Class 11 History Chapter 1 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 History Chapter 1 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 History Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 History Chapter 1 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 History Chapter 1 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন are free to use and easily accessible.

Class 11 History Chapter 1 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Assam AHSEC Class 11 History in Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 History Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 History Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 History Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 History Solution. Class 11 History Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন

ক-বিভাগ–(আদিম সমাজ)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

1. ‘MYA’-এর সম্পূর্ণ রূপ কি?

উত্তর‍ঃ Million Years Ago অর্থাৎ নিযুত বছর পূর্বে।

2. পৃথিবীতে কখন প্রথম মানব-সদৃশ প্রাণীর আবির্ভাব হয়?

উত্তরঃ প্রায় ৫.৬ (5.6) MYA বা নিযুত বছর পূর্বে। 

3. আধুনিক মানুষের উদ্ভব কখন হয় বলে অনুমান? 

উত্তরঃ ১,৬০,০০০ বছর পূর্বে।

4. এশিয়া ও আফ্রিকায় মানব প্রজাতির উৎপত্তি কখন হয়েছিল?

উত্তরঃ প্রায় ৩৬ মিলিয়ন বছর পূর্বে। 

5. মানবজাতির উৎপত্তি সংক্রান্ত একটি তত্ত্বের নাম লেখ।

উত্তরঃ আঞ্চলিক প্রবাহমান তত্ত্ব।

6. মানবজাতির ইতিহাস জানতে সহায়তাকারী আবিষ্কারগুলি কি কি?

উত্তরঃ পাথরের হাতিয়ার আবিষ্কার, মানুষের জীবাশ্ম, গুহাচিত্র প্রভৃতি। 

7. বরফ যুগের পরিসমাপ্তি কখন ঘটে?

উত্তরঃ ১৩,০০০ বছর পূর্বে।

8. ‘জীবাশ্ম’ (Fossil) কি?

উত্তরঃ ‘জীবাশ্ম’ (Fossil) হচ্ছে বহু প্রাচীন উদ্ভিদ, প্রাণী বা মানুষের কোন অবশেষ বা ছাপ যা বিবর্তনের ফলে পাথরে রূপান্তরিত হয়েছে।

9. ইউরোপের দুটি প্রাচীন জীবাশ্মের নাম কি কি?

উত্তরঃ হেইডেলবার্গেনসিস্ এবং নিয়েনদার থালেনসিস।

10. দুটি স্থানের নাম কর, সেখানে যন্ত্র তৈরিকারক মানুষ-এর বা আবিষ্কৃত হয়েছিল ?

উত্তরঃ তানজানিয়ার অন্তুভাই জর্জ এবং ইথিওপিয়ার ওমো। 

11. প্রাচীনতম আধুনিক মানব জীবাশ্ম কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তরঃ ওমো কিবিশ, ইথিওপিয়ায় (আনুমানিক বয়স ১,০৫,০০০-১,৬০,০০০ বছর। 

12. ‘সোজা হয়ে চলা মানুষ’ এর জীবাশ্ম কোথায় পাওয়া গিয়েছে?

উত্তরঃ আফ্রিকায় ও এশিয়ায়। 

13. আদিম মানব কখন থেকে গুহা বা নিজের তৈরি আবাসে বসবাস করতে শুরু করে বলে অনুমান?

উত্তরঃ আনুমানিক ৪,০০,০০০-১,২৫,০০০ বছর পূর্বে।

14. আদিম মানুষের তৈরি প্রাচীনতম পাথরের সরঞ্জাম (tools) কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তরঃ কেনিয়া ও ইথিওপিয়াতে।

15. মানুষ কখন থেকে সেলাই করা কাপড় ব্যবহার/সুঁচের ব্যবহার করতে শুরু করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়?

উত্তরঃ ২১,০০০ বছর পূর্বে।

16. আদিম মানবের মধ্যে কখন ভাষার ব্যবহার শুরু হয়? 

উত্তরঃ ২ নিযুত বর্ষ পূর্বে (MYA) বলে অনুমান।

17. আদিম মানব কখন কৃষিকাজ ও পশুপালন শুরু করে?

উত্তরঃ ১০,০০০–৪,৫০০ বছর পূর্বে।

18. আদিম মানবেরা কখন শিকার করতে শুরু করে ?

উত্তরঃ প্রায় ৫,০০,০০০ বছর পূর্বে।

19. শিকার ও কৃষির মধ্যে কোনটি আগে আরম্ভ হয়েছিল?

উত্তরঃ শিকার।

20. কোন্ দুইটি আবিষ্কার মানব সভ্যতা বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ?

উত্তরঃ আগুন ও চাকার আবিষ্কার।

21. আদিম মানব গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রজাতি আফ্রিকার কোন্ কোন্ জায়গায় পাওয়া গিয়েছে?

উত্তরঃ ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, ও কেনিয়ায়।

22. প্রথম পাথরের তৈরি হাতিয়ার কবে তৈরি হয় ?

উত্তরঃ প্রায় ২.৬ মিলিয়ন বছর পূর্বে।

23. প্রারম্ভিক সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত শিকারের প্রমাণ কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে?

উত্তরঃ (ক) বক্সগ্রোভ, ইংল্যান্ড (৫,০০,০০০ বছর পূর্বে)। এবং 

(খ) স্কোনিংজেন, জার্মানী (৪,০০,০০০ বছর পূর্বে)। 

24. কেনিয়ার ‘Kilombe’ (কিলোম্বে) এবং ‘Olorgesailie’ (ওলরগেসাইলি) কেন বিখ্যাত? 

উত্তরঃ এই স্থান দুটিতে ৭,০০,০০০ – ৫,০০,০০০ বছর পূর্বের হাজারো কুড়াল ও যন্ত্রাদি আবিষ্কৃত হয়েছে।

বিষয়সূচী-পত্ৰ
ক-বিভাগ–(আদিম সমাজ)
অধ্যায় – ১মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন
অধ্যায় – লিখন পদ্ধতি ও নগর জীবন
খ-বিভাগ–(সম্রাজ্য)
অধ্যায় – ৩তিনটি মহাদেশ জুড়ে সাম্রাজ্যের পত্তন
অধ্যায় – ৪মধ্য ইসলামীয় ভূমি
অধ্যায় – ৫যাযাবর সাম্রাজ্য
গ- বিভাগ–পরিবর্তনশীল পরম্পরা
অধ্যায় – ৬তিনটি শ্রেণী
অধ্যায় – ৭পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
অধ্যায় – ৮বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব
ঘ- বিভাগ– আধুনিকতার পথে
অধ্যায় – ৯শিল্প বিপ্লব
অধ্যায় – ১০দেশীয় লোকদের স্থানচ্যুতি
অধ্যায় – ১১আধুনিকতার বিভিন্ন দিশা

25. নৃতত্ত্ব কি?

উত্তরঃ মানবজাতির বিবর্তন অধ্যয়নকারী বিজ্ঞান।

26. প্রাচীন সমাজকে কি বলা হত?

উত্তরঃ শিকার ও সংগ্রহকারী সমাজ।

27. ‘হোমো (Homo) শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ ‘হোমো’ (Homo) একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ “মানুষ”।

28. হোমিনিডস কি?

উত্তরঃ হোমিনিডস হল ভিন্ন ধরনের বানর, যাদের শরীর ছিল অধিকতর লম্বা এবং লেজ ছিল না। 

29. মানুষের প্রারম্ভিক বা প্রথম প্রজাতি ‘হোমিনিড’ (Hominids) এর উৎপত্তি কখন এবং কোথায় হয় বলে অনুমান?

উত্তরঃ ৫.৬ নিযুত বছর পূর্বে (5.6 MYA) এবং আফ্রিকাতে। 

30. ‘Hominids’-এর প্রধান ভাগ দুইটি কি কি?

উত্তরঃ ‘Hominids’-এর প্রধান ভাগ দুইটি হল- 

(ক) অস্ট্রালোপিথেকাস, এবং (খ)হোমো (Homo) 

31. হোমিনিডস-এর উৎপত্তি প্রথম কোথায় হয়েছিল?

উত্তরঃ আফ্রিকায়।

32. প্রিমেইটস্ বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ প্রিমেইটস্ হল বিশাল স্তন্যপায়ী গোষ্ঠীর একটি উপগোষ্ঠী।

33. ‘Primates’-এর সাথে ‘Hominoids’ বা ‘Hominids’-এর পার্থক্য কি?

উত্তরঃ ‘Primates’ হচ্ছে বৃহত্তর স্তন্যপায়ী প্রাণীবর্গের উপশাখা। আবার ‘Hominoids’ বা ‘Hominids’ হচ্ছে ‘Primates’-এর উপশাখা।

34. কখন পৃথিবীতে হোমো সেপিয়েনস সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ প্রায় ১.৬ মিলিয়ন বছর পূর্বে।

35. অস্ট্রালোপিথেকাস (Australopithecus) নামের উৎস কি?

উত্তরঃ অস্ট্রালোপিথেকাস (Australopithecus) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘অস্ট্রাল’ (Aus tral) অর্থাৎ দক্ষিণ এবং গ্রীক শব্দ ‘পিথেকাস’ (Pithikos) অর্থাৎ বানর হতে এসেছে।

36. অস্ট্রালোপিথেকাস’ শ্রেণীর দণ্ডায়মান চলাচলে সীমাবদ্ধতার কারণ কি? 

উত্তরঃ যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই তারা গাছে কাটাতো, তাই তাদের দৈহিক গঠনও অনুরূপ হয়, যা দণ্ডায়মান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেছিল।

37. চার্লস ডারউইন কে ছিলেন?

উত্তরঃ চার্লস ডারউইন একজন ইংরেজ বিজ্ঞানী (ইং ১৮০১-১৮৮২) তার মতে প্রাচীনকালে পশু থেকেই মানুষের সৃষ্টি হয়। 

38. চার্লস ডারউইনের লেখা On the Origin of Species বইটি কখন প্রকাশিত হয়? 

উত্তরঃ বইটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৯ সালের ২৪শে নভেম্বর।

39. ‘প্রজাতির উৎপত্তি’ গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তরঃ চার্লস ডারউইন।

40. On the Origin of Species বইটির লেখক কে?

অথবা,

‘বিবর্তনের সূত্র’-এর প্রবক্তা কে?

উত্তরঃ চার্লস ডারউইন। 

41. তানজানিয়ার যন্ত্র তৈরিকারক মানুষের আবিষ্কার প্রথম কে করেছিলেন?

উত্তরঃ এল. এস. বি. লিকি-র অধীনে কর্মরত মেরী লিকি। 

42. সেলাই-এর সূচ কখন আবিষ্কৃত হয়েছিল?

উত্তরঃ প্রায় ২১,০০০ বছর পূর্বে।

43. জেমস উডবার্ন কে ছিলেন?

উত্তরঃ নৃতত্ত্ববিদ।

44. Finding the World’s Earliest Man বইটির লেখক কে?

উত্তরঃ এল. এস. বি. লিকি।

45. হাজা কি?

উত্তরঃ হাডজা একটি ছোট শিকার-সংগ্রহকারী দল তারা রিফট উপত্যকার ইয়াসির নামক লবণাক্ত হ্রদের কাছে বাস করত। 

46. জীবাশ্মকে লক্ষ লক্ষ বছর কিভাবে সংরক্ষিত করে রাখা যায়?

উত্তরঃ জীবাশ্মগুলিকে সাধারণত শিলা দ্বারা আবৃত করে রাখা হয়; ফলে তারা লক্ষ লক্ষ বছর সুরক্ষিত থাকে।

47. প্রজাতি কি?

উত্তরঃ একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণীগোষ্ঠীকে প্রজাতি বলে। 

48. বিভিন্ন প্রজাতির নামকরণে বিজ্ঞানীরা কোন্ কোন্ ভাষা ব্যবহার করতেন?

উত্তরঃ ল্যাটিন ও গ্রিক ভাষা।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

1. প্রাচীন মানব ইতিহাস চর্চার প্রধান উপাদান বা সূত্র কি কি?

উত্তরঃ প্রাচীন মানব ইতিহাস চর্চার প্রধান উপাদান বা সূত্রগুলি হচ্ছে—

(ক) মানুষের জীবাশ্ম (Fossil) 

(খ) পাথরের তৈরি হাতিয়ার। এবং 

(গ) গুহাচিত্র।

2. অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া মানব প্রজাতির জীবাশ্ম কিভাবে মানুষের ক্রমবিবর্তনের সাক্ষ্য দেয় ?

উত্তরঃ জীবাশ্মের সময়কাল নির্ণয় করার মাধ্যমে মানবজাতির ক্রমবিকাশের ধারা বা ইতিহাস জানা সম্ভব। এইক্ষেত্রে দুইটি উপায় হচ্ছে- 

(ক) রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা জীবাশ্মের সময় নির্ণয় করা। এবং 

(খ) যে সমস্ত পাথরে জীবাশ্ম প্রোথিত এদের সময় নির্ণয় করা।

3. ১৯ শতকের প্রারম্ভিক পর্যায়ে ইউরোপীয় পণ্ডিতরা কেন আবিষ্কৃত জীবাশ্মের প্রাচীনত্ব অস্বীকার করেছিলেন?

উত্তরঃ এর কারণ হচ্ছে ইউরোপীয় পণ্ডিতরা ছিলেন খ্রিস্টীয় মতবাদে বিশ্বাসী। তাই বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুসারে তারা বিশ্বাস করতেন যে মানুষের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর । ফলে মানুষের ক্রমবিকাশের ধারণা তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য ছিল না।

4. প্রারম্ভিক সুদীর্ঘকাল আদিম মানবপ্রজাতির জীবনশৈলী কেমন ছিল? 

উত্তরঃ প্রারম্ভিক পর্যায় থেকেই জীবনধারণের জন্য মানুষ গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করত। তাছাড়া আরও একটি উপায় ছিল শিকার। সংগ্রহ ও শিকার এবং আত্মরক্ষার প্রয়োজনে মানুষ শিখেছিল পাথরের হাতিয়ার তৈরি করতে এবং একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে। 

5. প্রারম্ভিক মানুষকে কিসের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগ করা হয়?

উত্তরঃ প্রাচীন মানুষের অবশেষের মধ্যে বিদ্যমান হাড়ের গঠন, যেমন মানুষের খুলির আকার, চোয়াল ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগ করা হয়।

6. প্রারম্ভিক মানুষের দ্বিপদ চলাচলের প্রথম প্রমাণ কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছে? এর আনুমানিক বয়স কত?

উত্তরঃ প্রারম্ভিক মানুষের দ্বিপদ চলাচলের প্রথম প্রমাণ আবিষ্কৃত হয়েছে তানজানিয়ার লেটলিতে (Laetoli)। এর আনুমানিক বয়স প্রায় ৩.৬ নিযুত বছর।

7. মানুষের কোন্ আবিষ্কারগুলি সভ্যতার অগ্রগতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল?

উত্তরঃ আগুনের আবিষ্কার এবং চাকার আবিষ্কার সভ্যতার অগ্রগতিতে নতুন অধ্যায়েরসূচনা করেছিল।

8. আদিম মানবের গুহাচিত্র থাকা কয়েকটি কেন্দ্রের নাম লেখ।

উত্তরঃ আদিম মানবের গুহাচিত্র থাকা কয়েকটি কেন্দ্র হল- 

(ক) ফ্রান্সের শোভেত (Chauvet) ও লাসকো (Lascaux) এবং 

(খ) স্পেনের আলটামিরা’ (Altamira)

9. গুহাতে বাস করার ফলে আদিম মানবের দুটি সুবিধা উল্লেখ কর।

উত্তরঃ গুহাতে বাসের ফলে আদিম মানবের দুটি সুবিধা নিম্নরূপঃ

(ক) ঝড়, বৃষ্টি বা তুফান থেকে রক্ষা পাওয়া।

(খ) হিংস্র জন্তু থেকে রক্ষা পাওয়া। 

10. হোমিনিড এবং হোমিনয়ডদের মধ্যে দুটি পার্থক্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ হোমিনিড এবং হোমিনয়ডদের মধ্যে দুটি পার্থক্য নিম্নরূপঃ

(ক) হোমিনয়ডদের মগজ হোমিনিডদের থেকে ছোট।

(খ) হোমিনয়ডরা চতুষ্পদ, কিন্তু হোমিনিডরা দণ্ডায়মান।

11. চাকার আবিষ্কার কিভাবে মানব সমাজের অগ্রগতিতে সহায়ক? 

উত্তরঃ চাকার আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসে এবং খাদ্য তৈরি। ও সংরক্ষণের পাত্র তৈরি সম্ভব হয়।

12. হোমিনিডস (Hominids) বলতে কি বোঝ? 

উত্তরঃ এক আদিম মানব প্রজাতি। হোমিনিডস-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল যে, তাদের মস্তিষ্কের আয়তন বড়, তারা সোজাভাবে দাঁড়াতে পারে, এরা দ্বিপদবিশিষ্ঠ এবং তাদের হাতেরও বিশেষত্ব আছে।

13. হোমিনিডদের তিনটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর। 

উত্তরঃ হোমিনিডদের তিনটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

(ক) হোমিনিডদের মস্তিষ্ক আয়তনে বড় ছিল।

(খ) তারা সোজাভাবে দাঁড়াতে পারত। 

(গ) হোমিনিডগণ বিপদবিশিষ্ট।

14.আফ্রিকাতে ‘Hominids’ -এর উৎপত্তির কি প্রমাণ আছে?

উত্তরঃ আফ্রিকাতে ‘Hominids’-এর উৎপত্তির দুইটি প্রমাণ আছে- 

(ক) আফ্রিকার বনমানুষের প্রজাতিই ‘Horinds’-এর সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কিত। এবং 

(খ) মানুষের প্রাচীনতম জীবাশ্মটি আফ্রিকাতে আবিষ্কৃত হয়েছে, যার বয়স আনুমানিক ৫.৬ নিযুত বছর।

15. ‘হোমো’ প্রজাতির বিভিন্ন পর্যায় বা শ্রেণীবিভাগ কি কি?

উত্তরঃ বিজ্ঞানীরা ‘হোমো’ জীবাশ্মগুলির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এইগুলিকে নিম্নোক্ত পর্যায়ে বা শ্রেণীতে ভাগ করেনঃ

(ক) ‘Homo habilis” বা ‘হোমো হ্যাবিলিস’ (যন্ত্র তৈরিকারক মানব)।

(খ) ‘Homo erectus’ বা ‘হোমো ইরেক্টাস’ (সোজা-চলা মানুষ)। 

(গ) ‘Homo sapiens’ বা ‘হোমো সেপিয়েনস’ (চিন্তাশীল মানুষ)।

16. ‘Homo’ (হোমো) প্রজাতির বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?

উত্তরঃ‘Australopithecus’ (অস্ট্রালোপিথেকাস)-এর সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, ‘Homo’ (হোমো) প্রজাতির বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপঃ

(ক) মগজের আকার বড়।

(খ) চোয়ালের বাইরের দিক ছোট।

(গ) দাঁতগুলি আগের চেয়ে ছোট।

17. ‘Homo habilis’ (হোমো হ্যাবিলিস) এবং ‘Homo erectus’ (হোমো ইরেক্টাস) প্রজাতির প্রাচীন মানবের জীবাশ্ম কোথায় পাওয়া গিয়েছে? 

উত্তরঃ ‘Homo habilis’ (হোমো হ্যাবিলিস) প্রজাতির প্রাচীন মানবের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে—

(ক) ওন্ড্রুভাই গর্জ, তানজানিয়া।এবং 

(খ) ওমো, ইথিওপিয়ায়।

 “Homo erectus’ (হোমো ইরেক্টাস) প্রজাতির প্রাচীন মানবের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে—

(ক) কোবি ফোরা, কেনিয়া। এবং 

(খ) সাংগিরান, জাভায়।

18. অস্ট্রালোপিথেকাস কি?

উত্তরঃ সোজা হয়ে চলা প্রথম প্রাচীন মানুষ, যাদের সন্ধান মধ্য আফ্রিকার সাহারার কিছু অঞ্চলে পাওয়া গিয়েছে।

19. অস্ট্রালোপিথেকাস্’ (Australopithecus) শ্রেণীর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ। 

উত্তরঃ ‘অস্ট্রালোপিথেকাস শ্রেণীর বৈশিষ্ট্যগুলি হচ্ছে- 

(ক) ‘হোমো’ থেকে ছোট আকারের মগজ। 

(খ) দীর্ঘ গোড়ার দাঁত। 

(গ) সীমিত হাতের দক্ষতা। এবং 

(ঘ) সীমাবদ্ধ দণ্ডায়মান চলাচল। 

20. অস্ট্রালোপিথেকাস’ (Australopithecus) এবং ‘হোমো (Homo)-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কি?

উত্তরঃ অস্ট্রালোপিথেকাস’ ও ‘হোমো-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে—

(ক) ‘হোমো’-এর মগজের আকার বড় এবং দাঁত ছোট। এবং 

(খ) অস্ট্রালোপিথেকাসের চোয়াল ভারী ও প্রসারিত। 

21. কে এবং কখন প্রথম অস্ট্রালোপিথেকাস’ জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন?

উত্তরঃ ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ প্রত্ননৃতত্ত্ববিদ মেরী লিকি এবং লুই লিকি তানজানিয়ার ওন্ড্রুভাই গর্জে প্রথম ‘অস্ট্রালোপিথেকাস’ জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন।

22. অস্ট্রালোপিথেকাস মানে কী? এর একটি চরিত্র উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অস্ট্রালোপিথেকাস একটি বিলুপ্ত হোমিনিড প্রজাতি, যারা ১-৪ মিলিয়ন বর্ষ পূর্বে আফ্রিকায় বাস করত। 

এর একটি চরিত্র হল যে এর মস্তিষ্ক ক্ষুদ্র এবং দাঁত বড় ছিল।

23. আর্টিফ্যাক্ট বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ মানুষের দ্বারা তৈরি জিনিসকে ‘আর্টিফ্যাক্ট’ বলে। এই শব্দটির বিশালতা অনেক। চিত্রাঙ্কন, যন্ত্রাংশ, খোদাই ইত্যাদি মানুষের দ্বারা তৈরি প্রায় সব জিনিস আর্টিফ্যাক্ট-এর অন্তর্ভুক্ত।

24. জাতিবিজ্ঞান বা গোষ্ঠিবিজ্ঞান বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ জাতিবিজ্ঞান বা গোষ্ঠীবিজ্ঞানে সমসাময়িককালের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিস্তারিত অধ্যয়ন করা হয়। এই বিদ্যায় জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা প্রণালী খাদ্যাভ্যাস, জীবিকার্জন, লিঙ্গ ভূমিকা, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক পরিকাঠামো, ধর্মীয় রীতিনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

25. নৃতত্ব বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ নৃতত্ত্ব হল মানব বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যা মানবজাতির বিবর্তনের ইতিহাসকে বিজ্ঞানসম্মত অধ্যায়ন করে থাকে। 

26. জিনজানথ্রোপাস কি?

উত্তরঃ মানব সভ্যতার প্রথম প্রজাতি, যারা হাতিয়ার তৈরি করতে পেরেছিল। প্রায় ৫ লক্ষ বছর পূর্বে তাদের আবির্ভাব হয়েছিল।

27.প্রজাতি বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ প্রজাতি হল একদল জীব যারা সস্তান প্রসব করে বংশবৃদ্ধি করে। তবে বংশবৃদ্ধির জন্য এক প্রজাতির সদস্য অন্য প্রজাতির সদস্যের সঙ্গে মিলিত হতে পারে না।

28. কয়েকটি বিশেষ ধরনের জীবাশ্মের নাম লেখ। 

উত্তরঃ হোমো হেইডেলবার্ন জেনসিস, হোমো নিয়েনদার থালেনসিস, পিকিং মানব, জাভা মানব। 

29. ‘Primates’ বলতে কি বোঝ? এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ। 

উত্তরঃ বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীবর্গের একটি উপশাখা হচ্ছে Primates। বানর, বনমানুষ ও মানুষ এই উপশাখার অন্তর্ভুক্ত। 

Primates- দের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপঃ

(ক) লোমাবৃত শরীর।

(খ) বিভিন্ন ধরনের দাঁত।

(গ) দীর্ঘ গর্ভধারণকাল।

(ঘ) অপরিবর্তনীয় শারীরিক তাপমাত্রা বজায় রাখার ক্ষমতা। 

30. ‘ওডুভাই গর্জ’ (Olduvai Gorge) কোথায় অবস্থিত? এটি কেন বিখ্যাত?

উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের তানজানিয়াতে ওন্ডুভাই গর্জ নামের রিফ্‌ট উপত্যকা অঞ্চলেই আদিম মানবের প্রাচীনতম জীবাশ্ম (অস্ট্রালোপিথেকাস) আবিষ্কৃত হয়েছে। 

31. ‘Dolni Vestonice’ (দল্লি ডেস্টোনিস) কোথায় অবস্থিত? এর গুরুত্ব কি?

উত্তরঃ ‘Dolni Vestonice’ (দল্লি ভেস্টোনিস) হচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্রের একটি নদী তীরবর্তী স্থান। এখানে ৩৫,০০০ বছর পূর্বে পরিকল্পিত শিকারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শরৎ ও বসন্তকালে যখন অধিক সংখ্যক হরিণ ও ঘোড়া নদী পার হওয়ার জন্য এখানে সমবেত হত, তখন মানুষ তাদের শিকার করত।

32. ‘লাজারে গুহা’ (Lazaret Cave) কোথায় অবস্থিত? এটা কেন বিখ্যাত?

উত্তরঃ ‘লাজারে গুহা’ ফ্রান্সের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে মানুষের প্রারম্ভিক বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই গুহার দেওয়ালের বিপরীতে তৈরি করা হয়েছিল একটি ১২×৪ মিটার আয়তনের আশ্রয়স্থল। এর ভিতর ২টি অগ্নিকুণ্ড ও অনেক ধরনের খাদ্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।

33. ‘আলটামিরা’ (Altamira) কোথায় অবস্থিত? এটি কেন বিখ্যাত?

উত্তরঃ ‘আলটামিরা’ স্পেনের একটি গুহাস্থল (আবিষ্কৃত হয় ১৮৭৯ সালে)।

এই গুহাস্থলটি তার গুহাচিত্রের জন্য বিখ্যাত। এই গুহার চিত্র এবং শিলাচিত্রগুলি উজ্জ্বল ও বহুবর্ণের। এখানে মানুষের হাত ও বন্য স্তন্যপায়ী জন্তুদের চিত্র ছিল। এই গুহাচিত্রের আনুমানিক বয়স ১৮,৫০০ থেকে ১৪,০০০ বছর।

34. দুইটি বর্তমান শিকারী-সংগ্রহকারী গোষ্ঠীর নাম লেখ। 

উত্তরঃ দুইটি বর্তমান শিকার-সংগ্রহকারী গোষ্ঠীর নাম হল- 

(ক) কুং সান (Kung San), কালাহারী মরুভূমি, আফ্রিকা। এবং 

(খ) হাজ্জা (Hadza), তানজানিয়া, আফ্রিকা।

35. ‘টেরা আমাটা’ (Terra Amata) কি?

উত্তরঃ দক্ষিণ ফ্রান্সের সাগর তীরবর্তী একটি প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র হচ্ছে ‘টেরা আমাটা’। এখানে কাঠ ও ঘাস দিয়ে তৈরি আদিম মানবের স্বল্পকালীন থাকার আশ্রয়স্থল আবিষ্কৃত হয়েছে। 

36. মৌখিক ভাষার আবির্ভাব কখন হয়েছিল?

উত্তরঃ মানুষের মস্তিষ্কে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য আছে যা তাদের কথা বলা

সম্ভব করেছিল। এটা সম্ভবত ২০ লক্ষ বছর পূর্বে ঘটেছিল।

37. আগুনের আবিষ্কার আদিম মানবকে কিভাবে সাহায্য করেছিল?

উত্তরঃ আগুনের আবিষ্কার আদিম মানবকে – 

(ক) গুহা আলোকিত করতে ও গরম রাখতে এবং রান্নার কাজে। 

(খ) যন্ত্রাদি ও অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করতে। এবং

(গ) ভয়ানক পশুদের বিতাড়ন করতে সাহায্য করেছিল।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

1. দ্বিপদ চলাচল শুরু হলে প্রারম্ভিক মানুষেরা কিভাবে লাভবান হয়েছিল?

উত্তরঃ দ্বিপদ চলাচল শুরু হলে প্রারম্ভিক মানুষেরা নিম্নোক্তভাবে লাভবান হয়ঃ

(ক) মুক্ত হাতে শিশু বা যে-কোন জিনিস বহন করা সম্ভব হয়।

(খ) হাত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হওয়ায় হাঁটতে কম শক্তি ব্যয় হয়।

(গ) অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে সক্ষম হয়।

(ঘ) ধীরে ধীরে দণ্ডায়মান চলাচলে পারদর্শী হয়ে ওঠে।

2. কখন এবং কিভাবে ‘অস্ট্রালোপিথেকাস’ (Australopithecu) প্রজাতির প্রাচীন মানবের অস্তিত্ব লোপ পায়?

উত্তরঃ ২.৫ নিযুত বছর পূর্বে তুষার যুগের সূত্রপাত হলে পৃথিবীর বিশাল অংশ বরফে আচ্ছাদিত হয়ে যায়। ফলে জলবায়ু ও উদ্ভিদের মধ্যে পরিবর্তন আসে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত কমার ফলে তৃণভূমির আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং ঘন জঙ্গলের আয়তন কমে আসে। এর ফলে ‘অস্ট্রালোপিথেকাস’ প্রজাতির প্রাচীন মানব, যারা ঘন জঙ্গল ও উষ্ণ আবহাওয়ায় অভ্যস্ত ছিল, বিলুপ্ত হয়ে যায়।

3. আদিম মানবরা কিভাবে তাদের আহার জোগাড় করত?

উত্তরঃ আদিম মানবেরা নিম্নলিখিত বিভিন্ন উপায়ে আহার জোগাড় করতঃ

(ক) আদিম মানবেরা গাছ থেকে ফল, বীজ, সুপারি বা বাদাম, রসযুক্ত ফল ইত্যাদি সংগ্রহ করত।

(খ) প্রাকৃতিক উপায়ে মৃত বা শিকারীর হাতে মৃত পশুপক্ষীর মাংস সংগ্রহ করত।

(গ) বিভিন্ন ছোট ছোট প্রাণী, যেমন—স্তন্যপায়ী জীব, ইঁদুর, পাখি ও তার ডিম, পোকা-মাকড় ইত্যাদি খেত।

(ঘ) মাছ ও জলজ জীব তাদের খাদ্যের অংশ ছিল, যা তারা কৌশলগতভাবে সংগ্রহ করত।

কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে খাদ্য সংগ্রহের ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানা যায় না, অনুমান করা যায় মাত্র।

4. তুষার যুগের প্রারম্ভ মানব ইতিহাসে কি পরিবর্তন সূচনা করেছিল?

উত্তরঃ ২.৫ নিযুত বছর পূর্বে তুষার যুগের সূত্রপাত হলে পৃথিবীর বিশাল অংশ বরফে আচ্ছাদিত হয়ে যায়। ফলে জলবায়ু ও উদ্ভিদের মধ্যে পরিবর্তন আসে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত কমার ফলে তৃণভূমির আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং ঘন জঙ্গলের আয়তন কমে আসে। এর ফলে ‘অস্ট্রালোপিথেকাস’ প্রজাতির প্রাচীন মানব, যারা ঘন জঙ্গল ও উষ্ণ আবহাওয়ায় অভ্যস্ত ছিল, বিলুপ্ত হয়ে যায়। -এর পর যোগ হবে– ধীরে ধীরে অন্যান্য নতুন প্রজাতির আবির্ভাব ঘটে, যারা শুষ্ক পরিবেশেও মানিয়ে নিতে পারে। তাদের মধ্য থেকেই হোমো প্রজাতির উন্মেষ ঘটে, যা আধুনিক মানবের একটি পর্যায় 

5. প্রিমেইটস্-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর। 

উত্তরঃ প্রিমেইটসদের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) তাদের দেহে লম্বা লোম ছিল।

(খ) তাদের গর্ভকালীন সময় দীর্ঘ ছিল।

(গ) এই গোষ্ঠীর স্ত্রীজাতির স্তন্যগ্রন্থি ছিল।

(ঘ) তাদের বিভিন্ন রকমের দাঁত ছিল।

(ঙ) দেহে একই তাপমাত্রা বজায় রাখার ক্ষমতা ছিল।

6. হিমায়ন পর্যায় বা হিমযুগ কখন আবির্ভূত হয়েছিল? মানব বিবর্তনে তা কিভাবে এবং কি কি পরিবর্তন সাধন করেছে?

উত্তরঃ হিমযুগ বা হিমায়নের আবির্ভাব ঘটেছিল প্রায় ২.৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে। ভূ-পৃষ্ঠের বিশাল এলাকা বরফাবৃত ছিল। ইহা পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সবুজায়নে প্রভূত পরিবর্তন সাধন করেছিল। ভূ-পৃষ্ঠের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পায়। তার ফলে বনরাজি হ্রাস পায়। বনরাজির তুলনায় তৃণভূমি এলাকা বিস্তৃত হয়। যার ফলে প্রাচীন বনমানুষ বা অস্ট্রালোপিথেকাস ধীর লয়ে বিলুপ্ত হতে থাকে, কারণ তারা জঙ্গলে বাস করতে অভ্যস্ত ছিল। এদের স্থানে অন্য প্রজাতির আবির্ভাব ঘটে, যারা শুষ্ক আবহাওয়ায় বসবাসে অভ্যস্ত ছিল। এই প্রজাতির মধ্যে মানবজাতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

7. মানব উৎপত্তি সংক্রান্ত আঞ্চলিক প্রবাহমান তত্ত্বটির সপক্ষে যুক্তি দাও। তুমি কি মনে কর যে এটা প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাখ্যার কোন সাক্ষ্য দেয়? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ মানব উৎপত্তি-সংক্রান্ত আঞ্চলিক প্রবাহমান তত্ত্বের সপক্ষে এই যুক্তি প্রদর্শন করা যায় যে, আর্কারিক হোমো সেপিয়েন্স (Archaic Homo sapiens) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক মানবে পরিণত হয়েছে। এই কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রথম আবির্ভূত মানুষের চেহারা বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। বর্তমানকালের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বৈশিষ্ট্যের উপর এই যুক্তি প্রতিষ্ঠিত।

এই যুক্তি প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্য প্রমাণের কোন নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। অন্যান্য তত্ত্ব সর্বত্রই আধুনিক মানুষ দ্বারা প্রাচীন মানুষের প্রতিস্থাপন প্রতিফলিত করে।

8. মানব বিবর্তনের প্রতিস্থাপন তত্ত্বটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তরঃ প্রতিস্থাপন তত্ত্ব অনুযায়ী যে স্থানেই মানুষ বসবাস করে না কেন তার পুরানো সকল প্রকার ধরন নুতন মানব দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়। বর্তমান যুগের মানুষের মধ্যে বংশগত ও দৈহিক গঠন- সংক্রান্ত সমরূপতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই সাদৃশ্যতার সপক্ষে এই যুক্তি প্রদর্শন করা যায় যে মানুষের পূর্বপুরুষগণ একটি মাত্র অঞ্চল হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই অঞ্চলটি হল আফ্রিকা। এই এলাকা হতে পরে তারা অন্যত্র চলে যায়। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ইথিওপিয়ার ‘আমা’-তে প্রাপ্ত মানুষের প্রাচীন জীবাশ্ম হতে।

9. আদিম মানুষ দ্বারা তৈরি পাথরের অস্ত্র ও তার ব্যবহার সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ  দাও। 

উত্তরঃ আদিম মানুষের পাথরের অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া যায় কেনিয়া ও ইথিওপিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রে। অস্ট্রালোপিথেকাসই সম্ভবত প্রথম পাথরের অস্ত্র তৈরিকারক মানুষ।

পুরাকালের মানুষ পাথরে পাথর ঠুকে প্রথমে একটি ছোট আকারের পাথর ভেঙে নিত, তারপর সেই পাথরের মাথাটি তারা ধারালো করত। এই ধরনের ধারালো পাথরের খণ্ডক বলে হাতে তৈরি পাথুরে অস্ত্র। এর সাহায্যে হাড় কাটা যেত, কাঠের লাঠি কাটা যেত। তারপর লাঠির মাথাটিকে শান দিয়ে ধারালো করে মাটি খোঁড়ার শাবল তৈরি করা হয়। পাথুরে অস্ত্র, পাথুরে শাবল ও কাঠের লাঠি ছিল পৃথিবীতে মানুষের প্রথম নাম হাতিয়ার।

একমাত্র মানুষ ছাড়া পৃথিবীর কোন প্রাণীই সহজতম কোন শ্রম-হাতিয়ার তৈরি করতে পারেনি। 

10. মানুষের জীবনে ৩৫,০০০ বছর পূর্বে এবং তার পরে জীবনযাত্রা প্রণালীর কি কি পরিবর্তন হয়েছিল তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ মানব জীবনে ৩৫,০০০ বছর পূর্বে নিম্নোক্ত পরিবর্তনসমূহ দেখা দিয়েছিলঃ

(ক) নুতন প্রকার হাতিয়ার; যেমন- বল্লম, তির, ধনুক প্রভৃতি তৈরি হয়েছিল। এগুলো পশুশিকারের কৌশল উন্নত করেছিল।

(খ) হাড় হতে মাংস বের করে এর প্রক্রিয়াকরণ আরম্ভ হয়। মাংসকে শুকানো এবং মজুত করার কৌশল আয়ত্ত করে। 

(গ) এরপর মানুষ লোমযুক্ত পশু ধরা ও পালন করতে শিখল এবং পশুর লোম দিয়ে কাপড় তৈরি করতে শিখল।

(ঘ) এরপর মানুষ সেলাই করার সূঁচ আবিষ্কার করে। সেলাই করা কাপড়ের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ২১,০০০ বছর পূর্বে।

(ঙ) এরপর মানুষ ব্লেড আবিষ্কার করে। ফলে নানাপ্রকার দ্রব্য কাটতে সমর্থ হয়।

11. জাতিবিজ্ঞান বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ জাতিবিজ্ঞান বা জাতিবিদ্যায় সমসাময়িককালের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিস্তারিত অধ্যয়ন করা হয়। তা জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা প্রণালী, খাদ্যাভ্যাস, জীবিকার্জনের উপায় প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করে। তাছাড়া লিঙ্গ ভূমিকা, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক পরিকাঠামো প্রভৃতিও অধ্যয়ন করা হয়। জাতিবিদ্যায় সমকালীন জাতিগোষ্ঠীর ধর্মীয় প্রথা ও অনুষ্ঠানাদি এবং সামাজিক রীতিনীতি প্রভৃতিও অধ্যয়ন করা হয়।

12. আগুনের আবিষ্কার আদিম মানবকে কিভাবে সাহায্য করেছিল?

উত্তরঃ আগুনের আবিষ্কার আদিম মানবকে – 

(ক) গুহা আলোকিত করতে ও গরম রাখতে এবং রান্নার কাজে।

(খ) যন্ত্রাদি ও অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করতে। এবং 

(গ) ভয়ানক পশুদের বিতাড়ন করতে সাহায্য করেছিল। 

আগুনের আবিষ্কার আদিম মানব সমাজে এক যুগান্তকারী ঘটনা। প্রথমাবস্থায় মানুষ আগুনকে ভয় করত। 

কিন্তু যখন মানুষ নিজে অগ্নিসংযোগ করতে শিখল তখন তাদের জীবনে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধিত হয়ঃ

(ক) আগুন গুহাবাসী মানুষের গুহার মধ্যে আলো দিত, গুহা গরম রাখত এবং রান্নার কাজেও ব্যবহার করা হত।

(খ) বল্লমের অগ্রভাগে কাঠ লাগানোর সময়ও আগুনের ব্যবহার করা হত।

(গ) যন্ত্রাদি, অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করতেও আগুনের প্রয়োজন হত। 

(ঘ) ভয়ানক পশুদের ভয় দেখিয়ে বিতাড়নের সময়ও আগুনের ব্যবহার করা হত।

13. ‘Artefacts’ বলতে কি বোঝ? আদিম মানবের উপস্থিতি বোঝাতে ‘Artefacts’-এর ভূমিকা কি?

উত্তরঃ ‘Artefacts’ হচ্ছে মানুষের হাতে তৈরি জিনিস, যার মধ্যে আছে— যন্ত্রপাতি, চিত্র, ভাস্কর্য, খোদাই করা কাজ ইত্যাদি।

যে সকল স্থানে খাদ্যবস্ত্র যথেষ্ট পরিমাণে ছিল সেখানে আদিম মানবরা বারবার যেত। এই সকল স্থানে তাদের ফেলে আসা জিনিসপত্রগুলিই (Artefacts) তাদের কাজকর্ম ও উপস্থিতির প্রমাণ দেয়। Artefacts গুলো মাটির বিভিন্ন স্তরে বা মাটির উপর পাওয়া যায়। তবে যে সকল স্থানে মানুষের যাওয়া-আসা কম ছিল সেই সকল স্থানে Artefacts-এর উপস্থিতিও কম পাওয়া যায়।

14. আদিম মানবের আশ্রয়স্থলে ‘অগ্নিকুণ্ড’ কিসের আভাস দেয়? এতে কি সুবিধা হয়েছিল?

উত্তরঃ গুহা বা আশ্রয়স্থলে অগ্নিকুণ্ডের অবস্থান আদিম মানবের আগুনকে করার ক্ষমতার সাক্ষ্য দেয়। এতে নিম্নোক্ত সুবিধা হয়েছিলঃ 

(ক) আগুন গুহার মধ্যে আলো দিত।

(খ) গুহা গরম রাখত।

(গ) খাদ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহার করা যেত।

(ঘ) যন্ত্রাদি ও অস্ত্র তৈরি করতে আগুনের ব্যবহার হত।

(ঙ) ভয়ানক পণ্ড বিতারণেও আগুনের ব্যবহার হত।

4 thoughts on “Class 11 History Chapter 1 মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top