Class 11 History Chapter 6 তিনটি শ্রেণী, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 History Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 History Chapter 6 তিনটি শ্রেণী The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 History Chapter 6 তিনটি শ্রেণী are free to use and easily accessible.
Class 11 History Chapter 6 তিনটি শ্রেণী
Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Assam AHSEC Class 11 History in Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 History Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 History Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 History Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 History Solution. Class 11 History Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.
তিনটি শ্রেণী
গ- বিভাগ–পরিবর্তনশীল পরম্পরা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
1. মধ্যযুগে ইউরোপে কয় প্রকার সামাজিক শ্রেণী ছিল?
উত্তরঃ তিন প্রকার।
2. ‘মধ্যযুগ’ বলতে কোন সময়কালকে বোঝায়?
উত্তরঃ মধ্যযুগ বলতে ইউরোপীয় ইতিহাসের খ্রিস্টীয় পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কে বোঝায়।
3. ইউরোপের কোন্ যুগকে অন্ধকার যুগ’ বলা হয়?
উত্তরঃ মধ্যযুগকে।
4. কোন সময়কালকে অন্ধকার যুগ বলে?
উত্তরঃ ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে।
5. ‘সামন্তবাদ’ বা ‘Feudalism’ শব্দের উৎস কি?
উত্তরঃ ‘Feudalism’ শব্দের উৎপত্তি জার্মান শব্দ ‘Feud’ থেকে, যার অর্থ ‘এক টুকরো জমি’।
6. ‘Feud’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ একখণ্ড জমি।
7. সামন্ত প্রথার উদ্ভব কোথায় ঘটেছিল?
উত্তরঃ ইউরোপে মধ্যযুগে।
8. সামন্তবাদ কখন ইউরোপে গড়ে ওঠে?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ১১ শতকে।
9. মধ্যযুগে ইউরোপে প্রথম শ্রেণী কাদের বলা হত?
উত্তরঃ যাজক বা পুরোহিতদের।
10. মধ্যযুগে ইউরোপে দ্বিতীয় শ্রেণী কাদের বলা হত?
উত্তরঃ জমিদার শ্রেণীকে।
11. মধ্যযুগে ইউরোপে তৃতীয় শ্রেণী কাদের বলা হত?
উত্তরঃ কৃষকদের।
12. ফ্রান্সের প্রাচীন নাম কি ছিল?
উত্তরঃ গাউল (ম্বল)।
13. একাদশ শতাব্দীর পূর্বে কোন ফরাসী শাসকের শাসনে সামন্তপ্রথার ছাপ পাওয়া যায়?
উত্তরঃ শ্যালম্যাগন।
14. কোন উপজাতির নামে ফ্রান্সের নামকরণ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ ফ্রাঙ্ক।
15. ‘ফ্রান্স’ নামের উৎস কি?
উত্তরঃ জার্মান জনগোষ্ঠী ‘ফ্রাঙ্ক’ থেকে ফ্রান্স নামের উৎপত্তি।
16. রোম সাম্রাজ্যের কোন প্রদেশ ফ্রান্সে পরিণত হয়েছিল?
উত্তরঃ গাউল ল প্রদেশ।
17. মধ্যযুগে ইউরোপে চতুর্থ শ্রেণী’ কাদের বলা হত?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন সুদক্ষ পেশাদারি গোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে যেমন ব্যাঙ্ক মালিক ও আইনজীবির মতো সুন্দর ব্যক্তিদের উদ্ভব ঘটে। এই গোষ্ঠীকেই ‘চতুর্থ শ্ৰেণী’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ |
ক-বিভাগ–(আদিম সমাজ) | |
অধ্যায় – ১ | মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন |
অধ্যায় – ২ | লিখন পদ্ধতি ও নগর জীবন |
খ-বিভাগ–(সম্রাজ্য) | |
অধ্যায় – ৩ | তিনটি মহাদেশ জুড়ে সাম্রাজ্যের পত্তন |
অধ্যায় – ৪ | মধ্য ইসলামীয় ভূমি |
অধ্যায় – ৫ | যাযাবর সাম্রাজ্য |
গ- বিভাগ–পরিবর্তনশীল পরম্পরা | |
অধ্যায় – ৬ | তিনটি শ্রেণী |
অধ্যায় – ৭ | পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য |
অধ্যায় – ৮ | বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব |
ঘ- বিভাগ– আধুনিকতার পথে | |
অধ্যায় – ৯ | শিল্প বিপ্লব |
অধ্যায় – ১০ | দেশীয় লোকদের স্থানচ্যুতি |
অধ্যায় – ১১ | আধুনিকতার বিভিন্ন দিশা |
18. ত্রিশ্রেণী’ বা ‘তিন শ্রেণী’ কি?
উত্তরঃ ৯ম থেকে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপে বিদ্যমান তিনটি সামাজিক শ্রেণিবিভাগকে ‘ত্রিশ্রেণী’ বা ‘তিন শ্রেণী’ বলে অবিহিত করা হয়।
19. Feudal Society বইটির লেখক কে?
উত্তরঃ মার্ক রচ।
20. ম্যানর কাকে বলে?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় যৌথ কৃষি খামার।
21. ‘পবিত্র রোম সম্রাট’ উপাধি কোন্ সম্রাটকে দেওয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ চার্লস মেজ্ঞনিকে।
22. ‘ইংল্যান্ড’ শব্দ কোন্ শব্দের অপভ্রংশ?
উত্তরঃ Angle-land.
23. ইংল্যান্ডের বর্তমান রানি এলিজাবেথ কার বংশধর?
উত্তরঃ প্রথম উইলিয়ামের।
24. মার্ক ব্লচ কে ছিলেন?
উত্তরঃ মার্ক ব্লচ বিখ্যাত ফরাসি ঐতিহাসিক ছিলেন।
25. ভাইকিং শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ সমুদ্র দস্যু।
26. Trades of Marco Polo গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তরঃ মার্কো পোলো।
27. মার্কো পোলো কত খ্রিস্টাব্দে মোগল রাজপ্রাসাদে এসেছিলেন?
উত্তরঃ ১২৭৫ খ্রিস্টাব্দে।
28. Vassal কি?
উত্তরঃ রাজার সামন্ত।
29. ‘Fief’ বা ‘জায়গীর’ কি?
উত্তরঃ জমিদারদের নিকট থেকে লাভ করা নাইটদের ভূসম্পত্তিকে ‘Fief” বলা হত।
30. ‘নাইট’ বলতে কাদের বোঝানো হয়?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে সম্ভ্রান্ত বংশীয় সমরকৌশলে নিপুণ যোদ্ধাদের নাইট বলা হত।
31. ‘তিথ’ (Tithe) কি?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে চার্চের অধিকার ছিল কৃষকদের নিকট থেকে সারা বছরে তাদের জমিতে উৎপাদিত ফসলের এক-দশমাংশ সংগ্রহ করা। একেই ‘তিথ’ (Tithe) বলা হত।
32. মঠধারিনী হিল্ডেগার্ড কে ছিলেন?
উত্তরঃ মঠধারিনী হিল্ডেগার্ড ছিলেন একজন ঈশ্বরপ্রদত্ত সংগীতকার যিনি চার্চে সমবেত সংগীতের মাধ্যমে উপাসনা করার প্রথার উন্নতি ঘটিয়েছিলেন।
33. কাদের ‘Friar’ বলা হয়?
উত্তরঃ ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে সন্ন্যাসীদের কয়েকটি দল শুধু নিজেদের মঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ধর্মপ্রচার ও জনকল্যাণের স্বার্থে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াতেন, তাদের ‘Friar’ বলা হত।
34. ‘টেইল’ (Taille) কি?
উত্তরঃ কৃষকদের উপর আরোপ করা এক ধরনের প্রত্যক্ষ কর।
35. কোন শব্দ থেকে ইংল্যান্ড নামের উৎপত্তি?
উত্তরঃ ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে মধ্য ইউরোপের ‘এঙ্গল’ এবং ‘সেক্সন’ জনগোষ্ঠী ইংল্যান্ডে বসবাস করতে শুরু করে। ইংল্যান্ড নামটি ‘এঙ্গল ল্যান্ড’ (এঙ্গল ভূমি)-এর অপভ্রংশ।
36. ইংল্যান্ডের সংসদের দুই অংশের নাম কি?
উত্তরঃ ইংল্যান্ডের সংসদের দুই অংশের নাম –
(ক) House of Lords এবং
(খ) House of
37. ‘Black death’ বলতে কি বোঝায় ?
উত্তরঃ চরম সংক্রামক মারণব্যাধি প্লেগকে বোঝায়।
38. ‘The Estates General কি?
উত্তরঃ সমাজের তিনটি শ্রেণীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটিকে Estates General বলা হয়।
39. কখন শেষ ‘Estates General’ ডাকা হয়?
উত্তরঃ ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দে নাবালক রাজা ত্রয়োদশ লুইয়ের (Child King Louis XIII) রাজত্বকালে ফ্রান্সে Estates General-এর শেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
1. মধ্যযুগ বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ ৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগ বলে।
2. মধ্যযুগের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ মধ্যযুগের তিনটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) মধ্যযুগে গির্জা ছিল শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান।
(খ) এই যুগে সামন্ত প্রথার আবির্ভাব ঘটেরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
(গ) মধ্যযুগে কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ছিল না।
3. মধ্যযুগে শহর গড়ে ওঠার দুইটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ মধ্যযুগে শহর গড়ে ওঠার দুইটি কারণ নিম্নরূপঃ
(ক) মধ্যযুগে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শহরের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
(খ) শহরে সামন্ত প্রভুর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে গ্রামের মানুষ শহরে চলে আসে এবং শহর বিকাশে সহায়তা করে।
4. মধ্যযুগে ইউরোপের মঠগুলির যে-কোন দুইটি গুণ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ মধ্যযুগে ইউরোপের মঠগুলির দুইটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) মঠগুলি মধ্যযুগে শিক্ষাকেন্দ্ররূপে কাজ করত।
(খ) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীগণ মধ্যযুগের গির্জার প্রতিনিধিরূপে কাজ করত।
5. মধ্যযুগে ক্যাথলিক চার্চের যাজক হওয়ার কি কি গুণাবলী থাকা আবশ্যক ছিল?
উত্তরঃ মধ্যযুগে ক্যাথলিক চার্চের যাজক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নিম্নরূপঃ
(ক) তিনি ভূমিদাস এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে পারবেন না।
(খ) তিনি মহিলা হতে পারবেন না।
(গ) তিনি বিয়ে করতে পারবেন না।
6. মধ্যযুগীয় ইউরোপে চার্চ কেন চরম ক্ষমতাশালী ছিল?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে ক্যাথলিক চার্চগুলো প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিল। কারণ চার্চগুলোর নিজস্ব আইন ছিল। তাদের নিজস্ব জমিও ছিল, যেগুলো শাসকরা তাদের দান করেছিলেন। এমবী তাদের খাজনা সংগ্রহ করারও অধিার ছিল। তাই তাদের কোনভাবে রাজার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হত না এবং তারা স্বনির্ভর ছিল।
7. মধ্যযুগীয় চার্চের আয়ের উৎস কি ছিল?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় চার্চের আয়ের নিম্নোক্ত উৎস ছিলঃ
(ক) কৃষকদের নিকট থেকে সংগ্রহ করা বাৎসরিক শস্য উৎপাদনের এক-দশমাংশ।
(খ) ধনী ব্যক্তিদের দান, যা তারা নিজেদের কল্যাণে এবং তাদের মৃত আত্মীয়-স্বজনের শান্তি কামনায় দিত ইত্যাদি।
8. মধ্যযুগীয় শহরের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় শহরগুলির বৈশিষ্ট্যগুলি ছিল নিম্নরূপঃ
(ক) ধর্মীয় উপাষণালয় বা চার্চ থাকবে।
(খ) শহরের মধ্যে একটি মুখ্য কেন্দ্র বা Town Square থাকবে।
(গ) রাস্তা থাকবে যার দু-দিকে দোকান ও বাসগৃহ থাকবে।
(ঘ) একটি আধিকারিক কেন্দ্র বা Office থাকবে যেখান থেকে শহরের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।
9. ‘তিন শ্রেণী’ কারা গঠন করত?
উত্তরঃ তিন সামাজিক শ্রেণীই ‘তিন শ্রেণী’ গঠন করত-
(ক) যাজক সম্প্রদায় – প্রথম শ্রেণী।
(খ) সম্ভ্রান্ত বংশীয় ভূমি আধিকারিক—দ্বিতীয় শ্রেণী। ও
(গ) কৃষক শ্রেণী–তৃতীয় শ্রেণী।
10. প্রথম শ্রেণী কারা গঠন করত?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে ধর্মীয় যাজক শ্রেণীই ‘প্রথম শ্রেণী’ বলে অবিহিত হতেন। তারা খ্রিস্টধর্ম-বিষয়ক সকল কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন।
11. ‘তৃতীয় শ্ৰেণী’ কারা গঠন করত? এদের শ্রেণীবিভাগ কি কি?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে কৃষকরা (যাদের সেবার উপর প্রথম দুই শ্রেণী নির্ভরশীল। ছিল) তৃতীয় শ্রেণী’ গঠন করত।
তৃতীয় শ্রেণী অর্থাৎ কৃষকরা দুই শ্রেণীর ছিল—
(ক) মুক্ত কৃষক। এবং
(খ) ভূমিদাস বা ভূমি শ্রমিক (সার্ক)।
12. ভাইকিং জনগণ কারা ছিল?
উত্তরঃ ভাইকিং জনগণ হল যে সকল মানুষ অষ্টম থেকে একাদশ শতকে নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড প্রভৃতি উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ আক্রমণ করে সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছে।
13. জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের যে-কোন তিনটি উপাদান উল্লেখ কর।
উত্তরঃ জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের তিনটি উপাদান নিম্নরূপঃ
(ক) সামস্তবাদের পতন।
(খ) মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শক্তিবৃদ্ধি।
(গ) জাতীয় ভাষা ও সাহিত্যের ভূমিকা।
14. জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের তিনটি অবদান উল্লেখ কর।
উত্তরঃ জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের তিনটি অবদান নিম্নরূপঃ
(ক) সমাজে ভূমিদাস শ্রেণীর উচ্ছেদ ঘটে।
(খ) আন্তর্জাতিক সীমানা বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটে।
(গ) জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র মানুষের মধ্যে একতা প্রতিষ্ঠা করে।
15. কেন গাউল (মল) প্রদেশের নাম ফ্রান্স হল?
উত্তরঃ ফ্রাঙ্ক নামক জার্মান জনগোষ্ঠীর নাম অনুসারে ‘গাউল’-এর নাম পরবর্তীতে ফ্রান্সে রূপান্তরিত হয়।
16. ফ্রান্সের তিনটি শ্রেণীর উদ্ভবের উৎস কি ছিল?
উত্তরঃ তা ছিল একজন বিশপ বা উচ্চপদস্থ ধর্মযাজকের বক্তব্য, যেখানে তিনি। বলেছিলেন—“এখানে কেউ প্রার্থনা করে, কেউ-বা যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হয়, আবার কেউ-বা কাজ করে যায়”; অর্থাৎ যাজক সম্প্রদায়, অভিজাত সম্প্রদায় ও কৃষক শ্রেণী।
17. ফ্রান্সের প্রারম্ভিক সামন্তবাদী সমাজের দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তরঃ ফ্রান্সের প্রারম্ভিক সামন্তবাদী সমাজের দুইটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) সমাজে প্রধানত তিনটি শ্রেণী ছিল; যথা—যাজক, অভিজাত ও কৃষক শ্রেণী।
(খ) কৃষক শ্রেণী দুই শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল; যথা— স্বাধীন কৃষক ও ভূমিদাস।
18. কোন ফরাসী শাসককে এবং কখন ‘পবিত্র রোমান সম্রাট’ বলে উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ৮০০ শতাব্দীতে ফরাসী শাসক সম্রাট চার্লস মেজ্ঞনিকে পোপ প্রথম ‘পবিত্র রোমান সম্রাট’ উপাধি প্রদান করেন।
19. ফ্রান্স নামের রাষ্ট্রের পত্তন কিভাবে ঘটে?
উত্তরঃ রোমান সাম্রাজ্যে ‘থল’ একটি উপকূলীয় বনাঞ্চল এবং কৃষিকাজের উপযোগী বিস্তৃত সমতলভূমিতে সমৃদ্ধ প্রদেশ। ষষ্ঠ শতাব্দীতে ‘ফ্রাঙ্ক’ নামক জনগোষ্ঠী মূল অধিকার করে এবং জনগোষ্ঠীর নামাকৃত নতুন রাষ্ট্র ফ্রান্সের পত্তন হয় মার্চে।
20. প্রথম উইলিয়াম কে ছিলেন? তিনি কিভাবে ইংল্যান্ড দখল করেন?
উত্তরঃ প্রথম উইলিয়াম ছিলেন নর্মান্ডির ডিউক। একাদশ শতাব্দীতে তিনি কিছুসংখ্যক সৈন্য নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে ইংল্যান্ডের সেক্সন রাজাকে পরাজিত করেন এবং ইংল্যান্ড দখল করেন।
21. মধ্যযুগীয় ইউরোপের ইতিহাস রচনায় চার্চের ভূমিকা লেখ।
উত্তরঃ চার্চের দ্বারা সংরক্ষণ করা বিভিন্ন লিখিত উপাদান ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। চার্চ থেকে প্রাপ্ত জন্ম-মৃত্যু-বিবাহের নথিপত্র থেকে তদানীন্তন পারিবারিক ও জনসংখ্যাগত গঠন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানা যায়। চার্চের উৎকর্ণলিপি (Inscription) বাণিজিক সংস্থাগুলোর সম্বন্ধে ধারণা দেয়, সংগীত ও গল্পগাথা সমসাময়িক উৎসব ও সামাজিক কাজকর্ম সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ছবি তুলে ধরে।
22. চতুর্দশ শতাব্দীতে খ্রিস্টীয় সন্ন্যাস জীবনের প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষের দুইটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ চতুর্দশ শতাব্দীতে সন্ন্যাস জীবনের প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসে গড়ে ওঠে। এর দুটি উদাহরণ হচ্ছে—(ক) Piers Plowman কবিতার মাধ্যমে সন্ন্যাসীদের বিলাসী জীবনের বর্ণনা; এবং (খ) Canterbury Tales এ সন্ন্যাসীদের বিলাসী জীবনের ব্যঙ্গচিত্র।
23. দুটি বিখ্যাত মঠের নাম লেখ।
উত্তরঃ দুটি বিখ্যাত মঠের নাম হল –
(ক) সন্ত বেনেডিক্ট-এর তৈরি মঠ, ইটালিতে ৫২৯ খ্রিস্টাব্দে তৈরি। এবং
(খ) ক্লুনির তৈরি মঠ, বার্গান্ডিতে ১১০ খ্রিস্টাব্দে তৈরি।
24. সেন্ট বেনেডিক্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত মঠ দুটি কী কী?
উত্তরঃ সেন্ট বেনেডিক্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত মঠ দুটি হল –
(ক) মন্টি রোসিনো। এবং
(খ) সেক্র স্পেকো।
25. Piers Plowman এবং Canterbury Tales-এর লেখক কে?
উত্তরঃ Piers Plowman নামের কবিতাটি লেখেন লেংল্যান্ড, এবং Canterbury Tales-এর লেখক চৌসার।
26. খ্রিস্টীয় যাজক হওয়ার ক্ষেত্রে কাদের বাধানিষেধ ছিল?
উত্তরঃ যে-কোন ব্যক্তি চাইলেই যাজক হতে পারতেন না। খ্রিস্টীয় যাজক হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিতরা বাধানিষেধের আওতায় আসতেনঃ
(ক) ভূমিদাস ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের যাজক হওয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল।
(খ) মহিলারা যাজক হতে পারতেন না।
(গ) পুরুষদের মধ্যে যারা যাজক হতেন তারা বিয়ে করতে পারতেন না।
27. মার্ক ব্লচ (Mare Bloch) -এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত টিকা লেখ।
উত্তরঃ ইউরোপে ‘সামন্তবাদ’ নিয়ে গবেষণা করা কয়েকজন প্রারম্ভিক গবেষকের একজন ছিলেন মার্ক ব্লচ। তার মত ছিল যে ইতিহাস শুধু রাজনৈতিক ইতিহাস নয় বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মহান ব্যক্তিদের জীবনী নয়, বরং তার চেয়ে অনেক বেশি। ইতিহাসচর্চার পূর্ণতার জন্য তিনি ভূগোলচর্চার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
28. ‘সামন্তবাদ’ কি?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে বিশেষ করে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ ইতালিতে গড়ে ওঠা আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং আইনীয় ব্যবস্থা হচ্ছে সামন্তবাদ।
যদিও অর্থনৈতিক ভিত্তি নির্ভর গড়ে করে ওঠা এই ব্যবস্থায় সামাজিক সমৃদ্ধশালী স্বামীদের প্রভুত্ব স্থাপন নিশ্চিত করে, তবে এর মাধ্যমেই তৎকালীন শাসন, সমাজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত এবং নিরূপণ হয়।
29. মঙ্ক কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ ঈশ্বরের প্রতি অগাধ বিশ্বাসী কিছু ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবিশেষ, যারা একাকী বসবাস করতেন। এরা ছিলেন ‘মনাস্টারি’ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
30. মার্কো পোলো কে ছিলেন?
উত্তরঃ মার্কো পোলো ইতালির ডেনিসের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন | ভ্রমণকারী হিসাবে ১২৭৫ খ্রিস্টাব্দে মোগল রাজপ্রাসাদে আসেন। তিনি Trades of Marco |Polo নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।
31. ‘Minstrel’ কারা? তাদের ভূমিকা কি ছিল?
উত্তরঃ দ্বাদশ শতাব্দীর ফ্রান্সে চারণ কবিদের Minstrel বলা হত।
Minstrel বা চারণ কবিরা খামার থেকে খামারে ঘুরে বেড়াতেন গান গেয়ে গেয়ে, যে গানের উদ্দেশ্য ছিল সাহসী রাজা ও যোদ্ধাদের নিয়ে কিছুটা ঐতিহাসিক এবং কিছুটা কাল্পনিক গল্প গাথা প্রচার করা। তৎকালীন সময় মানুষের কোন নতুন কিছু ঘটনা বা বিচার জানার উপাদান ছিল অপ্রতুল, সে সময় Minstrel-রাই ছিলেন নানা ঘটনার সামাজিক বার্তাবাহক। তাই ছিল তাদের জনপ্রিয়তা।
32. মুক্ত কৃষক এবং ভূমিদাস বা সার্ফের মধ্যে দুইটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ মুক্ত কৃষক এবং ভূমিদাস বা সার্ফের মধ্যে দুইটি পার্থক্য হচ্ছে—
(ক) মুক্ত কৃষকেরা ভূস্বামীর রায়ত হিসাবে তাদের জমি ভোগ করত। কিন্তু সার্ফদের এই ধরনের কোন জমির অধিকার ছিল না। এবং
(খ) সার্ফদের ক্ষেত্রে ভূস্বামীর অনুমতি ছাড়া তার তালুক বা জমিদারি ছেড়ে যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু মুক্ত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা ছিল না।
33. ইংল্যান্ড অধিগ্রহণের পর প্রথম উইলিয়াম কি ধরনের প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন?
উত্তরঃ ইংল্যান্ড অধিগ্রহণ-এর পর তিনি জমি জরিপ করান এবং সেই জমি তার সাথে আসা ১৮০ জন নর্মান অভিজাত ব্যক্তির মধ্যে বণ্টন করেন। এরা রাজার মুখ্য রায়তে পরিণত হন। তারা রাজাকে সামরিক সাহায্য করতে বাধ্য ছিলেন। তাই তাহারে নাইটদের নিজেদের জমিতে স্থান দেন। এঙ্গলো- সেক্সন প্রজারা তাদের রায়তে পরিণত হয় এবং কর প্রদান করে।
34. নতুন নৃপতি গোষ্ঠী’ বলতে কাদের বোঝানো হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পঞ্চদশ এবং ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপের নৃপতিরা তাদের সামরিক এবং আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছিলেন। এতে তারা যে শক্তিশালী রাজ্য গঠন করতে সক্ষম। হয়েছিলেন তার আধার ছিল তাদের আর্থ-সামরিক ও রাজনৈতিক পরিকাঠামো। ঐতিহাসিকরা ওই সকল নৃপতিদেরই ‘নতুন নৃপতি গোষ্ঠী’ বলে সম্বোধন করেন। এদের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেন –
(ক) একাদশ লুই, ফ্রান্স।
(খ) ম্যাক্সিমিলান, অস্ট্রিয়া।
(গ) সপ্তম হেন ইংল্যান্ড। এবং
(ঘ) ইসাবেল ও ফার্ডিনান্ড, স্পেন।
35. ‘Guild’ বা ‘বাণিজ্য সংঘ’ কি? এর ভূমিকা কি?
উত্তরঃ ‘Guild’ বা ‘বাণিজ্য সংঘ’ হচ্ছে কোন পেশাদার গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সংগঠন। প্রত্যেক শিল্পই একটি ‘Guild’ বা ‘বাণিজ্য সংঘে’ সংগঠিত হত, যার দারা উৎপাদিত দ্রব্যের গুণাগুণ, তার মূল্য ও বিক্রয় প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করত।
“সংঘ গৃহ’ ছিল প্রতিটি শিল্প সংগঠনের কর্তাদের সভা করার জন্য নিয়মিত মিলিত হওয়ার ক্ষেত্র।
36. নিতুন নৃপতি গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
উত্তরঃ নতুন নৃপতি গোষ্ঠীর মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হচ্ছে—
(ক) স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
(খ) স্থায়ী সেনাবাহিনী গঠন।
(গ) স্থায়ী আমলাতন্ত্র গঠন। ও
(ঘ) জাতীয় কর ব্যবস্থা।
37. মধ্যযুগে ম্যানর কি ছিল?
উত্তরঃ ইউরোপের মধ্যযুগে স্বাধীন অথবা পরাধীন কোন কৃষকই ব্যক্তিগতভাবে জমিদারের নিকট হতে জমি বন্দোবস্ত নিতে না পারায় তারা সম্মিলিতভাবে জমিদারের নিকট হতে জমি বন্দোবস্ত নিত। সম্মিলিতভাবে এইরূপ নেওয়া জমিকে ম্যানর বলত। ম্যানরের জমিতে কৃষকের কুটির, চাষের জমি, গোচারণভূমি প্রভৃতি থাকত।
38. সিভালরি বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ মধ্যযুগে ইউরোপে নাইটরা ধর্মরক্ষা, রাজার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ছাড়াও নারী ও দুর্বলদের রক্ষায় সর্বদা নিজেদের নিযুক্ত রাখতেন। নাইটদের এই সকল গুণাবলীর ও বীরত্বের জন্য তাদের সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে সিভালরি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
1. সামস্তপ্রথা কাকে বলে?
উত্তরঃ রোমক সাম্রাজ্য পতনের পর টিউডর যুগের প্রারম্ভে ইউরোপে রাজনৈতিক অরাজকতা দেখা দেয়। সকল লোকেরা দুর্বলদের উপর অত্যাচার ও অবিচার করতে থাকে। আত্মরক্ষার তাগিদে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক নব পর্যায়ের রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে ওঠে, যার ফলে সাধারণ কৃষকরা কতকগুলি শর্তে জমিদারদের নিকট আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। এই প্রকার প্রথাকে সামন্তপ্রথা বলা হত।
সামন্তপ্রথা দুই প্রকারের রাজনৈতিক সামন্তপ্রথা এবং অর্থনৈতিক সামন্তপ্রথা। রাজনৈতিক সামন্তপ্রথা বলতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং অর্থনৈতিক সামন্তপ্রথা বলতে ভূ-সম্পত্তির ব্যবহারিক পদ্ধতি বোঝায়।
2. সামন্তপ্রথার স্বরূপ কী ছিল?
উত্তরঃ সামন্তপ্রথা বা ফিউডাল পদ্ধতি অনুযায়ী রাজা হলেন সমগ্র ভূমির অধিকারী। তিনি তার আশ্রিত ও অনুগত ব্যক্তিদের মধ্যে জমিদারী বণ্টন করে দিতেন। জমিদাররা জমির বিনিময়ে রাজার প্রয়োজনে তাকে সৈন্য দ্বারা সাহায্য করতেন। এই শ্রেণীর জমিদারদের বলা হত ‘মুখ্য ভূম্যধিকারী’। এই সকল জমিদাররা প্রায় স্বাধীনভাবেই নিজ নিজ জমিদারির শাসনকার্য চালাতেন। তাদের নিজস্ব আদালত পর্যন্ত ছিল। মুখ্য ভূম্যধিকারী প্রয়োজন মতো অধস্তন প্রজাদের জমি বিলি করে দিতেন। জমির মালিকরা নিজে কৃষিকার্য করতেন না। ‘ভিলেন’ বা ‘সার্ফ’ নামীয় ব্যক্তিরা তাদের প্রভুর জমি বিনা পারিশ্রমিকে চাষ করে দিত। সার্ফদের কোন প্রকার স্বাধীনতা ছিল না। প্রভুর নিকট থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য সামান্য ভূমি পেত। কিন্তু সেই সকল ভূমি প্রভুর বিনা অনুমতিতে কোন প্রকার অধিকার ছিল না। জমি চাষ ব্যতীত প্রচুর রাস্তাঘাট নির্মাণ, মেষের তত্ত্বাবধান প্রভৃতি বিনা পারিশ্রমিকে করতে হত।
3. সামস্তপ্রথার সুফল কি ছিল?
উত্তরঃ রোমক সাম্রাজ্য ধ্বংসের ফলে দেশে যে রাজনৈতিক অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখ দিয়েছিল, সামস্তপ্রথা প্রবর্তনে দেশে আবার শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে। ভূম্যধিকারী প্রজার ধন-প্রাণ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করায় একদিকে যেমন রাজার রাজ্যরক্ষার ব্যবস্থা হই অন্যদিকে তেমনি ভূম্যধিকারীদের মধ্যে আত্মনির্ভরতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার ভাব জেগে ওঠে অভিজাত শ্রেণী আত্মনির্ভর ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী হওয়ায় ইউরোপে পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাচারী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পেরেছিলেন।
4. সামস্তপ্রথার কৃষ্ণল কি ছিল?
উত্তরঃ এই প্রথার প্রধান কুফল হল সার্ফ এবং মধ্য ভূম্যধিকারীর সঙ্গে রাজার প্রভাষ সম্পর্ক না থাকা ফলে মুখ্য ভূম্যধিকারীগণ রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে রাজ সার্ফ এবং মুখ্য ভূম্যধিকারীদের নিকট কোন প্রকার সাহায্য পেতেন না। মুখ্য ভূমধ্যকারীগণ নিজস্ব আদালতে প্রজাদের মামলা-মোকদ্দমার বিচার করতেন; ফলে এক রাজার অধীনস্ব ভূভাগের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মামলার বিচারকার্য চলত। সার্কদের ব্যক্তি-স্বাধীন মোটেই ছিল না। অধিকন্তু সামস্তরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বহু বাধা দিতেন।
5. সামস্তপ্রথা বিলোপের কারণসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ সামস্তপ্রথা বিলোপের কারণসমূহ নিম্নরূপঃ
(ক) সামস্তপ্রথায় সার্ক ও মধ্য ভূম্যধিকারীর সঙ্গে রাজার কোন সম্পর্ক না থাকায় মুখ্য ভূমাধিকারীগণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে রাজার ক্ষমতা লোপ পাওয়ায়। রাজন্যবর্গ এই প্রথা ধ্বংসের চেষ্টা করেন।
(খ) সার্কদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ায় তারা সামস্তপ্রথার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
(গ) সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসার হয় এবং ফলে মুখ্য ভূম্যধিকারীদের শক্তি হ্রাস পায়।
(ঘ) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ‘ধর্মযুদ্ধ’ বাধলে ভূম্যধিকারীদের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।
(ঙ) মুখ্য ভূমাধিকারীরা প্রাচীন পন্থায় রণসম্ভার রাখতেন। আধুনিক রণসম্ভার আবিষ্কৃত হওয়ায় তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। সর্বোপরি, ফরাসি বিপ্লব পৃথিবীর সাধারণ লোককে নুতন শিক্ষা দিয়েছিল, যার ফলে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে সামর্থ সমগ্র ইউরোপ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
6. ইংল্যান্ডে সামন্তবাদের উদ্ভব কিভাবে হয়েছিল?
উত্তরঃ ইংল্যান্ডে একাদশ শতক থেকে সামন্তবাদের উদ্ভব ঘটে। ষষ্ঠ শতকে এসে। এবং সেক্সন ইংল্যান্ডে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে। ইংল্যান্ড নামটি এঙ্গেল- ল্যান্ড-এর অপভ্রল। একাদশ শতকে ইংল্যান্ডের রাজা স্যাক্সন নরমেনডির সম্রাট প্রথম উইলিয়ামের হাতে পরাজিত হন। এইভাবে প্রথম উইলিয়াম ইংল্যান্ড জয় করেন। তিনি দেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করেন এবং তা মোট ১৮০ জন নরমান অভিজাতের মধ্যে বিলি করেন।এই অভিজাতগণ প্রথম উইলিয়ামের সঙ্গে ইংল্যান্ডে আসেন। এই অভিজাতগণই রাজার প্রধান প্রজারূপে পরিগণিত হন।
জমিদারগণ রাজাকে সামরিক সহায়তা প্রদান করত। তারা রাজাকে কিছু নাইটও যোগান দিত। এই কারণে জমিদার নাইটগণকে তাদের কিছু জমি উপহার হিসাবে দিতেন। কিন্তু তারা নিজের ব্যক্তিগত কল্যাণের জন্য নাইটদের ব্যবহার করতে পারত না। অ্যাংলো-স্যাক্সন কৃষকরা বিভিন্নস্তরীয় জমিদারের প্রজাতে পরিণত হয়। এইভাবে ইংল্যান্ডে সামন্তবাদ বিকাশ লাভ করে।
7. ইউরোপীয় সামন্তবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
উত্তরঃ সামন্তবাদ বলতে একপ্রকার কৃষিজ উৎপাদন বোঝায় যা জমিদার ও কৃষকদের সম্পর্কের উপর প্রতিষ্ঠিত। রাজা ভূ-সম্পত্তি জমিদারের মধ্যে ভাগ করে দিতেন। জমিদার এই সকল ভূ-সম্পত্তি সামন্ত জমিদারের মধ্যে ভাগ করে দিতেন। সামন্ত জমিদাররা তার প্রভুর প্রতি অনুগত ছিলেন এবং তাকে সামরিক সাহায্য এবং উপহার দিতেন। সামস্ত জমিদারকে তার প্রভু অধিকার মঞ্জুর করতেন। কৃষক-সামন্ত কাঠামোয় কৃষকরা নিম্নশ্রেণীভুক্ত ছিল। তারা দুই শ্রেণীর ছিল; যথা— স্বাধীন কৃষক ও ভূমিদাস। সুতরাং সামন্ত ব্যবস্থায় ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের বিকেন্দ্রীকরণ ছিল। কিন্তু রাজা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হারান।
8. ইউরোপে সামন্তপ্রথার ফলে কৃষকদের অবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর।
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে সামন্তপ্রথার ফলে সমাজ প্রধানত দুই শ্রেণী দ্বারা বিভক্ত ছিল। এই দুই শ্রেণী ছিল –
ক) বৃহৎ জমিদার। ও
(খ) সাধারণ কৃষক।
কৃষকদের অবস্থাঃ মধ্যযুগে সামন্ত জীবনযাত্রা কৃষির উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কৃষকরা অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করত। তারা কাদা ও ঘাস দ্বারা নির্মিত ঘরে অত্যন্ত কষ্টে বাস করত। তারা তাদের প্রভুর ব্যক্তিগত জমিতেও কাজ করত। এই কাজের জন্য তারা কোনও প্রকার পারিশ্রমিক পেত না। তাদের উৎপাদিত সামগ্রীর কেবলমাত্র একটি অংশ দেওয়া হত। তাদের স্ত্রী ও কন্যাগণ সামন্ত প্রভুর বাড়িতে কাপড় বোনা ও কাপড় সেলাই প্রভৃতি কাজ করত।
তারা রুটি তৈরির জন্য প্রভুর চুল্লি ব্যবহার করত এবং তার ফলে ময়দা, আটা প্রভৃতি গুঁড়া করত। কিন্তু এর জন্য তাদের পয়সা দিতে হত। সুতরাং এটা প্রতীয়মান যে মধ্যযুগে ইউরোপের সমাজব্যবস্থা অত্যন্ত দীর্ণ ছিল।
9. মধ্যযুগে ইউরোপে সামস্ত ব্যবস্থার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
(ক) অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যঃ সামন্ত ব্যবস্থায় কৃষিই ছিল আর্থিক জীবনের ভিত্তি। গ্রামের কৃষিজ জমিকে ম্যানর বলা হত। ম্যানরে একটি পশুচারণ ভূমি ছিল যেখানে পশুরা বিচরণ করত। প্রতিটি ম্যানরে একটি শিল্প বা কারখানা থাকত। ম্যানরে ব্যক্তিগত উদ্যোগের অভাব ছিল। নূতন পদ্ধতি উদ্ভাবনের উৎসাহ দেওয়া হত না।
(খ) রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যঃ সামন্ত ব্যবস্থায় রাজার ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত ছিল। রাজ ও সামস্ত প্রভুদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করা থাকত। সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজার কোন প্রকার সংযোগ ছিল না। সামস্ত প্রভুদের সাধারণ মানুষের কল্যাণের প্রতি কোন দৃষ্টি ছিল না। তারা সদা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে মগ্ন থাকতেন। যার ফলে রাজনৈতিক ঐক্য ধ্বংস হয়েছিল।
10. মধ্যযুগে পশ্চিম ইউরোপে প্রথম শ্রেণী কে ছিল? ক্যাথলিক গির্জায় তাদের ভূমিকা আলোচনা কর।
উত্তরঃ মধ্যযুগে পশ্চিম ইউরোপে যাজক বা গির্জার পুরোহিত ছিল প্রথম শ্রেণী। পোপ, বিশপ এবং যাজকরা এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা ক্যাথলিক গির্জায় একটি বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত ছিল। পোপ ছিলেন গির্জার প্রধান। তিনি রোম-এ বাস করতেন। বিশপ ও যাজকরা সমগ্র ইউরোপের খ্রিস্টানদের নির্দেশ দিত ও পরিচালনা করত। অধিকাংশ গ্রামে নিজস্ব গির্জা ছিল। প্রতি রবিবার পুরোহিতের ধর্মীয় বাণী শোনার জন্য গ্রামের মানুষ গির্জায় সমবেত হতেন এবং সেখানে তারা প্রভু যীশুর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করতেন।
গির্জার নিজস্ব নিয়মনীতি ছিল। এই সব নিয়মনীতি অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তি গির্জার পুরোহিত হতে পারত। ভূমিদাস, স্ত্রীলোক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী গির্জার পুরোহিত হতে পারত না। ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিশপরা ছিল অভিজাতবর্গ এবং জমিদারের মতো বিশাল সম্পত্তি ছিল। তারা বিলাসবহুল প্রাসাদে থাকত। কৃষকদের নিকট হতে উৎপাদিত সামগ্রীর এক-দশমাংশ গির্জার গ্রহণ করবার অধিকার ছিল। একে ‘তিথে’ (Tithe) বলা হত। সম্রান্তশালী। ব্যক্তি গির্জাকে এককালীন বিশাল পরিমাণ দ্রব্য বা অর্থ দান করতেন। তা গির্জার আয়ের একটি প্রধান উৎস ছিল।
11. ধর্মীয় ক্ষেত্রে বা চার্চ ও যাজক শ্রেণীর (প্রথম শ্রেণী) কর্মকাণ্ডে কিভাবে সামন্ততান্ত্রিক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে ধর্মীয় ক্ষেত্রে মুখ্য ছিল চার্চ এবং চার্চগুলির শীর্ষে যিনি অবস্থান করতেন তিনি ছিলেন পোপ। বিশপ ও যাজকরা পোপের হয়ে ধর্মীয় কর্ম সম্পাদন করতেন। বিশপরা ছিলেন ধর্মীয় অভিজাত শ্রেণী, যারা জমিদারের মতো প্রচুর ভূ-সম্পত্তির মালিক ছিলেন এবং বিশাল প্রাসাদে থাকতেন। তাছাড়াও চার্চের বিভিন্ন উৎসবাদিতে সামন্ততান্ত্রিক অভিজাত পদ্ধতি অনুসরণ করেই পরিচালনা করা হত; যেমন—
(ক) হাঁটু গেড়ে বসে জোর হাতে মাথা নত করে চার্চে প্রার্থনা করা। এবং
(খ) ঈশ্বরকে প্রভু সম্বোধন করা ইত্যাদি সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতি অনুসরণ করেই পরিচালিত হত।
12. মধ্যযুগীয় ইউরোপে ধর্মীয় সাধকদের জীবনশৈলী সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ যদিও মধ্যযুগীয় ইউরোপে চার্চ অনুসৃত খ্রিস্টীয় মতবাদই বহুল প্রচলিত ছিল, তবে কিছু গভীর এবং ত্যাগী ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি নির্জনে ঈশ্বর সাধনায় ব্রতী ছিলেন। তারা লোকালয় থেকে অনেক দূরে অবস্থিত ধর্মীয় সংগঠন বা মঠে বাস করতেন। তারা ঈশ্বরের প্রার্থনা, ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ এবং কৃষিকাজের মতো পরিশ্রমসাপেক্ষ কাজ করেই তারা তাদের জীবন অতিবাহিত করতেন। পুরুষ ও মহিলা উভয়ই এই সাধনার জীবনে ব্রতী হতে পারতেন। পুরুষদের Monk এবং মহিলাদের Nun বলা হত। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা মঠ ছিল, যদিও ব্যতিক্রম ছিল। Monk এবং Nun-রা বিয়ে করতে পারতেন না।
প্রথম অবস্থায় মঠগুলোর আকার ছোট ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে বিশাল আকার ধারণ করে। তাদের সব ঘরবাড়ি ও স্থাবর সম্পত্তি ছিল এবং সেই সঙ্গে ছিল নিজস্ব স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল। কলা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে মঠগুলোর বড় ভূমিকা ছিল।
13. মধ্যযুগীয় ধর্মীয় মঠগুলোর কাজ কী ছিল?
উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ইউরোপে খ্রিস্টানদের চার্চ ব্যতীত আরেকটি সংগঠন ছিল। যাজকেরা যেখানে শহরে বা গ্রামে বসবাস করতেন, সেখানে কিছু প্রকৃত ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান ব্যক্তি নির্জনে বসবাস করতেই ইচ্ছুক ছিলেন। তারা লোকালয় থেকে অনেক দূরে অবস্থিত ধর্মীয় সংগঠন বা মঠগুলোতে বসবাস করতেন।
মঠের সন্ন্যাসীরা প্রার্থনা, পড়াশোনা ও কৃষিকাজের মতো পরিশ্রমসাপেক্ষ কাজ করেই তাদের জীবন মঠেই অতিবাহিত করতেন। নারী ও পুরুষ উভয়ই এই জীবন অনুসরণ করতে পারতেন। পুরুষদের বলা হত “Monk’ আর মহিলাদের ‘Nun’.
প্রারম্ভিক পর্যায়ে মঠগুলি ছোটো ছিল, পরবর্তীতে বিশালত্ব লাভ করে। এই মঠগুলির নিজস্ব ঘরবাড়ি, স্থাবর সম্পত্তির সঙ্গে ছিল নিজস্ব বিদ্যালয়, কলেজ ও হাসপাতাল। তাছাড়াও কলা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে মঠগুলির বড় ভূমিকা ছিল।
14. ‘নাইট’ কি ছিল?
উত্তরঃ মধ্যযুগে ‘নাইট’ নামে এক বিশেষ শ্রেণীর উদ্ভব হয়। শুধু অভিজাত শ্রেণীর লোকই ‘নাইট’ হবার অধিকারী হত। নাইটের বিশেষ বিশেষ কতকগুলি গুণ ছিল। প্রথমত তার বীরত্ব থাকতে হত অসাধারণ। দ্বিতীয়ত তিনি কখনও প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে পারতেন না। তৃতীয়ত তাকে রাজার অনুরক্ত থাকতে হত। চতুর্থত নারীর মান রক্ষার্থে তিনি এমনকি প্রাণ দিতেও কুণ্ঠিত হতেন না। মোট কথা ‘নাইট’ হতে হলে তাকে আদর্শবাদ পুরুষ হতে হত।
15. জমিদার ও নাইটের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সংক্ষেপে বর্ণনা কর। নাইটরা কি কি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করত?
উত্তরঃ জমিদারগণ রাজার সঙ্গে যেভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন নাইটগণও জমিদারের নিকট তেমনি সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। জমিদার নাইটকে একখণ্ড জমি দিতেন। একে ‘ফিফ বলা হত। তাকে সুরক্ষা দেবারও প্রতিজ্ঞা করা হত। এই ভূমিখণ্ড বা ‘ফিফ’ উত্তরাধিকার সূত্রে হস্তান্তরও করা যেত। এই ‘ফিফ’ বা ভূমিখণ্ড ১০০০-২০০০ একর বা ততোধিক বিস্তৃত ছিল। ফিফের মধ্যে নাইটের বাসঘর, তার পরিবার, গির্জা, নাইটের পরিবারের অন্যান্য বিভাগ, একটি জলাধার ও একটি সুরাঘর থাকত। সামস্ত ম্যানরের মতো কৃষকরা। ফিফের জমি কর্ষণ করত। বিনিময়ে নাইট তার জমিদারকে নিয়মিত মাশুল দিতেন এবং যুদ্ধকালে যুদ্ধে সহায়তার আশ্বাস দিতেন। নাইটরা দিনের কিছু সময় তাদের দক্ষত অটুট রাখবার জন্য নানাপ্রকার অনুশীলন করতেন। নাইট অন্যান্য জমিদারকে সেবা যোগাে পারতেন। কিন্তু তার প্রধান কর্তব্য হল নিজের জমিদারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও সেখ দান। নাইটদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলি ছিল নিম্নরূপঃ
(ক) কৃষি উৎপাদনের কিছু অংশ জমিদারকে ফি হিসাবে দেওয়া।
(খ) জমিদারের প্রয়োজনীয়তায় সামরিক সাহায্য প্রদান করা।
(গ) সামরিক ও শারীরিক দক্ষতা বজায় রাখতে কৌশলগত অভ্যাস বজায় রাখা।
(ঘ) একজন যোদ্ধা বা নাইট একইসঙ্গে একাধিক জমিদারের সেবা করতে পারত, কিন্তু তার প্রধান আনুগত্য ছিল তার নিজের জমিদারের প্রতি।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.