Class 11 Environmental Studies Chapter 1 পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Environmental Studies Chapter 1 পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Question Answer in Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Environmental Studies Chapter 1 পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Environmental Studies Chapter 1 পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা are free to use and easily accessible.

Class 11 Environmental Studies Chapter 1 পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. AHSEC Board Class 11 Environmental Studies in Bengali Solutions, Gives you a better knowledge of all the chapters. Class 11 Environmental Studies in Bengali Book PDF. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali will be able to solve all the doubts of the students. Class 11 Environmental Studies Suggestion in Bengali, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 11 Environmental Studies Solution in Bengali. Class 11 Environmental Studies Notes in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পরিবেশ কী ? 

উত্তরঃ জীবিত প্রাণী এবং উদ্ভিদসমূহের পারিপার্শ্বিক অবস্থা , যেখানে জিবসমুহের জীবধারনের এবং সমস্ত মৌলিক প্রয়োজন পুরণের রসদ বর্তমান রয়েছে তাকে পরিবেশ বলে।

পরিবেশ (এনভায়রমেন্ট) শব্দ অর্থ পারিপার্শ্বিক অবস্থা। এনভায়রমেন্ট শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ফরাসি শব্দ ‘ এনভায়রনার ‘ (আসে – পাশের চারদিক নিয়ে বা নিদির্ষ্ট পরিমণ্ডলীকৃত এক নির্দিষ্ট এলাকা (to encircle or to surround) থাকে। পরিবেশে জীবের জীবনধারণের সমস্ত রসদ যেমন – বায়ু , জল , মাটি সূর্যালোক ইত্যাদি অজৈবিক উপাদান থাকে। প্রকৃতিপক্ষে অজৈবিক  এবং জৈবিক উপাদান সমূহের মিলনে পরিবেশ গঠিত হয়।

প্রশ্ন ২। পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানগুলো কী কী ? (What are the different components of environment) 

উত্তরঃ পরিবেশের উপাদান প্রধানত তিন ধরনের- 

(১) অজৈবিক উপাদান।

(২) জৈবিক উপাদান। এবং

(৩) শক্তি উপাদান।

পরিবেশের প্রাণহীন উপাদানগুলিকে অজৈবিক উপাদান বা ভৌতিক উপাদান বলে । অজৈবিক উপাদান বা ভৌতিক পরিবেশকে আবার তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।

যেমন – 

(ক) ভূমণ্ডল ( কঠিন )।

(খ) জলমণ্ডল। এবং

(গ) বায়ুমণ্ডল ( গ্যাস )।

পরিবেশের জীবিত উপাদান সমুকে জৈবিক উপাদান বলে। যেমন – প্রাণীকুল এবং উদ্ভিদ সকল।

অন্যদিকে পরিবেশেরশক্তি উৎপাদনকরী উপাদানসমূহ  যেমন – সুর্যালোক , ভূতাপ , শক্তি , জলবিদ্যুতিক শক্তি , পারমাণবিক শক্তি প্রভৃতিকে শক্তি উপাদান বলে।

প্রশ্ন ৩। পরিবেশের বিভিন্ন অংশগুলি কী কী ? (What are  different parts of Environment) 

উত্তরঃ পরিবেশকে প্রধানতঃ চারটি অংশে ভাগ করা হয়েছে-

(১) এটমোস্ফিয়ার বা বায়ুমণ্ডল।

(২) হাইড্রোস্ফিয়ার বা জলমণ্ডল।

(৩) লিথোস্ফিয়ার বা স্থলমণ্ডল। এবং

(৪) বায়োস্ফিয়ার বা জীবমণ্ডল।

প্রশ্ন ৪। বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ হ’ল নাইট্রোজেন N₂ (78.09%) অক্সিজেন O₂(20.94%)। তাছাড়া বায়ুতে 0.934% আর্গন এবং 3.25X10⁻¹⁰% কার্বন – ডাই – অক্সাইড (CO₂) থাকে। বায়ুর বাকী অংশে হিলিয়াম, নিয়ন ইত্যাদি নিষ্ক্রিয়  গ্যাস, ধূলিকণা এবং জলীয় বাষ্প থাকে। 

প্রশ্ন ৫। স্টেটোস্ফিয়ার  থাকা ওজোন গ্যাসের স্তরের ভূমিকা কী? (What is the role of ozone layer present in the stratosphere?)

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের সস্টেটোস্ফিয়ার অঞ্চলে ওজোন গ্যাসের স্তর রয়েছে। এই ওজোন গ্যাস সূর্যালোকে থাকা ক্ষতিকারক অতি বেগুনী রশ্মিকে শোষণ করে এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীর প্রাণীকুলকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশ শিক্ষা সম্পর্কে তুমি কী বোঝ? (What do you mean by Environment education) 

উত্তরঃ যে শিক্ষাগত প্রক্রিয়া মাধ্যমে মানুষ, মানুষের দ্বারা সৃষ্ট পরিবেশ এবং প্রকৃতির  অধ্যয়ন করা হয় তাকে পরিবেশ শিক্ষা বলে। এই শিক্ষার অন্তর্গত বিষয়গুলি হল জনসংখ্যার সম্পর্কে, প্রদুষণ, সম্পদ বণ্টন এবং নিঃশেষ (ক্ষয়), সংরক্ষন, পরিবহন প্রযুক্তি এবং সমগ্র মানব পরিবেশের জন্য শহরাঞ্চল এবং গ্রামীণ পরিকল্পনা। পরিবেশ শিক্ষা মানুষের মধ্যে আন্তসম্পর্ক, তাদের সংকৃতি, তাদের জৈব ভৌতিক পারিপার্শ্বিকতাকে উপলব্ধি করা এবং মর্মবস্ত্তকে বুঝার জন্য দক্ষতা অর্জন, মনভাব গঠনের লক্ষে মূল্যবোধকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং ধারণাসমূহ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৭। পরিবেশগত শিক্ষার বিস্তৃত নীতি – নির্দেশকসমুহ কী কী? (What are the ditail guidlines of environmental education?)

উত্তরঃ ১৯৭৭ সালে তৎকালীন সুভিয়েত ইউনিয়নের বিলিসিত (বর্তমান জর্জিয়ার রাজধানী) বিভিন্ন দেশের সরকার সমূহের মধ্যে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পরিবেশ শিক্ষার নিন্মোক্ত নীত – নির্দেশিকা গুলি ঘুষনা করা হয়েছিল।

(ক) শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের আন্তসম্পর্কে গুরুত্ব প্রদান করা।

(খ) সামগ্রিকভাবে পরিবেশকে বিবেচনা করা।

(গ) নিরন্তর শিক্ষা প্রাক স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে সমস্ত আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক পর্যায় জুড়ে অব্যহত রাখা।

(ঘ) স্থানীয়, আঞ্চলিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিভিন্ন পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ সমালোচনামূলক দৃষ্টি নিয়ে পরীক্ষা করা।

(ঙ) বর্তমান এবং ভবিষ্যতে পরিবেশের প্রবণতা এবং অবস্থার বিষয়ে অধ্যয়ন চালানো।

(চ) পরিবেশের সমস্যা সৃষ্টির প্রকৃত কারণসমূহ এবং উপসর্গগুলো আবিষ্কার করতে ছাত্র – ছাত্রীদের সাহায্য করা এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করা। এবং

(ছ) চূড়ান্ত পর্যায়ে পরিবেশ সমস্যার সমাধানের জন্য স্থানীয়, রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গী এবং মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য গুরুত্ব প্রদান করা।

প্রশ্ন ৮। পরিবেশ শিক্ষার মৌলিক নীতিসমূহ উল্লেখ করা। (Mention the fundamental principles of environmental education)

উত্তরঃ পরিবেশ শিক্ষার মৌলিক নীতিসমূহ হল – 

১। পরিবেশ এবং পরিবেশের প্রত্যাহ্বানসমূহের প্রতি অনুভূতিশীলতা এবং সচেতন।

(২) পরিবেশ এবং পরিবেশের প্রত্যাহ্বানসমূহের বিষয়ে উপলব্ধি এবং জ্ঞান অর্জন করা।

(৩) পরিবেশের জন্য উদ্বেগের মনভাব এবং পরিবেশগত গুণমান রক্ষা এবং উন্নত করার মানসিকতা।

(৪) পরিবেশগত প্রত্যাহ্বানসমূহের সমাধানে সহায়তা করা এবং সেগুলো চিহ্নিত করার দক্ষতা। এবং

(৫) পরিবেশগত প্রত্যাহ্বানসমূহর সমাধানের লক্ষ্যে শুরু করা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন।

প্রশ্ন ৯। পরিবেশ শিক্ষার বিষয়সমূহের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো। (Discuss the nature of multiple discipline of environmental education) 

উত্তরঃ পরিবেশ শিক্ষা একটি বহুমুখী বিষয়। অর্থাৎ পরিবেশ শিক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান আবশ্যক। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়। যেমন – উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণী বিজ্ঞান, জৈব প্রযুক্তি, জিনতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয়ের জ্ঞান, জৈবিক উপাদানসমূহ এবং সেগুলোর অন্তক্রিয়া সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে। অনুদিকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যাবিদ্যা ইত্যাদি পরিবেশের বিভিন্ন পরিঘটনাসমুহ বুঝতে সাহায্য করে। কম্পিউটার বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি, ইত্যাদি হচ্ছে পরিবেশ শিক্ষার অঙ্গ। একইভাবে পরিবেশের প্রদুষণ নিয়ন্ত্রনের জন্য পরিবেশ অভিযান্ত্রিবিদ্যা (Engineering) প্রযোজনীয়। তাছাড়া অভিযান্ত্রিবিদ্যার অন্যান্য শাখাসমূহ, যেমন – রসায়ন (Chemical), অসামরিক (Civil), কারিগরি (Mechanical) প্রভৃতি পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া কলা শাখার বিভিন্ন বিষয় সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতি বিজ্ঞান, শিক্ষা, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ের জ্ঞান পরিবেশ শিক্ষার আইনবিদ্যাও পরিবেশ বিদ্যার অঙ্গ। এইভাবে পরিবেশ শিক্ষা তার বহুমুখী চরিত্র নিয়ে এক আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে বিভিন্ন দিক মুকাবিলা করে।

প্রশ্ন ১০।  আমাদের পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে পরিবেশগত সচেনতা কীভাবে সহায়তা করে? (How does environment awareness help us to protect our environment)

উত্তরঃ সমস্ত বিশ্ব আজ পরিবেশ অবক্ষয় এবং প্রদুষনের সন্মুখীন। উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও প্রচণ্ডভাবে বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, ঔদ্যুগীকরণ, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, খনিজ কাজ, ভূমিক্ষয় ইত্যাদি। পরিবেশতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করছে। মানবজাতির বস্তুবাদী, লোভী এবং বিলাসী জীবনযাপনের মনোভাব প্রাকৃতিক সম্পদকে করে দিচ্ছে। বিলাসবহুল বিলাযাত্রার জন্য মানুষের কার্য কলাপ প্রাণীকুলের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে। তাই এই ধ্বংসরোধে এবং পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে গণ সচেতনতা সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজনীয়। সাধারণ জনগণের সহযোগিতা না পেলে পরিবেশগত সমস্যাগুলির সমাধান অসম্ভব। সেইজন্য সাধারণ জনণকে পরিবেশ সচেতন করে তুলতে হবে। তাদের পরিবেশ ধ্বংসের কুফল এবং এর ফলে ঘটতে পারা বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা পরিবেশের অংশ এবং পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

(ক) উত্তর দাও –

প্রশ্ন ১। Environment শব্দের অর্থ কী? 

উত্তরঃ Environment শব্দের অর্থ পারিপার্শ্বিক অবস্থা।

প্রশ্ন ২। Environment শব্দটি কোন শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে? 

উত্তরঃ Environment শব্দটি ফরাসি শব্দ environer থেকে উৎপত্তি হয়েছে। 

প্রশ্ন ৩। বায়ু কোন ধরনের উপাদান? 

উত্তরঃ অজৈবিক উপাদান।

প্রশ্ন ৪। পরিবেশের একটি জৈবিক উপাদানের নাম লিখ।

উত্তরঃ মানুষ।

প্রশ্ন ৫। সাধারণত পরিবেশকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে? 

উত্তরঃ চারভাগে।

প্রশ্ন ৬। একটি প্রাকৃতিক পরিবেশের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ নদী।

প্রশ্ন ৭। বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজোন স্তর আছে?

উত্তরঃ সট্রাটোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ৮। সূর্যালোকে থাকা ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে শোষিত হয়? 

উত্তরঃ সট্রাটোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ৯। কোন গ্যাস সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে? 

উত্তরঃ ওজোন গ্যাস।

প্রশ্ন ১০। বায়ুতে কোন গ্যাস সর্বাধিক পরিমাণে থাকে?

উত্তরঃ নাইট্রোজেন গ্যাস।

প্রশ্ন ১১। বায়ুতে নাইট্রোজেন গ্যাসের শতকরা পরিমাণ কত?

উত্তরঃ 78.09%

প্রশ্ন ১২। সূর্যালোকে থাকা কোন ধরনের  রশ্মি থেকে পৃথিবী এবং বায়ুমণ্ডল তাপ শোষণ করে? 

উত্তরঃ অবলোহিত আলোক রশ্মি।

প্রশ্ন ১৩। পরিবেশের যে অঞ্চলে জীব বাস করে তার নাম কী?

উত্তরঃ জীবমণ্ডল বা বায়োস্ফিয়ার।

প্ৰশ্ন ১৪। বায়ুমণ্ডলের অতি নগন্য পরিমাণে থাকা এক প্রকার গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ হিলিয়াম।

প্রশ্ন ১৫। পরিবেশের জল থাকা অঞ্চলকে কী বলে? 

উত্তরঃ জলমণ্ডল বা হাইড্রোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ১৬। বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরটির নাম কী?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরটির নাম হল ট্রোপোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ১৭। ট্রোপোস্ফিয়ারের বিন্তৃতি কত?

উত্তরঃ ০-১১ কি: মি:।

প্রশ্ন ১৮। সট্রাটোস্ফিয়ারের বিন্তৃতি কত?

উত্তরঃ ১১-৫০ কি: মি:।

প্রশ্ন ১৯। বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের তাপমাত্রা সর্বাধিক? 

উত্তরঃ থার্মোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ২০। পৃথিবীর ভূভাগের কত শতাংশ জল?

উত্তরঃ ৭১%।

প্রশ্ন ২১। বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের ঘনত্ব সর্বাধিক?

উত্তরঃ ট্রোপোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ২২। পরিবেশ শিক্ষা বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন কখন অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৭৭ সনে।

প্রশ্ন ২৩। পরিবেশ শিক্ষা বিষয়ক সর্ব প্রথম কোথায় অনুষ্ঠিত হয়? 

উত্তরঃ তৎকালীন সোভিয়ের ইউনিয়নের বিলিসিতে (বর্তমানে জর্জিয়ার রাজধানী)।

প্রশ্ন ২৪। পরিবেশ শিক্ষার প্রকৃতি কোন ধরনের?

উত্তরঃ পরিবেশ শিক্ষার চরিত্র বহুমুখী। 

প্রশ্ন ২৫। জীবমণ্ডলের বিন্তৃতি লেখো।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে ৬-৮ কি: মি: পর্যন্ত এবং সমুদ্রের ৮-১০ কি: মি: পর্যন্ত।

প্রশ্ন ২৬। মানব পরিবেশ সংক্রান্ত স্টকহোম সম্মেলন কত সনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৭২ সনে।

প্রশ্ন ২৭। সট্রাটোস্ফিয়ারের গুরুত্বপূর্ন রাসায়নিক উপাদানগুলোর নাম লিখো।

উত্তরঃ ওজোন। (O₃) যা অক্সিজেনের রূপভেদ।

(খ) শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

প্রশ্ন ১। পরিবেশ শব্দর অর্থ হল ________।

উত্তরঃ পারিপার্শ্বিক অবস্থা।

প্রশ্ন ২। সূর্যলোকে থাকা ক্ষতিকারক রশ্মিটি হল _______।

উত্তরঃ অতিবেগুনি রশ্মি। 

প্রশ্ন ৩। পরিবেশের উপাদানের সংখ্যা _______। 

উত্তরঃ ৪টি।

প্রশ্ন ৪। বায়ুমণ্ডলের _______ স্তরে ওজন গ্যাস ছড়িয়ে আছে।

উত্তরঃ সট্রাটোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ৫। বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরের নাম _______।

উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার।

প্রশ্ন ৬। মানব পরিবেশ সম্পর্কিত স্টকহোম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ________ সালে।

উত্তরঃ ১৯৭২ সালে।

প্রশ্ন ৭। প্রথম বারের মত আন্ত সরকারি পরিবেশ শিক্ষা-বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল _________ সালে।

উত্তরঃ ১৯৭৭ সালে।

প্রশ্ন ৮। পরিবেশ শিক্ষা বিষয়ে আন্ত সরকারি সম্মেলন ________ এ অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তরঃ বিসিলি।

প্রশ্ন ৯। সূর্যলোকে থাকা ________ রশ্মি থেকে তাপ পাওয়া যায়।

উত্তরঃ অবলোহিত।

প্রশ্ন ১০। বায়ুতে সর্বাধিক পরিমাণে থাকা গ্যাস হল _________।

উত্তরঃ নাইট্রোজেন।

প্রশ্ন ১১। প্রধানত বায়ুমণ্ডলকে _________ টি স্তরে ভাগ করা হয়েছে।

উত্তরঃ চারটি।

প্রশ্ন ১২। পৃথিবীর ভূভাগের ______ শতাংশ জল দ্বারা পরিবৃত।

উত্তরঃ ৭১।

(গ) সত্য বা মিথ্যা লিখো।

প্রশ্ন ১। বায়ুতে অক্সিজেন গ্যাসের শতকরা পরিমাণ হল ২০.৯৪%।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ২। বায়ুর নাইট্রোজেন গ্যাস সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৩। ‘এনভায়রনমেন্ট’ (environment) শব্দটি ফরাসি শব্দ ‘এনভায়রনার’ (environer) থেকে উৎপত্তি হয়েছে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৪। বায়ুমণ্ডলের ওজন গ্যাস সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৫। বায়ু পরিবেশের এক জৈবিক উপাদান।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশের যে অংশে জিবকুল বেচে থাকে সেই অঞ্চলকে বায়োস্ফিয়ার বলে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৭। কার্বন – ডাই – অক্সাইড বায়ুমণ্ডলের একটি প্রধান উপাদান।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ৮। সূর্যের অবলোহিত রশ্মি তাপ প্রদান করে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৯। বায়ুমণ্ডলের সট্রাটোস্ফিয়ারে ওজন স্তর আছে।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ১০। লিথোস্ফিয়ার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অংশ হল মাটি।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ১১। বায়োস্ফিয়াৰ ৬-১৫ কি: মি: পৰ্যন্ত বিন্তৃত।

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্ৰশ্ন ১২। নাইট্ৰজেন বায়ুৰ একটি লঘূ উপাদান। 

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্ৰশ্ন ১৩। কোন দিনটিকে পরিবেশ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস” হিসাবে উদযাপন করা হয়? 

উত্তরঃ প্রতি বছরের ৫ জুন দিনটিকে।

প্রশ্ন ১৪। পৃথিবীর কঠিন স্তরটির নাম কী? 

উত্তরঃ ভূ – মণ্ডল (Lithosphere)।

বিষয়সূচী-পত্ৰ
অধ্যায় – ১পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা
অধ্যায় – বাস্তব্যবিদ্যা সংক্রান্ত ধারণা
অধ্যায় – ৩জৈব বৈচিত্র্য এবং তার সংরক্ষন
অধ্যায় – ৪প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় – ৫পরিবেশ প্রদুষণ
অধ্যায় – ৬সামাজিক বিষয় এবং পরিবেশ
অধ্যায় – ৭দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
অধ্যায় – ৮পথ সুরক্ষা

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পরিবেশ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ আমাদের পারিপার্শ্বিক সমস্ত পার্থিব বস্তু যেগুলি আমাদের দেহ এবং মনের সঙ্গে ক্রিয়া করে সেইগুলিকে এক সঙ্গে পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন ২। পরিবেশকে প্রধানত কয়ভাগে ভাগ করা হয়? প্রতিটি ভাগের নাম লেখো।

উত্তরঃ পরিবেশকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়।

যেমন – 

(ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ। এবং

(খ) সামাজিক পরিবেশ।

প্রশ্ন ৩। প্রাকৃতিক পরিবেশ বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া পরিবেশকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। যেমন – বায়ু, জল, মাটি, উদ্ভিদ, প্রাণীকূল ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪। সামাজিক বা মানুষ সৃষ্ট  পরিবেশ বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ পরিবেশের যে অংশ মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে তাকে সামাজিক বা মানুষ সৃষ্ট পরিবেশ বলে। যেমন – ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট, সামাজিক, রীতিনীতি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫। পরিবেশের উপাদানগুলিকে প্রধানত কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ পরিবেশের উপাদানগুলিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে।

যেমন – 

(ক) জৈবিক উপাদান।

জৈবিক উপাদানের উদাহরণ – প্রাণী, উদ্ভিদ।

(খ) অজৈবিক উপাদান।

অজৈবিক উপাদানের উদাহরণ – জল, বায়ু, বৃষ্টি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশের জৈবিক উপাদান বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ পরিবেশের যে সমস্ত উপাদান জীবিত অর্থাৎ যাদের প্রাণ আছে সেইগুলীকে জৈবিক উপাদান বলে।

প্রশ্ন ৭। পরিবেশের অজৈবিক উপাদান বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ পরিবেশের যে সকল উপাদানের প্রাণ নেই তাদের অজৈবিক উপাদান বলে।

যেমন – বায়ু, জল, নদী প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৮। সংখ্যা এবং পার্থক্য লিখো :- বায়ুমণ্ডল এবং জীবমণ্ডল।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল: পৃথিবীর চারদিকে যে গ্যাসীয় আবরণ চাঁদের মত ঢেকে রেখেছে, সেই আবরণ মণ্ডলকে বায়ুমণ্ডল বলে। বায়ুমণ্ডল হল জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অক্সিজেনের উৎস।

জীবমণ্ডল: জীবমণ্ডল হল ভূ – পৃষ্ঠের ওপরের স্তর যেখানে জীবকুল বেচে থাকতে পারে। জীবমণ্ডলের এই স্তর বায়ুমণ্ডলের ৬-৮ কি: মি: ওপর পর্যন্ত এবং সমুদ্রের ৮-১০ কি: মি: গভীর পর্যন্ত বিন্তৃত।

পার্থক্য: বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলির অজৈবিক এবং জীবমণ্ডলের উপাদানগুলি জৈবিক।

প্রশ্ন ৯। সংখ্যা এবং পার্থক্য লেখো:  – ভূ – মণ্ডল এবং জলমণ্ডল।

উত্তরঃ ভূ – মণ্ডল: খনিজ দ্রব্য এবং মাটির দ্বারা গঠিত পৃথিবীর উপরের স্তরকে ভূ – মণ্ডল বলে।

জলমণ্ডল: পৃথিবীর সমস্ত ধরনের জল সম্পদকে নিয়েই জলমণ্ডল গঠিত। মহাসাগর, সাগর, নদ – নদী, হ্রদ, জলাধার, হিমবাহ, মেরু অঞ্চলের তুষারস্তর এবং ভূ – গর্ভস্থ জল ইত্যাদি জলমণ্ডলের অন্তর্গত।

পার্থক্য: ভূ – মণ্ডল পৃথিবীর কঠিন স্তর এবং জলমণ্ডল তরল স্তর।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোওরঃ 

প্রশ্ন ১। পরিবেশ সাধারণত কত প্রকারের? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণসহ বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ পরিবেশ সাধারণত দুই ধরনের – 

(ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ। এবং

(খ) কৃত্রিম বা মানব সৃষ্ট পরিবেশ।

(ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট হওয়া পরিবেশকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। যেমন – পাহাড়, নদী, ঝরনা ইত্যাদি। এই ধরনের সৃষ্টিতে মানুষের কোন ভূমিকা নেই। প্রাকৃতিক পরিবেশ দুই ধরনের।

(১) ভূমিজ। এবং 

(২) জলজ। 

পাহাড়, পর্বত, বনজঙ্গল প্রভৃতি ভূমিজ পরিবেশ এবং অন্যদিকে সাগর, নদী, মহাসাগর, হ্রদ প্রভৃতি জলজ পরিবেশের উদাহরণ।

(খ) কৃত্রিম বা মানব সৃষ্ট পরিবেশ: পরিবেশের যে সকল উপাদান মানুষ দ্বারা সৃষ্ট সেই সমস্ত উপাদান দ্বারা সৃষ্ট পরিবেশকে কৃত্রিম বা মানব পরিবেশ বলে।

যেমন – রাস্তাঘাট, হাটবাজার, স্কুল কলেজ, অট্টালিকা ইত্যাদি। এই সমস্ত পরিবেশের উপাদান মানুষ তার প্রয়োজনে সৃষ্টি করে। তাছাড়া সামাজিক রীতনীতি, আচার – আচরণ জীবনধারা ইত্যাদিও সামাজিক পরিবেশের উপাদান।

প্রশ্ন ২। পরিবেশকে কিভাবে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?

উত্তরঃ ১। পরিবেশের প্রথম ব্যাখ্যা হল যেখানে বিভিন্ন ধরনের পারিপার্শ্বিক ব্যবস্থা বা অবস্থার দ্বারা প্রাণী এবং উদ্ভিদের একটি গুষ্ঠি পরিবৃত রয়েছে। 

২। মানুষের চতুরদিক গঠন করা সমস্ত সামাজিক, অর্থনৈতিক, জৈবিক,ভৌতিক বা রাসায়নিক কারকসমূহের সমষ্টি হচ্ছে পরিবেশ। মানুষই হল তাদের পরিবেশ স্রষ্টা এবং রক্ষা কর্তা।

৩। সামাজিক অথবা সংস্কৃতিক সংমিশ্রণ একজন ব্যক্তি অথবা একটি সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে, তাকেও একটি পরিবেশ বলে অ্যাখ্যা দেওয়া যায়।

প্রশ্ন ৩। বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তরঃ পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডলের উপস্থিতির জন্যই প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব হয়েছে। প্রাণীকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম এক গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে চারদিকে থেকে পরিবৃত করে রেখেছে, যা মহাকাশের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে প্রাণীকুলকে রক্ষা করেছে। পৃথিবীর বর্হি ভাগের মহাকাশ থেকে আসা বেশীর ভাগ মহা জাগতিক রশ্মি এবং সূর্য থেকে আসা বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বিকিরনকে শুষে নেয় পৃথিবীর গ্যাসীয় আবরণ। এই গ্যাসীয় আবরণ আমাদের শরীরের কোষ ধ্বংসকারী অতিবেগুনী রশ্মির কণা থেকে রক্ষা করে।

বায়ুমণ্ডল পৃথিবীতে সূর্য থেকে বিকিরিত হয়ে আসা এবং পৃথিবী থেকে পুন বিকিরীত অবলোহিত রশ্মিকে শুষে নিয়ে তাদের ভারসাম্য রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বায়ুমণ্ডল হল পৃথিবীতে জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়  অক্সিজেনের উৎস। বায়ুমণ্ডল উদ্ভিদের সালোক সংশ্লেষনের জন্য অপরিহার্য কার্বন ডাই অক্সাইডেরেও উৎস। শ্রেণীর জন্য অত্যাবশ্যক নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডল থেকে পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৪। জলমণ্ডলের বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ প্রকৃতির সমস্ত জলসম্পদকে নিয়ে জলমণ্ডলের সৃষ্টি হয়। মহাসাগর, সাগর নদ – নদী, হ্রদ, জলধার, হিমবাহ ইত্যাদি জলমণ্ডলের অন্তর্গত। পৃথিবীর অধকাংশই জল পরিবৃত। পৃথিবীর ভূ – ভাগের ৭১ শতাংশ অর্থাৎ মোট ১৪০০ নিযুত কিউবিক কিলোমিটার জল দ্বারা পরিবৃত। তা সত্বেও বহুস্থানে এখনও যথার্থ গুণগত মানের জল প্রত্যাশিত পরিমাণে পাওয়া কঠিন। পৃথিবীর জলের ৯৭ শতাংশ আছে মেরু অঞ্চলের তুষার আবরণ এবং হিমবাহসমূহে। অন্যদিকে ২০ শতাংশ জল আবদ্ধ হয়ে রয়েছে ভূগর্ভের নীচে। মাত্র ১ শতাংশ জল মানুষের ব্যাবহারের উপযোগী হিসাবে পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৫। ভূ মণ্ডল সমন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করা।

উত্তরঃ খনিজ দ্রব্য মাটির দ্বারা গঠিত পৃথিবীর উপরের স্তরকে ভূ মণ্ডল বলে। মাটি হল খনিজ বস্তু (Organic mantle), বায়ু এবং জলের সংমিশ্রণের গঠিত আবরণ। ভূ মণ্ডলের সবসেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ হচ্ছে মাটি। মাটি হল খনিজ সামগ্রী সংগ্রহলয়, জলের আঁধার, মাটির উর্বরতার সংরক্ষক, শস্য উৎপাদক এবং বন্য প্রাণী তথা পশু সম্পদের গৃহভূমি।

প্রশ্ন ৬। পরিবেশ শিক্ষা কী? এই শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি কী কী?

উত্তরঃ পরিবেশ শিক্ষা হচ্ছে এমন এক শিক্ষাগত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং মানুষের সৃষ্ট পরিবেশ সম্পর্কে অধ্যয়ন করা হয়। অর্থাৎ পরিবেশ শিক্ষা হচ্ছে পরিবেশের মাধ্যমে, পরিবেশ বিষয়ে এবং পরিবেশের জন্য গ্রহন করা শিক্ষা। 

পরিবেশের শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি হল – 

১। মানুষকে পরিবেশ এবং পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমন্ধে সচেতন করে তোলা।

২। পরিবেশকে রক্ষা করার বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করা।

৩। পরিবেশ রক্ষার জন্য একক এবং দলগতভাবে কাজ করতে উৎসাহী করে তোলা।

৪। মানুষের মধ্যে আন্ত সম্পর্ক,তাদের সংস্কৃতি এবং ভৌতিক পারিপার্শ্বিক তাকে উপলব্ধি করা এবং মর্ম বস্তুকে বোঝার জন্য দক্ষতা অর্জন ও মনোভাব গঠনের লক্ষ্যে মূল্যবোধকে স্বীকৃতি প্রদান ও ধারণাসমূহকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করা। 

প্রশ্ন ৭। পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণ তথা মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়া কলাপের ফল প্রকৃতির বিভিন্ন সমস্যা। সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলি পরিবেশগত সমস্যা বলে।

পরিবেশের সমস্যা সাধারণত দুই প্রকার-

১। প্রাকৃতিক সমস্যা। এবং

২। মানব – সৃষ্ট পরিবেশ।

১। প্রাকৃতিক সমস্যা: যে সকল সমস্যা প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয় সেই সকল পরিবেশগত সমস্যাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ সমস্যা বলে।

যেমন – ভূমিকম্প, আগ্নেয়গরি থেকে উদগীরণ বা অগ্নুৎপাত, তীব্র বৃষ্টিপাত (বন্যা), খরা, ভূমিস্খলন, ঝড়, সুনামি ইত্যাদি।

২। মানব – সৃষ্ট পরিবেশ: মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের ফলে পরিবেশের যে সকল সমস্যা সৃষ্টি হয় সেই সমস্ত সমস্যাকে মানব – সৃষ্ট পরিবেশ সমস্যা বলে।

যেমন – জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ হওয়া, প্রদুষন, বনাঞ্চল ধ্বংস,‌কল কারখানা এবং যানবাহন থেকে নির্গত আবর্জনা, ভূ – গর্ভস্থ ইন্ধনের অনৈতিক ব্যবহার ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক সমস্যাগুলি মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলেও মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলি মানুষ সম্পূর্ণভাবে নিজের চেষ্টা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পরিবেশ শিক্ষা এবং পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতনতা এই সমস্ত সমস্যা থেকে অনেকাংশ পরিবেশকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।

We Hope the given একাদশ শ্রেণীর পরিবেশ শিক্ষা পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন ও উত্তর will help you. If you Have any Regarding, Class 11 Environmental Studies Question and Answer in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

2 thoughts on “Class 11 Environmental Studies Chapter 1 পরিবেশ বিষয়ে মৌলিক ধারণা”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top