Class 11 History Chapter 5 যাযাবর সাম্রাজ্য, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 History Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 History Chapter 5 যাযাবর সাম্রাজ্য The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 History Chapter 5 যাযাবর সাম্রাজ্য are free to use and easily accessible.
Class 11 History Chapter 5 যাযাবর সাম্রাজ্য
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Assam AHSEC Class 11 History in Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 History Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 History Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 History Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 History Solution. Class 11 History Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.
যাযাবর সাম্রাজ্য
খ-বিভাগ–(সম্রাজ্য)
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
1. মঙ্গোল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান।
2. চেঙ্গিস খান কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১১৬২ খ্রিস্টাব্দে।
3. গ্রেট খান কে ছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান।
4. মঙ্গোলীয়দের ‘সার্বজনীন শাসক’ কে ছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান।
5. ‘চেঙ্গিস খান’ নামের অর্থ কি?
উত্তরঃ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শাসক।
6. চেঙ্গিস খানের আসল নাম কি?
উত্তরঃ তেমুজিন।
7. তেমুজিন কখন নিজেকে চেঙ্গিস খান ও মঙ্গোলীয়দের সার্বজনীন শাসক বলে ঘোষণা করেন?
উত্তরঃ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে।
8. কার নেতৃত্বে মঙ্গোলরা মঙ্গোল উপজাতিগোষ্ঠীগুলি একতাবদ্ধ হয়?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান।
9. কোন্ শাসক ‘স্বর্গের পুত্র’ বা ‘Son of Heaven’ বলে পরিচিত?
উত্তরঃ মঙ্গোল শাসক চেঙ্গিস খান।
10. ‘এটেলা’ (Attila) কে ছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের পূর্বে ৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গোল উপজাতিদের সংঘবদ্ধ করার নেতৃত্বদানকারী ছিলেন ‘এটেলা’।
11. ইয়াসা কি?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের নিয়মাবলী।
12. Mongol-un nivea tobeaan কি?
উত্তরঃ মঙ্গোলদের একটি ইতিহাস বই, যা মঙ্গোলীয় ও চীনা ভাষায় লেখা হয়েছে।
13. কখন চেঙ্গিস খানের মৃত্যু হয়?
উত্তরঃ ১২২৭ খ্রিস্টাব্দে।
14. মঙ্গোল সাম্রাজ্যের সময়কাল কখন?
উত্তরঃ ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতাব্দী।
15. মঙ্গোলরা কোথাকার অধিবাসী ছিল?
উত্তরঃ মধ্য এশিয়ার মঙ্গোলীয়া।
16. মঙ্গোলরা কখন চীনের প্রাচীর অতিক্রম করে?
উত্তরঃ ১২১৩ খ্রিস্টাব্দে।
17. ‘গের’ (Ger) কি?
উত্তরঃ মঙ্গোলদের বসবাস করা অস্থায়ী তাঁবু হচ্ছে ‘গের।
18. কুবলাই খান কে ছিলেন?
উত্তরঃ কুবলাই খান ছিলেন চেঙ্গিস খানের নাতি।
19. গাজন খান কে ছিলেন?
উত্তরঃ ইরানে মঙ্গোল শাসক,
20. ‘টামা’ (Tama) কি?
উত্তরঃ মঙ্গোল রাজকুমারদের অধীনস্থ সামরিক বাহিনী।
21. Qub Car Tax বা কর কি?
উত্তরঃ ‘Qubcur Tax’ বা কর’ হচ্ছে ‘যাম’ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাযাবর গোষ্ঠীগুলো স্বইচ্ছায় দান করা তাদের
22. ‘Pax Mongolica’ কি?
উত্তরঃ এই শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে মঙ্গোল শাসনের ফলে এই বিশাল ইউরেশিয়া অঞ্চলে তৈরি হওয়া সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সুস্থিরতাকে।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ |
ক-বিভাগ–(আদিম সমাজ) | |
অধ্যায় – ১ | মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন |
অধ্যায় – ২ | লিখন পদ্ধতি ও নগর জীবন |
খ-বিভাগ–(সম্রাজ্য) | |
অধ্যায় – ৩ | তিনটি মহাদেশ জুড়ে সাম্রাজ্যের পত্তন |
অধ্যায় – ৪ | মধ্য ইসলামীয় ভূমি |
অধ্যায় – ৫ | যাযাবর সাম্রাজ্য |
গ- বিভাগ–পরিবর্তনশীল পরম্পরা | |
অধ্যায় – ৬ | তিনটি শ্রেণী |
অধ্যায় – ৭ | পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য |
অধ্যায় – ৮ | বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব |
ঘ- বিভাগ– আধুনিকতার পথে | |
অধ্যায় – ৯ | শিল্প বিপ্লব |
অধ্যায় – ১০ | দেশীয় লোকদের স্থানচ্যুতি |
অধ্যায় – ১১ | আধুনিকতার বিভিন্ন দিশা |
23. ‘নয়ান’ (Nayan) কি?
উত্তরঃ বিশেষভাবে নির্বাচিত সেনা আধিকারিকদের ‘নয়ান’ বলা হত।
24. চেঙ্গিস খানের পৌত্র মঙ্কে কোন ইউরোপীয় শাসককে সতর্ক করেছিলেন?
উত্তরঃ ফরাসী শাসক নবম লুই।
25. মঙ্গোল রাজসভায় আসা ইটালীয় পর্যটক কে ছিলেন?
উত্তরঃ মার্কো পোলো।
26. মঙ্গোল সাম্রাজ্যের প্রসার কোন কোন মহাদেশব্যাপী ছিল?
উত্তরঃ এশিয়া এবং ইউরোপ।
27. যাযাবর সাম্রাজ্য কোনটি ছিল?
উত্তরঃ মঙ্গোলীয় সাম্রাজ্য।
28. চীনে ইয়ান বংশের শুরু কখন হয়?
উত্তরঃ ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।
29. চীনে ইয়ান বংশের সমাপ্তি কখন হয়?
উত্তরঃ ১২৬৮ খ্রিস্টাব্দে।
30. মঙ্গোলীয়া কে জয় করেছিল?
উত্তরঃ চীনের মাধু রাজবংশ।
31. চীনের মাঞ্চুগণ কখন মঙ্গোলীয়া জয় করেছিল?
উত্তরঃ ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে।
32. মঙ্গোলীয়ায় গণরাজ্য কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে।
33. চীনের বিশাল প্রাচীর কেন নির্মাণ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ বর্বরদের আক্রমণ প্রতিহত করতে।
34. চীনের বিশাল প্রাচীর কখন নির্মাণ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে।
35. বর্বর কাদের বলা হত?
উত্তরঃ অ-গ্রিকদের।
36. Barbarian শব্দটি কোন্ শব্দ হতে উদ্ভূত হয়েছে?
উত্তরঃ গ্রিক শব্দ Barbaros
37. মঙ্গোলীয় সম্প্রদায় কোথায় বাস করত?
উত্তরঃ মধ্য এশিয়ার চালু অঞ্চলে।
38. গোবি মরুভূমি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মধ্য এশিয়ায় (মঙ্গোলীয় অঞ্চলে)।
39. কিয়াত কারা?
উত্তরঃ বরজিগিড় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত একটি পরিবার গোষ্ঠীর নাম হল কিরাত।
40. কুইরিলতাই কাদের বলা হত?
উত্তরঃ মঙ্গোল নেতা বা দলপতিকে কুইরিলতাই বলা হত।
41. কুরকার কি?
উত্তরঃ যাযাবরদের উপর আরোপিত কর।
42. পাইজা কি?
উত্তরঃ একটি দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত করার ছাড়পত্র।
43. বজ কি?
উত্তরঃ ব্যবসায়ীদের উপর আরোপিত কর।
44. খনাত কি?
উত্তরঃ ইরানের ভূগর্ভস্থ খালগুলিকে খনাত বলে।
45. রাশিয়ার শাসকের পদবি কি?
উত্তরঃ জার (Czar বা Tsar)।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
1. বর্বর বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ ‘বর্বর’ বা barbarian শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘বার্বারস’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যার অর্থ হল অ-গ্রিক। তাদের ভাষা গ্রিকদের নিকট অবাঞ্ছিত কোলাহল বলে মনে হয়।
2. মঙ্গোল কারা?
বা,
মঙ্গোল বলতে কাদের বোঝানো হয়?
উত্তরঃ মঙ্গোলরা ছিল মধ্য এশিয়ার এক বৈচিত্র্যময় যাযাবর উপজাতি গোষ্ঠী। পূর্ব দিকের তাতার, খিতান ও মাঞ্চু এবং পশ্চিম দিকের তুর্কী জনগোষ্ঠীর সাথে ভাষাগতভাবে তাদের সাদৃশ্য ছিল। কিছুসংখ্যক মঙ্গোল ছিল পশুপালক, আবার অন্যরা ছিল শিকারী-সংগ্রহকারী। তারা মধ্য এশিয়ার বর্তমান স্বাধীন রাষ্ট্র মঙ্গোলীয়ার বিস্তৃত সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করত।
3. চেঙ্গিস খান কে ছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান মঙ্গোল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ১১৬২ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান মঙ্গোলীয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বের নাম ছিল ‘তেমুজিন’।
4. কখন ও কোথায় চেঙ্গিস খানের জন্ম হয়?
উত্তরঃ ১১৬২ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গোলীয়ার উত্তরাঞ্চলে ওনন নদীর তীরে।
5. চেঙ্গিস খান কোন্ বংশের লোক ছিলেন? তার পিতা-মাতার নাম কি?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান ‘বড়জিগিদ’ (Borjigid) বংশ/উপজাতীয় লোক।
তার পিতার নাম ছিল যেসুগেই। যিনি কিয়াত নামে ‘বড়জিগিদ’ উপজাতির এক প্রধান ছিলেন। আর মায়ের নাম ছিল ‘ওয়েলান-ইক’।
6. চেঙ্গিস খানের দখল করা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নাম লেখ।
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের দখল করা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নাম হল — সমরখন্দ, নিশাপুর, হিরাট, বুখারা, বাহু, গুড়গঞ্জ ইত্যাদি।
7. চেঙ্গিস খান নিশাপুর কবে দখল করেছিলেন? তিনি নগরটি ধ্বংস করার জন্য কেন আদেশ দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১২২০ খ্রিস্টাব্দে চেঙ্গিস খান নিশাপুর দখল করেন।
নিশাপুর অবরুদ্ধ রাখার সময় একজন মোঙ্গল রাজপুত্র নিহত হলে চেঙ্গিস খান এই আদেশ দেন।
8. চেঙ্গিস খানের পুত্রদের নাম কি?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের চার পুত্র ছিলেন। তাদের মধ্যে বড় পুত্র ছিলেন জোচি, দ্বিতীয় পুত্র চাঘাতাই, তৃতীয় পুত্র ওগোদেই এবং কনিষ্ঠ পুত্রের নাম ছিল তোলাই বা তলুই।
9. চেঙ্গিস খান কাকে তার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করেছিলেন?
অথবা,
চেঙ্গিস খানের পর কে মঙ্গোল শাসক হয়েছিলেন? তিনি কোথায় মঙ্গোল সাম্রাজ্যের রাজধানী স্থাপন বা স্থানান্তর করেছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান তার তৃতীয় পুত্র ওগোদেইকে তার উত্তরাধিকারী হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন এবং তিনিই চেঙ্গিস খান পরবর্তী মঙ্গোল সম্রাট হন। তিনি কারাকোরামে মঙ্গোল রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।
10. দুইটি উপাদান উল্লেখ কর যা চেঙ্গিস খানের সামরিক কৃতিত্বের সহায়তা প্রমাণ করে।
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের সামরিক কৃতিত্বের সহায়তা প্রমাণকারী দুইটি উপাদান নিম্নরূপঃ
(ক) মঙ্গোলীয় ও তুর্কীদের অশ্বচালনা দক্ষতা সেনাবাহিনীর গতি ত্বরান্বিত করে।
(খ) অশ্বপৃষ্ঠ থেকে দ্রুত গুলিবর্ষণের দক্ষতা তাদের যথাযথ ছিল।
11. চেঙ্গিস খানের পৌত্র বাতু কোন্ ইউরোপীয় অঞ্চল দখল করেছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের পৌত্র বাতু যে ইউরোপীয় অঞ্চল দখল করেছিলেন তা হল—
(ক) মস্কো পর্যন্ত বিস্তৃত রাশিয়া।
(খ) পোল্যান্ড।
(গ) হাঙ্গেরী। এবং
(ঘ) অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা পর্যন্ত।
12. কখন কিভাবে তেমুজিনকে মঙ্গোলদের অদ্বিতীয় শাসক হিসাবে ঘোষণা করা হয়?
উত্তরঃ ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের কুড়িলতাই-এ তেমুজিনকে ‘চেঙ্গিস খান’ উপাধি প্রদানের মাধ্যমে তাকে মঙ্গোলদের অদ্বিতীয় শাসক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
13. প্রারম্ভিক পর্যায়ে চেঙ্গিস খানের দুইজন বন্ধু বা সহযোগীর নাম লেখ।
উত্তরঃ প্রারম্ভিক পর্যায়ে চেঙ্গিস খানের দুইজন বন্ধু বা সহযোগী ছিলেন- রোঘুরচু এবং জামুকা।
14. চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর মঙ্গোল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতিকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করা যায়?
অথবা,
চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর মঙ্গোল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি লেখ।
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের পর মঙ্গোল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতিকে নিম্নোক্ত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
(ক) প্রথম পর্যায়ে ১২৩৬ থেকে ১২৪২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মঙ্গোলরা রাশিয়ার তৃণভূমি অঞ্চল বুলগার, কিভ, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরী অধিকার করে।
(খ) দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২৫৫ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময় সমগ্র চীন, ইরান, ইরাক ও সিরিয়া দখল করে।
15. চেঙ্গিস খানের সমগ্র পৃথিবীর উপর কর্তৃত্ব স্থাপনের স্বপ্ন কতটুকু সফল হয়েছিল?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খান শুধুমাত্র মধ্য এশিয়ায় মঙ্গোলদের একতাবদ্ধ করতে চাননি, বরং তার বিশ্বাস ছিল যে তিনি সমগ্র বিশ্বের উপর কর্তৃত্ব শাসন করবার জন্য ঈশ্বরের আদেশ প্রাপ্ত। তার জীবনকাল মঙ্গোলদের সংঘবদ্ধ করে নিজের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করে, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেই কেটে যায়। তবে তার উত্তরাধিকারীত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য গঠন করে চেঙ্গিস খানের স্বপ্ন বাস্তবে পূর্ণ করেন।
16. চেঙ্গিস খান কিভাবে সেনাবাহিনীকে একতাবদ্ধ করার জন্য পুরানো গোষ্ঠী পরিচয় দূর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ পুরানো গোষ্ঠী পরিচয় মঙ্গোল সেনা গঠনকারী বিভিন্ন জাতির লোকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে বাধার সৃষ্টি করেছিল, যার ফলে পুরানো গোষ্ঠী পরিচয় লুপ্ত করার জন চেঙ্গিস খান নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিয়েছিলেনঃ
(ক) সেনাবাহিনীকে দশমিক একক অনুযায়ী ১০, ১০০, ১০০০ ও ১০০০০ একরে পুনর্গঠিত করেছিলেন।
(খ) তিনি পুরাতন এক জাতিভিত্তিক সামরিক একক গঠন লোপ করে নতুন সামরিক একক গঠন করেন, যেগুলি বিভিন্ন উপজাতিগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত হয়।
(গ) কোন সেনা যদি চেঙ্গিস খানের অনুমতি ব্যতীত সামরিক একক পরিবর্তন করে। তবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় ইত্যাদি।
17. চেঙ্গিস খানের পরবর্তীতে তার বংশধরেরা কেন নিজস্ব রাজ্য গঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছিল?
উত্তরঃ ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে চেঙ্গিস খানের পুত্রদের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তির যুগ্ম উত্তরাধিকারের মনোভাব ধীরে ধীরে তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা (উলু)-কে দিয়েছিল এবং অবশেষে বিভাজিত হয়। বাস্তবে এই ভাঙন ছিল জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলাফল।
18. মঙ্গোলীয়নের দুইটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ মঙ্গোলীয়দের দুইটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) মঙ্গোলীয়রা জাতি ও ভাষা দ্বারা আবদ্ধ ছিল।
(খ) ধনী পরিবারসমূহ বিশালাকার ছিল।
19. ১২৬০ খ্রিস্টাব্দের পর মঙ্গোল রাজনীতির নূতন প্রকাশের কারণ কি?
উত্তরঃ ১২৬০ খ্রিস্টাব্দের পর মঙ্গোল রাজনীতির নূতন প্রকাশের কারণ নিম্নরূপঃ
(ক) মঙ্গোলীয় বাহিনী হাঙ্গেরির ঢালু অঞ্চল থেকে পশ্চাদপসরণ করে।
(খ) মিশরীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক মঙ্গোলীয় সেনাবাহিনী পরাজিত হয়।
20. মঙ্গোল ইতিহাস সংক্রান্ত দুইটি উল্লেখযোগ্য পুস্তকের নাম লেখ।
উত্তরঃ Igor de Rachewiltz-এর Secret History of the Mongols এবং Gerhard Deorfer- Mongol and Turkic Terminology.
21. মঙ্গোলরা চীনাদের সঙ্গে কি ধরনের ব্যবসা করত?
উত্তরঃ বার্টার বা বিনিময় প্রথায় ব্যবসা-বাণিজ্য চলত, মঙ্গোলরা চীনের কাছে ঘোড়া, পশুর কোমল লোম ইত্যাদির বিনিময়ে কৃষিজাত দ্রব্যসামগ্রী এবং লৌহদ্রব্যাদি নিয়ে যেত।
22. মঙ্গোল যাযাবর গোষ্ঠীর ইতিহাস রচনায় মুখ্য উপাদানগুলি কি কি?
উত্তরঃ মঙ্গোল জনগোষ্ঠীর কোন লিখিত তথ্য নেই যেহেতু তারা কোন সাহিত্য সৃষ্টি করেনি। তবে নগরকেন্দ্রীক লেখকদের দ্বারা প্রস্তুত নথি, ক্রমইতিহাস এবং ভ্রমণ বিবরণ এই ক্ষেত্রে মুখ্য উপাদান।
23. মঙ্গোল যাযাবর গোষ্ঠীর ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা ছিল?
উত্তরঃ মঙ্গোলদের নিজস্ব কোন লিখিত তথ্য ছিল না। তাই বিদেশী লেখকেরা বিভিন্ন লিখিত তথ্য ব্যবহার করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন; যেমন—ভাষাগত সমস্যা, এবং মঙ্গোল জীবনশৈলীর পরিপূরক তথ্যের বিবরণের অভাব।
24. মঙ্গোলদের বাসভূমির বর্ণনা কর।
উত্তরঃ মধ্য এশীয় অঞ্চলে বর্তমান মঙ্গোলীয়ার বিস্তীর্ণ সমভূমি ছিল মঙ্গোলদের বিচরণ ক্ষেত্র। দিগন্তবিস্তৃত এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য ছিল পশ্চিমে তুষারমণ্ডিত আলতাই পাহাড়বেষ্টিত ঢেউখেলানো তৃণভূমি, দক্ষিণে শুদ্ধ গোবি মরুভূমি। আবার উত্তর ও পশ্চিমে অপর্যাপ্ত বরফ গলা জলের ঝরনা ও ওনন্ এবং সেলেন্স নদী বিধৌত উপত্যকা।
25. ইউরোপে পশ্চাৎ অপসারণ এবং মিশরীয় বাহিনীর কাছে মঙ্গোলদের পরাজয়ের কারণগুলি লেখ।
উত্তরঃ মঙ্গোলদের এই অবস্থার জন্য দায়ী কারণগুলি নিম্নরূপঃ
(ক) মঙ্গোলদের মধ্যে উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে আভ্যন্তরীণ কলহ। ইউরোপে অভিযান পরিচালনার চেয়ে তাদের কাছে সাম্রাজ্যের ক্ষমতা দখলের প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়ায়।
(খ) ১২৬০-এর দশকে মঙ্গোলদের মধ্যে সম্পূর্ণ চীন জয় করবার আগ্রহ দেখা দিলে সৈন্য ও রসদ চীন সীমান্তে নিয়ে আসা হয়। ফলে মিশরের দিকে বিস্তার নীতি ত্যাগ করে এবং স্বল্পসংখ্যক সেনা নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পরাজয় বরণ করে।
(গ) রাশিয়া ও ইরান সীমান্ত নিয়ে চেঙ্গিস খানের পুত্র জোচি ও তলুই-এর বংশধরদের মধ্যে বিবাদের ফলে জোচির বংশধররা ইউরোপ অভিযান থেকে সরে আসে।
26. কৃষকদের প্রতি মঙ্গোল শাসকদের মনোভাব কেমন ছিল?
উত্তরঃ ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে মঙ্গোল সাম্রাজ্যে যাযাবর ও কৃষিনির্ভর সম্প্রদায়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দূর হতে থাকে। ১২৩০-এর দশকে উত্তর চীনে মঙ্গোল শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে মঙ্গোলদের একাংশ কৃষক শ্রেণীকে ধ্বংস করে কৃষিভূমিকে চারণভূমিতে পরিণত করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু ১২৭০-এর দশকে দক্ষিণ চীনে মঙ্গোল শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে চেঙ্গিস খানের নাতি কুবলাই খান কৃষকদের এবং নগরীগুলোর সুরক্ষার জন্য সচেষ্ট হন। ১২৯০-এর দশকে চেঙ্গিস খানের কনিষ্ঠ পুত্র তলুই-এর বংশধর হরানের শাসক, গাজন খান সেনাবাহিনী ও তার পরিবারের সদস্যদের কৃষকদের প্রতি সুব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি কৃষক সমাজকে তুষ্ট না করে সুদৃঢ় সমৃদ্ধ রাজত্ব গঠন সম্ভব নয় বলে বিশ্বাস করতেন।
28. মঙ্গোল সাম্রাজ্য বিস্তার কিভাবে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করেছিল? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ সামরিক অভিযানের অস্থিরতা দূর হয়ে এলে মঙ্গোল সাম্রাজ্য ইউরোপ ও চীনকে ভৌগোলিকভাবে সংযুক্ত করে। এতে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। মঙ্গোলদের শাসনকালে রেশম পথ ধরে ব্যবসা ও পর্যটন উন্নতির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছায়। তবে এই পথ চীন দেশ ছাড়িয়েও বিস্তার লাভ করে এবং এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি সূচীত হয়।
29. বিশাল বিস্তৃত মঙ্গোল অধিকৃত অঞ্চলের একত্রীকরণের জন্য বা তাদের সংহতির জন্য মঙ্গোল শাসকরা কি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ চেঙ্গিস খানের রাজত্বকাল থেকেই মঙ্গোল শাসকরা তাদের বিভিন্ন অধিকৃত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জনজাতির প্রশাসনিক আমলাদের নিয়োগ করতেন। আমলাদের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবর্তন করা হত। যেমন চীনদেশের সচিবদের ইরানে এবং পারসিক সচিবদের চীনে নিয়োগ করা হয়। এই প্রথা দূরবর্তী অঞ্চলগুলির মধ্যে যোগাযোগ ও সংস্কৃতি গড়ে তুলতে যথেষ্ট উপযোগী ছিল। এছাড়াও এই সমস্ত আমলাদের পটভূমি ও শিক্ষা সুস্থির সমাজের প্রতি যাযাবর গোষ্ঠীর যে বিরূপ মনোভাব ছিল তা দূর করতেও কার্যকরী হত।
30. দুইটি উদাহরণ দ্বারা প্রমাণ কর যে চেঙ্গিস খানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অধিক স্থায়ী ছিল।
উত্তরঃ নিম্নোক্ত দুইটি উদাহরণ প্রমাণ করে যে চেঙ্গিস খানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অধিক স্থায়ী ছিলঃ
(ক) চেঙ্গিস খানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা তার মৃত্যুর পরও টিকে ছিল।
(খ) চেঙ্গিস খানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিশাল সেনা প্রতিহত করবার জন্য পর্যাপ্ত ছিল।
31. চীনের সঙ্গে মঙ্গোলদের বাণিজ্যের প্রধান সামগ্রীসমূহ কি ছিল?
উত্তরঃ মঙ্গোলগণ চীন থেকে কৃষিজ পণ্যসামগ্রী এবং লোহার বাসনপত্র আমদানি করত। বিনিময়ে তারা চীনে ঘোড়া, লোমযুক্ত পশু প্রভৃতি রপ্তানি করত।
32. চীনের বিশাল প্রাচীর কেন তৈরি করা হয়েছিল?
উত্তরঃ চীনে নানাপ্রকার যাযাবরগণ বারবার আক্রমণ করত। চীনকে তাদের আক্রমণ। থেকে রক্ষা করবার জন্য বিশাল প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছিল।
33. ‘চীনের প্রাচীর’ বা ‘The Great Wall of China’ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ ইতিহাসের সমস্ত যুগেই চীনদেশ যাযাবর অনুপ্রবেশের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দী থেকে শাসকরা প্রজাদের সুরক্ষার জন্য প্রাচীর গড়া শুরু করেন। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে কিং বংশের রাজত্বকালে সমস্ত প্রাচীরগুলিকে সংযুক্ত করে এক দীর্ঘ সুরক্ষা প্রণালী তৈরি করা হয়, যা চীনের প্রাচীর নামে খ্যাত। এর ফলে উত্তর-চীনের কৃষিপ্রধান অঞ্চল মঙ্গোল ও তুর্কী যাযাবর কর্তৃক লুণ্ঠন থেকে রক্ষা পায়।
34. যাযাবর সাম্রাজ্যে আমরা উৎপাদনের কিরূপ পরিবর্তন লক্ষ্য করি?
উত্তরঃ যাযাবর সাম্রাজ্যে আমরা উপজাতিভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে সামন্ততান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিবর্তন লক্ষ্য করি।
35. যাযাবর সাম্রাজ্যের ইতিহাস জানার বিভিন্ন উপাদানগুলি কি?
উত্তরঃ সেগুলি হল যথাক্রমে ধারাবাহিক ঘটনা-বিবরণ, ভ্রমণকাহিনি এবং শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কাগজপত্র।
36. শহরকেন্দ্রিক Literati-র সদস্য কারা ছিলেন?
উত্তরঃ শহরকেন্দ্রিক Literati 3 সদস্য ছিলেন বৌদ্ধ, কনফুসিয়াস, খ্রিস্টান, তুর্কী ও মুসলমান।
37. ‘কুড়িলতাই’ কি?
উত্তরঃ মঙ্গোল গোষ্ঠীপ্রধানদের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি সভা হচ্ছে ‘কুড়িলতাই’। সাহাজ্য সম্বন্ধে উপজাতি প্রধানদের ধারণা এই সভায় আলোচিত হত। ভবিষ্যৎ সামরিক অভিযান, লুণ্ঠনের সামগ্রী কটন, চারণভূমি এবং উত্তরাধিকারের মতো প্রতিটি বিষয় ছাড়াও সাম্রাজ্য ও উপজাতি-বিষয়ক সকল বিষয় এখানে আলোচনা করা হত এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হত।
38. ‘উলু’ (Ulu) কি? মঙ্গোল সাম্রাজ্যে কয়টি উলু ছিল?
উত্তরঃ মঙ্গোল সাম্রাজ্যে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক একক ছিল ‘উলু’। কিন্তু তার ভূমিখণ্ড সুনির্দিষ্ট ছিল না।
মঙ্গোল সাম্রাজ্যে মোট চারটি ‘উলু’ ছিল। যেগুলি একেক জন চেঙ্গিস খানের পুত্রের উপর ন্যস্ত ছিল শাসন পরিচালনার জন্য।
39. উপজাতি সমাজ কোন দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল?
উত্তরঃ উপজাতি সমাজ ধনী ও দরিদ্র এই দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
1. মঙ্গোল কারা ছিল? তাদের জীবনকাহিনি আলোচনা কর।
উত্তরঃ মঙ্গোলীয়গণ ছিল বিভিন্ন প্রকার মানুষের একটি গোষ্ঠী। ভাষার সাদৃশ্যের ভিত্তিতে এই সকল লোকরা হলেন পূর্ব দিকের টারটার, থিতান এবং মাঞ্চু; পশ্চিম দিকে তারা তুর্কী সম্প্রদায়ভুক্ত। মঙ্গোলীয়দের মধ্যে কিছুসংখ্যক হল পশুপালক এবং অবশিষ্ট মঙ্গোলরা হলেন শিকারি সম্প্রদায়।
(ক) পশুপালক সম্প্রদায় ঘোড়া, ভেড়া ও উট পালন করত। তারা মধ্য এশিয়ার ঢালু। অঞ্চলে যাযাবর জীবনযাপন করত।
(খ) শিকারি ও খাদ্য সংগ্রহকারীগণ সাইবেরিয়ার বনভূমিতে বসবাস করত। তারা পশুপালকদের তুলনায় দরিদ্র ছিল। তারা লোমযুক্ত পশুপালনের মাধ্যমে জীবিকার্জন করত।
(গ) মঙ্গোলীয়গণ সাধারণত তাঁবুতে থাকত এবং শীত থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত তারা। পশুপাল সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াত।
2. মঙ্গোলীয় বসবাসকারী অঞ্চলের ভূ-অবয়বের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ মঙ্গোলীয় জাতির লোক মধ্য এশিয়ার ঢালু অঞ্চলে বাস করত। এই অঞ্চল বর্তমান মঙ্গোলীয়ার একটি দীর্ঘ এলাকা ছিল। এই অঞ্চলটি অতি সুন্দর ছিল। এর চতুর্দিক সমভূমিময় ছিল। এর উত্তর দিক বরফাবৃত অনেকটাই পর্বতমালা ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণে ছিল শুরু গোবি মরুভূমি। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে অনেন এবং সেলেনগা নদী প্রবাহিত ছিল। এই অঞ্চলে অনেক তৃণভূমি ছিল। ঢালু অঞ্চলের তাপমাত্রা সারা বছর প্রায় একই প্রকার থাকত। দীর্ঘ শীতের পর শুষ্ক গ্রীষ্ম আসত। পশুচারণ অঞ্চলে বৎসরের সীমিত সময়ে কৃষিকার্য সম্ভব হত।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.