Class 11 History Chapter 4 মধ্য ইসলামীয় ভূমি

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 History Chapter 4 মধ্য ইসলামীয় ভূমি, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 History Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 History Chapter 4 মধ্য ইসলামীয় ভূমি The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 History Chapter 4 মধ্য ইসলামীয় ভূমি are free to use and easily accessible.

Class 11 History Chapter 4 মধ্য ইসলামীয় ভূমি

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Assam AHSEC Class 11 History in Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 History Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 History Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 History Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 History Solution. Class 11 History Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

 মধ্য ইসলামীয় ভূমি

খ-বিভাগ–(সম্রাজ্য)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

1. ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে?

উত্তরঃ হজরত মহম্মদ।

2. ইসলাম ধর্মের উৎপত্তি কোথায়?

উত্তরঃ মদিনা, আরব দেশে। 

3. হজরত মহম্মদ কে?

উত্তরঃ ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক। 

4. হজরত মহম্মদ কখন মক্কা হতে মদিনায় চলে যান?

উত্তরঃ ৬২২ খ্রিস্টাব্দে।

5. হজরত মহম্মদ কখন নিজেকে ঈশ্বরের দূত বলে অভিহিত করেন?

উত্তরঃ ৬১২ খ্রিস্টাব্দে।

6. হজরত মহম্মদ কখন প্রথম ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন?

উত্তরঃ ৬১২ খ্রিস্টাব্দে। 

7. হজরত মহম্মদের পত্নীর নাম কি?

উত্তরঃ খাদিজা।

8. হজরত মহম্মদের মায়ের নাম কি?

উত্তরঃ আমিনা।

9. হজরত মহম্মদ কোন্ আরব উপজাতিভুক্ত ছিলেন?

উত্তরঃ ‘কুরেশ’ (Quraysh)

10. ‘খলিফা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়? 

উত্তরঃ হজরত মহম্মদ-পরবর্তী মুসলিম উম্মার নেতা বা মুখ্য প্রশাসনিক ও ধর্মীয় ক্ষমতাধিকারী বা পদাধিকারীই হচ্ছেন খলিফা। 

11. খলিফা পদ কখন সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে হজরতের মৃত্যুর পর। 

12. ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে প্রথম খলিফা কে ছিলেন?

উত্তরঃ আবু বক্কর।

13. কোন খলিফা প্রথম আততায়ীর দ্বারা নিহত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ খলিফা উসমান।

14. খলিফা আলির মৃত্যু হয় কিভাবে?

উত্তরঃ পরবর্তী সময় কুফার এক মসজিদে একজন খারাজী খলিফা আলিকে হত্যা করে।

15. খলিফা আলির উত্তরসুরী কে ছিলেন?

উত্তরঃ খলিফা আলির পুত্র হুসেন।

16. খারাজি কাদের বলা হয়?

উত্তরঃ খলিফা আলির অনুগামীদের যে অংশ সিফিনের যুদ্ধে পরাজয়ের পর তার ত্যাগ করে। তারাই খারাজী বলে পরিচিত হয়। 

17. ‘উমাইদ’ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তরঃ খলিফা উসমানের ঘনিষ্ঠ এবং সিরিয়ার শাসক মুয়াইয়া। 

18. উমাইদ বংশের পরে শাসনক্ষমতা কাদের হাতে গিয়েছিল?

উত্তরঃ আব্বাসিড বংশ।

19. ভারতের সম্রাট অশোকের লিপি/শিলালিপিতে মধ্য এশীয় অঞ্চলের কে ভাষার ব্যবহার পাওয়া যায়?

উত্তরঃ অ্যারামিক।

20. কোরানের লিখিত রূপ কখন দেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে।

21. ইংরেজি কোন্ সন থেকে ‘হিজরি সন আরম্ভ হয়েছিল?

উত্তরঃ ৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে।

22. ‘ড্রায়ারিখ’ (Tawarikh) কি?

উত্তরঃ ঘটনাপঞ্জী বা কালানুক্রমিক ঘটনার বিবরণ।

23. ‘ত্বায়ারিখ’-এর লেখক কে?

উত্তরঃ 723 খ্রিস্টাব্দে আরবি ভাষার লিখিত ‘ত্বয়ারিখ’-এর লেখক তাবারি। 

24. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইসলামীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়?

উত্তরঃ মিশরের কায়রোতে (এর নাম আল আজহার (Al-Azhar)

বিষয়সূচী-পত্ৰ
ক-বিভাগ–(আদিম সমাজ)
অধ্যায় – ১মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন
অধ্যায় – লিখন পদ্ধতি ও নগর জীবন
খ-বিভাগ–(সম্রাজ্য)
অধ্যায় – ৩তিনটি মহাদেশ জুড়ে সাম্রাজ্যের পত্তন
অধ্যায় – ৪মধ্য ইসলামীয় ভূমি
অধ্যায় – ৫যাযাবর সাম্রাজ্য
গ- বিভাগ–পরিবর্তনশীল পরম্পরা
অধ্যায় – ৬তিনটি শ্রেণী
অধ্যায় – ৭পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
অধ্যায় – ৮বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব
ঘ- বিভাগ– আধুনিকতার পথে
অধ্যায় – ৯শিল্প বিপ্লব
অধ্যায় – ১০দেশীয় লোকদের স্থানচ্যুতি
অধ্যায় – ১১আধুনিকতার বিভিন্ন দিশা

25. আরবরা কখন স্পেন জয় করেছিল?

উত্তরঃ ৭১০ খ্রিস্টাব্দে।

26. মঙ্গোলরা কখন আরব দেশ জয় করেছিল?

উত্তরঃ ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

27. পারসি সাহিত্যে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি?

উত্তরঃ শাহনামা।

28. ‘আব্বাসি’ বলতে কাদের বোঝানো হয়?

উত্তরঃ আব্বাসিরা ছিলেন হজরত মহম্মদের কাকা আব্বাসের বংশধর।

29. হয়ারতের মৃত্যুর পর মদিনার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব কার হাতে হস্তান্তরিত হয়েছিল।

উত্তরঃ উম্মার হাতে।

30. ইবন সিনা কে ছিলেন। 

উত্তরঃ প্রখ্যাত আরব দার্শনিক ও চিকিৎসক।

31. ইবন সিনার বইটির নাম কি?

উত্তরঃ আল কানুন ফিল তির।

32. শাহাদা কি?

উত্তরঃ ঈশ্বর ও অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর সামনে নতুন ধর্মের সাক্ষ্য রাখাকে শাহাদা বলে।

33. জাকাত কি?

উত্তরঃ দান করা।

34. মুরাওয়া কি?

উত্তরঃ সর্দার নির্বাচন করার পদ্ধতি।

35. সনম কি? 

উত্তরঃ মূর্তি বা প্রতিকৃতিকে সনম বলে।

36. সীরা কি?

উত্তরঃ জীবনবৃত্তান্ত লেখক।

37. সালাত কি?

উত্তরঃ প্রত্যেকদিনের প্রার্থনাকে সালাত বলে। 

38. মাওয়ালি কাদের বলা হয়?

উত্তরঃ ইরানীয় মুসলমানদের মাওয়ালি বলা হয়।

39. জুন্ড কি?

উত্তরঃ আরবের সৈন্যদের জুন্ড বলে।

40. সুক কি?

উত্তরঃ কেন্দ্রীয় বাজারের স্থানকে সুক বলে।

41. ‘মামলুক’ বলতে কাদের বোঝানো হয়?

উত্তরঃ তুর্কীদাস আধিকারিকদের বোঝানো হয়।

42. কাদের দ্বারা কায়রো শহরের পত্তন হয়?

উত্তরঃ ফাতিমিদের দ্বারা।

43. গজনীর সুলতানতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কে? 

উত্তরঃ ৯৬১ খ্রিস্টাব্দে গজনীর সুলতানতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন আল পাটগিন।

44. তুমরীল বেগ ও চামরী বেগ কে?

উত্তরঃ তুমরীল বেগ ও চাঘরী বেগ দুই ভাই, যারা সালজুক সুলতানতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।

45. ‘উলামা’ কি?

উত্তরঃ ইসলাম ধর্মীয় পণ্ডিতদের ‘উলামা’ বলা হয়।

46. নিশাপুর কেন বিখ্যাত? 

উত্তরঃ নিশাপুর একটি পার্সিক-ইসলামীয় শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে ওমর খৈয়াম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সালজুক তুর্কীদের শাসনকালে এটি তাদের রাজধানী ছিল।

47. ‘Bayt-al-Hikma’ কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ বাগদাদে।

48. আরবের অনুবাদ করা দুটি গ্রিক গ্রন্থের নাম লেখ।

উত্তরঃ অ্যারিস্টটলের সৃষ্টিকর্ম এবং ইউক্লিডের সৃষ্টিকর্ম। 

49. ‘মোতাল্লিলা’ কি?

উত্তরঃ ইসলামিক ধর্মতাত্ত্বিক গোষ্ঠী।

50. ‘কিতাব আল-বুখালা’ বইটির লেখক কে? 

উত্তরঃ বাসরার জাহিজ হচ্ছেন কিতাব-আল-বুখালার লেখক।

51. ‘আদাব’ শব্দের অর্থ কি? 

উত্তরঃ সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে পরিশীলিত বোঝাতে ‘আদাব’ শব্দটি ব্যবহার হয়।

52. কালিলা ওয়া-দিমনা’ কি?

উত্তরঃ পহলভী ভাষায় লেখা ভারতীয় পঞ্চতন্ত্রের আরবি অনুবাদ হচ্ছে কালিনা-ওয়া দিমনা”। 

53. ফিরদৌস কে ছিলেন?

উত্তরঃ ফিরদৌস ছিলেন গজনী সুলতানতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ লেখক-কবি।

54. ওমর খৈয়াম কে ছিলেন?

উত্তরঃ ওমর খৈয়াম ছিলেন একজন গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

55. আৰু নওয়াজ কে ছিলেন?

উত্তরঃ আব্বাসি শাসনকালের একজন পারসীক কবি ছিলেন আবু নওয়াজ।

56. ‘পহলভী’ কোন্ অঞ্চলের ভাষা?

উত্তরঃ আরব অধিগ্রহণ পর্যন্ত ইরানের ভাষা ছিল পহলভী।

57. রুদাকী কে ছিলেন?

উত্তরঃ রুদাকী ছিলেন সামানিয় সুলতানতন্ত্রের সভাকবি। তাকে নবা পারসি কবিতার জনক বলা হয়। 

58. তুর্কী কারা ছিল?

উত্তরঃ মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতি।

59. ‘শাহনামা’ গ্রন্থের লেখক কে ছিলেন? 

উত্তরঃ ফিরদৌস।

60. ‘শাহনামা’ গ্রন্থে কত শ্লোক আছে?

উত্তরঃ ৬০ হাজার।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

1. ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে? তাঁর যে-কোন দুইটি ধর্মমত লেখ।

উত্তরঃ ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হলেন হজরত মহম্মদ। তাঁর দুইটি ধর্মীয় মতবাদ হল – 

(ক) একমাত্র আল্লাকে পূজা করতে হবে। এবং 

(খ) মুসলমান কখনই বিগ্রহ পূজা করবে না। 

2. মহম্মদ কে ছিলেন?

উত্তরঃ তিনি একজন আরব ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর জাতিগোষ্ঠীর নাম ছিল কোরায়শ এবং তিনি এর সর্দার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি পয়গম্বর মহম্মদ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন ও ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করেন।

3. প্রারম্ভিক পর্যায়ে হজরত মহম্মদ-এর ধর্মপ্রচারের মুখ্য দুই আদর্শ কি ছিল?

উত্তরঃ প্রারম্ভিক পর্যায়ে হজরত মহম্মদের ধর্মপ্রচারের মুখ্য দুই আদর্শ ছিল-

(ক) একমাত্র ঈশ্বর, আল্লাহ্র উপাসনা করা। এবং 

(খ) এক সম্প্রদায়ভুক্ত ধর্মীয় বিশ্বাসের (উম্মা) উপর গুরুত্ব আরোপ করা।

4. হজরত মহম্মদ কিভাবে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন? 

উত্তরঃ ৬১২ খ্রিস্টাব্দে নাগাদ হজরত মহম্মদ নিজেকে ঈশ্বরের দূত ‘রসুল’ হিসাবে পরিচয় দিতে থাকেন। তিনি বলেন যে একমাত্র ঈশ্বর বা আল্লাহর আরাধনা প্রচারের জন্যই তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঈশ্বর আরাধনার কিছু সহজ রীতি প্রবর্তন করেন, যা খুব সহজেই আরব অঞ্চলের মানুষদের আকর্ষিত করে এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটে।

5. হজরত মহম্মদ প্রবর্তিত নব্য ধর্ম ইসলাম কারা প্রথম গ্রহণ করেছিল?

উত্তরঃ মক্কাবাসী একশ্রেণীর জনগণ ব্যবসা ও ধর্মীয় কার্যকলাপের আয় থেকে নিজেদের বঞ্চিত মনে করতেন এবং তারা একটি সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের খোঁজে ছিলেন। তাঁরা হজরত মহম্মদ-এর নবা ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান বলে পরিচিত হন। 

6. আরবে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব কিভাবে হল?

উত্তরঃ কোরায়শ জাতিগোষ্ঠীর নেতা মহাম্মদ ৬১২ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে রসুল বা ঈশ্বরের দূত হিসাবে পরিচয় দিলেন এবং আরবে একমাত্র ঈশ্বর, তথা আল্লার উপাসনা প্রচার করেন।

7. মহম্মদের পর তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা কাদের হস্তগত হয়েছিল?

উত্তরঃ মহম্মদের পর কোন আইনসিদ্ধ উত্তরাধিকারী না থাকায় তাঁর রাজনৈতিক না বা সাধারণ ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী লোকেদের হস্তগত হয়েছিল। ক্ষমতা উম্মা বা সাধারণ ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী লোকেদের হস্তগত হয়েছিল।

8. মহম্মদ কি কোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন? 

উত্তরঃ হ্যাঁ, মহম্মদের অনুগতরা মক্কাবাসী এবং মদিনার ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা নাছিল এবং এই যুদ্ধের ফলে মহম্মদ মক্কা অধিকার করেছিলেন।

9. মক্কা শহর কিসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ মক্কা শহর নিম্নোক্ত কারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়ঃ

(ক) মক্কা শহর কাবা শরিফের জন্য বিখ্যাত।

(খ) এই শহর সিরিয়া ও ইয়েমেন-এর সংযোগকারী বাণিজ্য রাস্তার উপর অবস্থিত।

10. প্রথম মুসলমানরা কাদের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল।

উত্তরঃ ইসলাম ধর্মের সূচনাকালে, প্রথম মুসলমানরা প্রভাবশালী মক্কাবাসীদের বিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল, কারণ তাদের দেবদেবীদের উপেক্ষা করে নতুন ধর্মমত প্রচারকদের কাজ তারা পছন্দ করলেন না।

11. মক্কার স্থানীয় মানুষের নিকট হতে মুসলমানগণ কি বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল?

উত্তরঃ মুসলমান মক্কার স্থানীয় জনগণের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কারণ সকল জনগণ বিগ্রহ প্রত্যাখ্যানকে অপমান বলে মনে করেন এবং নূতন ধর্মকে মক্কার মর্যাদা ও ঐশ্বর্যের পরিপন্থী বলে মনে করেন।

12. ইসলাম ধর্মাবলম্বীগণ দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়েছিল কেন? এই দুইটি সম্প্রদায় কি কি?

উত্তরঃ খলিফ আলীর শাসনকালে মক্কার অভিজাত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দুটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধের ফলে মুসলিম ও ইসলামদের মধ্যে ফাটল দেখা দেয় এবং তারা দুইটি হল — শিয়া ও সুন্নি।

13. কার আমলে এবং কেন মুসলমানরা, শিয়া ও সুন্নী এই দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত? 

উত্তরঃ চতুর্থ খলিফা আলির সময়কালে। আলির শাসনের পরবর্তী সময়ে মুসলমানদের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তী সময়ে আনির সমর্থকরা শিয়া এবং বিরোধীরা সুন্নী নামে ইসলামের দুইটি মূল গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়।

14. ইসলামের দুইটি ভাগ কি কি? দুইটি ভাগের প্রত্যেকটির একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ ইসলামের দুইটি ভাগ হল- 

(ক) সুন্নী। ও 

(খ) শিয়া। 

সুন্নীঃ সুরীরা হন ইসলামপন্থীদের মধ্যে সর্ববৃহৎ আধিপত্যকারী গোষ্ঠী। ‘সুন্নী’ শব্দটি “সুন্না” শব্দ হতে গৃহীত হয়েছে। যার অর্থ হল মহম্মদের উদাহরণ অথবা কথা ও কার্যাবলী। সুন্নীগণ প্রচলিত ইসলামি পদ্ধতি আইনসিদ্ধ করেন। 

শিয়াঃ শিয়াপন্থীরা হলেন ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী। শিয়াপন্থীরা আলী ইবন আবি তালিব-এর মতবাদে বিশ্বাসী এবং মহম্মদের প্রকৃত উত্তরাধিকার। তারা ইসলামি ইতিহাসের প্রথম তিন খলিফার বৈধতা প্রত্যাখান করেন।

15. হজরত মহম্মদ কখন এবং কেন মক্কা ত্যাগ করে মদিনা চলে গিয়েছিলেন?

উত্তরঃ ৬২২ খ্রিস্টাব্দে হজরত মহম্মদ মক্কা ত্যাগ করে মদিনা চলে গিয়েছিলেন। এর প্রধান কারণগুলি হচ্ছে- (ক) মক্কাবাসীরা তাদের দেবদেবী উপেক্ষা করে নতুন ধর্মমত প্রচার মেনে নিতে পারেন নি, ফলে অসন্তোষ গড়ে ওঠে, এবং (খ) মক্কাবাসীরা মনে করতেন যে নতুন ধর্মমত মক্কার সম্মান ও সমৃদ্ধির পথে বাধা হবে। 

16. ‘হিজরি’ কি?

উত্তরঃ ৬২২ খ্রিস্টাব্দে হজরত মহম্মদ তার অনুগামীদের নিয়ে মক্কা থেকে মদিনা যাত্রা ‘হিজরি’ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে এই যাত্রা এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই বছর থেকেই ইসলামীয় বা মুসলমান সাল গণনা শুরু হয়।

17. ‘কোরান’ কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল এবং এটিতে কতগুলো অধ্যায় আছে?

উত্তরঃ কোরান আরবি ভাষায় লেখা হয়েছিল এবং এটিতে ১৪টি অধ্যায় আছে। 

18. মধ্য ইসলামিক ভূখণ্ডের ইতিহাস লেখার জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসের নাম উল্লেখ কর। 

উত্তরঃ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল –

(ক) সময়ানুবর্তী ঘটনাপঞ্জি। এবং 

(খ) ঐতিহাসিক লেখাপঞ্জি।

19. মধ্য ইসলামীয় ভূমির ইতিহাস জানার বিভিন্ন উপাদানগুলি কি কি?

উত্তরঃ বিভিন্ন উপাদানগুলি নিম্নরূপঃ 

(ক) ঘটনাপঞ্জীঃ

(অ) তাওয়ারিখ।

(আ) সিরা।

(ই) হাদিস্।

(ঈ) তফ্সির।

(খ) পাঠ্য বই।

(গ) ভ্রমণকাহিনি।

(ঘ) গল্প ও কবিতা।

(ঙ) সরকারি নথিপত্র ও ব্যক্তিগত কাগজপত্র।

(চ) মুদ্রা ও শিলালিপি।

20. খলিফাতন্ত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য দুইটি কি কি? 

উত্তরঃ খলিফাতন্ত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য দুটো ছিল—

(ক) সম্প্রদায়ভুক্ত সমস্ত গোষ্ঠীকে অধীনস্থ রাখা। এবং 

(খ) রাষ্ট্রের জন্য সম্পদ বৃদ্ধি করা। 

21. প্রথম ও তৃতীয় খলিফার নাম লেখ।

উত্তরঃ প্রথম এবং তৃতীয় খলিফা ছিলেন যথাক্রমে আবু বকর এবং উসমান।

22. প্রথম চারজন খলিফার নাম লেখ। তাদের ক্ষমতার মূল ভিত্তি কি ছিল?

উত্তরঃ প্রথম চারজন খলিফা ক্রমান্বয়ে ছিলেন—

(ক) আবু বকর। 

(খ) উমর। 

(গ) উসমান। এবং 

(ঘ) আলি। 

খলিফাদের ক্ষমতার মূল ভিত্তি ছিল হজরত মহম্মদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। 

23. তৃতীয় খলিফা উসমান কেন এবং কার দ্বারা নিহত হন?

উত্তরঃ তৃতীয় খলিফা উসমান নিজের অাধিপত্য বজায় রাখবার জন্য তার শাসকশ্রেণীয়ে। কুরেশ জনগোষ্ঠীর অর্থাৎ তার ঘনিষ্ঠ শ্রেণীভুক্তদের নিয়োগ করেন। কুরেশ্বরা মক্কার অধিবাসী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শাসনের ব্যাপারে মক্কার আধিপত্য বৃদ্ধি পায়। এতে অন্য জনগোষ্ঠীর সাথে তাদের স্বপ্ন দেখা দেয়। ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে ইরাক, মিশর ও মদিনার কুরেশ বিরোধীরা তৃতীয় খলিফা উসমানকে হত্যা করে।

24. চতুর্থ খলিফা আলি কোন্ কোন্ দুইটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ চতুর্থ খলিফা আলি 

(ক) ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে কেমেলার যুদ্ধে হজরত মহম্মদের স্ত্রী আয়েশার বিরুদ্ধে। এবং 

(খ) খলিফা উসমানের ঘনিষ্ঠ ও সিরিয়ার শাসক মুয়াইয়ার বিরুদ্ধে সিফিনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 

25. অ্যারামাইক কি? 

উত্তরঃ হীরু ও আরবি পরিবারভুক্ত একটি মিশ্র ভাষা, যা সম্রাট অশোকের শিলাস্তম্ভগুলিকে দেখতে পাওয়া যায়।

26. উম্মা কাদের বলা হয়?

উত্তরঃ যারা নিত্য প্রার্থনা করতেন, যারা গরিবদের দান করতেন এবং যারা চুরি কিংবা লুট থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে রাখতেন, তাদের উম্মা বলা হত।

27. খরজি কাদের বলা হয়?

উত্তরঃ জিরা ছিল চতুর্থ খলিফা আলির শত্রু। জনৈক খরজি খলিফা আলিকে বাগদাদের কুফার একটি মসজিদে হত্যা করে। 

28. উমাইদ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উত্তরঃ প্রথম উমাইন খলিফা মুয়াইয়া ৬০১ খ্রিস্টাব্দে উমাইদ বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

29. উমাইদ বংশ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়? সংক্ষেপে লেখ। মুয়াইয়া কিভাবে খলিফা আলিকে উৎখাত করে এক নতুন বংশের শাসন প্রবর্তন করেন? সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ খলিফা আলির শাসনকালে খলিফাতন্ত্রের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। সিফিনের যুদ্ধ আলি সিরিয়ার শাসক মুয়াইয়ার সঙ্গে সন্ধির মাধ্যমে শেষ হয়। এতে আলি সমর্থক হ্রাস পায় এবং মুয়াইয়ার শক্তি বৃদ্ধি পায়। শীঘ্রই আলি আততায়ীর হাতে নিহত হলে মুয়াইয়া ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেন এবং উমাইদ বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

30. উমাইদ শাসনকালে কিভাবে সাম্রাজ্যবাদী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল? সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ উমাইদ শাসনকালের সাম্রাজ্যবাদী বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপঃ 

(ক) রাষ্ট্রব্যবস্থা সরাসরি ইসলামকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরে আসে।

(খ) রাষ্ট্রব্যবস্থা সিরিয়ার সৈন্যবাহিনীর আনুগত্য ও শাসনতন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে।

(গ) শাসনতন্ত্রের মধ্যে ছিলেন খ্রিস্টান উপদেষ্টা ও জোরথুস্ট্রীয় লিপিকার ও আমলারা। 

31. কখন উমাইদ বংশের পতন হয় এবং আব্বাসিদ শাসনের প্রতিষ্ঠা হয়। শেষ উমাইদ শাসক কে ছিলেন?

উত্তরঃ ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে উমাইদ বংশের পতন হয়, এবং ৭৫০ খ্রিস্টাব্দেই আব্বাসিদ শাসনের প্রতিষ্ঠা হয়।

সর্বশেষ উমাইদ শাসক মারোয়ান। জাব নদীর তীরে আব্বাসিদদের ইরানীয় ক্রীতদাস সেনানায়ক আবু মুসলিম মারোয়ানকে পরাজিত করেন এবং এতে উমাইদ শাসনের পতন ঘটে। 

32. ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ’ কি? কাদের মধ্যে এটি সংগঠিত হয়?

উত্তরঃ ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২৯১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পশ্চিম ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা। পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল অঞ্চলের মুসলমান রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। জেরুজালেমের উপর অধিকার সাব্যস্ত করতে। এই যুদ্ধগুলি পরবর্তীতে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ বলে অবিহিত হয়।

33. ধর্মযুদ্ধের দুইটি ফলাফল উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ধর্মযুদ্ধের দুইটি ফলাফল নিম্নরূপঃ 

(ক) ধর্মযুদ্ধের ফলে খ্রিস্টান যাজকদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছিল। যাজকরা সামরিক সংঘ গড়ে তোলেন। প্রয়োজনবোধে তারা যুদ্ধে লিপ্ত হতে ইতস্তত করতেন না।

(খ) ধর্মযুদ্ধের ফলে খ্রিস্টানদের সংহতি বৃদ্ধি পায়। 

34. খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে ধর্মযুদ্ধ সংগঠিত হয় কখন এবং কারা খ্রিস্টানদের প্যালেস্টাইন থেকে বিতারণ করে? 

উত্তরঃ ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে ধর্মযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং মালকরা, যারা মিশরের শাসক ছিলেন, খ্রিস্টানদের বিতারণ করেন।

35. ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের পূর্বে খ্রিস্টানদের প্রতি মুসলিমদের মনোভাব কেমন ছিল? 

উত্তরঃ ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের পূর্বে খ্রিস্টানদের প্রতি মুসলিমদের মনোভাব ছিলঃ

(ক) খ্রিস্টানদের নিজস্ব ধর্মগ্রন্থ ছিল বলে মধ্যযুগীয় ইসলামিক সমাজে তাদের কেতানী লোক বলে গণ্য করা হত।

(খ) মুসলমান রাজ্যগুলোতে খ্রিস্টান ব্যবসায়ী, তীর্থযাত্রী, দ্রুত অথবা পরিব্রাজকদের চলাফেরা করবার সময় নিরাপত্তা প্রদান করা হত।

36. খ্রিস্টানদের নিকট জেরুজালেম কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল? আরবরা কখন জেরুজালেম অধিকার করে?

উত্তরঃ জেরুজালেম খ্রিস্টানদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি যিশুখ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ ও পুনরুত্থানের সাথে যুক্ত জায়গা।

৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে আরবরা জেরুজালেম দখল করে। 

37. ‘মাওয়ালী’ বলতে কাদের বোঝানো হয়? আরব উপজাতি সমাজে “মাওয়ালী’দের অবস্থান লেখ। 

উত্তরঃ অ-আরবগোষ্ঠীগুলিকে ‘মাওয়ালী’ বলা হত। আরব সামাজিক ব্যবস্থায় মাওয়ালীরা আরবদের সমতুল্য ছিল না। মাওয়ালীরা আবার কোন আরব গোষ্ঠীপ্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় আরব গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হত। এই প্রথা ছাড়াও মাওয়ালীরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরও আরবরা তাদের সমকক্ষ মনে করত না।

38. সুফিবাদের দুইটি নীতি উল্লেখ কর।

উত্তরঃ সুফিবাদের দুইটি নীতি হল—

(ক) পার্থিব দুনিয়া অস্বীকার করা। এবং 

(খ) একমাত্র ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা।

39. ‘শাহনামা’-র দুইটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ‘শাহনামা’-র দুইটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ 

(ক) শাহনামায় মোট ৬০,০০০ শ্লোক আছে। 

(খ) এগুলো কতকগুলি পরম্পরা ও কিংবদন্তীর সংমিশ্রণ।

40. কেমেলের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

উত্তরঃ কেমেলের যুদ্ধ ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ খলিফা আলি এবং মহম্মদের স্ত্রী আয়েশার নেতৃত্বে গঠিত সেনাবাহিনীর মধ্যে হয়েছিল। যুদ্ধে আলি জয়লাভ করেছিলেন। 

41. রাইজেন্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরবদের জয়লাভের কারণগুলি লেখ।

উত্তরঃ রাইজেন্টাইন ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরবদের জয়লাভের মুখ্য কারণগুলি হচ্ছে—

(ক) আরবদের সামরিক শক্তি ও দক্ষতা। 

(খ) আরবদের ধর্মপ্রচার প্রসারের উৎসাহ। এবং 

(গ) ধর্মীয় ও অভিজাত শ্রেণীর দ্বন্দ্ব এবং বিদ্রোহের ফলে দুই সাম্রাজ্যে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি। 

42. ‘খারজী’ বলতে কাদের বোঝানো হয়? খারজীদের উদ্ভব কিভাবে হয়েছিল?

উত্তরঃ সিফিনের যুদ্ধে সন্ধির পর খলিফা আলির অনুগামীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর এক পক্ষ আলির সঙ্গ ত্যাগ করে। তারাই ‘খারজী’ বলে পরিচিত। সিফিনের যুদ্ধে খলিফা আলির আত্মসমর্পণ এবং সন্ধি স্থাপন তার অনুগামীদের মধ্যে ভিন্ন মত গড়ে তোলে। এক অংশ তার সিদ্ধান্তের প্রতি অনড় থাকে, কিন্তু অপর পক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে তার সঙ্গ ত্যাগ করে। এইভাবে আমি-বিরোধী এক গোষ্ঠীর উদ্ভব হয় এবং এই গোষ্ঠীই খারজী বলে পরিচিত হয়। 

43. আরব সাম্রাজ্যে অমুসলমানরা কি কি কর প্রদান করতে? 

উত্তরঃ অ-মুসলমানরা তাদের সম্পতির রক্ষা ও ধর্মাচরণের অধিকার বজায় রাখার জন্য-

(ক) খরাজ। এবং 

(খ) জিজিয়া নামের দুই ধরনের কর প্রদান করত।

44. মুয়াইয়া কখন নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেন। উমাইদ বংশের শাসনকাল কতটুকু? 

উত্তরঃ মুয়াইয়া ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেন এবং নতুন বংশ উমাইদ বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। উমাইদ বংশের শাসনকাল ৬৬১-৭৫০ খ্রিস্টাব্দ।

45. হজরত মহম্মদ পরবর্তী খলিফাতন্ত্রের পতনের কারণ কি কি?

উত্তরঃ হজরত মহম্মদ পরবর্তী খলিফাতন্ত্রের পতনের কারণগুলি হচ্ছে—

(ক) মদিনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা খলিফাতন্ত্রের অত্যধিক বিস্তার ও সম্প্রসারণের ফলে পরিকাঠামো দুর্বল হওয়া। এবং 

(খ) শাসন পরিকাঠামোর স্বৈরতান্ত্রিক রূপ।

46. আরব সাম্রাজ্যে প্রচলিত স্বর্ণ এবং রূপার মুদ্রাগুলির নাম লেখ।

উত্তরঃ স্বর্ণমুদ্রা দিনার, রুপার মুদ্রা-দিরহাম। 

47. ‘Dome of Rock’ কে নির্মাণ করেছিলেন? এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ আবাদ-আল-মালিক ‘Dome of Rock’ নির্মাণ করেছিলেন। প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্যরীতি এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

48. ‘দাওয়া’ (Dawa) কি? এর ফলাফল লেখ।

উত্তরঃ উমাইদ শাসনকালের শেষ পর্যায়ে দাওয়া’ ছিল একটি সুসংগঠিত আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল উমাইদদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ। এই আন্দোলনের ফলে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে উমাইদ শাসনের অবসান ঘটে এবং মক্কাকেন্দ্রিক আব্বাসীরা ক্ষমতায় আসে। 

49. আব্বাসি বিপ্লব কী?

উত্তরঃ ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে উমাইদ রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে আরব খলিফাতন্ত্রে আব্বাসি শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসে। এর ফলে আরব সাম্রাজ্যের ক্ষমতার কেন্দ্র পরিবর্তিত হয়। তাছাড়াও আরও নানা পরিবর্তন হয়। যা আব্বাসি বিপ্লব নামে খ্যাত। 

50. আব্বাসি শাসনের শেষ পর্যায়ে সৃষ্টি হওয়া কয়েকটি নতুন শাসকগোষ্ঠীর নাম লেখ।

উত্তরঃ আব্বাসি শাসনের শেষ পর্যায়ে সৃষ্টি হওয়া কয়েকটি নতুন শাসকগোষ্ঠী হল— 

(ক) বাহিনীরা খোরাসানে। 

(খ) সামানীরা ট্রান্সওক্সিয়ানায়। এবং 

(গ) তুলুনীর মিশর ও সিরিয়ায়। 

51. ‘জিম্মি’ কি? 

উত্তরঃ আরব সাম্রাজ্যে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের ‘ধিম্মি’ বা সংরক্ষিত প্রজা বলে গণ্য করা হত।

52. আ্যাসিদের পতনের দুইটি কারণ লেখ। 

উত্তরঃ নবম শতাব্দী থেকে আব্বাসিদদের শাসন ক্ষমতায় দুর্বলতা দেখা দেয়,যা পরবর্তীতে পতন শীঘ্রতর করে নিম্নলিখিত দুটি কারণেঃ

(ক) দূরবর্তী রাজ্যগুলোর উপর বাগদাদ থেকে শাসকের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পরা।।

(খ) সামরিক বাহিনি ও আমলাতন্ত্রে আরব ও ইরানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব।

53. বাইদরা কারা? কোথায় তাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ বাইদরা ইরানের কাম্পিয়ান এলাকার একটি সিয়া গোষ্ঠী। ১৪৫ খ্রিস্টাব্দে বাইদরা মধ্য ও পশ্চিম ইরানে থাকা শেষ আব্বাসি অবস্থানকেও ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। বাইদ শাসকরা খলিফা পদবির পরিবর্তে শাহেনশাহ পদবি গ্রহণ করে।

54. আরব সাম্রাজ্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নাম লেখ। 

উত্তরঃ দামাস্কাস, বাগদান, কায়রো ও ফুসতাত আরব সাম্রাজ্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ। শহর। 

55. ‘ফাতিমি’ বা ‘ফাতিম্যবাদীরা কারা? তাদের শাসনক্ষেত্র কোথায় ?

উত্তরঃ কতিমি’ বা ‘ফাতিমাবাহীরা ছিল এক শিয়াপন্থী ইসলামীয় উপগোষ্ঠী, যন্ত্র নিজেদের মহম্মদের কন্যা ফাতিমার বংশধর ও ইসলামের ন্যায়সঙ্গত শাসক বলে দাবি করত। তাদের কেন্দ্রভূমি উত্তর আফ্রিকা থেকে তারা ১৬৯ খ্রিস্টাব্দে মিশর অধিকার করে ফাতিমি খলিফাতন্ত্র স্থাপন করে।

56. দশম শতাব্দীতে লোহিত সাগরের ব্যবসায়িক গুরুত্ব কেন বৃদ্ধি পায়? 

উত্তরঃ দশম শতাব্দীতে লোহিত সাগরের ব্যবসায়িক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়, কারণ ইতালির ব্যবসায়িক নগরগুলিতে প্রাচ্য দেশীয় জিনিসগুলির চাহিদা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসাবে কায়রোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। 

57. ‘সহস্র এক আরব্য রজনী কি? এর গুরুত্ব লেখ।

উত্তরঃ এটি একটি গল্প সংগ্রহ।

‘সহস্র এক আরব্য রজনী’-র অনেক গল্পে মধ্যযুগীয় ইসলামিক সমাজের প্রতিফ দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে নাবিক, ক্রীতদাস, বণিক, মুদ্রা বিনিময়কারী ইত্যাদি চরিত্র অঙ্কন করে তৎকালীন সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

58. Silk Road বা ‘রেশন পথ’ কি?

উত্তরঃ Silk Route বা ‘রেশম পথ’ বলতে প্রাচীন বাণিজ্যিক যোগাযোগ পথবে কোথায় যা সংযুক্ত করেছিল এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশকে। ৬,৫০০ কিমি দীর্ঘ বাণিজ্যপথটি মূলত ব্যবহৃত হত ইউরোপে চীনদেশীয় রেশম প্রেরণ করতে, যা কিনা মধ্য। এশিয়া হয়ে যেত। এই পথের ব্যবহার শুরু হয় দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে, যা অনেক শতাব্দী যাবৎ সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মূল ধারা ছিল।

59. ‘সুফি’ বলতে কাদের বোঝায়? কয়েকজন সুফি সাধকের নাম লেখ।

উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইসলামিক সমাজে একটি বিশেষ ধর্মভাবাপন্ন গোষ্ঠী সুফি বলে পরিচিত। ছিলেন। তারা তপস্যা ও কৃচ্ছ্রসাধনের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সম্বন্ধে গূঢ় ও বিশদ জ্ঞান এবং সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করতেন। 

কয়েকজন বিখ্যাত সুফিসাধকের মধ্যে ছিলেন মহিলা সুফি সাধিকা, বাসরা অঞ্চলের সাধ্বী রাবেয়া, ইরানীয় সুফি সাধক বেয়াজিদ বিষ্টামি এবং মিশরের সুফি সাধক ধুলনুন মিশ্রি।

60. মধ্যযুগীয় ইসলামী সমাজে একজন ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য গুণ দুটি কি কি?

উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইসলামী সমাজে একজন ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য দুটি গুণ হল – 

(ক) ভাষাজ্ঞান। এবং 

(খ) সৃজনশীল চিন্তা ক্ষমতা। 

61. নব্য পার্সী কবিতার শ্রেণীবিভাগগুলি কি কি?

উত্তরঃ নব্য পার্সী কবিতার দুইটি রূপ হচ্ছে গজল বা গীতধর্মী কবিতা; এবং চতুষ্পদী কবিতা বা রুবাই।

62.  রুবাই কি? সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ রুবাই হচ্ছে নব্য পার্সী ভাষার কবিতার একটি রূপ। সাধারণত রুবাই চার ছত্রের হয়। এর প্রথম দুই ছত্রে কবিতার পটভূমি, তৃতীয় ছত্রে কবিতার আবেগ এবং চতুর্থ ছত্রে মূল ভাব পরিস্ফুট হয়। রুবাই-এর বিষয়বস্তুর কোন বাধানিষেধ নেই। প্রিয়জনের রূপবর্ণনা, পৃষ্ঠপোষকের প্রশংসা অথবা দার্শনিকদের ভাব প্রকাশে এই কবিতা ব্যবহৃত হয়। ওমর খৈয়ামের হাতে রুবাই শ্রেষ্ঠত্বে পৌঁছায়।

63. ‘শাহনামা’ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টাকা লেখ। 

উত্তরঃ শাহনামা হচ্ছে ইসলামিক সাহিত্যের সেরা গ্রন্থ। এর লেখক কবি ফিরদৌস। ৩০ বছর সময়কাল ধরে প্রায় ৫০,০০০ দ্বিপদ সম্বলিত শাহনামা লেখেন ফিরদৌস। সৃষ্টির সময় থেকে ইরানকে আরব অধিগ্রহণ সময়কাল পর্যন্ত বর্ণনা রয়েছে এই শাহনামায়। শাহনামায় বিভিন্ন ঐতিহ্য ও রূপকথার বর্ণনা আছে যার মধ্যে রুস্তম’ সবথেকে উল্লেখযোগ্য।

64. ইসলামীয় সভ্যতার চিত্রশিল্পের অবস্থান বর্ণনা কর। 

উত্তরঃ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশাসনে চিত্রশিল্পে কোন জীবন্ত প্রাণীর স্থান না থাকায় এখানে নতুন দুটি ধারার বিকাশ হয়— হস্তলিপি বিদ্যা, এবং জ্যামিতিক ও উদ্ভিজ্জ নক্সা। 

স্থাপত্য সজ্জিত করার জন্য নানা ধরনের ধর্মীয় উক্তি লিপিবদ্ধ করা হত। অষ্টম ও নবম শতকের কোরানের পাণ্ডুলিপিতে হস্তশিল্পের রূপ সংরক্ষিত হয়েছে। বিভিন্ন বইয়ে চিত্র অহন করা হয়েছে। এছাড়াও বইগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উজ্জ্বলতর করা হত। দিকা ও বই উভয়তেই গাছপালা, ফুল ইত্যাদি চিত্রিত করা হয়েছে।

65. ‘খিরবত-আল-মাফজর’  এবং ‘কুশের আমরা’ —এর নির্মাতা কারা। 

উত্তরঃ প্যালেস্টাইনের নিরবত আল-মাফজর ও জর্ডনের ‘কৃশের আমরা’ নামে মরু প্রসাদগুলির নির্মাতা উমাইর শাসকরা।

66. আরব শাসনকালের দুইটি ইতিহাস-বিষয়ক এবং দুইটি ভূগোল বিষয়ক গ্রন্থের নাম লেখ।

উত্তরঃ ইতিহাস বিষয়ক দুইটি গ্রহ হচ্ছে আনসার-আল-অসরফ এবং তারিখ -আল- রসুল-ওয়াল-মুলক। 

ভূগোল বিষয়ক দুইটি গ্রহ হচ্ছে- মুরুজ-আল-বাহার এবং আহসান-আল-তাকাসিন। 

67. আরব জাতির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। 

উত্তরঃ আরব জাতি একটি জনগোষ্ঠী বা বহুসংখ্যক পরিবার নিয়ে গঠিত হয়েছিল এবং একটি দলনেতার অধীনে ছিল। দলনেতা কিয়ৎ পরিমাণে পারিবারিক সম্পর্কে মনোনীত হলে তা মূলত তার জ্ঞানবুদ্ধি, ব্যক্তিগত সাহস প্রভৃতির উপর নির্ভর করত।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

1. আরব সাম্রাজ্যের উত্থানের জন্য দায়ী চারটি কারণ লেখ। 

উত্তরঃ সপ্তম শতাব্দীতে আরব সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়, যার স্থায়িত্ব দীর্ঘদিন ব্যাপী ছিল, যদিও সময় সময় নানা শাসকগোষ্ঠী শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। আরব সাম্রাজ্যের উত্থানের জন্য নানা কারণ দায়ী। 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চারটি কারণ নিম্নরূপঃ 

(ক) নতুন ধর্মীয় বিশ্বাস ইসলামের দ্বারা উদ্বুদ্ধ আরব অঞ্চলের যাযাবর গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে থাকার অনুপ্রেরণা ও নব্য ধর্মের প্রচার-এর আকাঙ্ক্ষা। 

(খ) সঙ্গবদ্ধ যাযাবর গোষ্ঠীগুলির নিজেদের প্রভুত্ব স্থাপনের ও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব স্থাপনের ইচ্ছা।

(গ) ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্য ও শাসকের প্রতি প্রজাদের অগাধ আস্থা এবং আনুগতা।

(ঘ) আরব শাসকরা নিজেদের পরিচিতি ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে ও হজরত মহম্মদের অনুগামী হিসাবে তুলে ধরায় তাদের প্রতি প্রজার আস্থা।

2. ৬০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালের মধ্য ভূমির ইতিহাস রচনায় মুখ্য তথ্যসূত্র সম্বন্ধে সংক্ষেপে লেখ। 

উত্তরঃ ৬০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালের মধ্য ইসলামীয় ভূমির/আরব অঞ্চলের ইতিহাসচর্চার মুখ্য তথ্যসূত্র বা উপাদানগুলি – 

(ক) ঘটনাপতি বা কালানুক্রমিক ঘটনার বিবরণ । Tawasikh) 

(খ) ইতিহাস-নির্ভর লেখাপঞ্জি- 

(১) জীবনীগ্রন্থ (Sira) 

(২) পারাদ্বারের বাণী ও কর্মের পঞ্জি (Hadith) 

(৩) কোরানের টীকাকারদের ব্যাখ্যা (Tifour)। ভাষাড়াও 

(গ) আইনি নথি।

(ঘ) ভৌগৌলিক তথ্যসমৃদ্ধ বই।

(ঙ) পরিচালকদের বিয়া।

(চ) বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, যেমন—কবিতা, গল্প ইত্যাদি।

3. ইতিহাসের উপাদানসূত্র হিসাবে ঘটনাপঞ্জি (Tawarikh)-র ভূমিকা লেখ। তথ্যসূত্র হিসাবে সরকারি আদেশ বা ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের মতো লিখিত উপাদান কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ ঘটনাপঞ্জি (Tawarikh) এর ক্ষেত্রে একটি সমালোচনামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাহক মাধ্যমগুলিকে সনাক্ত করে ও টীকাকারদের সততা যাচাই করে এর বিবরণগুলি গ্রহণ করা হয়েছিল। তাদের ব্যবহৃত প্রক্রিয়াটি নির্ভুল না হলেও সমসাময়িক পৃথিবীর অন্য প্রান্তের লেখকদের তুলনায় মুসলমান লেখকেরা তাদের তথ্য সংগ্রহ ও সংগ্রহকারীদের উদ্দেশ্য অনুধাবন করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন। বিতর্কিত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে তারা বিচারের ভার পাঠকদের উপর ছেড়ে দিয়ে নানা সূত্র থেকে প্রাপ্ত ঘটনার নানা আঙ্গিক তুলে ধরেছেন। তাদের সমসাময়িক অথবা নিকটতর সময়ের বিবরণ দিতে গিয়ে তারা শুধুমাত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন নি, সমস্ত ঘটনা সুসংহতভাবে তুলে ধরে তার বিশ্লেষণ করেছেন।

তথ্যসূত্র হিসাবে সরকারি আদেশ বা ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের মতো লিখিত তথ্য ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সবচাইতে মূল্যবান উপাদান। কারণ এগুলোতে সচেতনভাবে কোন ঘটনা ও ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয় না, ফলে তার ঐতিহাসিক সত্যতা বজায় থাকে। 

4. মক্কার প্রধান ধর্মীয় স্কুল কোনটি? এর গুরুত্ব কি?

উত্তরঃ মক্কার প্রধান ধর্মীয়স্থল হল কাবা শরিফ। এটি একটি চৌকোণা বিশিষ্ট কাঠামো যেখানে বিগ্রহ স্থাপিত আছে। মক্কার বাইরের মানুষ ও নানা জাতি কাবাকে একটি পবিত্র স্থান বলে গণ্য করতেন। তারা তাদের নিজ বিগ্রহ কাবায় প্রতিষ্ঠা করতেন এবং সেখানে বার্ষিক তীর্থ করতেন। কাবা একটি অভয়ারণ্য স্বরূপ যেখানে হিংসাত্মক কার্য নিষিদ্ধ এবং সকল পর্যটকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। যাযাবর এবং স্থায়ী জাতিদের তীর্থযাত্রাসহ নানা প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। এর ফলে আরব জাতিদের মধ্যে একতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top