।

উদাহরণ—

সমবর্তনীয় A → সকল মানুষ হয় প্রাণী। 

∴ সমবর্তিত A → সকল প্রাণী হয় মানুষ।

এই সমবর্তন প্রক্রিয়াটি অবৈধ। কারণ, এখানে A বচনের সরল সমবর্তন হয়েছে। কয়েকটি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া এই পদ্ধতিতে বৈধ সমবর্তন সম্ভব নয়। 

(খ) O বচনের সমবর্তন-জনিত দোষ।

উদাহরণ—

সমবর্তনীয় (O) কোনো কোনো মানুষ নয় দার্শনিক।         

∴ সমবর্তিত (O) কোনো কোনো দার্শনিক নয় মানুষ।

এখানে আশ্রয়বাক্যের অব্যাপ্ত উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তে বিধেয়পদ হওয়াতে ব্যাপ্ত হয়ে যায়, যা সমবর্তনের নিয়মবিরুদ্ধ। 

প্রশ্ন ২২। প্রতিবর্তন বা বিবর্তন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে অবরোহমূলক অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যরূপে এবং আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয়রূপে ব্যবহার করা হয়, তাকে প্রতিবর্তন বা বিবর্তন বলে। এক্ষেত্রে, আশ্রয়বাক্যে ও সিদ্ধান্তের অর্থ একই থাকে।

প্রতিবর্তনের হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্যের নাম ‘প্রতিবর্তনীয়’ এবং সিদ্ধান্তকে বলা হয় ‘প্রতিবর্তিত’। (বা বিবর্তনের হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্যের নাম ‘বিবর্তনীয়’ এবং সিদ্ধান্তকে বলা হয় বিবর্তিত।)

প্রশ্ন ২৩। প্রতিবর্তনের নিয়মগুলো কী কী?

উত্তরঃ প্রতিবর্তনের লক্ষণ বা সংজ্ঞা অনুসারে নিয়মগুলো নিম্নরূপঃ 

(ক) আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে।

(খ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধপদ সিদ্ধান্তে বিধেয় হবে।

(গ) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে। আশ্রয়বাক্যটি সদর্থক হলে, সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে, সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।

(ঘ) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্যটি সামান্য হলে সিদ্ধান্তও সামান্য হবে এবং আশ্রয়বাক্যটি বিশেষ হলে, সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হবে।

প্রশ্ন ২৪। A, E, I এবং O বচনের প্রতিবর্তন দৃষ্টান্তের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ প্রতিবর্তন বা বিবর্তনের নিয়মানুসারে A, E, I এবং O বচনের প্রতিবর্তন নিম্নরূপ:

(ক) ‘A’ বচনের প্রতিবর্তন—

প্রতিবর্তনীয় (A) → সকল মানুষ হয় মরণশীল প্রাণী।

∴ প্রতিবর্তিত (E) → কোনো মানুষ নয় অ-মরণশীল জীব।

(খ) ‘E’ বচনের প্রতিবর্তন— 

প্রতিবর্তনীয় (E) → কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ জীব। 

∴ প্রতিবর্তিত (A) → সকল মানুষ হয় অ-চতুষ্পদ জীব।

(গ) ‘I’ বচনের প্রতিবর্তন—

প্রতিবর্তনীয় (I) → কোনো কোনো মানুষ হয় দার্শনিক। 

∴ প্রতিবর্তিত (O) → কোনো কোনো মানুষ নয় অ-দার্শনিক। 

(ঘ) ‘O’ বচনের প্রতিবর্তন—

প্রতিবর্তনীয় (O) → কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী।

∴ প্রতিবর্তিত (I) → কোনো কোনো মানুষ হয় অজ্ঞানী। 

অতএব A, E, I এবং O এই চারটি বচনের প্রতিবর্তনের ফলাফল এই যে—

‘A’ বচনের প্রতিবর্তিত ‘E’ বচন।

‘O’ বচনের প্রতিবর্তিত ‘A’ বচন। 

‘I’ বচনের প্রতিবর্তিত ‘O’ বচন।

‘O’ বচনের প্রতিবর্তিত ‘I’ বচন।

প্রশ্ন ২৫। বস্তুগত প্রতিবর্তন বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ যুক্তিবিদ বেইন (Bain) ‘বস্তুগত প্রতিবর্তন’ নামে একপ্রকার প্রতিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন। আকারগত প্রতিবর্তনে বচনের আকারের, অর্থাৎ A, E, I এবং O-এর উপর ভিত্তি করে প্রতিবর্তন করতে হয়। কিন্তু বেইনের উল্লেখিত বস্তুগত প্রতিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বা বস্তুজ্ঞানের ওপরে ভিত্তি করে প্রতিবর্তন করতে হয়। এই ধরনের প্রতিবর্তনে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদের বিপরীত বা বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তে যথাক্রমে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

(১) প্রতিবর্তনীয় → শীত হয় কষ্টদায়ক। 

∴ প্রতিবর্তিত → উষ্ণতা হয় আরামদায়ক।

এখানে প্রতিবর্তনীয়ের উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদের বিপরীত পদ প্রতিবর্তিত বাক্যে যথাক্রমে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

উদাহরণ:

(২) প্রতিবর্তনীয় → শান্তি হয় মঙ্গলজনক।

∴ প্রতিবর্তিত → অশান্তি হয় অমঙ্গলজনক। 

এখানে প্রতিবর্তনীয়ের উদ্দেশ্য এবং বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ প্রতিবর্তিত বচনে যথাক্রমে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ২৬। বস্তুগত প্রতিবর্তন কি যথার্থ প্রতিবর্তন?

উত্তরঃ বস্তুগত প্রতিবর্তন যথার্থ প্রতিবর্তন নয়। যুক্তিবিদ বেইন (Bain) নিজেই স্বীকার করেছেন যে বস্তুগত প্রতিবর্তনকে আকারগত তর্কবিদ্যার ‘প্রতিবর্তন’ বলা উচিত নয়। কারণ, প্রতিবর্তনের সকল নিয়ম এখানে অনুসরণ করা হয়নি।

(১) প্রতিবর্তনের নিয়মানুযায়ী আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য অভিন্ন হতে হবে, কিন্তু বস্তুগত প্রতিবর্তনে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পদ আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদের বিপরীত বা বিরুদ্ধ পদ।

(২) প্রতিবর্তনের নিয়মে সিদ্ধান্তের বিধেয় পদ আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ হতে হবে। কিন্তু আলোচ্য প্রতিবর্তনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিপরীত পদ সিদ্ধান্তে বিধেয় পদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

(৩) প্রতিবর্তনের আরেকটি নিয়মমতে, আশ্রয়বাক্যের ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে। কিন্তু বস্তুগত প্রতিবর্তনে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ একই থাকে।

(৪) প্রতিবর্তন একটি অবরোহমূলক আকারগত প্রক্রিয়া। এখানে যুক্তির আকারই মুখ্য, বস্তুগত সত্যতা নয়। কিন্তু বস্তুগত প্রতিবর্তনে বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়।

এইসব কারণে, বস্তুগত প্রতিবর্তন অবৈধ। এটি একটি দোষযুক্ত অনুমান যার নাম ‘বস্তুগত প্ৰতিবর্তন দোষ’। অতএব, বস্তুগত প্রতিবর্তন যথার্থ অনুমান নয়। 

২৭। নিম্নলিখিত বাক্যগুলোকে সমবর্তন বা আবর্তন করো :

(ক) সকল দার্শনিক পাগল নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো দার্শনিক নয় পাগল। (সমবর্তনীয়/আবর্তনীয়)

∴ (O) বচনের বৈধ সমবর্তন বা আবর্তন হয় না। 

(খ) প্রত্যেক মানুষের ভুল হয়।

তঃবঃ— (A) সকল মানুষ হয় এমন ব্যক্তি যাদের ভুল হয়। (সমবর্তনীয়/ আবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো এমন ব্যক্তি যাদের ভুল হয় মানুষ। (সমবর্তিত/আবর্তিত)। 

(গ) সিংহ কখনো কফি খায় না।

তঃবঃ— (E) কোনো সিংহ নয় এমন জীব যারা কফি খায়। (সমবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো এমন জীব যারা কফি খায় নয় সিংহ। (সমবর্তিত)।

(ঘ) কোনো কোনো অসৎ ব্যক্তিরা জীবনে সফলতা লাভ করে। 

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো অসৎ ব্যক্তিরা হয় ব্যক্তি যারা জীবনে সফলতা করে। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো ব্যক্তি যারা জীবনে সফলতা করে হয় অসৎ ব্যক্তি। (সমবর্তিত)

(ঙ) খুব কম লোকই স্বার্থপর নয়।

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো লোক হয় স্বার্থপর। (সমবর্তনীয়/ আবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো স্বার্থপর ব্যক্তি হয় লোক। (সমবর্তিত/আবর্তিত)।

(চ) কেবল ধার্মিকেরাই সুখী।

তঃবঃ— (A) সকল সুখী ব্যক্তি হয় ধার্মিক। (সমবর্তনীয়/আবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো ধার্মিক হয় সুখী ব্যক্তি। (সমবর্তিত/আবর্তিত)। 

(ছ) বেশিরভাগ সুনাগরিকেরাই দেশপ্রেমিক।

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো সুনাগরিকরা হয় দেশপ্রেমিক। (সমবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো দেশপ্রেমিক হয় সুনাগরিক। (সমবর্তিত)। 

(জ) ছাত্ররা প্রায়ই ভুল করে। 

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো ছাত্র হয় এমন ব্যক্তি যারা ভুল করে। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো এমন ব্যক্তি যারা ভুল করে হয় ছাত্র। (সমবর্তিত)

(ঝ) সকল রাজহাঁস সাদা নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো রাজহাঁস নয় সাদা। (সমবর্তনীয়) 

∴ (O) বচনের বৈধ সমবর্তন হয় না।

(ঞ) কোনো কোনো মানুষ সৎ। 

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো সৎ হয় মানুষ। (সমবর্তিত)

(ট) মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী।

তঃবঃ— (A) সকল মানুষ হয় বুদ্ধিমান প্রাণী। (সমবর্তনীয়) 

∴ (A) সকল বুদ্ধিমান প্রাণী হয় মানুষ। (সমবর্তিত) (সরল সমবর্তন)

(ঠ) কেবলমাত্র সৎ ব্যক্তিরাই সুখী। 

তঃবঃ— (A) সকল সুখী ব্যক্তি হয় সৎ। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো সৎ ব্যক্তি হয় সুখী। (সমবর্তিত)।

(ড) কোনো অসৎ লোক বিশ্বাসযোগ্য নয়।

তঃবঃ— (E) কোনো অসৎ লোক নয় বিশ্বাসযোগ্য। (সমবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি নয় অসৎ লোক। (সমবর্তিত)। 

(ঢ) কোনো কোনো গণিতজ্ঞ দার্শনিক নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো গণিতজ্ঞ নয় দার্শনিক। (সমবর্তনীয়) 

∴ (O) বচনের বৈধ সমবর্তন হয় না।

(ণ) কোনো কোনো ছাত্র পরীক্ষায় পাস করে না। 

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো ছাত্র নয় এমন ব্যক্তি যারা পরীক্ষায় পাস করে। (সমবর্তনীয়)

∴ (O) বচনের বৈধ সমবর্তন হয় না।

(ত) প্রত্যেক মা স্নেহশীলা।

তঃবঃ— (A) সকল মা হন স্নেহশীলা। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো স্নেহশীলা মহিলা হন মা। (সমবর্তিত) 

(থ) সকল মানুষ জ্ঞানী নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো মানুষ নয় জ্ঞানী। (সমবর্তনীয়)

∴ (O) বচনের বৈধ সমবর্তন হয় না। 

(দ) কেবল জড়বস্তুই আকৰ্ষিত হয়।

তঃবঃ— (A) সকল আকর্ষিত বস্তু হয় জড়বস্তু। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো জড়বস্তু হয় আকর্ষিত। (সমবর্তিত)

(ধ) কোনো ত্রিভুজ নয় চতুৰ্ভুজ। 

তঃবঃ— (E) কোনো ত্রিভুজ নয় চতুর্ভুজ। (সমবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো চতুৰ্ভুজ নয় ত্রিভুজ। (সমবর্তিত)।

(ন) কোনো কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড় হন পেশাদার খেলোয়াড়। 

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড় হল পেশাদার খেলোয়াড়। (সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো পেশাদার খেলোয়াড় হল ক্রিকেট খেলোয়াড়। (সমবর্তিত)। 

(প) সব ঈশ্বর বিশ্বাসী ব্যক্তি হয় আশাবাদী।

তঃবঃ— (A) সকল ঈশ্বর বিশ্বাসী ব্যক্তি হয় আশাবাদী।(সমবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো আশাবাদী ব্যক্তি হয় ঈশ্বরবিশ্বাসী। 

(ফ) কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ প্রাণী।

তঃবঃ— (E) কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদ প্রাণী। (সমবর্তনীয়)

∴(E) কোনো চতুষ্পদ প্রাণী নয় মানুষ। (সমবর্তিত)। 

(ব) হিমালয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত।

তঃবঃ— (A) হিমালয় হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত। (সমবর্তনীয়)

∴ (A) পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হয় হিমালয়। (সমবর্তিত) (সরল সমবর্তন) 

(ভ) সব কুকুর চারিপদ বিশিষ্ট জীব।

তঃবঃ— (A) সকল কুকুর হয় চারিপদ বিশিষ্ট জীব। (সমবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো চারিপদবিশিষ্ট জীব হয় কুকুর। (সমবর্তিত)। 

(ম) সকল অকৃতদার পুরুষ অবিবাহিত।

তঃবঃ— (A) সকল অকৃতদার পুরুষ হয় অবিবাহিত। (সমবর্তনীয়) 

∴ (A) সকল অবিবাহিত পুরুষ হয় অকৃতদার। (সমবর্তিত)।

প্রশ্ন ২৮। নিম্নলিখিত বাক্যগুলোকে প্রতিবর্তন বা বিবর্তন করো:

(ক) কেবলমাত্র অজ্ঞরাই জ্ঞানকে অবজ্ঞা করে।

তঃবঃ— (A) সকল ব্যক্তি যারা জ্ঞানকে অবজ্ঞা করে হয় অজ্ঞ। (প্রতিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো ব্যক্তি যারা জ্ঞানকে অবজ্ঞা করে নয় না- অজ্ঞ। (প্রতিবর্তিত) 

(খ) কিছু সংখ্যক মানুষ নয় কবি।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো মানুষ নয় কবি। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো মানুষ হয় অ-কবি। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(গ) সকল মানুষ হয় মরজীব।

তঃবঃ— (A) সকল মানুষ হয় মরজীব। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো মানুষ নয় অমরজীব। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত) 

(ঘ) চোর কখনও সৎ হয় না।

তঃবঃ— (E) কোনো চোর নয় সৎ। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়)

∴ (A) সকল চোর হয় অসৎ। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ঙ) একমাত্র ধার্মিক ব্যক্তিরাই সৎ।

তঃবঃ— (A) সকল সৎ ব্যক্তিরা হয় ধার্মিক। (প্রতিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো সৎ ব্যক্তিরা নয় অ-ধার্মিক। (প্রতিবর্তিত) 

(চ) সকল দার্শনিক পাগল নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো দার্শনিক নয় পাগল। (প্রতিবর্তনীয়) 

∴(I) কোনো কোনো দার্শনিক হয় অ-পাগল। (প্রতিবর্তিত)

(ছ) সব ভালো লেখক ভালো বক্তা নয়।

 তঃবঃ— (O) কোনো কোনো ভালো লেখক নন ভালো বক্তা। (প্রতিবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো ভালো লেখক হন না-ভালো বক্তা। (প্রতিবর্তিত) 

(জ) অধিকাংশ সুনাগরিকেরা দেশপ্রেমিক।

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো সুনাগরিকরা হয় দেশপ্রেমিক। (প্রতিবর্তনীয়) 

∴ (O) কোনো কোনো সুনাগরিকেরা নয় অ-দেশপ্রেমিক।(প্রতিবর্তিত)

(ঝ) কেবল শীতপ্রধান দেশ মদ তৈরি করে।

তঃবঃ– (A) সকল দেশ যারা মদ তৈরি করে হয় শীতপ্রধান দেশ। (প্রতিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো দেশ যারা মদ তৈরি করে নয় অ-শীতপ্রধান। (প্রতিবর্তিত) 

(ঞ) বিদ্বান সর্বত্র পূজিত।

তঃবঃ— (A) সকল বিদ্বান হয় পূজিত। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয় 

∴ (E) কোনো বিদ্বান নয় অ-পূজিত। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ট) ঝড়ের সময় প্রত্যেক গৃহই বন্দর সদৃশ। 

তঃবঃ— (A) সকল গৃহই ঝড়ের সময় হয় বন্দর সদৃশ। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) | 

∴ (E) কোনো গৃহই ঝড়ের সময় নয় অ-বন্দর সদৃশ। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)।

(ঠ) ত্রিভুজ কখনও বর্গক্ষেত্র হয় না।

তঃবঃ— (E) কোনো ত্রিভুজ নয় বর্গক্ষেত্র। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (A) সকল ত্রিভুজ হয় অ-বর্গক্ষেত্র। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ড) দয়া মহৎ গুণ।

তঃবঃ— (A) দয়া হয় মহৎ গুণ। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়)

∴ (E) দয়া নয় অমহৎ গুণ। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ঢ) প্রশংসা করা সকল ব্যক্তি বন্ধু নয়। 

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো প্রশংসা করা ব্যক্তি নয় বন্ধু। (প্রতিবর্তনীয়/ বিবর্তনীয়)

∴(I) কোনো কোনো প্রশংসা করা ব্যক্তি হয় অ-বন্ধু। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত) 

(ণ) প্রত্যেক ব্যাধি অনারোগ্য হয় না।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো ব্যাধি নয় অনারোগ্য। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো ব্যাধি হয় আরোগ্য। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত) 

(ত) সমস্ত চকচকে বস্তু সোনা নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো চকচকে বস্তু নয় সোনা। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো চকচকে বস্তু হয় অ-সোনা। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(থ) পারদ ছাড়া সমস্ত ধাতুই কঠিন।

তঃবঃ— (A) সকল ধাতু পারদ ছাড়া হয় কঠিন। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো ধাতু পারদ ছাড়া নয় অকঠিন। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(দ) প্রত্যেক মানুষ মরণশীল।

তঃবঃ— (A) সকল মানুষ হয় মরণশীল। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো মানুষ নয় অমরণশীল। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ধ) কেবল স্নাতকরাই এই পদের জন্য যোগ্য। 

তঃবঃ— (A) সকল ব্যক্তি যারা এই পদের যোগ্য হয় স্নাতক। (প্রতিবর্তনীয়/ বিবর্তনীয়)

∴ (E) কোনো ব্যক্তি যারা এই পদের যোগ্য নয় অ-স্নাতক। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ন) সকল দুর্ঘটনাই মারাত্মক নয়।

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো দুর্ঘটনা নয় মারাত্মক। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (I) কোনো কোনো দুর্ঘটনা হয় অ-মারাত্মক। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(প) কেবলমাত্র দেশপ্রেমিকরাই সৈনিক।

তঃবঃ— (A) সকল সৈনিকরা হয় দেশপ্রেমিক। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়) 

∴ (E) কোনো সৈনিক নয় অ-দেশপ্রেমিক। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ফ) এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অনুপস্থিত। 

তঃবঃ— (I) কোনো কোনো সদস্য হন অনুপস্থিত। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়)

∴ (O) কোনো কোনো সদস্য নন উপস্থিত। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ব) দার্শনিকরা প্রায়ই মনোযোগী হয় না। 

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো দার্শনিক নয় মনোযোগী। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো দার্শনিক হয় অমনোযোগী। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

(ভ) ধার্মিক ব্যক্তিরা কদাচ অসুখী হয়। 

তঃবঃ— (O) কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি নয় অসুখী। (প্রতিবর্তনীয়/বিবর্তনীয়)

∴ (I) কোনো কোনো ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী। (প্রতিবর্তিত/বিবর্তিত)

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top